Sunday, February 4, 2018

পানাহারের আদব

পানাহারের আদব
আল্লাহর বান্দাদের উপর যতগুলি অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হল পানাহার। মানুষের শরীর গঠন,বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এই নেয়ামতের দাবি হল এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আর এ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর দেয়া বিধান পালন করার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।এ নেয়ামতের আরো একটি দাবি হচ্ছে, এর সহায়তায় আল্লাহর নাফরমানি করা যাবে না।
পানাহারের অনেকগুলো আদব ও বিধান রয়েছে, যাকে দুইভাবে ভাগ করা যেতে পারে :
প্রথমত : যে বিষয়গুলোর গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।
যেমন:

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে? বিয়ের পরে অনেক শ্বশুর-শাশুরি বাধ্য করে পা ছুঁয়ে সালাম করার জন্য, কি করবো?

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে? বিয়ের পরে অনেক শ্বশুর-শাশুরি বাধ্য করে পা ছুঁয়ে সালাম করার জন্য, কি করবো? উত্তরঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা, কদমবুসি করা বা পায়ে চুমু খাওয়া, পদধূলি নেওয়া – এ সবগুলো হচ্ছে মুশরেক জাতি হিন্দুদের অনুকরণে নিকৃষ্ট বিদআ’ত। মূলত কবর মাযার পূজারী আর পীর পূজারীরা মুসলমানদের মাঝে এই কুপ্রথা ঢুকিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই বেদাতীরা কবর মাযার ও তাদের পীর বুজুর্গদেরকে সেজদাহ পর্যন্ত করে (নাউযুবিল্লাহ), সুতরাং পা ছুঁয়ে সালাম করা এদের কাছে কোন ব্যপারই না। আফসোস ! আজ পর্যন্ত কোনো হিন্দু বা কাফেরকে দেখলামনা মুসলমানদের কোনো কিছু অনুকরণ করতে। মুসলমান জাতি কেনো হিন্দুয়ানি কালচার ফলো করার জন্য এতো দিওয়ানা হবে?

পথের হক

পথের হক

পথের হক
عن أبي سعيد الخدري- رَضِيَ اللهُ عَنْهُ- أنَّ النَّبِيَّ- صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ- قَالَ : إيَّاكُمْ وَ الْجُلُوْسَ فِي الطُّرُقَاتِ، فَقَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ، مَا لَنَا مِنْ مَجَالِسِنَا بُدٌّ نَتَحَدَّثُ فِيْهَا، فَقَالَ : فَإذَا أبَيْتُمْ إلاَّ الْمَجْلِسَ فَأعْطُوا الطَّرِيْقَ حَقَّهُ. قَالُوْا: وَمَا حَقُّ الطَّرِيْقِ يَا رَسُوْلَ اللهِ ؟ قَالَ: غَضُّ الْبَصَرِ، و كَفُّ الأذى، وَ رَدُّ السَّلاَمِ، وَ الْأمْرُ بِالْمَعْرُوْفِ وَ النَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ. (متفق عليه)
আবু সাঈদ খুদরী রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. বলেন, তোমরা রাস্তায় বসে থাকা থেকে বিরত থাক। সাহাবিগণ রা. আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের প্রয়োজনীয় কথার জন্য রাস্তায় বসার বিকল্প নেই। রাসূল সা. বললেন, যদি তোমাদের একান্ত বসতেই হয়, তাহলে রাস্তার হক আদায় কর। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! রাস্তার হক কি ? তিনি বললেন, চক্ষু অবনত করা, কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা, সালামের উত্তর প্রদান করা, সৎকাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করা।[১]
হাদিস বর্ণনাকারীঃ

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলী

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলী

بسم الله الرحمن الرحيم
 
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি পরিপূর্ণতার গুণাবলী দ্বারা অনুগ্রহ করেছেন এবং তাদের একের উপর অন্যের মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন; যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করা যায় সেসব বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে, যা থেকে তাদেরকে দেয়া হয়েছে; আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তার রয়েছে বিরাট রাজত্ব, আর তিনি সুউচ্চ; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, যাঁকে প্রেরণ করা হয়েছে সর্বোত্তম চরিত্র ও সুন্দর কর্মের পরিপূর্ণতা বিধান করার জন্য; রাত-দিন আল্লাহ রহমত ও শান্তি বর্ষণ করুন তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার-পরিজনের প্রতি, তাঁর সাহাবীগণের প্রতি এবং তাঁদের সর্বোত্তম অনুসরণকারী তাবে‘য়ীগণের প্রতি …।
অতঃপর:
আল্লাহ তা‘আলা মহান রিসালাতের দায়িত্ব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট অর্পণ করেছেন; আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরিত্

তিনি সর্বাপেক্ষা নির্ভীক ও সাহসী ছিলেন ।
    • তিনি সর্বাপেক্ষা দানবীর ছিলেন ।
  • কখনো কোন জিনিস চাওয়া হলে তিনি না করেননি ।
  • তিনি সর্বাপেক্ষা ধৈর্যশীল ছিলেন ।
  • নিজের জন্য কোন প্রতিশোধ নেননি ।
  • নিজের স্বার্থের জন্য কখনো রাগান্বিত হননি । তবে হ্যাঁ, আল্লাহর হুকুম -বিধান লঙ্ঘণ করা হলে আল্লাহর নিমিত্তেই প্রতিশোধ নিয়েছেন।
    • অধিকারের ব্যাপারে তাঁর নিকটে আত্মীয়- অনাত্মীয়, দুর্বল, সবল সমান ছিল।

নবী সঃ এর ইন্তেকাল : এক রিদয় বিদারক ঘটনা !

নবী সঃ এর ইন্তেকাল : এক রিদয় বিদারক ঘটনা !


এই পোস্টে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল: ১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিদায়ের পূর্বাভাষ।২) অসুখের সূচনা।৩) মৃত্যুর পূর্বে ওছীয়ত।৪) জীবনের শেষ দিন।৫) মৃত্যুর পূর্বক্ষণ।৬) গোসল ও দাফন ও জানাযা।৭) শেষ কথা। এবার উক্ত পয়েন্টগুলোর ধারাবাহিক আলোচনায় আসা যাক। ১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিদায়ের পূর্বাভাষ: নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দাওয়াতী জীবন পূর্ণ হয়ে গেল। ইহকাল থেকে বিদায়ের নিদর্শন সমূহ তাঁর কাছে প্রতিভাত হতে লাগল। তিনি তা অনুভবও করতে লাগলেন। দশম হিজরী সনের রামাযান মাসে তিনি বিশ দিন ইতেকাফ করলেন। অথচ তিনি আগে মাত্র দশদিন ইতেকাফ করতেন। জিবরীল (আঃ) তাঁকে সাথে নিয়ে কুরআন দুই বার অধ্যায়ন করেন। বিদায় হজ্জে তিনি বলেনঃ “জানিনা,

রাসুলুল্লাহ সঃ এর জীবনী

নবী জীবনী

মুর্তি পূজাই ছিল আরব দেশে প্রচলিত ধর্ম। সত্য ধর্মের পরিপন্থী এ ধরনের মূর্তিপূজাবাদ অবলম্বন করার কারণে তাদরে এ যুগকে আইয়্যামে জাহেলিয়াত তথা মুর্খতার যুগ বলা হয়। লাত, উযযা, মানাত ও হুবল ছিল তাদের প্রসিদ্ধ উপাস্যগুলোর অন্যতম। আরবের কিছু লোক ইয়াহূদী বা খৃষ্টান ধর্ম বা অগ্নি পুজকদের ধর্ম গ্রহণ করেছিল। আবার স্বল্প সংখ্যক লোক ছিল যারা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর প্রদর্শিত পথে ছিল অবিচল, আঁকড়ে ধরেছিল তাঁর আদর্শ। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেদুঈনরা সম্পূর্ণভাবে পশু সম্পদের উপর নির্ভর করত। আর নগরবাসীদের নিকট অর্থনৈতিক জীবনেরও ভিত্তি ছিল কৃষি কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বে আরব দেশে মক্কাই ছিল বৃহত্তর বাণিজ্য নগরী। অন্যান্য বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়ন ও নাগরিক সভ্যতা ছিল। সামাজিক দিক দিয়ে যুলুম সবর্ত্র বিরাজমান ছিল, সেখানে দুর্বলের ছিলনা কোন অধিকার। কন্যা সন্তানকে জীবদ্দশায় দাফন করা হতো। মান-ইজ্জত ও সম্মানকে করা হতো পদদলিত। সবল দুর্বলের অধিকার হরণ করতো। বহুবিবাহ প্রথার কোন সীমা ছিল না। ব্যভিচার অবাধে চলতো। নগন্য ও তুচ্চ কারণে যুদ্ধের অগ্নিশিখা জ্বলে উঠতো। সংক্ষেপে বলতে গেলে-ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরব দ্বীপের সার্বিক পরিস্থিতি এ ধরনের ভয়াবহই ছিল।

ইবনুয্‌যাবিহাঈন:

“আস্তাগফিরুল্লাহ” নাউযুবিল্লাহঃ-জাযাকাল্লাহু খায়রান, আল হামদুলিল্লাহ: ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ: সুবহানাল্লাহ: শব্দের অর্থ ও ব্যবহার।

“আস্তাগফিরুল্লাহ” নাউযুবিল্লাহঃ-জাযাকাল্লাহু খায়রান, আল হামদুলিল্লাহ: ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ: সুবহানাল্লাহ: শব্দের অর্থ ও ব্যবহার।



“আস্তাগফিরুল্লাহ” অর্থ- আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। মানুষ যখন অশ্লীল কিছু দেখবে বা যেকোন ধরনের পাপ করবে, তখন সে ক্ষমার জন্য আস্তাগফিরুল্লাহ বলবে। যেমননটি রাসূল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম করতেন।
নাউযুবিল্লাহঃ-
নাউযুবিল্লাহ শব্দের অর্থ, আমরা মহান আল্লাহর কাছে এ থেকে আশ্রয় চাই। যে কোনো মন্দ ও গুনাহের কাজ দেখলে তার থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার্থে এটি বলা হয়ে থাকে।
আল হামদুলিল্লাহ:

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলিঃ

নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলিঃ

নবীজির চারিত্রিক গুণাবলি: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুন্দর আকৃতিবিশিষ্ট, সৌরভে সুবাসিত, গঠনে মধ্যম, দেহে সবল, মস্তক ছিল বড়,দাড়ি ছিল ঘন, হস্ত ও পদ-দ্বয় ছিল মাংসল,উভয় কাঁধ ছিল বড়, চেহারায় ছিল রক্তিম ছাপ, নেত্র দ্বয় ছিল কালো, চুল ছিল সরল, গণ্ড দ্বয় কোমল। চলার সময় ঝুঁকে চলতেন,
মনে হত যেন উঁচু স্থান হতে নিচুতে অবতরণ করছেন। যদি কোন দিকে ফিরতেন, পূর্ণ ফিরতেন। মুখমণ্ডলের
ঘাম সুঘ্রাণের কারণে মনে হত সিক্ত তাজা মুক্তো। তার উভয় কাঁধের মাঝখানে নবুয়তের মোহর ছিল্তঅর্থাৎ
সুন্দর চুল ঘেরা গোশতের একটি বাড়তি অংশ।

নবীজীর চরিত্র: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সুমহান, পূর্ণ ও শ্রেষ্ঠতর চরিত্রে সুসজ্জিত,
সবদিকে অতুলনীয়। মহান আল্লাহ বলেন :

নবী (সাঃ) কবর স্হানান্তর মূলক খবর যঘন্য বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার

নবী (সাঃ) কবর স্হানান্তর মূলক খবর যঘন্য বিভ্রান্তিকর মিথ্যাচার


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না  রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে-  masjid-nabawiবিদ্যুতের বেগে মিডিয়া থেকে মিডিয়ায় প্রচার হয়ে চলেছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবর শরীফকে স্থানান্তরের পরিকল্পনার সংবাদ।  অনলাইন, ব্লগ, ম্যাগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, ফেসবুক, টুইটার কোথাও বাদ নেই। আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে চলছে বিষয়টি নিয়ে। কিন্তু এর বাস্তবতা কি, শরীয়ত সম্মত কি না, আসলেই এরকম কোন পরিকল্পনা হয়েছিল কি না?

দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা

দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ﴿ وَقَالَ رَبُّكُمُ ٱدۡعُونِيٓ أَسۡتَجِبۡ لَكُمۡۚ ٦٠ ﴾ (غافر: ٦٠)
“তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।” (সূরা গাফের ৬০ আয়াত)
তিনি বলেন, ﴿ ٱدۡعُواْ رَبَّكُمۡ تَضَرُّعٗا وَخُفۡيَةًۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٥٥ ﴾ (الاعراف: ٥٤)
“তোমরা কাকুতি-মিনতি সহকারে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, নিশ্চয় তিনি সীমালংঘন কারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (সূরা আ’রাফ ৫৫ অয়াত)
তিনি আরও বলেন,  وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ ١٨٦ ﴾ (البقرة: ١٨٦)
“আর আমার দাসগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন তুমি বল, আমি তো কাছেই আছি। যখন কোন প্রার্থনাকারী আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দিই।” (সূরা বাক্বারাহ১৮৬ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেছেন,

দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুন্নাত আমল!

দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুন্নাত আমল!


১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করা সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬) ২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা। – (ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫) ৩. কারো হাঁচি আসলে ”আলহামদু লিল্লাহী ‘আলা কুল্লী হা-ল” বলা । – (আত তিরমিযীঃ ২৭৪১) ৪. কোন হাঁচি দাতা ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতে শুনলে- ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪) ৫. আল্লাহ তা’আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে ‘আল্লাহু আকবর’ বলা। স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা । – (বুখারীঃ ৬২১৮) ৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে ‘মা-শা আল্লাহ’ বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮) ৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে

দাড়ী পুরুষের সৌন্দর্য

দাড়ী পুরুষের সৌন্দর্য

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
দাড়ী আল্লাহর একটি মহান ও বড় নে’য়ামত। দাড়ী দ্বারা তিনি পুরুষকে অনুগৃহীত করেছেন এবং নারী জাতি থেকে তাকে বৈশিষ্ট মন্ডিত করেছেন।
দাড়ী শুধুমাত্র মুখমন্ডলের উপর কয়েকটি কেশগুচ্ছই নয়; বরং ইহা ইসলামের বাহ্যিক বড় একটি নিদর্শন। দাড়ী ছেড়ে রেখে এবং তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। আল্লাহ্ বলেন,

ذَلِكَ وَمَنْ يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوبِ

“এই কারণে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শন সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই পরিচয়।” [ সূরা হাজ্জ- ৩২]
দাড়ী মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসৃত নীতির একটি অন্যতম পরিচয়। তিনি দাড়ী ছেড়ে দিতে ও লম্বা করতে আদেশ করেছেন।
কিন্তু

টুপি বা পাগড়ী পড়া বা মাথা ঢাকা কতটুকু জরুরী?

টুপি বা পাগড়ী পড়া বা মাথা ঢাকা কতটুকু জরুরী?


পৃথিবীর প্রায় সকল জাতির মধ্যে মস্তকাবরণ ব্যবহারের নিয়ম আদিকাল থেকে ছিল, আজও আছে এবং আরবদের মধ্যেও এটা ছিল। আল্লাহ বলেন, خُذُوْا زِيْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ ‘তোমরা ছালাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। সেকারণ ছালাতের সময় উত্তম পোষাক সহ টুপী, পাগড়ী প্রভৃতি মস্তকাবরণ ব্যবহার করা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের অভ্যাসগত সুন্নাত ছিল। আরবদের মধ্যে পূর্ব থেকেই এগুলির প্রচলন ছিল, যা ভদ্র পোষাক হিসাবে গণ্য হ’ত। ইসলাম এগুলিকে বাতিল করেনি। বরং

যয়ীফ হাদিস অথচ মানুষ এগুলোই সবচেয়ে বেশী আমল করে!

যয়ীফ হাদিস অথচ মানুষ এগুলোই সবচেয়ে বেশী আমল করে-
১- যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় আউজু বিল্লাহিস সামি’ইল আলিমি মিনাশ সাইতনির রজিম বলে সূরা হাশরের শেষ ৩ আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা দুয়া করবেন ও ঐ দিন তার মৃত্যু হলে শহীদী মৃত্যু হবে। (হাদিস জয়ীফ- জয়ীফ আত তিরমিজি-২৯২২)

২- যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসিন ১বার পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ১০বার কুরআন খতমের নেকী দিবেন। (এর সনদ খুবই দুর্বল- সিলসিলাহ যয়িফাহ ১৩৩৬)

৩- যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ পাঠ করবে,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ