Monday, November 6, 2017

কোন যালিমের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যা করতে হয়

কোন যালিমের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য যা করতে হয়


‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
إِذَا أَتَيْتَ سُلْطَانًا مَهِيْبًا تَخَافُ أَنْ يَسْطُوَ بِكَ فَقُلْ: اللهُ اَكْبَرُ، اللهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيْعًا، اللهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوْذُ بِاللهِ الَّذِيْ لَا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْـمُمْسِكُ السَّمَاوَاتِ أَنْ يَّقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ،مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلَانٍ وَجُنُوْدِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ مِنَ الْـجِنِّ وَالْإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِيْ جَارًا مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَعَزَّ جَارُكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ ـ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ـ.
‘‘যখন তুমি ভয়ঙ্কর কোন রাষ্ট্রপতির সামনে উপস্থিত হও এবং তার যুলুম ও আক্রমণের ভয় পাও তখন উপরোক্ত দো‘আটি বলবে যার অর্থ: আল্লাহ্ তা‘আলা সর্বমহান। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর সকল সৃষ্টি থেকেও অধিক সম্মানী। আমি যা ভয় পাচ্ছি অথবা

কবিরা গুনাহঃ ১৯. কোন ক্ষমতাশীল ব্যক্তির তার অধীনস্থদের উপর যুলুম করা অথবা তাদেরকে ধোঁকা দেয়া

১৯. কোন ক্ষমতাশীল ব্যক্তির তার অধীনস্থদের উপর যুলুম করা অথবা তাদেরকে ধোঁকা দেয়া


কোন ক্ষমতাশীল ব্যক্তির জন্য তার অধীনস্থদের উপর যুলুম করা অথবা তাদেরকে যে কোন ব্যাপারে ধোঁকা দেয়া কখনোই জায়িয নয়। বরং তা কবীরা গুনাহ্গুলোর অন্যতম। কোন ব্যক্তির জাহান্নামে যাওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّمَا السَّبِيْلُ عَلَى الَّذِيْنَ يَظْلِمُوْنَ النَّاسَ وَيَبْغُوْنَ فِيْ الْأَرْضِ بِغَيْرِ الْـحَقِّ، أُوْلَآئِكَ لَـهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ»
‘‘শুধুমাত্র তাদের বিরুদ্ধেই (শাস্তির) ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়। বস্ত্তত: এদের জন্যই রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি’’।(শূরা’ : ৪২)
জা’বির বিন্ ‘আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৮. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা

১৮. আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা


আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা একটি মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ্ তা‘আলা কুর‘আন মাজীদে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীদের নিন্দা করেন এবং তাদেরকে লা’নত ও অভিসম্পাত দেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوْا فِيْ الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوْا أَرْحَامَكُمْ، أُوْلَآئِكَ الَّذِيْنَ لَعَنَهُمُ اللهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ»
‘‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ্ তা‘আলা এদেরকেই করেন অভিশপ্ত, বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন’’। (মুহাম্মাদ্ : ২২-২৩)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৭. স্ত্রীর গুহ্যদ্বার ব্যবহার অথবা মাসিক অবস্থায় তার সাথে সঙ্গম করা

১৭. স্ত্রীর গুহ্যদ্বার ব্যবহার অথবা মাসিক অবস্থায় তার সাথে সঙ্গম করা


১৭. স্ত্রীর গুহ্যদ্বার ব্যবহার অথবা মাসিক অবস্থায় তার সাথে সঙ্গম করা:
কামোত্তেজনা প্রশমনের জন্য স্ত্রীদের মলদ্বার ব্যবহার অথবা মাসিক অবস্থায় তার সাথে সঙ্গম করা আরেকটি মারাত্মক অপরাধ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত কর্মকে ছোট সমকাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

মাতা-পিতার অবাধ্যতার কিছু অপকার

মাতা-পিতার অবাধ্যতার কিছু অপকার


১. মাতা-পিতার অবাধ্য ব্যক্তির রিযিকে সংকট দেখা দেয় এবং তার জীবনে কোন বরকত হয় না।
আবূ হুরাইরাহ্ এবং আনাস (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُّبْسَطَ لَهُ فِيْ رِزْقِهِ، وَأَنْ يُّنْسَأَ لَهُ فِيْ أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ.
‘‘যে ব্যক্তি রিযিকে প্রশস্ততা ও বয়সে বরকত চায় তার উচিৎ সে যেন নিজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে’’।
(বুখারী ২০৬৭, ৫৯৮৫, ৫৯৮৬; মুসলিম ২৫৫৭)
কারোর জন্য নিজ মাতা-পিতার চাইতেও নিকটাত্মীয় আর কে হতে পারে?

মাতা-পিতার অবাধ্যতার কারণসমূহ

মাতা-পিতার অবাধ্যতার কারণসমূহ


সন্তান কখনো এমন মনে করে যে, আমার মাতা-পিতার এ আদেশটি মানার চাইতে অন্য কোন নেক আমল করা অনেক ভালো। যেমন: তার পিতা তাকে বলেছেন: অমুক বস্ত্তটি বাজার থেকে নিয়ে আসো। তখন দেখা যাচ্ছে, তার মন তা করতে চাচ্ছেনা। কারণ, সে মনে করছে, কুর‘আন হিফ্জ অথবা ধর্মীয় বিষয়ের কোন ক্লাসে বসা তার জন্য এর চাইতেও অনেক বেশি সাওয়াবের।
তার এ কথা জানা উচিৎ যে, তার নেক আমলটি তো আর জিহাদ চাইতে উত্তম নয়। অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাতা-পিতার খিদমতকে হিজ্রত ও জিহাদের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন:
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৬. মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া

১৬. মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া


মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া একটি গুরুতর অপরাধ।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
الْكَبَائِرُالإِشْرَاكُ بِاللهِ، وَالْيَمِيْنُ الْغُمُوْسُ، وَعُقُوْقُ الْوَالِدَيْنِ، وَقَتْلُ النَّفْسِ.
‘‘কবীরা গুনাহ্গুলো হচ্ছে, আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা, ইচ্ছাকৃত মিথ্যে কসম খাওয়া, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া এবং অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা’’। (বুখারী ৬৮৭০)
মুগীরা বিন্ শু’বাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৫. আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করা

১৫. আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করা


আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যারোপ করা একটি মারাত্মক অপরাধ। তম্মধ্যে আল্লাহ্ তা‘আলার উপর মিথ্যারোপ করা সর্বোচ্চ অপরাধ। চাই তা জেনে হোক অথবা না জেনে। চাই তা তাঁর নাম, কাম বা গুণাবলীতে হোক অথবা তাঁর শরীয়তে। আল্লাহ্ তা‘আলাকে এমন গুণে গুণান্বিত করা যে গুণ না তিনি নিজে তাঁর জন্য চয়ন করেছেন না তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সম্পর্কে কাউকে সংবাদ দিয়েছেন। বরং তা আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বর্ণনার বিপরীত। এর অবস্থান শির্কের পরপরই। আবার কখনো কখনো তা শির্ক চাইতেও মারাত্মক রূপ ধারণ করে যখন তা জেনে শুনে হয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৪. ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও হজ্জ না করা

১৪. ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও হজ্জ না করা


ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও হজ্জ না করা একটি মারাত্মক অপরাধ।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلِلهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيْلًا، وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَـمِيْنَ»
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলার জন্যই উক্ত ঘরের হজ্জ করা ওদের উপর বাধ্যতামূলক যারা এ ঘরে পৌঁছুতে সক্ষম। যে ব্যক্তি (হজ্জ না করে) আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে কুফরি করলো তার জানা উচিৎ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা সর্ব জগতের প্রতি অমুখাপেক্ষী’’। (আ’লি ইমরান : ৯৭)
’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ১৩. কোন ওযর ছাড়াই রমযানের রোযা না রাখা

১৩. কোন ওযর ছাড়াই রমযানের রোযা না রাখা


শরীয়ত সম্মত কোন অসুবিধে না থাকা সত্ত্বেও রমযানের রোযা না রাখা একটি মারাত্মক অপরাধ।
আবূ উমামাহ্ বা’হিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ১২. ফরয হওয়া সত্ত্বেও যাকাত আদায় না করা

১২. ফরয হওয়া সত্ত্বেও যাকাত আদায় না করা


কারোর উপর যাকাত ফরয হওয়া সত্ত্বেও যাকাত আদায় না করা মারাত্মক অপরাধ। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا يَحْسَبَنَّ الَّذِيْنَ يَبْخَلُوْنَ بِمَآ آتَاهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ هُوَ خَيْرًا لَّـهُمْ، بَلْ هُوَ شَرٌّ لَّـهُمْ، سَيُطَوَّقُوْنَ مَا بَخِلُوْا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلِلهِ مِيْرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ»
‘‘যাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা অনুগ্রহ করে কিছু সম্পদ দিয়েছেন; অথচ তারা উহার কিয়দংশও আল্লাহ্ তা‘আলার রাস্তায় সদকা করতে কার্পণ্য করে তারা যেন এ কথা মনে না করে যে, তাদের এ কৃপণতা তাদের কোন উপকারে আসবে। বরং এ কৃপণতা তাদের জন্য সমূহ অকল্যাণ বয়ে আনবে। তারা যে সম্পদ আল্লাহ্ তা‘আলার রাস্তায় ব্যয় করতে কৃপণতা করেছে তা কিয়ামতের দিন তাদের কণ্ঠাভরণ হবে। একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই ভূমন্ডল ও নভোমন্ডলের স্বত্বাধিকারী এবং তোমরা যা করছো তা আল্লাহ্ তা‘আলা ভালোভাবেই জানেন’’। (আ’লি ইমরান : ১৮০)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ