Tuesday, January 16, 2018

প্রশ্নঃ সূফি তরিকাসমূহ যেমনঃ সায়ারি’য়া, তারিকা, হাকিকা এবং মা’রিফা; এই তরিকাগুলো কি সত্যিই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবাগণ(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) দের শিক্ষা দিয়েছেন?

প্রশ্নঃ সূফি তরিকাসমূহ যেমনঃ সায়ারি’য়া, তারিকা, হাকিকা এবং মা’রিফা; এই তরিকাগুলো কি সত্যিই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবাগণ(রাদিয়াল্লাহু আনহুম) দের শিক্ষা দিয়েছেন?
প্রশংসা আল্লাহর জন্যে,
আমরা অবশ্যই জেনে নিব যে, আল-সুফিয়াহ (সূফিবাদ) শব্দটি দ্বারা ওলের তৈরি পোশাক পরিধান করাকে (আরবি শব্দ ‘সুফ’ মানে ‘উল’) বুঝায় এবং এছাড়া কিছু নয়।

শিয়া-রাফেযী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য- ৬২টি প্রশ্নত্তর

শিয়া-রাফেযী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যা র. এর বক্তব্য- ৬২টিপ্রশ্নের আকারে১. প্রশ্ন: শিয়া-রাফেযীসম্প্রদায়েরব্যাপারেশাইখুলইসলামইবনুতাইমিয়্যার. এরবক্তব্যকী?১. উত্তর: তারা অজ্ঞতা ও যুলুমের দিক বিবেচনায় ভীষণভাবে প্রবৃত্তির পূজারী;নবীগণের পরে প্রথম সারির মুহাজির ও আনসার এবং যাঁরা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণকরেছে (আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট), তাঁদেরমধ্যকার আল্লাহ তা‘আলার উত্তম বন্ধুদের সাথে তারা (রাফেযীরা) শত্রুতা করে; পক্ষান্তরেতারা ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, মুশরিক এবং নুসাইরি (তথাকথিত সিরিয়ার আলাভী সম্প্রদায়), ইসমাঈলিয়্যা(আগাখানী সম্প্রদায়) ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট নাস্তিকদের বিভিন্ন কাফির ও মুনাফিকদেরকেবন্ধুরূপে গ্রহণ করে। [পৃ. ২০, ১ম খণ্ড]।* * *২. প্রশ্ন: তারাকিইয়াহূদীদেরসহযোগিতাকারী ?

লালন ফকির ও গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে

লালন ফকির ও গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে

শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই কবিতা লেখার কাজটিকে প্রীতির চোখেই দেখা হয়। যদিও এই দেখার মধ্যে সর্বদা যে প্রীতিই প্রতিভাত হয় তা নয়, অবজ্ঞা, করুণা ও কৌতুকও মিশ্রিত থাকে। অর্থাৎ কবিরা নিজে যাই ভাবুন, বিদগ্ধ সাহিত্যপ্রেমীরা যাই বলুন- এটা সত্য যে, কবিদের সামাজিক মূল্য বিশেষ আশাপ্রদ নয়, উল্লেখযোগ্যও নয়। নোবেল পুরস্কার পেয়ে কেউ কেই আকস্মিকভাবে ধনাঢ্য ও জগদ্বিখ্যাত হয়ে যান বটে, কিন্তু সে নিতান্তই ব্যতিক্রম। অধিকাংশ কবিই আমৃত্যু এক ধরণের অবহেলার মধ্যেই জীবন যাপন করেন। অবশ্য একালের কবিরা যেহেতু একটু চতুর প্রকৃতির, তাঁরা কবিতার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদিকেও যথোচিত মনোনিবেশ করেন। তাঁরা যুগপৎ শিক্ষিত,

যোগ্য আলেম কে? কার কাছ থেকে ফতওয়া নিতে হবে? ফুটপাথের ফতওয়া নেয়া যাবে কিনা?


যোগ্য আলেম কে? কার কাছ থেকে ফতওয়া নিতে হবে? ফুটপাথের ফতওয়া নেয়া যাবে কিনা?

যারা দ্বীন শেখার প্রচন্ড তাগিদ ও উত্সাহ নিয়ে বিভিন্ন ইমাম, খতিব বা দেশীয় ভাষায় হুজুরদের পেছনে পেছনে ঘুরেছেন তারা হয়ত বুঝে থাকবেন, আমাদের দেশে দ্বীন শেখার সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভাল আলেম নির্বাচন।
কারন এই আলেমদের কথায় কেউ মাজারে সিজদা দিচ্ছে, কেউ বায়তুল মোকাররমে জুতা ছুড়াছুড়ি করছে, কেউ বা পীর সাহেবের নামে মুরগী জবাই করছে, কেউ চিল্লা দিয়ে জান্নাতের সার্টিফিকেট নিচ্ছে, কেউ ক্লিন সেভ করা যায়েজ মনে করছে, কেউ বা মিলাদ পড়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করছে, কেউ বা জিহাদের ডাক না দেওয়া সকল আলেম কে জালেম/কাফের/গোমরাহ মনে করছে, কেউ বা ইসলামের মধ্যে হরতাল-গনতন্ত্র ইত্যাদী আবিস্কার করছে। এ অবস্হায় কোনদিকে যাব বা কার কথা মানব এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া বড় কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে এ ধরনের প্রশ্ন তো থেকেই যায় যে,

যে কোন ‘আলেম, নেতা বা মুরুব্বীর আনুগত্যই “শর্ত সাপেক্ষ”

যে কোন ‘আলেম, নেতা বা মুরুব্বীর আনুগত্যই “শর্ত সাপেক্ষ”

আল্লাহর আদেশে মুসলিমরা তাদের ইমামের কি সাংঘাতিক রকমের আনুগত্যই না করে!! বাইরে থেকে যদি, মুসলিম নয় এমন একজন লোক ১০, ১৫ বা ২০ লক্ষ লোকের একটা জামাত দেখে – যেমনটা মক্কার মসজিদুল হারামে হজ্জ বা তারাবীর সময় দেখা যায় – তবে তার অবাক হবারই কথা। একজন মানুষের command-এ কিভাবে এতগুলো লোক রুকুতে বা সিজদায় যাচ্ছে – বুঝিবা তাদের নিজস্ব কোন সত্তাই নেই! কিন্তু এই আনুগত্য কি unconditional বা নিঃশর্ত ?

মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

ইসলামী শরীয়তের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, ভালো কাজের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং খারাপ ও মন্দ কাজের পরিণতি হতে তাদের হেফাজত করা। মানুষ যাতে কোন খারাপ কাজে লিপ্ত না হয় তার জন্য তাদের সতর্ক ও সংশোধন করা। এ কারণেই মানুষের কাজের হিসাব নেয়া ও তা পর্যালোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ করতে নিষেধ করার মর্যাদা ও গুরুত্ব আল্লাহ তা‘আলার নিকট অধিক।
ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করা সমাজ সংশোধনের চাবিকাঠি ও সামাজিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সফলতার অন্যতম উপকরণ। একটি মুসলিম সমাজে এর প্রয়োজন এত তীব্র যে, বলতে গেলে এরই মাধ্যমে মুসলিমের ঈমান-আক্বীদার সংরক্ষণ হয়। ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজকে সমাজ থেকে প্রতিহত করা না হলে, ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন।
একজন মুসলিম তার স্বীয় মর্যাদা রক্ষা ও বাতিলকে প্রতিহত করতে হলে এর কোন ব্যতিক্রম কখনোই খুঁজে পাবে না। শুধু চুপ করে বসে থাকার মাধ্যমে

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (১ম পর্ব)

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (১ম পর্ব)

ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম
(পরম দয়ালু, করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি)
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি । অন্তরের অনিষ্ট (কুমন্ত্রণা) এবং মন্দ আমল হতে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। যাকে আল্লাহ হিদায়েত দান করেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না, আর যে গোমরাহ হয়ে যায় তাকে কেউ হিদায়েত দিতে পারে না।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো মাবুদ নেই এবং তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
পূর্ব যুগে মানুষের দু:খ-দুর্দশা বিশেষত: মুসলমানদের কষ্ট-মুসিবত, যুদ্ধ-ফেতনা ইত্যাদির কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে তাওহিদ সম্পর্কে জ্ঞানের অপ্রতুলতা, উদাসীনতা ও নানা শিরকি কাজে জড়িয়ে পড়াই ছিল এর মূল কারণ। শিরকমুক্ত তাওহিদের চর্চ-অনুশীলন না থাকার সুযোগটি শয়তান গ্রহণ করেছে । এবং

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (২য় পর্ব)

মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয় (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
মুক্তিপ্রাপ্ত দলের পাথেয়
আকীদা আগে না হুকুমত আগে ?
মক্কা মোকাররমার প্রসিদ্ধ দারুল হাদিসে এক আলোচনায় বিশ্ব বরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ প্রখ্যাত শায়খ মুহাম্মাদ কুতুব অতি গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নটির জবাব দিয়েছিলেন, আমরা এখানে সে উত্তরটি সম্মনীত পাঠক সমীপে উপস্থাপন করছি।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল: বর্তমানে কিছুলোক বলে থাকেন, ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হলে ইসলাম পুনরুজ্জীবিত হত। আবার অন্যেরা বলেন: ইসলাম আবারো তাজা হবে যদি আকীদাকে সহিহ করার মেহনত করা হয় এবং জামাআত সুসংগঠিত করা হয়। এর কোনটা সত্য ?

মাযহাব মানা ফরয নাকি রাসূলের আনুগত্য করা ফরয?

মাযহাব মানা ফরয নাকি রাসূলের আনুগত্য করা
ফরয?
(1) হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং
রাসূলের (সাঃ) আনুগত্য কর। আর তোমাদের
আমলসমুহ বিনষ্ট করো না। (Muhammad: 33)
(2) রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহন কর এবং যা
নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক। (Al-Hashr :
07)
(3) আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর
তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই কৃতকার্য। (An-Noor:
52)

মাজহাব মানা ও না মানা এর সংশয় নিরসন

মাজহাব মানা ও না মানা এর সংশয় নিরসন

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর। দুরুদ ও সালাম নাজিল হোক প্রিয় নবী(সা) এর উপর।

ইসলামের ৪ মহান ইমাম-
ইমাম আবু হানীফা(রহ), ইমাম মালেক ইবন আনাস(রহ),ইমাম শাফেয়ী(রহ) এবং ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল(রহ)
এছাড়াও আরো মুজতাহিদ ইমাম ছিলেন,তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, ইমাম আওযাঈ,ইমাম ইসহাক ইবন রাহ’ওয়া।
বর্তমানে আমাদের মুসলিমদের মধ্যে একটি বড় ব্যাধি হল – মাজহাব মানা ও না মানা নিয়ে ঝগড়া করা।
মাজহাব মানা বলতে বুঝানো হচ্ছে

ভন্ড পীরদেরকে নিয়ে খুবই চমৎকার একটি কবিতা

ভন্ড পীরদেরকে নিয়ে খুবই চমৎকার একটি কবিতা


*ভন্ড পীরদেরকে নিয়ে কবিতা* বিয়ে হল আজ সাতটি বছর, বাচ্ছা আসেনি কোলে।দিন কাটে তাই রহিম মিয়ার, নিদ্রা আহার ভুলে।শ্বাশুড়ী বলল- যাওনা বাবা, পাগলা পীরের কাছে, খুলে বল তারে মনের কথা, ,ইচ্ছে যত আছে। পরের দিন’ই রহীম মিয়া, ছুটল পীরের বাড়ি।সাথে নিয়েছে ফলফলাদি, মিষ্টি রসের হাড়ি। পৌঁছল এসে ঠিক দুপুরে, যেইখানে আছেপীর। দেখল সেথা খানকা ঘিরে, প্রচুর লোকের ভীড়। পীরের হাতে সোনার আংটি, গলায় টাকার মালা। চেয়ারখানা শৌখিন বটে, ম্যালা টাকার ঠেলা . ভাবলোবসে রহীম মিয়া, মুখে দিয়ে তার হাত। পীরে তাকে বাচ্ছা দিবে, রক্ষে হবে জাত। খানিক বাদে ডাক এসেছে,’ রহীম মিয়া’ বলে। সুড়সুড়িয়ে পীরের কাছে, রহীম এল চলে। বলল

ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ উন্মোচন।

❑ ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ
উন্মোচন।
একটু কষ্ট করে পড়ুন এবং পড়া শেষ
হলে ছবিটি সবার সাথে শেয়ার করে এই
ভণ্ডের মুখোশ সবার মাঝে খুলে দিন।
নাম মাহবুব এ খোদা,
সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত।
জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬
বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯
ইংরেজী। জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয়
জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর
গ্রামে। পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার।
মাতা জোবেদা খাতুন । ছয় ভাই দুই বোন।
ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।এক
নজরে দেওয়ানবাগীর
লিখা এবং বলা কিছু আকিদা ও

ফিরকায়ে নাযিয়া এর পরিচয়

ফিরকায়ে নাযিয়া এর পরিচয়

অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন যে, নিশ্চয়ই আমার উম্মতের উপরে তেমন অবস্থা আসবে, যেমন এসেছিল বনু ইস্রাঈলের উপরে এক জোড়া জুতার পরস্পরের সমান হওয়ার ন্যায়। এমনকি তাদের মধ্যে যদি এমন কেউ থাকে, যে তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে যেনা করেছে, তাহ’লে আমার উম্মতের মধ্যে তেমন লোকও পাওয়া যাবে যে এমন কাজ করবে। আর বনু ইস্রাঈল ৭২ ফের্কায় বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। সবাই জাহান্নামে যাবে, একটি দল ব্যতীত। তারা বললেন, সেটি কোন দল হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, যারা আমি ও আমার ছাহাবীগণ যার উপরে আছি, তার উপরে টিকে থাকবে’। – অতঃপর

দ্বীন কায়েম বলতে কী বুঝায় ?

দ্বীন কায়েম বলতে কী বুঝায় ?
Deen Kayem
দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে আল্লাহ যে আয়াত
অবতীর্ণ করেছেন তা হল : তিনি তোমাদের
জন্যে নির্ধারণ করেছেন দ্বীন যার নির্দেশ
দিয়েছিলেন তিনি নূহকে আর যা আমি ওহী করেছিলাম
তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা
ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা এই দ্বীনকে
কায়েম কর এবং ওতে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করো না। তুমি

দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ২)

দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ২)

undefinedপ্রশ্নঃ (১১) যেই শরীয়ত (দ্বীন) অনুযায়ী আল্লাহর এবাদত করতে বলা হয়েছে, তা কোনটি?
উত্তরঃ সেটি হচ্ছে, দ্বীনে হানীফ তথা মিল্লাতে ইবরাহীম। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الأِسْلاَمُ
“আল্লাহর নিকট ইসলাম হচ্ছে একমাত্র মনোনীত দ্বীন”। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৯) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا
“তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য কোন দ্বীন তালাশ করছে? অথচ আসমান-যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তারই অনুগত”। (সূরা আল-ইমরানঃ ৮৩) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ১)

দুই শতাধিক প্রশ্নোত্তরে নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ (পর্ব ১)
উত্তরঃ বান্দার উপর সর্বপ্রথম ওয়াজিব হচ্ছে, তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, তাদের থেকে যে বিষয়ের অঙ্গীকার নিয়েছেন, যে বিষয় দিয়ে রাসূল প্রেরণ করেছেন এবং কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। এ বিষয়টির জন্যই আল্লাহ্ তাআলা দুনিয়া-আখেরাত, জান্নাত-জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ের জন্যেই কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে, দাড়িপাল্লা স্থাপন করা হবে, আমলনামা প্রদান করা হবে। এ বিষয়টির কারণেই কেউ সৌভাগ্যবান হবে আবার কেউ হবে হতভাগা। এ অনুযায়ী কিয়ামতের দিন নূর বণ্টিত হবে। সে দিন আল্লাহ যাকে নূর দান করবেন না, তার কোন নূর থাকবে না।
প্রশ্নঃ (২) সুতরাং ঐ বিষয়টি কি, যার জন্য আল্লাহ্ তাআ’লা মানুষ সৃষ্টি করেছেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা মানুষ ও জিন জাতিকে পৃথিবীতে তাঁর একত্ববাদ ও এবাদত প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
প্রশ্নঃ (৩) আব্দ অর্থ কি?
উত্তরঃ আব্দ দ্বারা যদি অধিনস্ত উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আসমান-যমীনের সকল জ্ঞানবান ও জ্ঞানহীন, তাজা-শুকনা, চলমান-স্থির, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কাফের-মুমিন, সৎ-অসৎ সব কিছুই উদ্দেশ্য। সবই আল্লাহর সৃষ্টি, আল্লাহ কর্তৃক প্রতিপালিত, তাঁর অধিনস্ত, তাঁর পরিচালনাধীন। প্রত্যেক সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট একটি গন্তব্যস্থল রয়েছে। সেখানে গিয়ে তার যাত্রা শেষ হবে। প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট একটি সময়ের উদ্দেশ্যে চলমান। তার জন্যে নির্ধারিত সীমা ছেড়ে একটি সরিষার দানা পরিমাণ স্থানও অতিক্রম করতে পারবে না। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
আর আব্দ দ্বারা যদি এবাদতকারী, অনুগত ও প্রিয় উদ্দেশ্য হয় তাহলে আব্দ অর্থ হবে আল্লাহর সম্মানিত মুমিন ব্যক্তিগণ। তারা হবেন আল্লাহর পরহেজগার বন্ধু। তাদের কোন ভয় নেই। আর তারা চিন্তিতও হবে না।
প্রশ্নঃ (৪) এবাদত কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলা বান্দার যেসমস্ত প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কথা ও কাজকে ভালবাসেন ও পছন্দ করেন এবং যে সমস্ত বিষয় আল্লাহর ভালবাসা ও পছন্দের বিপরীত ও পরিপন্থী, তা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার নামই এবাদত।
প্রশ্নঃ (৫) বান্দার আমল কখন এবাদতে পরিণত হয়?
উত্তরঃ আমলের মধ্যে যখন দু’টি বস্তু পরিপূর্ণ অবস্থায় পাওয়া যাবে তখন তা এবাদতে পরিণত হবে। (১) আল্লাহকে পরিপূর্ণরূপে ভালবাসা এবং (২) আল্লাহর সামনে পরিপূর্ণভাবে বিনয় ও আনুগত্য প্রকাশ করা। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
প্রশ্নঃ (৬) বান্দা যে আল্লাহ্কে ভালবাসে, তার আলামত কী?
উত্তরঃ বান্দা কর্তৃক আল্লাহকে ভালবাসার প্রমাণ হল, সে আল্লাহর প্রিয় বস্তুকে ভালবাসবে এবং আল্লাহ যা অপছন্দ করেন, সে তা অপছন্দ করবে। আল্লাহর আদেশ মেনে চলবে এবং তাঁর নিষেধ থেকে দূরে থাকবে। আল্লাহর বন্ধুদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর শত্রু মনে করবে। এ জন্যই আল্লাহর জন্য কাউকে ভালবাসা এবং আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করা ঈমানের সবচেয়ে মজবুত হাতল।
প্রশ্নঃ (৭) বান্দা কিভাবে আল্লাহর প্রিয় ও সন্তুষজনক কাজগুলো জানতে পারবে?
উত্তরঃ আল্লাহ যা পছন্দ করেন ও ভালবাসেন, তা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন আদেশের মাধ্যমে এবং যা অপছন্দ করেন তা জানিয়ে দিয়েছেন নিষেধের মাধ্যমে। সুতরাং রাসূল প্রেরণ এবং আসমানী কিতাব নাযিলের মাধ্যমে বান্দাগণ আল্লাহর পছন্দনীয় আমলসমূহ জানতে পেরেছে। এর মাধ্যমেই তাদের নিকট আল্লাহর অকাট্য দলীল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তাঁর পরিপূর্ণ হিকমত প্রকাশিত হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
প্রশ্নঃ (৮) ইবাদতের শর্ত কয়টি?
উত্তরঃ এবাদতের শর্ত হচ্ছে তিনটি। (১) ‘সিদকুল আযীমাহ’ তথা এবাদত করার সুদৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করা। আর এটি হচ্ছে এবাদতের অস্তিত্বের শর্ত। (২) নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া। (৩) আল্লাহ তা’আলা যে শরীয়ত (দ্বীন) অনুযায়ী এবাদত করতে বলেছেন, এবাদতটি সেই শরীয়ত অনুযায়ী হওয়া। শেষ দু’টি হচ্ছে এবাদত কবুল হওয়ার শর্ত।
প্রশ্নঃ (৯) ‘সিদকুল আযীমাহ’ তথা সুদৃঢ় ইচ্ছা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ তা হচ্ছে এবাদত করতে গিয়ে সম্পূর্ণরূপে অলসতা পরিহার করা এবং কথা ও কাজে পরিপূর্ণ মিল থাকা। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
উত্তরঃ নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়ার অর্থ হচ্ছে বান্দা তার প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য সকল কথা ও কাজের মাধ্যমে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করবে। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
x
মূল: হাফেজ বিন আহমদ আল হাকামী রহ.
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল মাদানী
undefinedপ্রশ্নঃ (১) বান্দার উপর সর্বপ্রথম ওয়াজিব কী?
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لاَعِبِينَ * مَا خَلَقْنَاهُمَا إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ
“আমি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবতী সবকিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি আকাশ ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝে না”। (সূরা আদ্ দুখানঃ ৩৮-৩৯) আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا بَاطِلاً ذَلِكَ ظَنُّ الَّذِينَ كَفَرُوا
“আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে তা অযথা সৃষ্টি করি নি। এটা কাফেরদের ধারণা মাত্র”। (সূরা সোয়াদাঃ ২৭) আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
وَخَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِالْحَقِّ وَلِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ وَهُمْ لاَ يُظْلَمُونَ
“আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী যথাযথভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জনের ফল পায়। তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না”। (সূরা জাসিয়াঃ ২২) আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেনঃ
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالإِنسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُونِ
“আর আমি জিন এবং মানব  কেবল আমার দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেছি”। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)
ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ
“আর এটি হল মহা পরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী আল্লাহর নির্ধারণ”। (সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮)
وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
“আর যারা ঈমানদার, তারা আল্লাহ্কে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে”। (সূরা বাকারাঃ ১৬৫) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
إِنَّ الَّذِينَ هُمْ مِنْ خَشْيَةِ رَبِّهِمْ مُشْفِقُونَ
“নিশ্চয়ই মুমিনগণ তাদের পালনকর্তার ভয়ে সদা সন্ত্রস্ত থাকে”। (সূরা মুমিনূনঃ ৫৭) আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ
إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
“তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত”। (সূরা আম্বীয়াঃ ৯০)
رُسُلاً مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلاَ يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى اللَّهِ حُجَّةٌ بَعْدَ الرُّسُلِ
“সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শনকারী রাসূলগণকে প্রেরণ করেছি। যাতে রাসূলগণকে প্রেরণের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন সুযোগ না থাকে”। (সূরা নিসাঃ ১৬৫) আল্লাহ তাআ’লা আরো বলেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ