Sunday, November 12, 2017

কবীরা গুনাহঃ ১১৮. শরীয়তের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছাড়া কুর‘আনের কোন আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়া অথবা কুর‘আনের কোন বিষয় নিয়ে অমূলক ঝগড়া-ফাসাদ করা।

১১৮. শরীয়তের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছাড়া কুর‘আনের কোন আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়া অথবা কুর‘আনের কোন বিষয় নিয়ে অমূলক ঝগড়া-ফাসাদ করা


শরীয়তের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ছাড়া কুর‘আনের কোন আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়া অথবা কুর‘আনের কোন বিষয় নিয়ে অমূলক ঝগড়া-ফাসাদ করা কবীরা গুনাহ্ ও হারাম। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ، وَالإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْـحَقِّ، وَأَنْ تُشْرِكُوْا بِاللهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا، وَأَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ».
‘‘(হে মুহাম্মাদ) তুমি ঘোষণা করে দাও: নিশ্চয়ই আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা; যে ব্যাপারে তিনি কোন দলীল-প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহ্ তা‘আলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কিছু বলা’’। (আ’রাফ্ : ৩৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১১৭. শরীয়ত সম্মত ভালো কোন উদ্দেশ্য ছাড়া যালিমদের নিকট যাওয়া, তাদেরকে সম্মান করা ও ভালোবাসা এমনকি যুলুমের কাজে তাদের সহযোগিতা করা

১১৭. শরীয়ত সম্মত ভালো কোন উদ্দেশ্য ছাড়া যালিমদের নিকট যাওয়া, তাদেরকে সম্মান করা ও ভালোবাসা এমনকি যুলুমের কাজে তাদের সহযোগিতা করা


শরীয়ত সম্মত ভালো কোন উদ্দেশ্য ছাড়া যালিমদের নিকট যাওয়া, তাদেরকে সম্মান করা ও ভালোবাসা এমনকি যুলুমের কাজে তাদের সহযোগিতা করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্। 
কা’ব বিন্ ’উজ্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

১১৬. কাউকে খারাপ কোন নামে ডাকা

১১৬. কাউকে খারাপ কোন নামে ডাকা


কাউকে খারাপ কোন নামে ডাকা আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا تَلْمِزُوْا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوْا بِالْأَلْقَابِ، بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْإِيْمَانِ، وَمَنْ لَمْ يَتُبْ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ».
‘‘তোমরা অন্য কোন মুসলিম ভাইকে কোন কিছুর অপবাদ দিও না এবং কোন খারাপ নামেও ডেকো না। কারণ, কারোর জন্য ঈমান আনার পর ফাসিকী উপাধিটি খুবই নিকৃষ্ট। যারা উক্ত অপকর্ম থেকে তাওবা করবে না তারাই তো সত্যিকারার্থে যালিম’’। (’হুজুরাত : ১১)
কোন মানুষকে এমন কোন উপাধিতে ভূষিত করা যা শুনলে

অবাক হবেন এই দো'আ পাঠ এ সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা ।। শাইখ মতিউর রহমান মাদানী

অবাক হবেন এই দো'আ পাঠ এ সকল বিপদাপদ থেকে রক্ষা ।। শাইখ মতিউর রহমান মাদানী

কবীরা গুনাহঃ ১১৪. কোন স্বাধীন পুরুষকে বিক্রি করে তার মূল্য খাওয়া

১১৪. কোন স্বাধীন পুরুষকে বিক্রি করে তার মূল্য খাওয়া


কোন স্বাধীন পুরুষকে বিক্রি করে তার মূল্য খাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
قَالَ اللهُ تَعَالَى : ثَلَاثَةٌ أَنَا خَصْمُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ : رَجُلٌ أَعْطَى بِيْ ثُمَّ غَدَرَ، وَرَجُلٌ بَاعَ حُرًّا فَأَكَلَ ثَمَنَهُ، وَرَجُلٌ اسْتَأْجَرَ أَجِيْرًا فَاسْتَوْفَى مِنْهُ وَلَمْ يُعْطِهِ أَجْرَهُ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন: কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবো। তাদের একজন হচ্ছে, যে ব্যক্তি আমার নামে কসম খেয়ে কারোর সাথে কোন অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করেছে। দ্বিতীয়জন হচ্ছে, যে ব্যক্তি কোন স্বাধীন পুরুষকে বিক্রি করে বিক্রিলব্ধ পয়সা খেয়েছে। আর তৃতীয়জন হচ্ছে, যে ব্যক্তি কোন পুরুষকে মজুর হিসেবে খাটিয়ে তার মজুরি দেয়নি’’। (বুখারী ২২২৭, ২২৭০)
বর্তমান যুগে ডাকাত কিংবা

কবীরা গুনাহঃ ১১৩. শরয়ী কোন কারণ ছাড়া কোন মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করা

১১৩. শরয়ী কোন কারণ ছাড়া কোন মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করা


শরয়ী কোন কারণ ছাড়া কোন মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَحِلُّ لِـمُسْلِمٍ أَنْ يَهْجُرَ أَخَاهُ فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَمَنْ هَجَرَ فَوْقَ ثَلَاثٍ فَمَاتَ دَخَلَ النَّارَ.
‘‘কোন মুসলিমের জন্য জায়িয নয় যে, সে তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক ছিন্ন করবে। কেউ তা করলে সে মৃত্যুর পর জাহান্নামে প্রবেশ করবে’’।
 (আবূ দাউদ ৪৯১৪ স’হীহুল জা’মি’, হাদীস ৭৬৩৫)
এক বছর কারোর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা তো তাকে হত্যা করার ন্যায়।
আবূ খিরাশ্ সুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

মহিলারা এত বেশি জাহান্নামী কেন? | গুরুত্বপুর্ন নসিহত || শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ

মহিলারা এত বেশি জাহান্নামী কেন? | গুরুত্বপুর্ন নসিহত ||

মুসা (আ:) কে আল্লাহর দেওয়া স্পেশাল জিকির- যে জিকির মীযানের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে


মুসা (আ:) কে আল্লাহর দেওয়া স্পেশাল জিকির- যে জিকির মীযানের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী হবে

কবীরা গুনাহঃ ১১২. দূর্গন্ধযুক্ত কোন বস্ত্ত যেমন: কাঁচা পিয়াজ, রসুন, বিড়ি, সিগারেট, হুঁকো ইত্যাদি খেয়ে বা পান করে সরাসরি মসজিদে চলে আসা।

১১২. দূর্গন্ধযুক্ত কোন বস্ত্ত যেমন: কাঁচা পিয়াজ, রসুন, বিড়ি, সিগারেট, হুঁকো ইত্যাদি খেয়ে বা পান করে সরাসরি মসজিদে চলে আসা


দূর্গন্ধযুক্ত কোন বস্ত্ত যেমন: কাঁচা পিয়াজ, রসুন, বিড়ি, সিগারেট, হুঁকো ইত্যাদি খেয়ে বা পান করে সরাসরি মসজিদে চলে আসা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম কাজ।
’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১১১. নামাযের কোন রুকন ইমামের আগে আদায় করা

১১১. নামাযের কোন রুকন ইমামের আগে আদায় করা


নামাযের কোন রুকন ইমামের আগে আদায় করা আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
أَمَا يَخْشَى الَّذِيْ يَرْفَعُ رَأْسَهُ قَبْلَ الإِمَامِ أَنْ يُحَوِّلَ اللهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ أَوْ يُحَوِّلَ صُوْرَتَهُ صُوْرَةَ حِمَارٍ.
‘‘ওই ব্যক্তি কি ভয় পাচ্ছে না যে ইমাম সাহেবের পূর্বেই রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে নেয় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তার মাথাকে গাধার মাথায় রূপান্তরিত করবেন অথবা তার গঠনকে গাধার গঠনে পরিণত করবেন’’।
(বুখারী ৬৯১; মুসলিম ৪২৭; আবূ দাউদ ৬২৩)
তিনি আরো বলেন:

কবীরা গুনাহ্ঃ ১১০. নামাযের মধ্যে ধীরস্থিরভাবে রুকূ’, সিজ্দাহ্ বা অন্যান্য রুকন আদায় না করা

১১০. নামাযের মধ্যে ধীরস্থিরভাবে রুকূ’, সিজ্দাহ্ বা অন্যান্য রুকন আদায় না করা


নামাযের মধ্যে ধীরস্থিরভাবে রুকূ’, সিজ্দাহ্ বা অন্যান্য রুকন আদায় না করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ আব্দুল্লাহ্ আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায শেষে কিছু সংখ্যক সাহাবাদেরকে নিয়ে মসজিদেই বসেছিলেন এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি মসজিদে ঢুকে নামায পড়তে শুরু করলো। সে রুকূ ও সিজ্দাহ্ ঠিকভাবে করছিলো না। তখন তিনি সাহাবাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০৯. বিনা ওযরে ওয়াক্ত পার করে নামায পড়া

১০৯. বিনা ওযরে ওয়াক্ত পার করে নামায পড়া


বিনা ওযরে ওয়াক্ত পার করে নামায পড়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوْا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوْا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا، إِلاَّ مَنْ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَأُوْلَآئِكَ يَدْخُلُوْنَ الْـجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُوْنَ شَيْئًا».
‘‘নবী ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের পর আসলো এমন এক অপদার্থ বংশধর যারা নামায বিনষ্ট করলো এবং প্রবৃত্তির পূজারী হলো। সুতরাং তারা ‘‘গাই’’ নামক জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। তবে

কবীরা গুনাহঃ ১০৮. কোন মহিলার নিজের উপর তার স্বামীর অবদান অস্বীকার করা

১০৮. কোন মহিলার নিজের উপর তার স্বামীর অবদান অস্বীকার করা


কোন মহিলার নিজের উপর তার স্বামীর অবদান অস্বীকার করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০৭. কারোর কবরের উপর হাঁটা বা বসা

১০৭. কারোর কবরের উপর হাঁটা বা বসা


কারোর কবরের উপর হাঁটা বা বসা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَأَنْ يَّجْلِسَ أَحَدُكُمْ عَلَى جَمْرَةٍ فَتُحْرِقَ ثِيَابَهُ فَتَخْلُصَ إِلَى جِلْدِهِ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَّجْلِسَ عَلَى قَبْرٍ.
‘‘তোমাদের কেউ জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর বসলে তার কাপড় পুড়ে যদি তা চামড়া পর্যন্ত পৌঁছে যায় তাও তার জন্য অনেক ভালো কারোর কবরের উপর বসার চাইতে’’।
 (মুসলিম ৯৭১; ইব্নু মাজাহ্ ১৫৮৮)
’উক্ববাহ্ বিন্ ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০৬. কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা

১০৬. কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা


কারোর একাধিক স্ত্রী থাকলে তাদের মধ্যে সমতা বজায় না রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ، فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا ؛ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ.
‘‘যার দু’টি স্ত্রী রয়েছে এতদ্সত্ত্বেও সে এক জনের প্রতি অধিক ঝুঁকে পড়লো তা হলে সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে উঠবে যে, তার এক পার্শ্ব নিম্নগামী থাকবে’’।
 (আবূ দাউদ ২১৩৩)
সুতরাং প্রত্যেক স্ত্রীর মাঝে খাদ্য-পানীয়, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং রাত্রি যাপনের ব্যাপারে সমতা বজায় রাখতে হবে। তবে মনের টান অন্য জিনিস। তাতে সবার মধ্যে সমতা বজায় রাখা কখনোই সম্ভবপর নয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০৫. অসিয়ত বা দানের ক্ষেত্রে সন্তানদের কাউকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যের ক্ষতি করা

১০৫. অসিয়ত বা দানের ক্ষেত্রে সন্তানদের কাউকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যের ক্ষতি করা


অসিয়ত বা দানের ক্ষেত্রে সন্তানদের কাউকে প্রাধান্য দিয়ে অন্যের ক্ষতি করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
মূলতঃ কারোর নিজ কোন সন্তানের জন্য কোন কিছুর অসিয়ত করাই না জায়িয। কারণ, সে তো ওয়ারিশ। আর ওয়ারিশের জন্য অসিয়ত করা তো কোন প্রকারেই জায়িয নয়। সুতরাং কোন সন্তানের জন্য কোন কিছুর অসিয়ত করা মানেই অন্য সন্তানের ক্ষতি করা।
আবূ উমামাহ্ বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০৪. চুল বা দাঁড়িতে কালো রং লাগানো

১০৪. চুল বা দাঁড়িতে কালো রং লাগানো


চুল বা দাঁড়িতে কালো রং লাগানো আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
يَكُوْنُ قَوْمٌ يَخْضِبُوْنَ فِيْ آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ ؛ كَحَوَاصِلِ الْـحَمَامِ، لَا يَرِيْحُوْنَ رَائِحَةَ الْـجَنَّةِ.
‘‘শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা (চুল বা দাঁড়িতে) কালো রং লাগাবে। যা দেখতে কবুতরের পেটের ন্যায়। তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না’’। (আবূ দাউদ ৪২১২; নাসায়ী ৫০৭৭)
কারোর মাথার চুল বা দাঁড়ি সাদা হয়ে গেলে তাতে কালো ছাড়া যে কোন কালার লাগানো সুন্নাত।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
 إِنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُوْنَ ؛ فَخَالِفُوْهُمْ.
‘‘ইহুদী ও খ্রিস্টানরা (মাথার চুল বা দাঁড়ি) কালার করে না। সুতরাং তোমরা তাদের বিপরীত করবে তথা কালার করবে’’। (আবূ দাউদ ৪২০৩)
জাবির বিন্ আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
أُتِيَ بِأَبِيْ قُحَافَةَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ، وَرَأْسُهُ وَلِحْيَتُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ : غَيِّرُوْا هَذَا بِشَيْءٍ، وَاجْتَنِبُوْا السَّوَادَ.
‘‘মক্কা বিজয়ের দিন (আবূ বকর (রাঃ) এর পিতা) আবূ ক্বুহাফাহ্কে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে) উপস্থিত করা হলো। তখন তার মাথার চুল ও দাঁড়ি সাদা ফল ও ফুল বিশিষ্ট গাছের ন্যায় দেখাচ্ছিলো। তা দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে বললেন: তোমরা কোন কিছু দিয়ে এর কালার পরিবর্তন করে দাও। তবে কালো কালার কিন্তু লাগাবে না’’।
 (আবূ দাউদ ৪২০৪; নাসায়ী ৫০৭৮)
তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণত মেহেদি, জাফরান ও অর্স (লাল গোলাপের রস) দিয়ে কালার করতেন।
আবূ রিম্সাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি ও আমার পিতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলে তিনি আমার পিতাকে বলেন: এ ছেলেটি কে? তখন আমার পিতা বললেন: সে আমারই ছেলে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি তার সাথে অপরাধমূলক আচরণ করো না। আবূ রিম্সাহ্ বলেন: তখন তাঁর দাঁড়ি মেহেদি লাগানো ছিলো।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
كَانَ النَّبِيُّ يَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ، وَيُصَفِّرُ لِحْيَتَهُ بِالْوَرْسِ وَالزَّعْفَرَانِ.
‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চামড়ার জুতো পরিধান করতেন এবং অর্স তথা লাল গোলাপের রস ও জাফরান দিয়ে দাঁড়িটুকু হলুদ করে নিতেন’’। (আবূ দাউদ ৪২১০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:
إِنَّ أَحْسَنَ مَا غُيِّرَ بِهِ هَذَا الشَّيْبُ : الْحِنَّاءُ وَالْكَتَمُ.
‘‘নিশ্চয়ই সর্বশ্রেষ্ঠ বস্ত্ত যা দিয়ে বার্ধক্যের সাধা বর্ণকে পরিবর্তন করা যায় তা হচ্ছে মেহেদি ও কাতাম; যার ফল মরিচের ন্যায়’’। (আবূ দাউদ ৪২০৫; নাসায়ী ৫০৮০)

কবীরা গুনাহঃ ১০৩. গীবত বা পরদোষ চর্চা

১০৩. গীবত বা পরদোষ চর্চা


গীবত বা পরদোষ চর্চা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম কাজ। গীবত বলতে অন্যের অনুপস্থিতিতে কারোর নিকট তার কোন দোষ চর্চাকে বুঝানো হয়। যা শুনলে সে রাগান্বিত অথবা অসন্তুষ্ট হবে। অন্ততপক্ষে তার মনে সামান্যটুকু হলেও কষ্ট আসবে।
আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর পবিত্র কুর‘আন মাজীদে মু’মিনদেরকে এমন অপতৎপরতা চালাতে কঠিনভাবে নিষেধ করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি এর প্রতি মু’মিনদের কঠিন ঘৃণা জন্মানোর জন্যে এর এক বিশ্রী দৃষ্টান্তও উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ১০১. একেবারে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারোর কাছে কিছু ভিক্ষা চাওয়া

১০১. একেবারে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারোর কাছে কিছু ভিক্ষা চাওয়া


একেবারে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারোর কাছে কোন কিছু ভিক্ষা চাওয়া আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে ভিক্ষাবৃত্তি করে সে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলার সামনে চেহারা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উঠবে।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৯. কারোর জন্য অন্যের কাছে কোন ব্যাপারে সুপারিশ করে তার থেকে কোন উপঢৌকন গ্রহণ করা।

৯৯. কারোর জন্য অন্যের কাছে কোন ব্যাপারে সুপারিশ করে তার থেকে কোন উপঢৌকন গ্রহণ করা


কারোর জন্য অন্যের কাছে কোন ব্যাপারে সুপারিশ করে তার থেকে কোন উপঢৌকন গ্রহণ করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ شَفَعَ لِأَخِيْهِ بِشَفَاعَةٍ فَأَهْدَي لَهُ هَدِيَّةً عَلَيْهَا، فَقَبِلَهَا مِنْهُ، فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيْمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا.
‘‘কেউ নিজ কোন মুসলিম ভাইয়ের জন্য অন্যের নিকট কোন ব্যাপারে সুপারিশ করলে সে যদি তাকে এ জন্য কোন উপঢৌকন দেয় এবং উক্ত ব্যক্তি তা গ্রহণ করে তা হলে সে যেন সুদের এক বিরাট দরোজায় ঢুকে পড়লো’’। (আবূ দাউদ ৩৫৪১)
বর্তমান যুগে তো এমন অনেক লোকই পাওয়া যায় যার আয়ের অধিকাংশই এ জাতীয়। তার অবশ্যই এ কথা জানা দরকার যে,

কবীরা গুনাহঃ ৯৮. যে কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলার রাস্তায় বের হওয়া অথবা বেগানা কোন পুরুষের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা

৯৮. যে কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলার রাস্তায় বের হওয়া অথবা বেগানা কোন পুরুষের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা


যে কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলার রাস্তায় বের হওয়া অথবা বেগানা কোন পুরুষের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম। চাই সে পুরুষ কাজের লোক হোক অথবা গাড়ি চালক। চাই সে পণ্য বিক্রেতা হোক অথবা দারোয়ান। চাই সে যুবক হোক অথবা বুড়ো। চাই সে বের হওয়া কোন ইবাদাত পালনের জন্য হোক অথবা এমনতিই ঘোরা-ফেরার জন্য।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৭. ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা

৯৭. ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা


ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাস করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
«وَيَسْأَلُوْنَكَ عَنِ الْـمَحِيْضِ، قُلْ هُوَ أَذًى، فَاعْتَزِلُوْا النِّسَاءَ فِي الْـمَحِيْضِ، وَلَا تَقْرَبُوْهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ»
‘‘তারা আপনাকে নারীদের ঋতুস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন: তা হচ্ছে অশুচিতা। অতএব তোমরা ঋতুকালে স্ত্রীদের নিকট থেকে দূরে থাকো। এমনকি তারা সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তীও হবে না’’। (বাকারাহ : ২২২)
আবূ হুরাইরাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৬. বিদ্‘আতী কিংবা প্রবৃত্তিপূজারীদের সাথে উঠা-বসা

৯৬. বিদ্‘আতী কিংবা প্রবৃত্তিপূজারীদের সাথে উঠা-বসা


বিদ্‘আতী কিংবা প্রবৃত্তিপূজারীদের সাথে উঠ-বসা করা হারাম। কারণ, তারা ইসলামের ব্যাপারে একজন খাঁটি মুসলিমের সামনে হরেক রকমের সংশয়-সন্দেহ উপস্থাপন করে তাঁর মূল পুঁজি তথা বিশুদ্ধ আক্বীদা-বিশ্বাসকেই নষ্ট করে দেয়।
আবূ সা’ঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تُصَاحِبْ إِلاَّ مُؤْمِنًا، وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِيٌّ.
‘‘খাঁটি মু’মিনই যেন তোমার একমাত্র সঙ্গী হয় এবং একমাত্র পরহেযগার ব্যক্তিই যেন তোমার খাবার খায়’’। (আবূ দাউদ ৪৮৩২)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৫. আল্লাহ্ তা‘আলার দয়া কিংবা অনুগ্রহ অস্বীকার তথা নিজ সম্পদ থেকে গরীবের অধিকার আদায়ে অনীহা প্রকাশ করা।

৯৫. আল্লাহ্ তা‘আলার দয়া কিংবা অনুগ্রহ অস্বীকার তথা নিজ সম্পদ থেকে গরীবের অধিকার আদায়ে অনীহা প্রকাশ করা


আল্লাহ্ তা‘আলার দয়া কিংবা অনুগ্রহ অস্বীকার তথা নিজ সম্পদ থেকে গরীবের অধিকার আদায়ে অনীহা প্রকাশ করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বনী ইস্রাঈলের কয়েকজন ব্যক্তিকে অঢেল সম্পদ দিয়ে পুনরায় তাদেরকে ফিরিশ্তার মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। তাদের অধিকাংশই তা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার একান্ত অনুগ্রহ নয় বলে তাঁর নিয়ামত অস্বীকার করত: তা তাদের বাপ-দাদার সম্পদ বলে দাবি করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেন। আর যারা তা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার অনুগ্রহ বলে স্বীকার করলো তাদের উপর তিনি সন্তুষ্ট হন এবং তাদের সম্পদ আরো বাড়িয়ে দেন।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৪. ধন-সম্পদের অপচয়

৯৪. ধন-সম্পদের অপচয়


ধন-সম্পদ অপচয় করাও আরেকটি হারাম কাজ এবং কবীরা গুনাহ্। যদিও তা নিজেরই হোক না কেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَكُلُوْا وَاشْرَبُوْا وَلَا تُسْرِفُوْا، إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْـمُسْرِفِيْنَ»
‘‘তোমরা খাও এবং পান করো। কিন্তু অপচয় করো না। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা অপচয়কারীদেরকে ভালোবাসেন না’’। (আ’রাফ : ৩১)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৯৩. গান-বাদ্য কিংবা মিউজিক শুনা

৯৩. গান-বাদ্য কিংবা মিউজিক শুনা


গান-বাদ্য কিংবা মিউজিক শুনাও হারাম কাজ এবং কবীরা গুনাহ্।
আবূ মা’লিক আশ্‘আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَيَكُوْنَنَّ مِنْ أُمَّتِيْ أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّوْنَ الْـحِرَ وَالْـحَرِيْرَ وَالْـخَمْرَ وَالْـمَعَازِفَ.
‘‘আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু সম্প্রদায় অবশ্যই জন্ম নিবে যারা ব্যভিচার, সিল্কের কাপড়, মদ্য পান ও বাদ্যকে হালাল মনে করবে’’। (বুখারী ৫৫৯০)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্’ঊদ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি আল্লাহ্ তা‘আলার কসম খেয়ে বলেন: আল্লাহ্’র বাণী:

প্রশ্ন : বিপদগ্রস্তদের জন্য কি কোনো আমল আছে? যদি বিপদের আশংকা থাকলে তাহলে কি দুয়া বা আমল করা যায় ? নিজের কোনো বিপদের আশংকা করলে বা বিপদগ্রস্ত হলে পিরিয়ড অবস্থায় কি কি আমাল বা দুয়া করা যাবে।

প্রশ্ন : বিপদগ্রস্তদের জন্য কি কোনো আমল আছে? যদি বিপদের আশংকা থাকলে তাহলে কি দুয়া বা আমল করা যায় ? নিজের কোনো বিপদের আশংকা করলে বা বিপদগ্রস্ত হলে পিরিয়ড অবস্থায় কি কি আমাল বা দুয়া করা যাবে।
উত্তর : বিপদ-মসিবতে পাঠ করার জন্য কতিপয় দুয়া এবং এর জন্য আমল: 
১) উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন। 

কবীরা গুনাহঃ ৯২. কোন মাহরাম পুরুষের সঙ্গ ছাড়া যে কোন মহিলার দূর-দূরান্ত সফর করা

৯২. কোন মাহরাম পুরুষের সঙ্গ ছাড়া যে কোন মহিলার দূর-দূরান্ত সফর করা


কোন মাহরাম তথা যে পুরুষের সাথে মহিলার দেখা দেয়া জায়িয এমন কোন পুরুষের সঙ্গ ছাড়া যে কোন মহিলার দূর-দূরান্ত সফর করা হারাম। চাই তা হজ্জ, ’উমরাহ্ তথা ধর্মীয় যে কোন কাজের জন্যই হোক অথবা শুধু বেড়ানোর জন্য। চাই তা গাড়িতেই হোক অথবা প্লেনে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تُسَافِرُ مَسِيْرَةَ يَوْمٍ إِلاَّ مَعَ ذِيْ مَحْرَمٍ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য এটা জায়িয নয় যে, সে এক দিনের দূরত্ব সমপরিমাণ রাস্তা সফর করবে অথচ তার সাথে তার কোন মাহ্রাম নেই’’। (মুসলিম ১৩৩৯)
আবূ সাঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৯০. কোন পুরুষের বেগানা কোন মহিলার সাথে অথবা কোন মহিলার বেগানা কোন পুরুষের সাথে নির্জনে অবস্থান করা।

৯০. কোন পুরুষের বেগানা কোন মহিলার সাথে অথবা কোন মহিলার বেগানা কোন পুরুষের সাথে নির্জনে অবস্থান করা


কোন পুরুষের বেগানা কোন মহিলার সাথে অথবা কোন মহিলার বেগানা কোন পুরুষের সাথে নির্জনে অবস্থান করা হারাম। চাই তা কোন ঘরেই হোক অথবা কোন রুমে কিংবা কোন গাড়িতে অথবা লিফ্টে।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّ وَمَعَهَا ذُوْ مَحْرَمٍ.
‘‘কোন পুরুষ যেন বেগানা কোন মহিলার সঙ্গে নির্জনে অবস্থান না করে সে মহিলার এগানা কোন পুরুষের উপস্থিতি ছাড়া’’। (মুসলিম ১৩৪১)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৮৯. যে কথায় আল্লাহ্ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হবেন এমন কথা বলা

৮৯. যে কথায় আল্লাহ্ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হবেন এমন কথা বলা


যে কথায় আল্লাহ্ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হবেন এমন কথা বলা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
বিলাল্ বিন্ ’হারিস্ মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
إِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ، مَا يَظُنَّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ، فَيَكْتُبُ اللهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ، وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ، مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ، فَيَكْتُبُ اللهُ عَلَيْهِ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ.
‘‘তোমাদের কেউ কখনো এমন কথা বলে ফেলে যাতে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর খুবই সন্তুষ্ট হন। সে কখনো ভাবতেই পারেনি কথাটি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছুবে। অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা উক্ত কথার দরুনই কিয়ামত পর্যন্ত তার উপর তাঁর সন্তুষ্টি অবধারিত করে ফেলেন। আবার তোমাদের কেউ কখনো এমন কথাও বলে ফেলে যাতে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর খুবই অসন্তুষ্ট হন। সে কখনো ভাবতেই পারেনি কথাটি এমন এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছুবে; অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা উক্ত কথার দরুনই কিয়ামত পর্যন্ত তার উপর তাঁর অসন্তুষ্টি অবধারিত করে ফেলেন’’।
(তিরমিযী ২৩১৯; ইব্নু মাজাহ্ ৪০৪০; আহমাদ ৩/৪৬৯; হা’কিম ১/৪৪-৪৬; ইব্নু হিববান ২৮০; মা’লিক ২/৯৮৫)

কবীরা গুনাহঃ ৮৮. কারোর নিজের জন্য রাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করা

৮৮. কারোর নিজের জন্য রাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করা


কারোর নিজের জন্য রাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করাও হারাম এবং কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَغْيَظُ رَجُلٍ عَلَى اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَخْبَثُهُ وَأَغْيَظُهُ عَلَيْهِ رَجُلٌ كَانَ يُسَمَّى مَلِكَ الْأَمْلَاكِ، لَا مَلِكَ إِلاَّ اللهُ.
‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলা সর্ব বেশি রাগান্বিত হবেন সে ব্যক্তির উপর এবং সে তাঁর নিকট সর্বনিকৃষ্টও বটে যাকে একদা রাজাধিরাজ বলে ডাকা হতো। অথচ সত্যিকার রাজা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই’’। (মুসলিম ২১৪৩; বাগাওয়ী ৩৩৭০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ৮৭. অমূলকভাবে কোন নেককার ব্যক্তিকে রাগান্বিত করা

৮৭. অমূলকভাবে কোন নেককার ব্যক্তিকে রাগান্বিত করা


অমূলকভাবে কোন নেককার ব্যক্তিকে রাগান্বিত করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
‘আয়িয বিন্ ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা আবূ সুফ্য়ান নিজ দলবল নিয়ে সাল্মান, স্বুহাইব ও বিলাল (রাঃ) এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। তখন তাঁরা আবূ সুফ্য়ানকে উদ্দেশ্য করে বললেন: আল্লাহ্ তা‘আলার কসম! আল্লাহ্’র তরবারি এখনো তাঁর এ শত্রুর গর্দান উড়িয়ে দেয়নি। তখন আবূ বকর (রাঃ) তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: তোমরা কুরাইশ নেতার ব্যাপারে এমন কথা বলতে পারলে?! অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ঘটনাটি জানানো হলে তিনি বললেন:
يَا أَبَا بَكْرٍ! لَعَلَّكَ أَغْضَبْتَهُمْ، لَئِنْ كُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبْتَ رَبَّكَ.
‘‘হে আবূ বকর! সম্ভবত তুমি তাদেরকে রাগিয়ে দিলে! যদি তুমি তাদেরকে রাগান্বিত করে থাকো তা হলে যেন তুমি আল্লাহ্ তা‘আলাকে রাগান্বিত করলে’’। (মুসলিম ২৫০৪)
অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) তাঁদের নিকট এসে বললেন: হে আমার ভাইয়েরা! আমি তো তোমাদেরকে রাগিয়ে দিয়েছি। তাঁরা বললেন: না, হে আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাই! বরং আমরা আপনার জন্য আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট দো‘আ করছি তিনি যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন।
বর্তমান যুগে পরিস্থিতি আরো অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এখন তো রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, খেলাধুলা, গানবাদ্য ইত্যাকার যে কোন বিষয় এমনকি সাধারণ ছুতানাতা নিয়েও একে অপরের সাথে তর্কবিতর্ক করে পরস্পর গালাগালি, হাতাহাতি এমনকি একে অপরকে হত্যা করতেও সচরাচর দেখা যায়। কখনো কখনো তো পরিস্থিতি এমন পর্যায়েও দাঁড়ায় যে, সমাজে পরিচিত তথাকথিত বহু পাক্কা নামাযীকেও একজন কাফির বা ফাসিককে নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ সৃষ্টি করে তর্কবিতর্ক করতে দেখা যায়।

কবীরা গুনাহঃ ৮৬. আল্লাহ্ তা‘আলার অসন্তুষ্টির মাধ্যমে কোন মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করা

৮৬. আল্লাহ্ তা‘আলার অসন্তুষ্টির মাধ্যমে কোন মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করা


আল্লাহ্ তা‘আলার অসন্তুষ্টির মাধ্যমে কোন মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করা কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি:

কবীরা গুনাহঃ ৮৫. কোন ঝগড়া-ফাসাদে যুলুমের সহযোগিতা করা

৮৫. কোন ঝগড়া-ফাসাদে যুলুমের সহযোগিতা করা


কোন ঝগড়া-ফাসাদে যুলুমের সহযোগিতা করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম।
কেউ অবৈধভাবে অন্যের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তা জেনেশুনেও অন্য কেউ এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ أَعَانَ عَلَى خُصُوْمَةٍ بِظُلْمٍ ؛ لَمْ يَزَلْ فِيْ سَخَطِ اللهِ حَتَّى يَنْزِعَ عَنْهُ.
‘‘কেউ যদি জেনেশুনে অন্যায় মূলক বিবাদে অন্যকে সহযোগিতা করে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর খুবই রাগান্বিত হন যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৩৪৯; ’হা’কিম ৪/৯৯)
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ أَعَانَ ظَالِمًا لِيُدْحِضَ بِبَاطِلِهِ حَقًّا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُوْلِهِ.
‘‘কেউ যদি কোন যালিমকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করলো যে, সে তার বাতিল দিয়ে কোন হক্বকে প্রতিহত করবে তখন আল্লাহ্ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যিম্মাদারি তার উপর থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়’’।
(সা’হী’হুল্ জা’মি’ ৬০৪৮)

কবীরা গুনাহঃ ৮৪. কোন বেগানা পুরুষের সামনে কোন মহিলার খাটো, স্বচ্ছ কিংবা সংকীর্ণ কাপড়-চোপড় পরিধান করা

৮৪. কোন বেগানা পুরুষের সামনে কোন মহিলার খাটো, স্বচ্ছ কিংবা সংকীর্ণ কাপড়-চোপড় পরিধান করা


কোন বেগানা পুরুষের সামনে কোন মহিলার খাটো, স্বচ্ছ কিংবা সংকীর্ণ কাপড়-চোপড় পরিধান করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُوْنَ بَهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ، مُمِيْلَاتٌ مَائِلَاتٌ، رُؤُوْسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ، وَلَا يَجِدْنَ رِيْحَهَا، وَإِنَّ رِيْحَهَا لَيُوْجَدُ مِنْ مَسِيْرَةِ كَذَا وَكَذَا.
‘‘দু’ জাতীয় মানুষ এমন রয়েছে যারা জাহান্নামী। তবে আমি তাদেরকে এখনো দেখিনি। তাদের মধ্যে এক জাতীয় মানুষ এমন যে, তাদের হাতে থাকবে লাঠি যা দেখতে গাভীর লেজের ন্যায়। এগুলো দিয়ে তারা অযথা মানুষকে প্রহার করবে। তাদের মধ্যে আরেক জাতীয় মানুষ হবে এমন মহিলারা যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ। তারা বেগানা পুরুষদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করবে এবং

কারোর উপর কোন বিপদ আসলে তাকে যা করতে হয়। বিপদাপদ আসলে যে চিকিৎসাগুলো গ্রহণ করতে হয়।

কারোর উপর কোন বিপদ আসলে তাকে যা করতে হয়


কারোর উপর কোন বিপদ আসলে তাকে নিম্নোক্ত দো‘আ পড়তে হয়:
إِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ، اللَّهُمَّ آجِرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَأَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِنْهَا.
উম্মে সালামাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

মহিলাদের মুখ খোলা কি যায়েজ ?- ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহঃ)


কবীরা গুনাহঃ ৮৩. কোন বিপদ আসলে তা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিয়ে বরং আল্লাহ্ তা‘আলার উপর অসন্তুষ্ট হওয়া

৮৩. কোন বিপদ আসলে তা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিয়ে বরং আল্লাহ্ তা‘আলার উপর অসন্তুষ্ট হওয়া


কোন বিপদ আসলে তা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিয়ে বরং আল্লাহ্ তা‘আলার উপর অসন্তুষ্ট হওয়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম।
মু’মিন বলতেই তাকে এ কথা অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে, তার জীবনে যে কোন অঘটন ঘটুক না কেন তা একমাত্র তারই কিঞ্চিৎ কর্মফল। এর চাইতে আর বেশি কিছু নয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবীরা গুনাহঃ ৮২. মানুষকে অযথা শাস্তি দেয়া কিংবা প্রহার করা

৮২. মানুষকে অযথা শাস্তি দেয়া কিংবা প্রহার করা


মানুষকে অযথা শাস্তি দেয়া কিংবা প্রহার করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُوْنَ بَهَا النَّاسَ.
‘‘দু’ জাতীয় মানুষ এমন রয়েছে যারা জাহান্নামী। তবে আমি তাদেরকে এখনো দেখিনি। তাদের মধ্যে এক জাতীয় মানুষ এমন যে, তাদের হাতে থাকবে লাঠি যা দেখতে গাভীর লেজের ন্যায়। এগুলো দিয়ে তারা অযথা মানুষকে প্রহার করবে’’। (মুসলিম ২১২৮)
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৮১. শরীয়তের কোন বিধান অমান্য করার জন্য যে কোন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করা

৮১. শরীয়তের কোন বিধান অমান্য করার জন্য যে কোন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করা


শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ কোন বিধান অমান্য করার জন্য যে কোন ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ، حُرِّمَتْ عَلَيْهِمُ الشُّحُوْمَ فَجَمَّلُوْهَا فَبَاعُوْهَا.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা ইহুদিদেরকে অভিসম্পাত করুক। কারণ, তাদের উপর যখন (আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে) চর্বি হারাম করে দেয়া হয়েছে তখন তারা তা গলিয়ে তেল বানিয়ে বিক্রি করেছে’’। (বুখারী ৩৪৬০)
অথচ আল্লাহ্ তা‘আলা যখন কারো উপর কোন জিনিস হারাম করেন তখন তার বিক্রিলব্ধ পয়সাও হারাম করে দেন।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বাইতুল্লাহ্’র রুক্নে ইয়ামানীর পার্শ্বে বসা অবস্থায় দেখেছিলাম। তিনি তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে হেঁসে বললেন:
لَعَنَ اللهُ الْيَهُوْدَ ثَلَاثًا، إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْهِمُ الشُّحُوْمَ فَبَاعُوْهَا وَأَكَلُوْا أَثْمَانَهَا، وَإِنَّ اللهَ إِذَا حَرَّمَ عَلَى قَوْمٍ أَكْلَ شَيْءٍ حَرَّمَ عَلَيْهِمْ ثَمَنَهُ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা ইহুদিদেরকে লা’নত করুক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটি তিনবার বলেছেন। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের উপর চর্বি হারাম করে দিয়েছেন; অথচ তারা তা বিক্রি করে সে পয়সা ভক্ষণ করে। বস্ত্তত: আল্লাহ্ তা‘আলা কোন জাতির উপর কোন কিছু খাওয়া হারাম করলে তার বিক্রিলব্ধ পয়সাও হারাম করে দেন’’। (আবূ দাউদ ৩৪৮৮)
বর্তমান যুগে হারামকে হালাল করার জন্য হরেক রকমের কৌশলই গ্রহণ করা হয়। সুদ খাওয়ার জন্য বর্তমান সমাজে কতো ধরনের পলিসি যে গ্রহণ করা হচ্ছে বা হয়েছে তা আজ কারোরই অজানা নয়। আবার কখনো কখনো হারাম বস্ত্তর নাম পাল্টিয়ে উহাকে হালাল বানিয়ে নেয়া হয়। আরো কত্তো কী?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বহু পূর্বেই এ ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন।
আবূ উমামাহ্ বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا تَذْهَبُ اللَّيَالِيْ وَالْأَيَّامُ حَتَّى تَشْرَبَ فِيْهَا طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِيْ الْـخَمْرَ ؛ يُسَمُّوْنَهَا بِغَيْرِ اسْمِهَا.
‘‘দিনরাত শেষ হবে না তথা কিয়ামত আসবে না যতক্ষণ না আমার উম্মতের কিছু সংখ্যক লোক মদ পান করবে। তারা মদকে অন্য নামে আখ্যায়িত করবে’’।  (ইব্নু মাজাহ্ ৩৪৪৭)
অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বহু পূর্বেই এ জাতীয় সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ، وَكُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ.
‘‘প্রত্যেক নেশাকর বস্ত্তই মদ। আর সকল প্রকারের মদই হারাম’’। (মুসলিম ২০০৩)
কোন হারাম বস্ত্তকে হালাল করার জন্য এ জাতীয় কূটকৌশল সত্যিই ভয়ঙ্কর। কারণ, মানুষ তখন কোন লজ্জা বা ভয় ছাড়াই নির্দ্বিধায় এ সকল কাজ করে থাকে এ কথা ভেবে যে, তা তো হালালই এবং তা অতি দ্রুত গতিতেই সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।

কবীরা গুনাহঃ ৮০. কোন মু’মিন বা মুসলিম ব্যক্তি অহঙ্কারকারী কৃপণ অথবা কঠিন হৃদয় সম্পন্ন হওয়া

৮০. কোন মু’মিন বা মুসলিম ব্যক্তি অহঙ্কারকারী কৃপণ অথবা কঠিন হৃদয় সম্পন্ন হওয়া


কোন মু’মিন বা মুসলিম ব্যক্তি অহঙ্কারকারী কৃপণ অথবা কঠিন হৃদয় সম্পন্ন হওয়া আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
 لَا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ الْـجَوَّاظُ وَالْـجَعْظَرِيُّ.
‘‘অহঙ্কারকারী কৃপণ ও কঠিন হৃদয় সম্পন্ন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না’’।  (স’হীহুল্ জামি’, হাদীস ৪৫১৯)


কবীরা গুনাহাঃ ৭৯. কোন জীবিত পশুর এক বা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাকে বিশ্রী বা বিকৃত করা

৭৯. কোন জীবিত পশুর এক বা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাকে বিশ্রী বা বিকৃত করা


কোন জীবিত পশুর এক বা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে তাকে বিশ্রী বা বিকৃত করা আরেকটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭৮. কোন মৃত ব্যক্তির কবর খনন করে তার কাফনের কাপড় চুরি করা

৭৮. কোন মৃত ব্যক্তির কবর খনন করে তার কাফনের কাপড় চুরি করা


কোন মৃত ব্যক্তির কবর খনন করে তার কাফনের কাপড় চুরি করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম।
‘আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ الْـمُخْتَفِيَ وَالْـمُخْتَفِيَةَ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেন কাফন চোর ও চুন্নিকে’’। (বায়হাক্বী ৮/৩৭০ সিল্সিলাতুল্ আহা’দীসিস্ সা’হীহাহ্, হাদীস ২১৪৮)

কবীরা গুনাহঃ ৭৭. শরীয়তের যে কোন দন্ডবিধি প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করা

৭৭. শরীয়তের যে কোন দন্ডবিধি প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করা


শরীয়তের যে কোন দন্ডবিধি প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করা হারাম ও কবীরা গুনাহ্।
কোন ব্যক্তি কারোর ক্বিসাস্ অথবা দিয়াত বাস্তবায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করলে তার উপর আল্লাহ্ তা‘আলা, ফিরিশ্তা ও সকল মানুষের অভিশাপ নিপতিত হয়।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭৬. শরীয়তের সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ ছাড়াই কোন মুসলিমকে কাফির বলা

৭৬. শরীয়তের সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ ছাড়াই কোন মুসলিমকে কাফির বলা


শরীয়তের সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ ছাড়াই কোন মুসলিমকে কাফির বলা আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
আবূ যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا يَرْمِيْ رَجُلٌ رَجُلًا بِالْفُسُوْقِ، وَلَا يَرْمِيْهِ بِالْكُفْرِ إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ.
‘‘কোন ব্যক্তি কাউকে ফাসিক বা কাফির বললে তা তার দিকেই প্রত্যাবর্তন করবে যদি উক্ত ব্যক্তি এমন শব্দের উপযুক্তই না হয়’’। (বুখারী ৬০৪৫)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭৫. কোন ব্যক্তির স্ত্রী বা কাজের লোককে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা

৭৫. কোন ব্যক্তির স্ত্রী বা কাজের লোককে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা


কোন ব্যক্তির স্ত্রী বা কাজের লোককে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলাও কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
 مَنْ خَبَّبَ زَوْجَةَ امْرِئٍ أَوْ مَمْلُوْكَهُ فَلَيْسَ مِنَّا.
‘‘কেউ অন্য কারোর স্ত্রী বা কাজের লোককে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুললে সে আমার উম্মত নয়’’।
 (আবূ দাউদ ৫১৭০; আহমাদ ৯১৫৭; ’হা’কিম ২/১৯৬ বায়হাক্বী ৮/১৩)

কবীরা গুনাহঃ ৭৪. কবীরা গুনাহ্’র কারণে কোন ক্ষমতাসীনকে কাফির সাব্যস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা

৭৪. কবীরা গুনাহ্’র কারণে কোন ক্ষমতাসীনকে কাফির সাব্যস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা


কবীরা গুনাহ্’র কারণে কোন ক্ষমতাসীনকে কাফির সাব্যস্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা আরকটি কবীরা গুনাহ্।
এ জাতীয় ব্যক্তিকে আরবীতে খারিজী এবং একের অধিককে খাওয়ারিজ বলা হয়।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় খারিজীদেরকে জাহান্নামের কুকুর এবং আকাশের নিচের সর্বনিকৃষ্ট নিহত বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ইব্নু আবী আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭৩. হারাম শরীফের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা

৭৩. হারাম শরীফের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা


মক্কা ও মদীনার হারাম এলাকার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَمَنْ يُّرِدْ فِيْهِ بِإِلْـحَادٍ بِظُلْمٍ نُّذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيْمٍ»
‘‘আর যে ব্যক্তি হারাম শরীফের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার ইচ্ছে করবে আমি তাকে আস্বাদন করাবো মর্মন্তুদ শাস্তি’’। (হাজ্জ : ২৫)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭২. চেহারায় দাগ দেয়া, চেহারার কেশ উঠানো, নিজের চুলের সাথে অন্য চুল সংযোজন কিংবা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা

৭২. চেহারায় দাগ দেয়া, চেহারার কেশ উঠানো, নিজের চুলের সাথে অন্য চুল সংযোজন কিংবা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা


চেহারায় দাগ দেয়া, চেহারার কেশ উঠানো, নিজের চুলের সাথে অন্য চুল সংযোজন কিংবা দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করাও হারাম এবং কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْـمُوْتَشِمَاتِ وَالْـمُتَنَمِّصَاتِ وَالْـمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْـنِ، الْـمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা লা’নত করেন সে মহিলাকে যে অপরের চেহারা দাগে এবং যে অপরকে দিয়ে নিজ চেহারা দাগ করায়, যার চেহারার কেশ উঠানো হয় এবং যে মহিলা সৌন্দর্যের জন্য নিজ দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; আল্লাহ্ প্রদত্ত গঠন পরিবর্তন করে’’।

কবীরা গুনাহঃ ৭১. কারোর দিকে ছুরি বা কোন অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করা

৭১. কারোর দিকে ছুরি বা কোন অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করা


কারোর দিকে দা, ছুরি বা অন্য কোন অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ أَشَارَ إِلَى أَخِيْهِ بِحَدِيْدَةٍ فَإِنَّ الْـمَلَائِكَةَ تَلْعَنُهُ حَتَّى يَدَعَهُ، وَإِنْ كَانَ أَخَاهُ لِأَبِيْهِ وَأُمِّهِ.
‘‘কেউ নিজ কোন মুসলিম ভাইয়ের দিকে লোহা জাতীয় কোন অস্ত্র দিয়ে ইঙ্গিত করলে ফিরিশ্তারা তাকে লা’নত করতে থাকে যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে। যদিও উক্ত ব্যক্তি তার সহোদর ভাইই হোক না কেন’’। (মুসলিম ২৬১৬)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য হাদীসে এ নিষেধের কারণও উল্লেখ করেছেন।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৭০. সমাজে কোন বিদ্‘আত বা কুসংস্কার চালু করা

৭০. সমাজে কোন বিদ্‘আত বা কুসংস্কার চালু করা


সমাজে কোন বিদ্‘আত কিংবা কুসংস্কার চালু করা অথবা এগুলোর দিকে কাউকে আহবান করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
জারীর বিন্ ‘আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৬৯. কারোর জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা

৬৯. কারোর জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা


কারোর জমিনের সীমানা ঠেলে তার কিয়দংশ নিজের অধিকারভুক্ত করে নেয়াও আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَعَنَ اللهُ مَنْ غَيَّرَ مَنَارَ الْأَرْضِ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা লা’নত করেন সে ব্যক্তিকে যে অন্যের জমিনের সীমানা পরিবর্তন করে’’। (মুসলিম ১৯৭৮; আহমাদ ২৯১৩; ’হা’কিম ৪/১৫৩)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবীরা গুনাহঃ ৬৮. কারোর সাথে তর্কের সময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা

৬৮. কারোর সাথে তর্কের সময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা


কারোর সাথে তর্কের সময় তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

স্ত্রীদের সাথে সদাচরণ এর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?

স্ত্রীদের সাথে সদাচরণ এর ব্যাপারে ইসলাম কি বলে?
================================== 
স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা দ্বারা দাম্পত্য জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে। এই ভালবাসা ও প্রেম-প্রীতিময় পরিবেশ সৃষ্টি করা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের দায়িত্ব। তাই এ ব্যাপারে উভয়কে সচেষ্ট থাকতে হবে। 
ইসলাম স্বামীদেরকে আদেশ করেছে স্ত্রীদের ভোরণ-পোষণ সহকারে তাদের সাথে সদাচরণ করতে। আর স্ত্রীদের প্রতি আদেশ করেছে, স্বামীদের আনুগত্য করতে যদি তিনি অন্যায় ও গুনাহের নির্দেশ না দেন।
স্বামীর মধ্যে যদি আচরণগত বা দ্বীন বিষয়ে ত্রুটি পরিলক্ষীত হয় স্ত্রী যথাসম্ভব ধৈর্য ধারণ করবেন এবং তাকে সংশোধের চেষ্টা করবেন এবং তার জন্য দুয়া করবেন...।
*এ বিষয়ে আল্লাহ এবং রাসুল সা: এর নির্দেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ* (রিয়াদুস সালিহীন গ্রন্থ থেকে)
 মহান আল্লাহ বলেনঃ

বাংলা বোখারী পড়লে গোমড়া হয়ে যাবেন!!!

বাংলা বোখারী পড়লে গোমড়া হয়ে যাবেন!!!
-------------------------------------------------------------
জনাব???? বাংলায় বুখারি মুসলিম হাদিসের কিতাব গুলো পড়লে মানুষ গোমড়া হয় কিন্তু উর্দু বা ফার্সি তে কিতাব পড়লে গোমড়া হয়না?? কেননা কোরআন হাদিস নাজিল হয়েছে আরবি ভাষায়। সেই আরবিকে উর্দু ও ফার্সিতে রুপান্তর করে কেন পড়তে হবে?? মাদ্রাসাগুলতে খোঁজ নিয়ে দেখেন উর্দু ফার্সি কোন অবস্থানে আছে?
বাংলা বোখারী পড়লে গোমড়া হয়ে যাবেন!
-
এই স্লোগানটা একেবারেই নতুন, আজ থেকে ৪/৫ বছর আগেও এই স্লোগান ছিলো না।যদিও বাংলা বেখারী দেখেছি আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগেও।
তবে ইদানিং

প্রশ্ন: আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো লোকের অভ্যাস, কুরআন মজিদের পাতাও কি ঐভাবে উল্টানো যায়?

প্রশ্ন: আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো লোকের অভ্যাস, কুরআন মজিদের পাতাও কি ঐভাবে উল্টানো যায়?
============================
উত্তর : কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম, তা মুসলিমদের অত্যন্ত তা’যীমযোগ্য জিনিস। সুতরাং তাতে থুথু লাগানো বৈধ নয়। আমাদের কেউ যদি আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে অন্যের মুখে লাগিয়ে দেয়, তাহলে তাতে ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
অতএব এমন ঘৃণ্য আচরণ আল্লাহর কালামের সাথে করা আদৌ উচিৎ নয়।
বই: দীনি প্রশ্নোত্তর
লিখেছেন শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইজি মাদানি

ঋতু চলা কালীন সময় কুরআন তিলাওয়াত করা বা কুরআন স্পর্শ করার হুকুম কি?

*ঋতু চলা কালীন সময় কুরআন তিলাওয়াত করা বা কুরআন স্পর্শ করার হুকুম।*
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
❓প্রশ্ন ১: মেয়েদের মাসিকের সময় কুরআন মেমরি থেকে তেলাওয়াত কি জায়েজ?
❓ প্রশ্ন ২: মুখস্থ সূরা ভুলে যাওয়ার আশংকা থাকলে হ্যান্ড গ্লাভস পরে মেয়েরা কি কুরআন ধরে পড়তে পারবে পিরিওডের সময়?

✅ উত্তর: অধিকাংশ আলিমের মতে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঋতু অবস্থায় কুরআন পাঠ করা জায়েয নেই। তবে বিশেষ প্রয়োজন হলে জায়েয রয়েছে। যেমন, কুরআন ভুলে যাওয়ার আশংকা, কুরআনের পরীক্ষা, কুরআন শিক্ষা দান যদি বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকে ইত্যাদি।
যদিও

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ