Friday, February 9, 2018

আনাস ইবনু মালেক রাঃ এর জীবনী

আনাস ইবনু মালেক রাঃ এর জীবনী


আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ছাহাবায়ে কেরাম রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে সরাসরি অনেক কল্যাণকর বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। কোন বিষয়ে তাঁদের ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে রাসূল (ছাঃ) তাদের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দিয়ে সঠিক পথ নির্দেশ করতেন, তাদের নিকটে বর্ণনা করতেন আমলের যথার্থ পদ্ধতি। আল্লাহর ভালবাসা অর্জনের মাধ্যমে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশের পথ দেখাতেন। সে যুগে ছাহাবায়ে কেরাম রাসূলের মুখ থেকে সরাসরি অহি-র বাণী শুনতে পেতেন। বর্তমান যুগে আমরা মসির অাঁচড়ে কালো হরফে লিখিত গ্রন্থ অধ্যয়ন করে ছাহাবায়ে কেরামের জ্ঞানের কথা জানতে পারছি। অথচ

একজন সফল অভিভাবকের গুণাবলি


একজন সফল অভিভাবকের গুণাবলি

লেখকঃ মুহাম্মদ শামসুল হক সিদ্দিক

পরিবারের নেতৃত্ব দেন একজন পুরুষ। আল কুরআন পুরুষের ঘাড়েই গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের দায়িত্বভার অর্পণ করেছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পুরুষের নেতৃত্ব আদিকাল থেকে চলে-আসা একটি কালচার, যা প্রাকৃতিক কারণেই ঘটে থাকে। পুরুষের মনোগঠন, সপ্রতিভ আচরণ, দৃঢ়চিত্ততা, সাহসিকতা, প্রতিকূল পরিবেশে – আবেগ নয়- বরং বুদ্ধিচালিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা, অধিকন্তু শীত-বর্ষা-হেমন্ত-বসন্ত রোদ-বৃষ্টি, আলো-অন্ধকার সকল পরিস্থিতিতে দেহ সঞ্চালিত করে রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার শারীরিক ক্ষমতা পুরুষকে সমাসীন করেছে নেতৃত্বের আসনে। তাই

সন্তানের হক

সন্তানের হক

সন্তানের হক
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد :
আল্লাহ তা‘আলা মানব জীবনকে সন্তান-সন্তুতির মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় করেছেন। পারিবারিক জীবনে সন্তান-সন্ততি কতবড় নিয়ামত তা যার সন্তান হয়নি তিনি সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করে থাকেন। যাদেরকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সন্তান দান করেছেন তাদের উপর এক মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। পিতা-মাতার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হবে যদি সন্তানকে আদর্শবান রূপে গড়ে না তুলতে পারেন। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে যে কয়েকটা জিনিস শেখানো উচিৎ

সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে যে কয়েকটা জিনিস শেখানো উচিৎঃ
একজন বাবা মা হিসেবে আপনার সন্তান যেন আত্ম বিশ্বাসী হয়ে উঠে এর জন্য আপনাকেই তার দিকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ।
আত্মবিশ্বাস একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি বাতাস এর মতই অত্যন্ত জরুরি এবং তাঁর মানব সত্তার জন্য অপরিহার্য। যুগ যুগ ধরে যে সকল মানুষের মহৎ অবদানে আজকের মানবজাতি,তাঁদের প্রত্যেকেরই ছিল অসীম আত্মবিশ্বাস। আর একজন মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলার জন্য শিশুকালের চেয়ে বোধ করি আর কোন ভাল সময় নেই। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে গড়ে তুলবেন আপনার শিশুকে আত্মবিশ্বাসী। এর জন্য কি কোন কোচিং সেন্টার আছে? আছে কোন প্রাইভেট টিউটর?

সন্তান লালন: মাতা-পিতার এক মহান দায়িত্ব

সন্তান লালন: মাতা-পিতার এক মহান দায়িত্ব 



সন্তান লালন: মাতা-পিতার এক মহান দায়িত্ব 
 
জীবনের শুরুতেই সন্তান যাদের হাতের স্পর্শ পায়, যাদেরকে সামনে দেখে, যাদের গন্ধ শুঁকে, তারা হলেন মাতা-পিতা। মাতা-পিতার হাত ধরেই সন্তান প্রবেশ করে কোলাহলময় পৃথিবীতে, গাত্রে লাগায় ইহজাগতিক আলো-বাতাস। মাতা-পিতার কাছ থেকেই শেখে প্রথম শব্দমালা। তাই মাতা-পিতার স্কন্ধেই অর্পিত সন্তানকে যথার্থরূপে মর্দে মুমিন তথা মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব।
 
ইমাম গাজালি রহ. বলেছেন:

সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়


সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়
পৃথিবী জুড়ে মুসলমানদের ঘরে ঘরে প্রতি দিন আগমন হচ্ছে নতুন মেহমান ও নতুন সন্তানের। কিন্তু আমরা কজন আছি যারা এ সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের সূচনা লগ্নে ইসলামি আদর্শের অনুশীলন করি!? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের বাতলানো সব সুন্নতগুলো পালন করি! পরিতাপের বিষয়, আমরা অনেকেই তা করি না। এর কারণ, সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে আমাদের উদাসীনতা। তবে এটাও ঠিক যে, ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেকে না-জানার কারণে তা করতে সক্ষম হয় না। আবার কেউ কেউ এ ক্ষেত্রে ইসলামি আদর্শ ত্যাগ করে বিধর্মী ও অমুসলিমদের অনুসরণ করে, অথচ তারা মুসলমান !

সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে যা করণীয়

সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে যা করণীয়
আল হামদু লিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদ:
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সন্তান-সন্ততি আল্লাহর বিশেষ দান ও অনুগ্রহ। এটি যে কত বড় দান, তা কেবল সেই দম্পতিই জানে, যাদের আল্লাহ এই নেয়ামত থেকে মাহরূম রেখেছেন। আল্লাহ বলেন: “তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা তাকে করে দেন বন্ধ্যা, তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান।“ [ সূরা শূরা/৪৯-৫০]
যার কোলে ও যার ঘরে এই নেয়ামতের আগমন ঘটবে, সেই সৌভাগ্যবান। আর তার জন্য ইসলাম দিয়েছে কিছু উপদেশ কিছু আদেশ যা প্রমাণ করে যে ইসলাম একটি সর্বজনীন সামাজিক ধর্ম এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। আমরা এখানে তারই কিছুটা বর্ণনা দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
১- যে এই আশিসে ধন্য হবে, তাঁকে অভিনন্দন প্রদান করা: আল্লাহ বলেন:

শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে আব্বা-আম্মা বলা যাবে কি? যদি বলা যায় তাহলে ওই হাদিসের ব্যাখ্যা কী হবে, যে হাদিসে অন্যকে পিতা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে?

শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকে আব্বা-আম্মা বলা যাবে কি? যদি বলা যায় তাহলে ওই হাদিসের ব্যাখ্যা কী হবে, যে হাদিসে অন্যকে পিতা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে? যে হাদিসে অন্যকে পিতা বলে সম্বোধন করতে নিষেধ করা হয়েছে তার অর্থ বংশপরিচয় প্রকাশ করার ক্ষেত্রে আসল পরিচয় গোপন রেখে নিজের পিতার নাম উল্লেখ না করে, অন্যের নাম প্রকাশ করা। যেমন- আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন অথবা এমন কোনো দলিল বা স্থান যেখানে কোনো ব্যক্তির জন্মদাতা পিতার নাম প্রকাশ করা জরুরি হয়। আর স্বামী বা স্ত্রীর পিতা-মাতাকে সম্মানার্থে আব্বা-আম্মা বলে সম্বোধন করার দ্বারা বংশপরিচয় গোপন হয় না। তাই

শিশুর নৈতিকতা গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও পর্দা অনুশীলনের গুরুত্বঃ

শিশুর নৈতিকতা গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও পর্দা অনুশীলনের গুরুত্বঃ
 আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন কে নিয়ে পরিবার গড়ে উঠে। একজন শিশু সন্তান জন্মের পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের পূর্বে ৪-৫ বছর পরিবারে বেড়ে ওঠে। এ সময়টিতে তার মানসিক বিকাশ ও নৈতিক চরিত্র গঠন হয়ে থাকে। শিশুর মায়ের কোল তার শিক্ষার হাতে খড়ি। ফলে পরিবার থেকেই শিশু প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে। পরিবার মানব সন্তানের প্রথম শিক্ষা নিকেতন। ছেলে-মেয়েদের জীবনে পারিবারিক শিক্ষার মূল্য অনেক। সন্তানের মূল্যবোধ, আখলাক, চেতনা ও বিশ্বাস জন্ম নেয় পরিবার থেকেই। পিতা- মাতার সঠিক লালন-পালনে সন্তানরা সফল হতে পারে। পিতা-মাতা যে আদর্শ লালন করেন তাদের সন্তানরাও তাই ধারণ করার চেষ্টা করে। হাদীস শরীফে এসেছে,

শিশুদের লালন-পালন [মাতা-পিতার দায়িত্ব ও সন্তানের করণীয়]


অনুবাদকের কথা
শিশুই হল, দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। শিশুদের বাল্য কালের শিক্ষা-দীক্ষা যদি ভালো হয়, তবে তাদের আগামী দিন ও ভবিষ্যৎ ভালো হবে। তাতে দেশ, জাতি ও সমাজ তাদের দ্বারা হবে লাভবান ও উপকৃত। এ জন্য শিশুদের শিক্ষা, তালীম, তরবিয়ত ও তাদের চরিত্রবান করে ঘড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব দেয়া, অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে কোন কিছু লিখে জাতির সামনে তুলে ধরার চিন্তা ও স্বপ্ন অনেক দিন থেকেই লালন করছি। কিন্তু যোগ্যতার সীমাবদ্ধতা ও সময়ের অভাবে তা আর বাস্তবে রূপ দিতে পারি নি। তবে সম্প্রতি আমার প্রাণ-প্রিয় সাইট ইসলাম হাউসে শাইখ মুহাম্মাদ ইবন জামীল যাইনূ রহ. এর একটি রিসালা এ বিষয়ে পেয়ে আমি আমার চিন্তা ও লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগটি গ্রহণ করি। চিন্তা করলাম এ লিখকের বইটি যদি অনুবাদ করে বাংলা-ভাষাভাষীদের জন্য তুলে ধরা হয়, তাতে তারা উপকৃত হবে এবং আমি নিজে কিছু লেখার চেয়েও এ রিসালাটি অনুবাদ করা অধিক ফলপ্রসূ হবে।
লেখক এ বইটিতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে শিশুদের উপদেশ দেয়া, মাতা-পিতার সাথে সৎ ব্যবহার

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ

মা-বাবার মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয় আমলসূমহ
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد:
মা-বাবা ছোট শব্দ, কিন্তু এ দুটি শব্দের সাথে কত যে আদর, স্নেহ, ভালবাসা রয়েছে তা পৃথিবীর কোন মাপযন্ত্র দিয়ে নির্ণয় করা যাবে না। মা-বাবা কত না কষ্ট করেছেন, না খেয়ে থেকেছেন, অনেক সময় ভাল পোষাকও পরিধান করতে পারেন নি, কত না সময় বসে থাকতেন সন্তানের অপেক্ষায়। সেই মা বাবা যাদের চলে গিয়েছেন, তারাই বুঝেন মা

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ