Sunday, December 3, 2017

আমার একজন বান্ধবী আছে। তার মা মারা গেছেন। সে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। আসলে তার কী করা উচিত।

আমার একজন বান্ধবী আছে। তার মা মারা গেছেন। সে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। আসলে তার কী করা উচিত।


আলহামদুলিল্লাহ।
মৃত্যুর মুসিবত থেকে কেউ রক্ষা পাবে না। মৃত্যু আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা। যেন আমরা নেক আমল করি, আমাদের আমলগুলোকে সুন্দর করি। যাতে করে আমরা উত্তম প্রতিদান পাই, আমাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হন। কোন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে দুঃখে ভারাক্রান্ত হওয়া, কান্নাকাটি করা- জায়েয বিষয়; যদি এটি প্রকৃতিগত হয়ে থাকে; এর সাথে চিৎকার, চেচামেচি অথবা আল্লাহর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ না পায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে তাঁর ছেলে ইব্রাহিমের মৃত্যুতে কেঁদেছেন। তিনি বলেছেন:

আমি তিউনিসিয়ার অধিবাসী একজন ধার্মিক মেয়ে। আমার সমস্যা হচ্ছে- আমাকে বিয়ের প্রস্তাবকারী ছেলে আমার হিযাব পরাকে মেনে নিচ্ছে না, এমনকি সেটা যদি আধুনিক যুগের হিযাব হয় সেটাও না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কি তার সাথে সম্পর্ক করব; নাকি প্রত্যাখ্যান করব? উল্লেখ্য, অধিকাংশ তিউনিসিয়ান ছেলে এ ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকে।

আমি তিউনিসিয়ার অধিবাসী একজন ধার্মিক মেয়ে। আমার সমস্যা হচ্ছে- আমাকে বিয়ের প্রস্তাবকারী ছেলে আমার হিযাব পরাকে মেনে নিচ্ছে না, এমনকি সেটা যদি আধুনিক যুগের হিযাব হয় সেটাও না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কি তার সাথে সম্পর্ক করব; নাকি প্রত্যাখ্যান করব? উল্লেখ্য, অধিকাংশ তিউনিসিয়ান ছেলে এ ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকে।


সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
 সম্মানিত বোন, আপনার জন্য আমাদের উপদেশ হচ্ছে- পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সমস্ত মানুষের জন্য আল্লাহর দেয়া উপদেশ। যে উপদেশের মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “বস্তুতঃ আমি নির্দেশ দিয়েছি তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকে –

আমি একজন নারী। বছর খানেক আগে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পূর্বে আমার স্বামী আমার ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, তাঁর মায়ের খালার মেয়েকে আমাদের বাসায় থাকতে দিতে হবে; যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। স্বামীর এ শর্তে আমি রাজী হয়েছিলাম। বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে, এ বাড়ীর অর্ধেক আসবাবপত্র এই মহিলার। বাসার কোন একটি আসবাবপত্র আমি ধরতে পারি না, ছুঁইতে পারি না। শুধু তাই নয়- তিনি আমাকে, আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেন। আমার স্বামী এর কোন প্রতিবাদ করে না। ভদ্রমহিলা বলেন: আমার পিতা নাকি জারজ সন্তান! আমার মধ্যে নাকি আদব কায়দা কম! কারণ- আমার স্বামী ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় আমি তার সাথে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাই। এ বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যায়। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কি আমার স্বামীর নিকট আলাদা বাসস্থান দাবী করতে পারি? এই ভদ্রমহিলা আমাদের সাথে বসবাস করার শরয়ি বিধান কি?

আমি একজন নারী। বছর খানেক আগে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পূর্বে আমার স্বামী আমার ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, তাঁর মায়ের খালার মেয়েকে আমাদের বাসায় থাকতে দিতে হবে; যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। স্বামীর এ শর্তে আমি রাজী হয়েছিলাম। বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে, এ বাড়ীর অর্ধেক আসবাবপত্র এই মহিলার। বাসার কোন একটি আসবাবপত্র আমি ধরতে পারি না, ছুঁইতে পারি না। শুধু তাই নয়- তিনি আমাকে, আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেন। আমার স্বামী এর কোন প্রতিবাদ করে না। ভদ্রমহিলা বলেন: আমার পিতা নাকি জারজ সন্তান! আমার মধ্যে নাকি আদব কায়দা কম! কারণ- আমার স্বামী ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় আমি তার সাথে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাই। এ বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যায়। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কি আমার স্বামীর নিকট আলাদা বাসস্থান দাবী করতে পারি? এই ভদ্রমহিলা আমাদের সাথে বসবাস করার শরয়ি বিধান কি?


 আলহামদু লিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য)।
এক:
নিজের স্ত্রীকে ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যসম্বলিত একটি বাসস্থান প্রদান করা স্বামীর অপরিহার্য কর্তব্য। যে বাসস্থানের মধ্যে স্ত্রীর জীবন ধারণের জন্য অতি জরুরী সুবিধাগুলো থাকবে। এই আবাসস্থলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে-

জনৈক ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিরুদ্যম হয়ে পড়েন। এখন তিনি আগের মত কুরআন তেলাওয়াত করেন না। দ্বীনদারির ক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা দূর করার উত্তম উপায় কী?

জনৈক ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিরুদ্যম হয়ে পড়েন। এখন তিনি আগের মত কুরআন তেলাওয়াত করেন না। দ্বীনদারির ক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা দূর করার উত্তম উপায় কী?


আল্‌হামদু লিল্লাহ।
 উদ্যমহীনতা সৃষ্টির বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রতিকার জানার আগে নিরুদ্যম হয়ে পড়ার কারণগুলো জেনে নেয়া জরুরী। কারণগুলো জানা গেলে প্রতিরোধ করার উপায়ও জানা যাবে।
 উদ্যমহীনতার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- আল্লাহর সাথে সম্পর্কের দুর্বলতা, আনুগত্য ও ইবাদত পালনে অলসতা, দুর্বল আকাঙ্ক্ষার ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা, দুনিয়া ও দুনিয়ার ভোগ নিয়ে মেতে থাকা, দুনিয়ার শেষ পরিণতি নিয়ে না ভাবা এবং

আমাদের দেশে একজন তালিবে ইল্‌ম আছে। তাঁর ইল্‌ম ভাল। তিনি আমাদেরকে ইলম অর্জন, তাকওয়া, সুন্নাহর অনুসরণ ও আলেমদের সাথে আদব মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। আমরা তাঁকে হকপন্থী সালাফী হিসেবে জানি। তিনি আমাদেরকে দ্বীনের খুঁটিনাটি যা কিছু শিক্ষা দেন আমরা তাঁকে অনুসরণ করে চলি। কুরআনে কারীম ও রাসূল (সাঃ) এর হাদিস শিক্ষাদানের জন্য তিনি সনদপ্রাপ্ত। যদিওবা আমরা উনার তাকলীদ করি, কিন্তু তিনি আমাদেরকে তাকলীদ না-করার প্রতি উৎসাহিত করেন। তিনি ফতোয়ার ক্ষেত্রে অথবা নারী হিসেবে আমাদের সাথে আচার আচরণের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌কে ভয় করেন বলে আমি মনে করি। আমি তার জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা রেখে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একজন মহিলা আমাকে অবহিত করেছেন (আমার কাছে তাকে সত্যবাদী মনে হয়) যে, এই নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। সেটা সম্পূর্ণ গোপনে। আমি আবারও বলছি সম্পূর্ণ গোপনে। মহিলাটি জানাচ্ছেন যে, তিনি এ সম্পর্ককে বিয়ের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজস্ব কিছু পরিস্থিতির কারণে তিনি সেটা পারছেন না। পরিতাপের বিষয় হলো- তা সত্ত্বেও তিনি এ মহিলার সাথে কথাবার্তা বন্ধ করেননি। তিনি বলছেন যে, তিনি পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, আমরা কি তার কাছ থেকে ইলেম অর্জনে বিরত থাকব? তার দরসে বসা থেকে বিরত থাকব? শয়তান আমাকে ধাঁধায় ফেলে দিচ্ছে, আমাকে বলছে- এই আলেম যা বলে তিনি নিজে সে অনুযায়ী আমল করেন না। তার প্রতিটি কথার মধ্যে শয়তান আমাকে সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে। নাকি আমরা বলব- মানুষ মাত্রই গুনাহগার। হতে পারে এই গুনার কাছে তিনি হেরে গেছেন। আমাদের সাথে আচার ব্যবহারে তিনি আল্লাহ্‌কে ভয় করেন এটাই তো আমরা জানি। আর এ বিষয়টি একেবারে একটা গোপন বিষয়। গুটিকতক মানুষ ছাড়া এ বিষয়টি কেউ জানে না। আমি যে, এ বিষয়টি জানি তিনি তা জানেন না। নবী ছাড়া তো নিষ্পাপ কেউ নেই।

আমাদের দেশে একজন তালিবে ইল্‌ম আছে। তাঁর ইল্‌ম ভাল। তিনি আমাদেরকে ইলম অর্জন, তাকওয়া, সুন্নাহর অনুসরণ ও আলেমদের সাথে আদব মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। আমরা তাঁকে হকপন্থী সালাফী হিসেবে জানি। তিনি আমাদেরকে দ্বীনের খুঁটিনাটি যা কিছু শিক্ষা দেন আমরা তাঁকে অনুসরণ করে চলি। কুরআনে কারীম ও রাসূল (সাঃ) এর হাদিস শিক্ষাদানের জন্য তিনি সনদপ্রাপ্ত। যদিওবা আমরা উনার তাকলীদ করি, কিন্তু তিনি আমাদেরকে তাকলীদ না-করার প্রতি উৎসাহিত করেন। তিনি ফতোয়ার ক্ষেত্রে অথবা নারী হিসেবে আমাদের সাথে আচার আচরণের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌কে ভয় করেন বলে আমি মনে করি। আমি তার জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা রেখে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একজন মহিলা আমাকে অবহিত করেছেন (আমার কাছে তাকে সত্যবাদী মনে হয়) যে, এই নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। সেটা সম্পূর্ণ গোপনে। আমি আবারও বলছি সম্পূর্ণ গোপনে। মহিলাটি জানাচ্ছেন যে, তিনি এ সম্পর্ককে বিয়ের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজস্ব কিছু পরিস্থিতির কারণে তিনি সেটা পারছেন না। পরিতাপের বিষয় হলো- তা সত্ত্বেও তিনি এ মহিলার সাথে কথাবার্তা বন্ধ করেননি। তিনি বলছেন যে, তিনি পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, আমরা কি তার কাছ থেকে ইলেম অর্জনে বিরত থাকব? তার দরসে বসা থেকে বিরত থাকব? শয়তান আমাকে ধাঁধায় ফেলে দিচ্ছে, আমাকে বলছে- এই আলেম যা বলে তিনি নিজে সে অনুযায়ী আমল করেন না। তার প্রতিটি কথার মধ্যে শয়তান আমাকে সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে। নাকি আমরা বলব- মানুষ মাত্রই গুনাহগার। হতে পারে এই গুনার কাছে তিনি হেরে গেছেন। আমাদের সাথে আচার ব্যবহারে তিনি আল্লাহ্‌কে ভয় করেন এটাই তো আমরা জানি। আর এ বিষয়টি একেবারে একটা গোপন বিষয়। গুটিকতক মানুষ ছাড়া এ বিষয়টি কেউ জানে না। আমি যে, এ বিষয়টি জানি তিনি তা জানেন না। নবী ছাড়া তো নিষ্পাপ কেউ নেই।


আলহামদুলিল্লাহ্‌ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।
এ কথা সত্য যে, সকল গুনাহ থেকে মুক্ত এমন একজন মানুষও পাওয়া যাবে না। প্রত্যেক মানুষের গুনাহ রয়েছে। যে গুণার বিষয়টা শুধু সে ব্যক্তি জানে এবং তার রবব জানে। এটাই বনী আদমের প্রকৃত অবস্থা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন,

ইহুদীদের অভিশপ্ত হওয়ার ১০টি কারণ

ইহুদীদের অভিশপ্ত হওয়ার ১০টি কারণ


সূরা নিসা ১৫৫-৬১ আয়াতে ইহুদীদের ইপর আল্লাহর গযব নাযিলের ও তাদের অভিশপ্ত হওয়ার যে কারণ সমূহ বর্ণিত হয়েছে, তা সংক্ষেপে নিম্নরূপ :
(১) তাদের ব্যাপক পাপাচার (২) আল্লাহর পথে বাধা দান (৩) সূদী লেনদেন (৪) অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ (৫) অঙ্গীকার ভঙ্গ করা (৬) নবীগণকে হত্যা করা (৭) আল্লাহর পথে আগ্রহী না হওয়া এবং

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এক ক্লাসমেটের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল; আমি তওবা করেছি এবং সে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। তার কাছে আমার কিছু ছবি রয়ে গেছে। তার কিছু ছবিও আমার কাছে আছে। আমি কি সে ছবিগুলো তার থেকে ফেরত চাইব এবং তার ছবিগুলো তাকে ফেরত দিব। কারণ এগুলো রাখা তো হারাম। নাকি আমি চুপ থাকব; যাতে করে দ্বিতীয়বার তার সাথে কথা বলা এড়িয়ে চলতে পারি।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এক ক্লাসমেটের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল; আমি তওবা করেছি এবং সে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। তার কাছে আমার কিছু ছবি রয়ে গেছে। তার কিছু ছবিও আমার কাছে আছে। আমি কি সে ছবিগুলো তার থেকে ফেরত চাইব এবং তার ছবিগুলো তাকে ফেরত দিব। কারণ এগুলো রাখা তো হারাম। নাকি আমি চুপ থাকব; যাতে করে দ্বিতীয়বার তার সাথে কথা বলা এড়িয়ে চলতে পারি।


উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
কোন নারীর জন্য বেগানা পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়া নাজায়েয। কারণ এ সম্পর্ক গড়ার মধ্যে অনেক হারাম বিষয় সম্পৃক্ত। যেমন- দেখা সাক্ষাত, কথা শুনে ও কোমল কণ্ঠ শুনে মজা পাওয়া, তার কাছে মন পড়ে থাকা। আর এর বাইরে আরও যা কিছু ঘটতে পারে সেগুলো তো আরও জঘন্য ও মারাত্মক। এ ধরনের সম্পর্ক ইসলামে নিষিদ্ধ নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মাধ্যমে তৈরী হয়। যে মেলামেশা থেকে নেককার ব্যক্তিগণ উপর্যুপরি নিষেধ করে আসছেন এবং

প্রশ্ন: কাফেরদের ধর্মীয় উৎসব ও আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা নাজায়েয হওয়া সংক্রান্ত ফতোয়াগুলো আমি পড়েছি। কিন্তু আমি জানতে চাই, তাদের ব্যক্তিগত যেসব অনুষ্ঠানাদি রয়েছে যেমন- বিয়ে-সাদী, নিখোঁজ ব্যক্তির ফিরে আসা ইত্যাদি উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?

প্রশ্ন: কাফেরদের ধর্মীয় উৎসব ও আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা নাজায়েয হওয়া সংক্রান্ত ফতোয়াগুলো আমি পড়েছি। কিন্তু আমি জানতে চাই, তাদের ব্যক্তিগত যেসব অনুষ্ঠানাদি রয়েছে যেমন- বিয়ে-সাদী, নিখোঁজ ব্যক্তির ফিরে আসা ইত্যাদি উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?


আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
কাফেরদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানো নিঃসন্দেহে হারাম। এ সংক্রান্ত একাধিক ফতোয়াতে আমরা সে বিষয়টি বর্ণনা করেছি এবং এ ব্যাপারে সাবধান করেছি। ফতোয়া নং 947, 11427, 45281130 দ্রষ্টব্য।
দুই:
পক্ষান্তরে তাদের ব্যক্তিগত যেসব উপলক্ষ যেমন- বিয়ে-সাদী, স্কুলে ভাল ফলাফল করা, নতুন চাকুরী পাওয়া, রোগ মুক্ত হওয়া, সন্তান লাভ করা কিংবা ভ্রমণ শেষে ফিরে আসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর ব্যাপারে আলেমগণ মতভেদ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনটি অভিমত রয়েছে।

প্রশ্ন: অমুসলিমরা যখন আমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলে, ‘শুভ নববর্ষ’, কিংবা বলে ‘শুভ কামনা’ তখন প্রত্যুত্তরে তাদেরকে ‘আপনাদের জন্যেও অনুরূপ’ বলা কি জায়েয হবে?

প্রশ্ন: অমুসলিমরা যখন আমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলে, ‘শুভ নববর্ষ’, কিংবা বলে ‘শুভ কামনা’ তখন প্রত্যুত্তরে তাদেরকে ‘আপনাদের জন্যেও অনুরূপ’ বলা কি জায়েয হবে?


আলহামদুলিল্লাহ।
খ্রিস্টমাস (ইংরেজী নববর্ষ) কিংবা অন্য কোন বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কাফেরদেরকে শুভেচ্ছা জানানো জায়েয নয়। অনুরূপভাবে তারা যদি এসব উৎসব উপলক্ষে আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানায় সেসব শুভেচ্ছার জবাব দেয়াও আমাদের জন্য জায়েয নয়। কেননা

প্রশ্ন: ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে মুসলমানরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো ও দোয়া করা কি জায়েয? উল্লেখ্য, তারা উদযাপন করার নিয়তে তা করে না।

প্রশ্ন: ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে মুসলমানরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো ও দোয়া করা কি জায়েয? উল্লেখ্য, তারা উদযাপন করার নিয়তে তা করে না।


আলহামদুলিল্লাহ।
মুসলমানদের জন্য ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করা নাজায়েয; যেমনিভাবে এটি উদযাপন করাও জায়েয নয়। যেহেতু এ দুইটি কাজের মধ্যে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। অথচ আমাদেরকে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

প্রশ্ন: বিধর্মীদের উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?

প্রশ্ন: বিধর্মীদের উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?


আলহামদুলিল্লাহ।
খ্রিস্টমাস (বড়দিন) কিংবা অন্য কোন বিধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কাফেরদের শুভেচ্ছা জানানো আলেমদের সর্বসম্মত মতানুযায়ী হারাম। ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) তাঁর লিখিত “আহকামু আহলিয যিম্মাহ” গ্রন্থে এ বিধানটি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন: “কোন কুফরী আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। যেমন

প্রশ্ন: ভালবাসা দিবসের বিধান কি?

প্রশ্ন: ভালবাসা দিবসের বিধান কি?


উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে।
দুই:
কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় বিষয়। এ ক্ষেত্রে শরয়ি নির্দেশনার এক চুল বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন:

প্রশ্ন: আমি একটি ইসলামিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের সাথে ডেনমার্কের কিছু অমুসলিম শিক্ষক আছেন। প্রতিবছর খ্রিস্টমাসের উৎসব উপলক্ষে আমরা সকলে একটি হলরুমে একত্রিত হই, নিজেরা হালাল খাবার তৈরী করি, কোন ড্রিংক্‌স করি না। উল্লেখ্য, আমরা এ অনুষ্ঠানটি করি খ্রিস্টমাসের উৎসব শেষ হওয়ার প্রায় একমাস বা তারও বেশিদিন পর; যাতে করে তাদের উৎসবে অংশ গ্রহণ করার সংশয় থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। মুসলমান হিসেবে আমাদের এ ভোজ অনুষ্ঠানে যোগদান করা কি জায়েয হবে? আমরা তো নিজেরা খাবার প্রস্তুতে অংশ গ্রহণ করে থাকি? আল্লাহ আপনাদেরকে মোবারকময় করুন।

প্রশ্ন: আমি একটি ইসলামিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের সাথে ডেনমার্কের কিছু অমুসলিম শিক্ষক আছেন। প্রতিবছর খ্রিস্টমাসের উৎসব উপলক্ষে আমরা সকলে একটি হলরুমে একত্রিত হই, নিজেরা হালাল খাবার তৈরী করি, কোন ড্রিংক্‌স করি না। উল্লেখ্য, আমরা এ অনুষ্ঠানটি করি খ্রিস্টমাসের উৎসব শেষ হওয়ার প্রায় একমাস বা তারও বেশিদিন পর; যাতে করে তাদের উৎসবে অংশ গ্রহণ করার সংশয় থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। মুসলমান হিসেবে আমাদের এ ভোজ অনুষ্ঠানে যোগদান করা কি জায়েয হবে? আমরা তো নিজেরা খাবার প্রস্তুতে অংশ গ্রহণ করে থাকি? আল্লাহ আপনাদেরকে মোবারকময় করুন।


উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য আহলে কিতাবদের (ইহুদি ও খ্রিস্টান) খাবার খাওয়া জায়েয করেছেন। সে খাবার কোন নিমন্ত্রণ হোক, মেহমানদারি হোক, হাদিয়া হোক অথবা অন্য যে কোন প্রয়োজন বা সামাজিকতা কেন্দ্রিক হোক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদিদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন, তাদের খাবার খেয়েছেন।
তবে সে খাবার গ্রহণ তাদের সাথে মিত্রতা, বন্ধুত্ব, অন্তরঙ্গতার ভিত্তিতে হতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ):

প্রশ্ন: মুসলমানেরা যেহেতু নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মবার্ষিকী পালন করে তাহলে নবী ঈসা (আঃ) এর জন্মবার্ষিকী পালন করতে তাদের অসুবিধা কোথায়? তিনি কি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নবী নন? আমি একজন লোকের কাছ থেকে এমন কথা শুনেছি। যদিও আমি জানি খ্রিস্টমাস পালন করা হারাম। কিন্তু আমি এ প্রশ্নের জবাব চাই। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

প্রশ্ন: মুসলমানেরা যেহেতু নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মবার্ষিকী পালন করে তাহলে নবী ঈসা (আঃ) এর জন্মবার্ষিকী পালন করতে তাদের অসুবিধা কোথায়? তিনি কি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নবী নন? আমি একজন লোকের কাছ থেকে এমন কথা শুনেছি। যদিও আমি জানি খ্রিস্টমাস পালন করা হারাম। কিন্তু আমি এ প্রশ্নের জবাব চাই। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।


উত্তর:
 আলহামদুলিল্লাহ।
 এক:
ঈসা (আঃ) কে আল্লাহ তাআলা বনি ঈসরাইলের কাছে নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন মর্মে ঈমান আনা- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনার অংশ। সকল রাসূলের প্রতি ঈমান আনা ব্যতিরেকে কারো ঈমান শুদ্ধ হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ):

প্রশ্ন: যুক্তরাজ্যের যেসব মুসলমান খ্রিস্টমাস (বড়দিন) এর মৌসুমে খ্রিস্টমাসের দিন অথবা এরপরে নিজেদের বাড়ীতে তাদের মুসলিম পরিবারের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করে তাদেরকে আপনারা কি উপদেশ দিবেন। যেমন- তুর্কি মোরগের রোস্ট তৈরি করা, খ্রিস্টমাস কেন্দ্রিক অন্যান্য নৈশ খাবারের আয়োজন করা। বেলুন ও কাগুজে ফুল দিয়ে নিজেদের বাড়ীঘর সজ্জিত করা। গোপন সান্তা প্রথা পালন করা। সেটা এ রকম- প্রত্যেক আত্মীয় গোপনে উপস্থিত কারো জন্য বিশেষ একটা উপহার নির্বাচন করবে। যার জন্য উপহারটি কেনা হয়েছে তাকে দেয়ার জন্য উপহারটি অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবে; কিন্তু তাকে জানাবে না যে, সে কে? (সান্তাক্লজের ব্যাপারে আজগুবি বিশ্বাস অপনোদন করতে গিয়ে গোপন সান্তা প্রথাটি অমুসলিমদের মধ্যে যারা খ্রিস্টমাস পালন করে তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।) এই কাজটি কি হালাল; নাকি হারাম? যদি এ ধরণের অনুষ্ঠানে মুসলমান ছাড়া (আত্মীয়স্বজন ছাড়া) অন্য কেউ হাজির না হয়?

প্রশ্ন: যুক্তরাজ্যের যেসব মুসলমান খ্রিস্টমাস (বড়দিন) এর মৌসুমে খ্রিস্টমাসের দিন অথবা এরপরে নিজেদের বাড়ীতে তাদের মুসলিম পরিবারের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করে তাদেরকে আপনারা কি উপদেশ দিবেন। যেমন- তুর্কি মোরগের রোস্ট তৈরি করা, খ্রিস্টমাস কেন্দ্রিক অন্যান্য নৈশ খাবারের আয়োজন করা। বেলুন ও কাগুজে ফুল দিয়ে নিজেদের বাড়ীঘর সজ্জিত করা। গোপন সান্তা প্রথা পালন করা। সেটা এ রকম- প্রত্যেক আত্মীয় গোপনে উপস্থিত কারো জন্য বিশেষ একটা উপহার নির্বাচন করবে। যার জন্য উপহারটি কেনা হয়েছে তাকে দেয়ার জন্য উপহারটি অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবে; কিন্তু তাকে জানাবে না যে, সে কে? (সান্তাক্লজের ব্যাপারে আজগুবি বিশ্বাস অপনোদন করতে গিয়ে গোপন সান্তা প্রথাটি অমুসলিমদের মধ্যে যারা খ্রিস্টমাস পালন করে তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।) এই কাজটি কি হালাল; নাকি হারাম? যদি এ ধরণের অনুষ্ঠানে মুসলমান ছাড়া (আত্মীয়স্বজন ছাড়া) অন্য কেউ হাজির না হয়?


উত্তর:
 আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।
 যে উৎসবের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন এটা হারাম তাতে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু এর মধ্যে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে। এটা সবার জানা আছে যে, মুসলমানদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া আর কোন উৎসব নেই। সপ্তাহের ঈদের দিন হচ্ছে শুক্রবার। এর বাইরে অন্য কোন ঈদ-উৎসব নিষিদ্ধ। এর বাইরে যে কোন উৎসব হয় বিদআতের মধ্যে পড়বে;

প্রশ্ন: আমার প্রতিবেশিনী একজন আমেরিকান খ্রিস্টান। খ্রিস্টমাস উপলক্ষে তিনি আমাকে কিছু হাদিয়া পাঠিয়েছেন। আমি তাকে এ হাদিয়াগুলো ফেরত দিতে পারছি না; যাতে তিনি রেগে না যান!! আমি কি এ হাদিয়াগুলো গ্রহণ করতে পারি যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের পাঠানো হাদিয়া গ্রহণ করেছেন।

প্রশ্ন: আমার প্রতিবেশিনী একজন আমেরিকান খ্রিস্টান। খ্রিস্টমাস উপলক্ষে তিনি আমাকে কিছু হাদিয়া পাঠিয়েছেন। আমি তাকে এ হাদিয়াগুলো ফেরত দিতে পারছি না; যাতে তিনি রেগে না যান!! আমি কি এ হাদিয়াগুলো গ্রহণ করতে পারি যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের পাঠানো হাদিয়া গ্রহণ করেছেন।


উত্তর:
 আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।
 এক:
মূলতঃ কাফেরের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয; এতে করে তার সাথে সখ্যতা তৈরি হয়, তাকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা যায়। ঠিক যেমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুকাওকাস ও অন্যান্য কিছু কিছু কাফেরের হাদিয়া গ্রহণ করেছিলেন।
 ইমাম বুখারি তাঁর সহিহ গ্রন্থে একটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম দেন এভাবে: “মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ শীর্ষক পরিচ্ছেদ”। বুখারি (রহঃ) বলেন:

প্রশ্ন: বিভিন্ন বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার শরয়ি বিধান কী? যেমন- বিশ্ব পরিবার দিবস, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, আন্তর্জাতিক প্রবীণ বছর। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন- মেরাজ দিবস পালন, মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মবার্ষিকী কিংবা হিজরত বার্ষিকী পালন করার হুকুম কি। অর্থাৎ এ উপলক্ষে মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রচারপত্র প্রস্তুত করা, আলোচনাসভা বা ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন: বিভিন্ন বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার শরয়ি বিধান কী? যেমন- বিশ্ব পরিবার দিবস, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, আন্তর্জাতিক প্রবীণ বছর। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন- মেরাজ দিবস পালন, মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মবার্ষিকী কিংবা হিজরত বার্ষিকী পালন করার হুকুম কি। অর্থাৎ এ উপলক্ষে মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রচারপত্র প্রস্তুত করা, আলোচনাসভা বা ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করা ইত্যাদি।


উত্তর:
 আলহামদুলিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য)।
 আমার কাছে যা অগ্রগণ্য তা হচ্ছে- যে দিবসগুলো বা সমাবেশগুলো প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে আসে সেগুলো বিদআতী ঈদ বা নবপ্রচলিত উৎসব। এগুলো ইসলামি শরিয়তে নব-সংযোজন; যেগুলোর পক্ষে আল্লাহ তাআলা কোন দলিল-প্রমাণ নাযিল করেননি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা নব-প্রচলিত বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ প্রতিটি অভিনব বিষয়— বিদআত। আর প্রতিটি বিদআত হচ্ছে— ভ্রান্তি।” [মুসনাদে আহমাদ, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিযি]
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন:

প্রশ্ন: আমরা ইসলামি শরিয়ার আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই মুসলমানেরা অমুসলমানের প্রতি কোন দৃষ্টিতে তাকাবে এবং অমুসলমানদের সাথে কী ধরনের আচরণ করবে।

প্রশ্ন: আমরা ইসলামি শরিয়ার আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই মুসলমানেরা অমুসলমানের প্রতি কোন দৃষ্টিতে তাকাবে এবং অমুসলমানদের সাথে কী ধরনের আচরণ করবে।


সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
১. ইসলাম রহমত ও ন্যায়ের ধর্ম। ইসলাম মানুষের হেদায়েতের জন্য এবং মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বের করে আনার জন্য চেষ্টা করে।
২. হেকমত, সুন্দর উপদেশ ও উত্তম পন্থায় বিতর্কের মাধ্যমে অমুসলমানদেরকে দাওয়াত দেয়ার জন্য মুসলমানদেরকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা জুলুম করেছে।”[সূরা আনকাবুত, আয়াত: ৪৬]
৩. ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম আল্লাহর নিকট গ্রহণীয় নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন:

ব্যাংকের সুদ কি হালালঃ ইলাহী ও নববী বিধান

ইলাহী ও নববী বিধান


ইলাহী বিধান ঃ

﴿الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبا لا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبا وَأَحَلَّ اللهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا﴾

অর্থাৎ, যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই অবস্থায় উঠবে যে অবস্থা হয় একজন শয়তান (জিন) পাওয়া লোকের। তাদের উক্তরূপ হাশর হওয়ার কারণ এই যে, তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতই! অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।[1]

ব্যাংকের সুদ কি হালালঃ অনুবাদকের কথা

অনুবাদকের কথা


চকচক করলেই সোনা হয় না। সোনা চেনা দায়। সোনা চিনতে কষ্টিপাথর কিনে তাতেও যদি ভেজাল থাকে তাহলে আরো বড় দায়। কুরআন-হাদীসের কষ্টিপাথরে ভুল বুঝ ও ব্যাখ্যার ভেজাল থাকলে সত্যই যে সংকটাবর্তের সৃষ্টি হয় তা ফিৎনা ছাড়া আর কি? ব্যবসা মাত্রেই হালাল নয়। হারাম বস্ত্তর ব্যবসা, হারাম মিশ্রিত বা সন্দিগ্ধ ব্যবসা তথা হারাম উপায়ে ব্যবসা অবশ্যই হারাম। আর যা হারাম তার সহায়তা করাও হারাম।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

ব্যাংকের সুদ কি হালালঃ ভূমিকা

ভূমিকা


إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا، من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له، وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمداً عبده ورسوله، أما بعد :

ইসলাম বিশ্বজনীন ও কালজয়ী ধর্ম। এর আহকাম ও নির্দেশাবলী ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ। ইসলাম শান্তি, সন্ধি ও নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলাম ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রীতি, মিলন, সহানুভূতি ও সমবেদনার ধর্ম। ইসলাম উন্নয়ন ও বদান্যতার ধর্ম। যার আহকাম ও নীতিমালায় রয়েছে সরলতা ও উদারতা।
 সঙ্কীর্ণতা, কঠিনতা, জটীলতা ও কষ্ট-সমষ্টির নাম ইসলাম নয়। সভ্যতা ও সংস্কৃতির কোন কোণকেই ইসলাম তার অনুসারীদের বিবেকে অগ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে না। বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং

সুদের অবৈধতা

সূদের অবৈধতা


আল্লাহ তাআলা সুদকে সর্বতোভাবে কঠোররূপে হারাম গণ্য করেছেন এবং সুদখোরদের বিরুদ্ধে তিনি ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করে মানবজাতিকে ভীতিপ্রদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন:

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ (278) فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنَ اللهِ وَرَسُولِهِ وَإِنْ تُبْتُمْ فَلَكُمْ رُؤُوسُ أَمْوَالِكُمْ لا تَظْلِمُونَ وَلا تُظْلَمُونَ﴾

অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (লোকদের নিকট) তোমাদের সুদের যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও--- যদি তোমরা ঈমানদার হও। আর যদি তোমরা এরূপ না কর (সুদ না ছাড়) তবে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা কবুল করে নাও। কিন্তু

সুদখোরের নিন্দাবাদ কুরআন ও হাদিসে

সুদখোরের নিন্দাবাদ


আল্লাহ তাআলা বলেন:

﴿الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبا لا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبا وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا﴾

অর্থাৎ, যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই অবস্থায় উঠবে যে অবস্থা হয় একজন শয়তান (জিবন) পাওয়া লোকের। তাদের উক্তরূপ হাশর হওয়ার কারণ এই যে, তারা বলে, ব্যবসা তো সুদের মতই! অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। (সূরা বাক্বারাহ ২৭৫ আয়াত)
হযরত জাবের রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত,

‘সূদ’ বা সুদ এর সংজ্ঞার্থ

‘সূদ’ এর সংজ্ঞার্থ


কুরআন ও হাদীসের পরিভাষায় সুদকে (ربا) ‘রিবা’ বলা হয়। এই শব্দের মূল ধাতু হল (ر ب و ) যার আভিধানিক অর্থ হল, বাড়, বৃদ্ধি, আধিক্য, স্ফীতি প্রভৃতি।  رَبَاঅর্থাৎ বেড়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে। ربا السويق অর্থাৎ ছাতু ঘোলার পর ফেঁপে উঠেছে। ربا في حجره অর্থাৎ সে তার কোলে প্রতিপালিত (বড়) হয়েছে। أربى الشيء সে জিনিসটাকে বাড়িয়েছে ইত্যাদি অর্থ অভিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।
 কুরআন মাজীদেও উক্ত শব্দ ‘বৃদ্ধি’র অর্থে ব্যবহূত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:

জাহেলিয়াতের সুদ

জাহেলিয়াতের সুদ


এবারে আসুন, আমরা দেখি, জাহেলিয়াতের সুদ কেমন ছিল; যে সুদের অবৈধতার উপর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং যে ব্যাপারে নবী (সাঃ) এর রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
 জাহেলিয়াতের যুগে কারবারের যে পদ্ধতিকে ‘রিবা’ বা সুদ বলা হত তার বিভিন্ন ধরন একাধিক বর্ণনায় পাওয়া যায়।
 কারবারের একটি ধরন এরূপ ছিল;
হযরত কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

ব্যবসা এবং সুদের মধ্যে পার্থক্য

ব্যবসা এবং সুদের মধ্যে পার্থক্য


ব্যবসা বা ক্রয়-বিক্রয় এই যে, বিক্রেতা কোন জিনিসকে বিক্রয় করার জন্য পেশ করে। বিক্রেতা ও ক্রেতার মাঝে সেই জিনিসের দাম কত তা নির্দিষ্ট ও নিষ্পত্তি হয়। অতঃপর সেই দাম বা মূল্যের বিনিময়ে ক্রেতা সেই জিনিসটাকে বিক্রেতার নিকট থেকে গ্রহণ করে।
 পক্ষান্তরে সুদ এই যে, কোন ব্যক্তি তার মূলধন কোন অপর এক ব্যক্তিকে ধার দেয় এবং এই শর্ত আরোপ করে যে, ‘এত সময়ের মধ্যে আসলের উপর এত টাকা বেশী নেব।’ আসল টাকা ছাড়া এ বাড়তি টাকার নামই হল সুদ। যা কোন জিনিসের মূল্য নয় বরং তা হল কেবল (ঋণ গ্রহীতাকে তার ঋণ পরিশোধে) কিছু সময় ও অবকাশ দেওয়ার বিনিময়।
 অতএব ব্যবসা এবং সুদ এই উভয় প্রকার লেন-দেন নিয়ে একটু চিন্তা-ভাবনার পর নিম্নোক্ত পার্থক্য পরিদৃষ্ট হয়ঃ-

সুদ ও ভাড়া বা মজুরীর মাঝে পার্থক্য

সুদ ও ভাড়া বা মজুরীর মাঝে পার্থক্য


আমরা প্রথমেই একথা আলোচনা করেছি যে, সুদ অতিরিক্ত ও বাড়তি কিছুর নাম। পক্ষান্তরে মজুরীর আভিধানিক অর্থ হল ‘সেবার বিনিময়ে দেয় পরিবর্ত বা অর্থ।’ আর ভাড়া বলে (সাময়িক ব্যবহারের বিনিময়ে নির্দিষ্ট কালান্তরে দেয় অর্থ। অর্থাৎ) সেই নির্দিষ্ট মুনাফার মূল্যকে ভাড়া বলা হয়, যার উপর উভয়পক্ষ (ভাড়াদাতা ও গ্রহীতা) আপোসে চুক্তি করে নেয়। বুঝা গেল যে, মজুরী বা ভাড়া এবং মুনাফা (উপকার লাভ) এর মাঝে রয়েছে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। আল্লামা ইবনে কুদামা (রাহিমাহুল্লাহু) বলেন, ‘ইজারাহ’ ‘আজ্র’ মূলধাতু থেকে উৎপত্তি। যার অর্থ হল বিনিময় বা পরিবর্ত। এই অর্থেই সওয়াব বা নেকীকে ‘আজ্র’ বলা হয়। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর আনুগত্যের বিনিময়ে বদলা বা মজুরী দান করেন।
 এ থেকে পরিষ্কার হল যে,

আমানত ও গচ্ছিত ধন

আমানত ও গচ্ছিত ধন


ফিক্হবিদগণ إيداع ‘ঈদা’ শব্দের সংজ্ঞা এরূপ করেছেন,

تسليط الغير على حفظ ماله.

অর্থাৎ নিজের মাল হিফাযতে রাখার উদ্দেশ্যে অপরকে ভারার্পণ করা।
 আর وديعة (আমানত) সেই মালকে বলা হয় যা আমানতদারের নিকট (গচ্ছিত) রাখা হয়। বর্তমান কালের ব্যাংকে ডিপোজিট্ রাখা টাকা শরয়ী অর্থে আমানত এই হিসাবে বলা হয় যে, ব্যাংকে টাকা জমাকর্তা এই উদ্দেশ্যে জমা করে, যাতে তার টাকা হিফাযতে থাকে এবং প্রয়োজন সময়ে তা চাইবা মাত্র ফিরে পাওয়া যায়।
 কিন্তু তা আমানত বললেও

ঋণের সংজ্ঞা

ঋণের সংজ্ঞা


ঋণের নিম্নরূপ সংজ্ঞা করা হয়েছে,

دفع مال لمن ينتفع به ويرد بدله

অর্থাৎ এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তিকে কোন মাল (ধার) দেওয়া, যাতে সে (বর্তমানে) নিজের প্রয়োজন মিটাতে পারে এবং পরে সে তার এ (দেনার) পরিবর্ত ফিরিয়ে দেয়।
 কর্জ বা ঋণ লেন-দেন করার সময় ঋণের নির্দিষ্ট পরিমাণ, তার গুণ ও বৈশিষ্ট্য (কোয়ানটিটি ও কোয়ালিটি) জেনে রাখা একান্ত জরুরী।
 সমাজের মানুষের সুবিধার্থে ইসলামী শরীয়তে কর্জ নেওয়া-দেওয়াকে বৈধ করা হয়েছে। কিন্তু এ ঋণ ব্যবস্থা অর্থ উপার্জনের কোন প্রকার অসীলা বা উপায় বলে বিবেচিত নয় এবং

সূদ- সুদ প্রতিহত করার বিভিন্ন পদ্ধতি

সূদ প্রতিহত করার বিভিন্ন পদ্ধতি


ইসলাম যখন কোন বস্ত্তকে হারাম ঘোষণা করে, তখন সেই বস্ত্তর কাছে পৌছে দেয় এমন সকল প্রকার রাস্তা উপায়, উপকরণ, অসীলা ও ছিদ্রপথকেও এক সঙ্গে বন্ধ করে দেয়। বরং যে স্থান হতে সেই বস্ত্তর প্রতি যাওয়ার জন্য উদ্যোগ শুরু হয় সেই স্থানেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়। যাতে মানুষ তার নিকটেও পৌঁছতে না পারে।
 বলা বাহুল্য, ইসলাম প্রত্যেক সেই জিনিসকে হারাম ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যা মুসলিমকে সূদ পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এবং যা সূদের অসীলা ও ছিদ্রপথ। আমরা নিম্নে এমন কয়েকটি জিনিস নিয়ে আলোচনা করব যাকে সূদের উপায় ও পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইসলাম নিষিদ্ধ বর্ণনা করেছেঃ-
  1. রিবাল ফায্লঃ

সূদ বা সুদ খাওয়ার কতিপয় নয়া পদ্ধতি

সূদ খাওয়ার কতিপয় নয়া পদ্ধতি


সূদ খাওয়ার বহু ধরনেরই বাহানা ও পথ রয়েছে যা গণনা করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক যুগেই সূদখোর লোকেরা সুদ খাওয়ার নিত্যনতুন পথ ও পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে এবং তার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর শরীয়তকে ধোঁকা দিতে প্রয়াস পেয়েছে। এই ধরনের কিছু পথ ও পদ্ধতির কথা আমরা এখানে উল্লেখ করছিঃ-
১- বাই-এ ঈনাহঃ-

সুদের অপকারিতা

সূদের অপকারিতা


প্রিয় পাঠক! এবারে আসুন আমরা সমীক্ষা করে দেখি যে, ইসলাম কেন সূদকে নিষিদ্ধ ও কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করেছে? সূদের মধ্যে কি এমন ক্ষতি, অপকারিতা ও অনিষ্টকারিতা আছে? মানুষের চরিত্রে, সমাজে, রাষ্ট্রে এবং সারা বিশ্বে কি এমন মন্দ প্রভাব ও ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে সূদে? যার প্রেক্ষিতে না তো সূদ কোন বিবেক ও যুক্তিসম্মত। না তা ন্যায়পরায়ণতার অনুকূল। আর না-ই তা জীবন-জীবিকার কোন অপরিহার্য ও প্রয়োজনীয় লেন-দেন।
 এক্ষণে আমরা এ অভিশপ্ত বস্ত্তর বিভিন্ন দিক থেকে

সুদের চরিত্রগত ও নৈতিক ক্ষতি

সূদের চরিত্রগত ও নৈতিক ক্ষতি


সচ্চরিত্র ও আত্মা মানবতার মৌলিক উপাদান। আমাদের এই উপাদানে যা ক্ষতিসাধন করে তা সর্বাবস্থায় পরিত্যাজ্য; চাহে তার অন্যান্য উপকারিতা যতই বর্ণনা করা হোক না কেন। এখন যদি আপনি সূদের মনস্তাত্ত্বিক সমীক্ষা করেন তাহলে বিদিত হবেন যে, অর্থ সঞ্চয় করার আকাঙক্ষা থেকে শুরু করে সূদী কারবারের বিভিন্ন পর্যায় ও অবস্থান্তরে পূর্ণ মানসিক আচরণ স্বার্থপরতা, কৃপণতা, সংকীর্ণমনতা, নির্মমতা এবং

সুদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতি

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষতি


যে সমাজের সদস্যরা পরস্পর স্বার্থপরতাপূর্ণ ব্যবহার করে; নিজ নিজ স্বার্থ ও লাভ ছাড়া কেউ কারো কাজে না আসে এবং একজনের অভাব ও অর্থ প্রয়োজন দেখা দিলে অপর জনের মুনাফা অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ লাভ হয়, এমন নির্মম সমাজ কোনদিন সুপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বরং সে সমাজ চিরকালের জন্য বিশৃঙ্খলা ও বৈষম্যের দিকে ঝুঁকে যায়। ঠিক এর বিপরীত যে সমাজের সমাজ-ব্যবস্থা আপোসে সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহারের ভিত্তিতে পরিচালিত, যার সদস্যগণ পরস্পর দানশীলতার সহিত সদ্ব্যবহার করে,

সুদের অর্থনৈতিক ক্ষতি

অর্থনৈতিক ক্ষতি


জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতি সম্পর্কীয় বিভিন্ন দিক দিয়েও সূদের অপকারিতা এত বেশী যে, রাজনীতিবিদ্ এবং অর্থনীতিজ্ঞ বড় বড় পন্ডিতগণ এ কথা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, সারা বিশ্ব আজ যে সকল সংকটের সম্মুখীন তার পশ্চাতে রয়েছে সূদের হাত। তাঁরা এ কথাও বলেছেন যে, বিশ্বের অর্থ-ব্যবস্থা কখনই সফলতা অর্জন করতে পারে না; যদি না সূদী কারবারকে শূন্যের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়; অর্থাৎ সূদকে তার মূল ও বুনিয়াদ থেকে নির্মূল করে উৎখাত না করা পর্যন্ত অর্থনৈতিক সফলতা আদৌ সম্ভব নয়।
 এক অর্থনীতি-বিশেষজ্ঞ সত্যই বলেছেন,

সরকারের বৈদেশিক ঋণ

সরকারের বৈদেশিক ঋণ


এবারে দেখুন, সরকার দেশের বাইরের বিদেশী মহাজনদের নিকট থেকে যে ঋণ গ্রহণ করে তাতে অর্থনৈতিক কি ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে; এ ধরনের ঋণ সাধারণতঃ ১০/২০ কোটির মাত্রা অতিক্রম করে ১০০ থেকে ১০০০০ কোটির পর্যায়ে পৌঁছে থাকে। এ ধরনের ঋণ সরকার সাধারণতঃ তখন গ্রহণ করে থাকে যখন দেশে কোন অস্বাভাবিক সংকটাবর্ত ও দুরবস্থা আপতিত হয় এবং দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক উপায়-উপকরণ সে বিপদ থেকে নিস্কৃতি লাভে যথেষ্ট প্রমাণিত হয় না। আবার

কারবারে বিভিন্ন প্রকারভেদ (DIFFERENT KINDS OF BUSINESS)

কারবারে বিভিন্ন প্রকারভেদ (DIFFERENT KINDS OF BUSINESS)


মালিকানার দিক থেকে কারবার তিন প্রকারেরঃ-
১- ব্যক্তিগত (PRIVATE  PROPRIETORSHIP) কারবার।
২- অংশীদারী (PARTNERSHIP) কারবার।
৩- যৌথ (JOINT STOCK  COMPANY) কারবার।
 প্রথমোক্ত দুই প্রকারের কারবার ও ব্যবসা মানুষ যখন থেকে কারবার করতে শুরু করেছে, তখন থেকেই প্রচলিত। ইসলামী ফিক্হবিদগণ উভয়ের মৌলিক ও সবিস্তার বিবরণ এবং বিভিন্ন রীতি-নিয়ম (ফিক্হ গ্রন্থে) উল্লেখ করেছেন। এই শ্রেণীর কারবারের বর্তমান পরিস্থিতি অতীতের থেকে মৌলিকভাবে ভিন্নতর নয়। আর এ জন্যই এখানে আমরা তার বিস্তারিত আলোচনার দিকে যাচ্ছি না। সুতরাং

কোম্পানীর পরিচিতি

কোম্পানীর পরিচিতি


কোম্পানীর আভিধানিক অর্থ হল সংঘ। অবশ্য কখনো কখনো ‘সঙ্গী’র অর্থেও ব্যবহার করা হয়। ইউরোপে শিল্পিক বিপলব বিকাশ হওয়ার পরে সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বড় বড় কারখানা প্রতিষ্ঠিত করার নিমিত্তে যখন বিরাট অংকের পুঁজির প্রয়োজন দেখা দিল; পরন্তু ঐ পরিমাণ পুঁজি কোন এক ব্যক্তি বা কতিপয় ব্যক্তি দ্বারা জমা বা যোগাড় করা সম্ভবপর ছিল না,

কোম্পানীর গঠন-পদ্ধতি


কোম্পানীর গঠন-পদ্ধতি


সর্ব প্রথমে অভিজ্ঞ ও সুকৌশলী ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ অনুযায়ী একটি রিপোর্ট প্রস্ত্তত করা হয়। যে কারবার শুরু করা হবে তার কার্যক্ষমতা ও পরিধি কতদূর? এর জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও পুঁজি কত পরিমাণ প্রয়োজন হতে পারে? এবং বাণিজ্যিক্ দিক থেকে কারবার কতটুকু উপকারী হবে--- এসব কিছু উক্ত রিপোর্টে স্থির করা হয়। একে সম্পাদন-যোগ্যতার প্রতিবেদন (FEASIBILITY REPORT) বলে।
 অতঃপর কোম্পানীর একটা সংক্ষিপ্ত কাঠামো তৈরী করা হয়। যাতে কোম্পানীর নাম, কারবারের রকমত্ব, প্রয়োজনীয় পুঁজি,

লভ্যাংশ বিভাজন ও বন্টন

লভ্যাংশ বিভাজন ও বন্টন


সারা বছর ধরে কারবার চালাবার পর কোম্পানী বার্ষিক লাভের হিসাব খতিয়ে দেখে। সর্বমোট লাভ কত দাঁড়ালো তা নিরূপণ করে নেয়। অতঃপর মোট লাভ থেকে কিছু অংশ সাবধানতা-পূর্বক সংরক্ষিত রাখা হয়; যাতে আগামীতে কোম্পানী কোন ক্ষতি বা নোকসানের শিকার হলে তা থেকে তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব হয়। একে বলা হয় (RESERVE) সংরক্ষণ।
 সাবধানতাপূর্বক এ অর্থ বের করে নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা শেয়ার হোল্ডার্সদের মাঝে ভাগ-বন্টন করা হয়।
 এই বিভাজনের হয় দুটি পদ্ধতি;

ব্যাংকের পরিচিতি

ব্যাংকের পরিচিতি


BANK শব্দটি ইটালী ভাষার BANCO শব্দ থেকে উদ্ভুত। যার অর্থ হল DESK (ডেস্ক্) অথবা TABLE (টেবিল)। যেহেতু সে যুগের লোকেরা টাকাপয়সার অনুরূপ কারবারকারীরা ডেস্ক্ অথবা টেবিল নিয়ে বসত, তাই তার নাম BANK  বলে প্রসিদ্ধ হয়ে যায়।
 ব্যাংক এমন এক বাণিজিক-প্রতিষ্ঠানের নাম; যে জনসাধারণের অর্থ নিজের কাছে জমা ও সঞ্চয় করে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং

ব্যাংকের ঐতিহাসিক পটভূমিকা

ব্যাংকের ঐতিহাসিক পটভূমিকা


পাশ্চাত্য দেশে ব্যাংকের সূচনা এইভাবে হল যে, লোকেরা নিজ নিজ সোনা স্বর্ণকারদের নিকট জমা করে রাখত। ( কারণ সে যুগে নোটের প্রচলন ছিল না।) স্বর্ণকাররা এ স্বর্ণের সমপরিমাণ অর্থের রসিদ লিখে দিত। রসিদে একথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকত যে, রসিদবাহকের এত পরিমাণ সোনা অমুক স্বর্ণকারের নিকট গচ্ছিত রয়েছে। অতঃপর ধীরে ধীরে রসিদসমূহ ক্রয়-বিক্রয়, ঋণ পরিশোধ ও আপোসে দেনা-পাওনার কাজে একজন হতে অন্য জনের নিকট স্থানান্তরিত হতে লাগল, কারণ

অর্থসংস্থানের বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাংকের প্রকারভেদ

অর্থসংস্থানের বিভিন্ন দিক থেকে ব্যাংকের প্রকারভেদ


বর্তমান বিশ্বে কয়েক প্রকারেরই ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যাংক বিশেষ বিশেষ বিভাগে অর্থসংস্থানের কাজ করে থাকে। আর অপর কিছু ব্যাংক সাধারণভাবে অর্থসংস্থানের কাজ করে। এভাবে ব্যাংকসমূহ নিম্নোক্ত প্রকারে বিভক্তঃ-
১- কৃষি উন্নয়নমূলক ব্যাংক (AGRICULTURAL BANK)। এ ব্যাংক কৃষিকার্যের সকল ক্ষেত্রে ঋণ সরবরাহ করে থাকে।
 ২- শিল্পোন্নয়নমূলক ব্যাংক (INDUSTRIAL BANK)। এর কাজ হল বিভিন্ন শিল্পকর্মের উন্নতিকল্পে ঋণ সরবরাহ করা।
 ৩- প্রগতিমূলক ব্যাংক (DEVELOMENT BANK)। এ ব্যাংক যে কোনও প্রগতি ও উন্নয়মূলক কাজে ঋণ সরবরাহ করে থাকে।

ব্যাংক প্রতিষ্ঠা

ব্যাংক প্রতিষ্ঠা


মূলগত দিক থেকে ব্যাংক হল ‘জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী’র নাম। ব্যাংক জনসাধারণকে তাদের অর্থ জমা ও গচ্ছিত রাখতে আহ বান জানায়; যাকে ইংরাজীতে ডিপোজিট্স (DEPOSITS) বলা হয়। এই ডিপোজিট কয়েক প্রকারের হয়ঃ-
১- কারেন্ট একাউন্ট (CURRENT ACCOUNT বা চলতি আমানত)। এই একাউন্টে জমা রাখা টাকার উপর সূদ পাওয়া যায় না। এতে গচ্ছিত টাকা যে সময়ে ও যে পরিমাণে ইচ্ছা বিনা বাধায় তুলতে পারা যায়।
 ২- সেভিং একাউন্ট (SAVING ACCOUNT বা সঞ্চয়ী খাতা)। এই একাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য সাধারণতঃ

ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যাবলী

ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যাবলী


পুঁজি জমা রাখার পর ব্যাংক কয়েক প্রকার ভূমিকা পালন করে; যেমন অর্থসংস্থান ও বিনিয়োগ করা, অর্থ-বৃদ্ধি করা, আমদানী ও রপ্তানীতে মধ্যস্থতা করা প্রভৃতি। এখন আমরা উক্ত ভূমিকাগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবঃ-

ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি

ঋণ দেওয়ার পদ্ধতি


ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের এমন সীমাহীন এখতিয়ার থাকে না যে, সে যেখানে ইচ্ছা সেখানে এবং যত ইচ্ছা তত পরিমাণে ঋণ সরবরাহ করতে পারে। বরং রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে একটা সীমা নির্দিষ্ট করা হয়। সেই সীমার অনুবর্তী হয়ে ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে পারে। উক্ত ‘সীমা’কে ইংরাজীতে CREDIT CEILING বলা হয়। যেমন বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয় তা এই যে,

আমদানী-রপ্তানীর ব্যাপারে ব্যাংকের ভূমিকা

আমদানী-রপ্তানীর ব্যাপারে ব্যাংকের ভূমিকা


ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যাবলীর মধ্যে একটি কাজ এটাও যে, ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক অপরিহার্য মাধ্যম। ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব ও মারফৎ ব্যতীত আমদানী (IMPORT) রপ্তানী (EXPORT)  সম্ভব নয়।
 এর বিস্তারিত বিবরণে এই বলা যায় যে, যখন কোন ব্যক্তি বহির্দেশ থেকে কোন জিনিস আমদানী (IMPORT) করতে চায়, তখন সেই দেশের বণিক এ কথার নিশ্চয়তা চায় যে, যখন সে ঈপ্সিত বস্ত্ত ক্রেতার নিকট পাঠাবে, তখন ক্রেতা সত্যসত্যই তার মূল্য আদায় করে দেবে। এ জন্যই আমদানী ও রপ্তানীকারীকে নিশ্চয়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাংক থেকে একটি জমানতনামা (যামিনপত্র) গ্রহণ করা হয়। এতে ব্যাংক বিক্রেতাকে একথার গ্যারান্টি দেয় যে,

অর্থ উৎপাদনের কাজ

অর্থ উৎপাদনের কাজ


ব্যাংকের আর এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল পূর্বে জমাকৃত অর্থে বৃদ্ধিসাধন করে অর্থের সম্প্রসারণ বাড়ানো এবং অর্থভান্ডারে উন্নতি সাধন করা। একেই বলা হয় অর্থ উৎপাদন করা। নিম্নে এর বিস্তারিত বিবরণ প্রদত্ত হলঃ-
লোকেরা যখন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে, তখন নগদ (নোট) আকারে নেওয়া নিষ্প্রয়োজন মনে করে। বরং ঋণদানের সাধারণ নিয়ম এই হয় যে, ব্যাংক ঋণগ্রহীতার নামে এক একাউন্ট খুলে তাকে চেক্ বই সোপর্দ করে। যাতে প্রয়োজনমত চেক্ লিখে এ চেক্ মারফৎ টাকা প্রদান করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ,

ব্যাংকের ধ্বংসকারিতা

ব্যাংকের ধ্বংসকারিতা


ব্যাংকের আলোচনা প্রসঙ্গে মওলানা মওদূদী (রঃ) লিখেছেন, ‘‘এভাবে পুঁজিপতিদের সংগঠন কায়েম হওয়ার পর প্রথম যুগের একক ও বিক্ষিপ্ত মহাজনদের তুলনায় বর্তমানের একত্রীভূত ও সংগঠিত পুঁজিপতিদের মর্যাদা, প্রভাব ও অবস্থা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে এবং এর ফলে সারা দেশের ধন-সম্পদ তাদের নিকট কেন্দ্রীভূত হয়ে গেছে। আজকের দিনে এক একটি ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা জমা হয়। মুষ্টিমেয় কয়েকজন প্রভাবশালী পুঁজিপতি এগুলো নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। এ পদ্ধতিতে তারা কেবল নিজের দেশের নয় বরং সারা দুনিয়ার অর্থনৈতিক, তমদ্দুনিক ও রাজনৈতিক জীবনের উপর চরম স্বার্থান্ধতা সহকারে কর্তৃত্ব করতে থাকে।
 এদের শক্তিমত্তা আন্দাজ করার জন্য কেবল এতটুকুই বলা যথেষ্ট যে,

ব্যাংকের বৈধ কার্যাবলী

ব্যাংকের বৈধ কার্যাবলী


ব্যাংক প্রসঙ্গে যে সমালোচনা করা হল তার অর্থ এই নয় যে, ব্যাংকের সারা কাজ-কারবারই ভুল, নাজায়েয ও হারাম এবং এর সহিত কোন প্রকারেরই লেনদেন বৈধ হতে পারে না। কারণ ব্যাংক অনেক এমন কল্যাণকর ও বৈধ কর্মও সম্পাদন করে থাকে, যা বর্তমান যুগের কৃষ্টিময় জীবন এবং লেনদেন ও ব্যবসায় সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে উপকারী বটে এবং জরুরীও। বস্ত্ততঃ ব্যাংকও আধুনিক সভ্যতার আলোকে গড়ে উঠা বহু জিনিসের মতই এমন এক উপকারী জিনিস যাকে শুধুমাত্র একটি শয়তানী উপাদান (সূদ) এর মিশ্রণ নোংরা করে রেখেছে।
 এ ব্যাপারে ব্যাংক যে সকল বৈধ খিদমত আঞ্জাম দেয় তা সংক্ষেপে বর্ণনা করি-

ব্যাংকের সূদকে হালালকারীদের বিভিন্ন দলীল ও তার জবাব

ব্যাংকের সূদকে হালালকারীদের বিভিন্ন দলীল ও তার জবাব


কতক লোক বড় জোরশোর করে এই আওয়াজ তুলছে যে, সাম্প্রতিক কালে সূদ ব্যাপক বিপত্তির আকার ধারণ করেছে, (যা থেকে বাঁচা কঠিন।) আর এ কথাও বারংবার আওড়ানো হয়ে থাকে যে, সূদ অর্থনীতির বিভিন্ন বুনিয়াদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বুনিয়াদরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কেননা সমস্ত রকমের বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কোম্পানীই সূদী কারবার করে থাকে; যার প্রতি উম্মাহ ও জাতি একান্ত মুখাপেক্ষী। আর ব্যাংকের সাথে বিভিন্ন কারবার ও লেন-দেন না করা জাতির স্বার্থের প্রতিকূল। কারণ

১- ব্যবসায় উভয়পক্ষের সম্মতি এবং ব্যাংকের সূদ

১- ব্যবসায় উভয়পক্ষের সম্মতি এবং ব্যাংকের সূদ


আল্লাহ বলেন,

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ﴾

অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে তোমাদের পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে ব্যবসা করে খেতে পার।[1]
উক্ত আয়াতের ভিত্তিতে ব্যাংকের সূদকে অনেকে হালাল বলে প্রতিপাদিত করতে অপচেষ্টা করেছেন। কারণ ব্যাংকিং লেনদেনের ক্ষেত্রেও উভয় পক্ষের সম্মতি থাকে, তাতে কেউ কাউকে শোষণও করে না এবং

২- ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও ব্যাংকের সূদ

২- ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও ব্যাংকের সূদ


ব্যাংকের সূদকে হালালকারিগণ এই বলেন যে, কুরআন ও হাদীসে যে সূদকে হারাম বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তা হল সেই ঋণের উপর সূদ--যা মানুষ তার ব্যক্তিগত অভাব ও প্রয়োজন দূরীকরণের উদ্দেশ্যে (ঋণ) গ্রহণ করে থাকে। অর্থাৎ নিজের প্রয়োজন মিটানো বা ক্ষুন্নিবারণের উদ্দেশ্যে অথবা ছেলে-মেয়ের বিবাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঋণ করে যে সূদ দিতে হয়, সেই সূদই ঋণদাতার পক্ষে হারাম। কারণ এতে গরীব শোষণ হয় এবং অভাবীর অভাবকে অর্থকরী সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আর সূদখোর বলে,

৩- টাকা জমাকর্তাদের সহিত ব্যাংকের সম্পর্ক

৩- টাকা জমাকর্তাদের সহিত ব্যাংকের সম্পর্ক


ব্যাংকে যারা টাকা জমা রাখে, সে টাকা তারা ব্যাংকে ঋণস্বরূপ প্রদান করে, নাকি আমানতস্বরূপ গচ্ছিত রাখে তা প্রথমে নির্ধারণ হওয়া উচিত। এবারে আমানতস্বরূপ যে জিনিস রাখা হয়, তা চুরি হয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা কোন প্রকার নষ্ট হয়ে গেলে আমানতদার (যার কাছে আমানত রাখা হয় সে) এ জিনিসের জমানত বা দায়িত্ব নেয় না। তার জন্য সে গচ্ছিত (বিনিমেয়) জিনিস ফিরিয়ে দেওয়াও জরুরী নয়। তবে হ্যাঁ, সে যদি আমানতে খেয়ানত করে (নষ্ট করে) বা রক্ষণা-বেক্ষণে অবহেলা ও ত্রুটি প্রদর্শন করে, তাহলে কিন্তু সে এ জিনিসের যামিন হবে এবং তাকে তার খেসারত আদায় করতে হবে। আর এতে কোন দ্বিমত নেই যে, ব্যাংক জমাকর্তাদের টাকার যামিন থাকে। সুতরাং বুঝা গেল কোন অবস্থাতেই সে টাকা ব্যাংকের নিটক আমানতস্বরূপ নয়। আর যে ব্যক্তি যে জিনিসের যামিন হয়, সে তার লাভনোকসানের অধিকারীও হয়। কেননা নবী করীম (সাঃ) বলেন,

৪- ‘মুযারাবাহ’ (THE SPECULATION বা ঝুঁকিবিশিষ্ট অংশীদারী) ও ব্যাংকিং কারবার

৪- ‘মুযারাবাহ’ (THE SPECULATION বা ঝুঁকিবিশিষ্ট অংশীদারী) ও ব্যাংকিং কারবার


ব্যাংকের সূদকে হালাল ও জায়েয নিরূপিত করার জন্য একটি বিস্ময়কর তথা অবান্তর কথা এও বলা হয়ে থাকে যে, ব্যাংকের কারবার শরীয়ত-অনুমোদিত মুযারাবাহ[1] (অংশীদারী) ব্যবসায় ও কারবারের মতই! অর্থাৎ ব্যাংক জমাকর্তাদের নিকট থেকে তাদের টাকা ‘মুযারাবাহ’ হিসাবে গ্রহণ করে। যে টাকার মালিক থাকে জমাকর্তা। অতঃপর ব্যাংক সে টাকার মালিক হয়ে অপরকে তা মুযারাবায় লাগানোর জন্য প্রদান করে। আর এ ক্ষেত্রে যাকে টাকা দেওয়া হয়, সে হয় ব্যাংকের মুযারিব (তার টাকায় ব্যবসাকারী)।
 কিন্তু বাস্তবে এ ধারণা শরীয়ত অনুমোদিত মুযারাবাহ থেকে সম্পূর্ণম ভিন্ন। কেননা

৫- রিবাল ফায্ল (একই শ্রেণীভুক্ত দুটি জিনিসের হাতে-হাতে বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাড়তি অংশ) ও ব্যাংকের সূদ

৫- রিবাল ফায্ল (একই শ্রেণীভুক্ত দুটি জিনিসের হাতে-হাতে বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাড়তি অংশ) ও ব্যাংকের সূদ


ব্যাংকের সূদকে হালাল ও জায়েয করার জন্য একটি যুক্তি এও পেশ করা হয়ে থাকে যে, আল্লাহ তাআলা যখন সূদকে হারাম করেন, তখন প্রচলিত ছিল সোনা-চাঁদির মুদ্রা। অতএব সেই মুদ্রাতেই সূদ হারাম এবং অধুনা প্রচলিত কাগজের নোটে সূদ হারাম নয়। কেননা সূদ বিষয়ে যে সমস্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা কেবল কয়েকটি নির্দিষ্ট জিনিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর তা হল খেজুর, গম, যব, লবণ, সোনা ও চাঁদি (খাদহীন স্বচ্ছ রৌপ্য)। এগুলোর মধ্যে সোনা ও চাঁদিতে সূদ পাওয়া যায়---আর এর যুক্তিও নিতান্ত স্পষ্ট। কারণ, উভয় বস্ত্তই হল মূল্যবান ও উৎকৃষ্ট পদার্থ। যার নিজস্ব মূল্যমান আছে যদিও বা তা মুদ্রা ও টাকা-পয়সার মত ব্যবহার না করা হয়।
 আরো অবাক হওয়ার কথা এই যে,

অর্থ ও মুদ্রার মাঝে পার্থক্য

অর্থ ও মুদ্রার মাঝে পার্থক্য


এখানে অর্থ ও মুদ্রার মাঝে পার্থক্য উল্লেখ করে দেওয়া আশা করি পাঠকের জন্য উপকারী হবে। অর্থ হল সেই জিনিস যার মাধ্যমে বিনিময় কর্ম, পরিমাণ-নির্ধারণ ও আর্থিকতার সংরক্ষণ হয়ে থাকে; কিন্তু একে আইনতঃ বাধ্যতামূলক বিনিময়-মাধ্যমরূপে চুড়ান্ত স্থিরীকৃত করা জরুরী নয়। যেমন চেক, প্রাইজ-বন্ড্ প্রভৃতি দস্তাবেজ ও প্রতিশ্রুতিপত্র দ্বারা লোকেরা পণ্য বিনিময় করে থাকে। কিন্তু

৬- চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ ও ব্যাংকের সুদ

৬- চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ ও ব্যাংকের সূদ


ব্যাংকের সূদকে বৈধ ও হালাল করার মানসে একটি সন্দিগ্ধ যুক্তি এও পেশ করা হয়ে থাকে যে, যে সূদকে কুরআন হারাম ঘোষণা করেছে তা হল কেবলমাত্র চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ। অর্থাৎ অত্যন্ত অধিক পরিমাণের সূদ অথবা ক্রমবর্ধমান সূদের সূদ; যে সূদে সূদখোর অভাবী মানুষের অভাবকে সুযোগরূপে ব্যবহার করে তাকে শোষণ করে ছাড়ে। পক্ষান্তরে স্বল্প পরিমাণের সূদ; যেমন ৮% বা ১০% সূদে শোষণ পাওয়া যায় না। অতএব এমন স্বল্পাকারের সূদ কুরআনে ঘোষিত অবৈধতার পর্যায়ভুক্ত নয়। কারণ আল্লাহ তাআলা সূরা আলে ইমরানের ১৩০ আয়াতে বলেন,

৭- ব্যাংকের ইন্টারেষ্ট ও জাহেলিয়াতের সুদ

৭- ব্যাংকের ইন্টারেষ্ট ও জাহেলিয়াতের সূদ


ব্যাংকের সূদ হালাল করার লক্ষ্যে আরো একটি খোঁড়া যুক্তি এই বলে পেশ করা হয় যে, ব্যাংকের সূদ সেই জাহেলিয়াতের সূদ থেকে ভিন্নতর যাকে আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে হারাম করেছেন এবং সেরূপ সূদখোরের বিরুদ্ধে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের তরফ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে ভীতিপ্রদর্শন করেছেন। কারণ, কতিপয় সলফদের উক্তিমতে জাহেলিয়াতের সূদ এরূপ ছিল যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য কর্জ দিত। অতঃপর সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ঋণদাতা ঋণগ্রহীতাকে বলত, ‘আমার ঋণ পরিশোধ করে দাও, নচেৎ

৮- জমি ভাড়া দেওয়ার উপর সুদের কিয়াস

৮- জমি ভাড়া দেওয়ার উপর সূদের কিয়াস


একটি যুক্তি এও পেশ করা হয়ে থাকে যে, যে ব্যক্তি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে এবং তার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণে সূদ গ্রহণ করে, সে ব্যক্তির দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির মতই যে তার জমি অপরকে ঠিকা দেয় এবং তার নিকট থেকে চুক্তিমত নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাড়া গ্রহণ করে। সে ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি তার জমিতে ফসল হল, কি না হল তার খেয়াল ও পরোয়াই করে না। বরং সে শুধুমাত্র তার জমি চাষ করতে দিয়েই তার ভাড়ার অধিকারী হয়ে যায়।
 কিন্তু লক্ষণীয় যে, উক্ত যুক্তিতে বিভ্রান্তিকর হেত্বাভাস ব্যবহার করা হয়েছে। এ কথাটিকে যদি আমরা ফিক্হী ভাষায় বলি, তাহলে বলতে পারি যে,

৯- ‘বাইএ সালাম’ এর উপর সূদকে কিয়াস

৯- ‘বাইএ সালাম’ এর উপর সূদকে কিয়াস


সূদকে জায়েয করার মানসে একটি যুক্তি এও পেশ করা হয় যে, ঋণ দিয়ে সূদ নেওয়ার কারবারটা ঠিক ‘বাইএ সালাম’ (THE PREPAYMENT) দাদন ব্যবসা বা পূর্বে মূল্য আদায় করে পরে পণ্য নেবার চুক্তি-ব্যবসা) এর মত।
 কারণ এ কারবারে উভয় পক্ষের লাভ বর্তমান। আর তা এইভাবে যে, ঋণগ্রহীতা সূদের উপর অর্থ সংগ্রহ করে; যাতে সে নিজের অভাব ও প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। ওদিকে ঋণদাতা নিজের মূলধন অপেক্ষা বেশী টাকা গ্রহণ করে থাকে, আর তা হল সেই বিলম্ব দেওয়ার বিনিময়ে যা সে ঋণগ্রহীতাকে ঋণ-পরিশোধে দিয়ে থাকে। আর এরূপই হয়ে থাকে বাইএ সালামে।
 কারণ,

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন


ব্যাংকের সূদকে হালাল করার জন্য আরো একটি যুক্তি এই পেশ করা হয়ে থাকে যে, ব্যাংক অপরের পুঁজি দ্বারা তার বিনা অনুমতিতে ব্যবসা করে, আর ব্যবসায় লাভের অর্থ আল্লাহ হালাল করেছেন। এই জন্য ব্যাংক এবং তাতে টাকা জমাকর্তা উভয়ের জন্য উক্ত লভ্যাংশ গ্রহণ করা হালাল, এই যুক্তির দলীলে উরওয়াহ বিন আবিল জা’দ (রাঃ) এবং হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সাঃ) উরওয়াহ (রাঃ)কে একটি কুরবানীর পশু বা ছাগল খরীদ করতে একটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) প্রদান করলেন। তিনি এ দীনার দ্বারা দুটি ছাগল খরীদ করলেন। অতঃপর

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন


ব্যাংকের সূদকে হালাল করার জন্য আরো একটি যুক্তি এই পেশ করা হয়ে থাকে যে, ব্যাংক অপরের পুঁজি দ্বারা তার বিনা অনুমতিতে ব্যবসা করে, আর ব্যবসায় লাভের অর্থ আল্লাহ হালাল করেছেন। এই জন্য ব্যাংক এবং তাতে টাকা জমাকর্তা উভয়ের জন্য উক্ত লভ্যাংশ গ্রহণ করা হালাল, এই যুক্তির দলীলে উরওয়াহ বিন আবিল জা’দ (রাঃ) এবং হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সাঃ) উরওয়াহ (রাঃ)কে একটি কুরবানীর পশু বা ছাগল খরীদ করতে একটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) প্রদান করলেন। তিনি এ দীনার দ্বারা দুটি ছাগল খরীদ করলেন। অতঃপর

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন

১০- কতিপয় হাদীস দ্বারা সূদকে হালাল প্রতিপাদন


ব্যাংকের সূদকে হালাল করার জন্য আরো একটি যুক্তি এই পেশ করা হয়ে থাকে যে, ব্যাংক অপরের পুঁজি দ্বারা তার বিনা অনুমতিতে ব্যবসা করে, আর ব্যবসায় লাভের অর্থ আল্লাহ হালাল করেছেন। এই জন্য ব্যাংক এবং তাতে টাকা জমাকর্তা উভয়ের জন্য উক্ত লভ্যাংশ গ্রহণ করা হালাল, এই যুক্তির দলীলে উরওয়াহ বিন আবিল জা’দ (রাঃ) এবং হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস পেশ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সাঃ) উরওয়াহ (রাঃ)কে একটি কুরবানীর পশু বা ছাগল খরীদ করতে একটি দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) প্রদান করলেন। তিনি এ দীনার দ্বারা দুটি ছাগল খরীদ করলেন। অতঃপর

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা’

সূদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে ইজমা’


আমার প্রিয় মুসলিম ভাই! ব্যাংকের সূদ হারাম হওয়ার কথা এখান থেকেই শেষ হয়ে যায়নি। বরং মুসলিম বিশব তথা অন্যান্য বিভিন্ন দেশের রাজধানী শহরে এ ব্যাপারে ভিন্ন ভিন্ন কনফারেন্স ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সে সব সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় যে, ব্যাংকের সূদ নিশ্চিতরূপে হারাম; যার হারাম হওয়াতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কিং আব্দুল আযীয ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইসলামী অর্থনীতির প্রথম সম্মেলনে বিশ্বের তিন শতাধিক ফিক্হ ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অংশ গ্রহণ করেন। এঁদের সকলেই একবাক্যে ব্যাংকের সূদকে হারাম বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং

সুদী ব্যাংকের প্রতিকল্প

সূদী ব্যাংকের প্রতিকল্প


পূর্বের পৃষ্ঠাসমূহে ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম-রীতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে একথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, তার বর্তমান কর্ম- পদ্ধতির ভিত্তিই হল সূদ। এবারে এখানে একটি প্রশ্ন সকলের মনে উঁকি দিতে বাধ্য যে, যদি সূদকে নিশ্চিহ্ন করা হয়, তাহলে ব্যাংকের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য বিকল্প পথ কি হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে কিছু প্রস্তাব রাখা আশা করি অপ্রাসঙ্গিক হবে নাঃ-
১- সূদী ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিকল্প কোন ব্যবস্থা খোঁজার অর্থ এই যে, ব্যাংকের যে সমস্ত কার্য বর্তমান বাণিজ্যিক পরিস্থিতিতে জরুরী ও উপকারী তা পরিচালনার জন্য এমন কর্ম-পদ্ধতি অবলম্বন করা হোক, যা শরীয়তের মৌলিক নীতিমালার অনুকূল এবং

ব্যাংকের শরয়ী নিয়ম-পদ্ধতিঃ ব্যাংক এবং ডিপোজিটারের সম্বন্ধ

 ব্যাংকের শরয়ী নিয়ম-পদ্ধতি


ব্যাংকের সম্বন্ধ থাকে দ্বিপাক্ষিক; এক পক্ষের সম্বন্ধ সেই লোকদের সাথে থাকে, যারা নিজেদের টাকা তাতে জমা রাখে। আর দ্বিতীয় পক্ষের সম্বন্ধ সেই লোকেদের সহিত থাকে, যাদের জন্য ব্যাংক পুঁজি সরবরাহ এবং অর্থসংস্থান করে থাকে। এই উভয় প্রকার সম্বন্ধ নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা করা আবশ্যকঃ

ব্যাংক এবং ডিপোজিটারের সম্বন্ধ


বর্তমান অর্থ-ব্যবস্থায় ব্যাংকে যে অর্থ জমা রাখা হয় তাকে ব্যাংকের পরিভাষায় ‘আমানত’ বলা হয়। কিন্তু ইসলামী ফিকহী দৃষ্টিতে তা হল বাস্তবিক ঋণ। এবারে যদি ব্যাংককে ইসলামী নীতি অনুসারে চালানো যায়, তাহলে আমানতকারীদের সাথে ব্যাংকের সম্পর্ক হবে পার্টনারশিপ অথবা ‘মুযারাবাহ’র। এই নিয়মে জমা রাখা এ অর্থ ঋণ গণ্য হবে না; বরং তার পজিশন এই দাঁড়াবে যে, টাকা জমাকর্তা (আমানতকারী) হবে টাকার মালিক এবং

অর্থসংস্থানের ইসলামী পদ্ধতি

অর্থসংস্থানের ইসলামী পদ্ধতি


এবারে ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ‘ফিন্যানসিং’ বা অর্থসংস্থান করা; অর্থাৎ অপরকে ব্যবসা ইত্যাদির জন্য পুঁজি যোগাড় করে দেওয়ার ইসলামী বিভিন্ন পদ্ধতি প্রসঙ্গে আলোচনায় আসা যাক। শরয়ী দৃষ্টিকোণে এর কতকগুলি পদ্ধতি হতে পারে ঃ-
১- শির্কত ও মুযারাবাহঃ সূদের সঠিক ও বিকল্প ইসলামী ব্যবস্থা হল শির্কত (অংশীদারী হয়ে ব্যবসা) এবং মুযারাবাহ (একজনের পুঁজি ও অপরজনের শ্রম ব্যয়ে ব্যবসা)। এ ধরনের ব্যবসার সুফল সূদী কারবারের তুলনায় বহুগুণে বেশী। আর উক্ত প্রকার ব্যবসায় অংশগ্রহণ করাই হল অর্থসংস্থানের নিতান্ত আদর্শ-ভিত্তিক ন্যায়সংগত ও ইনসাফপূর্ণ পদ্ধতি;

সুদের ঘূর্ণাবর্ত থেকে বাঁচার উপায় সমুহ

সূদের ঘূর্ণাবর্ত থেকে বাঁচার উপায়


আমার প্রিয় ভাই! এখন আপনাকে সেই উপায় ও পথের সন্ধান বলে দিই, যা অবলম্বন করলে আপনি সূদের বিপদজনক ঘূর্ণাবর্ত থেকে উদ্ধার পেতে সক্ষম হবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ও আপনাকে সেই তওফীকই দান করুন এবং তাঁর শরীয়ত অনুযায়ী আমল করাকে আমাদের পক্ষে সহজ করে দিন। আমীন।

 

১- সূদ নেওয়া ও দেওয়ার মাঝে পার্থক্য


সূদ নেওয়া এবং দেওয়ার মাঝে পার্থক্য আছে। উভয় কর্ম একই পর্যায়ভুক্ত নয়। কেননা নিরুপায় অবস্থায় সূদভিত্তিক ঋণ নিতে বহু মানুষই বাধ্য হতে পারে। সুতরাং

বীমা বা ইনশ্যূরেন্স

বীমা বা ইনশ্যূরেন্স


বীমার অর্থ এই যে, ভবিষ্যতের যে সকল সম্ভাব্য বিপদ আপদ ও দুর্ঘটনার মানুষ সম্মুখীন হয় তার মধ্যে কোন নির্দিষ্ট ধরনের দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেবে বলে কোন ব্যক্তি অথবা কোম্পানী যমানত নেয়।
 চতুর্দশ খ্রীষ্টীয় শতাব্দীতে এর সূত্রপাত ঘটে।
 যেসকল দুর্ঘটনার উপর বীমা করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বীমার তিনটি বড় বড় প্রকার রয়েছেঃ

বীমার প্রকরণ

বীমার প্রকরণ


বীমার আরো অন্যান্য শ্রেণীভাগও রয়েছে। পাঠকের উপকারার্থে আমরা সকল বীমার সংক্ষিপ্ত চিত্র পরিবেশন করছিঃ

পূর্বের আলোচনায় একথা প্রতিপাদিত হয়েছে যে, কোন প্রকারেরই বাণিজ্যিক বীমা বৈধ নয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে এর বিকল্প ব্যবস্থা কিছু আছে কি? এ ব্যাপারে বলা যায় যে, এর একটি প্রতিকল্প হল সমবায় বীমা; যাকে ইংরাজীতে MUTUAL INSURANCE বলে। যার কর্ম-পদ্ধতি পূর্বে আলোচিত হয়েছে।
 এ ছাড়া বর্তমানে মুসলিম-বিশ্বের কয়েকটি দেশেই JOINT LIABILITY COMPANY নামে কিছু কোম্পানী প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এগুলোকে বাণিজ্যিক বীমার বিকল্পরূপে কায়েম করা হয়েছে। এর মৌলিক গঠন এরূপ যে, এ সকল কোম্পানীর শেয়ার্স হোল্ডার থাকে। কোম্পানী নিজে মূলধন কোন কল্যাণমূলক কর্মে বিনিয়োগ করে তার লভ্যাংশ শেয়ার্স হোল্ডারদের মাঝে বিতরণ করে। উক্ত কোম্পানীরই একটি রিজার্ভ ফান্ড্ থাকে। সেখান থেকে বীমাকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
 পরিশেষে আল্লাহর নিকট আমাদের সকাতর প্রার্থনা যে, তিনি আমাদেরকে তথা সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে হারাম জিনিস থেকে বেঁচে ও দূরে থাকার তওফীক ও প্রেরণা দান করুন। আমাদের হৃদয় মাঝে হারাম থেকে বাঁচার আগ্রহ সৃষ্টি করুন। আমীন।
اللهم اشهد فقد بلغنا
হে আল্লাহ! আমরা পৌঁছে দিলাম, তুমি সাক্ষী থাক।
ফুটনোটঃপ্রমাণ-পঞ্জী:
১-ফাতহুল বারী, শারহু সহীহিল বুখারী, আল্লামা হাফিয ইবনে হাজার আল আসকালানী, দারুর্রাইয়ান লিত্তুরাস, কায়রো ছাপা
২- তুহফাতুল আহওয়াযী শারহু সুনানিত্ তিরমিযী, আল্লামা আব্দুর রহমান মুবারাকপুরী, দারুল ফিক্র ছাপা ৩- আওনুল মা’বূদ শারহু সুনানি আবী দাঊদ, আল্লামা শামসুল হক আযীমাবাদী, দারুল ফিক্র ছাপা, লেবানন, তৃতীয় সংস্করণ ১৯৭৯
৪- নাইলুল আওতার মিন আহাদীসি সাইয়্যিদিল আখইয়ার, আল্লামা মুহাম্মদ বিন আলী আশ্শাওকানী, দারুত্তুরাস, কায়রো ছাপা
৫- সুবুলুস সালাম শারহু বুলূগিল মারাম, আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইসমাঈল আসসান্আনী, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বাইরুত ছাপা
৬- মিরক্বাতুল মাফাতীহ শারহু মিশকাতুল মাসাবীহ ,আল্লামা মুল্লা আলী ক্বারী, দারু ইহয়াইত্ তুরাসিল আরাবী, বাইরুত ছাপা
৭- ইহয়াউল উলূম, ইমাম গায্যালী
৮- ফাওয়াইদুল বুনূক হিয়ার রিয়াল হারাম, ডক্টর ইউসূফ কারযাবী, আল মাকতাবুল ইসলামীর ছাপা, ১৯৯৫
৯- আল মুআমালাতুল মাসরাফিয়্যাহ অররিবাবিয়্যাহ অইলা-জুহা ফিল ইসলাম, ডক্টর নূরুদ্দীন ইত্র, রিসালাহ বাইরুতের ছাপা, ১৯৭৮
১০- বুনূকুন তিজারিয়্যাহ বিদূনির রিবা, ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইব»vহীম শাববানী, দারুল আলামিল কুতুব লিন্নাশ্র, রিয়াযের ছাপা, ১৯৮৭
১১- দিরাসাতুন শারইয়্যাহ লিআহাম্মিল উক্বূদিল মা-লিয়্যাতিল মুস্তাহদাসাহ, ডক্টর মুহাম্মদ আলআমীন মুস্তাফা শানক্বীত্বী, মাকতাবাতুল উলূম অলহিকাম, মদীনা নববিয়্যাহর ছাপা, ১৯৯২
১২- আল বুনূকুল ইসলামিয়্যাহ বাইনান নাযারিয়্যাতি অত্তাত্ববীক্ব, ডক্টর আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন আহমদ ত্বাইয়ার, দারুল অত্বান, রিয়াযের ছাপা, ১৯৯৪
১৩- আবহাসুল মু’তামারিস সানী লিলমাসরাফিল ইসলামী, কুয়েত, ডক্টর সুলাইমান আশক্বার, দারুন নাফায়িস, কুয়েতের ছাপা, ১৯৯০
১৪- মাসআলা-এ সূদ, মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ শাফী, ইদারাতুল মাআরিফ, করাচীর ছাপা, ১৯৭৯
১৫- সূদ, সাইয়েদ আবুল আলা মাওদূদী, মারকাযী মাকতাবাহ ইসলামী, দিল্লীর ছাপা, ১৯৯৩
১৬- ‘সূদ’ এর অনুবাদ; সূদ ও আধুনিক ব্যাংকিং, আব্দুল মান্নান তালিব ও আববাস আলী খান, আধুনিক প্রকাশনী, ঢাকার ছাপা ১৯৮৭
১৭- ইসলাম আওর জাদীদ মাঈশাত অ তিজারাত, জাষ্টিস মুফতী মুহাম্মদ তাক্বী উসমানী, ইদারাতুল মাআরিফ, করাচীর ছাপা, ১৯৯৫
১৮- আল মুআমালাতুল মাসরাফিয়্যাহ অমাউক্বিফুশ্ শারীআতিল ইসলামিয়্যাতি মিনহা, ডক্টর সঊদ বিন সা’দ বিন দুরাইব, প্রথম সংস্করণ ১৯৬৮, ফটো কপি, লাইব্রেরী, মদীনা ইউনিভার্সিটি
১৯- মাউক্বিফুশ্ শারীআতি মিনাল মাসারিফিল ইসলামিয়্যাতিল মুআসিরাহ, ডক্টর আব্দুল্লাহ আববাদী, ডক্টরেট থেসিস, দারুস সালাম ছাপা, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৯৪
২০- আত্তাদাবীরুল ওয়াক্বিইয়্যাহ মিনার্রিবা ফিল ইসলাম, ডক্টর ফয্ল ইলাহী, ওস্তায ইমাম মুহাম্মদ বিন সঊদ ইসলামী ইউনিভার্সিটি, রিয়ায, ইদারাতু তারজুমানিল ইসলাম, গুজরানওয়ালা, পাকিস্তান, প্রথম সংস্করণ ১৯৮৬
২১- আলমুআমালাতুল মালিয়্যাতুল মুআসিরাহ ফিল ফিক্বহিল ইসলামি ডক্টর উসমান শাববীর, দারুন্নাফাইস, জর্ডান ছাপা, ১৯৯৬
২২- তাতবীরুল আ’মালিল মাসরাফিয়্যাহ, ডক্টর সামী হাসান, দারুল ইত্তিহাদুল আরাবী, প্রথম সংস্করণ ১৯৭৬
২৩- আল জামিউ ফী অসূলির্রিবা, ডক্টর ইউনুস মিসরী, দারুল কলম ছাপা দেমাস্ক্ প্রথম সংস্করণ ১৯৯১
২৪- আলবুনূকুল ইসলামিয়্যাহ, অসূলুহাল ইদারিয়্যাতু অলমুহাসিবিয়্যাহ, ডক্টর নিযাল সাব্রী, প্রথম সংস্করণ ১৯৮৬
২৫- আলকাউলুল ফাস্ল ফির্রদ্দি আলা মুবীহী রিবান নাসিআতি অলফায্ল্, শাইখ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরী

সমবায় বীমা বৈধ

সমবায় বীমা বৈধ


মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ-এর শাখা সংস্থা ইসলামিক ফিক্হ একাডেমী সউদী আরবের উচ্চপদস্থ উলামা বোর্ডের বীমা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে।
 উক্ত বোর্ড ৪/৪/১৩৯৭ হিঃ তে প্রস্তাবনামা (৫১নং) পাস করে। যাতে বাণিজ্যিক বীমাকে অবৈধ বলা হয়েছে। আর সমবায় বীমাকে নিম্নোক্ত দলীলাদির ভিত্তিতে বৈধ বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
 ১- সমবায় বীমা অনুদানমূলক চুক্তির পর্যায়ভুক্ত; যার লক্ষ্য হল বিপদের সময় কেবল পরস্পরকে সাহায্য করা এবং দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বশীলতার বোঝা বহনে অপরের সাথে অংশ গ্রহণ করা। আর তা এইরূপে যে, কতিপয় লোক মিলে কিছু কিছু নগদ টাকা চাঁদাস্বরূপ দিয়ে অংশ নেবে। যাতে

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ