Thursday, February 1, 2018

ইসলামে সুন্নাহ’র অবস্থান

ইসলামে সুন্নাহ’র অবস্থান


بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله رب العالمين, و الصلاة و السلام على نبينا محمد خاتم النبين, القائل: « ألا و إني أتيت القرآن و مثله معه » ( أخرجه احمد في مسنده)
(সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য; আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, যিনি বলেছেন: “জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আমাকে আল-কুরআন দেয়া হয়েছে এবং তার সাথে তারই সদৃশ বিষয় তথা সুন্নাহ দেয়া হয়েছে।”[1])।

অতঃপর:
নিশ্চয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দীনসহ সুসংবাদদানকারী, সতর্ককারী ও উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে এমন সময় প্রেরণ করেছেন, যখন রাসূল প্রেরণের বিরতিকাল চলছিল এবং হেদায়াত পাওয়ার সকল পথ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল; অতঃপর তিনি তার মাধ্যমে অজ্ঞতার অন্ধকারকে আলোকিত করেছেন এবং ভ্রষ্টতা থেকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন; আর তিনি সবকিছু স্পষ্টভাবে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর উম্মতকে সমুজ্জ্বল পথের উপর রেখে গেছেন, তার রাত্রি যেন দিনের আলোর মত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়ার আদব

ঘুমানো এবং জাগ্রত হওয়ার আদব
ঘুম আল্লাহ তাআলার একটি বিশাল
নেয়ামত , এর মাধ্যমে তিনি নিজ
বান্দাদের উপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন।
এবং তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।
আর নেয়ামতের দাবি হল শুকরিয়া আদায়
করা তথা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আল্লাহ
তাআলা বলেন :

ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব

ইসলামে খাবার গ্রহণের আদব
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ، ﻭﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﺭﻙ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻨﺎ
ﻣﺤﻤﺪٍ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﺃﺟﻤﻌﻴﻦ. ﻭﺑﻌﺪ :
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে খাবার গ্রহণের আদব
বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই।
কেননা খাওয়া-দাওয়া আমাদের
প্রাত্যহিক বিষয়। তাই এ বিষয়ের আদব ভাল
করে রপ্ত করাও জরুরি। উলামগণ এ
বিষয়টিকে বিশ্লিষ্ট
আকারে বর্ণনা করেছেন।

ইসলামে আকীকা করার বিধান

ইসলামে আকীকা করার বিধান

ভূমিকাঃ المقدمة  সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর। ইসলাম একটি শান্তিময় জীবন বিধান। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মৃত্যু বরণ করার পূর্বেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দ্বীনকে মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। একজন মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম সুন্দর সুন্দর বিধান প্রদান করেছে। নবজাতক শিশু জন্ম গ্রহণ করার পর সন্তানের পিতা-মাতা বা তার অভিবাবকের উপর আকীকার বিধান ইসলামের সৌন্দর্যময় বিধান সমূহের মধ্য হতে অন্যতম একটি বিধান। আমরা অত্র প্রবন্ধে ইসলামে আকীকার বিধান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করব, ইনশা-আল্লাহ।
আকীকার অর্থঃ تعريف العقيقة ইসলামের পরিভাষায় সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর আল্লাহর শুকরিয়া ও আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যে পশু জবাই করা হয়, তাকে আকীকা বলা হয়।
আকীকার হুকুমঃ حكم العقيقة অধিকাংশ আলেমের মতে সন্তানের আকীকা করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। রাসূসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ

ইত্তেবায়ে রাসূল সঃ বা রাসুলুল্লাহ সঃ এর অনুসরন কিভাবে করবো আমরা ?

ইত্তেবায়ে রাসূল
ভূমিকা
নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের খারাবী থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেয়ার কেউ নাই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোন শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের প্রতি অধিক দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাদের যে কোন উপায়ে ক্ষমা করতে ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন।
আমরা সরল পথে চলতে চাই, হক জানতে চাই। অথচ সুপথ পেতে হলে রব হিসেবে আল্লাহকে মানতে হবে, তাগূতকে বর্জন করতে হবে; জীবনাদর্শ হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করতে হবে এবং তাকে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে মানতে হবে। রাসূলের জীবনেই আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে বাতিল আদর্শ পরিত্যাগ করতে হবে। অন্ধ-অনুকরণ, অন্ধ-বিশ্বাস ও বিদআত- কুসংস্কার বর্জন করে ইত্তেবায়ে রাসূল অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খলিফাদের অনুসরণ করতে হবে।
তাই আসুন আমরা কুরআন এবং সহীহ ও হাসান হাদিসকেই আমাদের জীবনের চলার পথের একমাত্র পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করি। সহীহ হাদিস ছাড়া রাসূলের সূন্নাহ প্রমাণ করা যায় না। জঈফ হাদিস রাসূলের সূন্নাহর ব্যাপারে কিছু অনুমান-ধারণার সৃষ্টি করে মাত্র। সুতরাং সহীহ হাদিসের বিপরীতে দুর্বল হাদিসকে গ্রহণ না করি। সহীহ হাদিসের উপর আমল করা ছেড়ে দিয়ে দুর্বল হাদিসের পিছনে ছুটাছুটি না করি। যে ক্ষেত্রে সহীহ বা হাসান হাদিস পাওয়া যাবে সে ক্ষেত্রে সহীহ হাদিসকে বাদ দিয়ে দুর্বল হাদিসের উপর আমল করা কোন অজুহাতে গ্রহণ যোগ্য নয়। কারণ, দুর্বল হাদিস দ্বারা শুধু অনুমান বা ধারণায় লাভ হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱجۡتَنِبُواْ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعۡضَ ٱلظَّنِّ إِثۡمٞۖ ﴾ [الحجرات: ١٢]
“হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ”।[1]
কোন হাদিসটি দুর্বল আর কোন হাদিসটি সহীহ আমাদের পূর্ববর্তী বিদ্বানরা বিশদ ভাবে আলোচনা করে গিয়েছেন। তাদের ব্যাপারে সারা পৃথিবীর আহলে ইলমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তাদের প্রতি কারো কোন প্রশ্ন নাই। তাই হাদিস যাচাইয়ের জন্য মুহাদ্দিস, ফকীহ, ইমামদের গ্রন্থ পড়তে হবে। বইয়ের শেষে নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিস, ফকীহ, ইমামদের গ্রন্থ ও তাদের তালিকা দেয়া আছে। হাদিস যাচাই করা ও বিশুদ্ধ ইলম অর্জন করা আমাদের সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য। সত্য উদঘাটন করা ছাড়া আপনি কখনোই দায়িত্ব মুক্ত হতে পারেন না। আল্লাহ তা’আলা বলেনÑ
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِن جَآءَكُمۡ فَاسِقُۢ بِنَبَإٖ فَتَبَيَّنُوٓاْ أَن تُصِيبُواْ قَوۡمَۢا بِجَهَٰلَةٖ فَتُصۡبِحُواْ عَلَىٰ مَا فَعَلۡتُمۡ نَٰدِمِينَ ٦ ﴾ [الحجرات: ٦]
“হে মুমনিগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতা বশত: তোমরা কোন সম্প্রদায়রে ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃত কর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও”।[2]
এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা যে কোন সংবাদকে গ্রহণ করার পূর্বে তা যাচাই বাচাই করার নির্দেশ দেন। সুতরাং, ইসলামী শরিয়তের বিধান হল,

আল হামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ… কখন কোনটি বলতে হবে?

আল হামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশা আল্লাহ… কখন কোনটি বলতে হবে!
ইসলামী বিষয়ে জ্ঞানার্জনের সুযোগ আমাদের সমাজে দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে যেখানে বাচ্চাদেরকে প্রতিদিন ভোর সকালে মকতবে পাঠানো হতো কুরআন পড়ার জন্য, সেখানে এখন তাদেরকে পাঠানো হয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে টুইংকল টুইংকল শেখানোর জন্য। আগে যেখানে ফজরের পর মুসলিম পরিবার গুলোর জানালা দিয়ে কুরআন তিলাওয়াতের সূর ভেসে আসতো, আজ সেখান থেকে শোনা যায় হারমোনিয়াম আর গিটারের আওয়াজ।
এভাবে আমাদের এই পুরো সমাজের চেহারাটাই দিন দিন কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে। তাই তো আজ অনেক নামাজী আর দীনদার ব্যক্তিরাও ইসলামের অনেক পরিভাষার যথোপযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে প্রায় সময়ই দ্বিধান্বিত হয়ে পরেন। এই যেখানে ধর্মীয় আবহে থাকা লোকদের অবস্থা সেখানে ধর্ম থেকে দূরে কিংবা বিমুখ মুসলিমদের অবস্থা কেমন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
আমার পরিচিত একজন

আমি বলছি, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন অথচ তোমরা বলছো, “আবু বকর এবং উমার (রাঃ) বলেছেন”

আমি বলছি, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন অথচ তোমরা বলছো, “আবু
বকর এবং উমার (রাঃ) বলেছেন”
SUNNAH (24)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠّﻪ ﻋﻨﻪ ) বলেনঃ
ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﺗَﻨْﺰِﻝَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺣِﺠَﺎﺭَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻗَﺎﻝَ
ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﺗَﻘُﻮﻟُﻮﻥَ ﻗَﺎﻝَ ﺃَﺑُﻮ ﺑَﻜْﺮٍ
ﻭَﻋُﻤَﺮُ
“তোমাদের উপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষিত হওয়ার
সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছে। কারণ আমি বলছি, “রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন অথচ তোমরা
বলছো, “আবু বকর এবং উমার ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠّﻪ ﻋﻨﻪ )
বলেছেন”।

আপনি কি রাসুলুল্লাহ সঃ কে চেনেন? রাসুলুল্লাহ সঃ এর বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা সম্পর্কে জানতে চাই?



রাসুলুল্লাহ সঃ দেখতে কেমন ছিলেন ? কিভাবে হাটতেন ? কথা কিভাবে বলতেন ? সংক্ষেপে জেনে নিন রাসুলুল্লাহ সঃ এর জীবনী।। রাসুলুল্লাহ সঃ এর বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা সম্পর্কে জানতে চাই? তিনি আদম সন্তানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও তাদের নেতা।রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমার পালনকর্তার নিকট আদম-সন্তানদের
মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত,এতে অহংকারের কিছু নেই। (তিরমিযী) তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই। (বুখারী ও
মুসলিম)
তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

আন্‌-নওয়াবীর (৪০) চল্লিশ হািদস

আন্‌-নওয়াবীর চল্লিশ হািদস

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

হাদীস – ১
আমীরুল মুমিনীন আবু হাফস্ উমার ইবন আল-খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন—
আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি—
“সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তাই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।”

আদম ও হাওয়াকে একসঙ্গে সৃষ্টি না করার কারণ

প্রশ্ন: আমি জনৈক নাস্তিকের সাথে কথা বলছিলাম, সে আমাকে প্রশ্ন করে বলল: “আদম সৃষ্টির দীর্ঘ বিরতির পর কেন আল্লাহ হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন, অথচ তিনি জানতেন আদমের সঙ্গীর প্রয়োজন আছে? যদি তিনি সবকিছু জানেন, তাহলে কেন তাদের দু’জনকে একসঙ্গে সৃষ্টি করেননি”? আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন, যেন তার উত্তর দিতে পারি।
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ।
প্রথমত: আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, আল্লাহ যা চান তাই করেন, তাকে জবাবদিহি করা যায় না, তবে বান্দাদেরকে জবাবদিহি করা হবে। বান্দার অধিকার নেই রবকে প্রশ্ন করা, ‘কেন করেছেন’? ইমাম ইসহাক ইব্‌ন ইবরাহিম রহ. বলেন: “আল্লাহর কর্ম সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করা যায় না, যেরূপ মানুষের কর্ম সম্পর্কে করা যায়। তিনি ইরশাদ করেন:

আকীকা র ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাত

আকীকা র ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাত

মুআত্তা ইমাম মালেক (রঃ)কে আকীকাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ আমি আকীকাহ শব্দটি পছন্দ করি না। কারণ আকীকাহ শব্দটি আরবী عق শব্দ হতে গৃহীত। আক্কা অর্থ নাফরমানী করা অবাধ্য হওয়া। পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়াকে আরবীতে عقوق الوالدين উকুকুল ওয়ালিদাইন বলা হয়। তাই ইমাম মালেক (রঃ) সন্তান জন্ম উপলক্ষে এবাদত হিসেবে যেই পশু যবেহ করা হয় তাকে আকীকাহ নামে নামকরণ করাকে অপছন্দ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত বিধানাবলি

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত বিধানাবলি
যে সুন্নতগুলোর তাৎপর্য অনেক কিন্তু আমরা তার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেই না আকীকা তার অন্যতম। ইসলাম পূর্বকাল থেকে চলে আসা এই আমলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তিনি একে অনুমোদন করেছেন, নিজে করেছেন এবং অন্যদের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ সুন্নতটি আজ বিস্মৃতপ্রায়। মুসলিমগণ এর আমল বাদ দিয়ে এর স্থলে চালু করেছেন নানা বিজাতীয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন রীতিনীতি।
অথচ ইসলামী মনস্তত্ত্ব বিবেচনায় আকীকার গুরুত্ব অপরিসীম। এর প্রতি আমরা উন্নাসিকতা দেখিয়ে নিজেদেরই বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি। হাদীসের ইঙ্গিত থেকে যেমন অনুমিত হয়, এর সঙ্গে শিশুর পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণ জড়িত। আমরা দেখি নব জাতকের এটা-সেটা রোগ-বালাই লেগেই থাকে। রোজই তার চিকিৎসার পেছনে,

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ-২

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম পাঠ করা
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাম প্রেরণের জন্য মাসনূন শব্দ হল নিম্নরূপ।
 عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعٌوْدِ رَضِي اللهُ عَنْهُ قَالَ: الْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولَ اللهِ صلي الله عليه وسلم  فَقَالَ: إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ, فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: التَّحِيَّاتُ للهِ وَالصَّلوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَا تُهُ, السّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عَبَادِ اللهِ الصَّالَحِيْنَ ، فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتٌمٌوْهَا أَصَابَتْ كَلَ عَبْدٍ صَالِحٍ فِي السَّمَآءِ وَالأرْضِ , أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ .( صحيح ، رواه البخاري ، كتاب الصلاة ، باب التشهد فى الآخرة).
“আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন: আল্লাহই হলেন ‘সালাম’। অতএব তোমরা যখন সালাত আদায় করবে তখন বলবে-‘আতাতহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াচ্ছালাওয়াতু ওয়াত্ত্বাইয়িবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবিইয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আসসালামু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিচ্ছালিহীন’ -এরূপ বললে আসমান ও জমিনের প্রত্যেক নেককার ব্যক্তি তা প্রাপ্ত হবে। তারপর বলবে

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী-১

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِيِّۚ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ صَلُّواْ عَلَيۡهِ وَسَلِّمُواْ تَسۡلِيمًا ٥٦﴾ (الاحزاب: ٥٦)
“নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” (সূরা আহযাব ৫৬ আয়াত)
1/1405 وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاص، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «مَنْ صَلَّى عَلَيَّ صَلاَةً، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْراً» . رواه مسلم
১/১৪০৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর ‘আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ