Wednesday, November 22, 2017

মসজিদে যাওয়ার ২৫ টি আদব!

মসজিদে যাওয়ার আদবসমূহ


মসজিদে যাওয়া ও সেখানে অবস্থানের নানা ফযীলত ও আদব সম্পর্কে ‘স্বালাতে মুবাশ্শির’-এ আলোচনা করা হয়েছে। এখানে দলীল উল্লেখ না করে কেবল শিরোনামগুলি স্মরণ করিয়ে দেওয়া উত্তম মনে করি।
১। মসজিদ যাওয়ার আগে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করুন। নিজ দেহে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। আর এমন কিছু ব্যবহার করবেন না, যাতে আপনার মুখ বা দেহ থেকে কোন প্রকার দুর্গন্ধ নির্গত হয় এবং তার ফলে কোন মুসলস্নী ও আল্লাহর ফিরিশ্তা কষ্ট পান।
উল্লেখ্য যে, কাঁচা পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে, ঘামে ভিজা পোশাক পরে, মাছ বা ভেঁড়ার মাঝে কাজ করে সেই লেবাস ও অবস্থায় মসজিদে আসা উচিত নয়। উচিত নয়

গাড়ি

গাড়ি


গাড়ি চালালে অতি সাবধানতার সাথে চালান। ট্রাফিক আইন অবশ্যই মেনে চলুন। অপর সাইডে কোন গাড়ি থাক্ বা না-ই থাক্ আপনার শিগ্ন্যাল গ্রীন না হলে আপনি তা অতিক্রম করবেন না। অবশ্য গ্রীন হলেও অন্য সাইড ভালোভাবে দেখেই পার হন, কারণ আইন ভঙ্গকারী মানুষের অভাব নেই। মাত্রাধিক স্পীডে গাড়ি চালিয়ে নিজের তথা অপরের জীবনকে মরণের দিকে ঠেলে দিবেন না।
রোডে অপর গাড়ি বা পথচারীর খেয়াল অবশ্যই রাখবেন। পথের অধিকার সকলকেই

কম্পিউটার, ইন্টারনেট

কম্পিউটার, ইন্টারনেট


আধুনিক যুগে কম্পিউটার একটি আশ্চর্য জিনিস। এটিকেও আপনি আপনার উপকারে ব্যবহার করুন। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করুন খুব সতর্কতার সাথে। যেহেতু তাতে মধুও আছে এবং বিষও আছে।

রেডিও-টিভি, ভিডিও

রেডিও-টিভি, ভিডিও


রেডিও শুনুন, কিন্তু গান-বাজনা শোনা থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
টিভি দেখুন, কিন্তু গান-বাজনা শুনবেন না। অবৈধ কিছু দেখবেন না।
ভিডিও ক্যামেরা, ভিসিয়ার, ভিসিডি ইত্যাদি যন্ত্র খুব সাবধানে ব্যবহার করুন। এসব যন্ত্রকে

মোবাইল

মোবাইল


দূরালাপের জন্য মোবাইল আমাদের জন্য আরো বেশী উপকারী যন্ত্র। কিন্তু তার অপকারিতাও টেলিফোনের চাইতে অনেক বেশী। আর ছেলে-মেয়েদের হাতে পড়লে তাতে আপনার সতর্কতার কিছুই নেই। আপনি কি তাদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়াবেন?
মোবাইলের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবার ব্যবস্থা আছে। খারাপ চিঠি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। তাতে ব্যবস্থা আছে কথা রেকর্ড করার। সুতরাং জাসূসী করা থেকে দূরে থাকুন।
ক্যামেরাবিশিষ্ট

টেলিফোন

টেলিফোন


টেলিফোন আমাদের আধুনিক জীবনে বড় উপকারী জিনিস। তবে এর অপকারিতার ব্যাপারে উদাসীন থাকা উচিত নয়। যেহেতুঃ এর সাহায্যেই অমত্মঃপুরবাসিনী অন্দর মহল হতেই প্রণয়ের বাঁশী বাজায়। এরই দ্বারা তরুণ-তরুণীরা আপোসে পরিচয়, প্রেমালাপন, সাক্ষাতের ওয়াদাদান, অভিরতি ও অভিসার প্রকাশ ইত্যাদি করে থাকে।
অজ্ঞাত-পরিচয় খল ব্যক্তি ও শত্রুরা

মহিলাদের কপালে ব্যবহার্য কোন অলঙ্কার বা সাজ-সজ্জার বিধান

কপাল


ইসলামে মহিলাদের জন্য কপালে ব্যবহার্য কোন অলঙ্কার বা সাজ-সজ্জার বিধান নেই। সুতরাং সেখানে কোন রঙ (ফোঁটা, টিপ) বা অলঙ্কার ব্যবহার যদি অমুসলিম মহিলাদের অনুকরণ করে হয়ে থাকে তাহলে তা অবৈধ। বিশেষ করে লাল টিপ ও

মহিলাদের সুগন্ধি ও আতর ব্যবহারের বিধান

 

সুগন্ধি ও আতর


মহিলার রূপ ও সৌন্দর্যের সাথে সুগন্ধি হল স্বামীর মন আকৃষ্ট করার জন্য আজব যাদু। ঘরে একাকিনী অথবা কেবল মহিলাদের মাঝে থাকলে সেন্ট্ ব্যবহার তার জন্য বৈধ। স্বামীর জন্য ব্যবহার করা বিধেয়। গোলাপের সৌন্দর্যের সাথে সৌরভের মিলন না থাকলে গোলাপের কদর থাকে না। এ জন্যই স্বামী-সোহাগিনী স্ত্রীদের কাছে সেন্ট্ অতি প্রিয় জিনিস।
মহিলা আতর ব্যবহার করবে কেবল নিজের জন্য এবং নিজের স্বামীর জন্য। স্বামী যেন

মহিলাদের লজ্জাস্থানের বিধান

লজ্জাস্থান


পূর্বেই বলা হয়েছে যে, মহিলার দেহের প্রায় সবটাই হল লজ্জাস্থান। সুতরাং সেই লজ্জাস্থানকে গোপন করে লজ্জাশীলতা আনয়ন করা মহিলার একটি প্রকৃতিগত স্বভাব। আর এই প্রকৃতিগত লজ্জাশীলতা ও গোপনীয়তায়ই রয়েছে মহিলার প্রকৃত সৌন্দর্য। আর সে সৌন্দর্য দেখার অধিকারী হল একমাত্র স্বামী।
লজ্জাস্থানের লোম পরিষ্কার ব্যাপারে পুরুষের মতই মহিলারও বিধান রয়েছে। অবশ্য

মহিলাদের হাত-পায়ের নখ রাখার বিধান

হাত-পায়ের নখ


নখ কেটে ফেলা মানুষের এক প্রকৃতিগত রীতি। প্রতি সপ্তাহে একবার না পারলেও ৪০ দিনের ভিতর কেটে ফেলতে হয়।[1] কিন্তু এই প্রকৃতির বিপরীত করে কতক মহিলা নখ লম্বা করায় সৌন্দর্য আছে মনে করে। অথচ সভ্য দৃষ্টিতে তা পশুবৎ লাগে এবং ঐ নখে নানা ময়লা জমা হতে থাকে। নিছক পাশ্চাত্যের মহিলাদের অনুকরণে

মহিলাদের জুতা পড়ার আদব

জুতার আদব


মহিলাদের জন্য হিল তোলা জুতা ব্যবহার বৈধ নয়। বিশেষ করে পেনসিল হিল জুতা মুসলিম মহিলাদের জন্য পরাই উচিত নয়।
হাই হিল জুতা পরা একাধিক কারণে নিষিদ্ধ ঃ
   (ক) নিজেকে লম্বা দেখাবার উদ্দেশ্যে এই জুতা পরার মানে হল, আল্লাহর সৃষ্টি আকৃতির ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ।
   (খ) লম্বা ও উঁচু দেখানোর উদ্দেশ্যে পরলে লোককে ধোকা দেওয়া হয়।
   (গ) এই জুতা

মহিলাদের পা ও তার অলঙ্কার কেমন হবে ?

পা ও তার অলঙ্কার


মহিলাদের পায়ের অলঙ্কার রসূল (সাঃ) এর যুগেও প্রচলিত ছিল। বর্তমানেও পায়ের মল, নুপুর বা তোড়া যদি বাজনাহীন হয় এবং বেগানা পুরুষ থেকে গুপ্ত রাখা হয়, তাহলে তা বৈধ।
মহিলার পায়ে ঘুঙুর ও বাজনাবিশিষ্ট নুপুর স্বামী ও এগানা ছাড়া অন্যের কাছে প্রকাশ পাওয়া হারাম। যেহেতু

মহিলাদের আঙ্গুল ও তার সৌন্দর্যের বিধান

আঙ্গুল ও তার সৌন্দর্য


রাসুল (সাঃ) এর যুগে মহিলারা আংটি ব্যবহার করত। তবে লোহার আংটি ব্যবহার বৈধ নয়। বৈধ নয় পয়গামের আংটি। যেমন কোন বালা-মসীবত দূর করার জন্য কোন আংটি ব্যবহার করা শির্ক।
কোন বিকৃত অঙ্গে সৌন্দর্য আনয়নের জন্য অপারেশন বৈধ। কিন্তু

মহিলাদের হাত ও তার অলঙ্কার কেমন হবে ?

হাত ও তার অলঙ্কার


মেহেন্দি লাগিয়ে হাত রঙিয়ে রাখাই মহিলার কর্তব্য। যাতে মহিলার হাত থেকে পুরুষের হাত পৃথক বুঝা যায়। রাসুল (সাঃ) এর যুগে মহিলারা মেহেন্দি দ্বারা রঙিয়ে রাখত।
হাতের চুড়ি প্রচলিত ছিল তখনও। অবশ্য তা বিবাহিত মহিলা চিহ্নরূপে প্রচলিত ছিল না। বলাই বাহুল্য যে, বিবাহিত মহিলার হাতে চুড়ি রাখা জরুরী ভাবা, চুড়ি খুললে স্বামীর কোন ক্ষতি হবে ধারণা করা অথবা হাত খালি করতে নেই মনে করা শির্ক ও বিদআত।
যেমন বেগানা

মহিলাদের বক্ষঃস্থলের বিধান

বক্ষঃস্থল


নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য গোপন থাকে তার বুকের মাঝে। সেহেতু বক্ষঃস্থল তার একান্ত গোপনীয় অঙ্গ। লেবাসের ভিতরেও এ অঙ্গ আকর্ষণীয় (উঁচু) করে রাখা বোরকা-ওয়ালীদের জন্যও বৈধ নয়।
কেবল স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্রা ব্যবহার বৈধ। অন্যের জন্য ধোকার উদ্দেশ্যে তা অবৈধ।[1]
বক্ষের ভিতরে আছে হৃদয়। এই হৃদয় হল মানুষের মূল। হৃদয় ভালো হলে,

মহিলাদের ঘাড় ও গলার বিধান।

ঘাড় ও গলা


মহিলাদের ঘাড়ের অলঙ্কার হিসাবে হার ও মালা পরার প্রথা আল্লাহর রসূল (সাঃ) এর যুগেও প্রচলিত ছিল।[1] সুতরাং তা আজও মহিলার সৌন্দর্যবর্ধক এক শ্রেণীর অলংকার।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, মহিলার গলার আওয়াজ বেগানা পুরুষের জন্য শোনা বৈধ হলেও

মহিলাদের দাঁত, দাঁতের যত্ন কিভাবে করবে ?

দাঁত, দাঁতের যত্ন


দাঁতের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে পুরুষের মত মহিলারও দাঁতন করার বিধান রয়েছে ইসলামে।
রূপচর্চায় দুই দাঁতের মধ্যবর্তী স্থান ঘষে ফাঁক-ফাঁক করে চিরনদাঁতীর রূপ আনা বৈধ নয়। এমন নারীও রসূল (সাঃ) এর মুখে অভিশপ্তা।[1]
অবশ্য কোন দাঁত অস্বাভাবিক ও অশোভনীয় রূপে

মহিলাদের ওষ্ঠাধর বা ঠোটের বিধান

ওষ্ঠাধর


প্রকৃতিগতভাবে মহিলার গোঁফ হয় না। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে তা যদি হয়েই থাকে, তাহলে তা তুলে ফেলা বৈধ; যেমন এ কথা পূর্বে আলোচিত হয়েছে।
স্বামীর দৃষ্টি ও মন আকর্ষণের জন্য ঠোঁট-পালিশ (লিপ্স্টিক), গাল-পালিশ প্রভৃতি অঙ্গরাগ ব্যবহার বৈধ; যদি তাতে কোন প্রকার হারাম বা ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত না থাকে।[1]
প্রকাশ থাকে যে,

মহিলাদের নাক, নাকের পরিচ্ছন্নতা ও অলঙ্কার কেমন হবে ?

নাক, নাকের পরিচ্ছন্নতা ও অলঙ্কার


নাক পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখা প্রকৃতিগত একটি সুন্নাত। আর তার জন্য রয়েছে ওযূর বিধান।
নাক ছিদ্র করার প্রথা রসূল (সাঃ) বা তাঁর সাহাবার যুগে ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে দেশের প্রথা হিসাবে মহিলা নাক ফুড়িয়ে তাতে কোন অলঙ্কার ব্যবহার করতে পারে।[1] ব্যবহার করতে

মহিলাদের গাল ও তার প্রসাধন কেমন হবে ?

গাল ও তার প্রসাধন


মহিলার জন্য বাজারে অসংখ্য (আসল ও নকল) গালের ক্রিম ও প্রসাধন পাওয়া যায়। এ সব ব্যবহার কেবল একটা ভিত্তিতে বৈধ এবং তা এই যে, তা ব্যবহারে মহিলার যেন উপকার থাকে এবং কোন প্রকার অপকার না থাকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, মহিলা তা কোন ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার না করে এবং মাসে মাসে একটার পর আর একটা পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে করতে গালের ত্বকই নষ্ট করে ফেলে। অথচ

মহিলাদের চোখ ও তার প্রসাধন কেমন হবে ?

চোখ ও তার প্রসাধন


মহিলার উচিত, প্রত্যেক হারাম জিনিস দেখা হতে চক্ষুকে অবনত ও সংযত করা। চোখের চাহনিকে বোরকার পর্দায় গোপন করা, আঁখির বাঁকা ছুরিকে কোন পরপুরুষের গলায় চালানো থেকে বিরত থাকা। চোখ ঠারা, চোখ মারা ও চোখের অবৈধ ইশারা থেকে দূরে থাকা।  চোখের ব্যভিচার থেকে শত ক্রোশ দূরে থাকা।
সুর্মা সুরমার চোখে মনোরমা লাগে এবং তা ব্যবহার সুন্নাত। কাজলে চোখের কোন ক্ষতি না থাকলে তা ব্যবহার বৈধ, নচেৎ না। পলকের পালিশ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই বিধান। জেনে রাখা দরকার যে,

মহিলাদের ভ্রূ ও তার সৌন্দযের বর্ধনের বিধান

ভ্রূ ও তার সৌন্দর্য


ভ্রূর রূপ হল প্রকৃতিগত। তাতে আল্লাহর দেওয়া রূপ মানুষের জন্য যথেষ্ট। সুতরাং তা চেঁছে সরু চাঁদের মত করে সৌন্দর্য আনয়ন বৈধ নয়। স্বামী চাইলেও নয়। যেহেতু ভ্রূ ছেঁড়া বা চাঁছাতে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন করা হয়; যাতে তাঁর অনুমতি নেই। তাছাড়া রসূল (সাঃ) এমন

মহিলাদের চেহারার বিধান

চেহারা


চেহারা দেহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মর্যাদাশীল ও দর্শনীয় অঙ্গ। সুন্দর-অসুন্দর বিবেচিত হয় এই অঙ্গেরই নিকষে। তাই তো বেগানার কাছে মর্যাদাসম্পন্না স্বাধীনা মহিলারা তাও গোপন করে থাকেন। তাই তো শরীয়ত নির্দেশ দিয়েছে যে, মহিলা আঘাতের উপযুক্তা হলেও তার চেহারায় যেন আঘাত না করা হয়।
চেহারার রঙ উজ্জ্বল করার জন্য কোন মেডিসিন দিয়ে

মহিলাদের কান ও তার অলঙ্কার কি রকম হবে ?

কান ও তার অলঙ্কার


কান আল্লাহর দেওয়া একটি নিয়ামত। এই নিয়ামত সম্পর্কে কিয়ামতে সকলকে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব কানে তাই শোনা উচিত, যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অনুমতি আছে। আল্লাহর দেওয়া এই কান দিয়ে গান-বাজনা, গীবত, চুগলী ইত্যাদি শোনা হারাম। হারাম কানাচি পেতে কারো গোপন কথা শোনা। কান ফুঁড়িয়ে অলঙ্কার ব্যবহার মহিলার জন্য বৈধ। কথিত আছে যে,

মহিলাদের মাথার পোশাক ও অলঙ্কার কেমন হবেন?

মাথার পোশাক ও অলঙ্কার


মহিলার মাথার পোশাক হল ওড়না। অবশ্য তা পাতলা হবে না এবং তা দিয়ে মাথা সহ ঘাড় ও বক্ষঃস্থল ঢাকা যাবে। আর তার মাথার যাবতীয় অলঙ্কার; টায়রা, ক্লিপ,

মহিলাদের মাথার সাজ-সজ্জা কেমন হবে ?

মহিলার মাথা


মহিলার মাথার কেশ একটি প্রকৃতিগত সৌন্দর্য। সুকেশিনী নারী মুগ্ধ করে তার স্বামীর চক্ষু ও মন। সুতরাং সেই সৌন্দর্যেরও আদব রয়েছে ইসলামে। কেশবিন্যাসে মহিলার সিঁথি হবে মাথার মাঝে। এই অভ্যাসের বিরোধিতা করে সে মাথার এক সাইডে সিঁথি করতে পারে না।[1] সাধারণতঃ বাঁকা সিঁথির এ ফ্যাশন দ্বীনদার মহিলাদের নয়।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন,

মহিলাদের সাজ-সজ্জার বিধান

সাজ-সজ্জা


মহিলার লেবাসের শর্ত অনুসারে আমরা বুঝতে পারি যে টাইট্ফিট আটষাট (চুশ) পোশাক কেবল স্বামীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বাড়ির ভিতর পরিধান বৈধ। অবশ্য কোন এগানা ও মহিলার সামনে, এমন কি পিতা-মাতা বা ছেলে-মেয়েদের সামনেও ব্যবহার উচিত নয়।[1]
যে পোশাকে অথবা অলঙ্কারে কোন প্রকারের মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবি অঙ্কিত থাকে তা ব্যবহার করা বৈধ নয়। যেহেতু

খতনা করার বিধান

খতনা


খতনা করা বালকের জন্য আবশ্যক। এতে রয়েছে পরিপূর্ণ পরিচ্ছন্নতা ও বহু যৌনরোগের হাত হতে মুক্তির উপায়। তাছাড়া এতে রয়েছে দাম্পত্য সম্ভোগণ্ডসুখের পূর্ণ তৃপ্তি ও রহস্য। এটা

নারী ও পুরষের গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করার বিধান।

গুপ্তাঙ্গের লোম


গুপ্তাঙ্গ গুপ্তই থাকে, তবুও তার (নাভির নিচে এবং পেশাব-পায়খানাদ্বারের আশে-পাশে) গজিয়ে ওঠা লোম পরিষ্কার করে ফেলতে হয় মুসলিমকে।
উল্লেখ্য যে, মুসলিম কেবল বাহিরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়; বরং আভ্যন্তরিক ও গোপনীয় বিষয়েও সে বড় সভ্য।
এই লোম চেঁছে ফেলাই সুন্নাত। অবশ্য

নারী ও পুরুষের লজ্জাস্থানের বিধান

লজ্জাস্থান


পুরুষের লজ্জাস্থান হল নাভি থেকে নিয়ে হাঁটু পর্যন্ত। এই স্থানকে গুপ্তস্থানও বলা হয়। মানুষের জন্য সে স্থান গুপ্ত রাখা ওয়াজেব। এমনকি একাকী থাকলেও তা প্রকাশ করা বা খুলে রাখা উচিত নয়। তদনুরূপ অপরের ঐ স্থানের দিকে চেয়ে দেখা বৈধ নয়। সামনে কেউ না থাকলেও আল্লাহকে লজ্জা করা ঈমানের অন্যতম পরিচয়। অবশ্য স্ত্রীর কাছে থাকলে সে কথা আলাদা।
রাসুল (সাঃ) বলেন,

হাত-পায়ের নখ কাটার বিধান

হাত-পায়ের নখ


নখ কাটা প্রকৃতিগত একটি সুন্নাত। নখ ছেড়ে রাখা বৈধ নয়। মানুষ একটি সভ্য জাতি। সে জাতি এবং বিশেষ করে কোন মুসলিম অসভ্য পশুর সদৃশ হতে পারে না।
হাতের নখ কাটার সময় প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাতের নখ কাটতে হয়। পায়ের নখ কাটার সময় ডান পায়ের নখ আগে কাটতে হয়। তবে

পায়ের লেবাস (পা)

পা


পায়ের লেবাস মোজা ও জুতা। ইসলাম মুসলিমকে জুতা ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করে।[1] যেহেতু জুতা পরে পথ চললে কোন সওয়ারীর উপর চড়ে থাকার মত পা নিরাপদে থাকে, পথ চলতেও আরাম লাগে। জুতা পরার আদব রয়েছে ইসলামে, যা নিম্নরূপঃ
 ১। জুতা (ও মোজা) পরার সময় ডান পায়েরটা আগে পরুন এবং খোলার সময় বাম পায়েরটা আগে খুলুন।
প্রিয় রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের যখন কেউ জুতা পরে, তখন সে যেন ডান পা থেকে শুরু করে এবং যখন খোলে,

হাত ও পায়ের আঙ্গুলের বিধান

আঙ্গুল


আঙ্গুলের গিরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ইসলাম মুসলিমকে উদ্বুদ্ধ করেছে। সেই সাথে আঙ্গুলে অঙ্গুরীয় বা আংটি ব্যবহারকে বৈধ করেছে। আল্লাহর রসূল (সাঃ) আংটি ব্যবহার করেছেন।[1] তাঁর আংটি ছিল রৌপ্যনির্মিত।[2] তাতে অঙ্কিত ছিল ‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’। অবশ্য সে আংটি তিনি শীলমোহর স্বরূপ ব্যবহার করতেন।[3]
তিনি ডান হাতে আংটি ব্যবহার করতেন।[4] ঐ আংটি তিনি অনামিকা (কনিষ্ঠা বা কড়ে আঙ্গুলের পাশের) আঙ্গুলে পরতেন।[5] তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করতেন।[6]
জ্ঞাতব্য যে, বাম হাতেও আংটি পরা বৈধ। রাসুল (সাঃ)

হাত

হাত


পুরুষের জন্য কোন সময় হাত-পায়ে কোন রঙ ব্যবহার করা বৈধ নয়; বিবাহের সময়ও নয়। কারণ রঙ হল মহিলার জন্য।
উল্লেখ্য যে, বিবাহের সময় পুরুষের হাতে মেহেদী লাগানো মহিলাদেরই সাদৃশ্য অবলম্বন।
সৌন্দর্যের জন্য নয়; বরং টাইম দেখার জন্য হাতে ঘড়ি বাঁধা বৈধ। যে হাতে ঘড়ি নিরাপদে থাকবে এবং ঝাঁকুনি কম লাগবে সেই হাতে বেঁধে রাখা দোষাবহ নয়। যেহেতু রসূল (সাঃ)

বগল পরিষ্কার করার বিধান।

বগল


বগলের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও ইসলাম মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। অতএব বগলের গন্ধে যাতে অন্য কেউ কষ্ট না পায়, তার খেয়াল রাখা উচিত প্রত্যেক মুসলিমের। যেমন বগলের লোম তুলে বা ছিঁড়ে ফেলা প্রকৃতিগত একটি সুন্নাত। এই সুন্নাত পালন করেও পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করা সকলের কর্তব্য।
প্রকাশ থাকে যে, সুন্নাত হল

জিভ,গলা ও বুক পরিষ্কার করার বিধান।

জিভ


জিভ পরিষ্কার রাখাও মুসলিমের পরিচ্ছন্নতার একটি কর্তব্য। রাসুল (সাঃ) দাঁতনের সাহায্যেই নিজের জিভ মেজে পরিষ্কার করতেন এবং সেই সময় তাঁর মুখে বমি করার মত শব্দ হত।[1]
ফুটনোটঃ[1]. আহমাদ ৪/৪১৭, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২৫৪, আবূ দাঊদ হা/৪৯, নাসাঈ প্রমুখ

গলা


মুসলিমের গলার আওয়াজ হবে মিষ্টি ও বিনত। মু’মিন

মিসওয়াক করে মুখ সাফ করার বিধান (দাঁত)

দাঁত


প্রত্যেক ওযূর আগে, ওযূ না করলেও নামাযের আগে, কুরআন তিলাওয়াতের আগে, ঘুম থেকে জেগে উঠে, বাইরে থেকে স্বগৃহে প্রবেশ করে, মুখ দুর্গন্ধময় অথবা দাঁত হলুদবর্ণ হলে দাঁতন করা সুন্নাত।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর না জানলে এশার নামাযকে দেরী করে পড়তে এবং প্রত্যেক নামাযের সময় দাঁতন করতে আদেশ দিতাম।’’[1]
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি আমার উম্মতের পক্ষে কষ্টকর না জানলে (প্রত্যেক) ওযুর সাথে দাঁতন করা ফরয করতাম এবং এশার নামায অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে পড়তাম।’’[2]
তাই সাহাবী যায়েদ বিন খালেদ জুহানী (রাঃ) মসজিদে নামায পড়তে হাজির হতেন, আর তাঁর দাঁতনকে কলমের মত তাঁর কানে গুঁজে রাখতেন। নামাযে দাঁড়াবার সময় তিনি দাঁতন করে পুনরায় কানে গুঁজে নিতেন।[3]
মুসলিমের প্রকৃতিগত কর্মসমূহের একটি হল,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ