Tuesday, February 13, 2018

রোজাদার বোনদের প্রতি… যে সকল বোন রমজান পেল তাদের উদ্দেশ্যে

রোজাদার বোনদের প্রতি…

যে সকল বোন রমজান পেল তাদের উদ্দেশ্যে
সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ তাআলার যিনি আমাদের রমজান মাস নসীব করেছেন। আমরা তার কাছেই প্রার্থনা করছি। তিনি যেন আমাদের রমজানের সিয়াম ও কিয়াম আদায় করার তাওফীক দান করেন। আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো তিনি যেন ক্ষমা করে দেন। আর সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ট নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ও তার সকল সাহাবীদের উপর।
এটি একটি ক্ষুদ্র চিঠি যা আমি আমার মুসলিম বোনদের জন্য লিখেছি। চিঠিটি কয়েকটি পরিচ্ছেদে ভাগ করে আলোচনা করেছি। আল্লাহর কাছেই দুআ করছি তিনি যেন এর মাধ্যমে আমাদের উপকৃত করেন। তিনিই সর্বশ্রোতা, সাড়া দানকারী।
প্রথম পরিচ্ছেদ:
আপনাকে সৃষ্টির মূল উদ্দশ্যে সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আল্লাহ তাআলা বলেন :

রোজার আদব


রোজার আদব 
আদব হল মানুষের জীবনের সৌন্দর্য। ইবাদত-বন্দেগির আদবসমূহ ইবাদতকে উজ্জ্বল ও স্বচ্ছ করে দেয়। তাই প্রত্যেকটি ইবাদতের রয়েছে কিছু আদব-কায়দা বা শিষ্টাচার। কিছু আদব হল অবশ্য পালনীয় যা বাস্তবায়ন না করলে ইবাদতটি গ্রহণযোগ্য হবে না, আর কিছু হল মোস্তাহাব অর্থাৎ যা পালন করলে ইবাদতটি পরিপূর্ণতার সহায়ক হয় এবং ইবাদতের মাঝে কোন ক্ষতি হয়ে গেলে তা কাটিয়ে উঠা যায় ও পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যায়। তাই আমরা এখানে সিয়ামের কতিপয় আদব আলোচনা করব। আমরা যদি এ আদবসমূহ মান্য করে সিয়াম আদায় করতে পারি তবে আল্লাহর ফজলে আমরা সিয়ামের পূর্ণ সওয়াব বা প্রতিদান লাভ করতে সক্ষম হব।
(১) ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করা :

রোযাবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান

রোযাবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান 

আলহামদুলিল্লাহ্ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদঃ রামাযান মাসে সাউম পালনকারী ভাইদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রায় প্রায় প্রশ্ন করা হয়। এ সম্পর্কে শরীয়ার সঠিক বিধান না জানা থাকার কারণে অনেকে অনেক রকমের ধারণা করে। কেউ মনে করে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেছে, কেউ বলে রোযা মাকরূহ হয়ে গেছে, কেউ ভাবে তার দ্বারা গুনাহ হয়ে গেছে আর কেউ সংশয়ে থাকে। তাই সংক্ষিপ্তাকারে বিষয়টির শারঈ সমাধান উল্লেখ করার নিয়ত করেছি। আল্লাহই তাওফীকদাতা। প্রথমতঃ আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, রোযা/ সাউম হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকা। [ফাতহুল বারী, ৪/১৩২] তাই যৌন সঙ্গম হচ্ছে রোযা ভংগের একটি অন্যতম কারণ। অতঃপর জানা উচিৎ যে, রোযাবস্থায় বীর্যপাতের দুটি অবস্থা রয়েছে। যথা: (ক) রোযাদার স্বেচ্ছায় স্বয়ং তার বীর্যপাত ঘটায়। অর্থাৎ

শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযা: সারা বছর রোযার ছোয়াব পাওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ:

শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযা: সারা বছর রোযার ছোয়াব পাওয়ার একটি সুবর্ণ সুযোগ: শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা
রাখার মর্যাদা:রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর
সাহাবীদের শাওয়াল মাসের এই ছয় রোযা রাখার প্রতি
উৎসাহ দিতেন। তিনি বলেছেনঃﻣَﻦْ ﺻَﺎﻡَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗْﺒَﻌَﻪُ ﺳِﺘًّﺎ ﻣِﻦْﺷَﻮَّﺍﻝٍ ﻛَﺎﻥَ ﻛَﺼِﻴَﺎﻡِ ﺍﻟﺪَّﻫْﺮِ
“যে ব্যক্তি রামাযান মাসের রোযা রাখলো অতঃপর

সাধারণ ভুল যেগুলো রমজানের সময় আমরা করে থাকি


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
১. রামাদানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করাঃ
আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘zombie’র মত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য…. আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে। নিশ্চিতভাবে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি কিন্তু সেটা কেবল লৌকিকভাবেই!
যদিও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “জিবরাঈল (আঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার নিকট রামাদান আসল এবং তার গুনাহসমূহ মাফ হল না, এবং আমি বললাম, আমিন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির নাকও মাটিতে ঘষুন যে জীবদ্দশায় তার পিতামাতার একজনকে অথবা উভয়কে বৃদ্ধ হতে দেখল এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করার অধিকার রাখল না তাদের সেবা করার মাধ্যমে আর আমি বললাম, আমিন।
অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার উপস্থিতিতে যখন আপনার নাম উচ্চারণ করা হয় তখন সে আপনার প্রতি সালাম বর্ষণ করে না আর আমি বললাম, আমিন।” (তিরমিযী, আহমাদ, এবং অন্যান্য_আলবানী কর্তৃক সহীহকৃত)
২. পানাহারের ব্যাপারে অতিমাত্রায় চাপে থাকাঃ

সিয়াম ও রমজান : শিক্ষা-তাৎপর্য-মাসায়েল (১ম পর্ব)


মহাপরিচালকের কথা
রহমত, মাগফিরাত ও নারকীয় জীবনের স্পর্শ থেকে মুক্তি লাভের অফুরান সম্ভাবনা নিয়ে ফিরে আসে মাহে রমজান। আসে তাকওয়ার উত্তাপ অনুভব করাতে, যা কিছু অকল্যাণকর, অন্ধকারময় তা থেকে ব্যক্তির আন্তর ও বাহ্য জগৎকে বিমুক্ত করে শুদ্ধ-আলোকিত মানুষের উন্মেষ ঘটাতে। তবে তার জন্য প্রয়োজন মাহে রমজানকে যথার্থভাবে যাপন, সিয়াম পালনের নীতি-বিধান বিষয়ে সম্যক জ্ঞানার্জন, সিয়ামের শিক্ষা ও মাসায়েল বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা অর্জন।
‘সিয়াম ও রমজান : শিক্ষা-তাৎপর্য-মাসাইল’ বইটি এ বিষয়ের একটি অনবদ্য গবেষণা। লেখক ও গবেষক হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান কেবলমাত্র সহীহ ও হাসান হাদীসের নির্ভরতায় সিয়াম সাধনা বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ দলীল প্রস্তুত করেছেন বলে তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয়। মুফতী নোমান আবুল বাশার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইকবাল হোসাইন মাসুম, মুফতী জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব-এর আন্তরিক সহযোগিতায় গবেষণা কর্মটি আরও উজ্জ্বলতা পেয়েছে নিঃসন্দেহে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে বইটিকে মুদ্রণ উপযুক্ত করে তুলেছেন মুফতী কামাল উদ্দিন মোল্লা, তাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সিয়াম ও রমজান : শিক্ষা-তাৎপর্য-মাসায়েল (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
এতেকাফ : তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও বিধানাবলী
এতেকাফের সংজ্ঞা
বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে এতেকাফ বলে।
এতেকাফের ফযীলত
এতেকাফ একটি মহান ইবাদত, মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি বছরই এতেকাফ পালন করেছেন। দাওয়াত, তরবিয়ত, শিক্ষা এবং জিহাদে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও রমজানে তিনি এতেকাফ ছাড়েননি। এতেকাফ ঈমানী তরবিয়তের একটি পাঠশালা, এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হিদায়াতি আলোর একটি প্রতীক। এতেকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্যান্য সকল বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (১ম পর্ব)


রমযান মাসের আগমন উপলক্ষে আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নেব
ফাত্‌ওয়া নং – 92748
প্রশ্ন : আমরা কিভাবে রমযানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন কাজটি সর্বোত্তম?
উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
প্রথমত :
সম্মানিত ভাই, আপনি প্রশ্নটি করে বেশ ভাল করেছেন। কারণ আপনি রমযান মাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন যখন সিয়ামের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বহু মানুষের ধ্যান ধারণা বিকৃত হয়েছে। তারা এই মাসকে খাদ্য, পানীয়, মিষ্টি-মন্ডা, রাত জাগা ও স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর মৌসুম বানিয়ে ফেলেছে। আর এ জন্য তারা রমযান মাসের বেশ আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এই আশংকায় যে কিছু খাদ্য দ্রব্য কেনা বাদ পড়তে পারে বা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই তারা খাদ্য দ্রব্য কিনে, হরেক রকম পানীয় প্রস্তুত করে এবং কী অনুষ্ঠান দেখবে আর কী দেখবে না তা জানতে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর গাইড খোঁজ খবর করে প্রস্তুতি নেয়।
আর এভাবে তারা রমযান মাসের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই অজ্ঞ থেকে গেল। তারা এ মা

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (৩য় পর্ব)

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (৩য় পর্ব)

ই‘তিকাফের মূল আদর্শ, কেন মুসলিমরা এই সুন্নাহ ছেড়ে দিয়েছে?
ফাত্‌ওয়া নং – 49007
প্রশ্ন : কেন মুসলিমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ হওয়া সত্ত্বেও ই‘তিকাফ ছেড়ে দিয়েছে? আর ই‘তিকাফের মূল লক্ষ্যই বা কি?
উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য
প্রথমত :
ই‘তিকাফ হল মু’আক্কদাহ সুন্নাহ; যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত পালন করতেন।
এর শারী‘আত সম্মত হওয়ার ব্যাপারে দলীলগুলো দেখুন (48999) প্রশ্নের উত্তরে।
আর এই সুন্নাহ তো মুসলিমদের জীবন থেকে হারিয়েই গেছে -সে ব্যতীত যাকে আমার রাব্ব দয়া করেছেন- এর অবস্থা সে সুন্নাহগুলোর মতই যা মুসলিমরা একেবারেই ত্যাগ করেছে বা একেবারে ত্যাগ করার পথে।
আর এর কিছু কারণ রয়েছে যেমন :

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কী ধরনের রোগ একজন রোযাদারের জন্য সাওম ভঙ্গ বৈধ করে?
ফাত্‌ওয়া নং – 12488
প্রশ্ন : কোন ধরনের রোগ রমযান মাসে একজন মানুষের জন্য সাওম ভঙ্গ বৈধ করে? যে কোনো রোগে, যদি তা অল্পও হয়, তবে কী সাওম ভঙ্গ করা জায়েয (বৈধ)?
উত্তর : সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য।
‘আলিমগণের অধিকাংশের মতে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন চার জন ইমাম (আবূ হানীফাহ্, মালিক, শাফি‘ঈ ও আহমাদ), একজন রোগীর জন্য রমযান মাসে সাওম ভঙ্গ করা জায়েয নয় যদি না তার রোগ তীব্র হয়।
আর তীব্র রোগের অর্থ হলো :
১.সাওমের কারণে যদি রোগ বেড়ে যায়।
২.সাওমের কারণে যদি আরোগ্য লাভে দেরি হয়।

সিয়ামের ফজিলত সমূহ :


সিয়ামের ফজিলত সমূহ :
এক. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের সাথে সিয়ামের সম্পর্ক ঘোষণা করেছেন।
এমনিভাবে তিনি সকল ইবাদত-বন্দেগি থেকে সিয়ামকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন। যেমন তিনি এক হাদিসে কুদসিতে বলেন :—
كل عمل ابن آدم لـه إلا الصيام، فإنه لي وأنا أجزى به. رواه مسلم
মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম)
এ হাদিস দ্বারা আমরা অনুধাবন করতে পারি নেক আমলের মাঝে সিয়াম পালনের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে কত বেশি। তাই সাহাবি আবু হুরায়রা রা. যখন বলেছিলেন –

প্রশ্ন (১/১) : ঈদায়নের ছালাতের তাকবীর কয়টি? ছয় তাকবীরের পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ আছে কি? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন (১/১) : ঈদায়নের ছালাতের তাকবীর কয়টি? ছয় তাকবীরের পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ আছে কি? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। উত্তর : ঈদায়নের ছালাতে অতিরিক্ত তাকবীর ১২টি। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহাতে প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন রুকূর দুই তাকবীর ব্যতীত’ এবং ‘তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত’(আবুদাঊদ হা/১১৫০; ইবনু মাজাহ হা/১২৮০, দারাকুৎনী হা/১৭০৪, ১৭১০, সনদ ছহীহ)। কাছীর বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন,

রমযান মাসে যদি সব শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে তাহলে এ মাসে মানুষ নিয়মিতভাবে পাপ করতে থাকে কীভাবে?

রমযান মাসে যদি সব শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে তাহলে এ মাসে মানুষ নিয়মিতভাবে পাপ করতে থাকে কীভাবে?

প্রশ্ন: এটি খুব সাধারণ এবং সকলের মনে উদয় হওয়া একটি প্রশ্ন তাহলো, রমযান মাসে যদি সব শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকে তাহলে এ মাসেমানুষ নিয়মিতভাবে পাপ করতে থাকে কীভাবে?
উত্তর: ডা. জাকির নায়েক: হ্যাঁ, আমি এই সাধারণ প্রশ্নের সাথে একমত এবং এখন আমার বিভিন্ন আয়াত, হাদীস ইত্যাদির কথা মনে হচ্ছে যেখানে উল্লেখ আছে যে, রমযান মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মনে এই প্রশ্ন উত্থিত হয়।
শুধু আমাদেরই নয়, বিভিন্ন মুসলিম এবং অমুসলিমদের ভেতরেও এই প্রশ্ন ওঠে যে যদি শয়তান শৃঙ্খলাবদ্ধ হয় তাহলে মানবজাতি এরকম পাপ কাজ চালিয়ে যেতে পারে কীভাবে? এই ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয় মূলত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে।
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ


তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
ভূমিকা
শরী‘আতের মূল হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নিকট হতে যা নিয়ে এসেছেন। আর নবীর যুগই হলো শরী‘আতের যুগ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ﴾ [الحشر: 7]
‘‘তোমাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা হতে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাক’’।[1]
এছাড়াও অন্যত্র এসেছে-

তারাবীহর নামাযের রাকআত সংখ্যা

তারাবীহর নামাযের রাকআত সংখ্যা

তারাবীহর নামাযের রাকআত সংখ্যা
ভূমিকা: আল্লাহ তায়ালা বলেন: “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌র নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। (সূরা নিসাঃ ৫৯)

তারবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?

তারবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?

তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?
আল্লামা উসাইমীন (রহ:) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা
সম্মানিত শাইখ মোহাম্মাদ সালেহ আল উছাইমীন (র:) বলেন: সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল সাহাবীর উপর।
অতঃপর আমি তারাবীর নামায বিষয়ে একটি লিফলেট দেখতে পেলাম, যা মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আমি আরও জানতে পারলাম যে, প্রবন্ধটি কতিপয় মসজিদে পাঠ করা হয়েছে। প্রবন্ধ বা লিফলেটটি খুবই মূল্যবান। কেননা লেখক তাতে তারাবীর নামাযে খুশু-খুযু এবং ধীর স্থিরতা অবলম্বনের উপর উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে ভাল কাজের বিনিময়ে ভাল পুরস্কার দান করুন।
তবে প্রবন্ধটির মধ্যে বেশ কিছু আপত্তি রয়েছে, যা বর্ণনা করা ওয়াজিব মনে করছি। লেখক সেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন।
এর জবাব হচ্ছে এই হাদীছটি যঈফ। ইবনে হাজার আসকালানী সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ফতহুল বারীতে বলেন:

কাজকে ‘না’ বলুন; রোযাকে নয়!

কাজকে ‘না’ বলুন; রোযাকে নয়
[বড় দিন, প্রচণ্ড গরম, ধান রোপণ, কঠিন কাজ, পরীক্ষা ইত্যাদির কারণে রোযা পালন না করা]
লেখক: আব্দুর রাকীব মাদানী
দাঈ, দাওয়া সেন্টার খাফজী, সউদী আরব
আল্ হামদু ল্লিল্লাহি রাব্বিল্ আলামীন, ওয়াস স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল্ আমীন। আম্মা বাদ:
রহমত ও বরকতের পবিত্র রামাযান মাস আমাদের মাঝে এমন সময় সমাগত যে সময় আমাদের দেশের কৃষকগণ প্রধানত: ধান রোপণের কাজে ব্যস্ত থাকে। আল্লাহর রহমতে বাংলার জমীনে এই সময় মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়।

প্রশ্নঃ ঈদের দিনে কী কী কাজ করাকে উৎসাহি করা হয়েছে বা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?

প্রশ্নঃ ঈদের দিনে কী কী কাজ করাকে উৎসাহি  করা হয়েছে বা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ ঈদের দিনে যে সকল কাজ করতে হবে সেগুলো হলোঃ ১) গোসল করতে হবে। আল মুয়াত্তার ৪২৮ নম্বর হাদীসে উল্লেখ আছে যে, “আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রা.) ঈদের সলাতের পূর্বে গোসল করতেন।” সুতরাং ঈদের সলাতের পূর্বে গোসল করা সুন্নাত। ২) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং উত্তম জামা কাপড় পরিধান করা সুন্নাত। ৩) রসূল [ﷺ ] ঈদের সলাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় কিছু খেজুর খেতেন। হাদীসে বর্ণিত আছে, “রসূল [ﷺ ] ঈদের সলাতের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে কিছু খেজুর খেতেন।” (সহীহ আল-বুখারী, অধ্যায় ঈদ, হাদীস ৯৫৩) ৪) ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া উচিত। সহীহ বুখারীতে উল্লেখ আছে যে, “রসূল [ﷺ ] ঈদের দিন সলাতের আদায় করার জন্যে ঈদগাহে যেতেন।” (সহীহ আল-বুখারী, অধ্যায় ঈদ, হাদীস ৯৫৬) সুতরাং ঈদগাহে সলাতের আদায় করা সুন্নাত অন্যথায় এই সলাত মাসজিদে আদায় করতে হবে। আরেকটি হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে যে, “রসূলুল্লাহ [ﷺ ] বলেছেন,

আমরা কিভাবে রমযানকে স্বাগত জানাব?

আমরা কিভাবে রমযানকে স্বাগত জানাব?
  – আ ব দু ল্লা হি ল হা দী মু. ই উ সু ফ
ভূমিকাঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আল্লাহর নির্ধারণকৃত নিয়মে পবিত্র রমযান আমাদের মাঝে আসতে যাচেছ, মুমেন বান্দার জন্য এই মাস পরকালের পাথেয় সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিরাট সহায়ক মাস, যেন মুমেন বান্দার নেকীর পাল্লাকে ভারি করার নিমিত্বেই প্রতিবছর এই মাস বার বার আসছে। তাই সালাফে সালেহীনগণ রোযা আসার ছয়মাস আগে থেকে এই মাস পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করতে থাকত। মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমরা এই মাস পেতে যাচ্ছি।
তাহলে আমরা কিভাবে এই মাসকে স্বাগতম জানাতে পারি এ বিষয়ে নিম্নে কয়েকটি পয়েন্ট উপস্থাপন করা হল:

‘লাইলাতুল কদর’ এ কি কি ইবাদত করবেন?

‘লাইলাতুল কদর’ এ কি কি ইবাদত করবেন?

‘লাইলাতুল্ কদর’ এ কি কি ইবাদত করবেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
অনেক দ্বীনী ভাই আছেন যারা সহীহ নিয়মে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করতে ইচ্ছুক। তাই তারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, লাইলাতুল কদরে আমরা কি কি ইবাদত করতে পারি? এই রকম ভাই এবং সকল মুসলিম ভাইদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষিপ্তাকারে কিছু উল্লেখ করা হল। [ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ]
প্রথমতঃ

রমযান মাসের সমাপ্তি

 রমযান মাসের সমাপ্তি

রমযান মাসের সমাপ্তি
ভাইয়েরা আমার! অতি শীঘ্রই রমযান মাস আমাদের নিকট থেকে বিদায় নিচ্ছে ও নতুন একটি মাস আসছে, কিন্তু রমযান মাস আমাদের জন্য সাক্ষী থাকবে। এ মাসে যে ব্যক্তি ভাল আমল করতে পেরেছে, সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে ও শুভ পরিণামের অপেক্ষায় থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ভাল আমলকারীর আমল নষ্ট করেন না। আর যে ব্যক্তি এ মাসে অন্যায় কাজ করেছে, সে যেন তার প্রভূর কাছে খালেছ তওবা করে। আল্লাহ তাআলা তওবাকারীর তওবা কবুল করেন। তিনি আমাদের জন্য এ পোশাক শেষে এমন কিছু ইবাদত নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয়, বৃদ্ধি পায় ঈমানী শক্তি, সমৃদ্ধ হয় আমলনামা। যেমন সদকাতুল ফিতর আদায় করা এবং  ঈদের চাঁদ উঠার পর থেকে ঈদের সালাত আদায় পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ