Saturday, February 17, 2018

হজ্জের পর হাজী সাহেবের করণীয়

হজ্জের পর হাজী সাহেবের করণীয়

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
হজ্জের পর কী?
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য, যাঁর নেয়ামতেই সকল সৎকাজসমূহ সম্পন্ন হয়ে থাকে, আর তাঁর দয়াতেই সকল ইবাদাত কবুল হয়ে থাকে। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর শুকরিয়া আদায় করছি, আর এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন হক মা‌‘বুদ নেই এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ্ তার উপর, তার পরিবার ও সঙ্গী সাথীদের উপর দুরুদ প্রেরণ করুন এবং বহু পরিমানে সালাম পেশ করুন। তারপর,
হজ্ গত হল, তার কার্যাদি পূর্ণ হলো, আর হজের মাসসমূহ তার কল্যাণ ও বরকত নিয়ে চলে গেল। এ দিনগুলো অতিবাহিত হলো, আর মুসলিমগণ তাতে তাদের হজ সম্পাদন করল, তাদের কেউ আদায় করল ফরয হজ্, অপর কেউ আদায় করল নফল হজ্, তাদের মধ্যে যাদের হজ কবুল হয়েছে তারা তাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে নিয়ে এমন দিনের মত প্রত্যাবর্তন করল যেমন তাদের মাতাগণ তাদেরকে জন্ম দিয়েছিল। সুতরাং সফলকামদের জন্য রয়েছে মুবারকবাদ। যাদের থেকে তা গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদের সৌভাগ্যই সৌভাগ্য!
“আল্লাহ তো কেবল মুত্তাকীদের পক্ষ থেকেই কবুল করে থাকেন”।[1]

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। পবিত্র ও বরকতময় অগণিত স্ত্ততি আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা যিনি সম্মানিত ঘরকে মানুষের মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে পরিণত করেছেন, যে ঘরের প্রতি রয়েছে আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের হৃদয়ের আকর্ষণ।
দরূদ ও সালাম প্রিয় নবী মুস্তাফার উপর যিনি ঔ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোত্তম যারা আল্লাহর ঘরে হজ ও উমরা পালন করেছেন, যাকে সারা জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আমানতের দায়িত্ব আদায় করেছেন, উম্মাতকে নসীহত করেছেন, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক জিহাদ করেছেন, আল্লাহ তাঁকে দ্বীন ইসলাম সহকারে পাঠিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি বান্দাহদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন এবং কুফর ও শির্কের অন্ধকার থেকে তাদেরকে মুক্ত করে ইসলামের প্রদীপ্ত সূর্যালোকে নিয়ে এসেছেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন :

যুলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল এবং কুরবানীর মাসায়েল

যুলহজ্জ মাসের প্রথম দশ
দিনের আমল এবং কুরবানীর
মাসায়েল
লেখক: আবদুল্লাহ আল কাফী
সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী
ভূমিকা: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর
জন্য, যিনি আমাদের জন্য ইসলাম
ধর্মকে পরিপূর্ণ করে
দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির অবিরাম
ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল
শিরোমণি মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর
পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত
সাথীদের উপর।
রাসূল (সাল্লাল্লাহী আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেন: “আমার উম্মতের

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

সূচীপত্র
ভূমিকা
অনুবাদকের কথা
যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ও আমল
১-যিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত
২-যিলহজ মাসের প্রথম দশকে নেক আমলের ফজিলত
যিলহজের প্রথম দশ দিনে যে সকল নেক আমল করা যেতে পারে
১-খাঁটি মনে তওবা করা
২-তওবা কবুলের শর্ত
৩-হজ ও ওমরাহ আদায় করা
৪-নিয়মিত ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ আদায়ে যত্নবান হওয়া
৫-বেশি করে নেক আমল করা

যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ


ভূমিকা
 
إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তার কাছেই সাহায্য চাই, তার নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের ক্ষতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়াত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়াত দেওয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই,

ভাগে কুরবানী করার বিধান

ভাগে কুরবানী করার বিধান
– শায়খ আখতারুল আমান আবদুস সালাম
একথা সর্বজন বিদিত যে একটি গোটা জান কুরবানী
দেয়াই উত্তম । কারণ একটি গোটা জান কুরবানী
দিলে তা পুরা পরিবারের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়,যদিও
সে পরিবারের সদস্য সংখ্যা সাতেরও অধিক হয়।
পক্ষান্তরে শরীক কুরবানী এর ব্যতিক্রম। ওটাতে যে
শরীক হবে শুধু মাত্র তার পক্ষ থেকেই কুরবানী হবে।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে আদায় হবেনা। এক্ষনে উট
ও গরুতে শরীক কুরবানী বৈধ কিনা সে বিষয়ে
আলোকপাত করা যাক।
উট ও গরুতে শরীক হওয়া নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) এর একাধিক বিশুদ্ধ হাদীছ ও সালাফে
সালেহীনের বাণী দ্বারা সূপ্রমানিত। নিম্নে সে
সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
এর কতিপয় হাদীছ ও সালাফে ছালেহীনের বাণী

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (১ম পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (১ম পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা
بسم الله الرحمن الرحيم

ভূমিকা

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله
সরল ভাষায় হজ্জ ও উমরা বিষয়ে একটি বই লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম অনেক আগেই। বিগত ২০০৬ এর জানুয়ারীর (১৪২৬ হিঃ) হজ্জে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজীদের কিছু ভুল-ত্রুটি আমার নযরে আসায় বইটি লিখার আগ্রহ বেড়ে যায় বহুগুণে। আল্লাহর রহমতে রেফারেন্স হিসেবে পেয়ে গেলাম ২০-এর কাছাকাছি শুধু আরবী গ্রন্থকারদের কিতাব। পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য হাদীসে জিবরীলের মত এটাকে প্রশ্নোত্তর আকারে সাজালাম। পড়লে মনে হবে যেন দু’জন বসে কথা বলছেন। এদেশের হাজীদের আনুমানিক ৯৫% ভাগই সাধারণ শিক্ষিত। একটা নির্ভুল হজ্জ আদায়ের জন্য তারাই আমার এ বইয়ের প্রধান টার্গেট। প্রতিটি মাসআলা বিশুদ্ধ দলীলের ভিত্তিতে সাজাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। চারজন বিশেষজ্ঞ ফকীহসহ আরো কয়েকজন অভিজ্ঞ আলেম এর

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
 
১৭শ অধ্যায়
বিবিধ মাস্‌আলা
প্রঃ ১৮২- আমরা জানি যে, শিশুদের উপর হজ্জ ফরজ নয়। কিন্তু তারা হজ্জ করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
উঃ- হাঁ। শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সাওয়াব পাবে শিশুর মাতা-পিতা। তবে বালেগ হওয়ার পর যদি পূর্বে বর্ণিত চারটি শর্ত (প্রশ্ন নং-১০) পূরণ হয় তবে তাকে আবার ফরজ হজ্জ আদায় করতে হবে।
প্রঃ ১৮৩- মেয়েরা কি একাকী হজ্জে যেতে পারবে?
উঃ- না। মেয়েলোক হলে তার সাথে পিতা, স্বামী, ভাই, ছেলে বা অন্য মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে। দুলাভাই, দেবর, চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুফাতো ভাই তথা গায়রে মাহরাম হলে চলবে না।

নারীর হজ ও উমরা

নারীর হজ ও উমরা

সূচীপত্র
ভূমিকা
হজের অর্থ :
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত :

নবীগৃহে ঈদ

নবীগৃহে ঈদ

undefined
নবী ঘরে ঈদ
(আল্লাহ তাআলা আমাদের ও তোমাদের রোজা, তারাবির নামাজ ও অন্যান্য সকল নেক আমল কবুল করুক। আর তোমরা সারাটি বছর সুখে থাক।)
মদীনার ইতিহাসে একটি আলোকোজ্জল দিন তথা ঈদের দিন সকাল বেলায় নবীঘর ও আশে পাশের সবকয়টি জায়গায় ঈদ উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। আর এ সব কিছুই হচ্ছিল মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখের সামনে। প্রত্যেকে ঈদ উৎসবে নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করছিল। তারা সকলেই চাইত তাদের নিজ নিজ অনুষ্ঠান সম্পর্কে যাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবগত হন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসা ও সম্মানের খাতিরেই তারা এসব করেছিল।
এদিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরের অবস্থা সম্পর্কে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বর্ণনা হলো : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন আমার ঘরে আগমন করলেন,

জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান
জিলহজ মাসের দশদিনের ফযীলত :
আল্লাহ তা‌’আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি নেককার বান্দাদের জন্য এমন কিছু মৌসুম করে দিয়েছেন, যেখানে তারা প্রচুর নেক আমল করার সুযোগ পায়, যা তাদের দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। এসব মৌসুমের সব চেয়ে বড় ও মহত্বপূর্ণ হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন।
জিলহজ মাসের ফযীলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের কতক দলীল :
১. আল্লাহ তা‌’আলা বলেন :
﴿ وَالْفَجْرِ، وَلَيَالٍ عَشْرٍ  [الفجر:1-2]
কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের। (সূরা ফাজর : ১-২)
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ মাসের দশ দিন।
২. আল্লাহ তা‌আলা বলেন :

কোরবানি : তাৎপর্য ও আহকাম কোরবানির দিন কোরবানির দিনের ফজিলত

কোরবানি : তাৎপর্য ও আহকাম
কোরবানির দিন
কোরবানির দিনের ফজিলত
(১) এ দিনের একটি নাম হল ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন। যে দিনে হাজীগণ তাদের পশু জবেহ করে হজকে পূর্ণ করেন। হাদিসে এসেছে :
عن ابن عمر- رضى الله عنهما- أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يوم النحر : (أي يوم هذا) ؟ قالوا : يوم النحر، قال: هذا يوم الحج الأكبر .رواه أبو داود ১৯৪৫ وصححه الألباني
ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ স. কোরবানির দিন জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন? সাহাবাগণ উত্তর দিলেন এটা ইয়াওমুন্নাহার বা কোরবানির দিন। রাসূলে কারীম স. বললেন : এটা হল ইয়াওমুল হজ্জিল আকবর বা শ্রেষ্ঠ হজের দিন।[১]
(২) কোরবানির দিনটি হল বছরের শ্রেষ্ঠ দিন। হাদিসে এসেছে,

কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর মাসায়েল

কুরবানীর মাসায়েল
কুরবানীর শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ

কুরবানী শব্দটি আরবী قربان কুরবান হতে উৎপন্ন। যার অর্থ হল, নিকটবর্তী হওয়া বা নৈকট্য লাভ করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানী বলতে যে পশু ঈদের দিন জবেহ করা হয় তাকেই বুঝানো হয়।
এটাকে আবরীতে أضحية উযহিয়াও বলা হয়। এই أضحية আরবী শব্দটিকে চার ভাবে পড়া যায়।
(১) أضحية (উযহিয়্যাহ)
(২) إضحية (ইযহিয়্যাহ) এ দুটি শব্দের বহুবচন আসে أضاحي)
(৩)  ضحية (যহিয়্যাহ্) বহুবচনেঃ ضحايا যাহায়া
(৪) أضحاه (আযহাহুন) বহু বচনেঃ أضحى এ থেকে কুরবানীর দিন কে আরবী ভাষায় يوم الأضحي(ইয়ামুল আযহা) বলা হয়। (লেসানুল আরাবের বরাতে ফিকহুল উযহিয়্যাহ ৭ পৃঃ)
ইমাম ছানআনী বলেন:

কুরবানীর একাংশে আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে!

কুরবানীর একাংশে আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে!


আল্ হামদুলিল্লাহি রাব্বিল্ আলামীন, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল্ কারীম। আম্মা বাদঃ
অতঃপর কুরবানীর সময় আমরা আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত
আমল দেখতে পাই, তা হচ্ছে, গরু কিংবা উট কুরবানী দেয়ার
সময় তাতে সন্তানের আক্বীকা দেওয়া। বিষয়টির ব্যাখ্যা এই
রকম যে, যেহেতু একটি গরু কিংবা উটে সাতটি ভাগ প্রমাণিত।
অর্থাৎ সাত ব্যক্তি শরীক হয়ে কুরবানী দিতে পারে এবং
সেটি সাত জনের পক্ষে স্বীকৃত। তাই কোন কুরবানীদাতা
যদি কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গরু বা উট ক্রয় করে,

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান


কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান
মহান আল্লাহ মানব জাতিকে একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তবে সেক্ষেত্রে তিনি কিছু ইবাদত ফরজ করেছেন, আর কিছুকে ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছেন। মুসলিমগণের উচিত একনিষ্ঠভাবে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সেগুলো সম্পন্ন করা। কুরবানী সে ধরনের একটি ইবাদত যার বিধান আদম (আ.) এর যুগ থেকেই চলে আসছে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঠিক ইতিহাস ও বিধানাবলী সম্পর্কে আমরা খুব কমই অবগত আছি। আলোচ্য নিবন্ধটি এ বিষয়ে আমাদের অনেক সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
(ক) কুরবানীর ইতিহাস :
পৃথিবীর সর্বপ্রথম কুরবানী:
কুরবানীর ইতিহাস খুবই প্রাচীন। সেই আদি পিতা আদম (আ.) এর যুগ থেকেই কুরবানীর বিধান চলে আসছে। আদম (আ.) এর দুই ছেলে হাবীল ও কাবীলের কুরবানী পেশ করার কথা আমরা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন থেকে জানতে পারি। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা বলেন,

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

কুরবানী: ফযিলত ও আমল

 ﺇﻥ ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﺃﺟﻤﻌﻴﻦ ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ কুরবানী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে এক বিশেষ অনুগ্রহ। কেননা বান্দাহ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে উৎকলিত। অর্থাৎ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। যেহেতু আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার মাধ্যম হল কুরবানী তাই এর নাম কুরবানীর ঈদ। এই দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে এজন্য একে কুরবানীর ঈদ বলে। এ ঈদের অপর নাম ঈদুল আদ্বহা। আরবি শব্দ আদ্বহা অর্থ কুরবানীর পশু, যেহেতু এই দিনে কুরবানীর পশু যবেহ করা হয়, তাই একে ঈদুল আদ্বহা বলা হয়। কুরবানীর গুরুত্ব কুরবানী হলো ইসলামের একটি শি’য়ার বা মহান নিদর্শন। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ দিয়েছেন: ﴿ ﻓَﺼَﻞِّ ﻟِﺮَﺑِّﻚَ ﻭَﭐﻧۡﺤَﺮۡ ٢ ﴾ ‏[ ﺍﻟﻜﻮﺛﺮ : ٢‏] ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর ও পশু কুরবানী কর।’ [সূরা আল-কাউসার : ২] আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

কুরবানী সংক্রান্ত কতিপয় ভুল- ত্রুটি

কুরবানী সংক্রান্ত কতিপয় ভুল- ত্রুটি
লেখক: আব্দুর রাকীব মাদানী
সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা
রাসূলিহিল কারীম, আম্মা বাদঃ
অতঃপর এই সংক্ষিপ্ত লেখায় আমরা কুরবানী সংক্রান্ত কতিপয়
ভুল-ত্রুটি আলোকপাত করার ইচ্ছা করেছি, যেন এই ইবাদতটি
আমরা সঠিক ভাবে সম্পাদন করতে পারি এবং ভুল-ত্রুটি থেকে
দূরে থেকে পূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হতে পারি। ওয়ামা
তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ।
১-কুরবানীর উদ্দেশ্যে ভুলঃ কুরবানী একটি ইবাদত কারণ

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান

কুরবানী ও ঈদের বিধি-বিধান
মূল: শাইখ মুহাম্মদ বিন সালিহ আল
উসাইমীন রহ.
অনুবাদ: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন
আব্দুল জলীল
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ . ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ
কুরবানীর বিধি-বিধান:
কুরবানী মূলত: জীবিত মানুষের
জন্য। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে
কেরাম নিজেদের পক্ষ
থেকে এবং তাঁদের পরিবার-

ঈদের বিধিবিধান

ঈদের বিধিবিধান

undefined
ঈদের বিধিবিধান
بسم الله الرحمن الرحيم
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين. أما بعد:
ভূমিকা: অবারিত আনন্দের বার্তা নিয়ে যখন ঈদের এক ফাঁলি চাঁদ পশ্চিম দিগন্তে ভেসে উঠে তখন সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা। শিশু-কিশোরগণ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে প্রজাবতীর মত ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়। এই ঈদ আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় নে’য়ামত। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় আগমন করে দেখলেন, মদীনাবাসী খেলা-ধূলার মধ্য দিয়ে দুটি দিবস উদযাপন করে থাকে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ দুটি দিবস কি? তারা বলল, এ দুটি দিবস জাহেলী যুগে আমরা খেলা-ধুলার মধ্যদিয়ে উদযাপন করতাম। তিনি বললেন, “আল্লাহ তোমাদের জন্য এর থেকে উত্তম দুটি দিবসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, একটি হল, ঈদুল আযহা এবং অপরটি হল, ঈদুল ফিতর।” (সুনান আবূদাঊদ, হাদীস নং ৯৫৯ সনদ-সহীহ, আলবানী) (রহঃ) ইসলামী দিক নির্দেশনা অনুযায়ী যদি আমরা ঈদ ঊদ্যাপন করি তবে একদিকে যেমন ঈদের অনাবিল আনন্দে ভরে উঠবে আমাদের পার্থিব জীবন অন্যদিকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হবে আমাদের পরকালিন জিন্দেগী।

ইসলামে আকিকা করার বিধানঃ কুরবানীর গরুর সাথে ভাগে আকিকা দেয়া কি বৈধ?

ইসলামে আকিকা করার বিধানঃ কুরবানীর গরুর সাথে ভাগে আকিকা দেয়া কি বৈধ?

ভূমিকাঃ ﺍﻟﻤﻘﺪﻣﺔ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের জন্য
দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দরূদ ও শান্তির
অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণী মুহাম্মাদ (সাঃ)
এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত সাথীদের উপর। ইসলাম একটি
শান্তিময় জীবন বিধান। নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মৃত্যু বরণ করার
পূর্বেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দ্বীনকে
মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। একজন
মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের
প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম সুন্দর সুন্দর বিধান প্রদান করেছে।

হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য!

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,  ﴿ﻭَﻣِﻦۡ ﺀَﺍﻳَٰﺘِﻪِۦٓ ﺃَﻥۡ ﺧَﻠَﻖَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦۡ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢۡ ﺃَﺯۡﻭَٰﺟٗﺎ ﻟِّﺘَﺴۡﻜُﻨُﻮٓﺍْ  ﺇِﻟَﻴۡﻬَﺎ ﻭَﺟَﻌَﻞَ ﺑَﻴۡﻨَﻜُﻢ ﻣَّﻮَﺩَّﺓٗ ﻭَﺭَﺣۡﻤَﺔًۚ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺫَٰﻟِﻚَ ﻟَﺄٓﻳَٰﺖٖ ﻟِّﻘَﻮۡﻡٖ  ﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ ٢١ ﴾ ‏[ﺍﻟﺮﻭﻡ : ٢١ ‏]  “আর তাঁর নিদর্শনাবলীর  মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য  তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের  সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের  কাছে প্রশান্তি পাও। আর  তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও  দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর  মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের  জন্য, যারা চিন্তা করে”। [সূরা : আর্-রূম: ২১]  হাদীসে এসেছে,  ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ :  ‏« ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻟِﺄَﻫْﻠِﻪِ، ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺧَﻴْﺮُﻛُﻢْ ﻟِﺄَﻫْﻠِﻲ ‏»  ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু  ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম  যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আর  আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের  নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি” ।[1]  স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের 

স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেনঃ

স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেনঃ
 একটা মেয়ে যখন বিবাহ নামক আল্লাহ্‌র বিধান মানার মাধ্যমে তাঁর পরিচিত গণ্ডি ছেরে ভিন্ন একটা পরিবেশ ভিন্ন একটা পরিবার অপরিচিত সব মানুষদের মাঝে এসে বসবাস করা শুরু করে আর  তখন  এ অপরিচিত সবার মাঝ থেকে  একজন মানুষ হয়ে উঠে তাঁর সবচেয়ে আপন তিনি হচ্ছেন তাঁর স্বামী ।
একজন নারীর কাছে তাঁর স্বামী তাঁর সবচেয়ে আপন জন। তাঁর  সুখ-দুঃখের সাথী । নিজের মনের মতো একজন স্বামী পাওয়া একটা নারীর জীবনে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তাঁর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত । আর একজন পুরুষ তখনই ভালো যখন যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ  তার স্ত্রীর কাছে তাঁর মনের মতো  ভালো স্বামী হতে পারেন নানান উপায়ে   ।
স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো:

স্বামীর ভালবাসা অর্জনের উপায়

স্বামীর ভালবাসা অর্জনের উপায়

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
সমস্ত বোনদের জন্য
  • নারীসুলভ আচরণ করুন (যেমনঃ কোমল হওয়া), স্বামীরা তাদের স্ত্রীর জায়গায় কোন পুরুষ চায় না!
  • সুন্দর/আকর্ষণীও পোশাক পরুন। আপনি যদি গৃহিণী হন, সারাদিন ধরে রাতের পোশাক (ঢিলাঢালা আরামদায়ক পোশাক) পরে থাকবেন না।
  • ঘাম/মশলা জাতীয় গন্ধ থেকে পরিচ্ছন্ন ও সুরভিত থাকুন।
  • আপানর স্বামী বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আপানার যাবতীয় সমস্যার কথা বলা শুরু করবেন না। তাকে কিছুটা মানসিক বিরতি দিন।
  • বার বার জিজ্ঞেস করবে না, ‘কি ভাবছ?’

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার।

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অধিকার

 আল্লাহ তায়ালা বলেন: “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ।” (সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭।) স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনের পোশাকের মতো। পোশাক যেমন আমাদের ইজ্জত-আব্রু হেফাজত করে ও আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, স্বামী- স্ত্রীর ভূমিকাও তেমনি। আমাদের কারো পোশাক যদি কখনো ময়লা হয়ে সেটা যেমন আমরা একেবারে ফেলে না দিয়ে যত্ন করে পরিষ্কার করি, ঠিক তেমনি স্বামী বা স্ত্রীর কারো কোন ত্রুটি থাকলে সেই কারনে তার পুরোটাই খারাপ, তার সাথে আর ভালো ব্যবহার করা যাবে না, এমন না। বরং, স্বামী- স্ত্রী একজন আরেকজন সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু হবে, একজন আরেকজনকে নেকীর কাজে সাহায্য করবে – তাহলেই সম্ভব একটা সুখী পরিবার গড়ে তোলা। ► স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা – এটা যেমন সুখী পরিবার গঠনের অপরিহার্য শর্ত, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, এটা একটা সৃষ্টিকর্তার আদেশ – যা মানতে আমরা সকলেই বাধ্য!

স্বামীর পরশে বদলে গেল স্ত্রীর জীবন


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
নাম তার আব্দুল ওয়াহ্হাব। আমেরিকান এক মুসলমান। কয়েকদিন পূর্বে বিয়ে করেছেন। স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলেছেন এক ষোড়শী যুবতীকে। যুবতীর নাম রাইহানা। যুবতী বেশ সুন্দরী। অনিন্দ্য সুন্দরী। ওর বাইরের রূপটা যে কোনো পুরুষকে মুগ্ধ করলেও ভিতরটা তার ঘোর অন্ধকারে ঢাকা। কারণ ইসলামের আলো এখনো তার অন্তর জগতে প্রবেশ করেনি। কালেমায়ে শাহদাত পড়ে মুসলমান হয়নি। ধর্মে ছিল সে খৃস্টান। আর এ অবস্থায়ই নববধূ হয়ে চলে আসে জনাব আব্দুল ওয়াহ্হাবের স্ত্রী হয়ে।
রাইহানা ইসলাম গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত আব্দুল ওয়াহ্হাব সাহেবকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মোকাবেলা করতে হয়েছে মারাত্মক পরিস্থিতির। পাঠকবৃন্দ! চলুন, জনাব আব্দুল ওয়াহ্হাব সাহেবের মুখ থেকেই তাদের কাহিনীটা হৃদয়ঙ্গম করি। সেই সাথে নিজেরা শিক্ষা গ্রহণ করে তদানুযায়ী নিজেদের জীবনকে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করি।
জনাব আব্দুল ওয়াহ্হাব সাহেব বলেন,

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার

স্বামী-স্ত্রীর অধিকার
বিবাহ স্বামী-স্ত্রীর মাঝে একটি সুদৃঢ় বন্ধন। আল্লাহ তাআলা এর চির স্থায়িত্ব পছন্দ করেন, বিচ্ছেদ অপছন্দ করেন। এরশাদ হচ্ছে―
وَكَيْفَ تَأْخُذُونَهُ وَقَدْ أَفْضَى بَعْضُكُمْ إِلَى بَعْضٍ وَأَخَذْنَ مِنْكُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا. ﴿النساء :২০﴾
‘তোমরা কীভাবে তা (মোহরানা) ফেরত নিবে ? অথচ তোমরা পরস্পর শয়ন সঙ্গী হয়েছ। সাথে সাথে তারা তোমাদের থেকে চির বন্ধনের সুদৃঢ় অঙ্গিকারও নিয়েছে।’[১]
এ চুক্তিপত্র ও মোহরানার কারণে ইসলাম স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে কতক দায়দায়িত্ব ও অধিকার নিশ্চিত করেছে। যা বাস্তবায়নের ফলে দাম্পত্য জীবন সুখী ও স্থায়ী হবে—সন্দেহ নেই। সে সব অধিকারের প্রায় সবগুলোই সংক্ষেপ আকারে বর্ণিত হয়েছে কোরআনের নিুোক্ত আয়াতে—

স্বামী তার স্ত্রীকে যৌনতৃপ্তি দিতে পারে না।


স্বামী তার স্ত্রীকে যৌনতৃপ্তি দিতে পারে না।
প্রশ্ন –
আমার স্বামীর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছি। আমি জানি সে আমাকে আহ্বান করলে, মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলেও,  তার কক্ষে যাওয়া আমার জন্য আবশ্যক। আরও জানি যে মিথ্যা বলা ন্যক্কারজনক অপরাধ। তবে আমার স্বামীকে খুশি করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এমতাবস্থায়,  আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি বলে ভান ধরা কী জায়েয হবে? আসলে আমি এই সমস্যায় ভুগছি। আমি মিথ্যাও বলতে চাই না, আবার সে আমাকে পরিতৃপ্ত করতে পারেনি এ-কথা বলে তাকে বিব্রতও করতে চাই না।
এভাবে পরিতৃপ্তির ভান ধরা থেকে বিরতও হতে পারছি না, আবার সে বিব্রত বোধ করবে ভয়ে তাকে খোলাখুলি বলতেও পারছি না। আশা করি আপনি আমাকে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবেন। আর আপনার দুয়ায় আমাকে ভুলবেন না।

স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেনঃ

স্ত্রীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্বামীরা তাদের ভালোবাসেনঃ
জীবন সঙ্গিনী একজন পুরুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উত্তম স্ত্রী যিনি জীবনে পান, তিনি একজন ভাগ্যবান পুরুষ। ​তেমনি একজন স্ত্রীর কাছে যিনি ভালো স্বামী তিনিই প্রকৃত উত্তম চরিত্রের মানুষ। ​একজন সফল ব্যক্তির পাশে থাকেন তার সুযোগ্য সহযোদ্ধা,সহযাত্রী, বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রী।
সৎ এবং চরিত্রবান স্ত্রী একজন পুরুষের জন্য এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।​ ​একজন অসাধারণ জীবনসঙ্গিনীর অনেক উত্তম গুণাবলী হতে পারে,
তার মধ্যে কয়েকটি হলো:

প্রশ্ন জনৈক স্ত্রীর মাসিক ঋতু সাতদিন স্থায়ী থাকে, স্বামী এ-সময় ধৈর্যধারণ করতে পারে না, যেহেতু তার যৌন চাহিদা প্রবল, তাই এ-সমস্যার সমাধানে কী করা উচিত?



প্রশ্ন
জনৈক স্ত্রীর মাসিক ঋতু সাতদিন স্থায়ী থাকে, স্বামী এ-সময় ধৈর্যধারণ করতে পারে না, যেহেতু তার যৌন চাহিদা প্রবল, তাই এ-সমস্যার সমাধানে কী করা উচিত?
উত্তর
আল-হামদুলিল্লাহ
স্ত্রীর ঋতুকালীন সহবাস ব্যতীত সবধরণের ভোগ-ক্রীড়া স্বামীর জন্য বৈধ। ঋতুবতী স্ত্রীর সাথে মেলামেশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ