Thursday, November 9, 2017

কবিরা গুনাহঃ ৪০. নিরেট ধর্মীয় জ্ঞান দুনিয়া কামানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে শিক্ষা করা

৪০. নিরেট ধর্মীয় জ্ঞান দুনিয়া কামানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে শিক্ষা করা


নিরেট ধর্মীয় জ্ঞান দুনিয়া কামানো বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে শিক্ষা করাও আরেকটি বড় অপরাধ। তাই তো উক্ত ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। বরং সে হবে তখন জাহান্নামী।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغَى بِهِ وَجْهُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ؛ لَا يَتَعَلَّمُهُ إِلاَّ لِيُصِيْبَ بِهِ عَرَضًا مِنَ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرَفَ الْـجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়ার কোন সম্পদ পাওয়ার জন্য এমন কোন জ্ঞান শিখে যা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্যই শিখতে হয় এমন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না’’। (আবূ দাউদ ৩৬৬৪; ইব্নু মাজাহ্ ২৫২)
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর, আবূ হুরাইরাহ্ ও হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৯. ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তা কাউকে না বলা

৩৯. ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তা কাউকে না বলা


ধর্মীয় জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তা কাউকে না বলা আরেকটি কবীরা গুনাহ্। তাই তো এমন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা‘আলা লা’নত করেন এবং সকল লা’নতকারীরাও তাকে লা’নত করে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«إِنَّ الَّذِيْنَ يَكْتُمُوْنَ مَآ أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْـهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِيْ الْكِتَابِ، أُوْلَآئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُوْنَ، إِلاَّ الَّذِيْنَ تَابُوْا وَ أَصْلَحُوْا وَ بَيَّنُوْا فَأُوْلَآئِكَ أَتُوْبُ عَلَيْهِمْ، وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ»
‘‘আমি যে সকল উজ্জ্বল নিদর্শন ও হিদায়াত নাযিল করেছি তা মানুষকে কুর‘আন মাজীদে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়ার পরও যারা তা লুকিয়ে রাখে তাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা লা’নত করেন এবং অন্য সকল লা’নতকারীরাও তাদেরকে লা’নত করে। তবে যারা তাওবা করে নিজ কর্ম সংশোধন করে নেয় এবং লুক্কায়িত সত্য প্রকাশ করে আমি তাদের তাওবা গ্রহণ করবো। বস্ত্তত: আমিই তো তাওবা গ্রহণকারী করুণাময়।  (বাক্বারাহ্ : ১৫৯-১৬০)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৮. কোন পশুর চেহারায় পুড়িয়ে দাগ দেয়া

৩৮. কোন পশুর চেহারায় পুড়িয়ে দাগ দেয়া


কোন পশুর চেহারায় পুড়িয়ে দাগ দেয়াও কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম। তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় মানুষকে লা’নত ও অভিসম্পাত এবং এ জাতীয় কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
نَهَى رَسُوْلُ اللهِ  عَنِ الضَّرْبِ فِيْ الْوَجْهِ وَعَنِ الْوَسْمِ فِيْ الْوَجْهِ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারায় প্রহার করা এবং চেহারায় পুড়িয়ে দাগ দেয়া থেকে নিষেধ করেন’’। (মুসলিম ২১১৬ ইব্নু খুযাইমাহ্, হাদীস ২৫৫১)
জাবির (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৭. প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন না করা

৩৭. প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন না করা


প্রস্রাব থেকে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন না করাও আরেকটি কবীরা গুনাহ্। যা খ্রিস্টানদের একান্ত বৈশিষ্ট্য এবং যে কারণে কবরে শাস্তি পেতে হয়।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
مَرَّ النَّبِيُّ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِيْ كَبِيْرٍ، وَفِيْ رِوَايَةٍ: بَلَى إِنَّهُ كَبِيْرٌ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لَا يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ، ثُمَّ أَخَذَ جَرِيْدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا نِصْفَيْنِ، فَغَرَزَ فِيْ كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً، قَالُوْا: يَا رَسُوْلَ اللهِ! لِمَ فَعَلْتَ هَذَا ؟ قَالَ: لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا.
‘‘একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেন: এ দু’ জন কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে তা আপাত দৃষ্টিতে কোন বড় অপরাধের জন্য নয়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বাস্তবে তা সত্যিই বড় অপরাধ অথবা বস্ত্তত: উক্ত দু’টি গুনাহ্ থেকে রক্ষা পাওয়া তাদের জন্য

কবিরা গুনাহঃ ৩৬. নিজ অধীনস্থ মহিলাদের অশ্লীলতায় খুশি হওয়া অথবা তা চোখ বুজে মেনে নেয়া

৩৬. নিজ অধীনস্থ মহিলাদের অশ্লীলতায় খুশি হওয়া অথবা তা চোখ বুজে মেনে নেয়া


নিজ অধীনস্থ মহিলাদের অশ্লীলতায় খুশি হওয়া অথবা তা চোখ বুজে মেনে নেয়াও আরেকটি কবীরা গুনাহ্ এবং হারাম কাজ। যাকে আরবী ভাষায় দিয়াসাহ্ এবং উক্ত ব্যক্তিকে দাইয়ূস বলা হয়।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৫. পুরুষদের মহিলার সাথে অথবা মহিলাদের পুরুষের সাথে যে কোনভাবে সাদৃশ্য বজায় রাখা

৩৫. পুরুষদের মহিলার সাথে অথবা মহিলাদের পুরুষের সাথে যে কোনভাবে সাদৃশ্য বজায় রাখা


পুরুষদের মহিলার সাথে অথবা মহিলাদের পুরুষের সাথে যে কোনভাবে সাদৃশ্য বজায় রাখাও আরেকটি বড় গুনাহ্ এবং হারাম কাজ। চাই তা পোশাক-আশাকে হোক অথবা চাল-চলনে। উঠা-বসায় হোক অথবা কথা-বার্তায়। সুতরাং পুরুষরা মহিলাদের স্বর্ণের চেইন, গলার হার, হাতের চুড়ি, কানের দুল, পায়ের খাড়ু ইত্যাদি এবং মহিলারা পুরুষের পেন্ট, শার্ট, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, জুববা, পাজামা, টুপি ইত্যাদি পরতে পারে না। তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় পুরুষ ও মহিলাকে অভিসম্পাত করেন।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৪. কোন মহিলাকে তিন তালাকের পর নামে মাত্র বিবাহ্ করে তালাকের মাধ্যমে অন্যের জন্য হালাল করা অথবা নিজের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৩৪. কোন মহিলাকে তিন তালাকের পর নামে মাত্র বিবাহ্ করে তালাকের মাধ্যমে অন্যের জন্য হালাল করা অথবা নিজের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা


কোন মহিলাকে তিন তালাকের পর নামে মাত্র বিবাহ্ করে তালাকের মাধ্যমে অন্যের জন্য হালাল করে দেয়া অথবা নিজের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করাও আরেকটি মহাপাপ এবং হারাম কাজ। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা এবং তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় মানুষকে লা’নত ও অভিসম্পাত করেন। ‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কবিরা গুনাহঃ ৩৩. ঘুষ নিয়ে কারোর পক্ষে বা বিপক্ষে বিচার করা

৩৩. ঘুষ নিয়ে কারোর পক্ষে বা বিপক্ষে বিচার করা


ঘুষ নিয়ে কারোর পক্ষে বা বিপক্ষে বিচার করাও একটি মহাপাপ এবং হারাম কাজ। তাই তো আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ খেয়ে অন্যায়ভাবে বিচারকারীকে লা’নত করেন।
আবূ হুরাইরাহ্ ও ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আমর বিন্ ‘আস্ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন:
لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ  الرَّاشِيْ وَالْـمُرْتَشِيْ فِيْ الْـحُكْمِ.
‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেন বিচারের ব্যাপারে ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কেই’’। (তিরমিযী ১৩৩৬, ১৩৩৭; আবূ দাউদ ৩৫৮০; ইব্নু মাজাহ্ ২৩৪২)

ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?

<<<<<ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?>>>>>======================বাংলাদেশকে যেমন ডিজিটাল করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই কিছু সুদি মহল সুদকে ডিজিটাল শব্দব্যবহার করে সমাজে নারীর ইজ্জত লুন্ঠন আর জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে।★কিছু লোক # মাল্টিপারপাছনামে সুদি কারবার করছে আর সেটাকে হালাল মনে করছে যাখুবই নিকৃষ্ট কাজ।আরেকটি ডিজিটাল সুদের নামহলো #কিস্তি , যার প্রভাব এত ভয়ানক ভাবে বিস্তার করেছে যেমনে হয় ডিজিটাল বাংলাদেশে আনুমানিক বেশির ভাগ মানুষ এই ডিজিটাল সুদে জর্জরিতহয়ে পরেছে। এই সুদ নেওয়া দেওয়ার প্রক্রিয়া এমন হচ্ছে যে যদি সময় মত কিস্তি না দিতে পারে, তাহলে

টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ার ভয়াবহতা

টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পড়ার ভয়াবহতা
আবু যর রা. বলেন, রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম- বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তিন ব্যক্তির সাথে কথা তো বলবেনই না বরং তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। এমনকি তিনি তাদেরকে গুনাহ থেকে পবিত্র করবেন না  বরং তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কারা? তবে এরা তো ধ্বংশ, তাদের বাঁচার কোন রাস্তা নাই। রাসূল-সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম- এ কথা তিনবার বলেছেন। তারা হলঃ

জাহেলিয়্যাত, ফাসেকী, ভ্রষ্টতা ও রিদ্দাত: অর্থ,প্রকারভেদ ও আহকাম

জাহেলিয়্যাত, ফাসেকী, ভ্রষ্টতা ও রিদ্দাত: অর্থ,প্রকারভেদ ও আহকাম লেখক: সালেহ বিন ফাওযানআল-ফাওযান | অনুবাদক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহীএক – জাহেলিয়াত আল্লাহ্, তাঁর রাসূলগণ ও দ্বীনেরআইন-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতা, বংশ নিয়ে গর্ব-অহংকার ও বড়াই প্রভৃতি যে সকল অবস্থার উপরআরবের লোকেরা ইসলাম পূর্ব যুগে ব্যাপৃত ছিল,সে সকল অবস্থাকেই জাহেলিয়াত নামে অভিহিত করাহয়। [১] জাহেলিয়াত ‘জাহল’ শব্দের প্রতি সম্পকির্ত,যার অর্থ জ্ঞানহীনতা বা জ্ঞানের অনুসরণ না করা।শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন:

জালিম শাষকদের শেষ পরিণতি কি ?

জালিম শাষকদের শেষ পরিণতি!!


ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফইয়াসীন অত্যাচারী শাসকের শেষ পরিণতিঅত্যাচারী শাসকের শেষ পরিণতিযালিমদের শেষ পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহর নিদর্শনপর্যায়ক্রমিকভাবে আসছে এবং অত্যাচারীদেরউপর তাদের শাস্তি বিরতিহীনভাবে এসে পড়ছে।বেন আলী এবং মোবারকের ঘটনা এখনো বিশ্বদৃষ্টির অন্তরাল হয়নি। সুতরাং প্রত্যেক শুরুরই শেষআছে এবং প্রত্যেক শাসনকালের একটি নির্দিষ্টমেয়াদ আছে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা‘য়ালা বলেন,

ছবি অঙ্কন করা হারাম ! ছবি সম্পর্কিত ধারাবাহিক হাদীস…

ছবি সম্পর্কিত ধারাবাহিক হাদীস…বিসমিল্লাহির’রহ্মানির’রহিম বর্তমানের নতুন ফিতনা হচ্ছে ছবি, অনেকেই মনে করেন ছবি বৈধ এবং এর জন্য হাদীসের দলীলও দিয়ে থাকেন। কিন্তু তা আদৌ কি
ছবি বৈধ হওয়ার দলীল? আমরা জানি রসূল (সাল্লাল্লাহু’আলাইহী’ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সর্বাধিক শাস্তি হবে যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির অনুকরণ করতে চায় এবং বলা হবে তাদের মধ্যে এখন প্রাণ দাও, কিন্তু
মানুষ তা পারবে না। ছবি যদি পরবর্তীতে বৈধ হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্র সৃষ্টির অনুকরণ কি শুধু মাটি, পাথর, সিমেন্ট এবং মম দ্বারা মূর্তি তৈরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? কাগজে বা কাপড়ে করলে তা কি শাস্তির যোগ্য নয়?

ছবি ও মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি? এগুলো হারাম কেন?

ছবি ও মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি? এগুলো হারাম কেন?

ছবি ও মূর্তির ব্যাপারে ইসলামের হুকুম

ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমস্ত মানুষকে এক আল্লাহর দিকে ডাকার জন্য। আর সাথে সাথে আউলিয়া কিংবা অন্যান্য নেককারদের অথবা অন্য কোন গাইরুল্লাহর ইবাদত করা হতে বিরত রাখার জন্য। এদের পূজা করা হয় মূর্তি, ভাস্কর অথবা ছবি বানিয়ে। এই দাওয়াত বহু পূর্ব হতে চালু হয়েছে, যখন থেকে আল্লাহপাক তাঁর রাসূলদের প্রেরণ করা শুরু করেছেন মানুষের হিদায়েতের জন্য।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায় !

ঘুষের ভয়াবহতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়
ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। ঘুষ হচ্ছে স্বাভাবিক ও বৈধ উপায়ে যা কিছু পাওয়া যায় তার উপর অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা। কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী তার দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মিত বেতন/ভাতা পাওয়া সত্ত্বেও যদি বাড়তি কিছু অবৈধ পন্থায় গ্রহণ করে তাহলে তা ঘুষ হিসাবে বিবেচিত। অনেক সময় স্বীয় অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ঘুষ দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় টাকা-পয়সা ছাড়াও উপহারের নামে নানা সমগ্রী প্রদান করা হয়। সুতরাং যেভাবেই হোক, আর যে নামেই হোক তা ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারাম কাজ যা আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারাম কাজ যা আমরা নিজের অজান্তেই করে ফেলি।


বেখেয়ালে কিছু নিষিদ্ধ কাজ আমরা করি !! অথচ জানিনা যে, এগুলো করা হারাম!
✒ গোসলখানায় প্রসাব করা যাবে না। (ইবনে মাজাহঃ ৩০৪)
✒ কেবলামুখি বা তার উল্টো হয়ে প্রসাব, পায়খানা করা যাবে না। (সহিহ
বুখারি ৩৯৫, নাসায়ীঃ ২১, আত তিরমিজিঃ ৮)

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে

গানের বিধান : ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ، ﻭﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺑﺎﺭﻙ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻨﺎ
ﻣﺤﻤﺪ، ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﻭﻣﻦ ﺗﺒﻌﻬﻢ ﺑﺈﺣﺴﺎﻥ ﺇﻟﻰ ﻳﻮﻡ
ﺍﻟﺪﻳﻦ، ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ :
আল্লাহ তাআলা মানব জাতীকে অতীব সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। চোখ, কান ও অন্তর
দ্বারা মানবজাতীকে সৌন্দর্য মন্ডিত করেছেন। আর ক্বিয়ামতের দিন মানব জাতির প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলার দরবারে হাজির হতে হবে এবং জিজ্ঞাসার সম্মূখীন হতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র
কুরআনে স্বীয় মাখলুকের মধ্যে চিন্তা- ফিকির করার যে নির্দেশ মানুষকে দিয়েছেন সে অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি আল্লাহর মাখলুক সম্পর্কে চিন্তা- ফিকির করে, তবে সে অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টির মহত্ব, তার সৌন্দর্য মন্ডিত কারীগরি ও নিঁখুত আবিস্কারের পরিপূর্ণতা প্রত্যক্ষ করবে। এ
কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেন,

কে এই শয়তান ও কি তাঁর উদ্দেশ্য??শয়তান বলে কি বাস্তবে কিছু আছে? নাকি এটা একটা নিছক কল্পনা? নাকি সমাজে প্রচলিত কোন গাল-গল্প?

কে এই শয়তান ও কি তাঁর উদ্দেশ্য?? লেখকঃ আবু ইয়াদ শয়তানের প্রকৃতি,শয়তান কে? শয়তান বলে কি বাস্তবে কিছু আছে? নাকি এটা একটা নিছক কল্পনা? নাকি সমাজে প্রচলিত কোন গাল-গল্প? মূলতঃ এটা আমাদের আকীদার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জ্বিনকে বিশ্বাস করা অদৃশ্যে বিশ্বাসের
একটি অংশ। এবং একজন মুসলিমের ঈমান পূর্ণতা পায় না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে এই অদৃশ্য
বিষয়ে বিশ্বাস করে। যদিও বা এই অদৃশ্য বিষয় তার বুদ্ধিমত্তা বা চিন্তার সাথে খাপ না খায়।
জ্বিনের অস্তিত্ব কোরআন শরীফ ও হাদীস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত। আল্লাহ্ বলেন :

সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব কুরআন-হাদিসের আলোকে

কুরআন-হাদিসের আলোকে সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব

সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব
প্রথম পর্ব : প্রাক ইসলামি যুগে সুদ। এ পর্বে রয়েছে তিনটি অধ্যায়। যথা-
প্রথম অধ্যায় : রিবা বা সুদের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ।
দ্বিতীয় অধ্যায় : ইহুদি ধর্মে সুদ।
তৃতীয় অধ্যায় : জাহিলি যুগে সুদ।
দ্বিতীয় পর্ব : ইসলাম ধর্মে সুদের অবস্থান। এ পর্বে রয়েছে চারটি অধ্যায়। যথা-
প্রথম অধ্যায় : সুদ সম্পর্কে সতর্কিকরণ।
দ্বিতীয় অধ্যায় : রিবায়ে ফযল- (ক) রিবায়ে ফযল সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি বক্তব্য। (খ) এর বিধান এবং রিবার সকল প্রকার। এবং (গ) রিবা হারাম হওয়ার কারণ ও হিকমত।
তৃতীয় অধ্যায় : রিবায়ে নাসিয়া। (ক) সংজ্ঞা (খ) রিবায়ে নাসিয়া সম্পর্কে বর্ণিত কয়েকটি বক্তব্য।
চতুর্থ অধ্যায় : বাইয়ে ইনা। (ক) সংজ্ঞা (খ) এর বিধান এবং তার নিন্দায় বর্ণিত কয়েকটি উদ্ধৃতি।
তৃতীয় পর্ব : যে সব ক্ষেত্রে কম-বেশি করা বা বাকি দেয়া জায়িয আছে। এ পর্বে রয়েছে তিনটি অধ্যায়। যথা-

কুফরী কি? কোন কাজ মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়? কুফরীর প্রকারভেদ।

কুফরী কি? কোন কাজ মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়? কুফরীর প্রকারভেদ। কুফরীর সংজ্ঞা : কুফরীর আভিধানিক অর্থ আবৃত করা ও গোপন করা। আর শরীয়তের পরিভাষায় ঈমানের বিপরীত অবস্থানকে কুফরী বলা হয়।কেননা কুফরী হচ্ছে আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক কিংবা না হোক। বরং তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার সংশয় ও সন্দেহ, উপেক্ষা কিংবা ঈর্ষা, অহংকার কিংবা রাসূলের অনুসরণের প্রতিবন্ধক কোন প্রবৃত্তির অনুসরণ কুফরীর হুকুমে কোন পরিবর্তন আনয়ন করবেনা। যদিও তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী বড় কাফির হিসাবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে ঐ অস্বীকারকারী ও বড় কাফির, যে অন্তরে রাসূলগণের সত্যতার প্রতি বিশ্বাস রাখা সত্ত্বেও হিংসাবশতঃ মিথ্যা সাব্যস্ত করে থাকে। [মাজমু আল ফাতওয়া, ৩৩৫]

কুফরীর প্রকারভেদ :

যে ১৩ প্রকার ব্যক্তি কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর রহমত,বরকত ও ক্ষমার দৃষ্টি থেকে বন্চিত হবেন !!



যে ১৩ প্রকার ব্যক্তি কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর রহমত,বরকত ও ক্ষমার দৃষ্টি থেকে বন্চিত হবেন !!

কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর রহমত,বরকত ও খমার দৃষ্টি থেকে যারা বন্চিত হবেন!! আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রসূলিল্লাহ। আম্মাবাদঃএমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা কিয়ামত দিবসে দয়াময় আল্লাহর সুদৃষ্টি থেকে বঞ্ছিত থাকবে,তিনি তাদের দিকে তাকাবেন না আর না তাদের প্রতি সুনজর দিবেন।তাদের সংখ্যা অনেক। [আল্লাহর কাছে দুআ করি, তিনি যেন আমাদেরকে এই বঞ্ছিতের অনিষ্ট থেকে হেফাযতে রাখেন, এর কারণ থেকে দূরে রাখেন এবং সেই বঞ্ছিত সম্প্রদায় থেকেও দূরে রাখেন।]

১-যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার ও শপথকে সামান্য বিনিময়ে বিক্রয় করেঃ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার এবং

৭৯ টি কবীরা গুনাহ ! ইমাম আয -যাহাবী

 
৭৯ টি কবীরা গুনাহ ! ইমাম আয -যাহাবী
 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর । আমরা শুধু তারই প্রশংসা করি এবং তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি ও তার নিকট ক্ষমা চাই। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দিবেন কেউ তাকে গোমরাহ করতে পারবে না। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন তাকে কেউ পথ দেখাতে পারে না এবং আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
ইরশাদ হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ ﴿102﴾
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাকে ভয় কর আর সাবধান, মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’’ (আলে ইমরান:১০২)
يَاأَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
(النساء:১)
‘‘হে মানব সমাজ! তোমরা

১০০ টি কবীরা গুনাহ! কবীরা গুনাহ কাকে বলে?

১০০ টি কবীরা গুনাহ! কবীরা গুনাহ কাকে বলে?

কবীরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে।
যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দেন।
যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে।
যে ব্যাপারে বলা হয়েছে ্‌এটি মুনাফিকের আলামত বা মুনাফিকের কাজ।
অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ

১. মহান আল্লাহ বলেন:

এইডস প্রতিরোধে ইসলামের ভুমিকা।

এইডস প্রতিরোধে ইসলাম মুহাম্মাদ আতীকুল ইসলাম রোগ-ব্যাধি আল্লাহ তা‘আলা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোন কোন রোগ মানুষের পাপের কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব হিসাবে আসে। ‘এইডস’ তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘এইডস’ হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাধি। পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে এটি এক নম্বর ঘাতক ব্যাধি। সাহারা মরুভূমির আশে পাশে ৪৮টি দেশের মৃত্যুর প্রধান কারণ এইডস। এইডস (AIDS)-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন ও ক্ষতিকারক দিক সমুহ:

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন ও ক্ষতিকারক দিক সমুহ:

ইসলামের দৃষ্টেতে হস্তমৈথুন:

আল্লাহ তা’আলার দেয়া এ সুন্দর যৌবনকালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “সেই দিন আমি তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দেব, বরং তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর তাদের পা সাক্ষ্য দেবে যা তারা অর্জন করত সে-সন্বন্ধে। ” -(আল- কুরআন, ৩৬:৬৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “ যে ব্যক্তি স্বীয় জিহ্বা এবং লজ্জাস্থান জামিন হবে আমি তার জাহান্নামের জন্যে জামিন হবো।” -(বুখারি, মিশকাত) উক্ত হাদিস থেকে প্রমানিত হচ্ছে, মানব দেহের এ দু’টো অঙ্গ অত্যন্ত দুর্বল ও বিপদজনক। এ দু’টো অঙ্গের মাধ্যমে বিশেষ করে লজ্জাস্থানের মাধ্যমে

ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা.আত্মহত্যা কী?

ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যা.আত্মহত্যা কী? আত্মহত্যা মানে নিজকেনিজে ধ্বংস করা। নিজ আত্মাকে চরম কষ্ট ওযন্ত্রণা দেয়া। নিজ হাতে নিজের জীবনেরযাবতীয় কর্মকাণ্ডেরপরিসমাপ্তি ঘটানো। আমাদের বাংলাদেশেঅনেক নারী-পুরুষ বিশেষত যুবতী বোনেরাজীবন সংগ্রামের পরিবর্তে জীবন থেকেপালিয়ে যাবার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। তুচ্ছ পারিবারিক কলহ,

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধান কি?

ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) এর বিধানঃ

মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা বহুজাত বিশিষ্ট পণ্য বাজারজাত পদ্ধতি বাংলাদেশে নতুন হলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অর্ধ শতকের বেশি সময় আগে এটি চালু হয়েছিল। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং, ডিরেক্ট সেলিং ও রেফারেন্স মার্কেটিং হিসাবেও এটি পরিচিত। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং মূলত
ডিস্ট্রিবিউটরদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা বিক্রি করার একটি প্রক্রিয়া। আধুনিক
অভিধানে এর সংজ্ঞা এভাবে দেয়া হয় :

ইসলামী গান ও কবিতায় ভ্রান্ত আক্বীদা

ইসলামী গান ও কবিতায় ভ্রান্ত আক্বীদা
-মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ
সূচনা :
কুরআন মাজীদের আয়াত ও হাদীছে নববী দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত
হয় যে, মানুষের ইবাদত ও সৎ আমল কবুল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হচ্ছে ঈমান-
আক্বীদা বিশুদ্ধ হওয়া। আর তা হচ্ছে শিরক মুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদ ভিত্তিক আক্বীদা হওয়া।
নানা কারণে অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে আক্বীদা ও আমলে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মানুষ ধর্মভীরু হওয়া সত্তেবও আক্বীদা নির্ভুল না হওয়ার
কারণে পরকালীন জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে চলেছেন। তাই আমল
করার পূর্বে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা ও তা ব্যাপকভাবে চর্চা করা প্রতিটি মুসলিমের
দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশে প্রচলিত কতিপয় ভ্রান্ত আক্বীদা :

ইসলাম ধ্বংসকারী আমল এবং ইসলামী আকিদাহ!! ২৪ টি প্রশ্ন এবং উত্তর।

 

ইসলাম ধ্বংসকারী আমল এবং ইসলামী আকিদাহ!! 24 টি প্রশ্ন এবং উত্তর।


ঈমান ধ্বংসকারী আমল এবং ‘মুসলিম আক্বিদাহ’ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার যিনি
অসীম দয়ালু পরম করুণাময়। আরম্ভ করছি আল্লাহর নামে এবং দরূদ ও সালাম প্রেরণ
করছি নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রতি। বর্তমান মুসলিম সমাজের কতিপয় কার্যকলাপের চরম
সংশয় সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ইবাদত তথা ইসলামের নামে প্রচলিত ভন্ডামি, শিরক,
বিদআত এবং কুফর এর বিরুদ্ধে কুরআন (কিতাবুল্লাহ) এবং হাদীস (সুন্নাতু রাসুলুল্লাহ)-এর
কিছু দলীল প্রচার করা নিজের দায়িত্ব মনে করছি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু
শিরক এবং কুফর, যা আমরা ইবাদত, ইসলামের অন্তর্ভূক্ত এবং সওয়াবের বিষয় বলে বিবেচনা করি। আমাদের এ সকল আমল শুধু আমাদেরকে সম্পূর্ণ গোমরাহির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে না বরং জাহান্নামের ভয়াবহতম লেলিহান আগুনে আমাদের চির জীবনের আবাসস্থল তৈরি করছে। রাসূলগণ, সাহাবাগণ এবং তাঁদের পর অন্তত কয়েক শত বছর কারো মধ্যে এ সকল শরীয়াত বিরোধী আমল
খুজে পাওয়া যায় না, যা আমাদের যুগে বিষধর সাপের ন্যায় ধীরে ধীরে আমাদের ধর্মে (দ্বীনে) প্রবেশ করেছে। নিম্মে কিছু প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে এর সমাধান করার চেষ্টা করেছি এবং প্রত্যেক উত্তরের জন্য কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে দলীল দেয়ার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন ১: আল্লাহ তায়ালা আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?

ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান কি?

ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকুরী করার বিধান কি?
আমাদের দেশে ইনস্যুরেন্স বা বীমা কোম্পানিগুলো অধিকাংশই বাণিজ্যিক, যা সবই প্রতারণা ও সুদ নির্ভর। তাই এ সকল কোম্পানিতে চাকুরী করা বা তাতে অর্থ লগ্নি করা হারাম।
আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমি (ওআইসির একটি শাখা সংস্থা) এবং সউদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, সব ধরণের বাণিজ্যিক বীমা হারাম। চাই তা জীবন বীমা হোক বা সম্পদের বীমা হোক।
তার কারণ সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হল:

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : নিফাক (মুনাফেকী)

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : নিফাক

ভূমিকা

নিফাকের সংজ্ঞা:
নিফাকের আভিধানিক অর্থ:
(نفق) নূন, ফা ও কাফ বর্ণগুলোর সমন্বয়ে গঠিত শব্দটি অভিধানে দুটি মৌলিক ও বিশুদ্ধে অর্থে ব্যবহার হয়। প্রথম অর্থ দ্বারা কোন কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া ও দূরীভূত হওয়াকে বুঝায় আর দ্বিতীয় অর্থ দ্বারা কোন কিছুকে গোপন করা ও আড়াল করাকে বুঝায়।
নিফাক শব্দটি ‘নাফাক’ শব্দ হতে নির্গত। ‘নাফাক’ অর্থ, জমির অভ্যন্তরে বা ভূ-গর্ভের গর্ত যে গর্তে লুকানো যায়, গোপন থাকা যায়। আর নিফাককে নিফাক বলে নাম রাখা হয়েছে, কারণ মুনাফিকরা তাদের অন্তরে কুফরকে লুকিয়ে রাখে বা গোপন করে।[1]
ইসলামি শরিয়তে নিফাকের অর্থ: নিজেকে ভালো বলে প্রকাশ করা আর অন্তরে খারাবী ও অন্যায়কে গোপন করা।
ইবনে জুরাইজ রহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুনাফেক বলা হয়, যার কথা তার কাজের বিপরীত, সে যা প্রকাশ করে অন্তর তার বিপরীত, তার অভ্যন্তর বাহির হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং তার প্রকাশ ভঙ্গি বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক।[2]
নিফাকের প্রকার:

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : অহংকার

অহংকার বা কিবিরের সংজ্ঞা
কিবিরের আভিধানিক অর্থ:
আল্লামা ইবনে ফারেছ রহ. বলেন, কিবির অর্থ: বড়ত্ব, বড়াই, অহংকার ইত্যাদি। অনুরূপভাবে الكبرياء অর্থও বড়ত্ব, বড়াই, অহংকার। প্রবাদে আছে:
ورثوا المجد كابرًا عن كابر.
অর্থাৎ, ইজ্জত সম্মানের দিক দিয়ে যিনি বড়, তিনি তার মত সম্মানীদের থেকে সম্মানের উত্তরসূরি বা উত্তরাধিকারী হন।
আর আল্লামা ইবনু মানযূর উল্লেখ করেন, الكِبْر শব্দটিতে কাফটি যের বিশিষ্ট। এর অর্থ হল, বড়ত্ব, অহংকার ও দাম্ভিক।
আবার কেউ কেউ বলেন, তাকাব্বারা শব্দটি কিবির হতে নির্গত। আর تَكابَر من السن শব্দটি দ্বারা বার্ধক্য বুঝায়। আর তাকাব্বুর ও ইস্তেকবার শব্দটির অর্থ হল, বড়ত্ব, দাম্ভিক ও অহমিকা।[1]
ইসলামী পরিভাষায় কিবিরের সংজ্ঞা:
রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] নিজেই স্বীয় হাদিসে কিবিরের সংজ্ঞা বর্ণনা করেন।
অর্থ, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রা. হতে বর্ণিত, রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ