Friday, February 16, 2018

প্রশ্ন: সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ?

প্রশ্ন: সহবাসের পূর্বে যদি দোয়া ভুলে যাই, তাহলে শয়তান আমাদের সতর দেখে ফেলে, অথবা এ ধরণের কিছু ঘটে। এ শ্রুতি কী সঠিক ? আর আমি যদি স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করি এবং তার সতর দেখি, এ জন্য কী সহবাসের দোয়া বলা ওয়াযিব ?
উত্তর
আল-হামদুলিল্লাহ
প্রথমত :
যে তার স্ত্রীর সাথে সহবাসের করার ইচ্ছা পোষণ করে, তার জন্য বলা সুন্নত :
” بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا”
বুখারি : (৬৩৮৮) ও মুসলিম : (১৪৩৪)
ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :

যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে


কুরআনুলযে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে:
১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।
২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক


মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক

মঙ্গলবারে স্বামী-স্ত্রীর মিলন ক্ষতিকর, এ ধারণা অমূলক
প্রশ্ন – শুনেছি যে, মঙ্গলবারে সহবাস না করা আবশ্যক, কেননা সেদিন একটি জিনিস আগমন করে, যে প্রত্যেক সহবাসকারীকে অভিসম্পাত করে। মনে করা হয়, এর ফলে ভবিষ্যতে তারা ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
উত্তর –
আল-হামদুলিল্লাহ
আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে সত্য বুঝার তাওফিক দান করুন। যা বললেন তা একান্তই কুসংস্কার এবং নব আবিষ্কৃত বিষয়। কুরআন ও হাদিসে এর কোন দলিল নেই, বরং এসব হল পথভ্রষ্ট ও বিপথগামীদের প্রচারণা। যেমন তারা বলেছে : চাদ যখন বৃশ্চিকরাশি, অথবা রশ্মির নিচে, অথবা চাদ যখন পুরোপুরি আলোকরহিত পর্যায়ে পৌঁছে, চাদের এজাতীয় ক্ষণে সহবাস করা তারা মাকরুহ বলেছে। দেখুন : রায়েদ সাবরি, মুজামুল বিদায়ি: ৬৫৬

বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি চালু আছে তা কি শরী‘আত সম্মত?

বর্তমানে জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি চালু আছে
তা কি শরী‘আত সম্মত?
উত্তর:
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্র।
সংসারকে সচ্ছল করার নিয়তে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা
নিষিদ্ধ বা অভাব থেকে মুক্তির লক্ষে
জন্মনিয়ন্ত্রণ করা নিষিদ্ধ। কেননা রূযীর মালিক
আল্লাহ।
আল্লাহ বলেছেন:

স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনও সমস্যা আছে কি না?

স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনও সমস্যা আছে কি না?
প্রশ্ন – স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে গান শোনালে কোনো সমস্যা আছে কি না?
উত্তর –
সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার।
প্রথমত: স্বামী স্ত্রী কর্তৃক পরস্পরকে উপভোগ করা আল্লাহ বৈধ করেছেন। উপভোগের কোন পদ্ধতি অবৈধ করা হয়নি। তবে পায়ু পথে সঙ্গম করাকে অবৈধ করা হয়েছে। এমনিভাবে মাসিক ও প্রসুতিবস্থায় সঙ্গম করাও না জায়েজ। তবে সর্বাবস্থায় স্পর্শ, চুম্বন, দর্শন, মৈথুন জায়েজ।
শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন রহ. কে প্রশ্ন করা হয়েছিল :

দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন

দাম্পত্য সম্পর্কের ৫০ টি বিষয় যা আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন

 ১. সুন্দর সম্পর্ক নিজে থেকেই তৈরি হয় না, সেটি তৈরি করতে হয়। তাই আপনাকেও সেটি তৈরি করতে হবে।
২. কর্মক্ষেত্রেই যদি আপনার সবটুকু কর্মক্ষমতা নিঃশেষ করে ফেলেন, তাহলে আপনার দাম্পত্য জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
৩. আপনার উৎফুল্ল আচরণ হতে পারে আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর জন্য খুব দামি একটি উপহার।
৪. কাউকে একইসাথে ভালোবাসা এবং ঘৃণা করা আপনার জন্য অসম্ভব নয়।
৫. আপনার জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনীর ব্যাপারে বন্ধুদের কাছে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া আপনার দাম্পত্য সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৬. দাম্পত্য জীবনে তা-ই নিয়ম যা দুইজনের পছন্দের ভিত্তিতে ঘটে।
৭. সাময়িক ঝগড়া বিবাদের কারণে দাম্পত্য সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় না। মনের মধ্যে জমে থাকা চাপা ক্ষোভ আর যন্ত্রণাই দাম্পত্য জীবনকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দেয়।
৮. দাম্পত্য সম্পর্ক, “কী পেলাম?” –এর হিসেবে মেলানোর জন্য নয়। বরং সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে “কী দিতে পেরেছি,” তা-ই দাম্পত্য সম্পর্কের মূলকথা।

দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির কয়েকটি উপায়!

দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির কয়েকটি উপায়!


আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দ্বীনী ভাই ও বোন, দাম্পত্য জীবনে ভালবাসা বৃদ্ধির কয়েকটি উপায় ১) বাড়ীতে প্রবেশ করার সময়, বাহির হওয়ার সময়,সফর থেকে ফিরে আসার সময় বা টেলিফোনে কথা
বলার সময় সালাম বিনিময় করা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানানো।
২)উপহার বিনিময় করা।ঈদ বা যেকোন পারিবারিক আনন্দ বা অন্য যেকোন সময়।
৩) হাসি মুখে সাক্ষাৎ করা ও কথা বলা। গোমড়া মুখ দেখলে ভাল মনও খারাপ হয়ে যায়।
৪) পরস্পরের কথা মন দিয়ে শোনা এবং তাতে অনুভূতি প্রকাশ করা।
৫) কোন কিছু ভাল লাগলে তার প্রশংসা করা। যেমন,সুন্দর পোশাক, সাজ-গোঁজ, বিশেষ কোন কথা, বিশেষ কোন কাজ বা চারিত্রিক গুণ ইত্যাদি।

তীব্র শীতে সহবাসের পর শুধু তায়াম্মুম করলে কি চলবে?

তীব্র শীতে সহবাসের পর শুধু তায়াম্মুম করলে কি চলবে?
প্রশ্ন: তীব্র শীতে সহবাসের পর আমি কি শুধু তায়াম্মুম করে সলাত আদায় করতে পারি? কারণ আমি জানি, তাৎক্ষনিক ভাবে গোসল করে পবিত্র হওয়া আমার জন্য সম্ভব নয়। অধিকন্তু, প্রচণ্ড শীত আমার পিঠের পীড়াকে ভীষণ রকম বাড়িয়ে তোলে। ফলে আমি অসুস্থ হয়ে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
উত্তর: প্রশংসা মাত্রই আল্লাহ্‌র জন্য।
যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাসের কারণে অপবিত্র হয়ে যাবে তাকে অবশ্যই গোসল করে পবিত্র হয়ে স্বলাত আদায় করতে হবে। কারণ আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন:

তালাকের বিস্তারিত বিধিবিধান!!

তালাকের বিস্তারিত বিধিবিধান!!

========================
স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে অথবা পবিত্রা থাকলে এবং
ঐ পবিত্রতায় কোন
সঙ্গম না করে থাকলে এক তালাক দেবে।[1]
আর এর ব্যাপারে দুই ব্যক্তিকে সাক্ষী রাখবে।[2]
অতঃপর স্বামী স্ত্রীকে ঘর থেকে যেতে
বলবে না এবং স্ত্রীও স্বামী-
গৃহ ত্যাগ করবে না। বরং গর্ভকাল বা তিন মাসিক পর্যন্ত
অপেক্ষা
করবে। এই ইদ্দতের মাঝে স্ত্রী ভরণ-
পোষণও পাবে। মহান আল্লাহ
বলেন,

জীবনে সুখী হবার ১০ টি উপায়


১) অন্যের কাজে নাক গলাবেন না: আমরা জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই সৃষ্টি করি অন্যের কাজে অহেতুক হস্তক্ষেপ করে। অন্যের চলার পথকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না। কেননা, আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে, ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন ।
২) ক্ষমা করে মনে রাখবেন না: ক্ষমা মহৎ লক্ষণ কিন্তু সেটা মহৎ থাকে না যদি আপনি সেটা সবার মাঝে বলে বেড়ান। এমন কাজে নষ্ট করার মতো যথেষ্ট সময় জীবনে নেই। ক্ষমা করে, ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে জান। মনে রাখবেন, ভালোবাসাটা দেওয়ার পড় ভুলে যেতে

আপনার স্ত্রীকে ভালবাসুন ! ! !

আপনার স্ত্রীকে ভালবাসুন ! ! !

সমস্ত বিবাহিত ভাইদের জন্য
স্ত্রী কে ভালবাসুন…যখন সে আপনার চায়ে ছোট একটি চুমুক দেয়। কারণ, সে নিশ্চিত হতে চায় চা টি আপনার পছন্দ মত হয়েছে কিনা।
স্ত্রী কে ভালবাসুন…যখন সে আপনাকে নামাজ পড়তে জোর করে। কারণ সে আপনারই সাথে জান্নাতে যেতে চায়।
স্ত্রী কে ভালবাসুন…যখন সে আপনাকে সন্তানদের সাথে খেলা করতে বলে। কারণ সন্তানদের অভিভাবক সে একা নয়।
স্ত্রী কে ভালবাসুন…যখন সে আপানাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত হয়। কারণ, সে অন্য সমস্ত মানুষকে রেখে শুধুমাত্র আপনাকেই বেঁছে নিয়েছে।
স্ত্রী কে ভালবাসুন…যখন তার কিছু দোষ ত্রুটি আপনাকে বিরক্ত করে। কারণ,

স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

 স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ ﴾ [النساء: ٣٤]
অর্থাৎ “পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী; আল্লার হিফাযতে (আদেশ ও তওফীকে) তারা তা হিফাযত করে।” (সূরা নিসা ৩৪ আয়াত)

হাদীসসমূহ:

স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

 স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত

 আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
অর্থাৎ “তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর।” (সূরা নিসা ১৯ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
অর্থাৎ “তোমরা যতই সাগ্রহে চেষ্টা কর না কেন, স্ত্রীদের প্রতি সমান ভালোবাসা তোমরা কখনই রাখতে পারবে না। তবে তোমরা কোন এক জনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়ো না এবং অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেড়ে দিও না। আর যদি তোমরা নিজেদের সংশোধন কর ও সংযমী হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা নিসা ১২৯ আয়াত)
১/২৭৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন,

প্রশ্নঃ কি কি কারণে গোসল ফরয হয়?

প্রশ্নঃ কি কি কারণে গোসল ফরয হয়?
উত্তরঃ গোসল ফরয হওয়ার কারণ সমূহ নিম্নরূপঃ
১)     জাগ্রত বা নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়া। কিন্তু নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার অনুভব না হলেও গোসল করা ফরয। কেননা নিদ্রা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে মানুষ অনেক সময় তা বুঝতে পারে না।
২)     স্ত্রী সহবাস। সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গের সর্বনিম্ন আগাটুকু প্রবেশ করালেই গোসল ফরয হয়ে যাবে।
কেননা প্রথমটির ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
“পানি নির্গত হলেই পানি ঢালতে হবে।”[মুসলিম, অধ্যায়ঃ হায়েয, অনুচ্ছেদঃ পানি নির্গত হলেই পানি ঢালা। হা/ ৩৪৩।]
অর্থাৎ বীর্যের পানি নির্গত হলেই গোসল করতে হবে।
আর দ্বিতীয় কারণের ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

প্রশ্ন: সহবাসের পর যদি মনি নির্গত না হয়, তবে কি গোসল করা ওয়াযিব? না-কি মনি নির্গত ব্যতীত গোসল ওয়াযিব হয় না ?

প্রশ্ন: সহবাসের পর যদি মনি নির্গত না হয়, তবে কি গোসল করা ওয়াযিব? না-কি মনি নির্গত ব্যতীত গোসল ওয়াযিব হয় না ?
উত্তর:
আল-হামদুলিল্লাহ
এ ব্যাপারে সকল আলেম একমত যে, সহবাসের ফলে গোসল ওয়াযিব হয়।
আল-মাওসুআতুল ফিকহিয়াহ : (৩১/১৯৮)
স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে, মনি নির্গত না হলেও গোসল ওয়াযিব হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ সিদ্ধান্ত আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহুর হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন :

প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ (১২৬ টি প্রশ্ন উত্তর)

প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ (১ম পর্ব)

১ম অধ্যায়
সিয়াম : অর্থ ও হুকুম
প্রশ্ন ১ : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ কি?
উত্তর : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। ফার্সী ভাষায় এটাকে রোযা বলা হয়।
প্রশ্ন ২ : রমযান মাসের সিয়ামের হুকুম কি?
উত্তর : এটা ফরয।
প্রশ্ন ৩ : এটা কোন হিজরী সালে ফরয হয়েছে?
উত্তর : দ্বিতীয় হিজরীতে।
প্রশ্ন ৪ : সিয়াম ফরয হওয়ার দলীল জানতে চাই।
উত্তর :
(ক) আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ ١٨٣ ﴾ [البقرة: ١٨٣]
[১] ঈমানদারগণ!, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। (বাকারাহ : ১৮৩)

প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (১ম পর্ব)

প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (১ম পর্ব)

সূচীপত্র
বিষয়
১. সিয়াম : অর্থ ও হুকুম
২. রমযান মাসের ফযীলত
৩. সিয়াম পালনের ফযীলত
৪. সিয়ামের শিক্ষা ও উপকারিতা
৫. সিয়াম ত্যাগকারীর শাস্তি
৬. চাঁদ দেখা
৭. সিয়াম কাদের উপর ফরয
৮. সিয়াম অবস্থায় যা অবশ্য করণীয়
৯. সিয়ামের সুন্নাত আদব

প্রশ্নোত্তরে সিয়াম (২য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
প্রশ্ন ৫১ : সিয়াম অবস্থায় থুথু কাশি গিলে ফেলা কেমন?
উত্তর : মুখে থাকা থুথু গিলে ফেললে অসুবিধা নেই। তবে কাশি গিলে ফেলা জায়েয নয়। কেননা কাশি থুথুর মত নয়।
প্রশ্ন ৫২ : নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কিংবা দাঁত উঠলে অথবা আহত হয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে কি সিয়ামের কোন ক্ষতি হবে?
উত্তর : না, এতে সিয়াম ভাঙ্গবে না। কোন ক্ষতিও হবে না।
প্রশ্ন ৫৩ : কোন রোযাদার ব্যক্তি তার সিয়াম ভঙ্গ করার নিয়ত করল কিন্তু সে তখনো কোন খানাপিনা খায়নি- তার সিয়াম কি ঠিক আছে, নাকি ভেঙ্গে গেছে?

ফতোওয়া সিয়াম: রোযা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া সিয়াম: রোযা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৫৬টি প্রশ্নোত্তর

(ফতোয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)
অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী
প্রশ্নঃ (৩৯২) ছিয়াম ফরয হওয়ার হিকমত কি?
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের নিম্ন লিখিত আয়াত পাঠ করলেই আমরা জানতে পারি ছিয়াম ফরয হওয়ার হিকমত কি? আর তা হচ্ছে তাক্বওয়া বা আল্লাহ্‌ ভীতি অর্জন করা ও আল্লাহ্‌র ইবাদত করা। আল্লাহ্‌ বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمْ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে করে তোমরা তাক্বওয়া অর্জন করতে পার।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৩) তাক্বওয়া হচ্ছে হারাম কাজ পরিত্যাগ করা। ব্যাপক অর্থে তাক্বওয়া হচ্ছে, আল্লাহ্‌র নির্দেশিত বিষয় বাস্তবায়ন করা, তাঁর নিষেধ থেকে দূরে থাকা। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

মাহে রামাজানের বিশটি স্পেশাল আমলঃ

মাহে রামাজানের বিশটি স্পেশাল আমলঃ
Posted by আব্দুল্লাহিল হাদী
ভূমিকা: বছর ঘুরে আবারো রামাজান আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষে রামাজানের রোযা ফরজ হওয়ায় আল্লাহর রাসুল ও তার সাহাবীদের জীবনে আমাদের মতো এত বেশি রমজানের রোযা ও ইবাদতের সুযোগ আসে নি। কিন্তু যে কয়টি রমজান তাঁরা পেয়েছেন, সেগুলোর সদ্ব্যবহার করে তারা সফলকাম হয়েছেন। তাদের মতো সফলতা পেতে এবং রমজান ও সিয়াম সাধনাকে সার্থক করতে হলে পরিকল্পিত প্রয়াস চালাতে হবে।
ঈমানদারেরও আমল ও ইবাদতের মৌসুম হলো মাহে রমজানুল মুবারক। অন্য সময়ের ইবাদতের ঘাটতি পুশিয়ে নেওয়ার সর্বোত্তম সময় এটি। আর সেজন্য এই মাসে অন্য সাধারণ আমলের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রমজানের বিশেষ আমল বা কর্মসূচীগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে।
নিন্মে প্রতিটি কর্মসূচির সূত্র ও হাদীসের ভাষ্য উল্লেখ করা হল:

মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া

মুমিনদের জন্য মাহে রমজানের হাদিয়া

ভূমিকা:
الحمد لله الذي شرع لعباده صيام شهر رمضان وجعله أحد أركان الإسلام، والصلاة والسلام على نبينا محمد أفضل من صلى وصام وعلى آله وأصحابه البررة الكرام، وبعد:
‍‌‌পবিত্র মাহে রমজান মুসলিম জাতির প্রতি মহান আল্লাহর সীমাহীন অনুকম্পা ও অনুদানের অন্যতম। রহমতে আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসকে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌শাহরুন মুবারাকুন- বরকতময় মাস বলে অভিহিত করেছেন। এ মাসের রয়েছে বিশাল মর্যাদা ও ফজিলত। রয়েছে বিশেষ বিশেষ আমল। এ মাসকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ প্রতিটি ঈমানদারের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উন্নতি ও কল্যাণ সাধনের সুযোগ অবারিত করে দিয়েছেন। সে দিকে লক্ষ্য করে আমরা কয়েকটি পাঠে বিভক্ত করে এ নিবন্ধটি সাজিয়েছি। প্রতিটি মুসলমান যাতে এ মাসের মহা মূল্যবান প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে প্রতিশ্রুত প্রতিদান অর্জনে উদ্যোগী হয়, চেষ্টা-শ্রমের সবটুকু নিংড়ে দেয়, সেভাবে

রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়

রমজান ও পরবর্তী সময়ে করণীয়

রোজার তাৎপর্য :
রোজা ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ এবং ইসলামি শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেন :—
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ﴿১৮৩﴾ البقرة
হে ইমানদারগণ ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। সূরা বাকারা : ১৮৩
উল্লেখিত আয়াতে রোজা ফরজ হওয়ার সাথে সাথে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানতে পারি। আর তা হল তাকওয়া অর্জন। সুতরাং বুঝতে হবে শুধুমাত্র দিনের বেলায় পানাহার বর্জন করার নামই রোজা নয় বরং রোজা হল পানাহার বর্জন করার সাথে সাথে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সর্ব প্রকার পাপাচার, অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রেখে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা। কিন্তু

রমজান মাসের ফজিলত

রমজান মাসের ফজিলতরমজান মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :—
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (يونس: 58)
বল, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম। সূরা ইউনুস : ৫৮
পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা। যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেন :—

রমজানের ফজিলত ও তাৎপর্য

রমজানের ফজিলত ও তাৎপর্য

সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তাআলার যিনি রমজানকে শ্রেষ্ঠ মাস বানিয়েছেন এবং সে সময় ভাল কাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দিয়েছেন। মেঘমালার ন্যায় দিনগুলি অতিবাহিত হচ্ছে। বছর খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছে। আর আমরা জীবন চলার পথে অলস সময় কাটাচ্ছি। আমাদের মধ্যে কম সংখ্যক লোক এমন আছেন যারা বাস্তবতা ও পরিণতি নিয়ে চিন্তা করছে অথবা তার থেকে উপদেশ গ্রহণ করছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন:

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (১ম পর্ব)

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (১ম পর্ব)

ভূমিকা
সকল প্রশংসা দু’জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, এবং দরূদ ও সালাম সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলের ওপর।
অতঃপর: রমযান মাস এ উম্মতের এক বিশেষ মাস। এ মাসে তারা ইবাদত, আমল ও কল্যাণকর কাজে মনোযোগী হয়, কুরআন, হাদিস ও উপদেশ শ্রবণ করে, তাই অনেক আলেম এতে বিশেষ দরস ও মজলিসের ব্যবস্থা করেন, যা সাধারণত ফজর ও এশার পর প্রদান করা হয়। কতক দরস হয় সংক্ষেপ, আবার কতক হয় দীর্ঘ ও বিস্তারিত। কতক দরস ওয়াজ-উপদেশে সীমাবদ্ধ থাকে, আবার কতক থাকে মাসআলা-মাসায়েলে। কতক দরস হয় শিক্ষা ও আদর্শের ওপর, আবার কতক হয় আমল ও ফযিলতের ওপর। কেউ কুরআন-হাদিসে সীমাবদ্ধ থাকেন, কেউ তাতে আরো বৃদ্ধি করেন ইত্যাদি। আমি পূর্ব থেকে সিয়াম, ইতিকাফ, রমযানের কিয়াম ও লাইলাতুল কদর বিষয়ে হাদিস জমা করতে ছিলাম, সাথে লিখতে ছিলাম কতক ফায়দা ও মাসায়েল, যেন বিশেষভাবে দ্বীনের দায়ি ও মসজিদের ইমামগণ এবং সাধারণভাবে সকলে উপকৃত হয়। অতঃপর এসব হাদিস, শিক্ষা ও মাসায়েলসহ সুন্দরভাবে বিন্যাস করে খুব সংক্ষিপ্ত ত্রিশটি দরস তৈরি করি, যা ফজরের পর মসজিদে পেশ করার উপযোগী। এগুলোকে আমি বেজোড় সংখ্যায়

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (২য় পর্ব)

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (২য় পর্ব)

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
১৭. সেহরির ফযিলত (১)
আবু সায়িদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«السَّحُورُ أَكْلُهُ بَرَكَةٌ فَلا تَدَعُوهُ وَلَو أَنْ يَجرَعَ أحَدُكُمْ جُرْعَةً مِنْ مَاءٍ فَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ ومَلائِكتَهُ يُصَلُّونَ عَلى المُتسَحِّرينَ» رَوَاهُ أَحْمَد.
“সেহরি বরকতময় খানা, তোমরা তা ত্যাগ কর না, যদিও তোমাদের কেউ একঢোক পানি গলাধঃকরণ করে, কারণ আল্লাহ সেহির ভক্ষণকারীদের ওপর রহমত প্রেরণ করেন ও ফেরেশতাগণ তাদের জন্য ইস্তেগফার করেন”।[1]

আব্দুল্লাহ ইব্‌ন হারেস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জনৈক সাহাবি থেকে বর্ণনা করেন: “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আগমন করেন, তখন তিনি সেহরি খাচ্ছিলেন, তিনি বললেন:

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (৩য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
 ২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
৩৬. রোযাদারের জন্য শিঙ্গা ব্যবহার করা
শাদ্দাদ ইব্‌ন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে ‘বাকি’ নামক স্থানে এক ব্যক্তির নিকট আগমন করেন, যে শিঙ্গা লাগাচ্ছিল, তখন আঠারো রমযান। তিনি বললেন:
«أَفْطَرَ الحَاجِمُ والمحْجُومُ» رواه أبو داود وصححه أحمد والبخاري.
“যে শিঙ্গা লাগায় আর যার লাগানো হয় উভয় ইফতার করল”।[1]

সাওবান[2], রাফে ইব্‌ন খাদিজ[3] ও একদল সাহাবি থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে, এ জন্য একদল আলেম এ হাদিসকে মুতাওয়াতির বলেছেন।

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদিস : শিক্ষা ও মাসায়েল (৪র্থ পর্ব)


ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল, আমি জাহেলি যুগে মানত করেছি, একরাত মসজিদে হারামে ইতিকাফ করব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন: তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর, অতঃপর তিনি একরাত ইতিকাফ করেন”। বুখারি ও মুসলিম।

মুসলিমের এক বর্ণনায় রয়েছে, ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু‎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছেন “জিইরানা” নামক স্থানে, তায়েফ থেকে ফিরে। তিনি বলেন: হে আল্লাহর রাসূল, আমি জাহেলি যুগে মানত করেছি মসজিদে হারামে একরাত ইতিকাফ করব, আপনার সিদ্ধান্ত কি? তিনি বললেন: যাও, একদিন ইতিকাফ কর”।[1]
অপর বর্ণনায় রয়েছে, “আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেছেন: তুমি তোমার মানত পূর্ণ কর”।[2]
শিক্ষা ও মাসায়েল:‎

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ