Sunday, November 19, 2017

৩১. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে

৩১. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে


(১) “তার বাম দিকে হাল্কা থুথু ফেলবে।” (৩ বার)[1]
(২) “শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে প্রার্থনা করবে।” (৩ বার)[2]
(৩) “কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না।”[3]
(৪) “অতঃপর যে পার্শ্বে সে ঘুমিয়েছিল তা পরিবর্তন করবে।”[4]
(৫) “যদি ইচ্ছা করে তবে উঠে সালাত আদায় করবে।” [5]

৩০. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ

৩০. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ


113- «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ، وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّياطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ».

 (আঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্‌শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্‌দুরূন)।
১১৩- “আমি আশ্রয় চাই আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালামসমূহের অসীলায় তাঁর ক্রোধ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং

২৯. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ

২৯. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ


112- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهّارُ، رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزيزُ الْغَفَّارُ».

 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়াহিদুল কাহ্‌হারু রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমাল-আযীযুল গাফ্‌ফার)।
১১২- “মহাপ্রতাপশালী এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। (তিনি) আসমানসমূহ, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর রব্ব, প্রবলপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।”[1]

২৮. ঘুমানোর যিক্‌রসমূহ

২৮. ঘুমানোর যিক্‌রসমূহ


৯৯-(১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে নিম্নোক্ত সূরাগুলো পড়ে তাতে ফুঁ দিবে:

99-(1) بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ      ۝ ﴿قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ    ۝ۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ   ۝ۚ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ   ۝ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ    ۝ۧ﴾،

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”

২৭. সকাল ও বিকালের যিক্‌রসমূহ

২৭. সকাল ও বিকালের যিক্‌রসমূহ


কেবলমাত্র আল্লাহ্‌র জন্যই সকল প্রশংসা, আর সালাত ও সালাম পেশ করছি, এমন নবীর জন্য যার পরে আর কোনো নবী নেই।[1] অতঃপর,
৭৫-(১) আয়াতুল কুরসী:

75-(1) أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرَّجِيمِ ﴿ اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَ  ۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ ڬ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ  ۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ  ۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَ  ۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَا  ۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ   ٢٥٥؁ ﴾.

 (আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তাখুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব,

২৬. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ

২৬. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ


জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইসতিখারা (তথা কল্যাণ কামনার নামায ও দো‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপ আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেনো ফরয সালাত ব্যতীত দুই রাক্আত নফল নামায পড়ে, অতঃপর যেন বলে,

২৫. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ

২৫. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ


66-(1) «أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ» (তিনবার)

(আস্তাগফিরুল্লা-হ) (তিনবার)
৬৬-(১) “আমি আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”

«اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ».

(আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)।
“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!”[1]

67-(2) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [তিনবার

اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ».

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। [তিন বার]
আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৬৭-(২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তিনবার)
হে আল্লাহ,

২৪. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ

২৪. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ


55-(1) «اللَّهُــمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল)।
৫৫-(১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে”।[1]

56-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মাছামি ওয়াল মাগরামি)।
৫৬-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে,

২৩. তাশাহ্‌হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ

২৩. তাশাহ্‌হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ


53-(1) «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ».

 (আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)।
৫৩-(১) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ!

২২. তাশাহ্‌হুদ

২২. তাশাহ্‌হুদ


52- «التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَواتُ، وَالطَّيِّباتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ. أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسولُهُ».

(আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্‌সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্‌সালা-মু আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আস্‌সালা-মু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু)।
৫২- “যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্‌র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং

২১. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ

২১. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ


50-(1) «سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ، ﴿فَتَبارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ﴾».

(সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ওয়া শাক্কা সাম্আহু ওয়া বাসারাহু, বিহাওলিহি ওয়া কুওয়াতিহি, ফাতবারাকাল্লা-হু আহ্‌সানুল খা-লিক্বীন)।
৫০-(১) “আমার মুখমণ্ডল সিজদা করেছে সে সত্তার জন্য, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, আর নিজ শক্তি ও ক্ষমতাবলে এর কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সুতরাং সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্‌ অত্যন্ত বরকতময়।”[1]

51-(2) «اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْراً، وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْراً، وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْراً، وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ».

 (আল্লা-হুম্মাক্তুব লী বিহা ইনদাকা আজরান, ওয়াদা‘ ‘আন্নী বিহা উইযরান, ওয়াজ ‘আলহা লী ইনদাকা যুখরান, ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আবদিকা দাঊদ)।
৫১-(২) “হে আল্লাহ! এই সিজদার বদৌলতে আপনার নিকট আমার জন্য প্রতিদান লিখে রাখুন, এর দ্বারা আমার পাপসমূহ ফেলে দিন,

৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ

৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ


11- «غُفْرَانَكَ».

(গুফরা-নাকা)
১১- “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”[1]
ফুটনোটঃ[1] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সকল সুনান গ্রন্থকারই উদ্ধৃত করেছেন; তবে নাসাঈ তার ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াললাইলাহ’ গ্রন্থে (নং ৭৯) তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩০০। আর শাইখ আলবানী সহীহ সুনান আবি দাউদে ১/১৯ একে সহীহ বলেছেন।
 

৯৪. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ

৯৪. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ


205- «اللَّهُمَّ لاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ، وَلاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».

 (আল্লা-হুম্মা লা ত্বাইরা ইল্লা ত্বাইরুকা ওয়ালা খাইরা ইল্লা খাইরুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা)।
২০৫- “হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে অশুভ মঞ্জুর না হলে অশুভ বলে কিছু নেই। আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই। আর

৯৫. বাহনে আরোহণের দো‘আ

৯৫. বাহনে আরোহণের দো‘আ


«بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ﴾، «الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ  إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ».
(বিস্‌মিল্লা-হি, আলহাম্‌দু লিল্লা-হি, সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফির লী। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা)।
২০৬- “আল্লাহ্‌র নামে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায় আমরা একে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আর আমরা অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করবো আমাদের রব্বের দিকে। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য,

৪০. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ

৪০. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ


১৩৩-(১) আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে (‘আঊযু বিল্লা-হ’ বলবে)।[1]
(২) যে সন্দেহে নিপতিত হয়েছে তা দূর করবে।[2]
১৩৪- (৩) বলবে,

 «آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ».

(-মানতু বিল্লা-হি ওয়া রুসুলিহি)
“আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান আনলাম।”[3]
১৩৫-(৪) আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী পড়বে,

৪৭. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব

৪৭. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব


145- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ».

(বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফিল মাউহুবি লাক, ওয়া শাকারতাল ওয়া-হিবা, ওয়া বালাগা আশুদ্দাহু, ওয়া রুযিক্তা বিররাহু)।
১৪৫- “আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুন, সন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুন, সন্তানটি পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পণ করুক এবং তার সদ্ব্যবহার প্রাপ্ত হোন।”[1]
অভিনন্দনের জবাবে বলবে

৩৪. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ


৩৪. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ


120-(1) «اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আবদুকা ইবনু আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তাসারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ইনদাকা, আন্ তাজআলাল কুরআ-না রবীআ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী)।
১২০-(১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি

১১৫. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে


১১৫. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে


233- «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ، وَالنِّعْمَةَ، لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيكَ لَكَ».

 (লাব্বাইকাল্লা-হুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাকা)।
২৩৩- “আমি আপনার দরবারে হাযির, হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে উপস্থিত। আমি আপনার দরবারে হাযির, আপনার কোনো শরীক নেই, আমি আপনার দরবারে উপস্থিত। নিশ্চয়

৬৭. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ

৬৭. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ


175- اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ.

 (আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ)
১৭৫- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং

৮. ওযুর পূর্বে যিক্‌র

৮. ওযুর পূর্বে যিক্‌র


12- «بِسْمِ اللَّهِ».

(বিস্‌মিল্লাহ্)
১২- ‘আল্লাহ্‌র নামে’[1]।
ফুটনোটঃ[1] আবূ দাউদ, নং ১০১; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৯৭; আহমাদ নং ৯৪১৮। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল ১/১২২।

১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্‌রসমূহ

১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্‌রসমূহ


1-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ».

(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বাদা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)
১-(১) “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান”[1]।

2-(2) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ» «رَبِّ اغْفرْ لِي».

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী)।
২-(২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই;

২. কাপড় পরিধানের দো‘আ

২. কাপড় পরিধানের দো‘আ


5- «الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا (الثَّوْبَ) وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّة...».

(আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।
৫- “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং

২০. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ

২০. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ


48-(1) «رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي».

(রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী)
৪৮-(১) হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[1]

49-(2) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي».

(আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াআফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফানী)
৪৯-(২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে

১৯. সিজদার দো‘আ সমুহ

১৯. সিজদার দো‘আ


41-(1) «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى».

(সুবহা-না রব্বিয়াল আলা)
৪১-(১) “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (তিনবার)[1]

42-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».

(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৪২-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[2]

১৮. রুকু থেকে উঠার দো‘আ সমুহ

১৮. রুকু থেকে উঠার দো‘আ


38-(1) «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ».

(সামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।
৩৮-(১) “যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।”[1]

39-(2) «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ».

(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি)
৩৯-(২) “হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।”[2]

১৭. রুকূ‘র দো‘আ সমুহ

১৭. রুকূ‘র দো‘আ


33-(1) «سُبْحانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ». .

(সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম)।
৩৩-(১) “আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার)[1]

34-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».

(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৩৪-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[2]

১৬. সালাতের শুরুতে দো‘আ

১৬. সালাতের শুরুতে দো‘আ


27-(1) «اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ، اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، اللَّهُمَّ اغْسِلْني مِنْ خَطَايَايَ، بِالثَّلْجِ وَالْماءِ وَالْبَرَدِ».

(আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্‌সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ)।
২৭-(১) “হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ!

১৫. আযানের যিক্‌রসমূহ

১৫. আযানের যিক্‌রসমূহ


২২-(১) মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে ‘হাইয়্যা ‘আলাস্‌সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’ এর সময় বলবে,

«لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ»

(লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই[1]।”
২৩-(২) বলবে,

১৪. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ

১৪. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ


২১- বাম পা দিয়ে শুরু করবে[1] এবং বলবে,
«بِسْمِ اللَّهِ وَالصّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِك، اللَّهُمَّ اعْصِمْنِي مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ».
(বিস্‌মিল্লা-হি ওয়াস্‌সালা-তু ওয়াস্‌সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
“আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্‌র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং

১৩. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ

১৩. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ


২০- ডান পা দিয়ে ঢুকবে[1] এবং বলবে,

«أَعُوذُ بِاللَّهِ العَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ، مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ» [بِسْمِ اللَّهِ، وَالصَّلَاةُ] [وَالسَّلَامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ] «اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ».

(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
[বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালাতু] [ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি], আল্লা-হুম্মাফ্‌তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্‌মাতিক)।
“আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”[2] [আল্লাহ্‌র নামে (প্রবেশ করছি), সালাত][3] [ও সালাম আল্লাহ্‌র রাসূলের উপর।][4] “হে আল্লাহ!

১২. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ

১২. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ


19- «اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُوراً، وَفِي لِسَانِي نُوراً، وَفِي سَمْعِي نُوراً، وَفِي بَصَرِي نُوراً، وَمِنْ فَوْقِي نُوراً، وَمِنْ تَحْتِي نُوراً، وَعَنْ يَمِينِي نُوراً، وَعَنْ شِمَالِي نُوراً، وَمِنْ أَمَامِي نُوراً، وَمِنْ خَلْفِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُوراً، وَأَعْظِمْ لِي نُوراً، وَعَظِّم لِي نُوراً، وَاجْعَلْ لِي نُوراً، وَاجْعَلْنِي نُوراً، اللَّهُمَّ أَعْطِنِي نُوراً، وَاجْعَلْ فِي عَصَبِي نُوراً، وَفِي لَحْمِي نُوراً، وَفِي دَمِي نُوراً، وَفِي شَعْرِي نُوراً، وَفِي بَشَرِي نُوراً».

«[اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي نُوراً فِي قَبْرِي... وَنُوراً فِي عِظَامِي]» [«وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً، وَزِدْنِي نُوراً»] [«وَهَبْ لِي نُوراً عَلَى نُورٍ»].

(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্‌সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া আয্‌যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্‌মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।
[আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ইযামী] [ওয়া যিদ্‌নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান আলা নুর]
১৯- “হে আল্লাহ!

১১. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্‌র

১১. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্‌র


১৮- বলবে,

«بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا»

(বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্‌মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)
“আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম”।
অতঃপর

১০. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌র

১০. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌র


16-(1) «بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ».
 (বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
১৬-(১) “আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই”[1]।
17-(2) «اللّٰـهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ، أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ، أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أَظْلِمَ، أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أَجْهَلَ، أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা আলাইয়্যা)।
১৭-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা

৯. ওযু শেষ করার পর যিক্‌র

৯. ওযু শেষ করার পর যিক্‌র


13-(1) «أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ..».

(আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
১৩-(১) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল”[1]।

14-(2) «اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ».

(আল্লা-হুম্মাজআলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজআলনী মিনাল মুতাতাহ্‌হিরীন)
১৪-(২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং

৮. ওযুর পূর্বে যিক্‌র

৮. ওযুর পূর্বে যিক্‌র


12- «بِسْمِ اللَّهِ».

(বিস্‌মিল্লাহ্)
১২- ‘আল্লাহ্‌র নামে’[1]।
ফুটনোটঃ[1] আবূ দাউদ, নং ১০১; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩৯৭; আহমাদ নং ৯৪১৮। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল ১/১২২।

৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ এবং ৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ

৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ


10- «[بِسْمِ اللَّهِ] اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبائِث».
([বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্‌সি ওয়াল খাবা-ইসি)
১০- “[আল্লাহ্‌র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই”[1]।

৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ

৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ


10- «[بِسْمِ اللَّهِ] اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبائِث».
([বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্‌সি ওয়াল খাবা-ইসি)
১০- “[আল্লাহ্‌র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই”[1]।

৫. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে

৫. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে


9- «بِسْمِ اللَّهِ».

(বিসমিল্লাহ)
৯- “আল্লাহ্‌র নামে (খুলে রাখলাম)”[1]।
ফুটনোটঃ[1] তিরমিযী ২/৫০৫, নং ৬০৬, ও অন্যান্য। আরও দেখুন, ইরওয়াউল গালীল, নং ৫০; সহীহুল জামে‘ ৩/২০৩।

৪. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ

৪. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ


7-(1) «تُبْلِي وَيُخْلِفُ اللَّهُ تَعَالَى».

(তুবলী ওয়া ইয়ুখলিফুল্লা-হু তাআলা)।
৭-(১) “তুমি পুরাতন করে ফেলবে, আর মহান আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করবেন”[1]।

8-(2) «اِلْبَسْ جَدِيداً وَعِشْ حَمِيداً وَمُتْ شَهِيداً».

(ইলবাস জাদীদান, ওয়া ইশ হামীদান, ওয়া মুত শাহীদান)।
৮-(২) “নতুন কাপড় পরিধান কর, প্রশংসিতরূপে দিনাতিপাত কর এবং

৩. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ

৩. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ


6- «اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيهِ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهِ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهُ».

(আল্লা-হুম্মা লাকাল-হামদু আনতা কাসাওতানীহি। আসআলুকা মিন খইরিহি ওয়া খইরি মা সুনি‘আ লাহু। ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনি‘আ লাহু)।
৬- “হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সকল হাম্‌দ-প্রশংসা। আপনিই এটি আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অনিষ্ট এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই”[1]।
ফুটনোটঃ[1] আবূ দাউদ, নং ৪০২০; তিরমিযী, নং ১৭৬৭; বাগভী, ১২/৪০; দেখুন, মুখতাসারুশ শামাইল লিল আলবানী, পৃ. ৪৭।

২. কাপড় পরিধানের দো‘আ

২. কাপড় পরিধানের দো‘আ


5- «الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا (الثَّوْبَ) وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّة...».

(আল্‌হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।
৫- “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং

১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিকির সমূহ

১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্‌রসমূহ


1-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ».

(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বাদা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)
১-(১) “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান”[1]।

2-(2) «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ» «رَبِّ اغْفرْ لِي».

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী)।
২-(২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব !

যিকিরের ফযীলত

যিক্‌রের ফযীলত


মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ فَاذْكُرُوْنِيْٓ اَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوْا لِيْ وَلَا تَكْفُرُوْنِ   ١٥٢؁ۧ﴾

“অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।” [1]

﴿ يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اذْكُرُوا اللّٰهَ ذِكْرًا كَثِيْرًا   41؀ۙ﴾

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”।[2]

﴿ وَالذّٰكِرِيْنَ اللّٰهَ كَثِيْرًا وَّالذّٰكِرٰتِ ۙ اَعَدَّ اللّٰهُ لَهُمْ مَّغْفِرَةً وَّاَجْرًا عَظِيْمًا   35؀﴾

“আর আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণকারী পুরুষ ও নারী: আল্লাহ তাদের জন্য

হিসনুল মুসলিম- লেখক/সংকলকঃ ড. সাঈদ ইব্‌ন আলী ইব্‌ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী

কুরআন-সুন্নাহ্‌র যিকর ও দু'আ
সূচীপত্র
ঘুম ও বিবিধ
সূচীপত্র
সাওম [রোজা]
সূচীপত্র
হজ্জ ও উমরা
সূচীপত্র
ঈমান সুরক্ষা
সূচীপত্র
শুভ অশুভ লক্ষন
সূচীপত্র

কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ

কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ


কুরআন মাজীদের সিজদার আয়াত তিলাঅত করলে অথবা শুনলে তকবীর দিয়ে একটি সিজদাহ করা এবং তকবীর দিয়ে মাথা তোলা মুস্তাহাব। এই সিজদার পর কোন তাশাহহুদ বা সালামনেই। তকবীরের ব্যাপারে মুসলিম বিন য়্যাসার, আবূ কিলাবাহ্‌ ও ইবনে সীরীন কর্তৃক আষার বর্ণিত হয়েছে। (ইবনে আবী শাইবা, আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, বায়হাকী, তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ২৬৯পৃ:)
এই সিজদাহ করার বড় ফযীলত ও মাহাত্ম রয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেন,

সিজদার স্থানসমূহ

সিজদার স্থানসমূহ


কুরআন মাজীদে মোট ১৫ জায়গায় সিজদাহ করা সুন্নত। তা যথাক্রমে নিম্নরুপ:-
  1. সূরা আ’রাফ ২০৬ নং আয়াত।
  2. সূরা রা’দ ১৫নং আয়াত।
  3. সূরা নাহল ৫০নং আয়াত।
  4. সূরা ইসরা’ (বানী ইসরাঈল) ১০৯নং আয়াত।
  5. সূরা মারয়্যাম ৫৮নং আয়াত।
  6. সূরাহাজ্জ ১৮নং আয়াত।
  7. সূরাহাজ্জ ৭৭নং আয়াত।
  8. সূরা ফুরক্বান ৬০নং আয়াত।
  9. সূরা নামল ২৬নং আয়াত।
  10. সূরা সাজদাহ ১৫নং আয়াত।
  11. সূরা স্বা-দ ২৪নং আয়াত।
  12. সূরা ফুস্‌সিলাত (হা-মিম সাজদাহ) ৩৮ নং আয়াত।
  13. সূরা নাজম ৬২নং আয়াত।
  14. সূরা ইনশিক্বাক্ব ২১নং আয়াত।
  15. সূরা আলাক্ব ১৯নং আয়াত।

তিলাওয়াতের সিজদার জন্য ওযূ জরুরী কি?

সিজদার জন্য ওযূ জরুরী কি?


তিলাওয়াতের সিজদার জন্য ওযূ শর্ত নয়। শরমগাহ্‌ ঢাকা থাকলে কেবলামুখে এই সিজদাহ করা যায়। যেহেতু ওযূ শর্ত হওয়ার ব্যাপারে কোন সহীহ বর্ণনা পাওয়া যায় না। (নাইলুল আউতার, শাওকানী, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১২৬, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ আরবী ১/১৯৬)

তিলাওয়াতের সিজদার দুআ

তিলাওয়াতের সিজদার দুআ


১-  سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ

উচ্চারণ- সাজাদা অজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু অশাক্বক্বা সামআহু  অবাস্বারাহু বিহাউলিহী অক্বুউওয়াতিহ্‌।
অর্থ- আমার মুখমন্ডল তাঁর জন্য সিজদাবনত হল যিনি ওকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় শক্তি ও ক্ষমতায় ওর চক্ষু ও কর্ণকে উদগত করেছেন। (আবূদাঊদ, সুনান, সহীহ তিরমিযী, সুনান৪৭৪নং, আহ্‌মদ ৬/৩০)
আবূ দাউদের বর্ণনায় আছে, এই দুআ সিজদায় একাধিকবার পাঠ করতে হয়।

নামাযের ভিতরে তিলাওয়াতের সিজদাহ

নামাযের ভিতরে তিলাওয়াতের সিজদাহ


একাকী বা ইমাম সকলের জন্য নামাযে সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করা বৈধ এবং সকলের জন্য সিজদাহ করা সুন্নত। অবশ্য সির্রী নামাযে ইমামের জন্য সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদা না করাই উত্তম। (তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ১/২৭০পৃ:)  কারণ, এতে মুক্তাদীদের মাঝে গোলমাল সৃষ্টি হয়। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩২৯, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ৫/৩০০)  মুক্তাদীর জন্য

শুকরিয়ার সিজদাহ

শুকরিয়ার সিজদাহ


মহান প্রতিপালক আল্লাহ আমাদেরকে কত নেয়ামত দান করেছেন, তা গুনে শেষ করা যায় না। এই সকল নেয়ামতের শুক্‌র আদায় করা বান্দার জন্য ফরয। শুক্‌র আদায়ের নিয়ম হল, প্রথমত: অন্তরে এই স্বীকার করা যে, এই নেয়ামত আল্লাহর তরফ থেকে আগত। দ্বিতীয়ত: মুখে তার শুক্‌র আদায় করা। তৃতীয়ত: কাজেও শুক্‌র প্রকাশ করা। অর্থাৎ, সেই নেয়ামত তাঁরই সন্তুষ্টির পথে খরচ করা। অন্যথা নাশুকরী বা কৃতঘ্নতা হবে।
হ্‌ঠাৎ কোন সুসংবাদ, সুখের খবর বা সম্পদ লাভের খবর পেলে অথবা বড় বিপদ দূর হওয়ার সংবাদ শুনলে মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে শুকরানার (একটি) সিজদাহ মুস্তাহাব।
মহানবী (সাঃ) কোন আনন্দদায়ক সংবাদ শুনলে অথবা

সহু সিজদার বিধিবিধান

সহু সিজদাহ


সহু সিজদা বা সিজদা-এ সাহও (ভুলের সিজদাহ) ফরয বা নফল নামাযে ভুল করে কোন ওয়াজেব অংশ ত্যাগ করলে ঐ ভুলের খেসারত স্বরুপ এবং ভুল আনয়নকারী শয়তানের প্রতি চাবুক স্বরুপ দুটি সিজদাহ করতে হয়। ভুল অনুপাতে সিজদার আগে বা পরে হাদীসে বর্ণিত নিয়মানুসারে সিজদাহ করা জরুরী।

নামায কম পড়ে সালাম ফিরে দিলে :
ভুলবশত: ১ বা ২ রাকআত নামায কম পড়ে সালাম ফিরে থাকলে যদি অল্প (৫/৭ মিনিট) সময়ের মধ্যে মনে পড়ে, তাহলে (মাঝে কথা বলে থাকলেও) নামাযী বাকী নামায সম্পন্ন করে সালাম ফিরার পর তকবীর ও তাসবীহ সহ্‌ দুটি সিজদাহ করে পুনরায় সালাম ফিরবে।
এ ব্যাপারে যুল-য়্যাদাইনের হাদীস প্রসিদ্ধ। একদা মহানবী (সাঃ) যোহ্‌র কিংবা আসরের নামায ভুল করে ২ রাকআত পড়ে সালাম ফিরে উঠে অন্য

মনগড়া মাসিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব

মনগড়া মাসিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব


মহ্‌ররম মাসের খেয়ালী নামায :
মহ্‌রম মাসের প্রথম তারীখের রাতে ২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ১১ বার।
এই রাতে আরো ৬ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ১০ বার। এতে বেহেশ্তে ২০০০ মহল লাভ হবে; প্রত্যেক মহলে ইয়াকূতের ১০০০ দরজা এবং প্রত্যেক দরজায় সবুজ রঙের তখতার উপর হুর বসে থাকবে। ৬০০০ বালা দূর হবে এবং ৬০০০ সওয়াব লাভ হবে!
এই তারীখে দিনে ২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ৩ বার। এতে দু জন ফিরিশ্‌তা বডিগাডG পাওয়া যায় এবং সারা বছর শয়তান থেকে নিরাপত্তা লাভ।
আশুরার রাতে ২ রাকআত; প্রত্যেক রাকআতে সূরা ইখলাস ৩ বার। এতে কিয়ামত পর্যন্ত রেশন থাকবে।
এই রাতে

মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব

মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব


শুক্রবার :
  • শুক্রবারে যোহ্‌র ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে (?) ২ রাকআত; প্রথম রাকআতে আয়াতুল কুরসী ১ বার ও সূরা ফালাক্ব ২৫ বার এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস ১ বার এবং সূরা ফালাক্ব ২০ বার পড়া।
  • ফযীলত: মরার পূর্বে স্বপ্নে আল্লাহর ও বেহেশ্তে নিজের জায়গার দর্শন লাভ!
  • এই দিনে মাগরেব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে ১২ রাকআত নামায।
  • ফযীলত: বেহেশ্তে মহল লাভ, সমগ্র মুসলিম জাতির তরফ থেকে সদকাহ্‌ দেওয়ার সওয়াব লাভ এবং পাপ নাশ হবে।
  • এই দিনে

স্বালাতুল হিফয। মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াবের নামায

স্বালাতুল হিফয


কুরআন হিফয সহজ হওয়ার উদ্দেশ্যে জুমআর রাতে ৪ রাকআত এই নামায পড়া হয়। এর প্রথম রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইয়াসীন, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা ফাতিহার পর সূরা দুখান, তৃতীয় রাকআতে ফাতিহার পর সূরা সাজদাহ এবং

এহ্‌তিয়াতী যোহ্‌র

এহ্‌তিয়াতী যোহ্‌র


জুমআর নামাযের পর অনেকে যোহরের নিয়তে ৪ রাকআত নামায পড়ে থাকে। যা ভিত্তিহীন, মনগড়া ও বিদআত। (আল-আজবিবাতুন নাফেআহ্‌, আন আসইলাতি লাজনাতি মাসজিদিল জামেআহ্‌, মুহাদ্দিস আলবানী ৭৪পৃ:, মু’জামুল বিদা’ ১২০, ৩২৭পৃ:)

স্বালাতুল আওয়াবীন

স্বালাতুল আওয়াবীন


আওয়াবীনের নামায আসলে চাশতের নামাযের অপর নাম। মহানবী (সাঃ) বলেন, “চাশতের নামায হল আওয়াবীনের নামায।” (জামে ৩৮২৭নং) আর এ হাদীস এ কথারই দলীল যে, মাগরেবের পর উক্ত নামের নামাযটি ভিত্তিহীন ও বিদআত। যেমন এই নামাযের খেয়ালী উপকার বর্ণনায় বলা হয়ে থাকে যে, সৃষ্টিজগৎ ঐ নামাযীর অনুগত হয়ে যায় এবং

কাযা উমরী (উমরী কাযা)

কাযা উমরী (উমরী কাযা)


এই পুস্তকের প্রথম অংশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাযা উমরী বা উমরী কাযা নামাযের অস্তিত্ব শরীয়তে নেই। বিধায় তা বিদআত।
বিদআতীরা বলে, যদি কোন লোকের বহু সময়ের নামায কাযা হয়ে থাকে এবং সে তার সংখ্যা জানে না, তবে সে জুমআর দিন ফরয নামাযের পূর্বে ৪ রাকআত নফল

মা-বাপের জন্য নামায, ঈদের রাতের নামায

মা-বাপের জন্য নামায


প্রত্যেক ফরয নামাযের পর সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়ে বসে বসে ২ রাকআত নফল। মা-বাপের উদ্দেশ্যে এমন নামায বিদআত। (মু’জামুল বিদা’ ৩৪৫পৃ:)

ঈদের রাতের নামায


উভয় ঈদের রাতে বিশেষ নামায (যইফ জামে ৫৩৫৮, ৫৩৬১) এবং

কতিপয় বিদআতী নামায

কতিপয় বিদআতী নামায


এ কথা প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে কোন ইবাদত কবুল হওয়ার মূল ভিত্তি হল তওহীদ। আর তা শুদ্ধ হওয়ার মৌলিক শর্ত হল ২টি; ইখলাস ও মুহাম্মাদী তরীকা। সুতরাং যে নামায মুহাম্মাদী তরীকায় নেই, তাতে পূর্ণ ইখলাস থাকলেও তা বিদআত। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) ব্যাপারে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা তার পর্যায়ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১৪০নং) “যে ব্যক্তি এমন আমল করে, যাতে আমাদের কোন নির্দেশ  নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।” (মুসলিম, সহীহ ১৭১৮নং) “আর নবরচিত কর্মসমূহ থেকে দূরে থেকো। কারণ,

চাশতের নামায মসজিদে পড়ার পৃথক ফযীলত

চাশতের নামায মসজিদে পড়ার পৃথক ফযীলত


হযরত আবু উমামা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহ রসূল (সাঃ) বলেন “যে ব্যক্তি কোন ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে স্বগৃহে থেকে ওযূ করে (মসজিদের দিকে) বের হয় সেই ব্যক্তির সওয়াব হয় ইহ্‌রাম বাঁধা হাজীর ন্যায়। আর যে ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের নামায পড়ার উদ্দেশ্যেই বের হয়, তার সওয়াব হয় উমরাকারীর সমান। এক নামাযের পর অপর নামায; যে

চাশত নামায কত রাকআত?

চাশত নামায কত রাকআত?


চাশতের নামাযের কমপক্ষে ২ রাকআত এবং ঊর্ধ্বপক্ষের কোন নির্দিষ্ট রাকআত সংখ্যা নেই। অবশ্য মহানবী (সাঃ) নিজে এই নামায ৮ রাকআত পড়তেন বলে প্রমাণিত। পক্ষান্তরে তাঁর কথায় প্রমাণিত ১২ রাকআত।
উম্মেহানী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (সাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে চাশতের সময় ৮ রাকআত নামায পড়েছেন। (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১৩০৯নং)
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন,

চাশত নামাযের সময়

চাশত নামাযের সময়


স্বালাতুয-যুহা বা চাশতের নামাযের সময় শুরু হয় সূর্য যখন দর্শকের চোখে এক বর্শা (এক মিটার) পরিমাণ উপরে ওঠে। অর্থাৎ সূর্য ওঠার মোটামুটি ১৫ মিনিট পরে এই নামায পড়া যায়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১২২) আর শেষ হয় সূর্য ঢলার আগে। তবে উত্তম হল, সূর্য পূর্বাকাশে উঁচু হওয়ার পর যখন মাটি গরম হতে শুরু করবে তখন এই নামায পড়া। মহানবী (সাঃ) বলেন, “সূর্য উঠে গেলে তারপর নামায পড়। কারণ,

চাশতের নামাযের বিবরণ

চাশতের নামাযের বিবরণ


চাশতের নামায মুস্তাহাব নফল। এই নামাযের রয়েছে বিরাট মাহাত্ম ও সওয়াব।
হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “প্রত্যহ্‌ সকালে তোমাদের প্রত্যেক অস্থি-গ্রন্থির উপর (তরফ থেকে) দাতব্য সদকাহ্‌ রয়েছে; সুতরাং প্রত্যেক  তাসবীহ্‌ হল সদকাহ্‌ প্রত্যেক তাহ্‌মীদ (আলহামদু লিল্লা-হ্‌ পাঠ) সদকাহ্‌,

পাঁচ-ওয়াক্ত নামাযে দোয়া কুনূত

পাঁচ-ওয়াক্ত নামাযে কুনূত


মুসলিমদের প্রতি কাফেরদের অত্যাচারের সময় পাঁচ-ওয়াক্ত নামাযের শেষ রাকআতের রুকূ থেকে মাথা তুলে কুনূত পড়া বিধেয়। (আবূদাঊদ, সুনান, মিশকাত ১২৯০নং) এই কুনূতকে কুনূতে নাযেলাহ্‌ বলা হয়। এই কুনূতে মুসলিমদের জন্য দুআ এবং অত্যাচারী কাফেরদের বিরুদ্ধে বদ দু’আ করা বিধেয়। দুই হাত তুলে দুআ করবেন ইমাম এবং ‘আমীন-আমীন’ বলবে মুক্তাদীগণ। এই কুনূতের দুআর ভূমিকা নিম্নরুপ:-

বিতর নামাজের কাযা। বিত্‌র নামাযে জামাআত

বিতরের কাযা


বিত্‌র নামায যথা সময়ে না পড়া হলে তা কাযা পড়া বিধেয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিত্‌র না পড়ে ঘুমিয়ে যায় অথবা তা পড়তে ভুলে যায় সে ব্যক্তি যেন তা স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেয়।” (আহমাদ, মুসনাদ, সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্‌),হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬৫৬২নং)  তিনি আরো বলেন,

বিতর নামায পড়ার পর নফল ২ রাকআত নামাজ

বিতরের পর নফল ২ রাকআত


অবশ্য এ ব্যাপারে একটি ব্যতিক্রম নামায হল, বিতরের পরে ২ রাকআত সুন্নত বসে বসে পড়া। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রসূল (সাঃ) (বিত্‌র নামাযের) সালাম ফিরার পর বসে বসে ২ রাকআত নামায পড়তেন। (মুসলিম, সহীহ) হযরত উম্মে সালামাহ্‌ বলেন। ‘তিনি বিতরের পর বসে বসে (হাল্কা করে) ২ রাকআত নামায পড়তেন।’ (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ১২৮৪নং)
মহানবী (সাঃ) বলেন,

এক রাতে দুইবার বিতর নামায পড়া নিষিদ্ধ

এক রাতে দুইবার বিত্‌র নিষিদ্ধ


রাত্রের সর্বশেষ নামায হল বিতরের নামায। বিতরের পর আর কোন নামায নেই। অতএব যদি কেউ শেষ রাত্রে উঠতে পারবে না মনে করে এশার পর বিত্‌র পড়ে নেয় অতঃপর শেষ রাত্রে উঠতে সক্ষম হয়, সে তাহাজ্জুদ পড়বে কিন্তু আর দ্বিতীয় বার বিত্‌র পড়বে না। কারণ, মহানবী (সাঃ) বলেন, “এক রাতে দুটি বিত্‌র নেই।”

দোয়া কুনূত পড়ার স্থান ও নিয়ম

কুনূতের স্থান ও নিয়ম


কুনূতের দুআ (শেষ রাকআতের) রুকুর আগে বা পরে যে কোন স্থানে পড়া যায়। হুমাইদ বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কুনূত রুকূর আগে না পরে? উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমরা রুকূর আগে ও পরে কুনূত পড়তাম।’ (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, মিশকাত ১২৯৪নং)
অনুরুপ (দুআর মত)হাত তোলা ও না তোলা উভয় প্রকার আমলই সলফ কর্তৃক বর্ণিত আছে। (তুহ্‌ফাতুল আহওয়াযী ১/৪৬৪)
অবশ্য দুআর পরে মুখে হাত বুলানো সুন্নত নয়। কারণ,

বিত্‌র নামাযের মুস্তাহাব ক্বিরাআত

বিত্‌র নামাযের মুস্তাহাব ক্বিরাআত


এ নামাযে সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা পড়া যায়। তবে মুস্তাহাব হল, প্রথম রাকআতে সূরা আ’লা, দ্বিতীয় রাকআতে সূরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকআতে সূরা ইখলাস পড়া। (আহমাদ, মুসনাদ, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, মিশকাত ১২৭০-১২৭২নং)
মহানবী (সাঃ) কখনো কখনো তৃতীয় রাকআতে সূরা ইখলাসের সাথে সূরা নাস ও ফালাকও পাঠ করতেন। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৫)

বিতরের কুনূত :
মহানবী (সাঃ) হযরত হাসান বিন আলী (রাঃ)-কে

বিত্‌র নামাযের রাকআত সংখ্যা কত?

বিত্‌র নামাযের রাকআত সংখ্যা


বিত্‌র নামায একটানা এক সালামে  ৯, ৭, ৫, ৩ রাকআত পড়া যায়।
৯ রাকআত বিতরের নিয়ম হল, ৮ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম না ফিরে উঠে গিয়ে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (মুসলিম,  মিশকাত ১২৫৭নং)
৭ রাকআত বিতরের নিয়ম হল, ৬ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্‌হুদে বসতে হবে। তাতে আত্‌-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম না ফিরে উঠে গিয়ে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (সুনানু আরবাআহ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ্‌), আবূদাঊদ, সুনান ১৩৪২, নাসাঈ, সুনান ১৭১৯নং)
কোন কোন বর্ণনা মতে ষষ্ঠ রাকআতে না বসে

বিতর নামাজের সময়

বিতরের সময়


বিতরের সময় এশার পর থেকে নিয়ে ফজরের আগে পর্যন্ত। মহানবী (সাঃ) বলেন, “আল্লাহ তোমাদেরকে একটি অতিরিক্ত নামায প্রদান করেছেন। আর তা হল বিতরের নামায সুতরাং তোমরা তা এশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে নাও।” (আহমাদ, মুসনাদ, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১০৮নং)
সাহাবী গুযাইফ বিনহারেস বলেন, একদা আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ‘--- নবী (সাঃ) বিতরের নামায প্রথম রাত্রিতে পড়তেন, নাকি শেষ রাত্রিতে?’ তিনি বললেন, ‘কখনো তিনি প্রথম রাত্রিতে বিত্‌র পড়তেন, আবার কখনো শেষ রাত্রিতে।’ আমি বললাম,

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায


বিত্‌র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এ নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিত্‌র ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিত্‌র (জোড়হীন), তিনি বিত্‌র (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং

ইশরাক্ব ও চাশতের ছালাত পড়ার নিয়ম কি?

ইশরাক্ব ও চাশতের ছালাত পড়ার নিয়ম কি?
========================= 
‘শুরূক্ব’ অর্থ সূর্য উদিত হওয়া। ‘ইশরাক্ব’ অর্থ চমকিত হওয়া। ‘যোহা’ অর্থ সূর্য গরম হওয়া। এই ছালাত সূর্যোদয়ের পরপরই প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে একে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলা হয় এবং কিছু পরে দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুয যোহা’ বা চাশতের ছালাত বলা হয়।

ফযীলত :

চুলে বা দাড়িতে কালো খেযাব / কালোকলপ বা কালো রং ব্যবহারকারী জান্নাতে তো যাবেই না, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না- (চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গেলে তাহলে করনীয় কি?

চুলে বা দাড়িতে কালো খেযাব / কালোকলপ বা কালো রং ব্যবহারকারী জান্নাতে তো যাবেই না, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না- (চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গেলে তাহলে করনীয় কি? 
============================= 
রাসূল (ছাঃ)বলেছেন, শেষ যামানায় এক শ্রেণীর লোক চুল দাঁড়িতে কালো রং দ্বারা খেযাব দেবে। দেখতে কবুতরের বুকের মত সুন্দর লাগবে। তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। (সহিহ আবু দাউদ হা/৪২১২-তাওহিদ পাবলিকেশন) 

চুল বা দারী পাক ধরলে(সাদা হয়ে গেলে) করনীয় কি? 

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ