Thursday, October 26, 2017

শুক্রবার কি সূরা কাহাফ পুরাটা পড়তে হবে নাকি প্রথম ১০ আয়াত পড়লেই হবে ?

শুক্রবার কি সূরা কাহাফ পুরাটা পড়তে হবে নাকি প্রথম ১০ আয়াত পড়লেই হবে ?
================================== 
উত্তর: 
শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার যে ফযীলত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে তা পেতে হলে পুরোটা পড়তে হবে। অন্যথায় সে ফযীলত পাওয়া যাবে না।

এক বসাতে পড়তে না পারলেও সমস্যা নাই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু করে জুমার পূরো দিনের মধ্যে তা পড়তে পারলেও উক্ত ফযীলত পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 
🔘 আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে। 
( মুসতাদারেক হাকিম: ২/৩৯৯, বায়হাকী: ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীর: ৬/১৯৮)

🔘 ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (আত তারগীব ওয়া তারহীব: ১/২৯৮)

*তবে দশ আয়াত পড়ার বা মুখস্ত করার আলাদা ফযীলত রয়েছে।* যেমন,
আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্ত করবে,সে দাজ্জালের(ফিৎনা) থেকে পরিএাণ পাবে।’’ 
অন্য বর্ণনায় ‘কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (মুসলিম ৮০৯)

-উত্তর দিয়েছেন Shaikh Abdullahil Hadi

যেসব কাজ করলে বা যাতে ওযু নষ্ট বা ভঙ্গ হয়।

যাতে ওযু নষ্ট হয় না


১। নারীদেহ্‌ স্পর্শ করলে ওযু ভাঙ্গে না। কারণ, মহানবী (সাঃ) রাত্রে নামায পড়তেন, আর মা আয়েশা (রাঃ) তাঁর সম্মুখে পা মেলে শুয়ে থাকতেন। যখন তিনি সিজদায় যেতেন, তখন তাঁর পায়ে স্পর্শ করে পা সরিয়ে নিতে বলতেন। এতে তিনি নিজের পা দু’টিকে গুটিয়ে নিতেন। (বুখারী ৫১৩মুসলিম, সহীহ৫১২নং)
তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ)কে চুম্বন দিতেন। তারপর ওযু না করে নামায পড়তে বেরিয়ে যেতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ১৭৮-১৭৯ নংআহমাদ, মুসনাদ/২১০দি৮৬নাসাঈ, সুনান ১৭০ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ৫০২নংদারাক্বুত্বনী, সুনান /১৩৮বায়হাকী /১২৫)
অবশ্য স্পর্শ বা চুম্বনে মযী বের হলে

ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ জেনে নিন সহিহ হাদিসের আলকে।

ওযু নষ্ট হওয়ার কারণসমূহ


১। পেশাব ও পায়খানা দ্বার হতে কিছু (পেশাব, পায়খানা, বীর্য, মযী, হাওয়া, রক্ত, কৃমি, পাথর প্রভৃতি) বের হলে ওযু ভেঙ্গে যায়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন /২২০)
তদনুরুপ দেহের অন্যান্য অঙ্গ থেকে (যেমন অপারেশন করে পেট থেকে পাইপের মাধ্যমে) অপবিত্র (বিশেষ করে পেশাব-পায়খানা) বের হলেও ওযু নষ্ট হয়ে যাবে। (ঐ১/২২১)
২। যাতে গোসল ওয়াজেব হয়, তাতে ওযুও নষ্ট হয়।
৩। কোন প্রকারে বেহুশ বা জ্ঞানশূন্য হলে ওযু নষ্ট হয়।
৪। গাঢ়ভাবে ঘুমিয়ে পড়লে ওযু ভাঙ্গে। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

রোগীর পবিত্রতা ও ওযু-গোসল

রোগীর পবিত্রতা ও ওযু-গোসল


রোগী হলেও গোসল ওয়াজেব হলে গোসল এবং ওযুর দরকার হলে ওযু করা জরুরী।
ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় ক্ষতির আশঙ্কা হলে রোগী গরম পানি ব্যবহার করবে। পানি ব্যবহারে একেবারেই অসমর্থ হলে বা রোগ-বৃদ্ধি অথবা আরোগ্য লাভে বিলম্বের আশঙ্কা হলে তায়াম্মুম করবে।
রোগী নিজে ওযু বা তায়াম্মুম করতে না পারলে অন্য কেউ করিয়ে দেবে।
ওযুর কোন অঙ্গে ক্ষত থাকলেও তা ধুতে হবে। অবশ্য পানি লাগলে ঘা বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা থাকলে হাত ভিজিয়ে তার উপর বুলিয়ে মাসাহ্‌ করবে। মাসাহ্‌ করাও ক্ষতিকারক হলে ঐ অঙ্গের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নেবে।
ক্ষতস্থানে পটি বাঁধা বা প্লাস্টার করা থাকলে অন্যান্য অঙ্গ ধুয়ে পটির উপর মাসাহ্‌ করবে।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ ওযুর আনুষঙ্গিক মাসায়েল এবং ওযুর ফজিলত।

ওযুর আনুষঙ্গিক মাসায়েল


ওযুর অঙ্গগুলোকে কমপক্ষে ১ বার করে ধোয়া জরুরী। ২ বার করে ধুলেও চলে। তবে ৩ বার করে ধোয়াই উত্তম। এরই উপরে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তথা সাহাবায়ে কেরামের আমল বেশী। কিন্তু তিনবারের অধিক ধোয়া অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন করা। (আবূদাঊদসুনাননাসাঈসুনানইবনে মাজাহ্‌সুনানমিশকাত ৪১৭-৪১৮ নং)
ওযুর কোন অঙ্গ ২ বার এবং কোন অঙ্গ ৩ বার ধোয়া দূষণীয় নয়। (সহীহ, আবূদাঊদ, সুনান ১০৯সহীহ, তিরমিযী, সুনান ৪৩নং)
জোড়া অঙ্গগুলির ডান অঙ্গকে আগে ধোয়া রসূল (সাঃ) এর নির্দেশ। (আহমাদ, মুসনাদআবূ দাঊদ, সুনানইবনে মাজাহ্‌, সুনানমিশকাত ৪০১নং) তিনি

সহিহ হাদিসের আলোকে ওযুর শেষে বিভিন্ন দুআ সকে।

ওযুর শেষে দুআ


প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউই পরিপূর্ণরুপে ওযু করার পর (নিম্নের যিক্‌র) পড়ে তার জন্যই জান্নাতের আটটি দ্বার উন্মুক্ত করা হয়; যে দ্বার দিয়ে ইচ্ছা  সে প্রবেশ করতে পারে।
أَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু  আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু অরাসূলুহ্‌
অর্থাৎ, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক তাঁর কোন অংশী নেই। আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রসূল। (মুসলিম ২৩৪নংআবু দাঊদইবনে মাজাহ্‌)
তিরমিযীর বর্ণনায় এই দুআর শেষে নিম্নের অংশটিও যুক্ত আছে:-

সহিহ হাদীসের আলোকে ওযু করার নকে।

ওযু করার নিয়ম


১- নামাযী প্রথমে মনে মনে ওযুর নিয়ত করবে। কারণ নিয়ত ছাড়া কোন কর্মই শুদ্ধ হয় না। (বুখারীমুসলিম মিশকাত ১নং)
২- ‘বিসমিল্লাহ্‌’ বলে ওযু শুরু করবে। কারণ শুরুতে তা না বললে ওযু হয় না। (আবূদাঊদ, সুনান ৯২নং)
৩- তিনবার দুইহাত কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবে।হাতে ঘড়ি, চুড়ি, আংটি প্রভৃতি থাকলে তা হিলিয়ে তার তলে পানি পৌঁছাবে। আঙ্গুল দিয়ে আঙ্গুলের ফাঁকগুলো খেলাল করবে। (আবূদাঊদ, সুনানতিরমিযী, সুনানইবনে মাজাহ্‌, সুনানমিশকাত ৪০৭নং) এরপর পানির পাত্রে হাত ডুবিয়ে পানি নিতে পারে। (বুখারীমুসলিম, সহীহ ৩৯৪নং) প্রকাশ যে, নখে নখ পালিশ বা কোন প্রকার পুরু পেন্ট থাকলে তা তুলে না ফেলা পর্যন্ত ওযু হবে না। পক্ষান্তরে

ওযু ও তার গুরুত্ব বা ফজিলত।

ওযু ও তার গুরুত্ব


মহান আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَاغْسِلُوْا وُجُوْهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوْابِرُؤُوْسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য প্রস্তুত হবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে এবং তোমাদের মাথা মাসাহ্‌ করবে। আর পা দু’টিকে গাঁট পর্যন্ত ধৌত করবে। (কুরআন মাজীদ /)
সুতরাং বড় নাপাকী না থাকার ফলে গোসলের দরকার না হলেও

নাপাকী বা ফরয গোসল করার নিয়ম !

গোসল করার নিয়ম


নাপাকীর গোসল করতে হলে গোসলের নিয়ত করে মুসলিম প্রথমে ৩ বার দুইহাত কব্জি পর্যন্ত ধুবে। অতঃপর বাম হাতের উপর পানি ঢেলে দেহের নাপাকী ধুয়ে ফেলবে। তারপর বাম হাতকে মাটি অথবা সাবান দ্বারা ধুয়ে নামাযের জন্য ওযু করার মত পূর্ণ ওযু করবে। অবশ্য গোসলের জায়গা পরিষ্কার না হলে পা দুটি গোসল শেষে ধুয়ে নেবে। ওযুর পর ৩ বার মাথায় পানি ঢেলে ভাল করে চুলগুলো ধোবে, যাতে সমস্ত চুলের গোড়ায় গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর সারা দেহে ৩ বার পানি ঢেলে ভালরুপে ধুয়ে নেবে। (বুখারীমুসলিম মিশকাত ৪৩৫-৪৩৬ নং)
মহিলাদের গোসলও পুরুষদের অনুরুপ। অবশ্য মহিলার মাথার চুলে বেণী  বাঁধা (চুটি গাঁথা) থাকলে তা

পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব

পবিত্রতা অর্জন


নামায কবুল হওয়ার জন্য যেরুপ বিশুদ্ধ ঈমান এবং হৃদয়কে সিক্ত ও কুফরী ধারণা ও বিশ্বাস থেকে পবিত্র রাখা জরুরী শর্ত, তদ্রুপ নামাযীর বাহ্যিক দেহ্‌ ও পোশাক-আশাককে পবিত্র রাখাও এক জরুরী শর্ত। যেহেতু “নামাযের চাবিকাঠিই হল পবিত্র তা ।” (আবূদাঊদ, সুনানতিরমিযী, সুনানদারেমী, সুনানমিশকাত ৩১২ নং) তাছাড়া এই পবিত্রতা হল অর্ধেক ঈমান। (মুসলিম মিশকাত ২৮১নং)
(বিশেষ করে পানি দ্বারা অর্জিত) পবিত্রতায় বৃদ্ধি হয় মনোযোগ, দূর হয় আলস্য, তন্দ্রা ও নিদ্রা, স্ফূর্তির সাথে ইবাদতে মন বসে অধিক।
মযী বা মলমূত্র থেকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য পানি বা

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ