Thursday, November 30, 2017

প্রশ্ন ৪১: শরীর বা কাপড়ে এই তরল পদার্থ লাগলে করণীয় কি?

প্রশ্ন ৪১: শরীর বা কাপড়ে এই তরল পদার্থ লাগলে করণীয় কি?


উত্তরঃ যদি তা পবিত্র হয়, তাহলে কিছুই করতে হবে না। আর অপবিত্র হলে অর্থাৎ মূত্রাশয় থেকে বের হলে,

প্রশ্ন ৪২: এই তরল পদার্থের কারণে যে অযু করতে হয়, তাতে কি শুধু অযুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ধুলেই যথেষ্ট হবে?

প্রশ্ন ৪২: এই তরল পদার্থের কারণে যে অযু করতে হয়, তাতে কি শুধু অযুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ধুলেই যথেষ্ট হবে?


উত্তরঃ এই তরল পদার্থ যদি পবিত্র হয় অর্থাৎ মূত্রাশয় থেকে না এসে গর্ভাশয় থেকে আসে, তাহলে শুধু অযুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ধুলেই যথেষ্ট

প্রশ্ন ৪৩: এই তরল পদার্থের কারণে অযু ভঙ্গের পক্ষে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত না হওয়ার কারণ কি- অথচ মহিলা ছাহাবীগণ তাঁদের দ্বীনের বিষয়াদি নিয়ে ফৎওয়া জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন?

প্রশ্ন ৪৩: এই তরল পদার্থের কারণে অযু ভঙ্গের পক্ষে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত না হওয়ার কারণ কি- অথচ মহিলা ছাহাবীগণ তাঁদের দ্বীনের বিষয়াদি নিয়ে ফৎওয়া জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন?


উত্তরঃ তরল এই পদার্থ সব মহিলার না আসার

প্রশ্ন ৪৪: অযুর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে যে মহিলা অযু করে না, তার করণীয় কি?

প্রশ্ন ৪৪: অযুর বিধান সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে যে মহিলা অযু করে না, তার করণীয় কি?


উত্তরঃ তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে এবং এ বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন আলেমকে জিজ্ঞেস করতে

প্রশ্ন ৪৫: “এই তরল পদার্থের কারণে অযু করতে হবে না” মর্মের অভিমত কেউ কেউ আপনার দিকে সম্বন্ধিত করে থাকে-[আপনি তাদেরকে কি বলবেন]?

প্রশ্ন ৪৫: “এই তরল পদার্থের কারণে অযু করতে হবে না” মর্মের অভিমত কেউ কেউ আপনার দিকে সম্বন্ধিত করে থাকে-[আপনি তাদেরকে কি বলবেন]?


উত্তরঃ যে এই অভিমত আমার দিকে সম্বন্ধিত করে, সে সত্যবাদী নয়। তবে আমার মনে হয়, “উহা পবিত্র” মর্মে আমার যে অভিমত, তা থেকে সে বুঝেছে যে,

প্রশ্ন ৪৬: ঋতুস্রাবের এক বা একাধিক দিন অথবা একদিনেরও কম সময় আগে মেয়েদের মেটে রঙ্গের ঘোলা ঘোলা যে পদার্থ বের হয়, তার হুকুম কি? এটা কখনও চিকন কালো সূতার আকৃতিতে বা গোটা গোটা হয়ে অথবা এ জাতীয় কোন আকৃতিতে বের হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে ইহা ঋতুস্রাবের পরে আসলে তার হুকুমই বা কি?

প্রশ্ন ৪৬: ঋতুস্রাবের এক বা একাধিক দিন অথবা একদিনেরও কম সময় আগে মেয়েদের মেটে রঙ্গের ঘোলা ঘোলা যে পদার্থ বের হয়, তার হুকুম কি? এটা কখনও চিকন কালো সূতার আকৃতিতে বা গোটা গোটা হয়ে অথবা এ জাতীয় কোন আকৃতিতে বের হয়ে থাকে। অনুরূপভাবে ইহা ঋতুস্রাবের পরে আসলে তার হুকুমই বা কি?


উত্তরঃ ঋতুস্রাবের ভূমিকাস্বরূপ এটা হলে তাকে ঋতুস্রাব গণ্য করা হবে। এটা চেনার উপায় হলো, ঋতুবতীর স্বাভাবিক ব্যথা অথবা পেট ব্যথা অনুভূত হওয়া।
আর ঋতুস্রাবের পরে ঘোলা ঘোলা যে পদার্থ বের হয়, তা দূর হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করবে। কেননা

প্রশ্ন ৪৮: একজন মহিলা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে এবং সফরে বের হওয়ার পর পাঁচ দিন ধরে তার ঋতুস্রাব চলছে। সে মীক্বাতে পৌঁছে গোসল করে ইহরাম বেঁধেছে- অথচ সে তখনও পবিত্র হয়নি। এরপর মক্কায় পৌঁছে হারাম শরীফের বাইরে অবস্থান করেছে এবং হজ্জ বা ওমরার কোন কাজই সে করেনি। এরপর মিনাতে দুই দিন অবস্থানের পর পবিত্র হলে গোসল করতঃ পবিত্র অবস্থায় ওমরার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। অতঃপর তওয়াফে ইফাযার সময় তার আবার রক্ত দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে লজ্জায় তার অভিভাবককে কিছু না বলে হজ্জের কার্যাবলী সম্পন্ন করেছে। এরপর দেশে পৌঁছে তার অভিভাবককে বিষয়টা বলেছে। এক্ষণে এর হুকুম কি?

প্রশ্ন ৪৮: একজন মহিলা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে এবং সফরে বের হওয়ার পর পাঁচ দিন ধরে তার ঋতুস্রাব চলছে। সে মীক্বাতে পৌঁছে গোসল করে ইহরাম বেঁধেছে- অথচ সে তখনও পবিত্র হয়নি। এরপর মক্কায় পৌঁছে হারাম শরীফের বাইরে অবস্থান করেছে এবং হজ্জ বা ওমরার কোন কাজই সে করেনি। এরপর মিনাতে দুই দিন অবস্থানের পর পবিত্র হলে গোসল করতঃ পবিত্র অবস্থায় ওমরার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। অতঃপর তওয়াফে ইফাযার সময় তার আবার রক্ত দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে লজ্জায় তার অভিভাবককে কিছু না বলে হজ্জের কার্যাবলী সম্পন্ন করেছে। এরপর দেশে পৌঁছে তার অভিভাবককে বিষয়টা বলেছে। এক্ষণে এর হুকুম কি?


উত্তরঃ তওয়াফে ইফাযার সময় তার যে রক্ত এসেছিল, তা যদি ঋতুর রক্ত হয়- যা সে রক্তের বৈশিষ্ট্য দেখে বা ব্যথা অনুভবের মাধ্যমে চিনতে পারবে- তাহলে তার ঔ তওয়াফ শুদ্ধ হয়নি। সেজন্য তওয়াফে ইফাযার উদ্দেশ্যে তাকে আবার মক্কায় ফিরে আসতে হবে। অতঃপর সে মীক্বাত থেকে ওমরার ইহরাম বেঁধে তওয়াফ, সাঈ ও চুল ছেঁটে ওমরা সম্পন্ন করতঃ

প্রশ্ন ৪৭: ঋতুবতী মহিলা ইহ্‌রামের দুই রাকআত নামায কিভাবে আদায় করবে? ঋতুবতীর জন্য কুরআনের আয়াতসমূহ মনে মনে পাঠ করা কি জায়েয?

প্রশ্ন ৪৭: ঋতুবতী মহিলা ইহ্‌রামের দুই রাকআত নামায কিভাবে আদায় করবে? ঋতুবতীর জন্য কুরআনের আয়াতসমূহ মনে মনে পাঠ করা কি জায়েয?


উত্তরঃ প্রথমতঃ আমাদের একটা জিনিস জানা উচিৎ যে, ইহ্‌রামের কোন নামায নেই। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইহ্‌রামের উদ্দেশ্যে তাঁর উম্মতের জন্য আদেশের মাধ্যমে হোক বা নিজে আদায়ের মাধ্যমে হোক অথবা সম্মতির মাধ্যমে হোক কোন নামাযের বিধান করে গেছেন মর্মে কিছুই বর্ণিত হয়নি।
দ্বিতীয়তঃ

প্রশ্ন ৪৯: ওমরার জন্য ইহরামরত এক মহিলা মক্কায় গমন করল এবং মক্কায় পৌঁছার পর সে ঋতুগ্রস্ত হলো। এদিকে তার মাহরাম পুরুষ [যার সাথে স্থায়ীভাবে বিয়ে বৈধ নয়] তৎক্ষণাত বাড়ী ফিরে যেতে বাধ্য হলো এবং মক্কায় তার আর কেউ রইল না। তাহলে উক্ত মহিলার হুকুম কি?

প্রশ্ন ৪৯: ওমরার জন্য ইহরামরত এক মহিলা মক্কায় গমন করল এবং মক্কায় পৌঁছার পর সে ঋতুগ্রস্ত হলো। এদিকে তার মাহরাম পুরুষ [যার সাথে স্থায়ীভাবে বিয়ে বৈধ নয়] তৎক্ষণাত বাড়ী ফিরে যেতে বাধ্য হলো এবং মক্কায় তার আর কেউ রইল না। তাহলে উক্ত মহিলার হুকুম কি?


উত্তরঃ যদি সে সঊদী আরবের হয়, তাহলে সে তার মাহ্‌রাম পুরুষের সাথে চলে যেয়ে ইহ্‌রাম অবস্থায় থাকবে। অতঃপর পবিত্র হলে আবার মক্কায় ফিরে আসবে। কেননা তার জন্য ফিরে আসা সহজ এবং তার তেমন কোন পরিশ্রমও হবে না আবার পাসপোর্টেরও প্রয়োজন হবে না। কিন্তু

প্রশ্ন ৫০: হজ্জের দিনগুলোতে কোন মুসলিম মহিলা ঋতুগ্রস্ত হলে তার বিধান কি? তার ঐ হজ্জ কি তার জন্য যথেষ্ট হবে?

প্রশ্ন ৫০: হজ্জের দিনগুলোতে কোন মুসলিম মহিলা ঋতুগ্রস্ত হলে তার বিধান কি? তার ঐ হজ্জ কি তার জন্য যথেষ্ট হবে?


উত্তরঃ ঋতুগ্রস্ত হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ না জানা পর্যন্ত এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা হজ্জের কিছু কিছু কাজে ঋতুস্রাব প্রতিবন্ধক হয় না আবার কিছু কিছুতে তা প্রতিবন্ধক হয়। যেমন পবিত্র অবস্থায়

প্রশ্ন ৫১: একজন মহিলা বলছেন, আমি গত বছর হজ্জব্রত পালন করেছি এবং শারঈ ওযর থাকার কারণে আমি তওয়াফে ইফাযা ও বিদায়ী তওয়াফ ব্যতীত হজ্জের বাকী সব কাজ সম্পন্ন করেছি। যে কোন একদিন তওয়াফে ইফাযা ও বিদায়ী তওয়াফ করার জন্য মক্কায় যাব ভেবে আমি আমার বাড়ী মদীনায় ফিরে গেছি। দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ইতিমধ্যে আমি সবকিছু থেকে হালাল হয়ে গেছি এবং ইহ্‌রাম অবস্থায় যা কিছু করা হারাম থাকে, তার সবগুলোই করে ফেলেছি। তওয়াফের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাকে বলা হয়েছে যে, তোমার জন্য তওয়াফ করা ঠিক হবে না; বরং তুমি তোমার হজ্জ নষ্ট করে ফেলেছ। সেজন্য তোমাকে আগামী বছর আবার হজ্জ করতে হবে এবং সেই সাথে গরু বা উট কুরবানী করতে হবে। এক্ষণে প্রশ্ন হলো, একথা কি ঠিক? এর কি অন্য কোন সমাধান আছে? আমার হজ্জ কি নষ্ট হয়েছে? আমাকে কি পুনরায় হজ্জ করতে হবে? এ মুহূর্তে আমার করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন।

প্রশ্ন ৫১: একজন মহিলা বলছেন, আমি গত বছর হজ্জব্রত পালন করেছি এবং শারঈ ওযর থাকার কারণে আমি তওয়াফে ইফাযা ও বিদায়ী তওয়াফ ব্যতীত হজ্জের বাকী সব কাজ সম্পন্ন করেছি। যে কোন একদিন তওয়াফে ইফাযা ও বিদায়ী তওয়াফ করার জন্য মক্কায় যাব ভেবে আমি আমার বাড়ী মদীনায় ফিরে গেছি। দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ইতিমধ্যে আমি সবকিছু থেকে হালাল হয়ে গেছি এবং ইহ্‌রাম অবস্থায় যা কিছু করা হারাম থাকে, তার সবগুলোই করে ফেলেছি। তওয়াফের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাকে বলা হয়েছে যে, তোমার জন্য তওয়াফ করা ঠিক হবে না; বরং তুমি তোমার হজ্জ নষ্ট করে ফেলেছ। সেজন্য তোমাকে আগামী বছর আবার হজ্জ করতে হবে এবং সেই সাথে গরু বা উট কুরবানী করতে হবে। এক্ষণে প্রশ্ন হলো, একথা কি ঠিক? এর কি অন্য কোন সমাধান আছে? আমার হজ্জ কি নষ্ট হয়েছে? আমাকে কি পুনরায় হজ্জ করতে হবে? এ মুহূর্তে আমার করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন।


উত্তরঃ না জেনে ফৎওয়া দেওয়ার এটা একটা মুছীবত। এই অবস্থায় আপনাকে মক্কায় ফিরে যেতে হবে এবং কেবলমাত্র তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করতে হবে। মক্কা থেকে বের হওয়ার সময় আপনি ঋতুগ্রস্ত থাকায় আপনাকে আর বিদায়ী তওয়াফ করতে হবে না। কেননা ঋতুবতীর জন্য বিদায়ী তওয়াফ যরূরী নয়। এ মর্মে ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণিত হাদীছে এসেছে,

প্রশ্ন ৫২: একজন মহিলার যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখে প্রসূতি অবস্থা শুরু হলো এবং তওয়াফ ও সাঈ ব্যতীত হজ্জের যাবতীয় রুকন সে সম্পন্ন করল। তবে দশ দিন পরে সে লক্ষ্য করল যে, প্রাথমিকভাবে সে পবিত্র হয়ে গেছে। এখন কি সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে এবং গোসল করে হজ্জের অবশিষ্ট রুকন তওয়াফে ইফাযা [হজ্জের তওয়াফ] সম্পন্ন করবে?

প্রশ্ন ৫২: একজন মহিলার যিলহজ্জ মাসের ৮ তারিখে প্রসূতি অবস্থা শুরু হলো এবং তওয়াফ ও সাঈ ব্যতীত হজ্জের যাবতীয় রুকন সে সম্পন্ন করল। তবে দশ দিন পরে সে লক্ষ্য করল যে, প্রাথমিকভাবে সে পবিত্র হয়ে গেছে। এখন কি সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে এবং গোসল করে হজ্জের অবশিষ্ট রুকন তওয়াফে ইফাযা [হজ্জের তওয়াফ] সম্পন্ন করবে?


উত্তরঃ সে নিশ্চিতভাবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত গোসল করতঃ তওয়াফ করা তার জন্য জায়েয নয়। প্রশ্নে তার কথা “প্রাথমিকভাবে” থেকে বুঝা যায় যে, সে পরিপূর্ণভাবে পবিত্র হয়নি। তাই তাকে পূর্ণ পবিত্র হতেই হবে। এরপর যখন সে পূর্ণ পবিত্র হবে, তখন গোসল করে তওয়াফ ও সাঈ সম্পন্ন করবে। তওয়াফের আগে সাঈ করে ফেললেও কোন সমস্যা নেই। কেননা

প্রশ্ন ৫৩: একজন মহিলা ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় “আস-সায়ল” [নাজদ ও ত্বায়েফবাসীদের মীক্বাত ক্বারনুল মানাযিল] থেকে ইহরাম বাঁধল। মক্কায় পৌঁছার পর সে তার কোন প্রয়োজনে জেদ্দায় গেল এবং জেদ্দাতে সে পবিত্র হলো। এরপর গোসল করে চুল আঁচড়িয়ে তার হজ্জ সম্পন্ন করল। এক্ষণে তার এই হজ্জ কি শুদ্ধ হবে? তার উপর কি কোন কিছু ওয়াজিব হবে?

প্রশ্ন ৫৩: একজন মহিলা ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় “আস-সায়ল” [নাজদ ও ত্বায়েফবাসীদের মীক্বাত ক্বারনুল মানাযিল] থেকে ইহরাম বাঁধল। মক্কায় পৌঁছার পর সে তার কোন প্রয়োজনে জেদ্দায় গেল এবং জেদ্দাতে সে পবিত্র হলো। এরপর গোসল করে চুল আঁচড়িয়ে তার হজ্জ সম্পন্ন করল। এক্ষণে তার এই হজ্জ কি শুদ্ধ হবে? তার উপর কি কোন কিছু ওয়াজিব হবে?


উত্তরঃ তার হজ্জ শুদ্ধ হয়েছে এবং

প্রশ্ন ৫৪: প্রশ্নকারিণী বলছেন, আমি ওমরায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ঋতুগ্রস্ত থাকার কারণে মীক্বাত অতিক্রম করা সত্ত্বেও ইহরাম বাঁধিনি এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করেছি। এরপর পবিত্র হয়ে মক্কা থেকেই ইহ্‌রাম বেঁধেছি। এক্ষণে আমার এই কাজ কি জায়েয হয়েছে? আমার উপর কি ওয়াজিব হবে?

প্রশ্ন ৫৪: প্রশ্নকারিণী বলছেন, আমি ওমরায় গিয়েছিলাম। কিন্তু ঋতুগ্রস্ত থাকার কারণে মীক্বাত অতিক্রম করা সত্ত্বেও ইহরাম বাঁধিনি এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করেছি। এরপর পবিত্র হয়ে মক্কা থেকেই ইহ্‌রাম বেঁধেছি। এক্ষণে আমার এই কাজ কি জায়েয হয়েছে? আমার উপর কি ওয়াজিব হবে?


উত্তরঃ এই কাজ জায়েয হয়নি। যে মহিলা ওমরা করতে চায়, ঋতুগ্রস্ত থাকা সত্ত্বেও বিনা ইহরামে মীক্বাত অতিক্রম করা তার জন্য জায়েয নয়। সেজন্য সে ঋতুগ্রস্ত অবস্থায় ইহরাম বাঁধবে এবং তার ইহরাম সম্পন্ন ও শুদ্ধ হবে। এর পক্ষে দলীল হচ্ছে- আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস (রাযিয়াল্লাহু আনহা) সন্তান প্রসব করলেন। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন বিদায় হজ্জের উদ্দেশ্যে যুল হুলায়ফাতে অবতরণ করেছেন। এমতাবস্থায় তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট খবর পাঠালেন যে,

প্রশ্ন ৫৫: প্রশ্নকারী বলেন, আমি সস্ত্রীক ওমরার জন্য ইয়াম্বু [সঊদী আরবের একটি প্রসিদ্ধ শহর] থেকে আগমন করি। কিন্তু জেদ্দায় পৌঁছার পর আমার স্ত্রী ঋতুগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে আমার স্ত্রী ছাড়া আমি একাকী ওমরা সম্পন্ন করি। এখন আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রে হুকুম কি হবে?

প্রশ্ন ৫৫: প্রশ্নকারী বলেন, আমি সস্ত্রীক ওমরার জন্য ইয়াম্বু [সঊদী আরবের একটি প্রসিদ্ধ শহর] থেকে আগমন করি। কিন্তু জেদ্দায় পৌঁছার পর আমার স্ত্রী ঋতুগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে আমার স্ত্রী ছাড়া আমি একাকী ওমরা সম্পন্ন করি। এখন আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রে হুকুম কি হবে?


উত্তরঃ আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে হুকুম হচ্ছে, সে পবিত্র হওয়া পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করবে। অতঃপর ওমরা সম্পন্ন করবে। কেননা যখন ছফিয়্যা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) ঋতুগ্রস্ত হলেন, তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “সে কি আমাদেরকে আটকে দিল”? ছাহাবীগণ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) বললেন, তিনি তওয়াফে ইফাযা সম্পন্ন করে ফেলেছেন। তখন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “তাহলে এখন সে চলে যাক।”[1] এই হাদীছে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উক্তি,

প্রশ্ন ৫৬: “‌‌সাঈ করার স্থান” কি হারামের [কাবার] অন্তর্ভুক্ত? ঋতুবতী কি সেখানে যেতে পারে? হারামের সাঈ করার স্থানে যে যাবে, তার উপর কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ [মসজিদে প্রবেশের দুই রাকআত নামায] পড়া ওয়াজিব হবে?

প্রশ্ন ৫৬: “‌‌সাঈ করার স্থান” কি হারামের [কাবার] অন্তর্ভুক্ত? ঋতুবতী কি সেখানে যেতে পারে? হারামের সাঈ করার স্থানে যে যাবে, তার উপর কি তাহিয়্যাতুল মাসজিদ [মসজিদে প্রবেশের দুই রাকআত নামায] পড়া ওয়াজিব হবে?


উত্তরঃ “সাঈর স্থান” মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর এ কারণেই কর্তৃপক্ষ এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী দেওয়াল দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দেওয়ালটা বেশ নীচু। “সাঈর স্থান” মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত না হওয়া নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য কল্যাণকর। কেননা যদি এ স্থানকে মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করা হত, তাহলে কোন মহিলা তওয়াফ ও সাঈর মাঝামাঝি সময়ে ঋতুবতী হলে সাঈ করা তার জন্য নিষিদ্ধ হত। সেজন্য আমাদের ফাতাওয়া হলো, কোন মহিলা তওয়াফের পরে এবং

প্রশ্ন ৫৭: প্রশ্নকারিণী বলেন, আমি হজ্জ করেছি। তবে তখন আমার মাসিক ঋতুস্রাব এসেছিল। কিন্তু লজ্জায় আমি কাউকে কিছু না বলে হারামে প্রবেশ করেছিলাম। অতঃপর নামায পড়েছিলাম এবং তওয়াফ ও সাঈ করেছিলাম। এখন আমার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, প্রসূতি অবস্থার পরে আমার সেই ঋতুস্রাব এসেছিল।

প্রশ্ন ৫৭: প্রশ্নকারিণী বলেন, আমি হজ্জ করেছি। তবে তখন আমার মাসিক ঋতুস্রাব এসেছিল। কিন্তু লজ্জায় আমি কাউকে কিছু না বলে হারামে প্রবেশ করেছিলাম। অতঃপর নামায পড়েছিলাম এবং তওয়াফ ও সাঈ করেছিলাম। এখন আমার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, প্রসূতি অবস্থার পরে আমার সেই ঋতুস্রাব এসেছিল।


উত্তরঃ ঋতুগ্রস্ত বা প্রসূতি অবস্থায় পতিত হলে কোন মহিলার জন্য মক্কায় হোক বা তার দেশে হোক অথবা অন্য কোথাও হোক নামায আদায় করা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মহিলা সম্পর্কে বলেছেন, “মহিলার বিষয়টা কি এমন নয় যে, যখন সে ঋতুগ্রস্ত হয়, তখন নামায-রোযা আদায় করে না?”[1] তাছাড়া মুসলিমগণ একমত হয়েছেন যে,

প্রশ্ন ৫৮: আরাফার দিনে [যিলহজ্জের ৯তারিখে] কেউ ঋতুগ্রস্ত হয়ে গেলে সে কি করবে?

প্রশ্ন ৫৮: আরাফার দিনে [যিলহজ্জের ৯তারিখে] কেউ ঋতুগ্রস্ত হয়ে গেলে সে কি করবে?


উত্তরঃ আরাফার দিনে কোন মহিলা ঋতুগ্রস্ত হয়ে গেলে সে হজ্জের কাজ অব্যাহত রাখবে এবং অন্যান্যরা যা করছে, সেও তাই করবে। তবে

প্রশ্ন ৫৯: জামরায়ে আক্বাবাতে পাথর নিক্ষেপের পর এবং তওয়াফে ইফাযার আগে যদি কোন মহিলা ঋতুগ্রস্ত হয়, তাহলে তার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, সে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং তার স্বামী সফরসঙ্গীদের সাথে রয়েছে। আর সফর করলে তার পক্ষে আবার ফিরে আসা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ৫৯: জামরায়ে আক্বাবাতে পাথর নিক্ষেপের পর এবং তওয়াফে ইফাযার আগে যদি কোন মহিলা ঋতুগ্রস্ত হয়, তাহলে তার করণীয় কি? উল্লেখ্য যে, সে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং তার স্বামী সফরসঙ্গীদের সাথে রয়েছে। আর সফর করলে তার পক্ষে আবার ফিরে আসা সম্ভব নয়।


উত্তরঃ যদি তার পুনরায় ফিরে আসা সম্ভব না হয়, তাহলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে পট্টি বেঁধে জরূরী অবস্থার কারণে সে তওয়াফ করে নিবে এবং

প্রশ্ন ৬০: যদি প্রসূতি মহিলা চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়, তাহলে তার হজ্জ কি শুদ্ধ হবে? আর যদি পবিত্র না হয়, তাহলে সে কি করবে? জানা আবশ্যক যে, সে ইতিমধ্যে হজ্জের নিয়্যত করে ফেলেছে?

প্রশ্ন ৬০: যদি প্রসূতি মহিলা চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়, তাহলে তার হজ্জ কি শুদ্ধ হবে? আর যদি পবিত্র না হয়, তাহলে সে কি করবে? জানা আবশ্যক যে, সে ইতিমধ্যে হজ্জের নিয়্যত করে ফেলেছে?


উত্তরঃ যদি প্রসূতি মহিলা চল্লিশ দিনের আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে গোসল করে নামায পড়বে এবং পবিত্র মহিলারা যা করে, সেও তাই করবে। এমনকি তওয়াফও করবে। কেননা প্রসূতি অবস্থার সর্বনিম্ন কোন সময় নেই।
অবশ্য পবিত্র না হলেও তার হজ্জ শুদ্ধ হবে। তবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তওয়াফ করবে না। কেননা

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (০১) শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (রহঃ) এর বক্তব্য

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ (রহঃ) এর বক্তব্য


তিনি বলেন, ‘কারো অধিকার নেই যে, সে উম্মতের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত অন্য কাউকে খাঁড়া করে তার পথে মানুষকে আহ্বান করবে এবং সেই পথকে কোনো মুসলিমের সাথে আন্তরিক সুসম্পর্ক গড়া বা না গড়ার মানদণ্ড হিসাবে গ্রহণ করবে। অনুরূপভাবে তার জন্য এটাও বৈধ নয় যে, সে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য এবং

প্রশ্ন: মুসলিমদেরকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া এবং তাদের ঐক্য বিনষ্ট করা সত্ত্বেও কি প্রত্যেকটি মুসলিমের কোনো না কোনো ইসলামী দলে থাকা এবং সেই দলের ‘আমীরে জামা‘আত’ থাকা যরূরী?

প্রশ্ন: মুসলিমদেরকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দেওয়া এবং তাদের ঐক্য বিনষ্ট করা সত্ত্বেও কি প্রত্যেকটি মুসলিমের কোনো না কোনো ইসলামী দলে থাকা এবং সেই দলের ‘আমীরে জামা‘আত’ থাকা যরূরী?


উত্তর: প্রত্যেক মুসলিমের কথা, কাজে ও বিশ্বাসে পবিত্র কুরআন এবং সুন্নাহ্‌র বক্তব্যকে অনুসরণ করে চলা উচিৎ। অনুরূপভাবে তার কর্তব্য হচ্ছে, শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসা বা তাকে ঘৃণা করা এবং

প্রশ্ন: বর্তমান বিদ্যমান বিভিন্ন দল ও জামা‘আত, যেমন: ‘ইখওয়ানী’, ‘তাবলীগী’, ‘আনছারুস-সুন্নাহ’, ‘জাম্‌ইয়্যাহ শার্‌ইয়্যাহ’, ‘সালাফী’, ‘তাকফীর ওয়াল হিজরা’, যেগুলি বর্তমানে মিশরে রয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দলের ক্ষেত্রে একজন মুসলিমের কি ধরনের ভূমিকা হতে পারে? এসব দলের ক্ষেত্রে কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুরাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটি প্রযোজ্য হবে? ‘গাছের শিকড় কামড়ে ধরে হলেও মৃত্যু অবধি তুমি উক্ত দলগুলির সবই পরিত্যাগ করে চলবে’। (ছহীহ মুসলিম)

প্রশ্ন: বর্তমান বিদ্যমান বিভিন্ন দল ও জামা‘আত, যেমন: ‘ইখওয়ানী’, ‘তাবলীগী’, ‘আনছারুস-সুন্নাহ’, ‘জাম্‌ইয়্যাহ শার্‌ইয়্যাহ’, ‘সালাফী’, ‘তাকফীর ওয়াল হিজরা’, যেগুলি বর্তমানে মিশরে রয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দলের ক্ষেত্রে একজন মুসলিমের কি ধরনের ভূমিকা হতে পারে? এসব দলের ক্ষেত্রে কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুরাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটি প্রযোজ্য হবে? ‘গাছের শিকড় কামড়ে ধরে হলেও মৃত্যু অবধি তুমি উক্ত দলগুলির সবই পরিত্যাগ করে চলবে’। (ছহীহ মুসলিম)


উত্তর: প্রশ্নে উল্লেখিত দলগুলির প্রত্যেকটিতে কিছু হকও আছে, কিছু বাতিলও আছে, অনুরূপভাবে আছে কিছু ভুল-ভ্রান্তি, আবার আছে কিছু সঠিক দিক। ঐসব দলগুলির কোনো কোনটি অন্যগুলির তুলনায় হকের অধিকতর নিকটবর্তী এবং অধিকতর কল্যাণময়। সেজন্য আপনার উচিৎ, প্রত্যেকটি দলকে তাদের সাথে বিদ্যমান হকের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা; আর বাতিল ও ভুল-ভ্রান্তির ক্ষেত্রে তাদেরকে নছীহত করা। যেসব বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়,

প্রশ্ন: বিভিন্ন ইসলামী দলের উত্থান হয়েছে এবং হচ্ছে, দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যাদের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং তারা সবাই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আসনটি অলংকৃত করতে চায়- এক্ষণে উক্ত ইসলামী দলসমূহের উত্থানের ব্যাখ্যা আমরা কিভাবে করতে পারি? তারা কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর নিম্নোক্ত হাদীছের আওতায় পড়বে? ‘আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি ব্যতীত তাদের সবাই জাহান্নামে যাবে’। কিভাবে আমরা বিভিন্ন দল যেমন: ইখওয়ানী, খালাফী, সালাফী, তাকফীর ওয়া হিজরা, তাবলীগী, ছূফী ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় সাধন করব?

প্রশ্ন: বিভিন্ন ইসলামী দলের উত্থান হয়েছে এবং হচ্ছে, দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যাদের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং তারা সবাই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের আসনটি অলংকৃত করতে চায়- এক্ষণে উক্ত ইসলামী দলসমূহের উত্থানের ব্যাখ্যা আমরা কিভাবে করতে পারি? তারা কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর নিম্নোক্ত হাদীছের আওতায় পড়বে? ‘আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি ব্যতীত তাদের সবাই জাহান্নামে যাবে’। কিভাবে আমরা বিভিন্ন দল যেমন: ইখওয়ানী, খালাফী, সালাফী, তাকফীর ওয়া হিজরা, তাবলীগী, ছূফী ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় সাধন করব?


আল্লাহ্‌র দ্বীন একটিই এবং সেদিকে আহ্বানের পদ্ধতিও একটিই। সুতরাং যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর পদ্ধতির উপর চলবে, সে-ই সঠিক কাজটি করবে। আল্লাহই একক

প্রশ্ন: মুক্বীম অবস্থায় ‘ইমারত’ বা কাউকে আমীর বানানো জায়েয আছে কি? অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, তিনজন সফর অবস্থায় থাকলে তাদের একজন তাদের ‘আমীর’ হবে; উক্ত হাদীছের আলোকে মুক্বীম অবস্থায় কোনো দেশে কোনো দলের ‘আমীর’ হওয়া জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন: মুক্বীম অবস্থায় ‘ইমারত’ বা কাউকে আমীর বানানো জায়েয আছে কি? অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, তিনজন সফর অবস্থায় থাকলে তাদের একজন তাদের ‘আমীর’ হবে; উক্ত হাদীছের আলোকে মুক্বীম অবস্থায় কোনো দেশে কোনো দলের ‘আমীর’ হওয়া জায়েয হবে কি?


আবূ সাঈদ ও আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তিনজন যখন সফরে বের হবে, তখন তাদের একজনকে তাদের আমীর বানাবে’ (আবূ দাঊদ, সনদ ‘হাসান’)। উক্ত হাদীছ দ্বারা সফর অবস্থায় আমীর বানানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সুতরাং

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৎকাজে এবং পরহেযগারিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। তাহলে ‘সংঘবদ্ধ দা‘ওয়াতী কাজ’-এর সঠিক ব্যাখ্যা কি হবে? কেননা কেউ কেউ মনে করেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই নেতৃত্ব এবং আনুগত্য থাকতে হবে আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার আমীরের অবাধ্য হল, সে স্বয়ং আমার অবাধ্য হল’।

প্রশ্ন: মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৎকাজে এবং পরহেযগারিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। তাহলে ‘সংঘবদ্ধ দা‘ওয়াতী কাজ’-এর সঠিক ব্যাখ্যা কি হবে? কেননা কেউ কেউ মনে করেন, এক্ষেত্রে অবশ্যই নেতৃত্ব এবং আনুগত্য থাকতে হবে আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার আমীরের অবাধ্য হল, সে স্বয়ং আমার অবাধ্য হল’।


উত্তর: উল্লেখিত হাদীছটি ‘ছহীহ’। এর অর্থ হচ্ছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর খলীফা কর্তৃক নিযুক্ত আমীরের অনুসরণ করা ওয়াজিব। প্রশ্নকারী হাদীছটিকে যে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করতে চেয়েছেন, তা সঠিক নয়; বরং হাদীছটি গোটা মুসলিম উম্মাহ্‌র একক খলীফার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা যেন মুসলিম উম্মাহ্‌র একক খলীফা তৈরীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই, যিনি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে আমাদেরকে পরিচালিত করবেন। যাহোক,

প্রশ্ন: আন্দোলনধর্মী সংঘবদ্ধ দা‘ওয়াতী কার্যক্রম যদি সালাফে ছালেহীনের মূলনীতি এবং সুবিন্যস্ত পরিকল্পনার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?

প্রশ্ন: আন্দোলনধর্মী সংঘবদ্ধ দা‘ওয়াতী কার্যক্রম যদি সালাফে ছালেহীনের মূলনীতি এবং সুবিন্যস্ত পরিকল্পনার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?


উত্তর: বর্তমান প্রচলিত সংগঠন এবং প্রচলিত সুবিন্যস্ত দা‘ওয়াতী কার্যক্রমে আমরা বিশ্বাস করি না। কেননা সংগঠন মুসলিমদেরকে তাদের দ্বীনী দায়িত্ব পালনে অক্ষম করে ফেলে। উল্লেখ্য যে, التنظيم ‘আত-তানযীম’ শব্দটি দু’টি অর্থে ব্যবহৃত হয়; প্রথমত: এটি ব্যাপক অর্থে গোপন কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে। দ্বিতীয়ত: সংক্ষিপ্ত পরিসরে এটি তাফসীর, হাদীছ, ফিক্বহ, আরবী ব্যকরণ ইত্যাদি বিভিন্ন ইসলামী বিষয়ে মুসলিমদেরকে পাঠদানের সুবিন্যস্ত বন্দোবস্তকে বুঝায়। তবে এই ধরনের প্রশ্নে সাধারণতঃ দ্বিতীয় অর্থটি উদ্দেশ্য নয়; বরং

প্রশ্ন: হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটির ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেনঃ ‘তাঁরা রাসূলকে কল্যাণ বিষয়ে প্রশ্ন করতেন, কিন্তু আমি কিসে অকল্যাণ আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতাম...’। উক্ত হাদীছ থেকে বর্তমানের ইসলামী জামা‘আতসমূহ সম্বন্ধে কি ইঙ্গিত পাওয়া যায়? বর্তমান সালাফী আন্দোলনের সংগঠন সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?

প্রশ্ন: হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীছটির ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেনঃ ‘তাঁরা রাসূলকে কল্যাণ বিষয়ে প্রশ্ন করতেন, কিন্তু আমি কিসে অকল্যাণ আছে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতাম...’। উক্ত হাদীছ থেকে বর্তমানের ইসলামী জামা‘আতসমূহ সম্বন্ধে কি ইঙ্গিত পাওয়া যায়? বর্তমান সালাফী আন্দোলনের সংগঠন সম্পর্কে আপনার অভিমত কি?


উত্তর: যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর রাসূলের প্রতি। হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুরাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর হাদীছটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে। আর তা হচ্ছে, মুসলিমদের দলে দলে বিভক্ত হওয়া আদৌ বৈধ নয়; বরং তাদেরকে একটিমাত্র ইমারতের অধীনে এবং সেই ইমারতের খলীফার তত্ত্বাবধায়নে একক জামা‘আত হয়ে থাকতে হবে। কিন্তু যদি কখনও এমন হয় যে, মুসলিমরা দলমত নির্বিশেষে একক খলীফার বায়‘আত করে একক জামা‘আত হয়ে থাকতে পারছে না,

প্রশ্ন: বিভিন্ন দলে দলভুক্ত যুবকদের ব্যাপারে আপনার নছীহত কি?

প্রশ্ন: বিভিন্ন দলে দলভুক্ত যুবকদের ব্যাপারে আপনার নছীহত কি?


উত্তর: এসব যুবকের হকের পথ তালাশ করা এবং তদ্‌নুযায়ী চলা উচিৎ। যেসব বিষয়ে তাদের সমস্যা হবে, সেসব বিষয়ে উলামায়ে কেরামকে জিজ্ঞেস করে সমাধান জেনে নিবে। অনুরূপভাবে মুসলিমদের উপকার সাধিত হবে এমন বিষয়ে শর‘ঈ দলীলের ভেতরে থেকে অন্যান্য দলের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা উচিৎ। পারস্পরির সহযোগিতা হতে হবে সুন্দর কথা ও উত্তম পদ্ধতিতে; কঠোরতা ও ঠাট্টা-বিদ্রুপের মাধ্যমে নয়। যুবকদেরকে আমি আরো বলব, সালাফে ছালেহীন তথা ছাহাবায়ে কেরাম ও তাঁদের অনুসারীগণ যেন তাদের আদর্শ হন এবং হক যেন হয় তাদের দলীল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর ছাহাবায়ে কেরাম যে আক্বীদার উপর চলেছেন, তা যেন হয় তাদের ব্রতী।([1])

প্রশ্ন: যুবকদের ইসলামের উপর প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য মুসলিম দেশসমূহে যেসব ইসলামী দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোকে কি ইতিবাচক গণ্য করা যাবে?

প্রশ্ন: যুবকদের ইসলামের উপর প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্য মুসলিম দেশসমূহে যেসব ইসলামী দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোকে কি ইতিবাচক গণ্য করা যাবে?


উত্তর: ইসলামী দলগুলিতে মুসলিমদের জন্য কল্যাণ আছে। তবে প্রত্যেকটি দলকে দলীলসহ হক প্রকাশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে এবং পরস্পরে বিরোধপূর্ণ আচরণ পরিহার করতে হবে; বরং সবাইকে পারস্পরিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে এবং একে অপরকে ভালবাসতে হবে। অনুরূপভাবে একে অপরকে নছীহত করবে এবং

প্রশ্ন: বিভ্রান্ত দলগুলির ক্ষেত্রে দা‘ঈদের ভূমিকা বিষয়ে আপনার নছীহত কি? যেসব যুবক দ্বীনী দল হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন দলে যোগদানের মন্ত্রে প্রভাবিত, তাদের ব্যাপারে আপনার বিশেষ নছীহত কামনা করছি।

প্রশ্ন: বিভ্রান্ত দলগুলির ক্ষেত্রে দা‘ঈদের ভূমিকা বিষয়ে আপনার নছীহত কি? যেসব যুবক দ্বীনী দল হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন দলে যোগদানের মন্ত্রে প্রভাবিত, তাদের ব্যাপারে আপনার বিশেষ নছীহত কামনা করছি।


উত্তর: আমরা আমাদের সকল ভাইকে প্রজ্ঞা, সদুপদেশ এবং সদ্ভাবে তর্কের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র পথে দা‘ওয়াতী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নছীহত করছি। দা‘ওয়াতী এই সার্বজনীন পদ্ধতি বিদ‘আতী ও বিভ্রান্ত দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি কোনো বিদ‘আত দেখলে অবশ্যই সে সাধ্যানুযায়ী শরঈ পদ্ধতিতে তার বিরোধিতা করবে। আর দ্বীনের ভেতরে মানুষ যেসব নতুন নতুন বিষয়ের সৃষ্টি করে দ্বীনের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, সেগুলোই বিদ‘আত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।

প্রশ্ন: মুতাওয়াক্কিল বলেন, বর্তমান মুসলিম দেশসমূহে বিভিন্ন জামা‘আত ও সংগঠনের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে মতভেদ ও অমিলেরও কমতি নেই। এমনকি এক পক্ষ অপর পক্ষকে পথভ্রষ্ট ভাবতেও দ্বিধা করে না। এমতাবস্থায় উলামায়ে কেরামের ভূমিকা কি হতে পারে? হক তুলে ধরার জন্য এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা কি আপনি যথোপযুক্ত মনে করেন না? কারণ মুসলিম জাতির জন্য এসব মতভেদ ও বিভক্তির ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।


উত্তর: উলামায়ে কেরামের উচিৎ আসল বাস্তবতা তুলে ধরা, প্রত্যেকটি জামা‘আত ও সংগঠনের সাথে আলোচনা করা এবং সবাইকে আল্লাহ নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত সরল পথে চলার নছীহত করা। যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন করবে এবং

প্রশ্ন: সূদানের মুতাওয়াক্কিল ইবনে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের সূদানে একটি জামা‘আত আছে, যারা মানুষকে সালাফী দা‘ওয়াত দেয়। তবে তাদের একজন প্রধান আমীর ও অনেকগুলি সাধারণ আমীর রয়েছেন এবং তারা তাদের সদস্যদেরকে প্রধান আমীরের অনুসরণ করতে বাধ্য করে। এমনকি ইজতেহাদী বিষয়েও তাদেরকে তার অনুসরণে বাধ্য করা হয়। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন।

প্রশ্ন: সূদানের মুতাওয়াক্কিল ইবনে মোস্তফা নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের সূদানে একটি জামা‘আত আছে, যারা মানুষকে সালাফী দা‘ওয়াত দেয়। তবে তাদের একজন প্রধান আমীর ও অনেকগুলি সাধারণ আমীর রয়েছেন এবং তারা তাদের সদস্যদেরকে প্রধান আমীরের অনুসরণ করতে বাধ্য করে। এমনকি ইজতেহাদী বিষয়েও তাদেরকে তার অনুসরণে বাধ্য করা হয়। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন।


উত্তর: এমন সংগঠন বা দা‘ওয়াতী কাজের এমন পদ্ধতির কোনো শরঈ ভিত্তি আছে বলে আমার জানা নেই। প্রশ্নে ইমারত বা নেতৃত্বের যে কথাটি বলা হয়েছে, তা শুধুমাত্র মুসলিম সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; সৎকাজে যার অনুসরণ করতে হবে, অসৎকাজে নয়।  কোনো দল কর্তৃক কাউকে আমীর বানিয়ে তার অনুসরণ করা মারাত্মক ভুল। কাউকে সৎকাজে ছাড়া অনুসরণ করা যাবে না। কোনো বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে বিবাদীয় বিষয় কুরআন ও সুন্নাহ্‌র দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন: বর্তমান ইসলামী বিশ্বে আমরা লক্ষ্য করছি যে, বহু দল ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান করছে এবং প্রত্যেকেই বলছে, আমি সালাফে ছালেহীনের মূলনীতি অনুসরণ করে চলছি এবং আমার সাথেই রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহ। এক্ষণে, এসব দল সম্পর্কে আমাদের ভূমিকা কি হবে? এসব দলের আমীরগণের মধ্যে যে কোনো একজনের হাতে বায়‘আত করার বিধান কি?

প্রশ্ন: বর্তমান ইসলামী বিশ্বে আমরা লক্ষ্য করছি যে, বহু দল ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান করছে এবং প্রত্যেকেই বলছে, আমি সালাফে ছালেহীনের মূলনীতি অনুসরণ করে চলছি এবং আমার সাথেই রয়েছে কুরআন ও সুন্নাহ। এক্ষণে, এসব দল সম্পর্কে আমাদের ভূমিকা কি হবে? এসব দলের আমীরগণের মধ্যে যে কোনো একজনের হাতে বায়‘আত করার বিধান কি?


উত্তর: যেসব দল দাবী করছে যে, তারা হকের উপরে আছে, তাদের সম্পর্কে মন্তব্য করা খুবই সহজ। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করব, হক কাকে বলে? জবাব, পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ সমর্থিত বক্তব্যই হচ্ছে হক। যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে মুমিন, কুরআন ও সুন্নাহ্‌র দিকে প্রত্যাবর্তন করলে তার যাবতীয় দ্বন্দ্ব নিরসন হওয়া সম্ভব। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, কোনো কিছুই তার উপকারে আসবে না। মহান আল্লাহ বলেন,

প্রশ্ন: কেউ কেউ বলে, কোনো দল বা সংগঠনের অধীনে না থাকলে দা‘ওয়াতী কার্যক্রম শক্তিশালী হয় না। এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?

প্রশ্ন: কেউ কেউ বলে, কোনো দল বা সংগঠনের অধীনে না থাকলে দা‘ওয়াতী কার্যক্রম শক্তিশালী হয় না। এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি?


উত্তর: এ ধারণা সঠিক নয়: বরং কুরআন ও হাদীছের অধীনে থেকে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর চার খলীফার নীতি অনুসরণ করে চললে দা‘ওয়াতী কার্যক্রম আরো বেশী বেগবান হবে।([1])
ফুটনোটঃ([1])

প্রশ্ন: কুরআন ও হাদীছের কোথাও কি দল সৃষ্টির প্রমাণ মিলে?

প্রশ্ন: কুরআন ও হাদীছের কোথাও কি দল সৃষ্টির প্রমাণ মিলে?


উত্তর: কুরআন ও হাদীছে দল তৈরীর প্রমাণ মিলা তো দূরের কথা; বরং এতদুভয়ে দলাদলির কঠোর নিন্দা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمۡ وَكَانُواْ شِيَعٗا لَّسۡتَ مِنۡهُمۡ فِي شَيۡءٍۚ إِنَّمَآ أَمۡرُهُمۡ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ١٥٩ ﴾ [الانعام: ١٥٩] 

‘নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের বিষয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি তাদেরকে তাদের আমলের হিসাব দিয়ে দিবেন’ (আল-আন‘আম ১৫৯)। তিনি অন্যত্র বলেন,

প্রশ্ন: ইসলামে জামা‘আতের গুরুত্ব কতটুকু? কোনো মুসলিমের নির্দিষ্ট কোনো জামা‘আতে যোগদান করা কি শর্ত?

প্রশ্ন: ইসলামে জামা‘আতের গুরুত্ব কতটুকু? কোনো মুসলিমের নির্দিষ্ট কোনো জামা‘আতে যোগদান করা কি শর্ত?


উত্তর: ইসলামে জামা‘আত হচ্ছে দ্বীনের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জামা‘আত সম্পর্কে বলেন, ‘আমার উম্মতের একটি দল কিয়ামত পর্যন্ত বিজয়ী থাকবে। তাদের বিরোধীরা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। এমনকি কিয়ামত এসে যাবে, তবুও তারা ঐরূপই থাকবে’। হাদীছটিতে উল্লেখিত এই জামা‘আতের সাথেই সবার থাকা উচিৎ।
তবে দলাদলির জামা‘আত, যে হক বা বাতিলের তোয়াক্কা না করে যে কোনো মূল্যে নিজের মতামতের বিজয় কামনা করে, সেই জামা‘আতে যোগদান করা জায়েয নয়। কেননা এই ধরনের দলে যোগ দেওয়া মুসলিম জামা‘আত থেকে বের হয়ে দলাদলিতে যোগ দেওয়ার শামিল। মহান আল্লাহ বলেন,

প্ রশ্ন: সূদানে অনেকগুলি দল আছে, যেগুলির কোনো কোনো দল একজন করে দলীয় ‘আমীর’ নির্ধারণ করে এবং তাঁর অনুসরণ অপরিহার্য গণ্য করে। এই ইমারতের হুকুম কি? উল্লেখ্য যে, তারা এই ইমারতকে সফর অবস্থার ইমারতের উপর কিয়াস করে।

প্রশ্ন: সূদানে অনেকগুলি দল আছে, যেগুলির কোনো কোনো দল একজন করে দলীয় ‘আমীর’ নির্ধারণ করে এবং তাঁর অনুসরণ অপরিহার্য গণ্য করে। এই ইমারতের হুকুম কি? উল্লেখ্য যে, তারা এই ইমারতকে সফর অবস্থার ইমারতের উপর কিয়াস করে।


উত্তর: সফরের ইমারতের দলীল পাওয়া যায়। কিন্তু মুক্বীম অবস্থায় নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক মানুষের আমীর নির্বাচনের প্রমাণে কোনো দলীল পাওয়া যায় না; বরং এই ইমারত মুসলিমদের দলাদলি ও বিভক্তি অবধারিত করে দেয়। মুসলিমদের উচিৎ, সবাই এক হয়ে যাওয়া। প্রত্যেক দলের ভিন্ন ভিন্ন আমীর নিম্নোক্ত আয়াতটির পরিপন্থী:   

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে-(০৬) সঊদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান'র বক্তব্য

সঊদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান'র বক্তব্য


মুহতারাম শায়খ বলেন, আল্লাহ্‌র রাস্তায় দা‘ওয়াত দেওয়া ওয়াজিব। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ ﴾ [النحل: ١٢٥] 

‘আপনি আপনার পালনকর্তার পথের দিকে দা‘ওয়াত দিন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে এবং উত্তমরূপে উপদেশ শুনিয়ে’ (আন-নাহ্‌ল ১২৫)। তবে মুসলিমদের পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং অন্যকে হক মনে না করে শুধুমাত্র নিজেকে হক মনে করা দা‘ওয়াতের কোনো পদ্ধতি ও মূলনীতি হতে পারে না। যদিও বর্তমানে বিভিন্ন দলের বাস্তব চিত্র তা-ই। যাহোক,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে - (০৭) সঊদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ বকর আবু যায়েদ'র বক্তব্য

সঊদী আরবের উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ বকর আবু যায়েদ'র বক্তব্য


তিনি বায়‘আত সম্পর্কে বলেন, ‘আহলুল হাল্ ওয়াল আক্বদ’([1]) কর্তৃক মনোনীত মুসলিম সরকারের বায়‘আত ছাড়া ইসলামে দ্বিতীয় কোনো বায়‘আত নেই। আজ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক দলে যেসব বায়‘আত দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর শর‘ঈ কোনো ভিত্তি নেই। কুরআন ও হাদীছে এগুলির ভিত্তি থাকা তো দূরের কথা, এমনকি কোনো ছাহাবী বা তাবে‘ঈর আমল থেকেও এর সপক্ষে  কোনো প্রমাণ মিলে না। সুতরাং এগুলির সবই বিদ‘আতী বায়‘আত আর প্রত্যেকটি বিদ‘আতই পথভ্রষ্ট।
যেসব বায়‘আতের শর‘ঈ কোনো ভিত্তি নেই, সেগুলো ভঙ্গ করলে কোনো দোষ নেই; বরং

প্রশ্ন: বর্তমান যুব সমাজে ব্যাপক আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে, তারা বলছে, কেউ কেউ বায়‘আতকে বৈধ মনে করে, আবার কেউ কেউ বৈধ মনে করে না। এক্ষণে প্রশ্ন হচ্চে, বায়‘আত কি? বায়‘আতের শর্ত কি? আমাদের কি কারো হাতে বায়‘আত গ্রহণ যরূরী?

প্রশ্ন: বর্তমান যুব সমাজে ব্যাপক আলোচনা হতে দেখা যাচ্ছে, তারা বলছে, কেউ কেউ বায়‘আতকে বৈধ মনে করে, আবার কেউ কেউ বৈধ মনে করে না। এক্ষণে প্রশ্ন হচ্চে, বায়‘আত কি? বায়‘আতের শর্ত কি? আমাদের কি কারো হাতে বায়‘আত গ্রহণ যরূরী?


উত্তর: কুরাইশ বংশের কোনো ব্যক্তিকে ‘আহলুল হাল্ ওয়াল আক্বদ’ নির্বাচন করলে অথবা তিনি নিজে খলীফা হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার হাতে বায়‘আত করা ওয়াজিব। কুরাইশ বংশের বাইরে যদি কেউ খলীফা হয়ে জনগণের কাছ থেকে বায়‘আত তলব করে, তাহলে তার হাতেও বায়‘আত করতে হবে।
তবে যেসব দল ও সংগঠন মুসলিমদেরকে বিভক্ত করেছে, তাদের ঐক্য ও শক্তি বিনষ্ট করেছে, তাদের বায়‘আত গ্রহণতো দূরের কথা, বরং তাদের এই দলাদলির বিরোধিতা করতে হবে। আমরা আগেই বলেছি, মুসলিমদেরকে দলে দলে বিভক্ত করে ফেলা বর্তমান সময়ের একটি নিকৃষ্ট বিদ‘আত। সেকারণে তাদের বায়‘আতও বিদ‘আত।
যদি কেউ প্রশ্ন করে, নিম্নোক্ত আয়াতে মহান আল্লাহ বায়‘আতের প্রশংসা করেছেন:

প্রশ্ন: দা‘ওয়াতের মহান উদ্দেশ্যে মুক্বীম অবস্থায় কাউকে ‘আমীর’ বানানোর ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

প্রশ্ন: দা‘ওয়াতের মহান উদ্দেশ্যে মুক্বীম অবস্থায় কাউকে ‘আমীর’ বানানোর ব্যাপারে আপনার মতামত কি?


উত্তর: মুক্বীম অবস্থায় মুসলিম খলীফা বা তাঁর নিযুক্ত আমীর ও গভর্ণর ছাড়া অন্য কাউকে আমীর বানানো প্রমাণিত নয়। কিন্তু বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিয়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে; ফলে

প্রশ্ন: দিনে দিনে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যারা কর্ম পদ্ধতি, দা‘ওয়াতী মূলনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরস্পরে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী। আর হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, হক জামা‘আত হবে একটিই। এক্ষণে প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দল ও সংগঠনের হুকুম কি?

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (০৮) (৮) ইয়েমেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ মুক্ববিল ইবনে হাদী আল-ওয়াদে‘ঈর বক্তব্য

প্রশ্ন: দিনে দিনে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যারা কর্ম পদ্ধতি, দা‘ওয়াতী মূলনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরস্পরে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী। আর হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, হক জামা‘আত হবে একটিই। এক্ষণে প্রশ্ন হচ্ছে, এসব দল ও সংগঠনের হুকুম কি?


উত্তর: এসব দল ও সংগঠনের ব্যাপারে শরীআতের হুকুম হচ্ছে, এগুলি হারাম এবং বিদ‘আত। সেজন্য এগুলি থেকে দূরে থেকে কিতাব ও সুন্নাহ্‌র দিকে দা‘ওয়াত দেওয়া একজন মুসলিমের কর্তব্য। তবে কেউ যেন কিছুতেই ধারণা না করে যে, আমরা কোনো মুসলিমকে ইসলামের জন্য একাকী কাজ করতে বলছি; বরং আমরা একজন মুসলিমকে আরব-অনারব, সাদা-কালো সকল মুসলিমের সাথে কাজ করতে বলছি। কারণ দলবদ্ধভাবে কাজ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ বলেন,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (০৯) সিরিয়ার প্রসিদ্ধ আলেম শায়খ আদনান ইবনে মুহাম্মাদ আল-আরউর'র বক্তব্য

সিরিয়ার প্রসিদ্ধ আলেম শায়খ আদনান ইবনে মুহাম্মাদ আল-আরউর'র বক্তব্য


বৈধ ঐক্যবদ্ধতা এবং নিষিদ্ধ দলাদলির মধ্যে পার্থক্য: যেহেতু পারস্পরিক সহযোগিতা শরী‘আতে বৈধ; বরং ওয়াজিব। আর পারস্পরিক এই সহযোগিতার জন্য কখনো কখনো দলবদ্ধ হওয়ার এবং দলবদ্ধ লোকগুলিকে পরিচালনার প্রয়োজন পড়ে, সেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেরে মধ্যে তালগোল পাকিয়ে গেছে। ফলে তারা বৈধ ঐক্যবদ্ধতা এবং নিষিদ্ধ দলাদলিকে একাকার করে ফেলেছে। তারা নিষিদ্ধ দলাদলির বৈধতা প্রমাণ করতে গিয়ে বৈধ ঐক্যবদ্ধতার পক্ষের দলীলগুলিকে পেশ করেছে। যেমন: মহান আল্লাহ বলেন,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে -(১০) আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আল-গুদাইয়ান'এর বক্তব্য

আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আল-গুদাইয়ান'এর বক্তব্য


এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইতিপূর্বে এ দেশে (সঊদী আরব) সংগঠন নামে কোনো কিছুই ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে যখন বিভিন্ন পেশার মানুষ আসা শুরু হলো, তখন তারা নিজ নিজ দেশে বিদ্যমান সংগঠনগুলি এখানে প্রতিষ্ঠা করল। জামা‘আতে ইসলামী, তাবলীগ জামা‘আতসহ অসংখ্য সংগঠন রয়েছে, যারা মানুষদের নিজ সংগঠনে যোগদানের আশা করে। অন্যদিকে, তারা লোকদের অন্য সংগঠনে যোগদানকে হারাম গণ্য করে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকেই নিজ সংগঠনকে হক মনে করে এবং অন্য সংগঠনকে বিভ্রান্ত বলে ধারণা করে। এক্ষণে প্রশ্ন হলো, হক কয়টি?

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে -(১১) আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আল-গুদাইয়ান'এর বক্তব্য

আল্লামা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আল-গুদাইয়ান'এর বক্তব্য


এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইতিপূর্বে এ দেশে (সঊদী আরব) সংগঠন নামে কোনো কিছুই ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন দেশ থেকে যখন বিভিন্ন পেশার মানুষ আসা শুরু হলো, তখন তারা নিজ নিজ দেশে বিদ্যমান সংগঠনগুলি এখানে প্রতিষ্ঠা করল। জামা‘আতে ইসলামী, তাবলীগ জামা‘আতসহ অসংখ্য সংগঠন রয়েছে, যারা মানুষদের নিজ সংগঠনে যোগদানের আশা করে। অন্যদিকে, তারা লোকদের অন্য সংগঠনে যোগদানকে হারাম গণ্য করে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকেই নিজ সংগঠনকে হক মনে করে এবং অন্য সংগঠনকে বিভ্রান্ত বলে ধারণা করে। এক্ষণে প্রশ্ন হলো, হক কয়টি?

Wednesday, November 29, 2017

প্রশ্ন: প্রচলিত বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের কোনো একটিতে যোগ দেওয়া কি একজন মুসলিমের উপর আবশ্যকীয়?

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১১) মুহাম্মাদ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ
 
 
 

প্রশ্ন: প্রচলিত বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের কোনো একটিতে যোগ দেওয়া কি একজন মুসলিমের উপর আবশ্যকীয়?


উত্তর: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতিটি কথা ও কাজের অনুসরণ করা আবশ্যকীয় নয়। বরং তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য সকলের কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়। ইমাম মালেক (রহঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ববরের দিকে ইশারা করে বলেন, ‘এ ক্ববরের অধিবাসী ব্যতীত পৃথিবীর সকল ব্যক্তির কথা গ্রহণীয় ও বর্জনীয়’। অর্থাৎ শুধুমাত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিটি কথাই গ্রহণীয়। আর নির্দিষ্ট কোনো দল বা সংগঠনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আমি বলব, মহান আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল উম্মতকে

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১২) আলী ইবনে হাসান ইবনে আব্দুল হামীদ আল-হালাবী আল-আছারী'র বক্তব্য

(১২) আলী ইবনে হাসান ইবনে আব্দুল হামীদ আল-হালাবী আল-আছারী'র বক্তব্য


শায়খ আলী আল-হালাবী বায়‘আত সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বায়‘আত সম্পর্কে অনেকগুলি সংশয় এবং সেগুলোর জবাব দিয়েছেন। নীচে আমাদের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত পঞ্চম সংশয়টির বঙ্গানুবাদ করা হলঃ
পঞ্চম সংশয়ঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিন জন সফরে বের হলে তারা তাদের একজনকে আমীর হিসাবে নিযুক্ত করবে’। উক্ত হাদীছে সফর অবস্থায় আমীর নিযুক্ত করার অপরিহার্যতা প্রমাণিত হয়েছে। সফর অবস্থায় যদি এই বিধান বলবৎ থাকে, তাহলে আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে মুক্বীম অবস্থায় আমীর নিযুক্ত করে শপথ ও বায়‘আত গ্রহণ ওয়াজিব হওয়া অধিকতর যুক্তিসঙ্গত নয় কি?

প্রশ্নঃ বর্তমান যুগে অনেক ইসলামী সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের ক্ষেত্রে মুসলিম যুবকদের ভুমিকা কি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?

 দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে - ১৩) শায়খ ছালেহ ইবনে মুহাম্মাদ আল-লুহায়দানীর বক্তব্য

প্রশ্নঃ বর্তমান যুগে অনেক ইসলামী সংগঠন রয়েছে। এসব সংগঠনের ক্ষেত্রে মুসলিম যুবকদের ভুমিকা কি হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?


উত্তরঃ ইসলামের প্রথম বালা-মুছীবতই ছিল মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি ও দলাদলি সৃষ্টির। কেননা সকল মুসলিম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরবর্তী দুই খলীফার যুগে এক জামা‘আতেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু উছমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর আমলে কিছু সংখ্যক লোক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় দূরীকরণের খোঁড়া অজুহাত দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নামে। আর এটিই ছিল ইসলামের প্রথম গোলযোগ, যার ফলে

প্রশ্নঃ কেউ কেউ মনে করেন, সংগঠন ছাড়া সালাফী দা‘ওয়াত প্রসার লাভ সম্ভব নয়। আবার কেউ কেউ এ মতের বিরোধিতা করেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন?

 দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৪) শায়খ রবী ইবনে হাদী আল-মাদখালীর বক্তব্য

প্রশ্নঃ কেউ কেউ মনে করেন, সংগঠন ছাড়া সালাফী দা‘ওয়াত প্রসার লাভ সম্ভব নয়। আবার কেউ কেউ এ মতের বিরোধিতা করেন। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানিয়ে বাধিত করবেন?


উত্তরঃ সালাফে ছালেহীনের অনুসরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে সার্বিক কল্যাণ। পক্ষান্তরে পরবর্তীদের সৃষ্ট বিদ‘আত অনুসরণের মধ্যে রয়েছে সার্বিক অকল্যাণ। সালাফে ছালেহীন দ্বীন প্রচার করেছেন এবং সৎকর্ম ও আল্লাহভীতিতে একে অন্যকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব জয় করেছেন। তারা নিজেদের জান-মাল উৎসর্গ করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জিহাদ করেছেন এবং বিজয় লাভ করেছেন; কোনো সংগঠনের মাধ্যমে নয়। পরবর্তীতে

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৫) শায়খ মুহাম্মাদ আমান ইবনে আলী আল-জামী'র বক্তব্য

শায়খ মুহাম্মাদ আমান ইবনে আলী আল-জামী'র বক্তব্য


বর্তমানে বিভিন্ন সংগঠন ও দলে যোগদান সম্পর্কে বেশী বেশী প্রশ্ন হতে দেখা যায়। অবশ্য আমাদের যুবসমাজ যখন এ সমস্ত সংগঠনগুলির পক্ষে বিপক্ষে অবস্থানের ক্ষেত্রে গোলকধাঁধায় পড়বে, তখন তাদের এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার অধিকার আছে। কারণ, এসব সংগঠন ও দলাদলি নবাবিষ্কৃত এবং বিদ‘আত। মূলতঃ বিভিন্ন জামা‘আত না থেকে একটিমাত্র জামা‘আত থাকবে। সেজন্য আমাদের সালাফে ছালেহীনের সময়ে এতোসব জামা‘আত ছিল না। বরং তাঁরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রেখে যাওয়া একমাত্র জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৬)শায়খ উছমান মুহাম্মাদ আল-খামীস'র বক্তব্য

শায়খ উছমান মুহাম্মাদ আল-খামীস'র বক্তব্য


শায়খ উছমান আল-খামীসকে প্রচলিত ইসলামী সংগঠনগুলির কোনো একটির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, প্রচলিত ইসলামী সংগঠনগুলির কোনো একটির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া অপরিহার্য নয়; বরং তোমার উপর কর্তব্য হলো, সালাফী আক্বীদা পোষণ করা এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকে সালাফে ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী আঁকড়ে ধরা। যদি তোমার কোনো মুসলিম ভাইকে এ পথ থেকে সরে যেতে দেখ, তাহলে

প্রশ্নঃ মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে অগণিত সংগঠন ও দলের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সেখানে আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা‘আতের আক্বীদা পোষণকারীদের মধ্যেও বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংগঠন ও তার আমীর বা সভাপতির প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামী করে থাকে। প্রশ্ন হলো, এসমস্ত সংগঠনে যোগদানের হুকুম কি? এবং এসব দলাদলি থেকে বাঁচার উপায় কি?

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৭) শায়খ ইবরাহীম ইবনে আমের আর-রুহায়লী বক্তব্য

প্রশ্নঃ মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে অগণিত সংগঠন ও দলের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সেখানে আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা‘আতের আক্বীদা পোষণকারীদের মধ্যেও বেশ কিছু সংগঠন রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ সংগঠন ও তার আমীর বা সভাপতির প্রতি অন্ধভক্তি ও গোঁড়ামী করে থাকে। প্রশ্ন হলো, এসমস্ত সংগঠনে যোগদানের হুকুম কি? এবং এসব দলাদলি থেকে বাঁচার উপায় কি?


উত্তরঃ কোনো সংগঠন, দল বা প্রতিষ্ঠানে যোগদান বা তার সাথে সংশ্লিষ্টতা ও সম্পৃক্ততা দুই প্রকারঃ
এক. সাধারণ সংশ্লিষ্টতা, যেমনঃ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যালয়, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোনো একটি দেশের সাথে সংশ্লিষ্টতা। এই প্রকার সংশ্লিষ্টতা স্বাভাবিক এবং বৈধ। কারণ এর উপর ভিত্তি করে ‘অলা ও বারা’ (মিত্রতা ও শত্রুতা) কিংবা গোঁড়ামী সৃষ্টি হয় না। বরং

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৮) প্রশ্নঃ দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে ইমারত গঠনের ব্যাপারে আপনার মতামত কি?

প্রশ্নঃ দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে ইমারত গঠনের ব্যাপারে আপনার মতামত কি?


উত্তরঃ দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে ইমারত গঠন দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি। বরং সঠিক পদ্ধতি হলো, সুপরিচিত বিজ্ঞ আলেমগণ তাঁদের ছাত্রদের নিয়ে দা‘ওয়াতী কাজ সম্পাদন করবেন। যেমনঃ ইবনে তাইমিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, আলবানী, ইবনে বায, রবী আল-মাদখালী, আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ, মুক্ববিল আল-ওয়াদে‘ঈ প্রমুখ আলেমগণ তাঁদের ছাত্রদেরকে যথারীতি দ্বীনী শিক্ষা দিয়েছেন এবং কেউ কেউ এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। আর তাঁদের ছাত্রগণ সারা দুনিয়ায় দা‘ওয়াত ছড়িয়ে দিয়েছেন। মূলতঃ

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (১৯) আল্লামা সা‘দ ইবনে আব্দুর রহমান আল-হুছাইন'র বক্তব্য

আল্লামা সা‘দ ইবনে আব্দুর রহমান আল-হুছাইন'র বক্তব্য


কোনো জামা‘আত, দল বা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা অথবা মহান আল্লাহ আমাদেরকে যে নামে বিশেষিত করেছেন, সেটি বাদ দিয়ে ভিন্ন কোনো নামে নিজেদেরকে বিশেষিত করে ‘জামা‘আতুল মুসলিমীন’ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া অথবা কুরআন-হাদীছ ও ছাহাবায়ে কেরামের নীতির বাইরে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত বা আক্বীদা পোষণের মাধ্যমে নিজেদেরকে আলাদা করে ফেলা অথবা নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা বা দলীয় আমীর নিযুক্ত করে তার হাতে বায়‘আত করার অনুমতি যেমন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কোথাও নেই;

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে- (২০) শায়খ আবু উসামাহ সালীম ইবনে ‘ঈদ আল-হেলালী'র বক্তব্য

শায়খ আবু উসামাহ সালীম ইবনে ‘ঈদ আল-হেলালী'র বক্তব্য


তিনি বলেন, এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের  নামে গড়ে উঠা সংগঠনগুলি প্রত্যেকে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত আছে, অন্যদের দিকে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এমনকি কোনো কোনো সংগঠনের লোকেরা নিজেদের সংগঠনকে ‘জামা‘আতুল মুসলিমীন’ এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাকে ‘ইমামুল মুসলিমীন’ বলে দাবি করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে না। ফলে তার হাতে বায়‘আত করাকে সকল মুসলিমদের উপর অপরিহার্য বলে মনে করে। কেউ কেউ মুসলিমদের সর্ববৃহৎ অংশকে (السواد الأعظم) কাফের বলে ফৎওয়া প্রদান করে। আবার কেউ কেউ নিজেদের দলকে মূল দল বলে আখ্যায়িত করে অন্যদেরকে এর পতাকা তলে সমবেত হওয়া অপরিহার্য বলে মনে করে।...
 মূলতঃ

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে - (২১) আবু মুহাম্মাদ আমীনুল্লাহ পেশোয়ারী'র বক্তব্য

আবু মুহাম্মাদ আমীনুল্লাহ পেশোয়ারী'র বক্তব্য


মুহতারাম শায়খকে বিভিন্ন ইসলামী জামা‘আত, দল ও সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং সেগুলোতে যোগদান প্রসঙ্গে বারংবার প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্তারিত যে জবাব প্রদান করেন, তার কিছু অংশ নীচে তুলে ধরা হলঃ
তিনি হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত ফেতনা সম্পর্কিত হাদীছটি উল্লেখ করার পর বলেন, ‘অতএব, একজন মুসলিমের উচিৎ, তার প্রভূর ইবাদত করা এবং সাধ্যানুযায়ী এই ইবাদতের দিকে মানুষকে দা‘ওয়াত দেওয়া। কোনো সংগঠন বা দলে যোগ দেওয়া এবং কোনো দলের রুকন হওয়া তার জন্য সমীচীন নয়। তাকে যে মহান উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেদিকে মনোনিবেশ করা উচিৎ। আজ অনেক মানুষকে বলতে শুনি, এখন আমরা কি করতে পারি? আমি বলব,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে-(২২) শায়খ আহমাদ ইবনে ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী

শায়খ আহমাদ ইবনে ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী'র বক্তব্য


মুক্বীম অবস্থায় আমীর মনোনয়ন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাদীছে যে আমীর নিযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে, তা সফরের সাথে নির্দিষ্ট। মুক্বীম অবস্থায় রাষ্ট্রের মুসলিম শাসকই সবার জন্য যথেষ্ট। অন্য কোনো আমীর নিযুক্ত করা বৈধ নয়। কারণ, সেক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব ও ফাসাদ সৃষ্টি হবে। অতএব, যে ব্যক্তি বলবে, মুসলিম শাসক ছাড়া মুক্বীম অবস্থায় অন্য কোনো আমীর নিযুক্ত করা শরী‘আত সম্মত, তাকে তার পক্ষে দলীল পেশ করতে হবে। আর একথা সত্য যে, সে কস্মিনকালেও তার পক্ষের দলীল পাবে না।([1])
অন্যত্র তিনি বলেন,

দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে-(২২) শায়খ আহমাদ ইবনে ইয়াহ্‌ইয়া আন-নাজমী বক্তব্য প্রশ্নঃ যে সব দা‘ঈ দা‘ওয়াতের পদ্ধতিতে ভুল করেন, কিছু কিছু ছাত্র তাদের সমালোচনা করেন। তাদের এ সমালোচনা কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?

প্রশ্নঃ যে সব দা‘ঈ দা‘ওয়াতের পদ্ধতিতে ভুল করেন, কিছু কিছু ছাত্র তাদের সমালোচনা করেন। তাদের এ সমালোচনা কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?


উত্তরঃ মহান আল্লাহ তাঁর নবীগণকে দা‘ওয়াতী ক্ষেত্রে যে পথ নির্দেশ দিয়েছেন, সকল দা‘ঈর উচিৎ, সে পথে পরিচালিত হওয়া। মহান আল্লাহ বলেন,

﴿ وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦ ﴾ [النحل: ٣٦] 

  ‘অবশ্যই আমরা প্রত্যেক উম্মতের নিকটেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই নির্দেশনা দিয়ে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগূত থেকে বেঁচে থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্য পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে’ (আন-নাহ্‌ল ৩৬)
মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবীকেও দা‘ওয়াতের পথ ও পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,

যাদুর আভিধানিক অর্থ, শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাঃ এবং অতএব যাদুর প্রকৃতি হলো

যাদুর আভিধানিক অর্থ


লাইছ বলেনঃ যাদু হল এমন কর্ম যার মাধ্যমে শয়তানের নিকটবর্তী হয়ে তার সাহায্য নেয়া হয়।
আজহারী বলেনঃ মূলতঃ যাদু হল বস্তুর বাস্তবতাকে অবাস্তবে পরিণত করা।
ইবনে ফারেস বলেনঃ অসত্যকে সত্য বলে দেখানোকেই যাদু বলা হয়।
 
 

শরীয়তের পরিভাষায় যাদুর সংজ্ঞাঃ

যাদুর আভিধানিক অর্থঃ শয়তানের নিকটতম হওয়ার জন্য যাদুকরদের কতিপয় উপায়

শয়তানের নিকটতম হওয়ার জন্য যাদুকরদের কতিপয় উপায়


যাদুকরদের মধ্যে কেউ কেউ কুরআন মজীদ পায়ের নিচে দলিত করে পায়খানায় নিয়ে যায়, কেউ ময়লা বা জঘন্য জিনিস দ্বারা কুরআনের আয়াত লিখে থাকে, কেউ আয়াতকে উভয় পায়ের নিচে লিখে, কেউ সূরা ফাতেহাকে উল্টাভাবে লিখে, কেউ নিজের বসার স্থানের নিচে রাখে, তাদের কেউ বিনা ওযুতে নামায আদায় করে, কেউ সর্বদা নাপাক থাকে, তাদের কেউ আল্লাহর নাম না নিয়ে শয়তানের উদ্দেশ্যে যবাই করে যবাইকৃত পশুটি

কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদুঃ প্রথমঃ কুরআন দ্বারা প্রমাণ

প্রথমঃ কুরআন দ্বারা প্রমাণ


জ্বিন ও শয়তানের অস্তিত্বের প্রমাণঃ জ্বিন ও যাদুর মাঝে গভীর সম্পর্ক রয়েছে; বরং জ্বিন ও শয়তানই হল মূলতঃ যাদুর প্রধান চালিকা শক্তি। কতিপয় লোক জ্বিনের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং যাদুও অস্বীকার করেছে। তাই আমি এখানে এসবের অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ উপস্থাপন করবঃ
প্রথমঃ কুরআন দ্বারা প্রমাণ
১। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ

অর্থ “স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনছিল। (সূরা আহকাফঃ ২৯)
২। আল্লাহ তায়ালার বাণীঃ

কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদুঃ দ্বিতীয়তঃ হাদীস দ্বারা প্রমাণ

দ্বিতীয়তঃ হাদীস দ্বারা প্রমাণ


১। ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ এক রাতে আমরা রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হারিয়ে ফেললাম। এ ব্যাপারে আমরা উপত্যকায় এবং বিভিন্ন গোত্রে খোজতে লাগলাম; কিন্তু না পেয়ে আমরা ধারণা করলাম যে, হয়ত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে উধাও বা অপহরণ করা হয়েছে। এরপর সেই রাত খুব খারাপ রাত হিসেবে কাটালাম। যখন সকাল হল হঠাৎ দেখি হেরা গুহার দিক থেকে আসছেন। আমরা বললামঃ হে আল্লাহ রাসূল!

কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদুঃ কুরআন দ্বারা প্রমাণঃ ও হাদীস দ্বারা প্রমাণঃ

যাদুর অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ


কুরআন দ্বারা প্রমাণঃ

১। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ  وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ  وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ  لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ

অর্থঃ “এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারূত-মারত ফেরেশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিক্ষা দিতো, এবং তারা উভয়ে কাউকেও ওটা শিক্ষা দিতো না,

কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদুঃ একটি সংশয় ও তার নিরসন

একটি সংশয় ও তার নিরসন


মাযারী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ (বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত উল্লেখিত যাদুর) এই হাদীসটি বিদআতীরা এই বলে অস্বীকার করে থাকে যে, ঘটনাটি নবুয়ত ও রিসালাতের মর্যাদার অপলাপ ও পরিপন্থি। নবুয়তে সন্দেহ সৃষ্টিকারী। এ ধরণের ঘটনা সাব্যস্ত হওয়া শরীয়তের বিশ্বাস যোগ্যতার পরিপন্থী ইত্যাদি। মাযারী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ তারা যা বলে তা তাদের নিছক ভ্রান্তির বহিঃপ্রকাশ। কেননা রিসালাতের দলীল প্রমাণ হলো মু'জিযা। যা তার আল্লাহর পক্ষ হতে শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার ও তার নিষ্কলুষতার সত্যতার প্রমাণ বহন করে। আর দলীল প্রমাণবিহীন কোন কিছু দাবী বা সাব্যস্ত করা ভ্রান্ততা ছাড়া কিছু নয়। (যাদুল মুসলিমঃ ৪/২২১)
আবু জাকনী ইউসুফী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ

কুরআন ও হাদীসের আলোকে যাদুঃ তৃতীয়তঃ যাদুর অস্তিত্ব সম্পর্কে মনীষীদের উক্তি ও মতামতঃ

তৃতীয়তঃ যাদুর অস্তিত্ব সম্পর্কে মনীষীদের উক্তি ও মতামতঃ


১। খাত্তাবী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ প্রকৃতিবাদীদের একদল যাদুকে অস্বীকার করে ও তার বাস্তবতাকে খন্ডন করে।
এর উত্তরঃ নিশ্চয় যাদু প্রমাণিত ও তার বাস্তবতা রয়েছে। আরব অনারব তথা পারস, ভারত উপমহাদেশীয় দেশসমূহ, রোমানও এরূপ অধিকাংশ জাতিই একমত যে, যাদু প্রমাণিত। অথচ এরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিক দিয়ে সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম জাতির অন্তর্ভুক্ত।
আর আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ

ইমাম রাযী (রাহেমাহুল্লাহ) নিকট যাদুর প্রকারভেদ

ইমাম রাযী (রাহেমাহুল্লাহ) নিকট যাদুর প্রকারভেদ


ইমাম রাযী (রাহেমাহুল্লাহ) যাদুকে সাত ভাগে বিভক্ত করেছেন।

১। তারকা পূজারীদের যাদুঃ এরা সাতটি ঘূর্ণায়মান তারকার পূজা করত এবং তাদের বিশ্বাস ছিল যে, এই তারকাসমূহ বিশ্বকে পরিচালনাকারী এবং এগুলোর নির্দেশেই মানুষের মঙ্গল-অমঙ্গল হয়ে থাকে। আর এগুলোর কাছে আল্লাহ তায়ালা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে প্রেরণ করেছেন।
২। ধারণাপ্রবণ কঠিন হৃদয় ওয়ালাদের যাদুঃ কল্পনা ও ধারণা দ্বারা মানুষ খুবই প্রভাবিত; কেননা মানুষের স্থলে রশি অথবা বাশের উপর যত সহজে চলা সম্ভব তা গভীর সমুদ্রে অথবা বিপদজনক কিছুর উপরে বা ঝুলন্ত বাশের উপর চলা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেনঃ

ইমাম রাগেব (রাহেমাহুল্লাহ)-এর নিকট যাদুর প্রকার

ইমাম রাগেব (রাহেমাহুল্লাহ)-এর নিকট যাদুর প্রকার


ইমাম রাগেব (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যাদুর ব্যবহার বিভিন্ন অর্থে হয়ে থাকেঃ

১ । প্রত্যেক ঐ জিনিস যা অতি সূক্ষ ও গোপনীয় হয়ে থাকে। তাইতো বলা হয় سحرت الصبى অর্থাৎ আমি বাচ্চাটিকে প্রতারিত করেছি ও আকৃষ্ট করেছি। অতএব যেই কোন কিছুকে আকৃষ্ট করতে পারে সেই তাকে যেন
যাদু করল। এরই অন্তর্ভুক্ত হলো কবিদের কবিতা, অন্তর কেড়ে নেয়ার জন্য। অনুরূপ আল্লাহর বাণীঃ

যাদুর প্রকারভেদ কেন্দ্রিক একটি প্রতিপাদন

যাদুর প্রকারভেদ কেন্দ্রিক একটি প্রতিপাদন


ইমাম রাযী, রাগেব ও অন্যান্য মনীষীদের যাদুবিদ্যার প্রকারভেদ সম্পর্কে গবেষণা ও প্রতিপাদনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তারা যাদুর মধ্যে এমন কিছুও অন্তর্ভুক্ত করেছেন যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তার কারণ হলো তারা তা যাদুর শাব্দিক/আভিধানিক অর্থের ভিত্তিতে করেছেন। অর্থাৎ যার কারণ সূক্ষ ও গোপনীয়। এ থেকে তারা আশ্চর্যজনক সৃষ্টি বা কিছু হাতের মার-প্যাচে করা হয়ে থাকে বা মানুষের মাঝে একে অপরের গোপনে যা লাগিয়ে থাকে এ ধরণের অনেক কিছুকে যাদুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে যার কারণ সূক্ষ, অস্পষ্ট ও গোপনীয়।
উল্লেখিত বিষয়গুলি আমাদের আলোচ্য বিষয় নয়;

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ যাদুকর ও শয়তানের মধ্যে চুক্তি

যাদুকর ও শয়তানের মধ্যে চুক্তি


সাধারণত যাদুকর এবং শয়তান এই কথার উপর ঐক্যবদ্ধ হয় যে, যাদুকর কতক শিরকভুক্ত কাজ করবে অথবা প্রকাশ্য কুফুরি কাজ করবে। এর পরিবর্তে শয়তান যাদুকরের সেবায় নিয়োজিত হবে বা অন্য কাউকে তার অধীন করে দিবে যে তার সেবা করবে। আর চুক্তিটি হয়ে থাকে সাধারণত যাদুকর এবং জ্বিন শয়তানের গোত্র প্রধানের সাথে । সুতরাং থাকে। আর সেই জ্বিন অথবা শয়তান গোপনীয় তথ্য যাদুকরকে প্রদান করে, দুজনের মাঝে শক্রতা সৃষ্টি বা উভয়ের মাঝে মুহাব্বাত সৃষ্টি করিয়ে দিয়ে থাকে বা

যাদুকর কিভাবে জিন হাজির করে?

যাদুকর কিভাবে জিন হাজির করে?


জিন হাজির করার অনেক প্রকার রয়েছে। আর প্রত্যেক প্রকারেই স্পষ্ট শিরক বা কুফরী জড়িত রয়েছে। সেগুলির কতিপয় উল্লেখ করা হবে ইনশাআল্লাহ। নিম্নে আটটি পন্থা ও প্রত্যেক পন্থায় শিরকের কি ধরণ কিছু সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হবে। পরিপূর্ণ বর্ণনা দেয়া হবে না। যাতে কেউ তা শিখে ব্যবহার না করতে পারে। যার কারণে তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিলুপ্ত করে উল্লেখ করা হবে। আর এগুলি এজন্যেই বর্ণনা হলো,

যাদুকরের জিন হাজির করার পদ্ধতি - প্রথম পদ্ধতিঃ শপথ করা

যাদুকরের জিন হাজির করার পদ্ধতি - প্রথম পদ্ধতিঃ শপথ করা


যাদুকর একটি অন্ধকার ঘরে প্রবেশ করে আগুন জ্বালায় । আগুনে তার উদ্দেশ্য মত এক ধরণের ধূপ দেয়। সে যদি পরস্পর বিভেদ সৃষ্টি বা শক্ৰতা-হিংসা বা এমন কিছু ইচ্ছা পোষণ করে তবে আগুনে সে দূর্গন্ধযুক্ত ধূপ নিক্ষেপ করে। আর যদি পরস্পর মুহাব্বত সৃষ্টি বা স্ত্রীর প্রতি স্বামীকে আকৃষ্ট করা বা অন্য যাদু নষ্ট করার ইচ্ছা হয় তবে সে আগুনে সুগন্ধযুক্ত ধূপ মিশ্রণ করে। তারপর যাদুকর নির্ধারিত শিরকী মন্ত্র পড়তে থাকে। যাতে সে জ্বিনদের সরদারের দোহায় বা শপথ দেয়, তার

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ যবাই করা

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ যবাই করা


যাদুকর একটি পাখি বা জন্তু বা মুরগি বা কবুতর বা অন্য কিছু জিনের আবদার অনুযায়ী হাজির করে। সাধারণত যা কাল রঙের হয়ে থাকে। কেননা জিন কাল রং পছন্দ করে। তারপর আল্লাহর নাম না নিয়ে তা যবাই করে। অতঃপর কখনও সে রক্ত রুগীকে মাখায়। কখনও এরূপ না করে পরিত্যাক্ত গৃহে বা কূপে বা মরুভূমিতে নিক্ষেপ করে। যেগুলিতে সাধারণত জিন বসবাস করে থাকে। নিক্ষেপের সময় আল্লাহর নাম নেয় না। এরপর স্বীয় ঘরে ফিরে এসে শিরকী মন্ত্র পড়ে। তারপর জিনকে যা ইচ্ছা হুকুম করে ।
উক্ত পদ্ধতির বিশ্লেষণঃ এ পদ্ধতিতে দু’ভাবে শিরক হয়ে থাকে।
প্রথমতঃ জিনের উদ্দেশ্যে যবাই করা। যা পূর্ব ও পরবর্তী সকল ইমামের ঐক্যমতে হারাম;

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ তৃতীয় পদ্ধতিঃ নিকৃষ্টতম পদ্ধতি

তৃতীয় পদ্ধতিঃ নিকৃষ্টতম পদ্ধতি


এটি অতি নিকৃষ্টতম পদ্ধতি। এতে শয়তানের এক বড় দল অংশ নেয় ও যাদুকরের খেদমত করে এবং তার হুকুম বাস্তবায়ন করে। কেননা যাদুকর এতে সর্ববৃহৎ কুফরী ও কঠিনভাবে নাস্তিকের পরিচয় দেয়।
পদ্ধতির বিশ্লেষণঃ যাদুকর (আল্লাহর লা'নত হোক) জুতা পায়ে কুরআন মাজীদ পদদলিত করে তা নিয়ে পায়খানায় প্রবেশ করে। অতঃপর পায়খানায় কুফরী কালাম পড়ে একটি কক্ষে ফিরে আসে এবং জিনকে যা ইচ্ছা হুকুম করে। জিন দ্রুত তখন তার অনুসরণ করে ও

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ চতুর্থ পদ্ধতিঃ অপবিত্রতার পদ্ধতি ও পঞ্চম পদ্ধতিঃ উল্টাকরণ পদ্ধতি

চতুর্থ পদ্ধতিঃ অপবিত্রতার পদ্ধতি


এ পদ্ধতিতে মালাউন যাদুকর কুরআনের সূরা ঋতুস্রাবের (হায়েজের) রক্ত দ্বারা বা অন্য কোন অপবিত্র কিছু দ্বারা লিখে; তারপর শিরকী মন্ত্র পড়ে, যার ফলে জিন হাজির হয়। এরপর তার যা ইচ্ছা তাকে হুকুম করে।
এ পদ্ধতি যে স্পষ্ট কুফরী তাতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা কোন সূরা এবং কোন আয়াতকে উপহাস করা আল্লাহর সাথে কুফরী। আর যেখানে তা অপবিত্র জিনিস দ্বারা লিখা হয়, আল্লাহর নিকট আমরা এ অবমাননা হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ ষষ্ঠ পদ্ধতিঃ জ্যোতিষ পদ্ধতি

ষষ্ঠ পদ্ধতিঃ জ্যোতিষ পদ্ধতি


এ পদ্ধতিকে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিও বলা হয়। কেননা যাদুকর নির্ধারিত এক তারকা উদয়ের উপেক্ষায় থাকে। অতঃপর সে তাকে সম্বোধন করে যাদু মন্ত্র পড়তে থাকে। তারপর অন্যান্য শিরকী ও কুফরী কালাম পড়তে থাকে। যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তারপর সে এমনভাবে নড়া-চড়া করে যাতে সে ধারণা পোষণ করায় যে, সে উক্ত তারকার আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিতে তা করছে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে আল্লাহ ব্যতীত তারকার ইবাদত করছে। যদিও এ

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ সপ্তম পদ্ধতিঃ পাঞ্জা পদ্ধতি

সপ্তম পদ্ধতিঃ পাঞ্জা পদ্ধতি


এ পদ্ধতিতে যাদুকর ছোট এমন একটি বালককে হাজির করে যে, এখনও প্রাপ্ত বয়সে পৌছেনি। আর সে যেন বিনা ওযু হয় তারপর সে বালকের বাম পাঞ্জা ধরে তার হাতে এরূপ চতুর্ভূজ অংকন করে।



অতঃপর এই চতুর্ভূজের পার্শ্বে শিরকী যাদুমন্ত্র লিখে। আর এ যাদুমন্ত্র সে তার চার কর্ণারে লিখে থাকে। অতঃপর বালকের হাতের তালুতে চতুর্ভূজের মধ্যখানে কিছু তৈল, একটি নীল ফুল বা কিছু তৈল ও নীল কালি রাখে । এরপর আবার অন্য এক মন্ত্র লিখে একক অক্ষর দ্বারা এক লম্বা কাগজে, তারপর সে কাগজ বালকটির চেহারার উপর ছাতার আকৃতিতে রাখে। তার উপর পরিয়ে দেয় একটি টুপী যাতে তা ঠিক থাকে। তারপর

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ অষ্টম পদ্ধতিঃ চিহ্ন গ্রহণ পদ্ধতি

অষ্টম পদ্ধতিঃ চিহ্ন গ্রহণ পদ্ধতি


এ পদ্ধতিতে যাদুকর রুগীর নিকট হতে তার কোন চিহ্ন তলব করে। যেমনঃ রুমাল, পাগড়ী, জামা বা এমন কোন ব্যবহৃত জিনিস যাতে রুগীর গায়ের গন্ধ পাওয়া যায়। তারপর সে রুমালের এক পাশ্বে গিরা দেয়। এরপর চার আঙ্গুল পরিমাণ পর খুব শক্ত করে রুমালটি ধারণ করে সূরা কাউসার বা অন্য যে কোন ছোট একটি সূরা স্বজোরে পড়ে চুপি চুপি শিরকী মন্ত্র পড়ে। তারপর জিনকে ডাকতে থাকে ও বলতে থাকেঃ

যাদুকরের জ্বিন হাজির করার পদ্ধতিঃ যাদুকর চেনার উপায় ও আলামত

যাদুকর চেনার উপায় ও আলামত


কোন চিকিৎসক বা কবিরাজের মধ্যে এ সমস্ত লক্ষণ বা আলামতের কোন একটিও পাওয়া গেলে নিঃসন্দেহে বুঝা যাবে যে সে যাদুকর। আলামতগুলি নিম্নরূপঃ
১। রুগীর নাম ও মায়ের নাম জিজ্ঞেস করা।
২। রোগীর কোন চিহ্ন গ্রহণ করা। যেমনঃ কাপড়, টুপী, রুমাল ইত্যাদি।
৩। যবাই করার জন্য কোন নির্দিষ্ট জীব-জন্তু চাওয়া, এবং তা আল্লাহর নামে যবাই না করা। কখনও তার রক্ত ব্যথার স্থানে মাখান বা বিরান ঘর বা জায়গায় তা নিক্ষেপ করা।
৪। রহস্যময় মায়াজাল বা মন্ত্র লিখা।
৫ । অস্পষ্ট তন্ত্ৰ-মন্ত্র ও মায়াজাল পাঠ করা।

ইসলামে যাদুর হুকুমঃ ইসলামী শরীয়তে যাদুকরের হুকুম

ইসলামী শরীয়তে যাদুকরের হুকুম


১। ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, ব্যক্তি যাদু করে তার জন্য আল্লাহ তায়ালার এই বাণী প্রযোজ্যঃ

وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ

অর্থঃ “নিশ্চয় তারা জানে যে, যা তারা ক্রয় করেছে আখেরাতে এর
জন্য কোন অংশ নেই।" (সূরা বাকারাঃ ১০২) অতঃপর বলেনঃ আমার অভিমত হল, যাদুকরকে হত্যা করা, যদি সে যাদু কর্ম করে থাকে।
২। ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ

ইসলামে যাদুর হুকুমঃ আহলে কিতাব অমুসলিম যাদুকরের বিষয়ে শরীয়তের নির্দেশ

আহলে কিতাব অমুসলিম যাদুকরের বিষয়ে শরীয়তের নির্দেশ


ইমাম আবু হানীফা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেহেতু হাদীসে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণী উল্লেখ নেই সেজন্যে অমুসলিম যাদুকরকেও হত্যা করা হবে। এই জন্য যে, যাদু এক এমন অপরাধ যা মুসলিমকে হত্যা করে। অনুরূপ এক অপরাধও অমুসলিমকে হত্যা করা জরুরী করে দেয়। (আল-মুগনীঃ ১০/১১৫)
ইমাম মালেক (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, আহলে কিতাবের যাদুকরকে হত্যা করা যাবে না। তবে যদি তার যাদু দ্বারা কেউ হত্যা হয় তবে তাকে হত্যা করা হবে। আরও বলেনঃ

ইসলামে যাদুর হুকুমঃ যাদু দিয়ে যাদু দমন করা কি বৈধ?

যাদু দিয়ে যাদু দমন করা কি বৈধ?


১। কাতাদা বলেনঃ আমি সাঈদ বিন মুসাইয়্যাবকে জিজ্ঞাসা করলাম কোন ব্যক্তি অসুস্থ হলে অথবা পুরুষত্ব হীনতার জন্যে কি ঝাড়-ফুঁক করা যাবে? তিনি বললেন, তাতে কোন নিষেধ নেই। কেননা তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল মানুষের কল্যাণ। (ফতহুল বারীঃ ১০/২৩২)
২। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ মুসলিম পন্ডিতদের এ বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে। যাদু দ্বারা যাদুর দমন করে মানুষের চিকিৎসা করাকে সাঈদ বিন মুসাইয়িব বৈধতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইমাম মুযনীও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
ইমাম শা'বী বলেনঃ

ইসলামে যাদুর হুকুমঃ যাদু শিক্ষা করা কি বৈধ?

যাদু শিক্ষা করা কি বৈধ?


১। হাফেয ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন যে, আল্লাহর বাণীঃ

إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ

অর্থঃ “আমরা তোমাদের জন্যে পরীক্ষা স্বরূপ। সুতরাং তোমরা কুফুরি করো না।" (সূরা বাকারঃ ১০২) এই আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যাদু শিক্ষা করা কুফর। (ফতহুল বারীঃ ১০/২২৫)
২। ইবনে কুদামা (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ

ইসলামে যাদুর হুকুমঃ কেরামত, মু'জেযা ও যাদুর মধ্যে পার্থক্য

কেরামত, মু'জেযা ও যাদুর মধ্যে পার্থক্য


আল্লামা মাযরী বলেনঃ যাদু, মুজেযা এবং কেরামতের মধ্যে পার্থক্য হল, যাদুর মধ্যে যাদুকর কিছু মন্ত্র ও কর্মের বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বীয় স্বার্থ অর্জন করে থাকে। অন্যদিকে কেরামত হঠাৎ অলৌকিক ভাবে ঘটে থাকে। আর মুজেযা কেরামত থেকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের এজন্য যে, তা দ্বারা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা হয়।
হাফেজ ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) ইমামুল হারামাইনের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন যে, সকলের একমত যাদু কেবলমাত্র ফাসেকের (অতি পাপী) হাত দ্বারাই প্রকাশ পায়। অন্যদিকে কেরামতের প্রকাশ কোন ফাসেকের হাতে হয় না।
ইবনে হাজার (রাহেমাহুল্লাহ) আরও বলেন,

যাদুর প্রতিকারঃ যাদুকে দমন করার পদ্ধতি

যাদুকে দমন করার পদ্ধতি


এই অধ্যায়ে ইনশাআল্লাহ যাদুর দ্বারা আক্রান্ত রোগের প্রকারভেদ ও এর প্রতিকার কুরআন ও হাদীসের আলোকে কি পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করব। প্রকাশ থাকে যে, এ অধ্যায় ও অন্যান্য অধ্যায়ে চিকিৎসা বিষয়ে আরো অনেক এমন বিষয়ও পাওয়া যাবে যা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বিশেষ কোন চিকিৎসার ব্যাপারে সরাসরি সাব্যস্ত নয় তবে সেই মৌলিক সূত্রের অন্তর্ভুক্ত পাওয়া যাবে যা কুরআন ও হাদীসে সাব্যস্ত। যেমনঃ কোন এক চিকিৎসা একটি আয়াত বা বিভিন্ন সূরার বিভিন্ন আয়াতে থাকতে পারে। সুতরাং তা সবগুলিই নিম্নের আয়াতের নির্দেশনার আওতায় ।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

যাদুর প্রতিকারঃ ১ । স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদু

১ । স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদু


আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ ۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ ۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ ۚ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ ۚ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ۚ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ ۚ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ

অর্থঃ “তারা সেই সব বিষয়ের অনুগত হয়ে গেল যেই সব বিষয় শয়তান সুলায়মান (আলাইহিস সালাম)-এর শাসনামলে পাঠ করত। অথচ সুলায়মান (আলাইহিস সালাম) কখনও কুফুরি করেননি; বরং শয়তান কুফুরী করত এবং শয়তান লোকদের যাদু শিক্ষা দিত এবং

যাদুর প্রতিকারঃ দুই ব্যক্তির মাঝে বিচ্ছেদের জন্য যাদু যেভাবে করা হয়

দুই ব্যক্তির মাঝে বিচ্ছেদের জন্য যাদু যেভাবে করা হয়


যখন কোন ব্যক্তি যাদুকরের কাছে গিয়ে বলে যে, অমুক অমুক ব্যক্তির মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিন। তখন যাদুকর তাকে সেই ব্যক্তির নাম ও তার মায়ের নাম জানাতে বলে। এছাড়া সেই ব্যক্তির কাপড়, টুপি, চুল ইত্যাদি নিয়ে আসতে বলে। আর যদি এসবগুলো পাওয়া সম্ভব না হয়, তবে সেই ব্যক্তির রাস্তায় যাদু করা পানি ঢেলে দেয়া হয় যে রাস্তায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তি চলাফেরা করে। আর

যাদুর প্রতিকারঃ চিকিৎসা - প্রথম স্তরঃ চিকিৎসার পূর্বের স্তরঃ

চিকিৎসা - প্রথম স্তরঃ চিকিৎসার পূর্বের স্তরঃ


এর চিকিৎসা তিনটি স্তরে করতে হবেঃ
প্রথম স্তরঃ চিকিৎসার পূর্বের স্তরঃ
১। সেই ঘরে ঈমানী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যেমনঃ সর্বপ্রথম সেই ঘরকে সকল প্রকার ছবি থেকে পবিত্র করতে হবে যেন ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারে।
২। সেই ঘরকে সকল প্রকার গান-বাজনা থেকে পবিত্র করতে হবে।
৩। সেই ঘরের কেউ শরীয়তের বিধান অমান্য করবে না। যেমনঃ পুরুষ সোনা পরবে না আর মহিলা বেপর্দা থাকবে না এবং কোন ব্যক্তি ধুমপান করবে না।
৪। অসুস্থ ব্যক্তির সাথে তাবীজ-কবচ, কড়ি বা এধরণের কিছু থাকলে তা খুলে জ্বালিয়ে দিবে।
৫। পরিবারের সকলকেই বিশুদ্ধ আকীদায় বিশ্বাসী হিসেবে তৈরি করা। যেন

যাদুর প্রতিকারঃ চিকিৎসার দ্বিতীয় স্তরঃ দু'আ ও আয়াত - ১ ও ২


দু'আ ও আয়াত - ১


চিকিৎসক তার হাত রোগীর মাথায় রাখবে এবং তার কানের কাছে এই সব দু'আ ও আয়াত সতর্কতার সাথে এবং বিশুদ্ধ ও স্বজোরে পড়বে।

১।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

অর্থঃ “অভিশপ্ত শয়তান থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং এর অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকেও আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর কাছে। অতি দয়ালু ও করুণাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্যে যিনি সমস্ত বিশ্বের প্রতিপালক। যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও করুণাময়

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত - ৩ ও ৪

দু'আ ও আয়াত - ৩


৩।

وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ  وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُمْ بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنْفُسَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ

অর্থঃ “এবং সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা যা আবৃত্তি করতো, তারা তারই অনুসরণ করছে এবং সুলাইমান কুফুরী করেননি কিন্তু শয়তানরাই কুফুরী করেছিল। তারা লোকদেরকে যাদু বিদ্যা এবং যা বাবেল শহরে হারুত-মারুত ফেরেশতাদ্বয়ের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল তা শিক্ষা দিতো, এবং তারা উভয়ে কাউকেও ওটা শিক্ষা দিতো না, যে পর্যন্ত তারা না বলতো যে, আমরা স্বরূপ,

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত - ৫, ৬ ও ৭

দু'আ ও আয়াত - ৫


৫।

اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ  يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ


অর্থঃ “আল্লাহ তিনি ব্যতীত অন্য কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি চিরজীবন্ত ও সবার রক্ষণা-বেক্ষণকারী, তন্দ্রা ও নিদ্রা তাকে স্পর্শ করে না, নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সব তারই এমন কে আছে যে তার অনুমতি ব্যতীত তার নিকট সুপারিশ করতে পারে?

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত - ৮, ৯ ও ১০

দু'আ ও আয়াত - ৮


৮।

إِنَّ رَبَّكُمُ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ يَطْلُبُهُ حَثِيثًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ وَالنُّجُومَ مُسَخَّرَاتٍ بِأَمْرِهِ أَلَا لَهُ الْخَلْقُ وَالْأَمْرُ تَبَارَكَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ، ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ، وَلَا تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ بَعْدَ إِصْلَاحِهَا وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِنَ الْمُحْسِنِينَ

অর্থঃ “আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি শয়তানের অনিষ্ট থেকে।" নিশ্চয় তোমাদের প্রভু আল্লাহ যিনি আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন। ছয় দিনে অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি দিন-রাতের প্রত্যাবর্তন করেন। আর সূর্য চন্দ্র ও তারকারাজি তারই নির্দেশের অনুগত। খবরদার!

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত - ১১,১২ ও ১৩

দু'আ ও আয়াত - ১১


১১।

إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ

অর্থঃ “তারা কেবলমাত্র যাদুকরের ষড়যন্ত্র প্রস্তুত করেছে। আর যাদুকর সফলকাম হবে না তারা যাই করুক।” (সূরা ত্বাহাঃ ৬৯)

দু'আ ও আয়াত - ১২

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত -১৪ ও ১৫

দু'আ ও আয়াত - ১৪


১৪।

وَإِذْ صَرَفْنَا إِلَيْكَ نَفَرًا مِنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُونَ الْقُرْآنَ فَلَمَّا حَضَرُوهُ قَالُوا أَنْصِتُوا فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا إِلَىٰ قَوْمِهِمْ مُنْذِرِينَ، قَالُوا يَا قَوْمَنَا إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَىٰ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ يَهْدِي إِلَى الْحَقِّ وَإِلَىٰ طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ، يَا قَوْمَنَا أَجِيبُوا دَاعِيَ اللَّهِ وَآمِنُوا بِهِ يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُجِرْكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ، وَمَنْ لَا يُجِبْ دَاعِيَ اللَّهِ فَلَيْسَ بِمُعْجِزٍ فِي الْأَرْضِ وَلَيْسَ لَهُ مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءُ أُولَٰئِكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ

অর্থঃ “স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জ্বিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনতেছিল, যখন তারা তার (নবীর) নিকট উপস্থিত হলো, তারা একে অপরকে বলতে লাগলোঃ চুপ করে শ্রবণ কর। যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হলো তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারী রূপে— তারা বলেছিলঃ হে আমাদের সম্পপ্রদায়!

যাদুর প্রতিকারঃ দু'আ ও আয়াত -১৬ ও ১৭

 

দু'আ ও আয়াত - ১৬


১৬ ।

لَوْ أَنْزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُتَصَدِّعًا مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَتِلْكَ الْأَمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ، هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ، هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ، هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

অর্থঃ “যদি আমি এই কুরআন পর্বতের উপর অবতীর্ণ করতাম তবে তুমি দেখতে যে, ওটা আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত বর্ণনা করি মানুষের জন্য যাতে তারা চিন্তা করে তিনিই  আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্য কোন মা’বুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা; তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত সত্য কোন মা'বূদ নেই। তিনিই অধিপতি, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, তিনিই পবিত্র, মহান। তিনিই আল্লাহ সৃজনকর্তা, উদ্ভাবন কর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তারই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সমস্তই তার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" (সূরা হাশরঃ ২১-২৪)

দু'আ ও আয়াত - ১৭


১৭।

قُلْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّهُ اسْتَمَعَ نَفَرٌ مِنَ الْجِنِّ فَقَالُوا إِنَّا سَمِعْنَا قُرْآنًا عَجَبًا، يَهْدِي إِلَى الرُّشْدِ فَآمَنَّا بِهِ وَلَنْ نُشْرِكَ بِرَبِّنَا أَحَدًا، وَأَنَّهُ تَعَالَىٰ جَدُّ رَبِّنَا مَا اتَّخَذَ صَاحِبَةً وَلَا وَلَدًا، وَأَنَّهُ كَانَ يَقُولُ سَفِيهُنَا عَلَى اللَّهِ شَطَطًا، وَأَنَّا ظَنَنَّا أَنْ لَنْ تَقُولَ الْإِنْسُ وَالْجِنُّ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا،  وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا، وَأَنَّهُمْ ظَنُّوا كَمَا ظَنَنْتُمْ أَنْ لَنْ يَبْعَثَ اللَّهُ أَحَدًا، وَأَنَّا لَمَسْنَا السَّمَاءَ فَوَجَدْنَاهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا، وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ فَمَنْ يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَصَدًا

অর্থঃ বলঃ আমার প্রতি অহী প্রেরিত হয়েছে যে, জীনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছে এবং বলেছেঃ আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করেছি। যা সঠিক পথ-নির্দেশ করে; ফলে, আমরা এতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রতি পালকের কোন শরীক স্থাপন করবো না এবং

যাদুর প্রতিকারঃ ১৮। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।

১৮। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।


১৮। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস।

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، اللَّهُ الصَّمَدُ، لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

অর্থঃ “বলঃ তিনিই আল্লাহ একক (ও অদ্বিতীয়), আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, (সবাই তার মুখাপেক্ষী); তার কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন এবং তার সমতুল্য কেউই নেই।" (সূরা ইখলাস)

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ، وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ


অর্থঃ “বলঃ আমি আশ্রয় চাচ্ছি উষার স্রষ্টার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে,

যাদুর প্রতিকারঃ দ্বিতীয় অবস্থা

দ্বিতীয় অবস্থা


ঝাড়-ফুঁকের সময় রোগী যদি কষ্ট অনুভব করে অথবা কাপতে থাকে, ঝাকুনি আসে অথবা মাথায় খুব বেশি ব্যাথা অনুভব করে বেহুশ না হয়, তবে এ অবস্থায় তিনবার করে শরয়ী ঝাড়-ফুক করবে। যদি রোগী বেহুশ হয়ে যায় তবে পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করবে। আর যদি বেহুশ না হয় মাথা ব্যাথা ও কাপনি কমতে থাকে তবে কিছুদিন তাকে ঝাড়-ফুক করবে। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই সে আরোগ্য লাভ করবে। যদি সুস্থ না হয়, তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি গ্রহণ করবেঃ

যাদুর প্রতিকারঃ তৃতীয় অবস্থা

তৃতীয় অবস্থা


যদি ঝাড়-ফুক করার সময় কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত না হয়; তবে তাকে পুনরায় তার লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে হবে এরপর যদি অধিকাংশ লক্ষণই অবর্তমান হয়, তবে বুঝতে হবে সে যাদুগ্ৰস্ত বা অন্য কোন রোগী নয়। অবস্থা নিশ্চিত হবে, অতঃপর তিনবার করে ঝাড়-ফুক করবে এরপরও যদি লক্ষণ ফুটে না ওঠে আর বার বার ঝাড়-ফুক করা হয়; কিন্তু কিছুই অনুভব না করে, তবে এ অবস্থা খুবই কম। এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত পদ্ধতি গ্রহণ করবেঃ

যাদুর প্রতিকারঃ চিকিৎসার তৃতীয় স্তর হলো চিকিৎসা শেষের পরের স্তর

চিকিৎসার তৃতীয় স্তর হলো চিকিৎসা শেষের পরের স্তর


যদি আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রচেষ্টায় রোগীকে সুস্থ করে দেন আর রোগী প্রশান্তি লাভ করে তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করুন যিনি আপনাকে এই সুযোগ দান করেছেন। আর আল্লাহকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে যেন আল্লাহ আপনাকে অন্যের জন্যও আরো তাওফীক প্রদান করেন। আর আপনার চিকিৎসায় এ সফলতা যেন আপনার সীমালজঘনও অহংকারের কারণ না হয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

যাদু দ্বারা বিচ্ছেদ ঘটানোর শিক্ষামূলক কতিপয় বাস্তব উদাহরণঃ শাকওয়ান জিনের ঘটনা

শাকওয়ান জিনের ঘটনা


এক মহিলা তার স্বামীকে অত্যন্ত ঘৃণা করত। যার উপর যাদুর প্রভাব ও আলামত অনেক স্পষ্ট ছিল। এমনকি সে তার স্বামী এবং তার বাড়ির সংসারকে চরম ঘৃণা করত। আর তার স্বামীকে খুব ভয়ঙ্কর দৃষ্টিতে দেখত। পরিশেষে তার স্বামী তাকে এমন এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে গেল; যে কুরআনে কারীমের মাধ্যমে চিকিৎসা করে। সেখানে জিন কথা বলা শুরু করল ও বললঃ সে যাদুকরের মাধ্যমে এসেছে, তার দায়িত্ব হলো এ লোকটি ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটান। এরপর চিকিৎসক তাকে অনেক পিটাই করল; কিন্তু তারপরও কোন ফল হল না; এমন কি মহিলার স্বামী আমাকে বলল,

যাদু দ্বারা বিচ্ছেদ ঘটানোর শিক্ষামূলক কতিপয় বাস্তব উদাহরণঃ জ্বিনের যাদুর পুটলি বালিশের নিচে রাখা

জ্বিনের যাদুর পুটলি বালিশের নিচে রাখা


এক মহিলার স্বামী আমার কাছে এসে বললঃ যখন আমি এই মহিলাকে বিয়ে করলাম তখন থেকেই আমাদের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি হয়। এমনকি সে আমাকে খুবই ঘৃণা করতো। আমার একটি কথাও শুনতে প্রস্তুত নয় সে। তার একটিই চাওয়া-পাওয়া যে, সে যেন আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আশ্চর্য বিষয় হল যে আমি বাড়ির বাইরে থাকলে সে খুবই আনন্দে থাকে। আর যখনই আমি বাড়িতে প্রবেশ করি, আর সে আমার চেহারা দেখে তখনই সে রাগে ফেটে পড়ে। ফলে আমি কুরআনের আয়াত মহিলার সামনে তেলাওয়াত করি এরপর সে নিস্তব্ধ হতে লাগল এবং তার মাথা ব্যথা শুরু হল কিন্তু স্বাভাবিকভাবে সে বেহুশ হয়নি। অতঃপর

যাদু দ্বারা বিচ্ছেদ ঘটানোর শিক্ষামূলক কতিপয় বাস্তব উদাহরণঃ সর্বশেষ ঘটনা যা এই কিতাবটি লেখার পূর্বে আমার সাথে ঘটেছে

সর্বশেষ ঘটনা যা এই কিতাবটি লেখার পূর্বে আমার সাথে ঘটেছে


এক মহিলার স্বামী আমার কাছে এসে বলল যে তার স্ত্রী তাকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে এবং তার সাথে থাকতে চায় না অথচ সে তাকে খুব ভালোবাসে। আর বিষয়টি হঠাৎ এমন হয়েছে। আমি সেই মহিলাকে কুরআনের কিছু আয়াত শুনালাম যার ফলে সে বেহুশ হয়ে পড়ল। আর সাথে সাথে তার সাথে কথোপকথন শুরু হল । আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি মুসলমান?
জ্বিন উত্তর দিলঃ হ্যাঁ আমি মুসলমান।
আমি বললামঃ তাহলে তুমি এই মহিলাকে ধরেছ কেন?

যাদু দ্বারা বিচ্ছেদ ঘটানোর শিক্ষামূলক কতিপয় বাস্তব উদাহরণঃ আলেমের ভিতরে জিনের প্রবেশের ইচ্ছা

আলেমের ভিতরে জিনের প্রবেশের ইচ্ছা


আমার কাছে এক মহিলার স্বামী এসে বলতে লাগল যে, তার স্ত্রী তাকে একেবারেই দেখতে পারে না। আমি তার থেকে দূরে থাকলে খুব খুশি । যখন আমি বাড়ীতে আসি তার অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যায়। সুতরাং যখন আমি মহিলাকে কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম তাতে বুঝতে পারলাম যে, তাকে বিচ্ছেদের যাদু করা হয়েছে। অতঃপর যখন তার উপর শরয়ী ঝাড়ফুক করলাম তখন জ্বিন কথা বলতে শুরু করলঃ
জ্বিনের সাথে আমার কথোপকথনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এইঃ

যাদুর দ্বিতীয় প্রকারঃ আসক্ত করার যাদু এবং আসক্তকারী যাদু কিভাবে সংঘটিত হয়?


 আসক্ত করার যাদু


নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ অবৈধ ঝাড়-ফুঁক, তাবীজ-কবজ ও “তেওয়ালা” (আসক্ত করা যাদু) নিশ্চয়ই শিরকের অন্তর্ভুক্ত। (মুসনাদে আহমদঃ ১/৩৮১, আবু দাউদঃ ৩৮৮৩ ইত্যাদি আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেন।)
আল্লামা ইবনে আছীর (রাহেমাহুল্লাহ) বলেন, “তেওয়ালা" অর্থ হল এমন পস্থা অবলম্বন করা যার ফলে স্ত্রী স্বামীর নিকট যাদু বা অন্য কিছুর মাধ্যমে প্রিয় হয়ে যায়। যা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শিরক বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেননা তাদের বিশ্বাস হয় যে, এসব কিছু আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর ব্যতীতই এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে এমনটি হয়ে গেল। (আন-নিহায়াঃ ১/২০০)। আমি এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে চাই যে,

যাদুর দ্বিতীয় প্রকারঃ আসক্তকারী যাদুর বিপরীত প্রভাব এবং আসক্তকারী যাদুর বিপরীত প্রভাব

আসক্তকারী যাদুর বিপরীত প্রভাব


১ । কখনো যাদুর দ্বারা স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জানি, যে তিন বছর এই প্রকার যাদুর প্রভাবে অসুস্থ ছিল।
২। কখনো আবার ভালবাসার পরিবর্তে ঘৃণা সৃষ্টি হতে থাকে। আর এটা এজন্য যে, কিছু যাদুকর যাদুর মৌলিক বিষয়ে জ্ঞান রাখে না।
৩। কখনো স্ত্রী তার স্বামীর জন্য এমন যাদু করে বসে যে,

যাদুর দ্বিতীয় প্রকারঃ স্বামীকে আসক্ত করার হালাল যাদু

স্বামীকে আসক্ত করার হালাল যাদু


এটা এমন এক বিষয় যা আমি ফরজ মনে করি মুসলিম রমনীদের জানানো। কথা হল যে, প্রত্যেক নারীই তার স্বামীর ভালবাসা পাওয়ার জন্যে বৈধ যাদু বা পন্থা অবলম্বন করতে পারে।
যেমন স্ত্রী তার স্বামীর জন্যে নিজেকে সুসজ্জিত ও পরিপাটি করে রাখবে, স্বামীর সাথে মিষ্টি কথা বলবে, অনুরূপ ফুটন্ত মুচকি হাসি উত্তম ব্যবহার করবে। যাতে তার স্বামী এদিক সেদিক দৃষ্টি না দেয়; বরং নিজের স্ত্রীর দ্বারাই প্রভাবিত থাকে। এছাড়া স্বামীর সম্পদের হেফাযত করবে, তার সন্তানদের যত্ন নিবে। আল্লাহর অবাধ্যতায় ব্যতীত স্বামীকে মান্য করে চলবে; কিন্তু

যাদুর দ্বিতীয় প্রকারঃ আসক্তকারী যাদুর চিকিৎসা

আসক্তকারী যাদুর চিকিৎসা


১। রোগীর জন্যে সেই সব আয়াত পড়তে হবে যা পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে। তার মধ্যে সূরা বাকারার ১০২ না পড়ে বরং সূরা তাগাবুন-এর ১৪, ১৫ ও ১৬ নং আয়াত পড়বেঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ وَأَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَكُمْ فَاحْذَرُوهُمْ وَإِنْ تَعْفُوا وَتَصْفَحُوا وَتَغْفِرُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ، إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ  وَاللَّهُ عِنْدَهُ أَجْرٌ عَظِيمٌ، فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ وَاسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَأَنْفِقُوا خَيْرًا لِأَنْفُسِكُمْ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

অর্থঃ হে মুমিনগণ! নিশ্চয় তোমাদের স্ত্রী-সন্তানদের মধ্য থেকে কতক তোমাদের শক্র । অতএব এদের থেকে সাবধান থাক। আর যদি তাদের ক্ষমা করে দাও তবে নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও করুণাময়। নিশ্চয় তোমাদের সম্পদসমূহ ও সন্তানাদি পরীক্ষাস্বরূপ আর আল্লাহর কাছে অনেক নেকী রয়েছে। সুতরাং আল্লাহকে যথাসাধ্য ভয় কর এবং

যাদুর দ্বিতীয় প্রকারঃ আসক্তকারী যাদুর এক উদাহরণ

আসক্তকারী যাদুর এক উদাহরণ


এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে বলতে লাগল, প্রথম অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীর সাথে স্বাভাবিক জীবন -যাপন করতাম। এখন জানি না কি হয়ে গেল স্ত্রী থেকে দূরে থাকতে পারি না। কাজের সময়ও তারই ধ্যান চলে আসে। কাজ শেষ হলে দ্রুত স্ত্রীর কাছে পৌছার জন্যে তৎপর থাকি। যদি মেহমানদের মাঝে বসে থাকি তবুও বার বার তাদেরকে রেখে স্ত্রীর কাছে চলে যাই। সব সময় আমি তার পিছনেই থাকি। বুঝে আসছে না আমার কি হয়ে গেল। তাকে ছাড়া আমি আর টিকতে পারছি না। সেই যেন আমাকে

যাদুর তৃতীয় প্রকারঃ নজরবন্দী বা ভেল্কিবাজির যাদু্‌ এবং ভেল্কিবাজি যাদুর লক্ষণসমূহ

নজরবন্দী বা ভেল্কিবাজির যাদু


সূরা আরাফে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ

قَالُوا يَا مُوسَىٰ إِمَّا أَنْ تُلْقِيَ وَإِمَّا أَنْ نَكُونَ نَحْنُ الْمُلْقِينَ، قَالَ أَلْقُوا فَلَمَّا أَلْقَوْا سَحَرُوا أَعْيُنَ النَّاسِ وَاسْتَرْهَبُوهُمْ وَجَاءُوا بِسِحْرٍ عَظِيمٍ، وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ  فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ، فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ، فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوا صَاغِرِينَ، وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ، قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ، رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ

 যাদুকররা বলল, হে মূসা আপনি (প্রথম) নিক্ষেপ করবেন না হয় আমরা নিক্ষেপ করব। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, নিক্ষেপ কর। এরপর যখন তারা নিক্ষেপ করল তখন লোকদের দৃষ্টিকে যাদু করল এবং তাদেরকে ভীত করে তুলল। আর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে নির্দেশ দিলাম যে, আপনি আপনার লাঠিটি নিক্ষেপ করুন। অতঃপর

যাদুর তৃতীয় প্রকারঃ এই যাদু কিভাবে করা হয়? ভেল্কিবাজির যাদুকে নষ্ট করার পদ্ধতি

এই যাদু কিভাবে করা হয়?


যাদুকর সাধারণ বা সবার কাছে পরিচিত কোন বস্তু সামনে নিয়ে আসে। অতঃপর নিজে শিরকযুক্ত মন্ত্র পড়ে শয়তানের কাছে প্রার্থনা করে। অতঃপর শয়তানের সাহায্যে সেই বস্তুটি অন্য কোন রূপ দিয়ে দেখানো হয়। এমনি এক ঘটনা এক ব্যক্তি আমার কাছে বর্ণনা করেছে, এক যাদুকর লোকজনের সামনে ডিম রেখে খুব দ্রুত ঘুরায়। অন্য একটি ঘটনা বর্ণনা করল যে, যাদুকর দু'পাথরকে পরস্পর সংঘর্ষ করে দেখতে দেখা যায় দুই ছাগল লড়ে। এসবের উদ্দেশ্য হল মানুষকে অবাক করে তাদের থেকে অর্থ লুটিয়ে নেয়া।
কখনও

যাদুর তৃতীয় প্রকারঃ ভেল্কিবাজি যাদুর একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত ও তার প্রতিকার

ভেল্কিবাজি যাদুর একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত ও তার প্রতিকার


এক যাদুকরের কুরআনকে ঘুরানোঃ
মিশরের এক যাদুকর কুরআন ঘুরিয়ে তার তেলেসমাতি জাহের করত লোকজনের সামনে। কুরআনে এক সূতা বেঁধে সেটাকে চাবির সাথে বেঁধে দিত এরপর কুরআন উপরে উঠিয়ে লটকিয়ে রেখে কিছু মন্ত্র পড়ে কুরআনকে বলত ডানে ঘুর আর কুরআন ডানে ভন ভন করে ঘুরত, বামে ঘুরতে বললে বামে ঘুরত। এভাবে মানুষ ফিতনায় পড়ে যাওয়ার উপক্রম কেননা কুরআনের সাথে এ যাদু। আমি যাদুকরকে চ্যালেঞ্জ করে বললাম আমার সামনে যাদু দেখাতে পারবে না। লোকজন

চতুর্থ প্রকার যাদুঃ পাগল করা যাদু ,পাগল করা যাদুর লক্ষনসমূহ, পাগল করা যাদু কিভাবে করা হয়?

 পাগল করা যাদু


খারেজা বিনতে সালত তার চাচা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পর তিনি তার নিকট হতে ফিরে আসছিলেন। পথিমধ্যে তিনি এক গোত্রের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন এমন সময় তিনি দেখতে পান যে, এক পাগল জিঞ্জিরে আবদ্ধ রয়েছে। তার সাথের লোকজন বললঃ আমরা খবর পেয়েছি, আপনাদের সেই মহান সাথী নাকি এক মহান কল্যাণসহ আর্বিভূত হয়েছেন। সুতরাং আপনাদের নিকট এমন কিছু কি আছে যা দ্বারা এ পাগলকে চিকিৎসা করতে পারেন?

চতুর্থ প্রকার যাদুঃ পাগল করা যাদুর চিকিৎসা

পাগল করা যাদুর চিকিৎসা


১। ইতিপূর্বে উল্লেখিত আয়াতগুলি পড়তে হবে।
২ । যখন রোগী বেহুশ হয়ে যাবে, তখন তার সাথে সেই পদ্ধতিই গ্রহণ করতে হবে যেমন পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে।
৩। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় তবে উল্লেখিত পন্থায় তিন বার অথবা এরও অধিকবার ঝাড়-ফুক করতে হবে। এরপরও যদি বেহুশ না হয় তবে সেই সব সূরাকে কোন ক্যাসেটে রেকর্ড করে তাকে প্রতিদিন দুই অথবা তিনবার এক মাস পর্যন্ত শুনাতে হবেঃ ঝাড়-ফুকের আয়াতসমূহও সূরাগুলি হলোঃ
সূরা বাকারা, হুদ, হিজর, সাফফাত, ক্বাফ, আর-রহমান, মূলক, জ্বিন, আ'লা, যিলযাল, হুমাযা, কাফিরুন, ফালাক, ও সূরা নাস। দেখা যাবে এসব সূরা শুনার ফলে রোগীর অন্তরে ধড়ফড় শুরু করবে এমনকি

চতুর্থ প্রকার যাদুঃ দ্পাগল করা যাদুর কতিপয় উদাহরণ

 পাগল করা যাদুর কতিপয় উদাহরণ


প্রথম উদাহরণঃ
কিছু লোক এক ব্যক্তিকে জিঞ্জিরে বেঁধে আমার কাছে নিয়ে আসল সে আমাকে দেখামাত্র যারা তাকে বন্দি করে নিয়ে আসছিল তাদেরকে এমন জোরে লাথ মারল যে, তারা অনেক দূরে গিয়ে পড়ল। এরপর তাদের সবাই মিলে তাকে বশে এনে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আমি কুরআন পড়ে ঝাড়তে লাগলাম এরই মধ্যে সে আমার চেহারায় থুতু দিতে লাগল। এরপর আমি কতক ক্যাসেট ৪৫ দিন পর্যন্ত শুনতে দিলাম আর ৪৫ দিন পর আমার কাছে আসতে বললাম। আর যখন তারা পুনরায় রোগীকে নিয়ে আসল তখন চেতনা ও অনুভূতি রোগীর মধ্যে ছিল। আর

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ