Monday, February 5, 2018

হাদীসের মর্যাদা ও হাদীস অমান্য করার পরিণতি

হাদীসের মর্যাদা ও হাদীস অমান্য করার পরিণতি

হাদীস অস্বীকার প্রসঙ্গে দুটি কথা:
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, বর্তমান যুগে অগণিত ফিতনার মাঝে একটি বড় ফিতনা হল হাদীস অস্বীকার করা ফিতনা। এই হাদীস অস্বীকার কারীর দল তাদের নোংরা নখর বের করে সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্বত্বা এবং হাদীসে রাসূলের উপর কঠিন ভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। কারণ, হাদীস থেকে মুসলমানদের দূরে সরাতে পারলে মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরানো পানির মত সোজা। এ জন্য তারা ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও ওয়া মাহফিল, সভা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের এই জঘন্য অপ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে তারা হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে সন্দিহান করে তুলছে। হাদীসের অপব্যাখ্যা করে তার মানহানি করছে। হাদীসকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছে। তারা বলতে চায় শুধু কুরআন যথেষ্ট। হাদীস মানার প্রয়োজন নাই। হাদীস বা সুন্নাহ শব্দটি তারা শুনতে চায় না। যার কারণে এরা নিজেদেরকে নাম দিয়েছে আহলে কুরআন বা কুরআনের অনুসারী।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যৎ বাণী কত সত্য ভাবে প্রকাশিত হয়েছে!! তিনি বলেছেন:

হাদীস জাল করার সূত্রপাত কখন হলো?

হাদীস জাল করার সূত্রপাত কখন হলো?
ডঃ মুসতাফা হুসনী আস-সুবায়ী
হিজরী চল্লিশ সন হলো সুন্নাতের অনাবিল বিশুদ্ধতা এবং এর মধ্যে মিথ্যার অনুপ্রবেশ ও জাল হাদীস রচনার একটি চিহ্নিত সীমারেখা। এরপর সুন্নতে চললো সংযোজন; সুন্নতকে করা হলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার এবং অভ্যন্তরীন বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যম। অর্থাৎ হিজরী চল্লিশ সন পর্যন্ত সুন্নত ছিল পবিত্র। তারপর এ দুর্ঘটনাটি ঘটল তখন, যখন হযরত আলী ( রাঃ ) ও হযরত মুয়াবিয়া ( রাঃ ) এর মধ্যকার বিরোধ যুদ্ধের রূপ পরিগ্রহ করলো। রক্ত ক্ষয় হলো প্রচুর, অনেক লোক প্রাণ হারালো, মুসলমানরা হয়ে পড়লো বিভক্ত বিভিন্ন দলে। বেশিরভাগ লোকই ছিলো হযরত আলী ( রাঃ ) এর পক্ষে মুয়াবিয়া ( রাঃ ) এর বিপক্ষে। তারপর উদ্ভব

হাদীস কেন সহিহ ও জয়ীফ হয়? আমরা কোন হাদীসে উপর আমল করবো?

হাদীস কেন সহিহ ও জয়ীফ হয়? আমরা কোন হাদীসে উপর আমল করবো?

হাদীস কেন সহিহ ও যয়ীফ হয় ?? সহীহ হাদীসঃ মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যে হাদীসের মধ্যে ৫ টি শর্ত পূরণ হয়েছে তাকে সহীহ হাদীস বা বিশুদ্ধ হাদীস বলে। শর্ত ৫ টি হল- ১) হাদীসের সকল বর্ণনাকারী বা রাবী পরিপূর্ণ সৎ ও বিশ্বস্ত বলে প্রমানিত। একে ‘আদালত’ বলে। ২) সকল রাবীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ পূর্ণরূপে বিদ্যমান বলে প্রমানিত। একে ‘যাবতা’ বলে। ৩) সনদের প্রত্যকে রাবী তাঁর ঊর্ধ্বতন রাবী থেকে স্বকর্ণে হাদিসটি শুনেছেন বলে প্রমানিত। একে ‘ইত্তিসাল’ বলে। ৪) হাদীসটি অন্যান্য প্রমানিত হাদীসের বর্ণনার বিপরীত নয় বলে প্রমানিত। একে ‘শুযুয মুক্তি’ বলে। ৫) হাদিসটির মধ্যে সূক্ষ্ম কোন সনদগত বা অর্থগত ত্রুটি নেই বলে প্রমানিত। একে ‘ইল্লাত মুক্তি’ বলে। হাসান হাদীসঃ মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় যেসব হাদীসে সহীহ হাদীসের ৫ টি শর্ত বিদ্যমান, কিন্তু দ্বিতীয় শর্ত অর্থাৎ, ‘যাবতা’ বা হাদীস বর্ণনাকারীর ‘নির্ভুল বর্ণনা ক্ষমতা’ কিছুটা দুর্বল বলে বোঝা যায়,

★ হাদীসের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ>>> হাদীসের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

★ হাদীসের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ>>> হাদীসের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ <<<পরবর্তী পোষ্ট: সহীহহাদীস এর সংজ্ঞা এবং কেন সহীহ হাদীসের উপর আমাদের আমলকরতে হবে।প্রসংগ কথাবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।সকল প্রশংসা কেবল মহান আল্লাহ রাবুল আলামিনয়ের, অসংখ্যদরুদ বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক ও নেতা রাসুল পাক (স:) ও তারবংশ ধরদের প্রতি এবং হাজার ও সালাম সে সব বীর মুজাহিদদেরপ্রতি, যারা যুগে যুগে আল্লাহর জমিনে আল্লাহরদ্বীনকে বিজয়ী করতে নিজেদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন।আমার প্রাণ প্রিয় জ্ঞান পিপাসু মুমিন মুক্তাকী ভাইএবং বোনেরা আমি হাদীস শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা আল্লাহরমেহের বানীতে এই জন্য লেখার প্রয়োজন মনে করলাম আমাদেরঅনেক বাংলাদেশী ভাই এবং বোনেরা কুয়েতে এবং অন্যান্যা মুসলিমরাষ্ট্রে বসবাস করছে এবং এদের ভিতর যারা আলেমতারা মাশাআল্লাহ এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন। কিন্তু যারা আলেমনা কিন্তু কুরআন হাদীস পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে চান বিশেষকরে সেই দ্বীনি ভাইয়েরা এবং বোনেরা আশা করি অনেক উপকৃতহবেন।হাদীস কাকে বলে?হাদীস শব্দের আভিধানিক অর্থ কথা, বাণী, সংবাদ

সহীহ হাদীসের সংজ্ঞা, হাদীসে কুদসী এবংকোরআন ও হাদীসে কুদসী’র মধ্যে পার্থক্য ।

>>>> সহীহ হাদীসের সংজ্ঞা, হাদীসে কুদসী এবংকোরআন ও হাদীসে কুদসী’র মধ্যে পার্থক্য <<<<ইসলামী শরীয়তের দুটি মূল উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ্হাদীছ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন,আমি তোমাদের মাঝে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ততোমরা ঐ দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্তপথভ্রষ্ট হবে না। সে দুটি হল আল্লাহর কিতাব (আল-কুরআন)এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত (আল-হাদীছ)। (মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালেক, মিশকাত হা/১৮৬; আল-মুস্তাদরাক লিল হাকেম, সনদ হাসান)যেহেতু উপরোক্ত দুটি উৎসই ইসলামী জীবন-যাপনের মূল হাতিয়ারএবং এর উপরেই মুসলমানদের হেদায়াত নির্ভরশীল, সেহেতু যুগপরস্পরায় ইসলামের শত্রুরা এ দুটি মূল উৎসের মাঝেই ভেজালঢুকানোর চেষ্টা করেছে। কুরআন যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময়েই লিখিত আকারে সংরক্ষিত ছিল।কণ্ঠস্থ ছিল বহু ছাহাবীর। কাজেই তারা কুরআনে হাত দেওয়ারদুঃসাহস দেখাতে পারেনি। কিন্তু

সুন্নাত উপেক্ষার পরিণাম

সুন্নাত উপেক্ষার পরিণাম

আবূ নাফিয লিলবার আল-বারাদী
মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হ’লেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছেন। হাদীছ বা সুন্নাত হচ্ছে কুরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যা। কুরআন সঠিকভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করতে হ’লে হাদীছ বা সুন্নাহর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং মুমিন জীবনে সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। পক্ষান্তরে সুন্নাতকে উপেক্ষা করা, তাকে অবজ্ঞা-অবহেলা ভরে প্রত্যাখ্যান করা রাসূল (ছাঃ)-কে প্রত্যাখ্যান করার নামান্তর। এহেন গর্হিত কাজের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আলোচ্য নিবন্ধে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল।
সুন্নাহর পরিচিতি :

সুন্নতে নববীকে আঁকড়ে ধরা ও জীবনে এর প্রভাব

সুন্নতে নববীকে আঁকড়ে ধরা ও জীবনে এর প্রভাব
উপস্থাপকের কথা,
সব প্রশংসা মহান আল্লাহ তা‘আলার, দরূদ ও সালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। হে আল্লাহ আপনি তাঁর উপর রহমত ও শান্তি নাযিল করুন।
আজকের এ মহিমান্বিত রাতে আমরা সবাই সৌভাগ্যবান – আশা করি আপনারা সকলেও- যে, আমরা এক মহান আলেমের সাথে মিলিত হয়েছি। তিনি তার মূল্যবান সময় ও ত্যাগ ইলম এবং তালিবে ইলমের খেদমতে দিয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছে এর বিনিময়ে সাওয়াব ও প্রতিদান ছাড়া তিনি পার্থিব কোনো কিছু আশা করেন না। তিনি হলেন মহামান্য শাইখ মুহাম্মদ ইবন সালিহ আল-উসাইমীন,

সালাম-মুসাফাহা সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল

সালাম-মুসাফাহা সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল
এটিহাদীসনয়
যে ব্যাক্তি আগে সালাম দিবে সে ৯০ সওয়াব পাবে, আর যে উত্তর দিবে সে ৩০ সওয়াব (অথবা ১০) পাবে।- উপরোক্ত কথাটি প্রসিদ্ধ হলেও হাদীসের কিতাবে তা খুঁজে পাওয়া যায়না। হাদীসে এব্যাপারে যা বর্ণিত আছে তার সারকথা হল, সালামের প্রতিটি বাক্যের বিনিময়ে দশটি করে সওয়াব পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীস নীম্নে দেওয়া হলঃ

সালাম ও তার বিধি-বিধান

সালাম ও তার বিধি-বিধান


ভূমিকা
 

الحمد لله رب العالمين وأشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدًا عبده ورسوله  وعلى آله وأصحابه أجمعين،
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব্ব। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই তিনি একক তাঁর কোনো শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর তার পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবীর উপর।
হে পাঠক ভাইয়েরা! ‘আসসালামু আলাইকুম ওরাহ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ আল্লাহ তোমাদের দয়া করুক!
তোমরা অবশ্যই একটি কথা মনে রাখবে, মুসলিমদের মধ্যে সালামের প্রচার-প্রসার ইসলামের একটি মহান ঐতিহ্য ও বিশেষ সৌন্দর্য। আর সালাম পরস্পর সালাম বিনিময় করা একজন মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের অধিকার ও দায়িত্ব। এ ছাড়াও সালাম বিনিময় করা ঈমানের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়-মুসলিমদের মধ্যে পরস্পর মহব্বত ও ভালোবাসা- যা একজন মুসলিমকে জান্নাতে নিয়ে যায়, তা সৃষ্টির কারণ হয়। যেমন- আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু’ হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলেন,

সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

 
 
সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারবর্গ, তার সাথী ও তার সকল অনুসারীদের ওপর। অতঃপর,
“সহিহ হাদিসে কুদসি” গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত  হাদিসে কুদসির বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদিসে কুদসিগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদিসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদিস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলেমগণ সেগুলোকে “হাদিসে কুদসি” নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম “কুদ্দুস” এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদিসকে ‘কুদসি’ বলা হয়। (“কুদ্দুস” অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)
“হাদিসে কুদসি” ও কুরআনুল কারিমের মধ্যে পার্থক্য:

মেয়ে শিশুদের নাম “আ” অক্ষর দিয়ে

মেয়ে শিশুদের নাম “আ” অক্ষর দিয়ে


আরজু আকাঙক্ষা
আরমানী আশাবাদী
আছিয়া স্তম্ব
আজরা রায়হানা কুমারী সুগন্ধী ফুল
আজরা রাশীদা কুমারী বিদুষী
আজরা রুমালী কুমারী কবুতর
আজরা সাবিহা কুমারী রূপসী
আজরা সাদিয়া কুমারী সৌভাগ্যবতী
আজরা সাদিকা কুমারী পুন্যবতী

ছেলে শিশুর ইসলামিক নাম “আ” দিয়ে

ছেলে শিশুর ইসলামিক নাম “আ” দিয়ে
ছেলের নাম আ দিয়ে
নামের অর্থ
আবদুল্লাহ আল্লাহর দাস
আবদুল আলি মহানের গোলাম
আবদুল আলিম মহাজ্ঞানীর গোলাম
আবদুল আযীম মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম
আবদুল আযীয মহাশ্রেষ্ঠের গোলাম
আশা সুখী জীবন
আশিকুল ইসলাম ইসলামের বন্ধু
আবাদ অনন্ত কাল
আব্বাস সিংহ
আবদুল বারী সৃষ্টিকর্তার গোলাম
আয়মান আওসাফ নির্ভীক গুনাবলী
আইউব একজন নবীর নাম
আজম শ্রেষ্ঠতম

শিশুর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের যে সকল বিধান মনে রাখা প্রয়োজন

শিশুর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের যে সকল বিধান মনে রাখা প্রয়োজন

শিশুর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের যে সকল বিধান মনে রাখা প্রয়োজন
 (শিশুর কতিপয় নির্বাচিত নাম সহ)
ভূমিকা: শিশুর জন্মের পর তার জন্য একটি সুন্দর ইসলামী নাম রাখা প্রত্যেক মুসলিম পিতা-মাতার কর্তব্য। মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝেও ইসলামী সংস্কৃতি ও মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে শিশুর নাম নির্বাচন করার আগ্রহ দেখা যায়। এজন্য তাঁরা নবজাতকের নাম নির্বাচনে পরিচিত আলেম-ওলামাদের শরণাপন্ন হন। তবে সত্যি কথা বলতে কী এ বিষয়ে আমাদের পড়াশুনা অতি অপ্রতুল। তাই ইসলামী নাম রাখার আগ্রহ থাকার পরও অজ্ঞতাবশত আমরা এমনসব নাম নির্বাচন করে ফেলি যেগুলো আদৌ ইসলামী নামের আওতাভুক্ত নয়। শব্দটি আরবী অথবা কুরআনের শব্দ হলেই নামটি ইসলামী হবে তাতো নয়। কুরআনে তো পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাফেরদের নাম উল্লেখ আছে। ইবলিস, ফেরাউন, হামান, কারুন, আবু লাহাব ইত্যাদি নাম তো কুরআনে উল্লেখ আছে; তাই বলে কী এসব নামে নাম রাখা সমীচীন হবে!? তাই এ বিষয়ে সঠিক নীতিমালা আমাদের জানা প্রয়োজন।
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে-

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর উপর আমলের আবশ্যকতা আর তার অস্বীকারকারীর কাফের হওয়া

بسم الله الرحمن الرحيم

ভূমিকা

সমস্ত প্রশংসা সৃষ্টিকুলের মহান রব আল্লাহর জন্য। উত্তম পরিণতি কেবল মুত্তাকীদের জন্য। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার বান্দা ও রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর; যাকে সকল সৃষ্টির জন্য রহমত ও সমস্ত বান্দাদের জন্য দলীল হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। আরও নাযিল হোক তার পরিবার-পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর; যারা অত্যন্ত আমানতদারিতা ও দৃঢ়তার সাথে তাদের পবিত্র মহান প্রভুর কিতাব ও তাদের নবীর সুন্নাহ্‌কে বহন করেছে এবং শব্দ ও অর্থ পরিপূর্ণ সংরক্ষণ করে তাদের পরবর্তীদের নিকট পৌঁছিয়েছে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট ও তাদের খুশি করুন এবং আমাদেরকে তাদের সুন্দর অনুসারী হিসেবে কবুল করুন।
পূর্বের ও পরবর্তী যুগের সমস্ত আলেম এ বিষয়ে একমত যে,

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ -১

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ পার্ট এক


ভূমিকা
  إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তারই প্রশংসা করি, তার কাছে সাহায্য চাই, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের মন্দ পরিণতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়েত দেওয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি এহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু হল সময়।

রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়

রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়

 রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد:
আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ব মানবগোষ্ঠীর জন্য সর্বশেষ রাসূল। তিনি সকল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত নবী। আরবী, অনারবী, সাদা-কালো সবার জন্য তিনি নবী ও রাসূল। তিনি সকল নবী ও রাসূলেরও নেতা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাহায্য-সমর্থন করার ১০০উপায়

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
সাহায্য-সমর্থন করার ১০০উপায়
প্রিয় পাঠক ও পাঠিকা, আপনাদের কারো অজানা নয়
যে, কাফের সম্প্রদায় কখনো ইসলাম নিয়ে,
কখনো মুসলমানদের নিয়ে কখনো নবী মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে আবার
কখনো ইসলামে বিশেষ কোন দিক নিয়ে
আক্রমণাত্মক, ব্যাঙ্গাক্তক ও উস্কানি মূলক কার্যক্রম
পরিচালনা করে থাকে। সম্প্রতি আমেরিকায় নবী
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম নিয়ে
ব্যঙ্গাক্ত ফ্লিম তৈরি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে
আমরা কিভাবে নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
সাহায্য ও সমর্থন করতে পরি এ প্রবন্ধে সে
ব্যাপারে একশটি উপায় তা আলোচনা করা হয়েছে।
সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।

রাসূলের মহব্বতকারী নাকি দুশমন?

রাসূলের মহব্বতকারী নাকি দুশমন?

একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় দাঁড়িয়ে যখন নিত্যনতুনবাদ-মতবাদের আঘাত একেরপর এক আছড়েপড়ছে ইসলামের কূলে, তখন ভ্রান্ত বিদআতীগোষ্ঠী নতুন করে মাঠে নেমেছে মানুষেরঈমান হরণে। সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে তাদেরমুখোশ উন্মোচন করা এবং জাহান্নামের আগুনথেকে মুসলিম ভাই-বোনদের রক্ষা করা। বিষয়টিমাথায় রেখে ভাবলাম স্বতন্ত্র একটি ছোট্টহলেও নিবন্ধ লেখা যায় কি না। বলাবাহুল্য সে ক্ষুদ্রপ্রয়াসই এই লেখা।যুগে যুগে মানুষের ঈমানহরণে এমন বহু চেষ্টাহয়েছে। কোনোকালেই এ চেষ্টা থেমেছিল না। আজও থেমে নেই। বরং নিত্যনতুন প্রযুক্তিও মিডিয়ার বদৌলতে তাদের প্রচারে যেন গতিসঞ্চারিত হয়েছে। ১২ রবিউল আউয়ালকেসর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবের দিন বানাতে হালুয়া-রুটি আরওরসের মান্নতি মহিষের গোস্ত খাওয়া মুসলিমভাইদের কী উৎকট চেষ্টা! আরে ভাই, রাসূলেরঅনিশ্চিত জন্মদিবস আর নিশ্চিত মৃত্যদিবসে কীভাবেউৎসব করেন?

রসিকতা বা মজাক করার ইসলামী বিধান।

রসিকতা
সৃষ্টির শুরু থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানুষের জীবনাচারের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে তাদের জীবনের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে মিশে আছে হাসি-তামাশা ও আনন্দ-রসিকতা। এ ক্রিড়া-কৌতুক ও আনন্দ-রসিকতা মানুষের জীবনে বয়ে আনে এক অনাবিল প্রান চাঞ্চল্য ও উদ্যমতা। মানুষকে করে ঘনিষ্ঠ। তাদের আবদ্ধ করে এক অকৃত্রিম ভালবাসার মায়াডোরে।
আনন্দ-রসিকতার এ মহোময় ক্রিয়াটি সম্পাদিত হয় সমবয়সী বন্ধু-বান্ধব, সাথী-সঙ্গী, নিজ সন্তানাদি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে।বরং কোন মানুষই এ আনন্দঘন কর্ম থেকে মুক্ত নয়। তবে কেউ কম আর কেউ বেশি।
মুসলমান আল্লাহ তাআলার বান্দা হিসাবে তার জীবনের প্রতিটি পর্বকে সাজাতে হবে মহান আল্লাহ তাআলার নির্দিষ্ট রীতি অনুযায়ী। যাতে তার মধ্যে আল্লাহ তাআলার উবূদিয়্যত (দাসত্ব) পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়িত হয়।
বর্তমানে মানুষের মাঝে হাসি-তামাশার প্রচলন একটু বেশি।তাই তার ধরণ-প্রকৃতি, হুকুম ও প্রকার এবং এ বিষয়ে শরয়ী দৃষ্টিকোণ কি সে সম্পর্কে জানা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে। যাতে মুসলমানরা সেগুলো মেনে চলতে পারে ও একঘেয়েমি দূরকারী এ সুন্দর পদ্ধতি পরিত্যাগ করতে না হয়। এবং এর শরয়ী দিকনির্দেশনা অবলম্বন করে যেন পুণ্য অর্জন করতে পারে পাশাপাশি নিজেকে গুনাহ থেকে বিরত রাখতে পারে।
রসিকতা তিন প্রকার:

যে সুন্নাহ প্রত্যাখ্যান করে তার বেলায় বিধান কি ?

যে সুন্নাহ প্রত্যাখ্যান করে তার বেলায় বিধান
আমরা আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম যে,
প্রায় ১১৮টি মহামূল্যবান classical বইয়ের
রেফারেন্স সমৃদ্ধ, স্প্যানিস ধর্মান্তরিত মুসলিম
Jamal al-Din M Zarabozo-র গবেষণা গ্রন্থ “The
Authority and Importance of Sunnah” থেকে,
আমরা কিছু অংশ অনুবাদ করে করে তুলে দেবো
আপনাদের জন্য, যা পড়লে যে কেউ বুঝবেন
যে, হাদীস বা সুন্নাহর ব্যাপারে classical স্কলাররা
কত serious ছিলেন। আজ সেই বই থেকে
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের একাংশ তুলে
দেবো ইনশা’আল্লাহ্, যে অধ্যায়ের নাম
হচ্ছে:”যে সুন্নাহ প্রত্যাখ্যান করে তার বেলায়
বিধান”।

যঈফ ও জাল হাদীছ ।ছিহাহ সিত্তাহ বলা কতদূর সঠিক?

যঈফ ও জাল হাদীছ,

সংকলন: আখতারুল আমান, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী مركز دعوة الجاليات بالجبيل
জুবাইল দাওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

ইসলামী শরীয়তের দুটি মূল উৎস হচ্ছে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ্‌ হাদীছ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঐ দুটিকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না। সে দুটি হল আল্লাহর কিতাব (আল-কুরআন) এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত (আল-হাদীছ)। (মুওয়াত্ত্বা ইমাম মালেক, মিশকাত হা/১৮৬; আল-মুস্তাদরাক লিল হাকেম, সনদ হাসান)
যেহেতু উপরোক্ত দুটি উৎসই ইসলামী জীবন-যাপনের মূল হাতিয়ার এবং এর উপরেই মুসলমানদের হেদায়াত নির্ভরশীল, সেহেতু যুগ পরস্পরায় ইসলামের শত্রুরা এ দুটি মূল উৎসের মাঝেই ভেজাল ঢুকানোর চেষ্টা করেছে। কুরআন যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময়েই লিখিত আকারে সংরক্ষিত ছিল। কণ্ঠস্থ ছিল বহু ছাহাবীর। কাজেই তারা কুরআনে হাত দেওয়ার দুঃসাহস দেখাতে পারেনি। কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীছ ছিল এর কিছুটা ব্যতিক্রম। হাদীছ তখন লিখিত আকারে ছিল না। ছিল বিভিন্ন ছাহাবীর স্মৃতিপটে সংরক্ষিত। তাও আবার গচ্ছিত আকারে নয়। লিখিত আকারে খুব কমই সংরক্ষিত ছিল। এই সুযোগে ইসলামের চির শত্রুরা ও মুসলিম নামধারী বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল এই দ্বিতীয় উৎসের মধ্যে তাদের কালো হাত বসিয়েছে। হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম এবং যা শরীয়ত নয় তাকে শরীয়তে রূপ দেওয়ার জন্য বহু হাদীছ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম দিয়ে জাল করেছে। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে এমন পণ্ডিতদেরও আবির্ভাব ঘটিয়েছেন, যারা ঐ সমস্ত যঈফ ও জাল হাদীছগুলিকে ছাটাই বাছাই করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইমাম ইবনুল জাওযী বলেন, যখন কারো পক্ষে কুরআন মজীদে অনুপ্রবেশ ঘটানো সম্ভব হয়নি, তখন কিছু সংখ্যক লোক নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীছ বর্ণিত করতে শুরু করে এবং তিনি বলেননি এমন কথাও তাঁর নাম দিয়ে চালাতে শুরু করে। আর এর প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তায়ালা এমন আলেমদের আবির্ভাব ঘটালেন, যাঁরা মিথ্যা বর্ণনা অপসারণ করতে শুরু করেন এবং ছহীহ হাদীছ কোনটি তা স্পষ্ট করে দেন। আল্লাহ তায়ালা এরূপ পণ্ডিত ব্যক্তিদের থেকে কোন যুগকেই শূন্য রাখেননি। তবে এ ধরনের ব্যক্তিত্বদের অস্তিত্ব সাম্প্রতিককালে হ্রাস পেয়েছে। এমনকি বর্তমানে তাদের প্রাপ্তি পশ্চিমা ডলফিন প্রাপ্তির চেয়েও দুর্লভ হয়ে পড়েছে। (সিলসিলাতুল আহাদীছ আয-যাঈফাহ ওয়াল মওযূআহ ১/৪১।)
ইমাম ইবনুল জাওযীর যুগেই যখন হাদীছের মহা পন্ডিতদের এরূপ অভাব দেখা দিয়েছিল, সেখানে বর্তমান যুগে এ অভাব আরও তীব্র হওয়া স্বাভাবিক নয় কি? বাস্তব পরিস্থিতিও তাই। সারা বিশ্বে আজ যঈফ ও জাল হাদীছের ছড়াছড়ি। কি খতীব, কি ওয়ায়েয, কি প্রবন্ধকার, কি তথাকথিত মুহাদ্দিস সকলের মুখে শুধু যঈফ ও জাল হাদীছ শুনা যায়। কিন্তু এগুলি থেকে সতর্ককারী রয়েছেন কজন? যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানীসহ হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তিত্ব ছাড়া? তাদের লেখনীও আবার আরবীতে। যা বাংলাভাষী মুসলমানদের জন্য বুঝা কষ্টকর।
এই ঘোলাটে পরিস্থিতি অনুধাবন করেই আমরা উভয় বাংলার মানুষকে যঈফ ও জাল হাদীছ থেকে সতর্ক করার জন্য কলম হাতে নিয়েছি। আমরা বাংলার মুমিন সমাজকে জানিয়ে দিতে চাই যে, হাদীছ বর্ণনায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হাদীছের অবস্থা না জেনে তা দিয়ে দলীল পেশ করা যাবে না। আমরা আরও চাই বাংলার মানুষকে ঐ সমস্ত হাদীছের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে, যেগুলিকে তারা অজ্ঞতা বশত: কিংবা ঐ রকম বই-কিতাব না থাকায় ছহীহ হাদীছ মনে করে আমল করে আসছে। অথচ তা নিতান্তই যঈফ বা জাল। বহুকাল আগে থেকেই হাদীছ শাস্ত্রের পণ্ডিতগণ এগুলোকে যঈফ ও জাল হাদীছ বলে ঘোষণা দিয়েছেন এবং বর্তমান যুগের হাদীছ শাস্ত্রবিদগণও ওগুলোর যঈফ ও জাল হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলমানদেরকে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর মিথ্যা রোপ করার কঠিন গোনাহ হতে রক্ষা করা।
যঈফ ও জাল হাদীছের সঙ্গা:
যঈফ হাদীছঃ যে হাদীছে ছহীহ ও হাসান হাদীছের শর্তসমূহ পাওয়া যায় না, তাকেই যঈফ হাদীছ বলে। (ইমাম নববী, মুক্বাদ্দামাহ মুসলিম পৃঃ ১৭; হাদীছ সংকলনের ইতিহাস, (ইফাবা ১৯৯২) পৃঃ ৩৯।)
ছহীহ হাদীছঃ ছহীহ হাদীছ ঐ হাদীছকে বলা হয় যার বর্ণনা সূত্র ধারাবাহিক রয়েছে এবং বর্ণনাকারীগণ সর্বতোভাবে ন্যায়পরায়ণ। যাদের স্মরণশক্তি অত্যন্ত প্রখর এবং যে হাদীছের মধ্যে কোন প্রকার দোষ নেই এবং অপর ছহীহ হাদীছের বিরোধীও নয়। (মিন আত্বয়াবিল মিনাহ ফি ইলমিল মুছত্বালাহ ও শরহে নুখবাতুল ফিক্‌র অবলম্বনে)।
হাসান হাদীছঃ ছহীহ হাদীছের সকল গুণ বিদ্যমান থাকার পর বর্ণনাকারীদের স্মরণশক্তি যদি কিছুটা হালকা প্রমাণিত হয় তবে তাকে হাসান হাদীছ বলা হয়। (প্রাগুক্ত)।
মাউযু বা জাল হাদীছঃ মাউযু বা জাল হাদীছ এর অপর নাম মিথ্যা হাদীছ। মওযু হাদীস বলা হয় ঐ হাদীকে যা বানানো হয়েছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে সম্পর্কিত করা হয়েছে। (ডঃ মাহমুদ আহ-ত্বাহ্‌হান, তায়সীরু মুছতালাহিল হাদীছ, পৃঃ ৮৯।)
হাদীছ বর্ণনায় সতর্কতা অবলম্বন: হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নির্দোষ রাবীর হাদীছ গ্রহণ করতে হবে। পক্ষান্তরে যে রাবী দোষী সাব্যস্ত হবে, তার বর্ণিত হাদীছ প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আল্লাহ বলেন:
(يا أيُّهاَ الَّذِيْنَ آمَنُواْ إنْ جاَءَكُمْ فاَسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوْا
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদেরকে কোন ফাসেক ব্যক্তি কোন খবর দিলে তা যাচাই কর।” (হুজুরাত-৬)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
( منَ حَدَّثَ عَنِّيْ بِحَدِيْثٍ يَرَى أنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أحَدُ الْكاَذِبِيْنَ )
“যে ব্যক্তি আমার থেকে এমন হাদীছ বর্ণনা করে যে, তার ধারণা হয় ওটা মিথ্যাও হতে পারে, তবে সে অন্যতম সেরা মিথ্যুক। (মুসলিম)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:
( كَفَى باِلْمَرْءِ كَذِباً أنْ يُحَدِّث بِكُلِّ ماَ سَمِعَ )
“একজন ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই (পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে) বলে বেড়াবে।” (মুক্বাদ্দামা মুসলিম)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:
( مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّداً فاَلْيَتَبَوَّءْ مَقْعَدَهُ مِنْ الناَّرِ )
“যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার উপরে মিথ্যা রোপ করে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয়।” (বুখারী ও মুসলিম)।
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছগুলি দ্বারা এটাই প্রতিভাত হয় যে, হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রে চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং ঢালাওভাবে হাদীছ বর্ণনা করা যাবে না। বরং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে হাদীছটি সত্যিকার অর্থে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীছ কি-না। যে ব্যক্তি শোনামাত্রই বর্ণনা করে সে অন্যতম সেরা মিথ্যুক এবং জেনে বুঝে মিথ্যা রোপ করলে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম, এ বাক্যগুলো থেকে হাদীছের ছহীহ-যঈফ যাচাই কতটুক আবশ্যক তা সহজেই অনুমেয়।
ছহীহ-যঈফ যিনি পার্থক্য করতে জানেন না, তিনি আলেম নন:
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল ও ইসহাক বিন রাহওয়াইহ বলেন, যে আলেম হাদীছের ছহীহ-যঈফ ও নাসেখ-মানসূখ জানেন্‌ না, তাকে আলেমই বলা চলে না। (মারেফাতু উলুমুল হাদীস গ্রন্থের বরাতে সহীহ তারগীব তারহীবের ভূমিকা- পৃঃ- ১৩)
ছিহাহ সিত্তা বলা কতদূর সঠিক?
আমরা বুখারী, মুসলিম, আবুদাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ এসব মহামতি ইমামদের হাদীছ গ্রন্থ গুলিকে ছিহাহ সিত্তাহ বলে থাকি। যার অর্থ হাদীছের ছয়টি ছহীহ কিতাব। আসলে কি এ ছয় খানি কিতাবই ছহীহ হাদীছের কিতাব? একমাত্র ছহীহ হাদীছের কিতাব বলতে বুখারী ও মুসলিমকে বুঝানো হয়। যে দুটিকে একত্রে ছহীহায়েন বলা হয়। এই দুই কিতাবের সাথে অনেক বিদ্বান মুওয়াত্ত্বা মালিককেও শামিল করেছেন। এর বাইরে কোন কিতাবই নিরঙ্কুশ ছহীহ হাদীছের কিতাব নয়। বরং সব হাদীছের বিতাবেই ছহীহ-যঈফ মিশ্রিত রয়েছে। আবুদাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ এ চারটি কিতাবে যঈফ হাদীছ মিশ্রিত রয়েছে। সুতরাং এগুলিকে বুখারী ও মুসলিমের সাথে মিলিয়ে ছিহাহ সিত্তাহ বলা ঠিক নয়। এমন কি সহীহ বুখারী মুসলিম ছাড়া অন্যান্য হাদীসের কিতাবের সংকলকগণ তাদের কিতাবগুলোকে সহীহ হিসেবেও নাম করণ করেন নি। যদিও অনেক আলেম এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ হাদীস সহীহ হওয়ার উপর ভিত্তি করে সিহাহ সিত্তাহ বলেছেন।
বিদ্বানদের গণনা মতে ঐ চারটি কিতাবে যঈফ হাদীছের সংখ্যা তিন হাযারের ঊর্ধ্বে রয়েছে। যেমন মুহাদ্দিস আলবানী (রহঃ) এর চারটি যঈফ গ্রন্থ অবলম্বনে বলা যায়-
• নাসাঈতে যঈফ হাদীছের সংখ্যা প্রায় ৪৪০ টি
• আবুদাউদে যঈফ হাদীছের সংখ্যা প্রায় ১১২৭ টি
• তিরমিযীতে যঈফ হাদীছের সংখ্যা প্রায় ৮২৯ টি
• ইবনু মাজাহ্‌তে যঈফ হাদীছের সংখ্যা প্রায় ৯৪৮ টি
———————————–
মোট = ৩৩৪৪ টি
এই চার খানা কিতাবকে পুরোপুরিভাবে ছহীহ হাদীছের সংকলন জ্ঞান করার কারণেই আমরা এগুলোর মধ্যে সন্নিবেশিত হাদীছগুলিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি না বা করার প্রয়োজন মনে করি না। অথচ এটি একটি মারাত্মক ভুল।
আল্লামা মোহাম্মাদ বিন ইবরাহীম ইয়ামানী বলেন: সুনানে ইবনে মাজাহ আবূদাউদ ও নাসাঈর পরবর্তী পর্যায়ের গ্রন্থ। উহার হাদীছসমূহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো আবশ্যক। উহাতে ফযীলত সংক্রান্ত অধ্যায়ে একটি মওযূ হাদীছ রয়েছে। (হাদীছ সংকলনের ইতিহাস, (ইফাবা, ১৯৯২), পৃঃ ৫৬১। গৃহীত: ত্বানক্বীহুল আনওয়ার।)
উপরোক্ত চারখানা বিতাবের বাইরেও এমন অনেক কিতাব রয়েছে যার বেশীর ভাগ হাদীছ ছহীহ। যেমন ছহীহ ইবনু খুযায়মা, ছহীহ ইবনু হিব্বান প্রভৃতি।
মোটকথা, হাদীছের প্রসিদ্ধ চয় খানা বিতাবকে ছিহাহ সিত্তাহ না বলে কুতুবু সিত্তাহ বা ছহীহাইন ও সুনানে আরবাআহ বলা উচিত।
প্রকাশ থাকে যে, অনেকে মনে করেন, যঈফ হাদীছ ফযীলতের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য। তাদের এ ধারণা সঠিক নয়। বরং ফযীলত ও আহকাম সর্বক্ষেত্রেই যঈফ হাদীছ বর্জনীয়। ইহাই মুহাক্কেক্বীন বিদ্বানদের চূড়ান্ত ফায়সালা। আল্লামা জামালুদ্দীন ক্বাসেমী বলেন, ইমাম বুখারী, মুসলিম, ইয়াহ্‌ইয়া ইবনে মঈন, ইবনুল আরাবী, ইবনে হাযম এবং ইবনু তাইময়াহ প্রমুখ মনীষীগণ বলেন, ফযীলত কিংবা আহকাম কোন ব্যাপারেই যঈফ হাদীছ আমল যোগ্য নয়। (ফাওয়ায়েদুত্‌ তাহদীস পৃঃ ৯৫)
পরিশেষে, আল্লাহ আমাদের সকলকে যঈফ ও জাল হাদীছ চিনার ও তা থেকে সতর্ক থাকার সাথে সাথে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক আমল করার তাওফীক দিন-আমীন!
الأحاديث الضعيفة والموضوعة وأثرها السيئ على الأمة
إعداد: أختر الأمان ، الداعية بمركز دعوة الجاليات بالجبيل
যঈফ ও জাল হাদীছ এবং মুসলিম সমাজে তার কুপ্রভাব
সংকলন: আখতারুল আমান
مركز دعوة الجاليات بالجبيل

প্রশ্ন: অন্ধকার ঘরে কি নামাজ পড়া জায়েয আছে?

প্রশ্ন: অন্ধকার ঘরে কি নামাজ পড়া জায়েয আছে?
•••••••••••••••
উত্তর:
অন্ধকার ঘরে নামায আদায় করা জায়েয রয়েছে যদি কেবলার দিকে নামায পড়া হয়। নামাযের জন্য আলো থাকা শর্ত নয়। তাছাড়া একাধিক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্ধকার ঘরে সালাত আদায় করেছেন।
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক রাতে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দ্বারা তাঁকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তার পদযুগলের উপর পতিত হল। তখন তাঁর পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। তিনি বলছিলেন:

মিরাজের ঘটনা কুরআন ও সহীহ হাদীছের মাধ্যমে প্রমাণিত

মিরাজের ঘটনা কুরআন ও সহীহ হাদীছের
মাধ্যমে প্রমাণিত। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
) ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺳْﺮَﻯ ﺑِﻌَﺒْﺪِﻩِ ﻟَﻴْﻠًﺎ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺍﻟْﺄَﻗْﺼَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺑَﺎﺭَﻛْﻨَﺎ ﺣَﻮْﻟَﻪُ ﻟِﻨُﺮِﻳَﻪُ ﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺗِﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻪ
ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮُ (
“পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রজনীর
কিয়দাংশে ভ্রমণ করিয়েছিলেন মাসজিদুল হারাম হতে
মসজিদুল আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশকে আমি
করেছিলাম বরকতময়। তাঁকে আমার নিদর্শন দেখাবার
জন্যে। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোত, সর্বদ্রষ্টা। (সূরা
বাণী ইস্রাঈলঃ ১)
মেরাজ কখন সংঘটিত হয়েছিল?
মেরাজ কখন হয়েছিল সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট
কোন দলীল পাওয়া যায় না। সুতরাং

মিথ্যা বা জাল হাদীস প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি!!

মিথ্যা বা জাল হাদীস প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি!!


*যা নবী(স) বলেন নাই তা বলা মানে নবীর(স) এর নামে মিথ্যা বলা, ফলে তার স্থান হবে জাহান্নাম*
🔴 *মিথ্যা হাদিস প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি*🔴
*যে হাদিস জাল করে বা বানোয়াট করে বা মিথ্যা হাদিস ছড়ায় এবং যে ব্যক্তি ঐ মিথ্যা হাদিস প্রচারে সহযোগীতা করে, আর যারা তা অনুসরণ করবে, তাদের সমস্ত গুনাহ ঐ ব্যক্তিদের ঘাড়ে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জমা হতে থাকবে।*
সর্ব প্রথমে আমি অযোগ্য ব্যক্তি ক্ষমা চাচ্ছি ও বিনীত অনুরোধ করছি, যদি কখনো মনে হয় যে, আমি নবী (স) এর পথ থেকে সামান্যতম ও বিচ্যুত হচ্ছি,তাহলে অবশ্যই আমাকে সতর্ক করবেন।
📚কুরান বলেঃ

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম, ফযিলত ও এখানেঅবস্থানের আদবসমূহ

পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নাম, ফযিলত ও এখানেঅবস্থানের আদবসমূহ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমপবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারাকে বলা হয় দ্বিতীয় হারাম।মুসলিম হৃদয়ে এ নগরীটির প্রতি রয়েছেঅপরিসীম শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও মর্যাদা। কেননা এটি ছিলপ্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরহিজরতভূমি। তিনি তাঁর জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণশেষ দশ বছর এ নগরীতেই কাটিয়েছেন।অহীর বৃহত্তর অংশ এখানেই তাঁর উপর অবতীর্ণহয়। এ নগরীকে কেন্দ্র করেই তিনি আল্লাহরসাহায্যে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবেপ্রতিষ্ঠিত করেন। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নগরীকে বিভিন্ননামে অভিহিত করে অনেক ফযিলত, মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যদিয়ে একে অভিষিক্ত করেছেন।পবিত্র মদীনা মুনাওওয়ারার নামমদীনাকে অনেকগুলো নামে অভিহিত করাহয়েছে, যা তার ফযিলত ও মর্যাদার প্রমাণ বহনকরছে। কেননা একই জিনিসের অনেক নাম সেজিনিসের মর্যাদা ও গুরুত্বের প্রমাণবাহী।ঐতিহাসিকগণ এ নগরীর বহু নাম উল্লেখকরেছেন। ‘আল্লামা সামহুদী’ এর ৯৪টি নামউল্লেখ করেছেন।তন্মধ্যে ‘মদীনা’ নামটি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, যা আল-কুরআনে চার বার এসেছ। [সূরা আত্-তাওবাহ: ১০১,১২০, সূরা আল আহযাব: ৬০, সূরা আল-মুনাফেকুন: ৮]আর হাদীসে এ নামটি অসংখ্যবার এসেছে।মদীনার আরেকটি নাম ‘ত্বাবাহ’। ইমাম মুসলিম জাবেররাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (১ম পর্ব)

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (১ম পর্ব)
(ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)
ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আল-হামদুলিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ, ওয়া আলা ’আলিহী ওয়া সাহবিহী। ওয়াবা‘দ
অতঃপর নিশ্চয়ই আমাদের প্রতি আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম নেয়ামত হলো ইসলাম, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত স্বভাবজাত এবং ন্যায়নীতি-ভারসাম্য, মধ্যমপন্থী দ্বীন, ইসলাম দুনিয়া-আখেরাতের সকল কল্যাণ ও মঙ্গলকে আবেষ্টনকারী এবং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আখলাক- চরিত্রের দ্বীন, ইসলাম স্থান-কাল নির্বেশেষে সবার জন্য উপযোগী, ইসলাম সহজ-সাধ্য ও শান্তির দ্বীন, বরং ইসলামে রয়েছে সব সমস্যার সমাধান। অতএব, বর্তমান যুগে বিশ্ব মানবতার সামনে ইসলামের সৌন্দর্য্য ও মৌলিক বৈশিষ্টাবলীর বর্ণনা কতই না জরুরী; যাতে বিশ্বের সামনে দ্বীন ইসলামের প্রকৃত ছবি ফুটে উঠে। মূলত বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাদর্শ হলো

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (২য় পর্ব)

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলা‌ইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ (২য় পর্ব)
(ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. এর যাদুল মা‘আদ হতে সংক্ষেপিত)
(১২) হাদী, কুরবানী ও ‘আকীকাহ্ প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা[90]
(ক) হাদী প্রসঙ্গে তাঁর আদর্শমালা[91]:
১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উট ও ছাগলপাল হাদী হিসেবে প্রেরণ করেন এবং তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে হাদী হিসেবে গরু প্রেরণ করেন। তিনি হজ্জ ও ওমরার সময় এবং (হুদায়বিয়ার সন্ধি কালে) অবস্থান স্থলে হাদী যবেহ্ করেন।
২. তাঁর আদর্শ ছিল, হাদী হিসেবে প্রেরিত ছাগলপালের গলায় বেড়ি লাগানো, সেগুলোর গলায় ছুরির আঘাতে দাগ করা নয়। তিনি স্বীয় হাদী প্রেরণের পর (ইহরাম বাঁধার পূর্বমুহুর্ত পর্যন্ত) কোনো হালাল বিষয়াদিকে নিজের উপর হারাম মনে করেন নি।
৩. তিনি হাদি হিসেবে উট প্রেরণ করলে সেগুলিকে ‘তাক্বলীদ’-গলায় বেড়ী লাগাতেন, বা

বিশ্ব মানবতার প্রতি মহানবীর ১০ অবদান

বিশ্ব মানবতার প্রতি মহানবীর ১০ অবদান 

সকল প্রশংসা কেবল নিখিল জগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক নবী ও রাসূলগণের সর্বশেষ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।
অব্যাহতভাবে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর স্বেচ্ছা বিকৃতির প্রভাবে অমুসলিমদের কেউ কেউ বিশেষত পশ্চিমারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবতার জন্য কী উপস্থাপন করেছেন, মানবতার প্রতি তাঁর অবদান কী তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশ্ববাসীর সামনে নবীয়ে রহমত বা দয়ার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঠিক পরিচয় তুলে ধরার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ ছাড়াও আমাদের নির্ধারিত কর্তব্যসমূহের একটি হলো বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে এ প্রশ্নের জবাব দেয়া। নবীকুল শিরোমনি, নবী ও রাসূলগণের সর্বশেষ আমাদের মহানবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বমানবতার জন্য কী উপহার নিয়ে এসেছেন তা সংক্ষেপে তুলে ধরা। নিচে দশটি পয়েন্টে ভাগ করে আমরা সে বিষয়টিই আলোচনার প্রয়াস পাব :

প্রশ্ন:- প্রস্রাব করার পর টিস্যু ব্যাবহার করা কি জায়েয? প্রশ্ন:- পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না ব্যাবহার করে শুধু পানি ব্যাবহার করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?

প্রশ্ন:- প্রস্রাব করার পর টিস্যু ব্যাবহার করা কি জায়েয?
প্রশ্ন:- পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না ব্যাবহার করে শুধু পানি ব্যাবহার করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?
উত্তর:- প্রস্রাব করার পর পানি ব্যাবহার করার জন্য পানি না পাওয়া গেলে টিস্যু ব্যাবহার করা যাবে এটা হারাম নয়। তবে সেক্ষেত্রে সর্তকভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন টিস্যুর পরিমান বেশি থাকে যাতে প্রস্রাবের পানি টিস্যু অতিক্রম করে শরীরে এবং হাতে না লেগে যায়। সুতরাং প্রস্রাবের পর পবিত্র হওয়ার জন্য পানি ব্যাবহার করার মত ব্যাবস্থা না থাকলে টিস্যু ব্যাবহার করাতে কোনো বাধা নেই। তবে পানি ব্যাবহার করার মত ব্যাবস্থা থাকলে শুধু মাত্র পানিই ব্যাবহার করতে হবে টিস্যু ও পানি একসাথে নয়।
প্রশ্ন:- পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না ব্যাবহার করে শুধু পানি ব্যাবহার করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?

প্রশ্নোত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী

প্রশ্নোত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনী
ডাউনলোড (পিডিএফ)
১. প্রশ্নঃ আমাদের প্রিয় নবীজীর নাম কি?
উত্তরঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
২. প্রশ্নঃ তাঁর পিতা- মাতা ও দাদার নাম কি?
উত্তরঃ পিতাঃ আবদুল্লাহ, মাতাঃ আমেনা, দাদাঃ আবদুল মুত্তালিব।
৩. প্রশ্নঃ তাঁর দুধমাতার নাম কি?

পিরেরাই যে আল্লাহর ওলি এর প্রমাণ কি?

চরমোনাই, গোলাপবাগ, দেওয়ানবাগ, রাজারবাগ,কুতুবাগ, আটরসি, শাহাপুর, কালিয়াপুর, ওলিপুর ও মাইজভান্ডারী সহ সকল পীর ও পীরের মুরিদগনকে বলছি, নিচের প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেন.?

১.পৃথীবির ইতিহাসে প্রথম পীর কে??
২.পির প্রথা আরব দেশে নেই কেন? মক্কা মদিনার ইমামরা কেন মুরিদ করেন না?
৩.পিরেরাই যে আল্লাহর ওলি এর প্রমাণ কি?পীর বা মুরিদ না হয়ে কি ওলি হওয়া যায় না?
৪.পিরেরা তার মুরিদদের শাফায়াত করবেইএর গ্যারান্টি কোথায় পেল? তার নিজের নাজাতের নিশ্চয়তা কি?
৫.পির ধরা কি সবার জন্য ফরজ? কোরানের কোন আয়াত দ্বারা ফরয হয়েছে?
৬.বাংলাদেশে প্রায় ২ লক্ষ ৯৮ হাজার পির আছে। এদের মধ্যে কে হাক্কানি পির?

প্রশ্ন:- পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না ব্যাবহার করে শুধু পানি ব্যাবহার করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?

প্রশ্ন:- পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না ব্যাবহার করে শুধু পানি ব্যাবহার করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে? উত্তর:- শুধু পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করলেই পবিত্রতা অর্জিত হয়ে যাবে। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন পায়খানায় প্রবেশের ইচ্ছা পোষন করতেন তখন আমি ও আরেকটি ছেলে পানি ভর্তি পাত্র এবং একটি বর্শা নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা করতেন। (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত- হা/৩৪২)। আয়েশা (রাঃ) একবার মহিলাদের লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা তোমাদের স্বামীদের পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে বল কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)- কে অনুরুপই করতে দেখেছি। (তিরমিযী- হা/১৯, সনদ সহীহ)। ইমাম তিরমিযী বলেন, বিদ্বানগণ পানিকেই যথেষ্ট মনে করেন। পানি না পেলে কুলুখ নিবে। উল্লেখ্য যে কুলুখ ব্যাবহার করার পর পানি ব্যাবহার করতে হবে এই মর্মে যে কথা সমাজে প্রচালিত আছে তা ঠিক নয়। (ইউয়াউল গালীল হা/৪২- এর আলোচনা দ্রঃ) সুতরাং

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী?

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী?
 
প্রশ্ন: আমার পরিচিত এক ভাইয়ের বাড়িতে প্রতি শুক্রবার আকিদার দরস হয়, তার দাওয়াতে সেখানে আমি অংশ গ্রহণ করি। খাবারের সময় আমাদের একজন বাম
হাতে গ্লাস নিয়ে ডান হাতের তালুর উল্টো পিঠে রেখে পানি পান করছিল,উপস্থিত একজন তাকে বাঁধা দিয়ে বলল:“না,এভাবে পানি পান করবেন না। ডান হাতেই পানি পান করুন, গ্লাসে খাবার লাগলে লাগুক”। এরকম ঘটনা আমার জীবনে এটাই প্রথম।
আমার জিজ্ঞাসা আমরা যে বাম হাতে গ্লাস বা পানির পাত্র তুলে ডান হাতের সাহায্যে পান করি, তা কি সুন্নতের খিলাফ, অথবা বাম হাতে খাওয়া শয়তানী কর্মের অন্তর্ভুক্ত? জানিয়ে বাধিত করবেন।
 
আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন।
 
উত্তর: আল-হামদুলিল্লাহ, হাদিসে স্পষ্টভাবে ডান হাতে পান করার নির্দেশ ও বাম হাতে পান করার নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ইব্ন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী?

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম
হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী?
শাইখ মুফতি সানাউল্লাহ নজির আহমদ
প্রশ্ন: আমার পরিচিত এক ভাইয়ের
বাড়িতে প্রতি শুক্রবার আকিদার দরস হয়,
তার
দাওয়াতে সেখানে আমি অংশ গ্রহণ
করি।
খাবারের সময় আমাদের একজন বাম
হাতে গ্লাস নিয়ে ডান হাতের তালুর
উল্টো পিঠে রেখে পানি পান করছিল,
উপস্থিত একজন তাকে বাঁধা দিয়ে বলল:
“না,
এভাবে পানি পান করবেন না। ডান
হাতেই
পানি পান করুন, গ্লাসে খাবার
লাগলে লাগুক”। এরকম ঘটনা আমার
জীবনে এটাই প্রথম। আমার
জিজ্ঞাসা আমরা যে বাম হাতে গ্লাস
বা পানির পাত্র তুলে ডান হাতের
সাহায্যে পান করি, তা কি সুন্নতের
খিলাফ,
অথবা বাম
হাতে খাওয়া শয়তানী কর্মের
অন্তর্ভুক্ত?

পানি থাকা সত্বেও কুলুখ নেয়া অথবা কুলুখ নেয়ার পর পূনরায় পানি নিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ইসলামের বিধান কি?

পানি থাকা সত্বেও কুলুখ নেয়া অথবা কুলুখ নেয়ার
পর পূনরায় পানি নিয়ে ইস্তিঞ্জা করা ইসলামের বিধান কি?
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য। অগণিত দুরূদ ও সালাম নাযিল হউক প্রিয় নবী মুস্তফা আহাম্মদে মুজতবা সায়্যিদুল আম্বিয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রতি। শান্তি বর্ষিত হউক আহলে বাইত ও সাহাবায়ে কেরাম রেজুয়ানাল্লাহি তা’আলা আজমাঈন গণের উপর।
^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^^
আমাদের সমাজে, রাস্তাঘাটে, মাদ্রসায়, মসজিদে ও বিভিন্ন জায়গায় হরহামেশা দেখা যায় প্রায় মানুষই প্রস্রাবের পর ঢিলা-কুলূখ ধরে দাড়িয়ে থাকে। শুধু দাড়িয়েই থাকেনা; লজ্জাস্থানে ধরে রেখে বেহায়া, নির্লজ্জের মত হাটাহাটি করে, জোরে জোরে কাশি দেয়, উঠবস করে, পায়ে পায়ে কাঁচি দেয়। অথচ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ