Saturday, December 16, 2017

১০টি ইসলাম ধ্বংসকারী বিষয়

১০টি ইসলাম ধ্বংসকারী বিষয়

 
 
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত। দরূদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক সেই মহান নবীর উপর যার পরে আর কোন নবী নেই। আরো নাযিল হোক তাঁর পরিবার বর্গ, সহচর বৃন্দ এবং তাঁর হেদায়াতের অনুসারীদের উপর।
অত:পর হে মুসলিম ভাই! এ কথা জেনে নিন যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সকল বান্দার উপর ইসলামে প্রবেশ করা, উহা আঁকড়ে ধরা এবং উহার পরিপন্থী বিষয় থেকে সতর্ক থাকা ফরজ করেছেন। আর নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সে দিকে আহবান করার জন্যই প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ্‌ এই মর্মে ঘোষণা দিয়ে বলেন,

সকল নবী রাসুলের দাওয়াতের মুল বিষয় তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ:

সকল নবী রাসুলের দাওয়াতের মুল বিষয় তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ:

আল্লাহ তা‘আলা যুগে যুগে অসংখ্য নাবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন যাতে মানুষ সঠিক পথ প্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ বহুত্ববাদ বা শিরক মতবাদ বর্জন করে একত্ববাদ বা তাওহীদী মতবাদ গ্রহণ করে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই যাবতীয় ইবাদাত সম্পাদন করতে পারে। তাই সর্বপ্রথম রাসূল নূহ (আ) হতে সর্বশেষ নাবী ও রাসূল মুহাম্মদ (সা) পর্যন্ত সকলেই এক আল্লাহর ইবাদাতের দাওয়াত দিয়েছেন। নিম্নে নমুনা স্বরূপ নাবী রাসূলদের দাওয়াত বাণী অতি সংেেপ আলোকপাত করা হল। নূহ (আ) এর দাওয়াত ঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”র ক্ষমতা !

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”র ক্ষমতালেখকঃ শেইখ সলীহ্ ইবন্ ফাওযান আল–ফাওযানঅনুবাদ ও সম্পাদনাঃ আবদ্ আল-আহাদ | ওয়েবএডিটিং: শাবাব শাহরিয়ার খানলা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্অর্থাৎ, আল্লাহ্ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য অন্যকোন সত্য ইলাহ্ নেই। এই কথা যদি কেউসত্যতার সাথে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকেউচ্চারন করে, এ কথার অর্থ যা বলে সেঅনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে, বিশ্বাসএবং

রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কি জীবিত না মৃত?

রাসুলুল্লাহ(সাঃ) কি জীবিত না মৃত?
প্রত্যেক মানুষ মরণশীল । আল্লাহ বলেন
–“কুল্লু নাফসিন যাইক্বাতুল
মাউত” –প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ
আস্বাদন করবে ।
সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮৫ ।রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) আল্লাহর সর্বশেষ নবী হওয়ার
সাথে সাথে তিনিও
একজন মানুষ ছিলেন । আল্লাহ বলেন

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের শারঈ বিধান ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর* বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্তের মধ্যে সোনার মানুষে রূপান্তরিত করার চমৎকার পদ্ধতি। এমন একজন মহান ব্যক্তির চরিত্রকে দু’চার কথায় কলমের অাঁচড়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। যাঁর সম্পর্কে স্বয়ং মহান আল্লাহ বলেছেন,

যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায়!!

যে সকল কারণে একজন মুসলমান ইসলামচ্যুত হয়ে যায় তথা কাফির হয়ে যায়


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
অনুবাদক: আবদুল্লাহ সাঈদ খান
শাইখ আব্দুল আজীজ ইবন আবদুল্লাহ ইবনে বা’য (রহ) বলেন: আল্লাহ সকল মানুষকে ইসলামে প্রবেশ করে এর সাথে লেগে থাকতে বলেছেন এবং ইসলামের বিপরীত যে কোন কিছু থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি তার নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে পাঠিয়েছেন মানুষকে ইসলামের পথে ডাকার জন্য। তিনি বলেন যে যারা নবীর অণুসরন করবে তারা সুপথ প্রাপ্ত হবে এবং যারা তার থেকে দূরে সরে যাবে তারা বিপথগামী হবে। কোরআনের বহু আয়াতে তিনি ধর্মত্যাগের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন এবং সতর্ক করেছেন সকল প্রকার শির্ক ও কুফরি থেকে।

যখন চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে

যখন চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে


সমুদ্র ভ্রমণে বন্ধুর আমন্ত্রণ, না করতে পারেনি সাজিদ। অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়ে পড়ল। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাহনে চেপে বসল। সী-ট্রাকের ছাদে দাঁড়িয়ে চারিদিকের মোহনীয় সব দৃশ্য দেখে জ্ঞান হারাবার পালা। প্রকৃতি এত সুন্দর? এত অপরূপ মহান স্রষ্টার সৃষ্টি? এ যে কল্পনাকেও হার মানায়। উপরের নীল আকাশ সাগরের রূপালী জলরাশিতে নীল চাদর বিছিয়েছে যেন, কি অপরূপ নীলাভ করে তুলেছে তাকে। বহুদূর থেকে ছুটে আসা দক্ষিণা সমীরণ তরঙ্গ তুলে আরো মোহনীয় করে তুলেছে। সমুদ্র গভীর থেকে জেগে উঠা তরঙ্গরাজি মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের সাক্ষ্য দিচ্ছে যেন। সী-ট্রাকের প্রাচীরে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির হিল্লোল দেখছে আর বিস্ময়াভিভূত হচ্ছে সাজিদ। কেবল

মুমিনদের শাফা‘আত

মুমিনদের শাফা‘আত

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর বিচারের পরে যারা সৎকর্মশীল তারা জান্নাতে চলে যাবে। আর মুমিনরা অন্য মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে সুফারিশ করবে। ফলে বহু মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছটি।
আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,

মানুষকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কি না তার সমাধান:

মানুষকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কি না তার সমাধান:

‘মাওলা’ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ প্রভু, মনিব, বন্ধু, সাহায্যকারী, অভিভাবক, মিত্র, আযাদকৃত দাস ইত্যাদি। ইমাম নভুভী বলেন, এই শব্দের ১৬টি অর্থ আছে। এই কারণে শব্দটি সালাফে সালেহীনের মধ্যে ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যেমন দাসগণ তাদের মনিবদের উদ্দেশ্যে ‘মাওলা’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. এক হাদীছে দাসকে নিষেধ করেছেন মনিবকে ‘মাওলায়া’ বা আমার প্রভূ বলতে। আবার আরেক রেয়াওয়াতে অনুমতি দিয়েছেন যে দাস তার মনিবকে বলবে ‘সাইয়্যেদী ও মাওলায়া’। (উভয় বর্ণনা সহীহ মুসলিমে আছে)
এখানে ‘মাওলা’ শব্দের শেষে ‘ইয়া’ সর্বনাম যোগ করলে একবচন বক্তা বুঝায়, আর ‘না’ সর্বনাম যোগ করলে বহুবচন বক্তা বুঝায়।
এখন হাদীছে এক বর্ণনায় নিষেধ আরেক বর্ণনায় অনুমতির তাৎপর্য কি?

যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন

যদি সবকিছু পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো সম্পাদনের জন্যে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে কেন ?


যেকোন পাপকার্য সম্পাদনের ঘটনা কি তাকদিরে লিখিত এবং আল্লাহ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে কেন আল্লাহ তাঁর কিছু বান্দার জন্যে পাপ কার্য সম্পাদনের নিয়তি নির্ধারন করলেন এবং কিছু বান্দার জন্যে ভালো কাজ সম্পাদন নির্ধারণ করলেন, আমরা কি সকলেই সমান মানুষ নই ?
উত্তর দিচ্ছেন: শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ
আলহামদুলিল্লাহ, একজন ব্যক্তি অবশ্যই দুটি বিষয়ে বিশ্বাস করবেন:

অনেকে প্রশ্ন করেন : মানুষ ভাল-মন্দ যত কাজ করে তা আল্লাহর ইচ্ছায় ও তাকদীরের লিপিবদ্ধ থাকার কারণে করে। তাই মানুষের কি দোষ?

ভাগ্যে বিশ্বাস : একটি তাত্ত্বিক আলোচনা 

অনেকে প্রশ্ন করেন : মানুষ ভাল-মন্দ যত কাজ করে তা আল্লাহর ইচ্ছায় ও তাকদীরের লিপিবদ্ধ থাকার কারণে  করে। তাই মানুষের কি দোষ?
কেন আল্লাহ তাকে মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দেবেন?
আবার অনেকের প্রশ্নের ভাষা এ রকম যে, আমি জান্নাতে যাবো না জাহান্নামে যাবো তাতো অনেক আগেই লেখা হয়েছে। তাই কষ্ট করে নেক আমল করে লাভ কী? তাকদীরে জান্নাত লেখা থাকলে কোন আমল না করেও জান্নাতে যাওয়া যাবে। আর কপালে জাহান্নাম লেখা থাকলে হাজার ভাল কাজ করেও জান্নাতে যাওয়া যাবে না।
আবার অনেকে বলেন,

প্রাথমিক তাওহীদ শিহ্মা – পৃথিবীর সব চেয়ে দামী ঞ্জান

প্রাথমিক তাওহীদ শিহ্মা – পৃথিবীর সব চেয়ে দামী ঞ্জান

 ভূমিকাঃ ‘লা ইলা হা ইল্লাল্লাহ’ অর্থ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। অর্থাৎ প্রকৃত ও সত্য ইলাহ একজনই আছেন। তিনি হলেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন। তিনি ছাড়া আর যা কিছুর ইবাদত করা হয় যেমন মূর্তি, জ্বিন, সূর্য, কবর, পাথর, মাযার ইত্যাদি; এগুলো কারো না কারো মা’বূদ বা উপাস্য কিন্তু সবই বাতিল, অপ্রকৃত এবং মিথ্যা মা’বূদ। এ বক্তব্যের সার কথাই হল তাওহীদ বা একত্ববাদ। আর নিচে একত্ববাদের মর্ম কথা তুলে ধরা হ’ল।
তাওহীদের গুরুত্বঃ 

৯০ টি প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা (চার ইমামের আক্বীদা অবলম্বনে)

প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা

(চার ইমামের আক্বীদা অবলম্বনে)
অনুবাদকের কথা
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরিবার-পরিজন, ছাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম) এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁদের পথের পথিকদের উপর। অতঃপর আরয এই যে, আক্বীদা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একজন মুসলিমের জীবনে যার প্রয়োজন সদা-সর্বদা। কিন্তু

৭৯১ টি প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান
সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)
(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা
১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্‌।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। (সূরা ত্বহাঃ ৫)
৪. প্রশ্নঃ আল্লাহর আরশ কোথায় আছে?

প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে, তার হুকুম কি?

প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে, তার হুকুম কি?
উত্তরঃ- যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে সে কাফের।
কেননা সে আল্লাহ তাআ’লাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস- করল। আল্লাহ
তাআ’লা বলেন,
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﻦْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
ﻭَﻣَﺎ ﻳَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ ﺃَﻳَّﺎﻥَ ﻳُﺒْﻌَﺜُﻮﻥَ (
“হে নবী আপনি বলে দিন! আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ব্যতীত
অন্য কেউ গায়েবের সংবাদ জানে না এবং

পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর

পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর

(ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)
অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী
প্রশ্নঃ (১২১) অপবিত্রতা ও বাহ্যিক নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা অর্জন করার প্রকৃত মাধ্যম কি?
উত্তরঃ যে কোন নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। পানি ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। চাই উক্ত পানি পরিচ্ছন্ন হোক বা পবিত্র কোন বস্তু তাতে পড়ার কারণে তাতে কোন পরিবর্তন দেখা যাক। কেননা বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, পবিত্র কোন বস্তুর কারণে যদি পানির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়, তবে তাকে পানিই বলা হবে। এর পবিত্র করণের ক্ষমতা বিনষ্ট হবে না। এই পানি নিজে পবিত্র অন্যকেও পবিত্র করতে পারে।
পানি যদি না পাওয়া যায় বা

নাস্তিকতার ভয়ংকর ছোবলে বাংলাদেশের যুবসমাজ!

নাস্তিকতার ভয়ংকর ছোবলে বাংলাদেশের যুবসমাজ -আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী’১৩ রাজধানী ঢাকায় জনৈক নাস্তিক ব্লগার রাজীব হায়দারের নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নাস্তিকতার যে ভয়াল চিত্র উন্মোচিত হয়েছে, তা সমগ্র দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছে। নাস্তিকতা যে কত নিকৃষ্ট হতে পারে, ধর্মহীনতা যে মানুষকে পশুত্বের ও নৈতিক অবক্ষয়ের কোন অতলে নিক্ষেপ করতে পারে, তথাকথিত ‘মুক্তবুদ্ধি’র চর্চার আড়ালে ইসলাম-বিদ্বেষের যে কি জঘন্যতম কুৎসিত অবয়ব লুকিয়ে আছে, তার এক বাস্তব প্রতিমূর্তি অত্যন্ত প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে এই চিত্রে। লক্ষ্যণীয় যে,

নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?


১ম প্রশ্ন: অনেকে বলে, আমরা অলী-আউলিয়া ও বুজুর্গ লোকদের নিকট বিপদাপদ থেকে উদ্ধার কামনা করি। তবে তাদের নিকট আমরা যা চাই তা হল কিয়ামতের দিন যেন তারা আল্লাহর দরবারে আমাদের জন্য শাফায়াত করে। কারণ তারা সৎ লোক। আল্লাহর নিকট তাদের বিশাল মর্যাদা রয়েছে। তাই এই মর্যাদার কারণে আমরা চাই তারা আমাদের সুপারিশ করে পরকালে কঠিন বিপদ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উদ্ধার করবেন। এটা কি ঠিক?
——————————————————————-
উত্তর: আরবের মুশরিকরা তো তাদের শিরকের স্বপক্ষে হুবহু এ কথাই বলত। তার পরে ও মহান আল্লাহ তাদেরকে-কাফের মুশরিক বলে অবিহিত করেছেন। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন,

তাকদীর আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (১ম পর্ব)

তাক্বদীরঃ আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (১ম পর্ব)

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। দরূদ এবং সালাম বর্ষিত হোক আমাদের শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর।
তাক্বদীর ঈমানের ছয়টি স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ। প্রকৃত মুমিন হতে হলে অবশ্যই তাক্বদীরে বিশ্বাস করতে হবে, তাক্বদীরে বিশ্বাস স্থাপন বৈ কেউ মুমিন হতে পারবে না। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে তাক্বদীর সংক্রান্ত অসংখ্য বর্ণনা এসেছে। সেজন্য ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিষয়টি সরাসরি আল্লাহ্‌র সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে এর গুরুত্ব এবং তাৎপর্য যারপর নেই বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ আল্লাহ্‌র কতিপয় নাম ও গুণাবলীর সাথেই এর সরাসরি সম্পর্ক।
তাক্বদীরে বিশ্বাস মানুষের স্বভাবগত বিষয়। সেজন্য এমনকি জাহেলী যুগেও মানুষ এতে বিশ্বাস করত। জাহেলী অনেক কবির কবিতায় এমন বিশ্বাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কবি আনতারা তার প্রেমিকা আবলাকে লক্ষ্য করে বলেন,

তাক্বদীরঃ আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (২য় পর্ব)

তাক্বদীরঃ আল্লাহ্‌র এক গোপন রহস্য (২য় পর্ব)

তাক্বদীর কেন্দ্রিক প্রচলিত কিছু ভুল-ভ্রান্তি
আমাদের সমাজে কতিপয় ভুল-ভ্রান্তি প্রচলিত আছে, যেগুলি তাক্বদীরে বিশ্বাসের পরিপন্থী। এসব ভুল-ভ্রান্তি মানুষ কখনও কথায়, কখনও কাজে আবার কখনও বিশ্বাসে করে থাকে। তাক্বদীর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলাতে আমরা এ জাতীয় ২/১টি ভুল-ভ্রান্তির কথা উল্লেখ করেছি। নীচে প্রচলিত আরো এরূপ কতিপয় ভুল-ভ্রান্তি তুলে ধরা হলঃ
১. তাক্বদীর বিরোধী কথাবার্তা বলাঃ যেমন: বিপদাপদ এলে কেউ কেউ তাক্বদীরকে মেনে না নিতে পেরে বলে, হে আল্লাহ! আমি কি করেছি? অথবা বলে, আমি এমন ফলাফলের যোগ্য নই! অনুরূপভাবে কেউ কেউ কারো বিপদ এলে তার উদ্দেশ্যে বলে,

তাওহীদের বিশ্বাসঃ শিরক, কালিমা, তাবীজ-কবজ, সাফায়াত, পীর ও অন্যান্য সমুহ।


১ম অধ্যায়
তাওহীদ
১। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
“আমি জিন এবং মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (যারিয়াত . ৫৬)।
২। আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন,
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ (النحل: ৩৬)
“আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি। [তাঁর মাধ্যমে এ নির্দেশ দিয়েছি] তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, আর তাগুতকে বর্জন করো।” (নাহল: ৩৬)
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র এরশাদ করেছেন,
وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا (الإسراء: ২৩)
৩। “তোমার রব এ নির্দেশ দিয়েছেন যে তাঁকে ছাড়া তোমরা আর কারো ইবাদত করো না। আর মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো”। (ইসরা: ২৩)
৪। সূরা নিসাতে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,

তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি: আকীদার ব্যাপারে ৫০টি প্রশ্নোত্তর

তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি: আকীদার ব্যাপারে ৫০টি প্রশ্নোত্তর


তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি: আকীদার ব্যাপারে ৫০টি প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১: সেই তিনটি মূলনীতি কি যা জানা মানুষের উপর ফরয?
উত্তর: তা হল: কোনো বান্দা কর্তৃক তার রবকে, দ্বীনকে এবং নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম)কে জানা।
প্রশ্ন-২: আপনার রব বা প্রভু কে?

তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)- শিরকের ভয়াবহতা :

তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)


তাওহীদ ও ঈমান (১ম পর্ব)
হে মানব সকল! তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের ইবাদত কর যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, এতে তোমরা আল্লাহ ভীরু ও মুত্তাকী হতে পারবে। যিনি তোমাদের জন্যে ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন। আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্যে ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব তোমরা জেনে- শুনে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকেও সমকক্ষ করোনা। (সূরা বাকারা : ২১-২২)
১- তাওহীদ:

তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)- কিয়ামতের আলামতঃ

তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)



তাওহীদ ও ঈমান (২য় পর্ব)
কিয়ামতের আলামত
• কিয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান:
কিয়ামত কখন সঙ্ঘঠিত হবে এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ ব্যতীত আর কারো জানা নেই। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:

তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)-জাহান্নামের পরিপূর্ণ বিবরণ

তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)


১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
তাওহীদ ও ঈমান (৩য় পর্ব)
জাহান্নামের বিবরণ
জাহান্নাম হচ্ছে আযাবের আবাস যেটি মহান আল্লাহ তাআলা পরকালে কাফের, মুনাফেক এবং বদকার মুমিনদের জন্য তৈরী করেছেন।
এখানে আমরা আল্লাহ চাহেতো ধ্বংসের আবাস জাহান্নাম ও তার নানাবিধ শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করব। যাতে

১৫ টি গুরত্তপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পর্ব

গুরত্তপূর্ণ প্রশ্নোত্তর পর্ব


প্রশ্ন-উত্তর
বিসলিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সম্মানিত পিতা শাইখ  মুহাম্মদ সালিহ আল-‘উসাইমীনকে তাঁর মহামূল্যবান আলোচনার জন্য আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন। আল্লাহ তার ও তার ইলমের দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমকে উপকৃত করুন।
বাস্তবে আমাদের কাছে অনেক প্রশ্ন এসেছে। শাইখের সময় অনুপাতে আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর তার কাছে আশা করব। বাকী প্রশ্ন সম্মানিত পিতা অন্য কোনো আলোচনায় সময় পেলে হয়ত উত্তর দিবেন।
প্রথম প্রশ্ন: হে সম্মানিত শাইখ! আমি এক মসজিদের ইমাম; কিন্তু

কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত

কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সকল প্রশংসা আল্লাহর । সালাত-সালাম বর্ষিত হোক রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উপর। এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সাহাবী ও অনুসারীদের উপর।
কোরআন-সুন্নাহ ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা একথা প্রমাণিত যে, আল্লাহ তাআলাই হচ্ছেন দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বময় কর্তৃত্ব, রাজত্বের অধিকারী । সব কিছুর মালিকানা তাঁরই।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
বস্তুতঃ ইহকাল ও পরকাল আল্লাহরই। ( সূরা নাজম : ২৫)
জেনে রাখো, সৃষ্টি ও কর্তৃত্ব তাঁরই। ( সূরা আ’রাফ : ৫৪)
আকাশ ও জমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। ( সূরা বাকারা : ২৮৪)
বলো হে নবী,

কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ, শর্তসমূহ এবং ব্যক্তি ও সমাজ জীবন

الحمد لله رب العالمين و العاقبة للمتقين والصلاة و السلام على رسوله الأمين وعلى آله و صحبه أجمعين و بعد ،
বর্তমান পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ মানুষ মুসলিম হলেও প্রকৃত মুসলিম ও ঈমানদারের সংখ্যা উল্লেখিত অংকের যে বহুগুণ নীচে তা অস্বীকার করার উপায় নেই; কারণ অনেক লোক নামধাম দিয়ে ইসলাম ও ঈমানের দাবী করলেও প্রকৃত অর্থে তারা শির্কের বেড়াজাল থেকে নিজদের মুক্ত করতে পারেনি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

কালিমা মেনে চলার শর্তাবলী!!

কালেমা মেনে চলার শর্তাবলী!!


  1. “কালেমা” মেনে চলার শর্তাবলীএক : কালেমা তাইয়েবার অর্থ জানা। অর্থাৎ একালেমার দুটো অংশ রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে জানা।সে দুটো অংশ হলো:
  2. ১. কোন হক মা’বুদ নেই২. আল্লাহ ছাড়া (অর্থাৎ তিনিই শুধু মা’বুদ)
  3. দুই : কালেমা তাইয়েবার উপর বিশ্বাস স্থাপন করা।অর্থাৎ সর্ব-প্রকার সন্দেহ ও সংশয়মুক্ত পরিপূর্ণবিশ্বাস থাকা।
  4. তিন : কালেমার উপর এমন একাগ্রতা ও নিষ্ঠা রাখা, যাসর্বপ্রকার শিরকের পরিপন্থী।
  5. চার : কালেমাকে মনে প্রাণে সত্য বলে জানা,যাতে কোন প্রকার মিথ্যা বা কপটতা না থাকে।

১২ টি ঈমান/আকীদা সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর

ঈমান/আকীদা সম্পর্কীত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর

প্রিয় মুসলিম ভায়েরা, আকীদা বিষয়ক বারটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং কুরআন, সহীহ হাদীস ও বিশ্ববরেণ্য ওলামাগণের ফাতওয়ার আলোকে সেগুলোর উত্তর প্রদান করা হল। আমাদের বিশ্বাসকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং  সঠিক আকীদার উপর চলার জন্য এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা খুব জরুরী। আসুন, আমরা প্রশ্নগুলো পড়ি এবং সেগুলোর উত্তর জানার চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা, তিনি যেন আমাদেরকে পরিশুদ্ধ আকীদা ও বিশ্বাস সহকারে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করেন।
প্রশ্ন-১: আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য কারো নামে কি কসম বা শপথ করা যায়?

ইসলামে আধুনিকতাবাদ!!

ইসলামে আধুনিকতাবাদ!!


মূল: জামাল-আল-দীন জারাবযো ; লিখেছেন শায়খ
এনামুল হক, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ICD
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম; আস সালামু আলাইকুম
আধুনিকতাবাদ কি এবং এর উৎপত্তি
সমকালীন “আধুনিকতাবাদী আন্দোলন” [বা
Modernist Movement’’] যে দশর্নের অনুসারী,
সেই দর্শন আমাদের হিজরী ৩য় শতাব্দীর একটি
গোষ্ঠীর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই
গোষ্ঠীর নাম: মু’তাযিলা । যদিও

ইসলামী আকীদা বিষয়ক ৩৮ টি গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা

ইসলামী আকীদা বিষয়ক কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা


আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য
১। প্রশ্ন : আল্লাহ্‌ আমাদের কেন সৃষ্টি করেছেন?
১। উত্তর : আল্লাহ্‌ আমাদের সৃষ্টি করেছেন এ জন্য যে, আমরা তাঁর ইবাদত করব, তাঁর আনুহগত্য করব এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করব না। তিনি বলেন :
وَمَا خَلَقْتُ الَجِنَّ وَالإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُوْنِ
“আমি জ্বিন এবং মানব জাতি এজন্য সৃষ্টি করেছি যে, তারা শুধু আমার ইবাদত করবে।” সূরা আজ-জারিয়াত : ৫৬
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : “বান্দার উপর আল্লাহ্‌র হক হচ্ছে, তারা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
২। প্রশ্ন : ইবাদত বলতে কি বুঝায়?

১০ টি ইসলাম/ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়!

ইসলাম/ঈমান বিনষ্টকারী বিষয় সমুহ- Activity that destroy our eman

লেখক: মুহাম্মদ আব্দুর রব্ব আফ্ফান
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয় দশটি:
১। আল্লাহর ইবাদতে কোন কিছুকে শরীক করা:
আল্লাহ তাআলা বলেন:

ইসলাম বা ইমান বিনষ্টকারী ২৬ টি কারণ!

ইসলাম বিনষ্টকারী কারণসমূহ

ইসলামে এমন কিছু আমল আছে, তার কোনো একটিও যদি কোনো মুসলিম সম্পাদন করে তবে সে শিরক করল বলে বিবেচিত হবে। ফলে তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ীভাবে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। সেসব গুনাহ মহান আল্লাহ তওবা ব্যতীত ক্ষমা করেন না । নিম্নে সেগুলি বর্ণিত হল:
১। গাইরুল্লাহর নিকট দোআ করা। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন:

ইসলাম প্রচারক ভাই! প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন

ইসলাম প্রচারক ভাই! প্রথমে তাওহীদের দাওয়াত দিন

 ভূমিকা
সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর জন্য, আমরা তারই প্রশংসা করি, তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট আমাদের অন্তরসমূহের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি এবং খারাপ আমলের পরিণতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেবে তাকে গোমরাহ করার কেউ নাই আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করে তাকে সঠিক পথ দেখানোর কেউ নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্যিকার ইলাহ নাই। তিনি একক তার কোন শরিক নাই। আর আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

ইসলাম কটাক্ষ কারীর বিধান, ইসলামী শারীয়াহ, রাসুলুল্লাহ(সা) ও সাহাবীগণ


সাহাবা ও ইমামগণকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ

শিরোনাম:সাহাবা ও ইমামগণকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ
ভাষা:বাংলা
লেখক:সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান
অনুবাদক:মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
প্রকাশনায়:ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের মূলনীতি হলো রাসূল সা. এর সাহাবাদের ব্যাপারে তারা কোন খারাপ মন্তব্য করবেনা। প্রবন্ধে এ বিষয়টি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
For Download Click This Image–     / 


ইমান ও আকিদাহ সংক্রান্ত ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ

ইমান ও আকিদাহ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তরঃ প্রশ্ন-১: আল্লাহ্ ছাড়া অন্য  কারো নামে কি কসম বা শপথ করা যায়?  উত্তর: আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নাম  নিয়ে শপথ করা জায়েজ নয়।  নবী সাল্লাল্লাহু বলেন, সাবধান, নিশ্চয়  আল্লাহ্ পাক তোমাদেরকে তোমাদের  বাপ-দাদাদের নাম নিয়ে কসম  করতে নিষেধ করছেন। কেউ যদি কসম  করতে চায় তবে সে যেন আল্লাহ্র নাম  নিয়ে করে অন্যথা যেন নীরব থাকে।  (বুখারী ও মুসলিম)  আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত হয়েছে,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বলেন,

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল : গুরুত্ব ও তাৎপর্য  তাওয়াক্কুল কি? তাওয়াক্কুল আরবি শব্দ। এর অর্থ হল, ভরসা করা, নির্ভর করা। তাওয়াক্কুল আলাল্লাহ অর্থ হল: আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করা। ইসলামে আল্লাহ তাআলার উপর তাওয়াক্কুল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি একটি ইবাদত। তাই আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অন্য কারো উপর তাওয়াক্কুল করা যায় না। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য তাওয়াক্কুল নিবেদন করা যাবে না। মৃত বা জীবিত কোনো ওলীআল্লাহ, নবী-রাসূল, পীর- বুজুর্গের উপর ভরসা করা বা তাওয়াক্কুল রাখা শিরক। একজন

আল্লাহর অবস্থান বিবরণে আল কুরআন(আল্লাহ কোথায় আছেন)?

আল্লাহর অবস্থান বিবরণে আল কুরআন(আল্লাহ কোথায় আছেন)?


আল্লাহর অবস্থান বিবরণে আল কুরআন

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি মানব ও জিন জাতিকে তাঁর একত্বটা ঘোষণা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) উপর যিনি তাঁর উম্মতের কাছে আল্লাহর একত্বতার বিস্তারিত জ্ঞান বর্ণনা করে গেছেন। আরও সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার ও সাথীগণের উপর যারা তাঁর কাছ থেকে তাওহীদের সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।
অতঃপর

আল্লাহকে পেতে বা প্রিয় বান্দা হতে কি অন্যের মাধ্যম গ্রহণ করা লাগে?

আল্লাহকে পেতে বা প্রিয় বান্দা হতে কি অন্যের মাধ্যম গ্রহণ করা লাগে?


আল্লাহকে পেতে মাধ্যম গ্রহণ?

আল্লাহকে পেতে মাধ্যম গ্রহণ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করছি, তাঁর কাছেই সাহায্য চাচ্ছি। আর তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের মন্দ কৃতকর্ম, এবং আত্মার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় নিচ্ছি, আল্লাহ তা’আলা যাকে হিদায়াত করেন তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়াত করার কেউ নেই, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই,

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোথায় আছেন?আরশে নাকি সর্বত্রই বিরাজমান?

আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোথায় আছেন?আরশে নাকি সর্বত্রই বিরাজমান?


আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন?

আল্লাহ তাআলা আমাদের রর ও ইলাহ। একমাত্র তিনিই ইবাদত আরাধনার উপযোগী। সে হিসেবে তিনি কোথায় সে বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন আমাদের জন্য ওয়াজিব, যাতে আমরা তাঁর প্রতি একাগ্রচিত্তে ধাবিত হতে পারি, যথার্থরূপে ইবাদত-বন্দেগি পালনে সক্ষম হই।
আল্লাহ কোথায় আছেন?

আল্লাহ তাআলার ১৩ টি হক বা প্রাপ্য

আল্লাহ তাআলার হক বা প্রাপ্য পর্ব (১)আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের জলে-স্থলে,শরীরে ও দিগন্ত জুড়ে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্যনেয়ামতরাজি দ্বারা আবৃত করে রেখেছেন। তিনিএরশাদ করেন—‘তোমরা কি দেখ না আল্লাহ তাআলা নভোমন্ডল ওভূ-মণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তোমাদের কাজেনিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতিতার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ণকরে দিয়েছেন ?’ [১]অন্যত্র বলেন

আল্লাহ কোথায়?আরশে না সর্বত্রই বিরজমান ?

আল্লাহ কোথায়?আরশে না সর্বত্রই?


আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআতের সকল ইমামের অন্যতম আকীদা হচ্ছে মহান আল্লাহ আরশে আযীমে সমুন্নত। সাহাবায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনগণ এই আকীদাই পোষণ করতেন। কুরআনের সাতটি স্থানে আল্লাহ তাআ’লা উল্লেখ করেছেন যে তিনি আরশে আযীমের উপর সমুন্নত।
(১) আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

আল্লাহ কি নিরাকার ?

আল্লাহ কি নিরাকার ?

“যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান”। (জুমার ১৮)
“আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে রয়েছে। (সে কি তার সমান, যে এরূপ নয়) যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে। আল্লাহ উত্তম বাণী তথা কিতাব নাযিল করেছেন, যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত। এতে তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর,

আল ক্বুরআনে তাওহীদের বিষয়ে 9 নবীর ভাষণ!!

আল ক্বুরআনে তাওহীদের বিষয়ে 9 নবীর ভাষণ!! 


লেখক: ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃইউসুফ ইয়াসীন Printআল কুর’আনে তাওহীদের বিষয়ে ৯ নবীরভাষণশুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়,অতি দয়ালুহযরত নুহ আলাইহি সালাম“নিশ্চয় আমি নুহকে তার সম্প্রদায়ের প্রতিপাঠিয়েছি। সে বলল: হে আমার সম্প্রদায়,তোমরা আল্লাহর এবাদত কর। তিনি ব্যতীততোমাদের কোন উপাস্য নেই। আমিতোমাদের জন্যে একটি মহাদিবসের শাস্তিরআশঙ্কা করি”। [সুরা আরাফ,৭:৫৯]জবাবে তার সম্প্রদায় বললঃ“তার সম্প্রদায়ের সর্দাররা বলল:

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ