Tuesday, October 17, 2017
নারী বা মহিলার প্রসাধন ও অঙ্গসজ্জা কখন ও কিভাবে করবে?
মহিলাদের কোন কোন্ অঙ্গ দেখানো জায়েজ? কার সাথে কিভাবে পর্দা করতে হবে?
পর্দা কি ও কেন করতে হবে? ইসলামের সুসভ্য দৃষ্টিতে নারীর পর্দা ও সভ্য লেবাসের শর্ত গুলো কি কি?
নারী-পুরুষের নির্জনবাসের বিধান কি?
যৌনাচার ও ব্যাভিচার ভয়াবহতা!!
বিবাহ ও দাম্পত্য মুসলিমদের এক শুভ ও সুখদ সন্ধিক্ষণ, আবার অশুভ ও যন্ত্রণাপ্রদ সময়কালও। এই শুভাশুভ নির্বাচন করায় তারও হাত আছে। যেমন বিবাহ করা অর্ধ ঈমান। দাম্পত্য-জীবন তার অর্ধেক ধর্মীয় জীবন।
কোন ব্যক্তি তার পরিজনকে নামায পড়তে আদেশ করা সত্ত্বেও যদি তারা তার কথা না শোনে, তাহলে সে ব্যক্তি তাদের সাথে এক সংসারে বসবাস করবে, নাকি পৃথক হয় যাবে?
বেনামাযী কে ‘কাফের’ বলতে দোষ আছে কি?
বেনামাযী কে ‘কাফের’ বলতে দোষ আছে কি?
অমুসলিমদের সাথে মুসলিমদের ব্যবহার কেমন হবে?
হিজরত করা ওয়াজেব কখন?
কোন মুসলিম যদি ‘সব ধর্ম সমান’ কথায় বিশ্বাস রাখে, তাহলে সে কি মুসলিম থাকবে?
মূর্তিপূজা উপলক্ষে বসানো মেলা বা বাজার থেকে কোন বৈধ জিনিস ক্রয় করা কি অবৈধ?
মূর্তিপূজা উপলক্ষে বসানো মেলা বা বাজার থেকে কোন বৈধ জিনিস ক্রয় করা কি অবৈধ?
প্রয়োজনে কোন অমুসলিমকে কি মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে?
অমুসলিমদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করা বৈধ কি?
কোন অমুসলিমকে অনুদিত কুরআন অথবা যাতে কুরআনী আয়াত আছে এমন বই পড়তে দেওয়া বৈধ কি?
কার্যক্ষেত্রে কোন অমুসলিমের অফিস বা বাড়িতে নামাজ পড়া শুদ্ধ কি?
কোন অমুসলিম ইফতারি পার্টি দিলে তা খাওয়া বৈধ কি?
অমুসলিমের ঘরে পানাহার বৈধ কি ?
কাফেরদের কোন ধরনের সাদৃশ্য গ্রহণে দোষ আছে?
ক্রিসমাস ডে ও নববর্ষ এর আগমনে কাফেরদেরকে মুবারকবাদ দেওয়া যায় কি? যেহেতু ওরা আমাদের সাথে কাজ করে। ওরা যদি আমাদেরকে সম্ভাষণ জানায়, তাহলে ওদেরকে আমরা কিভাবে উত্তর দেব? এই উপলক্ষ্যে ওদের আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করা বৈধ কি? উক্ত বিষয়ে সমূহে কোন একটা করে ফেললে মানুষ গোনাহগার হবে কি? যদি সদ্ব্যবহার, চক্ষুলজ্জা বা সঙ্কোচ ইত্যাদি খাতিরে করা হয়? আর এ সবে ওদের অনুরূপ করা চলবে কি?
জিন ছাড়ানোর জন্য পশু পাখী জবেহ করা কি শরীয়ত সম্মত?
জাদু কাটানোর জন্য জাদু ব্যবহার বৈধ কি?
তামা অথবা লোহার বালা ব্যবহার করে আরোগ্য লাভের আশা করা বৈধ কি?
যে ইমাম সাহেব তাবীয লিখেন এবং তার বিনিময়ও গ্রহণ করেন, তার পিছনে নামায শুদ্ধ কি?
বদনজরের শরয়ী চিকিৎসা কি? কেউ খাওয়া দেখলে বদনজরের ভয়ে কিছু খাবার মাটিতে ফেললে কি উপকার হয়?
কেউ খাওয়া দেখলে বদনজরের ভয়ে কিছু খাবার মাটিতে ফেললে কি উপকার হয়?
যিনি ঝাড়ফুঁক করবেন, তার কি আলেম, ইমাম বা হুজুর হওয়া জরুরী?
থুথু দিয়ে মাটি ঘুলে ফোঁড়া বা ব্যথা ইত্যাদিতে লাগিয়ে চিকিৎসা বৈধ কি?
জিন ছাড়াতে কি আগুন ব্যবহার করা যায়?
কুরআনের আয়াত পাত্রে জাফরান দিয়ে লিখে তা পান করার মাধ্যমে আরোগ্যের আশা করা বৈধ কি?
অনুরূপ কাগজে লিখে পানিতে চুবিয়ে তা পান করার অনুমতিও। (সাফা)
তাবীয দিয়ে পয়সা খাওয়া কি হালাল?
কোন বালা মুসীবত বা জিনভুতের কবল থেকে বাঁচার জন্য তাবিয ব্যবহার করা বৈধ কি?
ঝাড়ফুঁক করে কি টাকা-পয়সা নেওয়া বৈধ?
ঝাড়ফুঁক করে কি পয়সা নেওয়া বৈধ?
পানি পড়া বৈধ কি না? পানি পাত্রে ফুঁক দিতে হাদিসে নিষেধ আছে, তাহলে পানি পড়তে ফুঁক দেওয়া কিভাবে বৈধ হতে পারে?
পানি পড়া বৈধ কি না? পানি পাত্রে ফুঁক দিতে হাদিসে নিষেধ আছে, তাহলে পানি পড়তে ফুঁক দেওয়া কিভাবে বৈধ হতে পারে?
কোন মুশরিক বা অমুসলিম এর কাছে ঝাড়ফুঁক করানো বৈধ কি?
কোন মুশরিক বা অমুসলিম এর কাছে ঝাড়ফুঁক করানো বৈধ কি?
কোন ব্যথা-বেদনা বা জালা-জন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার মানসে ঝাড়ফুঁক করা বা করানো কি বৈধ?
কোন ব্যথা-বেদনা বা জালা-জন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়ার মানসে ঝাড়ফুঁক করা বা করানো কি বৈধ?
শখের বসে কুকুর পোষা বৈধ কি ?
শিশুদের খেলার জন্য, মনোরঞ্জনের জন্য অথবা সৌন্দর্যের জন্য পিঞ্জারাবদ্ধ করে পাখি পোষা বৈধ কি?
পশুর দেহে বা কানে দাগ করে চিহ্ন দেওয়া জায়েজ কি না?
পশুর দেহে বা কানে দাগ করে চিহ্ন দেওয়া জায়েজ কি না?
প্রয়োজনের ভিত্তিতে দাগ করে চিহ্ন দেওয়া জায়েজ। মহানবী (সঃ) সদকার উটের দেহে এমন চিহ্ন দিয়েছেন। (বুখারি ১৫০২, মুসলিম ২১১৯ নং) তিনি ছাগলের কানেও দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। (বুখারি ৫৫৪২, মুসলিম ২১১৯, আহমাদ ১২৩৩৯, ইবনে মাজাহ ৩৫৬৫ নং) তিনি হজ্জের উটের কুজে দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। (বুখারি ১৬৯৪, ১৬৯৫ নং) তবে চেহারায় দাগা বা দাগ দেওয়া নিষেধ। (মুসলিম ২১১৭ নং)
বাড়িতে যে সব অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর প্রাণী, যেমন পিপড়া, আরশোলা, ছারপোকা ইত্যাদি থাকে, তা হত্যা করা বৈধ কি?
বাড়িতে যে সব অবাঞ্ছিত ও ক্ষতিকর প্রাণী, যেমন পিপড়া, আরশোলা, ছারপোকা ইত্যাদি থাকে, তা হত্যা করা বৈধ কি?
যে প্রাণী মানুষের জন্য ক্ষতিকর, তা মেরে ফেলা বৈধ। তবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নয়। যেহেতু “আগুনের মালিক (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারও জন্য সঙ্গত নয়।” (আবু দাউদ)
আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো লোকের অভ্যাস, কুরআন মজিদের পাতাও কি ঐভাবে উল্টানো যায়?
আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে বইয়ের পাতা উল্টানো লোকের অভ্যাস, কুরআন মজিদের পাতাও কি ঐভাবে উল্টানো যায়?
কুরআন মজিদ আল্লাহর কালাম, তা মুসলিমদের অত্যন্ত তা’যীমযোগ্য জিনিস। সুতরাং তাতে থুথু লাগানো বৈধ নয়। আমাদের কেউ যদি আঙ্গুলে থুথু লাগিয়ে অন্যের মুখে লাগিয়ে দেয়, তাহলে তাতে ঘৃণা প্রকাশ করতে দেখা যায়। অতএব এমন ঘৃণ্য আচরণ আল্লাহর কালামের সাথে করা আদৌ উচিৎ নয়।
কুরআন মজিদের পাতা ছিঁড়ে গেলে কি করা উচিত?
কুরআন মজিদের পাতা ছিঁড়ে গেলে কি করা উচিত?
কুরআন মজিদের ছেঁড়া পাতা পবিত্র জায়গায় দাফন করা উচিৎ। অথবা তা পুড়িয়ে তার ছাইও দাফন করা উচিৎ। যাতে আল্লাহর কালামে কোন প্রকার অমর্যাদা না হয়। কুরআন মজিদের পাতা পানিতে ফেলা উচিৎ নয়। কারণ তাতে অমর্যাদার আশঙ্কা আছে। আর নষ্ট হয়ে যাওয়া কুরআন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলাতে তার অমর্যাদা হয় না। এরূপ আমল সাহাবা কর্তৃক প্রমাণিত আছে। (লাজনাহে দায়েমাহ)
মুসলিম দোষ ঢাকার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গোপন করা বৈধ কি?
মুসলিম দোষ ঢাকার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গোপন করা বৈধ কি?
মুসলিমের দোষ ঢাকার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য গোপন করা বৈধ, যদি সেই গোপন করাতে সত্যের আপলাপ না হয়, নোংরা কাজ বৃদ্ধি না পায় এবং অপরাধী অপরাধে উদ্বুদ্ধ না হয়। নচেৎ সাক্ষ্য গোপন করা এবং সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করা বৈধ নয়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,
“যখন (সাক্ষ্য দিতে) ডাকা হয়, তখন যেন সাক্ষীরা অস্বীকার না করে।” (বাকারাহঃ ২৮২)
অর্থাৎ, তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না, বস্তুতঃ যে তা গোপন করে, নিশ্চয় তার অন্তর পাপময়। তোমরা জা কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত। (বাকারাহঃ ২৮২)
পক্ষান্তরে যারা হক ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এবং বাতিল ও অন্যায় নিপাতনের জন্য সাক্ষ্য দিতে ডাকার আগেই সাক্ষ্য দিতে চায়, তারাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ সাক্ষী। মহানবী (সঃ) বলেন, “তোমাদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ সাক্ষীর কথা বলে দেব না কি? যে চাওয়ার আগেই নিজের সাক্ষ্য নিয়ে উপস্থিত হয়।” (মুসলিম ১৭২০ নং)
কাফেররা উন্নত, আর মুসলিমরা অনুন্নত কেন?
কেউ স্বপ্নাদিষ্ট হোলে কি করবে?
কেউ স্বপ্নাদিষ্ট হোলে কি করবে?
আদেশ ভাল কাজের হলে পালন করবে এবং খারাপ কাজের হলে উপেক্ষা করবে। অবশ্য ভাল মন্দকে শরিয়তের মানদণ্ডে বিচার করতে হবে।
ঘুমের ঘোরে যে সব স্বপ্ন দেখা যায়, তা কি সত্যি হতে পারে?
দ্বীনের কোন কোন দাঈ দ্বীন মানতে ও মানাতে আবেগের সাথে কঠোরতা ও অতিরঞ্জন প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে দ্বীনের নির্দেশ কি?
দ্বীনের কোন কোন দাঈ দ্বীন মানতে ও মানাতে আবেগের সাথে কঠোরতা ও অতিরঞ্জন প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে দ্বীনের নির্দেশ কি?
দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন করা বৈধ নয়। আবেগ থাকা ভাল, তবে শরিয়তের লাগাম থাকা জরুরী। নচেৎ তার গতিবেগ তুফান তুলে সর্বনাশ ও সন্ত্রাস আনায়ন করতে পারে। এ জন্যই মহান আল্লাহ দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন।
“হে গ্রন্থধারিগন! তোমরা ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া মিথ্যা বলো না।” (সুরা নিসাঃ১৭১)
“বল, ‘হে ঐশী গ্রন্থধারিগন! তোমরা তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করো না এবং যে সম্প্রদায় ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে ও অনেকে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না।’ (সুরা মাইদাহঃ ৭৭ আয়াত)
অনুরূপ তিনি দ্বীন দুনিয়ার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করতেও নিষেধ করেছেন। তিনি তার নবী (সঃ) ও মুমিন বান্দাগণকে আদেশ দিয়ে বলেছেন,
“অতএব তুমি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছ, সেইভাবে সুদৃঢ় থাক এবং সেই লোকেরাও যারা (কুফরি হতে) তওবা করে তোমার সাথে রয়েছে, আর সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় তিনি তোমাদের কার্যকলাপ সম্যকভাবে প্রত্যক্ষ করেন। (সুরা হুদ ১১২ আয়াত)
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন করা থেকে দুরে থাকো। কারণ দ্বীনের ব্যাপারে অতিরঞ্জন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেদের ধ্বংস করেছে।।” (আহমাদঃ ১৮৫৪, ইবনে মাজাহ ৩০২৯ নং, হাকেম প্রমুখ)
মহানবী (সঃ) দ্বীনের দাঈদেরকে বলেছেন, “তোমরা সহজ কর, কঠিন কর না। সুসংবাদ দাও, বীতশ্রদ্ধ করো না। পরস্পর মেনে মানিয়ে চল, মতবিরোধ করো না।” (বুখারি ৩০৩৮, মুসলিমঃ ৪৫২৬ নং)
“নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।” (বুখারি)
মহান আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, “অতঃপর নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হলে অংশীবাদীদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে বন্দি কর, অবরোধ কর এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওত পেতে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামাজ পরে ও জাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (তওবাহঃ ৫) “ আর যেখানে পাও, তাদেরকে হত্যা কর এবং যেখান থেকে তোমাদেরকে বহিষ্কার করেছে, তোমরা সেখান থেকে তাদেরকে বহিষ্কার কর।” (বাকারাহঃ ১৯১) এ সবের মানে কি কুরআন আমাদেরকে অমুসলিমদেরকে হত্যা করতে বলেছে?
না, তার মানে এই নয় যে, মুসলিমরা সুযোগ পেলেই অমুসলিমদের যেখানে পাবে, সেখানেই হত্যা করবে। বরং উক্ত নির্দেশগুলি সাময়িক ভাবে দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধ চলাকালীন পরিস্থিতিতে বিশেষ আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এ আদেশ সকল সময়ের জন্য নয়। মহান আল্লাহ পূর্বাপর উক্তি একটু ভালভাবে লক্ষ করলে বুঝা যাবে যে, তা সাময়িক ছিল। যেমন মহান আল্লাহ বলেছেন “যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তোমরাও আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, তবে বাড়াবাড়ি (সীমালঙ্ঘন) করো না, নিশ্চয় আল্লাহ বাড়াবাড়ি কারীদেরকে পছন্দ করে না।” (বাকারাহঃ১৯০) “ যদি তারা তোমাদের নিকট হতে পৃথক না হয় (যুদ্ধ না করে) , তোমাদের নিকট সন্ধি প্রার্থনা না করে এবং তাদের হস্ত সংবরণ না করে, তাহলে তাদেরকে যেখানে পাও, সেখানেই গ্রেফতার করে হত্যা কর। আর এই সকল লোকের বিরুদ্ধেই আমি তোমাদেরকে স্পষ্ট আধিপত্য দান করছি।” (নিশা ৯১)
তা যদি না হত, তাহলে পৃথিবীতে অমুসলিম নিধন করা হত এবং যে দেশে মুসলিম আধিপত্য পরিপূর্ণ ছিল, সে দেশে কোন অমুসলিমকে জীবিত রাখা হত না।
তাছাড়া জানতে হবে যে, মহান সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য কাফের নিধন নয়, উদ্দেশ্য হল তাদের হিদায়াত। এ জন্য অংশীবাদীদের ব্যাপারেই পরবর্তী নির্দেশে বলা হয়েছে,
“আর অংশীবাদীদের মধ্যে কেউ তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করলে তুমি তাকে আশ্রয় দাও, যাতে সে আল্লাহর বানী শুনতে পায়। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দাও। তা এ জন্য যে তারা অজ্ঞ লোক।” (তওবাহঃ ৬)
বলা বাহুল্য, মুসলিম বিদ্বেষীরা যেভাবে কুরআন বুঝে, সেভাবে মুসলিমরা বুঝে না । আর তার জন্যই মুসলিম জাতি ও তাদের কুরআনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে প্রয়াস পায় এবং সেই সাথে নিজেদের বেওকুফির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কিভাবে করা যাবে?
মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কিভাবে করা যাবে?
কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ হবে অস্ত্র শস্ত্রের মাধ্যমে। কিন্তু মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ হবে ইলম ও বয়ানের মাধ্যমে। মহান আল্লাহ বলেন, “হে নবী! তুমি কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের প্রতি কঠোর হও। তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম এবং তা কত নিকৃষ্ট ঠিকানা। (তাওবাহঃ ৭৩, তাহরীমঃ ৯)
মহানবী (সঃ) মুনাফিকদের জানা চেনা স্বত্বেও তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রয়োগ করেননি। কারণ তা করা হলে কাফেররা বলতো যে, মুহাম্মাদ নিজের সঙ্গী সাথীদের হত্যা করেছে।
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা না করলে কি কোন মুসলিম শাসককে ‘কাফের’ বলা যাবে?
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা না করলে কি কোন মুসলিম শাসককে ‘কাফের’ বলা যাবে?
আল্লাহর বিধানকে যারা নিজেদের জীবন সংবিধান বলে মেনে নেয় না, তাদের মনে মগজে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সেই কারণ অনুসারে নির্ণীত হবে তাদের মন।
যে ধারনা করে যে, ইসলামী বিধান এ যুগে অচল এবং মানব রচিত বিধানই বর্তমান মানব সভ্যতার জন্য অধিক উপযোগী ও উত্তম, এর ফলে সে ইসলামী বিধান উপেক্ষা করে ইসলাম পরিপন্থী আইন প্রণয়ন করে, সে কাফের।
যে ধারনা করে যে, ইসলামী বিধানই সর্বযুগের জন্য উত্তম ও উপযোগী। কিন্তু সেচ্ছাচারিতাবসে স্বরচিত আইন প্রয়োগ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, সে যালেম।
আর যে শাসক ধারনা করে যে, ইসলামী বিধানই সর্বযুগের জন্য উত্তম ও উপযোগী। কিন্তু কোন চাপে সে তা প্রয়োগ করতে পারে না অথবা গদি টিকিয়ে রাখার জন্য সে তা প্রয়োগ করতে চায় না, সে ফাসেক।
মহান আল্লাহ বলেন,
“ সুতরাং তোমারা মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর এবং আমার আয়াত নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফের।’ (মায়িদাহঃ ৪৪)
আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই অত্যাচারী। (মায়িদাহঃ ৪৪)
ইঞ্জিল ওয়ালাদের উচিৎ, আল্লাহ ওতে (ইঞ্জিলে) যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে বিধান দেওয়া। আর যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে বিধান দেয় না, তারাইপাপাচারী। (মায়িদাহঃ ৪৭)
সতর্কতার বিষয় যে, নিয়ত বিচার না করে কাউকে কোন অপবাদ দেওয়া এবং সেই অনুসারে কারো বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচার চালানো সাধারণ মানুষের কাজ নয়।
মুসলিম দেশে মানব রচিত আইন দ্বারা পরিচালিত মুসলিম শাসককে সরিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কিভাবে কায়েম হবে?
মুসলিম দেশে মানব রচিত আইন দ্বারা পরিচালিত মুসলিম শাসককে সরিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র কিভাবে কায়েম হবে?
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম হবে মুসলিম জনজাগরণে মাধ্যমে। মুসলিমরা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, আকিদাহ পরিশুদ্ধ করবে, নিজের পরিবার পরিবর্গকে সঠিক ইসলামী তরবিয়ত দেবে, তবেই ইসলাম কায়েম হবে। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে।” (রা’দঃ ১১)
উলামাগন বলেন, ‘তোমরা তোমাদের হৃদয়ে হৃদয়ে ইসলাম কায়েম কর, তোমাদের রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে।’ অন্যথা সন্ত্রাস, পশ্চিমী গনতন্ত্র ইত্যাদি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার শরয়ী পদ্ধতি নয়।
সুফী পন্থি মুসলিম কি হক পন্থি? ‘সুফী’ কেন বলা হয়?
সুফী পন্থি মুসলিম কি হক পন্থি? ‘সুফী’ কেন বলা হয়?
সুফীপন্থিরা হকপন্থি নয়। কারন তাদের আকিদাহ সহিহ নয়। তাদের আকিদা ও আমল, দুয়া ও দুরদ শিরক ও বিদআতে ভর্তি। তাদের অনেকের দাবি যে, মসজিদে নববিতে মহানবী (সঃ) এর খিদমতে যে সকল সাহাবা আসহাবে সুফফাহ নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন, তাদের প্রতি সম্পর্ক জুড়েই ‘সুফী’ বলা হয়। কিন্তু এ কথা ঠিক নয় কারণ তা হলে তাদেরকে ‘সুফী’ না বলে ‘সুফফি’ বলা হত। কেউ বলেছে, সাফওয়াহ’র দিকে সমৃদ্ধ করে ‘সুফী’ বলা হয়। এ কথাও ঠিক নয়। কারণ তা হলে তাদেরকে ‘সুফী’ না বলে ‘সাফাবি’ বলা হত। তাছাড়া তাদের হৃদয় মন সাফ নয় বরং শিরক ও বিদআতে পরিপূরণ। সঠিক কথা এই যে, তারা যে লেবাস পরত, সাধারনতঃ তা ‘সুফ’ দ্বারা তৈরি হত। এক জন্য সেই দিকে সম্বন্ধ করে তাদেরকে ‘সুফী’ বলা হয়। ভাষাগত ভাবে এটাই সঠিক। (লাজনাহে দায়েমাহ)
ধর্ম নিরপেক্ষ বাদী কি মুসলিম থাকতে পারে?
ধর্ম নিরপেক্ষ বাদী কি মুসলিম থাকতে পারে?
উক্ত প্রশ্নটি ‘নির্দল কি কমিউনিস্ট পার্টির লোক’ - এর মতো। যে নির্দল, সে কোন দলের হতে পারে না। অবশ্য নির্দল কোন নির্দিষ্ট দল হলে হতে পারে। অনুরূপ ধর্ম নিরপেক্ষ বা ধর্মহীন যে, সে মুসলিম থাকতে পারে না। বরং কোন ধর্মেরই হতে পারে না। তবে ধর্মহীন মানবতাবাদী হতে পারে। এ হল আসল অর্থে। অবশ্য যদি কেউ ইসলামে বিশ্বাস রেখে ‘রাজনীতিতে ধর্মের স্থান নেই’ বলে, তাহলে তার বিধান ভিন্ন। কিন্তু সে যদি ‘সব ধর্ম সমান’ বলে, তাহলে সে মুসলিম থাকতে পারে না। কারন মহান আল্লাহ বলেন,
“নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর নিকট (একমাত্র মনোনীত) ধর্ম।” (আলে ইমরানঃ ১৯)
যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম অন্বেষণ করবে, তার পক্ষ হতে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না। আর সে হবে পরলোকে ক্ষতিগ্রস্তদের দলভুক্ত । (আলে ইমরানঃ ৮৫)
শতধা বিচ্ছিন্ন দলে দলে বিভক্ত মুসলিম সমাজে নব আলোকপ্রাপ্ত মুসলিম বা নও মুসলিমরা কোন দলে সামিল হবে?
শতধা বিচ্ছিন্ন দলে দলে বিভক্ত মুসলিম সমাজে নব আলোকপ্রাপ্ত মুসলিম বা নও মুসলিমরা কোন দলে সামিল হবে?
মহানবী (সঃ) বলেছেন, “ইয়াহুদি একাত্তর দলে এবং খ্রিস্টান বাহাত্তর দলে দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে। আর এই উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে। যার মধ্যে একটি ছাড়া বাকি সব কটি জাহান্নামে যাবে।” অতঃপর ওই একটি দল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেন, “তারা হল জামাআত, যে জামাআত আমি ও আমার সাহাবা যে মতাদর্শের উপর আছি তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” (সুনান আরবাআহ, মিশকাত ১৭১-১৭২। সিলসিলাহ সহিহাহ ২০৩, ১৪৯২ নং)
সুতরাং নব আলোকপ্রাপ্ত মুসলিম বা নও মুসলিমরা সেই দলে বা জামাআতে শামিল হবে, যে দলে নবী (সঃ) ও তার সাহাবাদের মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে। সব দলের দাবি একই হলে, জ্ঞান ও বিবেককে কাজে লাগিয়ে সঠিক দল অনুসন্ধান করা ওয়াজেব। যে দল সবার কথার উপর নবী (সঃ) এর কথাকে প্রাধান্য দেয়, যে দল কোন মাজহাবী তাকলিদে ফাঁসে না, কোন বুজুর্গের তাজিম ও তাকলিদে বাড়াবাড়ি করে না, সে দল কোন বিদআত ও বিদআতিকে প্রশ্রয় দেয় না, যে দল কোন শিরকের মৌন সমর্থনও করে না, যে দল গদির লোভে পাশ্চাত্য রাজনীতির গড্ডালিকা স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয় না, যে দল কিতাব ও সহিহ সুন্নাহর উপর আমল করে, কোন জাল জইফ হাদিসকে ভিত্তি করে আমল করে না ইত্যাদি। আর নিদর্শন আছে সেই হক পন্থি দলের, জ্ঞানী ও উদার মানুষের তা চিনতে ভুল হয় না। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“ যারা তাগুতের পূজা হতে দুরে থাকে এবং আল্লাহর অনুরাগী হয়, তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার দাসদেরকে--- যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তারই অনুসরণ করে। ওরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।” (সূরা জুমার ১৭-১৮ আয়াত)
সাম্প্রতিক পোষ্ট
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...
জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ
-
যৌন উত্তেজনার সময় পানির মতো আঠালো যে তরল পদার্থ বের হয়, তা কি নাপাক? একে “মাযী” বলে। আর তা নাপাক। তা বের হলে উযূ নষ্ট হয়ে যায়। শরমগাহ...
-
গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি? গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন...
-
মনোমালিন্য ‘‘সংসার সাগরে দুঃখ-তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা।’’ কিন্তু সেই ভেলা ডুবে গেলে আর কার কি সাধ্য? স্বামী যদি স্...
-
আপন মামাত, খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোন, চাচী, মামি, স্ত্রীর বোন বা ভাবীর সাথে মুসাফাহাহ বৈধ কি? যার সাথে পু...
-
*সূরা বাকারা ও সূরা আলে-ইমরানের ফজিলত গুলি কি কি? এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থঃ ✔1-রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ...
-
কথা বলার ব্যপারে "ইসলামে"র শিক্ষা কি? ====== ১। কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। সূরা নূরঃ ৬১ ২। সতর্কতার সাথে কথা বলা। (কে...
-
কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিস্কার। তাকে আমি মা, খালা, অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাঁর সাথে মেলা-মেশা করতে অসুবিধা ...
-
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১৫টি অসাধারন হাদিস- *১-গীবত থেকে দূরে থাকা- আসমা বিনতে ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি তার (মুসলি...
-
# দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি ? ---------------------------------------------------------------------- কিছু পাপ আছে যা বান্দার মা...
-
প্রশ্ন:নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া কি জায়েজ ? =============================== উত্তর : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালা...