Sunday, January 7, 2018

সফর মাস ও আখেরী চাহার শোম্বা বিষয়ক বিদা’আত

সফর মাস ও আখেরী চাহার শোম্বা বিষয়ক বিদা’আত

লেখকঃ ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর | সূত্রঃ বই- হাদীসের নামে জালিয়াতি
সফর মাসকে কেন্দ্র করে অনেক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা মুসলিম সমাজে প্রচলিত হয়েছে। এমনকি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও এই মাসের ‘ফজিলতের’ কথা লেখা হয়।  এগুলিকে আমরা তিন ভাগে বিভক্ত করতে পারি। প্রথমত, সফর মাসের ‘অশুভত্ব’ ও ‘বালা মুসীবত’ বিষয়ক, দ্বিতীয়ত সফর মাসের প্রথম তারিখ বা অন্য সময়ে বিশেষ সালাত, তৃতীয়ত, আখেরী চাহার শোম্বা বা সফর মাসের শেষ বুধবার বিষয়ক।

সফর মাসের ‘অশুভত্ব’ ও ‘বালা মুসীবত’

শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান

শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রদান করেছেন পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন বিধান। এরশাদ হচ্ছে : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ﴿ المائدة : ৩﴾ আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম আমার নেয়ামত ; তোমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম মনোনীত ও পছন্দ করলাম। (সূরা মায়েদা : ৩) অপর স্থানে এরশাদ হয়েছে : أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ﴿ الشورى:২১﴾ তাদের কি আল্লাহর সমকক্ষ শরিক-দেবতা আছে ?—যারা তাদের জন্য আল্লাহকে পাশ কাটিয়ে এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি তিনি প্রদান করেননি ?’ শুরা-২১। হাদিসে এসেছে

শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপন, শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি


শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপন, শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

শবে বরাত সম্পর্কে বিশ্ব বরেণ্য আলেম শায়খ আবদুল আযীয আবদুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ এর প্রবন্ধ –
حكم الاحتفال بليلة النصف من شعبان للشيخ عبد العزيز بن عبد الله بن باز رحمه الله
‘মধ্য শাবানের রাত উদযাপনের বিধান’ এর সার-সংক্ষেপ তুলে ধরব। তার এ প্রবন্ধে অনেক উলামায়ে কিরামের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেনঃ

শাবান মাস: সুন্নত উপেক্ষিত বিদ’আত সমাদৃত

শাবান মাস: সুন্নত উপেক্ষিত বিদ’আত সমাদৃত

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রাণ প্রিয় ভাই, রামাযানুল মোবারকের প্রস্তুতির মাস শাবান আমাদের মাঝে উপস্থিত। এ মাসে আমাদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। রয়েছে কিছু বর্জনীয়। এ বিষয়টি নিয়েই আজকের এই পোস্টের অবতারণা। এতে মোট ৭টি বিষয় আলোচিত হয়েছে। যথা:
১) শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে বর্ণিত সহীহ হাদীস সমূহ।
২) শাবান মাসের পনের তারিখের ব্যাপারে একটি হাদীস পর্যালোচনা ও তার শিক্ষা।
৩) শাবান মাস সম্পর্কে কতিপয় প্রচলিত জাল ও যঈফ হাদীস|
৪) কুরআন কোন রাতে অবর্তীণ হয়? শাবান মাসের শবে বরাতে নাকি রামাযান মাসের শবে কদরে?
৫) শবে বরাত উদ্‌যাপন করা বিদআত।
৬) শাবান মাসে প্রচলিত কতিপয় বিদআত।
৭) সারাংশ।

১) শাবান মাসে নফল রোযা রাখা সম্পর্কে বণির্ত সহীহ হাদীস সমূহ:

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত 
সীমাহীন প্রজ্ঞার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তা আলা কিছু মাস ও দিবসকে অন্যান্য মাস ও দিবসের উপর মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। উদ্দেশ্য সৎ কর্ম সম্পাদনে মানুষের প্রেরণা উৎসাহে নতুন মাত্রা সংযোগ করা। অধিক মাত্রায় আমলে সালেহ করে উৎকর্ষ সাধনের পথ সুগম করা। তবে মানব ও জিন জাতির দুষ্টচক্র আল্লাহর বান্দাদেরকে সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে সদা সক্রিয়। তাইতো অবস্থান নিয়েছে সম্ভাব্য সকল পথে যা কিছু উত্তম তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে। আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির মৌসুম অসার কর্ম, আয়েশ আস্বাদন, প্রবৃত্তিচর্চা ও অযাচিত সুখ উপভোগের উপযুক্ত সময় হিসেবে উপস্থাপন করে।
পরিচ্ছন্ন হৃদয় তবে ধর্ম বিষয়ে জাহিল, অথবা স্বার্থলুব্ধ ব্যক্তি ,

শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ

শবে বরাতঃ সঠিক দৃষ্টিকোণ

শবে বরাতের মত একটি বিষয় নিয়ে কিছু লেখার কি প্রয়োজন ছিল? আমি এর কৈফিয়ত স্বরূপ কিছু কথা না বলে পারছিনা।
(এক) গত ৪/১২/১৯৯৮ ইংরেজী তারিখে আমি গাজীপুরের একটি মাসজিদে জুমু‘আর খুতবাহ ও আলোচনায় শবে বরাত সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। আলোচনা শেষে উপসি’ত মুসল্লীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকে বলেছেন ঃ “শবে বরাত সম্পর্কে এমন স্পষ্ট কথা আগে কোথাও শুনিনি।” আবার অনেকে “যতসব নুতন নুতন মাসালা” আখ্যায়িত করে আমার আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করলেন। সেখানে উপসি’ত ছিলেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, লেখক ও গবেষক আবুল বাশার মুহাম্মাদ ইকবাল (রহঃ)। তিনি আমাকে বললেন ঃ

শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদ’আতের উদাহরণ

শবে বরাত উপলক্ষে প্রচলিত কতিপয় বিদ’আতের উদাহরণ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রিয় ভাই, আর ক’দিন পরই আমাদের সমাজে মহাসমারোহে পালিত হবে শবে বরাত। সে দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হবে। হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধুম পড়ে যাবে। অনুষ্ঠিত হবে মিলাদ মাহফিল ও জিকিরের মজলিস। সেই সাথে মুর্হুমূহু আতশবাজিতে কেঁপে কেঁপে উঠবে শবে বরাতের রাতের আকাশ। আরও দেখা যাবে মসজিদের আঙ্গিনাতে যাদের পদ যুগল পড়ত না সে রাতে তারাই আতর-সুগন্ধি মেখে টুপি-পাঞ্জাবী পরে মসজিদের প্রথম কাতারে মুসল্লী সেজে অবস্থান করছে আর বিশেষ কিছু এবাদত-বন্দেগী করে মনে করবে জীবনের সব গুনাহ মাফ হয়ে গেছে। তারপর দিন সকাল থেকে লিপ্ত হবে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম,

রজব মাসের বেদআত : শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

রজব মাসের বেদআত : শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

রজব মাস পালন, তার ফজিলত, তাতে রোজা রাখা-ইত্যাদি বিষয়ে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই, এই সময়ের একটি বহুল উচ্চারিত প্রশ্ন। বিষয়টি খুবই তাৎক্ষণিক, তাই আমি এ মাসের সাথে সম্পর্কিত কিছু আহকাম বিষয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব, আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।
রজব : হারাম মাসের একটি

রজব মাস: এ সব বিদ’আত দূর হওয়া আবশ্যক

রজব মাস: এ সব বিদ’আত দূর হওয়া আবশ্যক


আলোচ্য সূচী:
১) ভূমিকা
২) রজব মাসকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোন ইবাদত করার কথা কি হাদীসে বর্ণিত হয়েছ?
৩) রজব মাস সম্পর্কে কয়েকটি দুর্বল হাদীস।
৪) রজব মাস সম্পর্কে কয়েকটি জাল হাদীস।
৫) রজব মাসকে কেন্দ্র করে নামায, রোযা, ইতিকাফ ইত্যাদি ইবাদত করা।
৬) সালাতুর রাগায়েব এর বিদআত।
৭) শবে মেরাজ পালন করার বিদআত।
তাহলে আসুন, আমরা ধারাবাহিকভাবে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনায় প্রবৃত্ত হই।

রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَيَخْتَارُ (القصص:68)
আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। (সূরা কাসাস : ৬৮)
অর্থাৎ স্বীয় সৃষ্ট বস্তু হতে কিছু মনোনীত করেন, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার ঘোষণা দেন। যেমন তিনি মনোনীত করেছেন কয়েকটি দিন, কয়েকটি মাস ; সম্মান, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা প্রদান করেছেন, অন্য সব দিন ও মাসের উপর। এরশাদ হচ্ছে –

মুহাররম মাসঃ সুন্নাত ও বিদআত

মুহাররম মাসঃ সুন্নাত ও বিদআত

মুহররম মাসঃ সুন্নাত ও বিদআত
মুহররম মাসের ফযীলতঃ
১) প্রখ্যাত সাহাবী আবু বাকরা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: আল্লাহ তাআলা আসমান সমূহ এবং যমিন সৃষ্টির দিন যে আকৃতিতে সময়কে সৃষ্টি করেছিলেন সেটা আবার তার নিজস্ব কৃতিতে ফিরে এসেছে। বরং এবং বারো মাসে এক বছর। তম্মধ্যে চারটি মাস অতি সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক। সেগুলো হল: যুল কা’দাহ (যিলকদ), যুল হিজ্জা (যিলহজ্জ) এবং মুহাররম এবং আরেকটি হল মুযার সমপ্রদায়ের রজব মাস যা জুমাদাল ঊলা এবং শাবানের মধ্যেখানে রয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
২) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত,

মুহররম মাসে শিয়া সম্প্রদায়ের মাতম বিষয়ক বিদ’আত

মুহররম মাসে শিয়া সম্প্রদায়ের মাতম বিষয়ক বিদ’আত

(পর্ব : ১)
মুহররম মাসে রাফিযী[১] সম্প্রদায়ের শোক প্রকাশে বিদয়াতি কাণ্ড
মুহররম মাসের দশম দিবস, যে দিবস আশুরা নামে পরিচিত, আল্লাহ তা-আলা হুসাইন বিন আলী বিন আবুতালিব – রাদিয়াল্লাহু আনহুমা- কে শহীদের মর্যাদা দান করেছিলেন. এটা হয়েছিল হিজরি ৬১ সনে . শহীদ হওয়া ছিল আল্লাহর পক্ষ হতে তার উঁচু সম্মান ও মর্যাদার বিষয়, কারণ তিনি এবং তার ভাই হাসান জান্নাতি যুবকদের নেতা. সুউচ্চ মাকাম- সম্মান অর্জিত হয় পরীক্ষা দ্বারা. নবী ―সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ―প্রশ্ন করা হয়েছিল―

মুহররম ও আশুরার ফজিলত:

মুহররম ও আশুরার ফজিলত:
মুহররম, একটি মহান বরকতময় মাস। হিজরি সনের প্রথম মাস । এটি ‘আশহুরে হুরুম’ তথা হারামকৃত মাস চতুষ্টয়ের অন্যতম। আশহুরে হুরুম সম্বদ্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِنْدَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنْفُسَكُمْ ﴿36﴾[التوبة:36].
নিশ্চয় মাসসমূহের গণনা আল্লাহর কাছে বার মাস আল্লাহর কিতাবে, (সেদিন থেকে) যেদিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্য থেকে চারটি সম্মানিত, এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহে নিজদের উপর কোন জুলুম করো না।{সূরা তাওবা:৩৬}
সাহাবি আবু বাকরাহ রা. নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী বলেন,

মাহে শাবান ও শবে বরাতঃ করণীয় ও বর্জনীয়

মাহে শাবান ও শবে বরাতঃ করণীয় ও বর্জনীয়

হিজরী সনের ৮ম মাস হচ্ছে শাবান মাস। তার পরই আসে বছরের শ্রেষ্ঠ রামাযান মাস। সে হিসেবে মুসলিমের জীবনে এ মাসের যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। দীর্ঘ টানা একমাস তাকে সিয়াম সাধনা করতে করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন মানসিক, শারিরিক ও আর্থিক প্রস্তুতি। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানে প্রস্তুতি স্বরূপ অন্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে বেশী বেশী নফল রোযা রাখতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ

পহেলা এপ্রিল : মুসলিম উম্মাহর শোকের দিন

পহেলা এপ্রিল : মুসলিম উম্মাহর শোকের দিন

আর নয় এপ্রিল ফুল; সময় এসেছে সচেতন হওয়ার

ইউরোপে মুসলমানরা প্রবেশ করেছিলেন স্পেনের দরজা দিয়ে। ঐতিহাসিক রবার্ট ব্রিফল্ট দি ম্যাকিং অব হিউম্যানিটি গ্রন্থে মুসলমানদের এ প্রবেশকে অন্ধকার কক্ষের দরজা দিয়ে সূর্যের আলোর প্রবেশ বলে অভিহিত করেছেন। কেন এই তুলনা? রবার্ট ব্রিফল্টের জবাব হলো—‘যেহেতু স্পেনে মুসলমানদের আগমনের ফলে শুধু স্পেন নয়, বরং গোটা ইউরোপ মুক্তির পথ পেয়েছিল এজ অব ডার্কনেস তথা হাজার বছরের অন্ধকার থেকে। এজ অব ডার্কনেস সম্পর্কে রবার্ট ব্রিফল্টের মন্তব্য হলো

*প্রশ্ন: সূরা ইয়াসীন, আর রহমান, আল ওয়াকিয়া ও সূরা আল ফাতহ পড়ার ফযীলত কি?*

*প্রশ্ন: সূরা ইয়াসীন, আর রহমান, আল ওয়াকিয়া ও সূরা আল ফাতহ পড়ার ফযীলত কি?*
উত্তর:
*❒ সূরা ইয়াসীন:*
সূরা ইয়াসীন এর ব্যাপারে কতিপয় হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সে সব হাদীসের মধ্যে কোনটাতে সূরা ইয়াসীনকে ‘কুরআনের হৃতপিণ্ড’ বলা হয়েছে, কোনটাতে বলা হয়েছে, এটি একবার পাঠ করলে দশবার কুরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যাবে, কোনটাতে মৃত শয্যায় শায়িত ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়সীন পাঠ করা কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর মধ্যে একটিও সহীহ নয়। কোনটি বানোয়াট আর কোনটি সামান্য যঈফ বা দুর্বল।
*❒ সূরা আর রহমান ও সুরা ওয়াকিয়াহ:*
সূরা আর রাহমান কে

পহেলা এপ্রিল

পহেলা এপ্রিল

নাহমাদুহু ওয়া নুসাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ,
এপ্রিল মাসে আমাদের দেশে দুটি দিবস পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা এপ্রিল এবং পহেলা বৈশাখ বা ১৪ই এপ্রিল। পহেলা এপ্রিল বাংলায় ‘‘এপ্রিল ফুল’’ নামে পরিচিত। এখানে ফুল অর্থ ইংরেজী ফুল অর্থাৎ বোকা, হাবা বা নির্বোধ। ইংরেজিতে বলা হয়: April Fools’ Day or All Fools’ Day. এদিনে ‘‘প্র্যাকটিক্যাল জোক’’ বা বাস্তব বা ব্যবহারিক তামাশার নামে একে অপরকে মিথ্যা বলে ঠকানো হয়ে থাকে। এ উপলক্ষ্যে পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে নানা রকম উৎসবের ব্যবস্থা করা হয়।

এপ্রিল ফুলের রহস্য বুঝতে আমাদের মানব ইতিহাসের কয়েকটি তথ্য জানতে হবে।

৩২টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস,নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়ার সুযোগ দেন।♦

৩২টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস,নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়ার সুযোগ দেন।
**********************************************
১। আমার কথা (অন্যদের কাছে) পৌছিয়ে দাও, তা
যদি একটি আয়াতও হয়। (সহীহ বুখারীঃ ৩২১৫)
২। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির
মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটকুই যথেষ্ঠ যে, সে যা শোনে (যাচাই ব্যতীত) তাই বলে বেড়ায়।
(সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা, অনুচ্ছেদ -৩)
৩।রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি
মিথ্যা আরোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।
(দেখুন সহীহ বুখারীঃ ১০৭,১০৯,১০৯,১১০,১১১ 
সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দামা)
৪।পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্ সন্তুষ্ট আর
পিতা-মাতার অসন্তুষ্টে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট।
(তিরমিযী, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৭১০)

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ