Wednesday, February 7, 2018

শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?

শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?

 
 

শির্কের হাকিকত ও তার প্রকারসমূহ কি?
 
প্রশ্ন: আমি প্রায় পড়ি “এটা বড় শির্ক ওটা ছোট শির্ক”, কিন্তু বিষয়গুলো আমার নিকট স্পষ্ট নয়, আপনি কি আমাকে শির্কের হাকিকত এবং ছোট ও বড় শির্কের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট করে বলবেন? এ ফতোয়ায় তারই উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
 
উত্তর:
আল-হামদুলিল্লাহ,
মুসলিম হিসেবে প্রত্যেকের জন্যই শির্কের অর্থ, ভয়াবহতা ও তার প্রকারসমূহ জানা ফরয ও অবশ্য জরুরি, তবেই তার তাওহীদ পরিপূর্ণ, ইসলাম নিরাপদ ও ঈমান বিশুদ্ধ হবে। অতএব আল্লাহর উপর ভরসা করে বলছি, তিনি আপনাকে তার হিদায়েতের তাওফিক দান করুন।
জেনে রাখুন, শির্কের আভিধানিক অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা, অর্থাৎ কাউকে অপরের অংশীদার বানানো। সাধারণত দু’জনের মাঝে কোনো বস্তু বণ্টন করা হলে বলা হয়: أشرك بينهما ‘সে তাদের উভয়ের মাঝে শরীক করেছে’, অথবা বলা হয়: أشرك في أمره غيره ‘সে তার বিষয়ে অপরকে অংশীদার করেছে’, যখন বিষয়টি দু’জনের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
শরীয়তের পরিভাষায় শির্ক:

শির্কের পরিচয় ও পরিণতি

শির্কের পরিচয় ও পরিণতি

sunsetআল্লাহ তা‘আলা বলেন: “বলুন, হে জাহেল সম্প্রদায় তোমরা কি আমাকে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদাত করতে আদেশ করছ? (৬৪)। নিশ্চয়ই আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি ওয়াহী করা হয়েছে, যদি আপনি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করেন তাহলে আপনার যাবতীয় কর্ম নষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনি অবশ্যই তিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন (৬৫)। অতএব আপনি আল্লাহরই ইবাদাত করুন এবং কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত থাকুন (৬৬)। তারা আল্লাহকে যথার্যরূপে বুঝে মর্যাদা দিতে পারেনি, কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি পুত ও পবিত্র এবং তারা যে শির্ক করে তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে (৬৭)। (সূরা যুমার)
আয়াত সমূহ অবতরণের প্রোপট:

মেয়ে শিশুর চমৎকার ৫২৮ টি ইসলামিক নামের বাংলা অর্থ= 528 Sweet Baby Girls Islamic Names With Bangla Meanings

মেয়ে শিশুর চমৎকার ৫২৮ টি ইসলামিক নামের বাংলা অর্থ

========================================== 
১.আফরা = অর্থ = সাদা
২.সাইয়ারা = অর্থ = তারকা
৩.আফিয়া =অর্থ = পুণ্যবতী
৪.মাহমুদা = অর্থ = প্রশংসিতা
৫.রায়হানা = অর্থ = সুগন্ধি ফুল
৬.রাশীদা = অর্থ = বিদুষী
৭.রামিসা = অর্থ = নিরাপদ
৮.রাইসা =অর্থ = রাণী
৯.রাফিয়া = অর্থ = উন্নত
১০.নুসরাত = অর্থ = সাহায্য

 
১১.নিশাত = অর্থ = আনন্দ

শির্ক আসল কিভাবে?

শির্ক আসল কিভাবে?

আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি জিন ও
মানব জাতিকে আমার এবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি। (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬) সুতরাং আল্লাহ তাআলা মানুষকে
তাওহীদসহ প্রেরণ করেছেন। তাওহীদ তাদের সৃষ্টিগত স্বভাবের সাথে সামঞ্জস্যশীল। আর শির্ক উহার
ভিতরে নতুনভাবে অনুপ্রবেশ করেছে মাত্র। রাসূল (সাঃ) বলেনঃ

শিরকের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

শিরকের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ undefinedশিরকের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ শিরকের সংজ্ঞা: রব ও ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সহিত আর কাউকে শরীক সাব্যস্ত করার নামই শিরক।অধিকাংশ ক্ষেত্রে উলুহিয়াত তথা ইলাহ হিসাবে আল্লাহর সাথে শরীক করা হয়। যেমন আল্লাহর সাথে অন্য কারো নিকট দোয়া করা কিংবা বিভিন্ন প্রকার ইবাদাত যেমন যবেহ, মান্নাত, ভয়, আশা, মহব্বত ইত্যাদির কোন কিছু গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা।নিম্নলিখিত কারণে শিরক সবচেয়ে বড় গোনাহ হিসাবে বিবেচিত:১. এতে ‘ইলাহ’- এর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যে খালেক তথা সৃষ্টিকর্তার সাথে মাখলুক তথা সৃষ্ট বস্তুর তুলনা করা হয়। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করলো, সে প্রকারান্তরে তাকে আল্লাহর অনুরূপ ও সমকক্ষ বলে স্থির করলো। আল্লাহ বলেন,

শিরক-বিদ’আতের সর্বগ্রাসী ছোবল থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে হবে

শিরক-বিদ’আতের সর্বগ্রাসী ছোবল থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করতে হবে

মুসলমানদের জীবনে তাওহীদ হচ্ছে সর্বপ্রথম জিনিষ যা জানা ও বোঝা সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে বড় ফরয। তাওহীদের বাস্তবায়নের মাঝেই ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি নিহিত। তাওহীদ বিহীন কোন আমলই গ্রহণীয় নয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদাহ হচ্ছে এই যে, তারা আল্লাহ, তাঁর সমুদয় ফিরিস্তা, তাঁর ঐশী গ্রন্থাবলী, সকল রাসূল, আখিরাত এবং তাকদীরের ভালমন্দের উপর ঈমান রাখে। তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহই একমাত্র রব, ইলাহ এবং মা‘বুদ। পূর্ণাংগ কামালিয়াতের দ্বারা তিনি একক বৈশিষ্টের অধিকারী। তাই নিষ্ঠার সাথে একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করতে হবে। তাওহীদ তিনটি শাখায় বিভক্ত:

১) প্রথম শ্রেণীর তাওহীদ হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলার একত্বকে দৃঢ়তার সাথে মেনে নেয়া। আল্লাহই সকল বস্তুকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন। বিশ্বে যা কিছু আছে এবং পুরা বিশ্ব জগতের তিনি একক স্রষ্টা, প্রতিপালক এবং রক্ষাকারী। এবং এসব সৃষ্টির প্রতি তার কোন মুখাপেক্ষিতা নেই।
২) তাওহীদ আল আসমা ওয়াস সিফাত হচ্ছে,

মুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মুর্তি পূজা করবে!!

মুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মুর্তি পূজা করবে!!


সালাতসাওমতাওবাতাওহীদআশূরাইলমতাগুতমনীষী চরিতসাক্ষাৎকারArticle Read : 760 TimesSubject Category : আকিদামুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মূর্তিপূজা করবেলেখক: ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফ ইয়াসীন Printমুসলিম উম্মাহর কিছু সংখ্যক লোক মূর্তিপূজা করবে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন,“আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে কিতাবেরকিছু অংশ দেয়া হয়েছে?তারা ‘জিবত’ [প্রতিমা] এবং ‘তাগুত্কে বিশ্বাস করে এবং কাফেরদেরকে বলে যে, এরামুসলমানদের তুলনায় অধিকতরসরল সঠিক পথে রয়েছে”। (নিসাঃ৫১)আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন, “বলো, [হে মুহাম্মদ] আমি কি সে সবলোকদের কথা জানিয়ে দেবো? যাদের পরিণতি আল্লাহর কাছে [ফাসেক লোকদেরপরিণতি] এর চেয়ে খারাপ। তারা

মানুষের তৈরি আইন, মতবাদ দ্বারা আল্লাহর আইন ও দ্বীনের প্রতিস্থাপন!!

মানুষের তৈরি আইন, মতবাদ দ্বারা আল্লাহর আইন ও দ্বীনের প্রতিস্থাপন!!


লেখক: ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফ ইয়াসীন Printমানুষের তৈরী আইন, মতবাদ দ্বারা আল্লাহর আইন ও দ্বীনের প্রতিস্থাপনআল্লাহর আইনের বিরোধিতা করে মানুষের তৈরীকৃত আইনের (গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ,——) সমর্থনের সাথে জড়িত থাকা হারাম, কুফর এবং শিরকআল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালা) মানুষের অস্তিত্বের কারণটি পরিস্কারভাবে বর্ণনা করেবলেছেনঃ “আমি জ্বিন ও মানুষকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করি নাই, কেবল এই জন্যসৃষ্টি করিয়াছি যে, তাহারা আমার ইবাদত করিবে।” (সূরা আয-যারিয়াত ৫১: ৫৬) ইহা তখনই পরিপূর্ণতা লাভকরবে যখন আমরা আমাদের সকল কার্যক্রম ও সমস্যাবলীয় সমাধানের জন্য শরীয়াহআইনের কাছে দারস্থ হব এবং সেই আইনগুলো প্রয়োগ করব।আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

মানুষ কিভাবে মানুষের রব হয়ে যায়?

মানুষ কিভাবে মানুষের রব হয়ে যায়?


ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফইয়াসীন Printমানুষ কিভাবে মানুষের রব হয়ে যায়যে শিরোনাম দিয়ে আমি লেখাটি শুরু করেছি, তাশুনে হয়তো আপনি আশ্চর্য হচ্ছেন। আসলেইতো! মানুষ আবার মানুষের ‘রব’ হয় কি করে? আমরাতো জানি ‘রব’ একমাত্র আল্লাহ তা’আয়ালা। অথচ তিনিনিজেই বলেছেন -“তারা তাদের সণ্যাসী ও ধর্মযাজক (পীর,নেতৃস্থানীয় লোকদেরকে) আল্লাহরপরিবর্তে ‘রব’ বানিয়ে নিয়েছে—–।” (সূরা তওবা ৯:৩১)অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’আয়ালা তাঁর নবীকেদাওয়াতী পদ্ধতি শিক্ষা দিতে গিয়েও বলেছেন -“বলো (হে নবী), ‘হে আহলে কিতাবরা! এসোএমন একটি কথার ওপর আমরা একমত হই,

ভ্রান্ত তাবিজ-কবচ

ভ্রান্ত তাবিজ-কবচ

ভ্রান্ত তাবিজ-কবচ
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের ঘটনা প্রবাহের জন্য সঙ্গত কারণ বা মাধ্যম নির্ধারণ করেছেন। আবার কখনো কখনো এ সমস্ত কারণ ও মাধ্যমকে তিনি পরিহার করেছেন। যাতে করে মানুষ এসব কিছুকে তাদের রব বা প্রতিপালক মনে না করে। এবং তিনি এ সমস্ত কারণ ও ঘটনা প্রবাহকে এমন এক অমোঘ নিয়মে বেঁধে দিয়েছেন যার ফলে কোন কিছুই বৃথা যাবার নয় । সালাত ও সালাম ঐ রাসূলের উপর যাঁকে তিনি সমস্ত জগতের জন্য রহমত করে প্রেরণ করেছেন, যাতে করে সকলই তাঁর প্রিয় হতে পারে। অতঃপর, আল্লাহ এ বিশ্ব জগতকে অনস্তিত্ব থেকেই সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি একে তাঁর ইচছা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে যেভাবে চান সেভাবেই পরিচালনা করেন এবং তিনিই তাঁর সৃষ্টির সকল বস্তুকে একটির উপর অপরটির অস্তিত্ব বিন্যাস করেছেন, আর এ কারণেই একটি বস্তুকে অপরটির জন্য কারণ বা মাধ্যম বানিয়েছেন ।
পূর্বেকার মুশরিকরা আল্লাহকে এই পৃথিবীতে পরিপূর্ণ ক্ষমতা, পরিচালনা, পরিকল্পনা এবং সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করত।

প্রশ্নঃ পুরুষের জন্য সিল্ক /রেশমী, হলুদ ও লাল কাপড় পড়া নিষেধ কেন?


প্রশ্নঃ পুরুষের জন্য সিল্ক /রেশমী, হলুদ ও লাল কাপড় পড়া নিষেধ কেন?
______________________________________________
উওরঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হলুদ,লাল রঙ্গ ও রেশমি পোশাক পুরুষদের জন্য হারাম, বিস্তারিত হাদিস দেখুনঃ ঈদ উপলক্ষে ছেলেদের পোশাকের দোকানগুলোতেই ভীড় কম থাকে না।তবে পোশাকের ব্যাপারে আমাদের একটু সচেতন হওয়া দরকার।পছন্দের তালিকার শীর্ষে স্থান পায় সিল্কের পাঞ্জাবী।ছোট থেকে বড়, বড় থেকে বুড়ো সব বয়সের পুরুষদের প্রায়ই দেখা যায় সিল্কের পাঞ্জাবী পরতে। কিন্তু আমরা হয়ত জানি বা না জেনে সিল্কের পোষাকের দিকে ঝুকি।কিন্তু পুরুষের জন্য তো সিল্ক হারাম করা হয়েছে।আলী (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) আমাকে একজোড়া রেশমী কাপড় দিলেন।আমি তা পরিধান করলাম। তার মুখমণ্ডলে গোস্বার ভাব দেখতে পেয়ে আমি আমার মহীলাদের মাঝে তা ভাগ করে দিয়ে দিলাম।বুখারিঃ২৬১৪ ইঃফাঃ২৪৩৯ আহমাদঃ ১১৭১ আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি,

বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা

বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা
১.ভূমিকা
ঈমান হচ্ছে একজন মুসলিমের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাওহীদ ও একত্ববাদ হচ্ছে এই ঈমানের মূল ভিত্তি। আর শির্ক ও বিদ‘আত হচ্ছে এই মূল ভিত্তি বিধ্বংসী। আমাদের দেশে এই ভয়াবহ শির্ক সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার বড় অভাব। সেজন্য সমগ্র সমাজে রয়েছে শির্কের ছড়াছড়ি। অনেক ক্ষেত্রে বিদ‘আত বলে শির্ককে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়। এর কারণ হলো শির্ক ও বিদ‘আত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা। মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশটিকে শির্ক ও বিদ‘আত মুক্ত করার গুরু দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। আর এ জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন শির্ক ও বিদ‘আত সম্পর্কে অস্বচ্ছ ধারণা। সেই প্রেক্ষাপটে এখানে বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক ও বিদ‘আত সম্পর্কে একটি পর্যালোচনা তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
২.শির্কের পরিণতি

প্রশ্নঃ তাবীজ লটকানো, রিং, তাগা পরিধান করা, হাতে লোহা বা রাবারের আংটা লাগানো, সুতা, পুঁতির মালা বা অনুরূপ বস্তু ব্যবহারের হুকুম কি?

প্রশ্নঃ তাবীজ লটকানো, রিং, তাগা পরিধান করা, হাতে লোহা বা রাবারের আংটা লাগানো, সুতা, পুঁতির মালা বা অনুরূপ বস্তু ব্যবহারের হুকুম কি?
উত্তরঃ উপরোক্ত জিনিষগুলো ব্যবহার করা হারাম। নিন্মে রেফারেন্স সহ দলীল সমূহ পেশ করা হল:
1)     নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
 (من علق شيئا وكل إليه)
“যে ব্যক্তি কোন জিনিষ লটকাবে, তাকে ঐ জিনিষের দিকেই সোপর্দ করে দেয়া হবে”।[১]
2)    কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন লোক পাঠিয়ে বলে দিলেন যেঃ
أَنْ لاَ يَبْقَيَنَّ فِي رَقَبَةِ بَعِيرٍ قِلاَدَةٌ مِنْ وَتَرٍ أَوْ قِلاَدَةٌ إِلاَّ قُطِعَتْ
 “কোন উটের গলায় ধনুকের রশি বা গাছের ছাল দিয়ে তৈরী হার ঝুলানো থাকলে অথবা যে কোন মালা থাকলে সেটি যেন অবশ্যই কেটে ফেলা হয়।”[2]
3)    নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহারের বিধান কি ?

তাবিজ ও তাবিজ জাতীয় বস্তুর ব্যবহার
এ শিরোনামের অধীন চারটি বিষয়
আলোচনা করব:
ক. ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ,
খ. কুরআন-হাদিসের তাবিজ,
গ. তাবিজ ঝুলানো কোন প্রকার শিরক,
ঘ. চিকিৎসা পদ্ধতি, শরয়ী ঝাড়-ফুঁক ও
তাবিজের পার্থক্য।
ইসলামের দৃষ্টিতে তাবিজ
ইমরান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু ‘আনহু
থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তির
হাতে তামা/ স্বর্ণের
আংটি দেখে বললেন,

তাগুতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা

তাগুতের সংক্ষিপ্ত আলোচনা

লেখক: ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফ ইয়াসীন Printতাগুত – সংক্ষিপ্ত আলোচনাএ-কথা জানা প্রয়োজন যে,আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির উপর সর্ব প্রথম যা ফরজ করেছেনতা হচ্ছে তাগুতের সাথে কুফরি এবং আল্লাহর উপর ঈমান।আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “আর নিশ্চয়ই আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রাসূল পাঠিয়েছি এ কথাবলে যে, তোমরা শুধু আল্লাহর উপাসনা কর এবং তাগুতকে পরিত্যাগ কর।” [সূরা আন-নাহল: ৩৬]তাগুতের সাথে কুফরির ধরণ হলো : আল্লাহ ছাড়া অন্য সবকিছুর উপাসনা (ইবাদত) বাতিল বলেবিশ্বাস করা, তা ত্যাগ করা, ঘৃণা ও অপছন্দ করা, এবং যারা তা করবে তাদের অস্বীকার করা, তাদেরসাথে শত্রুতা পোষণ করা।আর আল্লাহর উপর ঈমানের অর্থ হলো : আল্লাহ তা‘আলাই কেবলমাত্র হক উপাস্য ইলাহ,অন্য কেউ নয়

তাগুত কি এবং এর প্রকারভেদ?

তাগুত কি এবং এর প্রকারভেদ?


লেখক: ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফ ইয়াসীন Printতাগুত কি ও এর প্রকারভেদতাওহীদের মৌলিক উপাদান (রুকন) তথা ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﻟﻠﻪ ‘র মৌলিক উপাদানরুকন হচ্ছে এমন বিষয়, যার অনুপস্থিতিতে অন্য একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি অপরিহার্য হয়েউঠে। রুকন অবশ্যই মূল বিষয়টির অন্তর্গত হওয়া চাই। যেহেতু রুকন কোন জিনিসেরআভ্যন্তরীণ বা ভেতরের বিষয়, সেহেতু শুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি এর উপর নির্ভরশীল। অতএবকোন জিনিসের রুকন ব্যতীত তা সহীহ বা শুদ্ধ হয় না। রুকন কি জিনিস, এটা জানার পরআপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, যে তাওহীদ আল্লাহ তায়ালা আপনার ওপর ওয়াজিব করেদিয়েছেন, সে তাওহীদেরও সালাতের মতোই রুকন আছে। সালাত যেমন তার রুকন যথা-তাকবীরে তাহরিমা, র€কু, সেজদা, শেষ বৈঠক ইত্যাদি আদায় করা ব্যতীত শুদ্ধ হয় না,কোনো ব্যক্তি যদি সালাতের কোনো রুকন বাদ দেয় তাহলে তার সালাত যেমন ভাবেবাতিল হয়ে যায়, তেমনি ভাবে কোনো ব্যক্তি যদি তাওহীদের কোনো একটি রুকন বাদদেয়, তাহলে

জাহেলী যুগের শিরকের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের সামন্জস্য!!

জাহেলী যুগের শিরকের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের সামন্জস্য!!
আমাদের দেশের অসংখ্য মুসলিমদের বিশ্বাস, কর্ম ও অভ্যাসের মাঝে প্রচলিত যে সবশির্কী কর্মকাণ্ডের কথা আলোচিত হয়েছে, আশা করি এর দ্বারা চিন্তাশীল পাঠক মহলেরনিকট এর সাথে জাহেলী যুগের মানুষের বিশ্বাস, কর্ম ও অভ্যাসের কী পরিমাণ মিল বা অমিলরয়েছে, তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। এর পরেও বিষয়টি যাতে সর্ব সাধারণের নিকটসম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যায় সে জন্যে নিম্নে উভয় সময়ের শির্কী কর্মকাণ্ডেরএকটি তুলনামূলক বর্ণনা ছক আকারে প্রদান করা হলো :জাহেলী যুগের বিশ্বাস, কর্ম ও অভ্যাসবাংলাদেশেরঅধিকাংশমুসলিমদেরবিশ্বাস, কর্মওঅভ্যাস১ গণক ও কাহিনদের ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস১ গণক, টিয়া পাখি ও বানরের মাধ্যমে ভাগ্য জানার চেষ্টা করা২ আররাফদের গায়েব সম্পর্কীয় কথায় বিশ্বাস২ জিন সাধকদের গায়েব সম্পর্কীয় কথায় বিশ্বাস৩ জ্যোতিষদের ভাগ্য সম্পর্কীয় কথায় বিশ্বাস৩ প্রফেসর হাওলাদার ও অন্যান্য জ্যোতিষদের ভাগ্য সম্পর্কীয় কথায় বিশ্বাসআমাদের নাবী ও ওলিগণ গায়েব জানেন

জাদুকর্ম, জ্যোতিষ ও দৈবকর্ম এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান

জাদুকর্ম, জ্যোতিষ ও দৈবকর্ম এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
অনুবাদকের কথা
জীবনের সর্বক্ষেত্রেই আল্লাহ্‌র নির্দেশ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুসরণ করে চলার মধ্যেই দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। এ ছাড়া আর সকল মতের ও সকল পথের অনুসরণের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে অমঙ্গল ও অশান্তির বীজ। জাদুকর্ম, দৈবকর্ম ও জ্যেতিষকর্ম চর্চা করা – যার মাধ্যমে মানুষের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জানতে পারার দাবি করা হয় এবং বিপদাপদ ও রোগ ব্যাধি দূর করা যায় বলে ধারণা করা হয় – এ সবই ইসলামী শরী‘আতে সুস্পষ্ট ভাবে হারাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের বিরোধী। অথচ এসব কাজ চর্চার মাধ্যমে এক-শ্রেণির মানুষ জনসাধারণকে রোগের চিকিৎসা,

গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু) ইবাদতের দিকেআহ্বান কারী শয়তান!!

গাইরুল্লাহর (আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু) ইবাদতের দিকেআহ্বান কারী শয়তান!!তাগুতের সবচেয়ে বড় নেতা হচ্ছে শয়তান।এর প্রমাণ আল্লাহ তায়ালার নিন্মোক্ত বাণীঃ “হেআদম সন্তান গণ!আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানেরইবাদত করোনা,কেননা, সে তোমাদের প্রকাশ্যদুশমন।” (ইয়াসীন: ৬০)শয়তান দুই প্রকার- মানুষ শয়তান এবং জ্বিন শয়তান।আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছিমানুষের রবের, মানুষের মালিকের, মানুষের ইলাহর।আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে।যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে। জিনেরমধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে ।”জ্বিন শয়তান এবং মানুষ শয়তান তাদের কর্মেরকারণে এ শ্রেনীর তাগুতের অন্তর্ভূক্ত হতেপারে।আল্লামা আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আবা-বাতীন(রহঃ) বলেন,

কোন বস্তুকে কুলক্ষনে মনে করা শিরক!!

কোন বস্তুকে কুলক্ষনে মনে করা শিরক!!


রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘’কোন বস্তুকে কুলক্ষন মনে করা শিরক। আল্লাহ বলেন- মনে রাখ তাদের অলক্ষণ যে, আল্লাহরই এলেমে রয়েছে, অথচ এরা জানে না। [সুরা আরাফ: ১৩১] সহীহ মুসলীম, হাদীস নং- ৫৫ আবু তাহির ও হারমালা ইবন ইয়াহইয়া (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । (এ হাদীস সে সময়ের) যখন রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করলেনঃ সংক্রামক ব্যাধি, ক্ষুধায় পেট কামড়ানো কীট (বা সফর মাসের অগ্রপশ্চাৎকরণ) ও পাখির কুলক্ষণ বলে কিছু নেই । তখন এক বেদুঈন আরব বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা)! তা হলে সে উট পালের অবস্হা কি, যা কোন বালূকাময় ভূমিতে থাকে যা নিরোগ, সবল । তারপর সেখানে পাচড়া আক্রান্ত (কোন) উট এসে তাদের মাঝে ঢুকে পড়ে তাদের সবশুলিকে পাঁচড়ায় আক্রান্ত করে দেয়?

ইসলামের দৃষ্টিতে রাশিচক্র

ইসলামের দৃষ্টিতে রাশিচক্র

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
আগেও উল্লেখ করা হয়েছে যে জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা শুধু হারামই নয় একজন জ্যোতিষবিদের কাছে যাওয়া এবং তার ভবিষ্যদ্বাণী শোনা, জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর বই কেনা অথাব একজনের কোষ্ঠী যাচাই নিষেধ। যেহেতু জ্যোতিষশাস্ত্র প্রধানত ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যারা এই বিদ্যা চর্চা করে তাদের জ্যোতিষী বা গণক বলে গণ্য করা হয়।
ফলস্বরূপ, যে তার রাশিচক্র খোঁজে সে রাসূল (সা) প্রদত্ত বিবৃতির রায়ের অধীনে পড়েঃ
হাফসা (রাঃ) কর্তৃক বর্নিত, রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।” [Sahih Muslim, English trans, vol. 4, p.1211, no, 5540]
এমনকি জ্যোতিষের বক্তব্যের সত্যতায় সন্দিহান হওয়া সত্ত্বেও একজনের শুধু তার কাছে যাওয়া এবং প্রশ্ন করার শাস্তি এই হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যদি কেউ জ্যোতিষ-সংক্রান্ত তথ্যাদির সত্য মিথ্যায় সন্দিহান হয়,তবে সে আল্লাহর পাশাপাশি অন্যরাও হয়তো অদৃশ্য এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানে বলে সন্দেহ পোষণ করে। এটা এক ধরনের শিরক।
কারণ আল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেনঃ

আল্লাহর নামে কোনো কসম বা শপথ ভংগ করলে কাফফার কিভাবে দিতে হবে?

আল্লাহর নামে কোনো কসম বা শপথ ভংগ করলে কাফফার কিভাবে দিতে হবে?
কসম করার বিধানের মধ্যে রয়েছেঃ প্রথমত, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ
করা বা কসম করা শিরক ও কুফর। তাই কখনো শপথ করলে একমাত্র আল্লাহর নামেই করতে হবে। নিজের মাথা, বুকে বা শরীর ছুঁয়ে, সন্তানদের কসম করে, বিদ্যা, মাটির নামে বা এইগুলো ছুঁয়ে কসম করা – এইসবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হারাম।
দ্বিতীয়ত, কসম করলে অবশ্যই জায়েজ কোনো কাজের জন্য করতে হবে। হারাম কোনো কাজের জন্য কসম করা জায়েজ নয়, আর করলেও সেই কসম রক্ষা করা যাবেনা। বরং হারাম কসম ভংগ করে কাফফারা দিতে হবে।
এখন কেউ যদি কোনো কসম করেন এবং সেটা ভেঙ্গে ফেলেন এর পরিবর্তে তাকে
কাফফারা দিতে হবে। আর কাফফারা দিলে তিনি কসম করার আগের অবস্থায় ফিরে
যাবেন।
যেমন,

আমাদের সমাজে প্রচলিত শিরক -১

শিরকের ভয়াবহ পরিণতি:
“আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করার অপরাধ অবশ্যই ক্ষমা করবেন না, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে কম (অপরাধ) ক্ষমা করে দেন।” (সূরা আন নিসা, ৪ : ৪৮)
“যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে কিছু শরিক না করে মারা যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যাক্তি   আল্লাহর সাথে কিছু শরিক করা অবস্হায় মারা যাবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (মুসলিম-৯৩)
প্রচলিত শিরকপূর্ণ ধ্যান-ধারণা ও রীতি:

আমাদের সমাজে প্রচলিত শিরক -২

জ্যোতিষশাস্ত্র, ভাগ্যগণনা:
ভাগ্যগণনার ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আল্লার রাসূল (সা:) বলেছেন:
“কেউ যদি কোন ভাগ্যগণনাকারীর কাছে যায় এবং তার নিকট কোন কিছু জানতে চায়, তবে ঐ ব্যাক্তির সালাত ৪০ দিন এবং রাত পর্যন্ত কবুল হবে না।” (মুসলিম)
এ বিধান শুধুমাত্র একজন ভাগ্যগণনাকারীর নিকট কৌতুহলবশতঃ যাওয়ার জন্য। অবশ্য এরপরও ঐ ব্যক্তিকে ৪০ দিন পর্যন্ত সালাত আদায় করে যেতে হবে,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ