Friday, November 17, 2017

নামাজ জমা বিষয়ক অন্যান্য জরুরী মাসায়েল

জমা বিষয়ক অন্যান্য জরুরী মাসায়েল


জ্ঞাতব্য যে, ত্বরান্বিত জমা (তাক্বদীম) অপেক্ষা (কষ্ট না হলে) বিলম্বিত (তা’খীর) জমাই উত্তম। এ ছাড়া যখন যার জন্য যেমন সুবিধা তার জন্য সেই জমাই উত্তম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৬১-৫৬৪) অবশ্য প্রথম অক্তে জমা না করলে সে সময়ে জমার নিয়ত জরুরী। নচেৎ, জমার নিয়ত ছাড়া বিনা ওযরে কোন নামাযকে যথাসময় থেকে পার করে দেওয়া হারাম। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৫৭৪)
বলা বাহুল্য, প্রথম অক্তে জমার নিয়ত না রেখে সময় পার হওয়ার পর পরের ওয়াক্তের সাথে জমার নিয়ত সহীহ নয়। বরং

অন্য কোন অসুবিধার কারণে নামায জমা

অন্য কোন অসুবিধার কারণে নামায জমা


ভয় বা বৃষ্টি ছাড়াও অন্য কোন বড় অসুবিধার কারণেও দুই নামাযকে জমা করে পড়া বৈধ। উপর্যুক্ত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস সে কথাই ইঙ্গিত করে।
এ ছাড়া বুখারী ও মুসলিম শরীফের একটি যৌথ বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, মহানবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশাকে জমা করে পড়েছেন। (বুখারী ৫৪৩, মুসলিম, সহীহ)
আব্দুল্লাহ বিন শাকীক বলেন, একদা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) আসরের পর আমাদের মাঝে বক্তব্য রাখলেন। এই অবস্থায় সূর্য ডুবে গেল এবং আকাশে তারা ফুটে উঠল। আর লোকেরা বলতে লাগল, ‘নামাযের সময় হয়ে গেছে, নামাযের সময় হয়ে গেছে।’
বনী তামীমের এক ব্যক্তি ‘নামায, নামায’

বৃষ্টি-বাদলে নামায জমা করে পড়া

বৃষ্টি-বাদলে নামায জমা


বৃষ্টি-বাদলের দিনে কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ভিজে যাওয়ার আশঙ্কায় বারবার মসজিদ আসতে মুসল্লীদের কষ্ট হবে বলেই সরল শরীয়তে সে সময়ও দুই নামাযকে এক সাথে জমা করে পড়ে নেওয়ার অনুমতি দান করেছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, ‘মহানবী (সাঃ) মদ্বীনায় যোহ্‌র ও আসর এবং মাগরেব ও এশাকে জমা করে পড়েছেন।’ (এক বর্ণনাকারী) আইয়ুব (আবুশ শা’ষা জাবেরকে) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সম্ভবত: বৃষ্টির সময়?’ উত্তরে (জাবের) বললেন,

কোন্‌ কোন্‌ অবস্থায় নামাজ জমা করা যায়?

কোন্‌ কোন্‌ অবস্থায় জমা করা যায়?


যথা সময়ে নামায পড়াই প্রত্যেক মুসলিম নরনারীর জন্য ফরয। কিন্তু দলীলের ভিত্তিতেই নিম্নোক্ত সময় ও অবস্থায় এক সময়ের নামাযকে অন্য সময়ের নামাযের সাথে জমা করে পড়া বৈধ :-
আরাফাত মুযদালিফায় :
বিদায়ী হ্‌জ্জে মহানবী (সাঃ) আরাফাতে যোহ্‌র ও আসরের নামাযকে যোহরের সময় এবং মুযদালিফায় মাগরেব ও এশার নামাযকে এশার সময় জমা করে পড়েছিলেন।
সফরে মুসাফির অবস্থায় :
সফরে পথে অথবা

নামায জমা করে পড়ার বিধান

নামায জমা করে পড়ার বিধান


মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি বড় দয়াবান, বড় অনুগ্রহশীল। তিনি বান্দার কষ্ট চান না। তাই অনুগ্রহ করেই বিধান দিয়েছেন দুই সময়ের নামাযকে প্রয়োজনে এক সময়ে একত্রিত করে পড়ার। অনুমতি দিয়েছেন আগের নামাযকে পরের সাথে (বিলম্ব করে) অথবা পরের নামাযকে আগের সাথে (ত্বরান্বিত করে) পড়ার।
অবশ্য এ কেবল সীমাবদ্ধ নামাযের মাঝেই সম্ভব। যেমন,

আল্লাহর হুকুম ছাড়া কি গাছের একটা পাতাও নড়েনা? প্রশ্নঃ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয় না, এই কথাটা কি সঠিক?

আল্লাহর হুকুম ছাড়া কি গাছের একটা পাতাও নড়েনা?
( বিস্তারিত ব্যখ্যাসহ কিছু প্রশ্ন উত্তর পোস্ট করা হলো)
.
মানুষের মাঝে বহুল প্রচলিত একটা কথা হচ্ছে, "আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েনা" - এমন কথা ক্বুরআন বা হাদীসের কোথাও নেই। ক্বুরানে আছেঃ যদি গাছের একটা পাতা নড়ে, আল্লাহ সেটাও জানেন। মহান আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেনঃ 
"তাঁরই (আল্লাহর) নিকেটে গায়েব (অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞানের) চাবি রয়েছে; তিনি ব্যতীত অন্য কেউ গায়েব জানে না। জলে-স্থলে যা কিছু আছে, তা তিনিই অবগত। তাঁর অজ্ঞাতসারে (গাছের) একটি পাতাও পড়ে না, মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণা অথবা রসযুক্ত কিম্বা শুষ্ক এমন কোন বস্তু পড়ে না, যা সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) নেই।" সুরা আনআ'মঃ ৫৯।
.
আয়াতের তাফসীরঃ

দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীগণঃ

দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীগণঃ
দুনিয়াতে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ছাহাবীদের সংখ্যা অনেক।
>>>(১)তার মধ্যে ১-১০ জন আশারায়ে মুবাশশারাহ নামে খ্যাত।তাঁরা হলেনঃ
(১) আবুবকর ছিদ্দীক।
(২) ওমর।
(৩) ওছমান। 
(৪) আলী।
(৫) ত্বালহা।
(৬) যুবায়ের।
(৭) আব্দুর রহমান বিন আওফ।
(৮) সাদ বিন আবু ওয়াকক্বাছ।
(৯) সাঈদ ইবনু যায়েদ।
(১০) আবু ওবায়দাহ ইবনুল জার্রাহ।
(তিরমিযী হা/৩৭৪৭; মিশকাত হা/৬১০৯)।

মুসাফির ব্যক্তির সফরের আগে-পরের নামায পড়ার বিধান ।

মুসাফিরের সফরের আগে-পরে নামায


মহানবী (সাঃ) বলেন, “যখন তুমি তোমার ঘর থেকে বের হওয়ার সংকল্প করবে, তখন দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে বাহির পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে। আবার যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখনও দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে

মুসাফির ব্যক্তির ইমাম ও মুক্তাদী হয়ে নামায পড়া ও পড়ানোর বিধান কি ?

মুসাফিরের ইমাম ও মুক্তাদী হয়ে নামায


মুসাফির ইমামতি করতে পারে এবং এ অবস্থাতেও সে কসর করে নামায পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে গৃহ্‌বাসী অমুসাফির মুক্তাদীরা মুসাফির ইমামের সালাম ফিরার পর সালাম না ফিরে উঠে বাকী নামায পূরণ করতে বাধ্য হবে। (লিকাউবাবিল মাফতূহ্‌, ইবনে উষাইমীন ৭/১৮)
অনুরুপ মুসাফির অমুসাফির ইমামের পিছনে নামায পড়তে পারে। আর এ ক্ষেত্রে সে ঐ ইমামের মতই পূর্ণ নামায পড়তে বাধ্য হবে। এমন কি ইমামের শেষের ২ রাকআতে জামাআতে শামিল হলেও মুসাফির বাকী ২ রাকআত একাকী আদায় করতে বাধ্য। এখানে ঐ ২ রাকআতকে কসর ধরে নিলে হবে না।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল যে,

সফরে সুন্নত ও নফল নামায পড়ার বিধান কি?

সফরে সুন্নত ও নফল নামায


মহানবী (সাঃ) সফরে সাধারণত: ফরয নামাযের আগে বা পরে সুন্নত নামায পড়তেন না। তবে বিত্‌র ও ফজরের সুন্নত তিনি সফরেও নিয়মিত পড়তেন। যেমন এর পূর্বেও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, সফরে (বিত্‌র ও ফজরের আগে ২ রাকআত ছাড়া) সুন্নত (মুআক্কাদাহ) না পড়াই সুন্নত। হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) এক সফরে লোকেদেরকে ফরয নামাযের পর সুন্নত পড়তে দেখে বললেন, ‘যদি আমাকে সুন্নতই পড়তে হত, তাহলে ফরয নামায পুরা করেই পড়তাম। আমি নবী (সাঃ)-এর সাথে সফরে থেকেছি। আমি তাঁকে সুন্নত পড়তে দেখিনি।’ অতঃপর তিনি বললেন,

কসরের নামাজের সর্বচ্চ ও সর্বনিম্ন সময়য়সীমা কতদিন ?

কসরের সময়য়সীমা


সফরে গিয়ে নির্দিষ্ট দিন থাকার সংকল্প না হলে, বরং কাজ হাসিল হলেই ফিরে আসার নিয়ত হলে অথবা পথে কোন বাধা পড়লে যতদিন ঐ কাজ না হবে অথবা বাধা দূর না হবে ততদিন সফরে কসর করা চলবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪০৬-৪০৭)
মহানবী (সাঃ) এক সফরে ১৯ দিন ছিলেন এবং তাতে নামায কসর করেছেন। (বুখারী ১০৮০নং)
হযরত আনাস (রাঃ) শাম দেশে ২ বছর ছিলেন এবং ২ বছরই নামায কসর করে পড়েছেন। (মালেক, মুঅত্তা ৩/৪৮৮, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৮৬)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ইবনে উমার (রাঃ) পথে বরফ থাকার ফলে আযারবাইজানে ৬ মাস আটক ছিলেন এবং

কোথা থেকে কসর নামাজ শুরু হবে?

কোত্থেকে কসর শুরু হবে?


মহানবী (সাঃ) শহর বা জনপদ ছেড়ে বের হয়ে গেলেই কসর শুরু করতেন। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘আমি নবী (সাঃ)-এর সাথে (মক্কা যাওয়ার পথে) মদ্বীনায় যোহরের ৪ রাকআত এবং (মদ্বীনা থেকে ৬ মাইল দূরে) যুল-হুলাইফায় গিয়ে আসরের ২ রাকআত পড়তাম।’ (বুখারী ১০৮৯নং, মুসলিম,  আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান)
বলা বাহুল্য,

কতদূর সফরে কসর বিধেয় বা বৈধ ?

কতদূর সফরে কসর বিধেয়


কুরআন মাজীদের উপর্যুক্ত আয়াতে বা কোন হাদীসে সেই সফরের কোন নির্দিষ্ট পরিমাপ বা দূরত্ব উল্লেখ হয়নি, যতটা দূরত্ব যাওয়ার পর নামায কসর করে পড়া বিধেয়। এই জন্য সঠিক এই যে, পরিভাষায় বা প্রচলিত অর্থে যাকে সফর বলা হয়, সেই সফরে নামায কসর করা চলবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৪৯৭-৪৯৮)
সাহাবাদের মধ্যে এ ব্যাপারে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। হযরত ইবনে আব্বাস ও ইবনে উমার (রাঃ) ৪৮ মাইল দূরে গিয়ে কসর করতেন এবং রোযা রাখতেন না। (বুখারী)
প্রকাশ থাকে যে,

মুসাফিরের নামায। কসর নামাযের বিধিবিধান ।

মুসাফিরের নামায


সফর একটি কঠিন জিনিস। সফর ভীতি, কষ্ট ও উদ্বেগপূর্ণ সময়, ব্যস্ততা ও শঙ্কাময় কাল। তাই এই সময়কালে দয়াময় মহান আল্লাহ দয়াপূর্বক বান্দার উপর কিছু নামায হাল্কা করেছেন এবং এ মর্মে আরো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দান করেছেন। তন্মধ্যে কসর ও জমা করে নামায পড়া অন্যতম।

কসর নামায


সফরে ৪ রাকআত বিশিষ্ট ফরয নামাযকে ২ রাকআত কসর (সংক্ষেপ) করে পড়া সুন্নত ও আফযল। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,
(وَإِذَا ضَرَبْتُمْ فِي الأَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوْا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَّفْتِنَكُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا)
অর্থাৎ, যখন তোমরা ভূপৃষ্ঠে সফর কর, তখন তোমরা নামায সংক্ষেপ করলে তোমাদের কোন অপরাধ নেই; যদি তোমরা এই আশংকা কর যে, কাফেররা তোমাদেরকে বিব্রত করবে। (কুরআন মাজীদ ৪/১০১)
বাহ্যত: উক্ত আয়াত থেকে যদিও এই কথা বুঝা যায় যে,

ঈদের দিন জুমুআহ পড়লে যোহর নামাজ পড়তে হবে কি ?

ঈদের দিন জুমুআহ পড়লে


ঈদের দিন জুমুআহ পড়লে ইমাম জুমুআহ পড়বেন। সাধারণ মুসলিমদের জন্য এখতিয়ার থাকবে; তারা জুমুআহ পড়তেও পারে, নচেৎ যোহ্‌র পড়াও বৈধ। (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য ‘রোযা ও রমযানের ফাযায়েল ও মাসায়েল’)
আর পূর্বে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে,

জুমআর দিনে করণীয় আমল গুলো কি কি ?

জুমআর দিনে করণীয়


১। জুমআর ফজরের প্রথম রাকআতে সূরা সাজদাহ এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা দাহ্‌র (ইনসান) পাঠ করা। উভয় সূরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করাই সুন্নত। প্রত্যেক সূরার কিছু করে অংশ পড়া সুন্নত নয়।
অবশ্য অন্য সূরা পড়া দোষাবহ্‌ নয়। বরং কখনো কখনো ঐ দুই সূরা না পড়াই উচিৎ। যাতে সাধারণ মানুষ তা পড়া জরুরী মনে না করে বসে। বরং তা জরুরী মনে করে পড়া এবং কখনো কখনো না ছাড়া বা কেউতা না পড়লে আপত্তি করা বিদআত। (মু’জামুল বিদা’ ২৮১পৃ:)

২। সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া। আগে আগে মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হওয়ার বিশেষ মাহাত্ম আছে।
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

জুমআর দিনের ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি ?

জুমআর দিনের ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য


১। জুমুআহ অর্থাৎ জমায়েত বা সমাবেশ ও সম্মেলনের দিন। এটি মুসলিমদের সাপ্তাহিক ঈদ ও বিশেষ ইবাদতের দিন। মহানবী (সাঃ) বলেন, “এই দিন হল ঈদের দিন। আল্লাহ মুসলিমদের জন্য তা নির্বাচিত করেছেন। অতএব যে জুমআয় আসে, সে যেন গোসল করে এবং খোশবূ থাকলে তা ব্যবহার করে। আর তোমরা দাঁতন করায় অভ্যাসী হও।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ১০৯৮নং)
২। জুমআর দিন সবার চাইতে শ্রেষ্ঠ দিন। এমনকি ঈদুল ফিতর ও আযহা থেকেও শ্রেষ্ঠ।
৩। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং বেহেশ্‌ত দান করা হয়েছে।
মহানবী (সাঃ) বলেন,

জুমআর নামাযের আগে ও পরে সুন্নত কত রাকাত ?

জুমআর আগে ও পরে সুন্নত


জুমআর খুতবার পূর্বে ‘কাবলাল জুমুআহ’ বলে কোন নির্দিষ্ট রাকআত সুন্নত নেই। অতএব নামাযী মসজিদে এলে ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ ২ রাকআত সুন্নত পড়ে বসে যেতে পারে এবং দুআ, দরুদ তাসবীহ- যিকর বা তেলাওয়াত করতে পারে। আবার ইচ্ছা হলে নামাযও পড়তে পারে। তবে এ নামায হবে নফল এবং অনির্দিষ্ট সংখ্যায়।
মহানবী (সাঃ) বলেন,

জুমআর রাকআত ছুটে গেলে করণীয় কি ?

জুমআর রাকআত ছুটে গেলে


কারো জুমআর এক রাকআত ছুটে গেলে বাকী আর এক রাকআত ইমামের সালাম ফিরার পর উঠে পড়ে নিলে তার জুমুআহ হয়ে যাবে। অনুরুপ কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ পেলেও ঐ রাকআত এবং তার সাথে আর এক রাকআত পড়লে তারও জুমুআহ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি কেউ দ্বিতীয় রাকআতের রুকূ থেকে ইমামের মাথা তোলার পর জামাআতে শামিল হয়, তাহলে সে জুমআর নামায পাবে না। এই অবস্থায় তাকে যোহরের ৪ রাকআত আদায়ের নিয়তে জামাআতে শামিল হয়ে ইমামের সালাম ফিরার পর ৪ রাকআত ফরয পড়তে হবে। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪১৮, ৪২১) যেমন

জুমআর নামায ও তার সুন্নতী ক্বিরাআত

জুমআর নামায ও তার সুন্নতী ক্বিরাআত


জুমআর নামায ফরয ২ রাকআত। এতে ক্বিরাআত হবে জেহরী। এ নামাযে সূরা ফাতিহার পর যে কোন সূরা বা আয়াত যথানিয়মে পড়া যায়। তবুও সুন্নত হল, প্রথম রাকআতে সূরা জুমুআহ (সম্পূর্ণ) এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মুনাফিকূন (সম্পূর্ণ) পাঠ করা। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম,  আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান) অথবা প্রথম রাকআতে সূরা জুমুআহ (সম্পূর্ণ) এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা গাশিয়াহ্‌ পাঠ করা। (আহমাদ, মুসনাদ, মুসলিম,  আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান)  অথবা

জুমআর নামাযে স্থানীয় ভাষায় খুতবা দেওয়ার বিধান কি?

স্থানীয় ভাষায় খুতবা


জুমআর জমায়েত মুসলিমদের একটি প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র। সাপ্তাহিক এই প্রশিক্ষণে মুসলিমের বিস্মৃত কথা স্মরণ হয়, চলার পথে অন্ধকারে আলোর দিশা পায়, সুন্দর চরিত্র ও ব্যবহার গড়তে সহায়তা পায়, ঈমান নবায়ন হয়, হৃদয় নরম হয়, মৃত্যু ও পরকালের স্মরণ হয়, তওবা করতে অনুপ্রাণিত হয়, ভালো কাজ করতে এবং খারাপ কাজ বর্জন করতে উৎসাহ্‌ পায়, ইত্যাদি।
তাই খুতবার ভূমিকা আরবীতে হওয়ার পর স্থানীয় ভাষায় বাকী খুতবা পাঠ বৈধ। যেহেতু

জুমআর নামাযে উপস্থিত মুক্তাদি বা ব্যক্তির কর্তব্য গুলো কি কি ?

জুমআয় উপস্থিত ব্যক্তির কর্তব্য


নামাযীর জন্য যথাসম্ভব ইমামের নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা কর্তব্য। মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আল্লাহর যিকরে উপস্থিত হও এবং ইমামের নিকটবর্তী হও। আর লোকে দূর হতে থাকলে বেহেশত প্রবেশেও দেরী হবে তার; যদিও সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।” (আবূদাঊদ, সুনান ১১০৮নং)
জুমআর দিন নামাযী মসজিদে এসে যেখানে জায়গা পাবে সেখানে বসে যাবে। দেরী করে এসে (সামনের কাতারে ফাঁক থাকলেও) কাতার চিরে সামনে যাওয়া এবং তাতে অন্যান্য নামাযীদেরকে কষ্ট দেওয়া বৈধ নয়।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন,

জুমআর খুতবার আহ্‌কাম বা কিভাবে জুমার খুতবা দিতে হয় ?

জুমআর খুতবার আহ্‌কাম


জুমআর খুতবার দুটি অংশ। প্রথম অংশটি প্রথম খুতবা এবং শেষ অংশটি দ্বিতীয় খুতবা নামে প্রসিদ্ধ। খুতবাহ্‌ মানে হল ভাষণ বা বক্তৃতা। এই ভাষণ দেওয়া ও শোনার বহু নিয়ম-নীতি আছে। যার কিছু নিম্নরুপ :-
খুতবার জন্য ওযূ হওয়া শর্ত নয়। তবে খুতবার পরেই যেহেতু নামায, তাই ওযু থাকা বাঞ্ছনীয়। খুতবা চলাকালে খতীবের ওযূ নষ্ট হলে খুতবার পর তিনি ওযূ করবেন এবং সে পর্যন্ত লোকেরা অপেক্ষা করবে। (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব, ইবনে উষাইমীন ১/২০৮)
খুতবা পরিবেশিত হবে দন্ডায়মান অবস্থায়। বিনা ওজরে বসে জুমআর খুতবা সহীহ নয়।
মহানবী (সাঃ) খুতবায় দাঁড়াবার সময় লাঠি অথবা ধনুকের উপর ভর দিয়ে দাঁড়াতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ১০৯৬নং)  অবশ্য অনেকে বলেন,

জুমআর নামাজের আযান কয়টি ?

জুমআর আযান


মহানবী (সাঃ), হযরত আবূ বাকর ও হযরত উমার (রাঃ)-এর যামানায় জুমআর মাত্র ১টি আযানই প্রচলিত ছিল। আর এ আযান দেওয়া হত, যখন ইমাম খুতবাহ্‌ দেওয়ার জন্য মিম্বরে চড়ে বসতেন তখন মসজিদের দরজার সামনে উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে। এইরুপ আযান চালু ছিল হযরত আবূ বাকর, উমারের খেলাফত কাল পর্যন্ত। অতঃপর হযরত উসমান (রাঃ) মদ্বীনার বাড়ি-ঘর দূরে দূরে এবং জনসংখ্যা বেশী দেখে উক্ত আযানের পূর্বে আরো একটি অতিরিক্ত আযান চালু করলেন। যাতে লোকেরা

জুমআর নামাজের স্থান

জুমআর স্থান


জুমুআহ যেমন শহরবাসীর জন্য ফরয, তেমনি ফরয গ্রামবাসীর জন্যও। এর জন্য খলীফা হওয়া, শহর হওয়া, জামে মসজিদ হওয়া বা ৪০ জন নামাযী হওয়া শর্ত নয়। বরং যেখানেই স্থানীয় স্থায়ী বসবাসকারী জামাআত পাওয়া যাবে, সেখানেই জুমুআহ ফরয। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ২২/৭৫, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৪২৪)
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,

জুমআর নামাযের জন্য নিম্নতম নামাযী সংখ্যা কত?

জুমআর জন্য নিম্নতম নামাযী সংখ্যা


জুমআর নামায যেহেতু জামাআত সহকারে ফরয, সেহেতু যে কয় জন লোক নিয়ে জামাআত হবে, সে কয় জন লোক নিয়ে জুমআহও প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার জন্য নির্দিষ্ট লোক সংখ্যা হাদীস থেকে প্রমাণিত নয়।

জুমআর নামাযের সময়

জুমআর সময়


অধিকাংশ সাহাবা, তাবেঈন ও ইমামগণের নিকট জুমআর সময় যোহরের সময় একই। অর্থাৎ, সূর্য ঢলার পর থেকে নিয়ে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া (আসরের আগে) পর্যন্ত।
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাঃ) জুমুআহ তখন পড়তেন, যখন সূর্য পশ্চিম আকাশেঢলে যেত।’ (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, বায়হাকী)
ইমাম বুখারী বলেন, ‘জুমআর সময় সূর্য ঢলার পরই শুরু হয়। হযরত উমার, আলী, নু’মান বিন বাশীর এবং আম্‌র বিন হুয়াইরিষ কর্তৃক এ ব্যাপারে বর্ণনা পাওয়া যায়।’ (বুখারী)
হযরত সালামাহ্‌ বিন আকওয়া’ (রাঃ) বলেন,

জুমুআর নামায যাদের উপর ফরয নয়

জুমুআহ যাদের উপর ফরয নয়


১-২-৩। মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।
নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) বলেন, “প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জামাআত সহকারে জুমুআহ ফরয। অবশ্য ৪ ব্যক্তির জন্য ফরয নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ।” (আবূদাঊদ, সুনান ১০৬৭নং)
৪। যে ব্যক্তি (শত্রু, সম্পদ বিনষ্ট, সফরের সঙ্গী ছুটে যাওয়ার) ভয়ে, অথবা বৃষ্টি, কাদা বা অত্যন্ত শীত বা গ্রীষ্মের কারণে মসজিদে উপস্থিত হতে অক্ষম।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি মুআযযিনের (আযান) শোনে এবং কোন ওজর (ভয় অথবা অসুখ) তাকে জামাআতে উপস্থিত হতে বাধা না দেয়, তাহলে যে নামায সে পড়ে, তার সে নামায কবুল হয় না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৫১নং)
একদা ইবনে আব্বাস (রাঃ) এক বৃষ্টিময় জুমআর দিনে তাঁর মুআযযিনকে বললেন,

জুমআর নামাযের বিধান

জুমআর নামায


জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।
মহান আল্লাহ বলেন,
(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)
মহানবী (সাঃ) বলেন, “দুনিয়াতে আমাদের আসার সময় সকল জাতির পরে। কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা সকলের অগ্রবর্তী। (সকলের আগে আমাদের হিসাব-নিকাশ হবে।) অবশ্য আমাদের পূর্বে ওদেরকে (ইয়াহুদী ও নাসারাকে) কিতাব দেওয়া হয়েছে। আমরা কিতাব পেয়েছি ওদের পরে। এই (জুমআর) দিনের তা’যীম ওদের উপর ফরয করা হয়েছিল। কিন্তু

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ