Sunday, January 14, 2018

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাক্বলীদ – পর্ব ২

লেখকঃ শরীফুল ইসলাম , লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

তাক্বলীদ কার জন্য বৈধ ও কার জন্য অবৈধ : 

মহান আল্লাহ কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যাবতীয় বিধি-বিধান দানের মাধ্যমে দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রাসূলুললাহ (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণ ইসলামের বিধান মানার ক্ষেত্রে রাসূলুললাহ (ছাঃ) ব্যতীত অন্য কারো তাক্বলীদ করতেন না। অনুরূপভাবে তাবেঈগণও নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির তাক্বলীদ না করে কেবলমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর ইত্তেবা করতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হ’ল, বর্তমান যুগে মুসলমানগণ ইসলামের বিধান থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। এক্ষেত্রে মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত :

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাকলীদ – পর্ব ১

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাকলীদ – পর্ব ১

ভূমিকা :

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, যা আল্লাহ তা‘আলা বিশ্বমানবতার জন্য দান করেছেন। আর তাকে বাস্তবায়ন করার জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত জানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং অহী-র বিধানই একমাত্র অভ্রান্ত জীবনবিধান। বর্তমান বিশ্বের প্রায় দেড়শত কোটি মুসলমান বসবাস করে। তারা বিশ্বের অন্যান্য জাতির সাথে তাল মিলিয়ে সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এগিয়ে চলেছে। পিছিয়ে পড়েছে শুধু আল্লাহর বিধান পালনে। ফলে মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও অনেকের আচরণ অমুসলিম-কাফেরদের সাথে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। আবার যারা ইসলামের বিধান বাস্তবায়নে নিয়োজিত, তারা অধিকাংশই শতধাবিভক্ত। বিভিন্ন তরীকা ও মাযহাবের বেড়াজালে নিজেদেরকে আবদ্ধ রেখে, পরস্পরে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। নির্দিষ্ট কোন মাযহাবের অন্ধানুসরণের কারণে আল্লাহ প্রদত্ত অহী-র বিধানকে বাদ দিয়ে মাযহাবী গোঁড়ামিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা

কুরআন ও সহীহ হাদীসের মানদণ্ডে সূফীবাদ

কুরআন ও সহীহ হাদীসের মানদণ্ডে সূফীবা

ভুমিকা

ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানগণ নিঃশর্তভাবে কুরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ করে চলতেন। তারা নির্দিষ্ট কোন মাজহাব, তরীকা বা মতবাদের দিকে নিজেদেরকে নিসবত (সম্পৃক্ত) করতেন না। সকলেই মুসলিম বা মুমিন হিসেবে পরিচয় দিতেন। তবে বদরের যুদ্ধ যেহেতু ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ছিল এবং তাতে অংশগ্রহণ করা বিশেষ একটি ফজীলতের কাজ ছিল, তাই যারা বদরের যুদ্ধে শরীক হয়েছেন তাদেরকে বদরী সাহাবী, যারা বাইআতে রিযওয়ানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদেরকে আসহাবে বাইআত এবং দ্বীনি ইলম শিক্ষায় সর্বক্ষণ আত্মনিয়োগকারী সুফফাবাসী কতিপয় গরীব সাহাবীকে আসহাবে সুফফা বলা হত। কিন্তু পরবর্তীর্তে মুসলমানগণ রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য কারণে বিভিন্ন দলে ও উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। মুসলমানদের মাঝে আত্মপ্রকাশ করে শিয়া, খারেজী, মুতাজেলা, কদরীয়া, আশায়েরা, জাহমেয়ী এবং আরও অসংখ্য বাতিল ফির্কা ও মতবাদ। এরই ধারাবাহিকতায়

কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত

কাদিয়ানী মতবাদ এবং খতমে নবুওয়াত
আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল / 30/11/2010
ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ
: ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ
আরব সহ সমগ্র বিশ্ব তখন গভীর তিমিরে আচ্ছন্ন। সবর্ত্র
বিরাজ করছে এক প্রকার গুমোট অস্থিরতা। এমনি এক
মূহুর্তে মক্কার আকাশে নতুন এক সুর্যের আবির্ভাব হল। সে
সূর্য হল নবুওয়তের সূর্য। আলোকিত হয়ে উঠল মক্কার
আকাশ। ঘরে ঘরে পৌঁছতে লাগল আলোক রশ্মী। নবী
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষকে সে আলোর পথে

কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?

কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?

অনুবাদকের ভূমিকা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন যে, কিয়ামত এর পূর্বে ৩০ এর মত মিথ্যুক লোক নবুওয়াতের দাবী করবে, তাঁর সে ভবিষ্যদ্বাণীর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই গোলাম আহম্মেদ কাদিয়ানীর নবুওয়াতের দাবীর মাঝ দিয়ে। আমাদের দেশের আলেমগণ অনেক আগ থেকেই বিভিন্ন ভাবে তার দাবীর অবৈধতা প্রমাণ করেছিলেন, এবং এক সময় আলেমরা সবাই তার বিরুদ্ধে এজমা, বা ঐক্যমত পোষণ করে অমুসলিম ভন্ড নবুওয়াতের দাবীদার বলে তার ফেৎনা কে সাময়িক ভাবে রুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অনেকে তার সাথে বিতর্কে

এত বড় হুজুর কি ভুল করতে পারেন?


এত বড় হুজুর কি ভুল করতে পারেন?

আমাদের দেশের মুসলিমদের বিভ্রান্ত থাকার একটা বড় কারন হল আমাদের এই অন্ধ বিশ্বাস যে আমাদের হুজুর কি কম জানেন? যে যেই মত/দল/জামাত/বা পীর সাহেবের তরিকায় বিশ্বাসী হোক না কেন…সবাই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে যে তাদের হুজুর বা তাদের দলের/মতের প্রবর্তক, বা তাদের প্রধান নেতা সাহেবই দ্বীন ইসলামের একমাত্র সবজান্তা অথবা তিনি ভুল করতে পারেন না। সংগত কারনেই, এই হুজুরদের অনুসরন করেই কেউ মাজারে সিজদা দিচ্ছে, কেউ পীরের নামের মুরগী জবাই করছে কেউ বা কবরে চাদর চড়াচ্ছেন। এছাড়াও পীরপুজা, চল্লিশা, কুলখানী, হাদীসের নামে জালিয়াতি, স্বামী বসের আমল, জন্মদিন/মিলাদের অনুষ্ঠান এবং সে অনুষ্ঠানে রাসুলুল্লাহর (সাঃ) জন্য খালি চেয়ার রাখা, পীরসাহেবের কাছ থেকে জান্নাতের সার্টিফিকেরট নেওয়া, পীরের থুথু খাওয়া থেকে শুরু করে সবই চলছে কোন না কোন হুজুরকে অনুসরন করে

ইলায়াসী তাবলীগ বনাম রাসূলের তাবলীগ :

ইলায়াসী তাবলীগ বনাম রাসূলের তাবলীগ :
(ক) তারা নিজেরা কুরআন বুঝে না অন্যদেরকেও
বুঝতে দেয় না। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) নিজে কুরআন
শিখিয়েছেন এবং তার প্রচারকও ছিলেন।


(খ) তাদের দাওয়াতী নিয়ম স্বপ্নে প্রাপ্ত।[1] রাসূলের দাওয়াতী নিয়ম
স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত (মায়েদা ৬৭) ।


(গ) তাদের দাওয়াতের মধ্যে সপ্তাহে ১ দিন, মাসে ৩ দিন, বছরে ১ চিল্লা,

ইমাম আবু হানিফা রঃ এর ফতোয়ার বিপরীতে ছাত্রদের ফতোয়া-২

ইমাম আবু হানিফা রঃ এর ফতোয়ার বিপরীতে ছাত্রদের ফতোয়া।


কার মতের নাম হানাফী মাযহাব?
পর্ব- ১
********************************
ইমাম আবু হানীফা(রহঃ)-এর শতকরা প্রায়
ষাট ভাগ
মাসয়ালার বিরোধী ছিলেন তাঁর প্রিয়
ছাত্রবর্গ “ইমাম
আবু ইউসুফ(রহঃ), ইমাম মুহাম্মদ(রহঃ), ইমাম
জুফার(রহঃ).
তার কিছুটা নমুনা দেয়া হলোঃ

ইমাম আবু হানিফা রঃ এর ফতোয়ার বিপরীতে ছাত্রদের ফতোয়া!

ইমাম আবু হানিফা রঃ এর ফতোয়ার বিপরীতে ছাত্রদের ফতোয়া!


কার মতের নাম হানাফী মাযহাব? পর্ব- ১ ******************************** ইমাম আবু হানীফা(রহঃ)-এর শতকরা প্রায় ষাট ভাগ মাসয়ালার বিরোধী ছিলেন তাঁর প্রিয় ছাত্রবর্গ “ইমাম আবু ইউসুফ(রহঃ), ইমাম মুহাম্মদ(রহঃ), ইমাম জুফার(রহঃ). তার কিছুটা নমুনা দেয়া হলোঃ (১) যে কোন ভাষায় নামাযের সুরাহ (ক্বিরাত) তিলাওয়াত করলে ইমাম আবু হানীফা(রহঃ)-এর মতে উত্তম যদি ও সে ব্যক্তি আরবী ভাষা জানে। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) ও ইমাম মুহাম্মদ(রহঃ)-এর মতে তা নাজায়েয। (হিদায়ার ১৪০১ হিজিরী আশরাফী হিন্দ ছাপার ১ম খন্ডের ১০২ পৃষ্ঠা) (২) নামাযে রুকূ থেকে উঠে “রাব্বানা লাকাল হামদ” বলা ইমাম আবু হানীফা(রহঃ)-এর মতে নাজায়েয কিন্তু

ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার বিধান

 ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ طه ١ مَآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ لِتَشۡقَىٰٓ ٢ ﴾ [طه: ١،  ٢]
অর্থাৎ “ত্বা-হা-। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি।” (সূরা ত্বাহা ১-২ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ﴾ [البقرة: ١٨٥]
অর্থাৎ “আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা তাঁর কাম্য নয়।” (সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ আয়াত)
১/১৪৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন, তখন এক মহিলা তাঁর কাছে (বসে) ছিল। তিনি বললেন,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ