Saturday, October 14, 2017

দাড়ি কি মোটেই ছাঁটা চলবে না? নাকি সৌন্দর্যের জন্য এক মুঠির বেশি দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়?

দাড়ি কি মোটেই ছাঁটা চলবে না? নাকি সৌন্দর্যের জন্য এক মুঠির বেশি দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়?


নবী – এর ব্যাপক নির্দেশ পালন করতে গিয়ে দাড়িকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া ভাল। যেহেতু তিনি যে দাড়ি ছাঁটতেন, তাঁর সহীহ দলীল নেই। তবে সাহাবীদের আমল থেকে বুঝা যায় যে, এক মুঠির অতিরিক্ত দাড়ি ছেঁটে ফেলা যায়।  

দাড়ি রাখা কি সুন্নত, নাকি ওয়াজেব?

দাড়ি রাখা কি সুন্নত, নাকি ওয়াজেব?


দাড়ি রাখা সকল নবীর সুন্নত (তরীকা)। কিন্তু উম্মতের জন্য তা পালন করা ওয়াজেব। যেহেতু আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা দাড়ি বাড়াও আর মোছ ছোট কর, পাকা চুলে (কালো ছাড়া অন্য রঙ) খেযাব লাগাও এবং ইয়াহুদ ও নাসারার সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।” (আহমাদ, সহীহুল জামে ১০৬৭ নং)
তিনি আরো বলেছেন, “মোছ ছেঁটে ও দাড়ি রেখে অগ্নিপূজকদের বৈপরীত্য কর।” (মুসলিম ২৬০ নং)


চুল নখ ইত্যাদি কেটে ফেলার পর তা দাফন করা কি বিধেয়?


সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন উমার কর্তৃক এরূপ আমল বর্ণিত আছে। অনেক ফুকাহাও তা মুস্তাহাব মনে করেন। (ইবনে উষাইমীন) আর এ কথা বিদিত যে, বহু যাদুকর তা দিয়ে যাদুও করে থাকে। সুতরাং সতর্কতাই বাঞ্ছনীয়।

শোনা যায়, ‘মোছের পানি হারাম।’ – একথা কি ঠিক?

শোনা যায়, ‘মোছের পানি হারাম।’ – একথা কি ঠিক?


যে পানিতে মোছ ডুবেছে, সে পানি প্রকৃতিগতভাবে ঘৃণ্য হতে পারে। তবে সে পানি পান করা হারাম, তা বলা যায় না। অবশ্য মোছ ছেঁটে ছোট করার নির্দেশ আছে শরীয়তে। আল্লাহ্‌র রাসুল  বলেছেন, “তোমরা দাড়ি বাড়াও, মোছ ছোট কর, পাকা চুলে (কালো ছাড়া অন্য) খেযাব লাগাও এবং ইয়াহুদ ও নাসারার সাদৃশ্য অবলম্বন করো না।”  (আহমাদ, সহীহুল জামে ১০৬৭ নং)
তিনি আরও বলেছেন, “যে ব্যক্তি তাঁর মোছ ছাঁটে না, সে আমার দলভুক্ত নয়।”৬৯৬ (তিরমিযী ২৭৬২, সহীহুল জামে ৬৫৩৩ নং)

অনেক মহিলার ধারনা, লম্বা নখে সৌন্দর্য আছে। সুতরাং নখ লম্বা ছেড়ে রাখায় কোন দোষ আছে কি?

অনেক মহিলার ধারনা, লম্বা নখে সৌন্দর্য আছে। সুতরাং নখ লম্বা ছেড়ে রাখায় কোন দোষ আছে কি?


লম্বা নখে সৌন্দর্য নেই। অবশ্য বিকৃত পছন্দের অনেকের নিকট তা থাকতে পারে। কিন্তু শরীয়তে নখ লম্বা করার অনুমতি নেই। বরং মানুষের প্রকৃতি তা লম্বা রাখার বিরোধী। তাই চল্লিশ দিনের মাথায় তা কেটে ফেলতেই হবে। মহানবী  বলেছেন, “প্রকৃতিগত আচরণ পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ,
(১) খাতনা (লিঙ্গত্বক ছেদন) করা।
(২) লজ্জাস্থনের লোম কেটে পরিষ্কার করা।

হাদিসে এসেছে, ‘সাধাসিদা বা আড়ম্বরহীন হয়ে থাকা ঈমানের অন্ত ভুক্ত।’ তাঁর মানে কি সৌন্দর্য অবলম্বন করা ঈমানের আলামত নয়?

হাদিসে এসেছে, ‘সাধাসিদা বা আড়ম্বরহীন হয়ে থাকা ঈমানের অন্ত ভুক্ত।’ তাঁর মানে কি সৌন্দর্য অবলম্বন করা ঈমানের আলামত নয়?


উক্ত হাদীসের অর্থ হল, লেবাসে-পোশাকে মুসলিম অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ি, বিলাসিতা ও অপচয় করবেনা। তাঁর পোশাকে জাঁকজমক, ঠাটবাট ও আড়ম্বর থাকবে না। নচেৎ সৌন্দর্য অবলম্বন করা দোষের নয়। আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “যার হৃদয়ে অণু পরিমাণও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে যাবে না।” এক ব্যক্তি বলল, ‘লোকে তো পছন্দ করে যে, তাঁর পোশাক ও জুতা সুন্দর হোক (তাহলে সে ব্যক্তির কী হবে?)’ নবী (সাঃ) বললেন,

শিশু কিশোরীকে বুক ওঠার আগে বগল কাটা ফ্রক পরানো কি বৈধ নয়?

শিশু কিশোরীকে বুক ওঠার আগে বগল কাটা ফ্রক পরানো কি বৈধ নয়?


উত্তরঃ মুসলিম মায়ের উচিৎ, শৈশব থেকেই মায়ের ইসলামী লেবাসে অভ্যস্ত করে তোলা। কিশোরী মেয়ের প্রতি পাশবিক অত্যাচারের খবর প্রায় শোনা যায়। সুতরাং তাঁর প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা আদৌ উচিৎ নয়। বলা বাহুল্য, শেলোয়ারের সাথে ফুল হাতা কামিস বা ফ্রকই পরানো উচিৎ। সেই সাথে মাথায় ওড়না। যাতে শৈশব থেকেই তাঁর মনে লজ্জাশীলতা, অপ্রগলভতা ও ধর্মভীরুতা স্থান করে নিতে পারে।

নক্সাদার বোরখা পরা কি বৈধ? চোখের পাতায় অতিরিক্ত লোম বা ল্যাশ লাগানো বৈধ কি?

নক্সাদার বোরখা পরা কি বৈধ?


মহিলার লেবাসের সৌন্দর্য; দৃষ্টি-আকর্ষী রঙ, নক্সা, ফুল ইত্যাদি গোপন করার জন্যই বোরখা বা চাদর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই বোরখা বা চাদরই যদি জরিদার, এমব্রয়ডারি করা, ফুলছাপা ইত্যাদি হয়, তাহলে তো আর উপরে আরো একটা বোরখা পরা ওয়াজেব হয়ে যায়। সুতরাং চাদর বা বোরখা সাদা-সিধা হবে, যা সৌন্দর্য গোপন করবে এবং বিতরণ করবে না। যা দেখে পুরুষের মনে শ্রদ্ধা সৃষ্টি করবে এবং আকর্ষণ সৃষ্টি করবে না।  (ইবনে জিবরীন) 

চোখের পাতায় অতিরিক্ত লোম বা ল্যাশ লাগানো বৈধ কি?


বৈধ নয়। এটাও পরচুলা লাগানোর মতো জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে। আর এমন প্রসাধিকা মহিলা অভিশপ্তা।  (ইবনে জিবরীন)

বাড়িতে পাখি পোষা কি জায়েয়? চোখের ভিতরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা কি বৈধ?

বাড়িতে পাখি পোষা কি জায়েয়?


সৌন্দর্য ও বিলাসিতার জন্য পিঞ্জারা বা ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রেখে পাখি পোষা, হওয বা পাত্রের মধ্যে পানি রেখে মাছ পোষা বৈধ, যদি সঠিকভাবে খেতে ও পান করতে দেওয়া হয় এবং কোন প্রকারে যুলুম না করা হয়।
আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেন, “একজন মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গেছে, যাকে সে বেঁধে রেখে খেতে দেয়নি এবং ছেড়েও দেয়নি; যাতে সে নিজে স্থলচর কীটপতঙ্গ ধরে খেত।” (বুখারী ২৩৬৫, ৩৪৮২, মুসলিম ২২৪২ নং)
বুঝা গেল, যদি তাকে খেতে দিত, তাহলে জাহান্নামে যেত না।  (ইবনে বায)

চোখের ভিতরে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা কি বৈধ?


প্রয়োজন হলে অবশ্যই বৈধ। তবে বিনা প্রয়োজনে কেবল চোখের সৌন্দর্য আনয়নের জন্য অর্থের অপচয় ঘটানো ঠিক নয়। বৈধ নয় অনুরূপ সৌন্দর্য নিয়ে কাউকে ধোঁকা দেওয়া।  (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

বৈধ খেলাধুলার সময় শর্ট প্যান্ট পরা কি বৈধ কি?

বৈধ খেলাধুলার সময় শর্ট প্যান্ট পরা কি বৈধ কি?


যে প্যান্টে জাং খোলা যায়, সে প্যান্ট পরাই বৈধ নয়। হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট পরে খেলাধুলা করা বা সাঁতার কাটা যায়। জাং খোলা খেলোয়ারের খেলা দেখাও দর্শকের জন্য বৈধ নয়।
মহানবী (সঃ) বলেন, “তুমি তোমার ঊরু খুলে রেখো না এবং কোন জীবিত অথবা মৃতের উরুর দিকে তাকিয়ে দেখো না।”  (আবূ দাঊদ, সহীহুল জামে ৭৪৪০ নং)
অন্যত্র বলেন, “তুমি তোমার জাং ঢেকে নাও। কারণ, জাং হল লজ্জাস্থান।” (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম ইবনে হিব্বান, সহীহুল জামে ৭৯০৬ নং)
পক্ষান্তরে কিশোরী ও যুবতীদের জন্য বৈধ নয় কোন পুরুষ (প্রশিক্ষক বা অন্য পুরুষের) সামনে অনুরূপ ব্যায়াম, শরীর-চর্চা বা খেলাধুলা করা অথবা সাঁতার কাটা বৈধ নয় এবং তা দর্শন করাও বৈধ নয়।

সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি বৈধ কি?

সৌন্দর্যের জন্য প্লাস্টিক সার্জারি বৈধ কি?


প্লাস্টিক সার্জারি দুটি উদ্দেশ্যে করা হয়ঃ আঙ্গিক ত্রুটি দূরীকরণের উদ্দেশ্যে অথবা অতিরিক্ত সৌন্দর্য আনয়নের উদ্দেশ্যে। প্রথম উদ্দেশ্যে বৈধ। যেমন বিকৃত ও কুশ্রী মুখমণ্ডলে সৌন্দর্য আনয়নের উদ্দেশ্যে করা যায়। কিন্তু দ্বিতীয় উদ্দেশ্যে বৈধ নয়। কারণ তাতে আল্লাহ্‌র সৃষ্টিতে বিকৃতি সৃষ্টি করা হয়। যা শয়তানের প্ররোচনায় করা হয়। (সূরা নিসা ১১৯ আয়াত)
আর মহানবী (সঃ) (হাত বা চেহারায়) দেগে যারা নকশা করে দেয় অথবা করায়, চেহারা থেকে যারা লোম তুলে ফেলে (ভ্রু চাছে), সৌন্দর্য আনার জন্য যারা দাঁতের মাঝে ঘসে (ফাঁক ফাঁক করে) এবং আল্লাহ্‌র সৃষ্টি প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটায় (যাতে তাঁর অনুমতি নেই) এমন সকল মহিলাদেরকে আল্লাহ্‌র অভিশাপ দিয়েছেন।  (বুখারী ৪৮৮৬ নং, মুসলিম ২১২৫ নং, আসহাবে সুনান)

স্বামীর চোখে অধিক সুন্দরী সাজার জন্য কি মাথার পরচুলা, নকল চুল বা টেসেল ব্যবহার করা যায়?

স্বামীর চোখে অধিক সুন্দরী সাজার জন্য কি মাথার পরচুলা, নকল চুল বা টেসেল ব্যবহার করা যায়?


মহিলার সুকেশ সৌন্দর্যের অন্যতম। মাথায় আদৌ চুল না থাকলে ত্রুটি ঢাকার জন্য পরচুলা ব্যবহার করা যায়। কিন্তু অধিক চুল দেখাবার জন্য তা বৈধ নয়। যেহেতু ‘যে অপরের মাথার পরচুলা বেঁধে দেয় এবং সে নিজের মাথায় তা বাঁধে, এমন উভয় মহিলাকেই নবী (সঃ) অভিশাপ করেছেন।’ (বুখারী ৫৯৪১, মুসলিম ২১২২, ইবনে মাজাহ ১৯৮৮ নং)


হাদীসের নির্দেশমতে বগলের লোম ছিঁড়ে বা তুলে ফেলতে হয়। কিন্তু

বিউটি পার্লারে সুন্দরী সাজতে যাওয়া কি মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ?

বিউটি পার্লারে সুন্দরী সাজতে যাওয়া কি মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ?


কয়েকটি কারণে বৈধ নয়ঃ
(ক) অপ্রয়োজনে তাতে অর্থের অপচয় হয়।
(খ) পুরুষ কর্মচারীর স্পর্শ নিতে হয়।
(গ) অপরের সামনে লজ্জাস্থান খুলতে হয়।
(ঘ) সৌন্দর্যে অনেক ক্ষেত্রে কাফের মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়।
(ঙ) অনেক সময় গুপ্ত ক্যামেরায় মহিলার নগ্ন ছবি ধরে রাখা ও নেটে প্রচার করা হয়।

হাতের নখ লম্বা করা কি হারাম? নখে নখ পালিশ লাগানো কি বৈধ?

হাতের নখ লম্বা করা কি হারাম?


হাতের নখ কেটে ফেলা প্রকৃতিগত সুন্নত। নবী (সঃ)বলেছন, “প্রকৃতিগত আচরণ (নবীগণের তারীকা) পাঁচটি অথবা পাঁচটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ,
(১) খাতনা (লিঙ্গাত্বক ছেদন )করা।
(২) লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা।
(৩) নখ কাটা।
(৪) বগলের লোম ছিঁড়া।
(৫) গোঁফ ছেঁটে ফেলা।”  (বুখারী, মুসলিম)
আনাস (রঃ) বলেন,

সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু চাঁছা কি বৈধ?

সৌন্দর্যের জন্য ভ্রু চাঁছা কি বৈধ?


বৈধ নয়। কারণ ‘আল্লাহর অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যারা দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যারা উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু করে, যারা সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আলাহর সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।’ (বুখারী, মুসলিম)    

মুসলিম মহিলার জন্য শাড়ি পরা কি বৈধ?

মুসলিম মহিলার জন্য শাড়ি পরা কি বৈধ?


শাড়ি যদি সারা দেহকে ঢেকে নেয়, তাহলে বৈধ। বলা বাহুল্য, পেট-পিঠ বের করে রেখে অথবা পাতলা শাড়ি পরা বৈধ নয়। অনুরূপ এমন লেবাসও বৈধ নয় যাতে নারী দেহের কোনও সৌন্দর্য প্রকাশ প্রকাশ পায়। যে নারীরা এমন শাড়ি বা লেবাস পরে, তারা সেই নারীদলের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেছেন,

পাকা চুল দাড়িতে কি কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ?

পাকা চুল দাড়িতে কি কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ?


পাকা চুল দাড়ি সাদা না রেখে রাঙিয়ে রাখা তাকীদাপ্রাপ্ত সুন্নত। তবে তাতে কালো কলপ ব্যবহার করা বৈধ নয়। জাবের (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিনে আবু কুহাফাকে আনা হল। তখন তাঁর চুল দাড়ি ছিল ‘ষাগামা’ ফুলের মত সাফেদ (সাদা)। নবী (সঃ) বললেন,

পুরুষদের জন্য সোনা ছাড়া অন্য ধাতুর চেন পরা কি বৈধ?

পুরুষদের জন্য সোনা ছাড়া অন্য ধাতুর চেন পরা কি বৈধ?


যে অলংকার সাধারণতঃ মহিলাদের, তা পুরুষদের পরা বৈধ নয়। গলার চেন, কানের দুল, হাতে বালা ইত্যাদি পুরুষরা পরতে পারে না। কারণ তাতে মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়। যেমন মহিলারা পুরুষদের মতো প্যান্ট শার্ট পরতে পারে না। কারণ তাতে পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন হয়। আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং

পুরুষদের জন্য সোনা ব্যবহার হারাম। কিন্তু শোনা যায়, চার আনা পরিমাণ নাকি জায়েয, যাতে বিপদে কাজে আসে। --- এ কথা কি ঠিক?

পুরুষদের জন্য সোনা ব্যবহার হারাম। কিন্তু শোনা যায়, চার আনা পরিমাণ নাকি জায়েয, যাতে বিপদে কাজে আসে। --- এ কথা কি ঠিক?


পুরুষের জন্য সোনার চেন, ঘড়ি, আংটি, বোতাম, কলম ইত্যাদি ব্যবহার বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন, “সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে।”  (তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ৪৩৪১ নং)
ইবনে আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) এক ব্যক্তির হাতে সোনার আংটি দেখলেন। তিনি তাঁর হাত থেকে তা খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন এবং বললেন,

মহিলার দেহ থেকে লোম তুলে ফেলা কি বৈধ?

মহিলার দেহ থেকে লোম তুলে ফেলা কি বৈধ?


মহিলাদের দেহে তিন প্রকার লোম আছে।
(ক) যা তুলে ফেলা ওয়াজেব। যেমন বগল ও গুপ্তাঙ্গের লোম।
(খ) যা তুলে ফেলা হারাম। যেমন ভ্রুর লোম।
(গ) যে লোম তোলার ব্যাপারে কোন আদেশ নিষেধ নেই, তা তুলে ফেলা বৈধ। যেমন পিঠ বা পায়ের লোম। অনুরূপ চেহারার পুরুষের মতো দাড়ি গোঁফের অস্বাভাবিক লোম।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহ্‌র অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর,

বিনা অহংকারে পরিহিত বস্ত্র গাঁটের নিচে ঝুলানো হারাম কি না?

বিনা অহংকারে পরিহিত বস্ত্র গাঁটের নিচে ঝুলানো হারাম কি না?


পুরুষদের জন্য পরিহিত বস্ত্রপায়ের গাঁটের নিচে ঝুলান হারাম, তাতে অহংকারের উদ্দেশ্য হোক অথবা অহংকারের উদ্দেশ্যে না হোক। তবে যদি তা অহংকারের প্রকাশের উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে তার শাস্তি অধিকতর কঠিন ও বড়। যেহেতু সহীহ মুসলিমের আবূ যার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে নবী (সঃ)বলেন,

#দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি?

#দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি?
----------------------------------------------------------------------
কিছু পাপ আছে যা বান্দার মাঝে উপস্থিত থাকলে তার দুয়া কবুল হওয়ার জন্য বাঁধা হয়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, এই পাপগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, যদি কেউ চায় তার দুয়া কবুল করা হোক।
🔘🔘 হারাম খাদ্য, হারাম পানীয় ও হারাম বস্ত্রঃ
-
কেউ হারাম কোনো খাবার খেলে বা কারো খাবার হারাম টাকায় কেনা হলে, পোশাক হারাম বা হারাম টাকায় কেনা হলে আল্লাহ ঐ অবস্থায় তার দুয়া কবুল করেন না।
-
👉 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

গোসলের পর প্রস্রাব দ্বার থেকে বীর্য বের হতে দেখলে কি পুনরায় গোসল করতে হবে?

গোসলের পর প্রস্রাব দ্বার থেকে বীর্য বের হতে দেখলে কি পুনরায় গোসল করতে হবে?


গোসলের পর প্রস্রাবদ্বারে থেকে বীর্য বের হলে তা উত্তেজনাবশতঃ নয়, বরং তা কোনভাবে ভিতরে আটকে থাকা বীর্য। সুতরাং তাতে পুনরায় গোসল করা ওয়াজেব নয়। তা প্রস্রাবের মতো, তা পুনরায় ধুয়ে ফেলে ওযু করলেই যথেষ্ট।  (ইবনে বায)

মিলনের পর বাথরুমে প্রস্রাব করতে গিয়ে দেখি মাসিক শুরু হয়ে গেছে। তাহলে আমাকে কি মিলনের গোসল করতে হবে?


স্বামী সহবাসের পর মাসিক শুরু হয়ে গেলে গোসল ফরয নয়। কারণ সে ফরয পালনে কোন লাভও নেই। সে গোসলের পর সে পবিত্র হবে না। সুতরাং মাসিক বন্ধ হওয়ার পর গোসল ফরয। কিন্তু মাসিক অবস্থায় যদি কুরআন মুখস্থ পড়তে হয়, তাহলে তাঁকে গোসল করতে হবে। কারণ বীর্যপাত ঘটিত অপবিত্রতায় সঠিক মতে কুরআন পড়া বৈধ নয়।  (শায়খ সা’দ আল-হুমাইদ)

স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য কি ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা বৈধ নয়?

স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য কি ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা বৈধ নয়?


স্বামী সহবাসের পর গোসল করার পূর্বে মহিলার জন্য ঘর সংসারের কাজকর্ম ও রান্না-বান্না করা অবৈধ নয়। যা অবৈধ, তা হল, নামায, কা’বা-ঘরের তওয়াফ, মসজিদে অবস্থান, কুরআন স্পর্শ ও তিলাওয়াত। এ ছাড়া অন্যান্য কাজ বৈধ।
একদা আবূ হুরাইরা এর সাথে মহানবী (সঃ) এর মদ্বীনার এক পথে দেখা হল। সে সময় আবূ হুরায়রা অপবিত্রাবস্থায় ছিলেন। তিনি সরে গিয়ে গোসল করে এলেন। নবী (সঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন,

সহবাসের পর সত্বর গোসল করা কি জরুরী?

সহবাসের পর সত্বর গোসল করা কি জরুরী?


সহবাসের পর সত্বর গোসল করে নেওয়া উত্তম। নচেৎ ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাছাড়া হটাৎ এমন প্রয়োজনও পড়তে পারে, যাতে গোসল করা জরুরী। অবশ্য নিশ্চিন্ত হলে ঘুমোবার আগে অথবা কাজকর্ম বা পানাহার করার আগে ওযু করে নেওয়া মুস্তাহাব।  (বুখারী ৩৮৩, মুসলিম ৩০৫-৩০৬ নং)

আমি একজন বিধবা যুবতী। অনেক সময় স্বপ্নে দেখি, আমি পূর্ণ তৃপ্তির সাথে সহবাস করছি। কিন্তু ঘুম ভাঙবার পর শরমগাহে কোন অতিরিক্ত তরল পদার্থ লক্ষ্য করি না। এতে কি আমার জন্য গোসল ফরয হবে?


শরমগাহে বীর্য লক্ষ্য না করলে গোসল ফরয নয়।  (ইবনে উসাইমীন, মুমতে ১/২৩৪) যুবক ও যদি স্বপ্নে সহবাস করে এবং ঘুমিয়ে উঠে বীর্য না দেখে, তাহলে গোসল ফরয নয়। যেমন ঘুমিয়ে উঠে কাপড়ে বীর্য দেখলে এবং স্বপ্নদোষ হওয়ার কথা মনে না থাকলেও গোসল ফরয।

বীর্যপাত হলে গোসল ফরয। লিঙ্গাগ্র স্ত্রীলিঙ্গে প্রবেশ করলে এবং বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয। কিন্তু নিরোধ ব্যবহার করে প্রবেশ করালে এবং বীর্যপাত না হলে কি গোসল ফরয ?

বীর্যপাত হলে গোসল ফরয। লিঙ্গাগ্র স্ত্রীলিঙ্গে প্রবেশ করলে এবং বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয। কিন্তু নিরোধ ব্যবহার করে প্রবেশ করালে এবং বীর্যপাত না হলে কি গোসল ফরয ?


মহানবী (সঃ) বলেছেন, “যখন স্বামী তার স্ত্রীর চার শাখা (দুই হাত দুই পায়ের) ফাকে বসবে এবং লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ করবে, তখন গোসল ওয়াজেব হয়ে যাবে। (মুসলিম ৩৪৯ নং) নিরোধ ব্যবহার করে লিঙ্গে লিঙ্গে স্পর্শ না হলেও যেহেতু প্রবেশ করিয়ে তাতে যৌনতৃপ্তি অর্জন হয়, সেহেতু গোসল করতে হবে।”


সঙ্গমে লিপ্ত অবস্থায় কলিংবেল বেজে উঠায় উঠে গিয়ে দরজা খুলি এবং তার পর আর সুযোগ হয়নি এবং আমাদের বীর্যপাতও হয়নি। এতে কি গোসল জরুরী?


সঙ্গমে লিপ্ত হলেই এবং লিঙ্গাগ্র (সুপারি) যোনিপথে প্রবেশ করালেই গোসল ফরয। তাতে বীর্যপাত হোক বা না হোক।

আমরা নতুন বর কনে। ইসলামের বিধান মানার ব্যাপারেও আমাদেরকে নতুন বলতে পারেন। আমরা জানতে চাই, আমাদের প্রেমকেলিতে কোন সময় গোসল করা ফরয হয় এবং কোন সময় হয় না।

আমরা নতুন বর কনে। ইসলামের বিধান মানার ব্যাপারেও আমাদেরকে নতুন বলতে পারেন। আমরা জানতে চাই, আমাদের প্রেমকেলিতে কোন সময় গোসল করা ফরয হয় এবং কোন সময় হয় না।


স্বামী স্ত্রীর যৌন জীবনে বিভিন্ন অবস্থা হতে পারে এবং সেই অবস্থা অনুযায়ী বলা যাবে, কখন গোসল ফরয এবং কখন তা ফরয নয়। স্পর্শ, চুম্বন দংশন, মর্দন, প্রচাপন ইত্যাদিড় ক্ষেত্রে যদি প্রস্রাবদ্বার থেকে আঠালো তরল পদার্থ বের হয়, তাহলে তাতে গোসল ফরয নয়। তাতে ওযু নষ্ট হয়ে যায়। কাপড়ে লাগলে

স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেওয়া অথবা মিলন না দিয়ে তাকে রাগান্বিত করা অভিশাপের কাজ জানি। কিন্তু সে যদি অবৈধ মিলন প্রার্থনা করে এবং তাতে রাজি না হই, তাহলেও কি অভিশপ্তা হব ?

স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেওয়া অথবা মিলন না দিয়ে তাকে রাগান্বিত করা অভিশাপের কাজ জানি। কিন্তু সে যদি অবৈধ মিলন প্রার্থনা করে এবং তাতে রাজি না হই, তাহলেও কি অভিশপ্তা হব ?


স্বামী যদি অবৈধ মিলন চায় এবং তাকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে যদি আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন বা তার অবাধ্যচরণ হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে অভিশাপ আসার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং “আল্লাহ্‌র অবাধ্য হয়ে কোন সৃষ্টির বাধ্য হওয়া যাবে না।” (আহমাদ, হাকেম, মিশকাত ৩৬৯৬ নং) সুতরাং স্বামী যদি রমযানের দিনে অথবা মাসিক অবস্থায় মিলন চায় অথবা পায়খানার দ্বারে সঙ্গম করতে চায়, তাহলে স্ত্রীর তাতে সম্মত হওয়া বৈধ নয়। তাতে সে রাগারাগি করলেও সে রাগ তার অন্যায়। সে স্বামী একজন যালেম। আর স্ত্রীর উচিৎ, যালেম স্বামীর সাহায্য করা। একদা রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, “তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে অত্যাচারী হোক বা অত্যাচারিত।” আনাস (রঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহ্‌র রাসুল! অত্যাচারিত কে সাহায্য করার বিষয়টি তো বুঝলাম; কিন্তু অত্যাচারীকে কিভাবে সাহায্য করব?’ তিনি বললেন, “তুমি তাকে অত্যাচার করা হতে বাঁধা দেবে, তাহলেই তাকে সাহায্য করা হবে।” (বুখারী)

বাসায় পানি না থাকার ফলে ফজরের নামাজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে যদি আমি মিলনে রাজি না হই, তাহলে তাতেও কি আমি অভিশপ্তা হব?

দিসে আছে, “যদি কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে এবং সে না আসে, অতঃপর সে (স্বামী) রাগাম্বিত অবস্থায় রাত কাটায়, তাহলে ফিরিশতাগণ তাকে সকাল অবধি অভিশম্পাত করতে থাকেন।” কিন্তু বাসায় পানি না থাকার ফলে ফজরের নামাজ নষ্ট হওয়ার ভয়ে যদি আমি মিলনে রাজি না হই, তাহলে তাতেও কি আমি অভিশপ্তা হব?


পানি না থাকলে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া যাবে। সুতরাং সেই ওজরে স্বামীর যৌন সুখে বাঁধা দেয়া উচিৎ নয়। যেহেতু শরীয়তে এমন বিধান নেই যে পানি না থাকলে তোমরা নাপাক হয়ো না। বরং বিধান হল, “হে বিশ্বাসিগন! তোমরা নেশার অবস্থায় নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা কি বলছ, সেটা বুঝতে পার এবং

গোসল করার মত পানি নেই জেনেও কি মিলন করা বৈধ?

গোসল করার মত পানি নেই জেনেও কি মিলন করা বৈধ?


গোসল করার মত পানি নেই জেনেও মিলন অবৈধ নয়। মিলনের সময় মিলন বৈধ। নামাযের সময় পানি না পাওয়া গেলে যথানিয়মে তায়াম্মুম করে নামাজ বৈধ। আবু যার পানি না থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী মিলন করলে নবী (সঃ) তাকে তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, “দশ বছর যাবত পানি না পাওয়া গেলে মুসলিমের ওযুর উপকরণ হল পাক মাটি। পানি পাওয়া গেলে গোসল করে নাও।” ৬৫২(আহমাদ, আবূ দাঊদ ৩৩৩ নং)

সহবাস বা মিলন তৃপ্তির কথা স্বামী কি তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী কি তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে?

মিলন তৃপ্তির কথা স্বামী কি তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী কি তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে?


মিলন তৃপ্তির কথা স্বামীর তার বন্ধুদের কাছে এবং স্ত্রী তার বান্ধবীদের কাছে বলতে পারে না, বিশেষ করে যদি তারা অবিবাহিত হয়। মজাকছলে হলেও সে কথা কারো কাছে বলা বৈধ নয়।
আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌র নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যাক্তি হবে, যে স্ত্রীর সাথে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।” (মুসলিম)
আসমা বিন্তে ইয়াযিদ (রঃ) বলেন,

গর্ভাবস্থায় সঙ্গম বৈধ কি?সহবাস চলাকালে কথা বললে কি কোন ক্ষতি হয়?

গর্ভাবস্থায় সঙ্গম বৈধ কি?

 
শরীয়তে গভাবস্থায় সঙ্গম নিষিদ্ধ নয়। ভ্রূণের কোন ক্ষতির আশংকা না থাকলে গর্ভাবস্থায় সঙ্গমে দোষ নেই। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে পেটে চাপ না পড়ে। অবশ্য শেষের দিকে না করাই উচিৎ। যেহেতু বলা হয় যে, তাতে ব্যাকটেরিয়াগত কোন ক্ষতির আশংকা থাকে। যেমন যে মহিলার গর্ভপাত হয়, তার সাথে প্রথম তিন মাস সঙ্গম না করতে ডাক্তারগন উপদেশ দিয়ে থাকেন।

সহবাস চলাকালে কথা বললে কি কোন ক্ষতি হয়?


সহবাস চলাকালে স্বামী স্ত্রীতে কথা বললে কোন ক্ষতি নেই। সে সময় কথা বললে সন্তান বোবা হয়---এ ধারনা সঠিক নয়। (তুহফাতুল আরুস দ্রঃ)

কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব পায়খানা নিষেধ, কিন্তু স্ত্রী সহবাস বৈধ কি? সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কি কোন ক্ষতি আছে?

কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব পায়খানা নিষেধ, কিন্তু স্ত্রী সহবাস বৈধ কি?


কিবলামুখী হয়ে স্বামী স্ত্রী সহবাস করা অবৈধ এমন কোন দলীল নেই। যারা স্ত্রী সহবাসকে প্রস্রাব পায়খানা করার মতো মনে করেন, তারা অবশ্য তা অবৈধ বলেন। আর যাঁদের নিকট ঘরের ভিতর কিবলামুখে প্রস্রাব পায়খানা বৈধ, তাঁদের নিকট স্ত্রী সহবাসও বৈধ। আল্লাহু আলাম।

সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কি কোন ক্ষতি আছে?


সহবাস চলাকালে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে কোন ক্ষতি নেই। তা দেখলে কোন পাপও হয় না এবং চোখেরও কোন ক্ষতি হয় না। “তিনি আমার লজ্জাস্থান দেখেননি এবং আমি তার লজ্জাস্থান দেখিনি”-বলে মা আয়েশা (রঃ)র প্রচলিত উক্তি সহীহ নয়।  

রমযানের কাযা রোযা রেখেছিলাম এবং বৃহস্পতিবার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না বলে নফল রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আসার পর অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?

রমযানের কাযা রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু একদিন আমার স্বামী অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?


ফরয রোযা কাযা করার সময় তা ভেঙ্গে ফেলা বৈধ নয়। সুতরাং আপনার স্বামীর উক্ত আচরণ সঠিক নয়। তার উচিৎ, আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করা। অবশ্য কাফফারা ওয়াজেব নয়। কারণ, সে কাজ রমযানের বাইরে তাই।

বৃহস্পতিবার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না বলে নফল রোযা রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আসার পর অধৈর্য হয়ে আমার সাথে মিলনে লিপ্ত হয়ে যান। এতে কি কাফফারা দিতে হবে?


নফল রোযা রাখার পর ইচ্ছা করে ভেঙ্গে ফেললে কোন ক্ষতি হয় না। তা কাযা করাও ওয়াজেব নয়। সুতরাং আপনার স্বামীর উক্ত আচরণে কাফফারা ওয়াজেব নয়।

রোযা রেখে মহিলা যদি মহিলা ডাক্তার না পেয়ে পুরুষ ডাক্তারের কাছে এমন রোগ দেখাতে যায়, যাতে ডাক্তার তার লজ্জাস্থানে হাত প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। তাহলে তাতে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কি?

রোযা রেখে মহিলা যদি মহিলা ডাক্তার না পেয়ে পুরুষ ডাক্তারের কাছে এমন রোগ দেখাতে যায়, যাতে ডাক্তার তার লজ্জাস্থানে হাত প্রবেশ করতে বাধ্য হয়। তাহলে তাতে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কি?


ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তা করলে তাতে তার রোযা ভাঙ্গবে না। বরং স্বামীও যদি খেলার ছলে নিজ আঙ্গুল প্রবেশ করায়, তবুও তার রোযা ভাঙ্গবে না। যেহেতু তার দলীল নেই। আর তা সহবাসও নয়।

ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মিলন করতে পারে?

ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মিলন করতে পারে?


যদি স্বামী এতই ধৈর্যহারা হয়, তাহলে তা অবৈধ বলা যাবে না। যেহেতু সে সময় তাঁদের জন্য তা বৈধ। অবশ্য সুন্নত হল খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করা। কিন্তু সেই সুন্নত পালনে কেউ যদি আধৈর্য হয়, তাহলে পেটের ক্ষুধা মিটাবার আগে যৌন ক্ষুধা মিটাবার দরজা উন্মুক্ত আছে। ইবনে উমার (রাঃ) কোন কোন দিন সহবাস দ্বারা ইফতার করতেন বলে বর্ণিত আছে।  (ত্বারাবানী)

একাধিক স্ত্রীর মাঝে সমতা ইনসাফ বজায় রাখা ওয়াজেব। রাত্রিবাস সবার সাথে সমান ভাবে করলেও মিলন সকলের সাথে হয়ে ওঠে না। তাতে কি আমি গোনাহগার হব?

একাধিক স্ত্রীর মাঝে সমতা ইনসাফ বজায় রাখা ওয়াজেব। রাত্রিবাস সবার সাথে সমান ভাবে করলেও মিলন সকলের সাথে হয়ে ওঠে না। তাতে কি আমি গোনাহগার হব?


একাধিক স্ত্রীর মাঝে ভালবাসাকে যেমন সমানভাবে ভাগ করে বণ্টন করা যায় না, তেমনি আকর্ষণ ও মিলনও সবার সাথে সমান হওয়া জরুরী নয়। তবে নিজের পক্ষ থেকে অনিচ্ছা প্রকাশ করা উচিৎ নয়। কোন স্ত্রী না চাইলে ভিন্ন কথা। কিন্তু চাইলে তার হক আদায় করা উচিৎ এবং সে ক্ষেত্রে সকলের মাঝে সমতা বজায় রাখা কর্তব্য।

স্বামী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবককে এবং স্ত্রী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবতীকে কল্পনায় এনে তৃপ্তি নিতে পারে কি?

স্বামী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবককে এবং স্ত্রী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবতীকে কল্পনায় এনে তৃপ্তি নিতে পারে কি?


এই শ্রেণীর কল্পিত পরপুরুষ বা পরস্ত্রির সহবাস এক প্রকার ব্যভিচার। সহবাসের সময় স্ত্রীর জন্য বৈধ নয় অন্য কোন সুন্দর অন্য সুস্বাস্থ্যবান পুরুষকে কল্পনা করা এবং স্বামীর জন্যও বৈধ নয় অন্য সুন্দরী সুস্বাস্থ্যবতী যুবতীকে কল্পনা করা। বৈধ নয়, পরপুরুষ বা পরস্ত্রীর নাম নিয়ে উভয়ের তৃপ্তি নেওয়া অথবা উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। মনে মনে যাকে ভালবাসে, তার সাথে মিলন করছে খেয়াল করা। উলামাগন বলেন, “ যদি কেউ এক গ্লাস পানি মুখে নিয়েও কল্পনা করে যে, সে মদ খাচ্ছে, তাহলে তা পান করা হারাম।” ৬৪৭ (মাদখাল ২/১৯৪, ফুরু ৩/৫১, ত্বারহুত তাষবীর ২/১৯)

সন্তান প্রসবের পর কখন মিলন বৈধ হয়।

সন্তান প্রসবের পর কখন মিলন বৈধ হয়।


সন্তান প্রসবের পর যখন রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকেই মিলন বৈধ। স্রাব অব্যাহত থাকলে ৪০ দিন পর্যন্ত অবৈধ। ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে স্রাব থাকলেও মিলন বৈধ।


সহবাসের সময় আমার স্বামী প্রবল উত্তেজনাবসতঃ এমন অনেক অশালীন কথা বলে, যে কথা অন্য সময় বলে না। অনেক সময় সে সব বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাতে কি তার পাপ হবে?


স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে যৌনতা করা হয়, সেটাই অন্যের সাথে করা অশালীনতা অসভ্যতা। সুতরাং আপসের সঙ্গম বৈধ হলে প্রবল উত্তেজনার পূর্বে তৃপ্তি গ্রহণ করতে ঐ শ্রেণীর কোন কথা বলা দূষণীয় নয়। তবে তা না বললে যদি চলে, তাহলে ত্যাগ করাই উত্তম। (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল মুনাজ্জিদ)

শিঙ্গারের সময় স্তনবৃন্ত চুষতে গিয়ে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেতে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?

শিঙ্গারের সময় স্তনবৃন্ত চুষতে গিয়ে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেতে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?


রতিক্রীড়ার সময় স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেটে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর মা হয়ে যাবে না। কারণ দুধ পান করিয়ে “মা” হওয়ার দুটি শর্ত আছেঃ
(এক) দুধ পান যেন বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার হয়।
(দুই) দুধপান যেন দুধপানের বয়সের ভিতরে হয়। আর তা হল দুই বৎসর বয়সের ভিতরে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,

সন্তান মায়ের স্তনবৃন্ত চুষে দুগ্ধপান করে। মিলনের পূর্বে স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করা কি স্বামীর জন্য বৈধ? পরন্ত অসাবধানতায় যদি পেতে দুধ চলে যায়, তাহলে কি স্ত্রী মায়ের মত হারাম হয়ে যাবে?

সন্তান মায়ের স্তনবৃন্ত চুষে দুগ্ধপান করে। মিলনের পূর্বে স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করা কি স্বামীর জন্য বৈধ? পরন্ত অসাবধানতায় যদি পেতে দুধ চলে যায়, তাহলে কি স্ত্রী মায়ের মত হারাম হয়ে যাবে?


স্বামীর জন্য বৈধ তার স্ত্রীর স্তনবৃন্ত চোষণ করে উভয়ের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। সে ক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর দুধ তার পেটে চলে যায়, তাহলে তাতে কোন প্রকার ক্ষতি হয় না এবং স্ত্রী তার মা হয়ে যায় না। কারণ দুধ পানের মাধ্যমে হারাম হওয়ার যে সব শর্ত আছে, তা হলঃ

হস্ত মৈথুন যুবক যুবতী কারোর জন্যও বৈধ নয়। কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রী একে অপরের হস্ত দ্বারা মৈথুন করে, তাহলেও কি তা অবৈধ হবে?

হস্ত মৈথুন যুবক যুবতী কারোর জন্যও বৈধ নয়। কিন্তু যদি স্বামী স্ত্রী একে অপরের হস্ত দ্বারা মৈথুন করে, তাহলেও কি তা অবৈধ হবে?

স্বামী স্ত্রীর ক্ষেত্রে এমন মৈথুন অবৈধ নয়। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন, “(সফল মু’মিন তারা,) যারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে। নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যাতীত; এতে তারা নিন্দনীয় হবে না। সুতরাং কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে, তারা হবে সীমালঙ্ঘকারী।” (মু’মিনূনঃ ৫-৭, মাআরিজঃ ২৯-৩১)

সুতরাং অবৈধ হল নিজের হাতে নিজের বীর্যপাত। স্বামী স্ত্রীর একে অন্যের হাত দ্বারা বীর্যপাত অবৈধ নয়।

আর মহানবী (সঃ) ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে যৌনাচার করার ব্যপারে বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।” (মুসলিম ৩০২ নং)

মাসিক অবস্থায় সঙ্গম হারাম। কিন্তু স্ত্রীর দেহের অন্যান্য জায়গায় বীর্যপাত করা যায় কি না?

মাসিক অবস্থায় সঙ্গম হারাম। কিন্তু স্ত্রীর দেহের অন্যান্য জায়গায় বীর্যপাত করা যায় কি না?

উত্তম হল স্ত্রীকে জাঙ্গিয়া পরিয়ে দেহের যে কোন জায়গায় বীর্যপাত করা। অবশ্য যে নিজের মনোবলে সঙ্গম থেকে বাঁচতে পারবে, তার জাঙ্গিয়া না পরালেও চলবে। পরন্ত স্ত্রীর মুখে বীর্যপাত করা বিকৃত রুচির মানুষের ঘৃণ্য আচরণ। আর পায়খানার দ্বারে সঙ্গম হারাম এবং এক প্রকার কুফরি।

মহান আল্লাহ বলেছেন,

“লোকেরা তোমাকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে। তুমি বোল, তা অশূচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রব কালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন কর। এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য)তাঁদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাঁদের নিকট ঠিক সেই ভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)

আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।”

তবে সতর্কতার বিষয় যে, নিষিদ্ধ জায়গার আশেপাশে থাকতে থাকতে যেন উত্তেজনার চরম মুহূর্তে সেই জায়গায় প্রবেশ না হয়। আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেছেন, “পাপ আল্লাহ্‌র সংরক্ষিত চারণভূমি। যে ঐ চারণভূমির ধারে পাশে চরবে, সে অদুরে সম্ভবতঃ তার ভিতরেও চরতে শুরু করে দেবে।”  (বুখারি, মুসলিম)

শুনেছি মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে এক দীনার সদকাহ করে কাফফারা দিতে হবে।কিন্তু স্ত্রী যদি সেই সময় মিলনে এমনভাবে উত্তেজিত করে, যাতে স্বামী তা দমন করতে না পেরে মিলন করে ফেলে, তাহলে কাফফারা কাকে দিতে হবে?

শুনেছি মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে এক দীনার (সওয়া চার গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ অথবা তার মূল্য, না পারলে এর অর্ধ পরিমাণ অর্থ) সদকাহ করে কাফফারা দিতে হবে। (আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ প্রভৃতি, আদাবুয যিফাফ ১২২ পৃঃ) কিন্তু স্ত্রী যদি সেই সময় মিলনে এমনভাবে উত্তেজিত করে, যাতে স্বামী তা দমন করতে না পেরে মিলন করে ফেলে, তাহলে কাফফারা কাকে দিতে হবে?

কাফফারা দিতে হবে স্ত্রীকে। আর স্বামীকেও দিতে হবে। যেহেতু সে ইচ্ছা করলে নাও করতে পারত। পক্ষান্তরে স্বামী জোড় পূর্বক করলে এবং স্ত্রী বাঁধা দিতে না পারলে তার গোনাহ হবে না এবং তাকে কাফফারা দিতে হবে না।

মাসিক অবস্থায় স্বামী আমার দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে আমার কি করা উচিত?

মাসিক অবস্থায় স্বামী আমার দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে আমার কি করা উচিত?

মাসিক অবস্থায় স্বামী নিজ স্ত্রীর দেহ নিয়ে খেলায় মাতলে এবং তার ফলে স্ত্রীরও উত্তেজনা সৃষ্টি হলে প্রশ্রাব পায়খানার দ্বার সাবধানে হেফাজত করবে। নচেৎ সঙ্গম ঘটে গেলে সেও গোনাহগার হবে।

নিয়মিত মাসিক হওয়ার পরও অনেক সময় খুন দেখা যায়, সে সময় কি সহবাস বৈধ?

নিয়মিত মাসিকের পরে অথবা প্রসবের চল্লিশদিন পরেও যে অতিরিক্ত খুন দেখা যায়, তাতে সহবাস বৈধ এবং নামায রোযা ওয়াজেব। একে ইস্তিহাযার খুন বলে। এ খুন হায়যের মতো নয়।

প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে মিলন হারাম। কিন্তু সেই অবস্থায় স্বামী নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?

প্রসবোত্তর স্রাব অথবা ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে মিলন হারাম। কিন্তু সেই অবস্থায় স্বামী নিজের কাম বাসনা চরিতার্থ করতে কি করতে পারে?

মহান আল্লাহ বলেছেন, “লোকেরা তোমাকে রাজঃস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে। তুমি বোল, তা অশূচি। সুতরাং তোমরা রাজঃস্রব কালে স্ত্রী সঙ্গ বর্জন কর। এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য)তাঁদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাঁদের নিকট ঠিক সেই ভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (বাকারাহঃ ২২২)

কিন্তু নিকটবর্তী হয়ো না’র অর্থ হল সঙ্গমের জন্য তাঁদের কাছে যেও না। অর্থাৎ যোনিপথে সঙ্গম হারাম। পায়খানারদ্বারেও সঙ্গম হারাম। আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) বলেন,

“আল্লাহ আযযা অজাল্ল (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির দিকে তাকিয়েও দেখবেন না, যে ব্যক্তি কোন পুরুষের মলদ্বারে অথবা কোন স্ত্রীর মলদ্বারে সঙ্গম করে।” (তিরমিযী, ইবনে হিব্বান, নাসাঈ, সহিহুল জামে ৭৮০১ নং)

তিনি আরও বলেন, “যে ব্যক্তি কোন ঋতুমতী স্ত্রী (মাসিক অবস্থায়) সঙ্গম করে অথবা কোন স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাস করে, অথবা কোন গনকের কাছে উপস্থিত হয়ে (সে যা বলে তা) বিশ্বাস করে, সে ব্যক্তি মুহাম্মাদ (সঃ) এর উপর অবতীর্ণ কুরআনের সাথে কুফরী করে।” (অর্থাৎ কুরআনকেই সে অবিশ্বাস অ অমান্য করে। কারণ, কুরআনে এক সব কুকর্মকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।)  (আহমাদ ২/৪০৮, ৪৭৬, তিরমিযী, সহীহ ইবনে মাজাহ ৫২২ নং)

তাহলে যৌন ক্ষুধা মিটাতে এ সময় করা যায় কি? এর উত্তর দিয়েছেন মহানবী (সঃ)। তিনি বলেছেন, “সঙ্গম ছাড়া সব কিছু কর।” (মুসলিম ৩০২ নং)

তা বলে কি মুখণ্ডমৈথুন করা যাবে? না, কারণ যে মুখে আল্লাহ্‌র যিকির হয়, সে মুখকে এমন কাজে ব্যবহার রুচিবিরুদ্ধ কাজ। অবশ্য উরু-মৈথুন করা যায়। তবে সতর্কতার সাথে, যাতে প্রস্রাব বা পায়খানারদ্বারে সঙ্গম হয়ে বসে। যদিও মা আয়েশা (রঃ) বলেছেন, “নবী (সঃ) মাসিকের সময় আমাদের যৌনাঙ্গে কাপড় রাখতে বলতেন। অতঃপর শয্যাসঙ্গী হতেন। তবে তিনি ছিলেন জিতেন্দ্রিয়।” (বুখারি, মুসলিম) তবুও কাপড় না রেখে যদি ঊরু মৈথুন করে, তবে তা হারাম নয়।  (ইবনে বায)

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ