Tuesday, November 28, 2017

যাদু প্রতিরোধের উপায়

যাদু প্রতিরোধের উপায়


যে সমাজে যাদু দ্বারা মানুষের ক্ষতি সাধন করা হয় এবং যাদুর প্রাদুর্ভাব বেশি, বিশেষ করে নব দম্পতির জন্য সেখানে পূর্বেই এর বিপদ থেকে রেহাই পাওয়ার যে সব করণীয় বিষয় আছে তা এখানে বর্ণনা করা হবে। এক্ষেত্রে এক বিশেষ প্রশ্নের গুরুত্ব রাখেঃ নব দম্পতির জন্য কি যাদু প্রতিরোধের কোন উপায় রয়েছে, যার ফলে যদিও তাদের জন্য যাদু করা হয়; কিন্তু তাতে তাদের কোন ক্ষতি হবে না? উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই উপায় রয়েছে, যা অচিরেই বর্ণনা করব ইনশাআল্লাহ! কিন্তু

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ প্রতিরোধের প্রথম উপায়ঃ খালি পেটে সাতটি আজওয়া খেজুর খাওয়া

প্রতিরোধের প্রথম উপায়ঃ খালি পেটে সাতটি আজওয়া খেজুর খাওয়া


সম্ভব হলে মদীনা থেকে আজওয়া খেজুরের ব্যবস্থা করবে আর না হয় যে কোন প্রকারের আজওয়া খেজুর চলবে। আল্লাহর রাসূলের হাদীসে রয়েছেঃ “যে ব্যক্তি সাতটি আজওয়া খেজুর সকাল বেলায় আহার করবে সেদিন তাকে কোন বিষ ও

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ দ্বিতীয় উপায়ঃ ওযু অবস্থায় থাকলে যাদুর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না

দ্বিতীয় উপায়ঃ ওযু অবস্থায় থাকলে যাদুর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না


কেননা এমন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ফেরেশতা নির্ধারত হয়ে থাকে । ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের অঙ্গসমূহকে পবিত্র রাখ, আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে পবিত্র করবেন কেননা যে ব্যক্তিই পবিত্র অবস্থায় রাত্রি যাপন করবে পোশাকের ন্যায় তার শরীরে এক হেফাযতকারী ফেরেশতা নির্ধারণ করে দিবেন। রাতের যে মুহুর্তে

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ তৃতীয় উপায়ঃ জামাআতের সাথে নামাযের পাবন্দি

তৃতীয় উপায়ঃ জামাআতের সাথে নামাযের পাবন্দি


জামাআতের সাথে নামায পড়লে শয়তানের অনিষ্ট হতে নিরাপদ হওয়া যায়। আর নামায থেকে গাফেল হলে শয়তান তাকে বশীভূত করে ফেলে। আবু দারদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ চতুর্থ উপায়ঃ তাহাজ্জুদের নামায আদায়

চতুর্থ উপায়ঃ তাহাজ্জুদের নামায আদায়


যে ব্যক্তি নিজেকে যাদুর অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে চায় সে যেন রাত্রির কিছু অংশ হলেও রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করে। এ থেকে একেবারে বিমূখ না থাকে কেননা তা থেকে বিমূখ থাকা শয়তানের প্রভাব পড়ার কারণ হয়ে থাকে। আর শয়তান যদি পেয়ে বসে তবে যাদু ক্রিয়া সহজ হয়।
ইবনে মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকটে এক ব্যক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হয় যে,

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ পঞ্চম উপায়ঃ বাথরুমে প্রবেশের সময় দুআ পড়া

পঞ্চম উপায়ঃ বাথরুমে প্রবেশের সময় দুআ পড়া


বাথরুম ও অনুরূপ অপবিত্র স্থানে শয়তানের আস্তানা গড়ে ওঠে, আর শয়তান মুসলমানের বিরুদ্ধে এ ধরণের জায়গায় সুযোগ খুজে। লেখক বলেন, এক শয়তান জ্বিন আমাকে বলে, আমি এই ব্যক্তিকে আক্রমণ এজন্যে করেছিলাম যে, সে বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে আউযুবিল্লাহ পড়ত না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই শয়তানের বিরুদ্ধে সাহায্য করেছেন এবং আমি বললাম যে এই ব্যক্তিকে ছেড়ে দাও। আলহামদুলিল্লাহ সে ছেড়ে চলে যায়।
এক জ্বিন আমাকে বলল যে, হে মুসলমানগণ!

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ ষষ্ঠ উপায়ঃ নামাযের শুরুতে আউযুবিল্লাহ পড়া

ষষ্ঠ উপায়ঃ নামাযের শুরুতে আউযুবিল্লাহ পড়া


যুবায়ের বিন মুতয়িম (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছেন যে, তিনি নামাযে এই যিকিরসমূহ পড়ছিলেনঃ

الله اكبر كبيرا والحمد لله كثيرا وسبحان الله بكرة واصيلا

আর তিনবারঃ

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ সপ্তম উপায়ঃ বিয়ের পর মহিলাকে শয়তান থেকে রক্ষা করা

সপ্তম উপায়ঃ বিয়ের পর মহিলাকে শয়তান থেকে রক্ষা করা


পুরুষ যখন তার স্ত্রীর কাছে বাসর রাতে যাবে তখন তার কপালে হাত রেখে এই দু'আ পড়বেঃ

اللهم إنى أسألك خيرها وخيرما جبلتها عليه، وأعوذبك من شرها وشرما جبلتها عليه

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এই নারীর থেকে মঙ্গল ও কল্যাণকর বস্তু চাই। আর সে যে সন্তান ধারণ করবে তার থেকেও কল্যাণ কামনা করি।

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ অষ্টম উপায়ঃ নামায দ্বারা দাম্পত্য জীবন শুরু করা

অষ্টম উপায়ঃ নামায দ্বারা দাম্পত্য জীবন শুরু করা


আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন যে, যখন তোমার নিকট তোমার স্ত্রী বাসর রাতে আসবে তখন তুমি তাকে নিয়ে দুরাকআত নামায পড় এবং নামাযের পর এই দুআ পড়ঃ

اللهم بارك لى فى أهلي وبارك لهم فى اللهم اجمع بيننا ما جمعت بخير وفرق بيننا إذا فرقت الى الخير

 অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্যে আমার স্ত্রী ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বরকতময় কর এবং আমাকে আমার স্ত্রীর জন্যে বরকতময় করে দাও। হে আল্লাহ

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ নবম উপায়ঃ সহবাসের সময় শয়তান থেকে রক্ষার ব্যবস্থা

নবম উপায়ঃ সহবাসের সময় শয়তান থেকে রক্ষার ব্যবস্থা


ইবনে আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসের জন্যে যাবে তখন এই দু'আ পড়বেঃ

بسم الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا فقضي بينهما ولد لم يضره

অর্থঃ আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি হে আল্লাহ! তুমি আমাদের উভয়কে শয়তান থেকে রক্ষা কর। আর আমাদের সন্তানদেরকেও শয়তান থেকে রক্ষা কর। (বুখারী ১/২৯২)
এই সঙ্গমে যেই সন্তান জন্মলাভ করবে তাকে শয়তান কখনও ক্ষতি করতে পারবে না ।
এক জ্বিন ইসলাম গ্রহণের পর আমাকে বলল যে,

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ দশম উপায়ঃ শোয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়া

দশম উপায়ঃ শোয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়া


নিদ্রা যাওয়ার পূর্বে ওযু করবে, তারপর আয়াতুল কুরসী পড়ে আল্লাহর যিকির করতে করতে ঘুমিয়ে যাবে। বিশুদ্ধ সনদে বর্নিত হয়েছে যে, শয়তান আৰু হুরাইরাকে (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলল যে ব্যক্তিই শুয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়ে, সেই রাতে তার জন্যে আল্লাহ তায়ালা এক ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। আর শয়তান সেই রাতে সেই ব্যক্তির কাছে সকাল পর্যন্ত যেতে পারে না।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার এ বর্ণনা স্বীকার করে বললেনঃ

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ দ্বাদশ উপায়ঃ ফজরের নামাযের পর নিম্নোক্ত কালেমা পড়া

দ্বাদশ উপায়ঃ ফজরের নামাযের পর নিম্নোক্ত কালেমা পড়া


لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

এটাকে ফজরের নামাযের পর ১০০ বার পড়ুন। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তিই এমনটি করবে সে দশটি দাস মুক্ত করার সওয়াব পাবে এবং একশত পুণ্য তার আমলনামায় লেখা হবে এবং একশত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর সেই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ ত্রয়োদশ উপায়ঃ মসজিদে প্রবেশকালীন সময়ে নিম্নের এই দু'আ পড়া

ত্রয়োদশ উপায়ঃ মসজিদে প্রবেশকালীন সময়ে নিম্নের এই দু'আ পড়া


أعوذ بالله العظيم وبوجهه الكريم وسلطانه القديم من الشيطان الرجيم

অর্থঃ আমি সুমহান আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং তার মহান চেহারার এবং তার চিরস্থায়ী ক্ষমতার আশ্রয় প্রার্থনা করছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত তিনি বলেছেনঃ “যে ব্যক্তিই তা পড়ল শয়তান বলে,

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ চতুর্দশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নের দু'আ তিনবার পড়া

চতুর্দশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নের দু'আ তিনবার পড়া


بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

 অর্থঃ “শুরু করছি আল্লাহর নামে যার নামের সাথে যমীন আসমানের কোন বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সব শুনেন ও জানেন । (তিরমিয়ীঃ ৫/১৩৩ সঠিক সূত্রে)

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ পঞ্চদশ উপায়ঃ বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নের দু'আ পড়া

পঞ্চদশ উপায়ঃ বাড়ী থেকে বের হওয়ার সময় নিম্নের দু'আ পড়া


بسم الله توكلت على الله لا حول ولا قوة إلا بالله

অর্থঃ আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আল্লাহর উপর ভরসা করলাম । আল্লাহ ব্যতীত কারো শক্তি ও সামর্থ নেই।
যখন আপনি এই দু'আ পড়ে বাড়ি থেকে বের হবেন তখন আপনার জন্য এক সুসংবাদ দেয়া হয় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্যে যথেষ্ট । আপনি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেলেন, সঠিক পথ পেয়েছেন এবং শয়তান আপনার থেকে দূরে চলে গেল। আর এক শয়তান অন্য

ষষ্ঠদশ উপায়ঃ ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দু'আ পড়বে

ষষ্ঠদশ উপায়ঃ ফজর ও মাগরিবের নামাযের পর নিম্নের দু'আ পড়বে


أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয় গ্রহণ করছি।

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ সপ্তদশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া

সপ্তদশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া


أعوذ بكلمات الله التامة من غضبه وعقابه وشر عباده ومن همزات الشياطين وأن يحضرون

 অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ অষ্টাদশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া

অষ্টাদশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া


اللهم انى اعوذبوجه الكريم وكلماتك التامات من شر ما انت اخذ بناضية اللهم انت تكشف المأثم والمغرم اللهم انه لا يهزم جندك ولا يخلف وعدك سبحانك وبحمدك

অর্থঃ হে আল্লাহ তোমার দয়ালু ও পবিত্র চেহারার মাধ্যমে এবং তোমার পরিপূর্ণ কালেমার মাধ্যমে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যা তোমার আয়ত্বাধীন রয়েছে। হে আল্লাহ

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ উনবিংশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া

উনবিংশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু’আ পড়া


أعوذ بوجه الله العظيم الذي لا شيء أعظم منه وبكلمات الله التامات التي لا يجاوزهن بر ولا فاجر وبأسماء الله الحسنى كلها ما علمت وما لم أعلم من شر ما خلق وذرأ وبرأ ، ومن شر كل ذي شر لا أطيق شره ، ومن شر كل ذي شر أنت آخذ بناصيته، إن ربي على صراط مستقيم

অর্থঃ আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান চেহারার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার থেকে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে ব্যতীত কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না । আর

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ বিংশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু'আ পড়া

বিংশ উপায়ঃ সকাল-সন্ধ্যায় এই দু'আ পড়া


تحصنت بالله الذي لا إله إلا هو ، إلهي وإله كل شيء ، واعتصمت بربي ورب كل شيء ، وتوكلت على الحي الذي لا يموت ، وستدفعت الشر بلا حول ولا قوة إلا بالله ، حسبي الله ونعم الوكيل ، حسبي الرب من العباد ، حسبي الخالق من المخلوق ، حسبي الرازق من المرزوق ، حسبي الذي هو حسبي ، حسبي الذي بيده ملكوت كل شيء وهو يجير ولا يجار عليه ، حسبي الله وكفى ، سمع الله من دعا، ليس وراء الله مرمى ، حسبي الله لا إله إلا هو عليه توكلت وهو رب العرش العظيم

অর্থঃ সেই আল্লাহকে রক্ষা কর্তা মেনেছি যাকে ব্যতীত আমার কোন উপাস্য নেই। তিনি আমার এবং সকল কিছুর উপাস্য। আমি আমার প্রভুকে আঁকড়ে ধরেছি এবং

যাদু প্রতিরোধের উপায়ঃ যৌন ক্ষমতা নষ্টকারী যাদুর এক বাস্তব উদাহরণ

যৌন ক্ষমতা নষ্টকারী যাদুর এক বাস্তব উদাহরণ


এ বিষয়ে অনেক ঘটনা রয়েছে; কিন্তু সংক্ষেপে একটি ঘটনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করেছি।
এক যুবক তার যে ভাই নতুন বিবাহ করেছে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসল। তার দাম্পত্য জীবনের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কবিরাজ যাদুকরের কাছে গমন করেছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
আমি যখন তা জানতে পারলাম তখন আমি তাকে প্রথম ইখলাসের সাথে তাওবা করালাম এবং সে যেন সেই সব দাজ্জালদেরকে মিথু্যক বলে বিশ্বাস করে যাতে আমার চিকিৎসায় তার ফায়েদা হয়। সে আমাকে বলল যে,

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাব ও তার কুরআন থেকে দলীল

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাব ও তার কুরআন থেকে দলীল


আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ

وَقَالَ يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ، وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ

অর্থঃ এবং (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম) বললেন হে আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা সবাই (শহরে) কোন এক প্রবেশ পথে প্রবেশ করো না বরং বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করিও । আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব না। কেননা প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী কেবল আল্লাহ। তার উপর আমার আস্থা রয়েছে। ভরসাকারীকে ভরসা করলে তার প্রতিই করতে হবে। আর যখন তারা দিয়েছিলেন অথচ আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত কোন কিছু থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। তবুও

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ বদ নজর সম্পর্কে মনীষীদের মতামত

বদ নজর সম্পর্কে মনীষীদের মতামত


ইবনে কাসীর (রহঃ) বলেনঃ বদ নজরের প্রতিক্রিয়া হওয়া সত্য যা আল্লাহর নির্দেশেই হয়ে থাকে। (তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৪/৪১০)
* হাফেজ ইবনে হাজার (রহঃ) বলেনঃ বদনজরের মূল বিষয় হল কোন উত্তম বস্তুকে কোন নিকৃষ্ট চরিত্রের ব্যক্তি হিংসার চোখে দেখে । যার ফলে সেই মানুষ অথবা যে কোন প্রাণী, যে কোন ধরণের বস্তুর ক্ষতিসাধিত হয় । (ফতহুল বারীঃ ১০/২০০)
* ইবনে আসীর (রহঃ) বলেনঃ বলা হয় (اصابت فلانا عين) অর্থাৎ অমুককে চোখ লেগেছে এটা তখন বলা হয়, যখন কারো প্রতি কোন শক্র অথবা হিংসুক দৃষ্টিপাত করে, আর এর ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।” (আন নিহায়াঃ ৩/৩২)
* হাফেজ ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) বলেনঃ

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ বদ নজর ও হিংসার মধ্যে পার্থক্য

বদ নজর ও হিংসার মধ্যে পার্থক্য


১ । প্রত্যেক বদ নজরওয়ালা হিংসুক; কিন্তু প্রত্যেক হিংসুক বদ নজর ওয়ালা নয়। এজন্য সূরা ফালাকে হিংসাকারীর অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয়ের কথা বর্ণিত হয়েছে। যাতে হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করার ফলে সে বদ নজর থেকেও রক্ষা পায়। আর এটিই হলো কুরআনের ব্যাপকতা এবং তার মোজেযা ও অলংকারিত্ব।
২। হিংসার মূল বিষয় হল বিদ্ধেষ এবং অপরের নেয়ামত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা হয়ে থাকে। অন্যদিকে বদ নজরের মূল বিষয় হল অন্যের কোন কিছুকে খুব ভাল মনে করা।
৩ । হিংসা এবং বদ নজরের পরিণাম একই যার ফলে উভয়ই ক্ষতিসাধনের কারণ হয়ে থাকে; কিন্তু উভয়ের উৎসের পার্থক্য রয়েছেঃ হিংসার উৎস অন্তরের জ্বলন সৃষ্টি হওয়া এবং

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ জ্বিনের বদ নজর মানুষকে লাগতে পারে

জ্বিনের বদ নজর মানুষকে লাগতে পারে


আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জ্বিনের নজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং এরপর মানুষের বদ নজর থেকেও পানাহ চাইতেন; সুতরাং যখন সূরা ফালাক ও নাস অবতীর্ণ হল তখন অন্য দু'আ ছেড়ে দিয়ে এই সূরাদ্বয় দিয়ে প্রার্থনা করতেন। (ইমাম তিরমিয়ী চিকিৎসা বিষয়ক অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেনঃ ২০৫৯, ইবনে মাযাহঃ ৩৫১১, আর আলবানী এটাকে সহীহ বলেছেন।)
২। উম্মুল মু'মিনীন উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত,

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ বদ নজরের চিকিৎসা

বদ নজরের চিকিৎসা


এর চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছেঃ
প্রথম পদ্ধতিঃ যে ব্যক্তি নজর লাগিয়েছে যদি তার সম্পর্কে জানা যায় তবে তার গোসল করা পানি নিয়ে রোগীর পিঠে ঢেলে দিবে। তাতে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে সে আরোগ্য লাভ করবে।
আবু উমামা বিন সাহাল বিন হুনাইফ থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমার পিতা সাহাল বিন হুনাইফ মদীনার খাররার নামক উপত্যকায় গোসল করার জন্যে প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি গোসলের জন্যে জামা খুললেন তখন তার শরীরে আমের বিন রাবীয়ার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) দৃষ্টি পড়ে। যেহেতু সাহাল বিন হুনাইফ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন, তাই আমের দেখামাত্র বলে উঠল। আজকের মত এমন (সুন্দর) আমি চামড়া কখনও দেখিনি; এমন কি অন্দর মহলের কুমারীদেরও না। তার একথা বলার সাথে সাথে সাহাল তৎক্ষণাৎ বেহুশ হয়ে পড়ে যায় এবং প্রচন্ড আকারে রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বিষয়টি জানানো হয় এবং বলা হল যে, সে তার মাথা উঠাতে পারছে না।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি কারো প্রতি বদ নজরের সন্দেহ কর? উত্তরে লোকজন বলল, হ্যাঁ আমের বিন রাবীয়ার উপর সন্দেহ হয়। এটা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার উপর রাগাম্বিত হয়ে বললেন, কেন তোমাদের মধ্যে কেউ নিজের ভাইকে হত্যা করে। তুমি তার জন্যে বরকতের দু'আ কেন করনি? এখন তার জন্যে গোসল কর। অতঃপর আমের নিজের হাত, চেহারা, দু'পা, দু'হাটু, দু’কনুই ও লুঙ্গীর আভ্যন্তরীণ অংশ একটি পাত্রে ধৌত করলেন । অতঃপর সেই পানি সাহাল বিন হুনাইফের পিঠে ঢেলে দেয়া হল। এরপর সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেল। (এই (রাহেমাহুল্লাহ) সহীহ বলেছেন।)
লুঙ্গীর আভ্যন্তরীন অংশ নিয়ে আলেমগণের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন, তা দ্বারা শরীরের অংশ বুঝানো হয়েছে। আর কেউ এটাও বলেছেন যে, এর অর্থ লজ্জাস্থান। এটাও বলা হয়েছে যে, কোমর কাজী ইবনুল আরবী বলেন এর দ্বারা লুঙ্গীর নিম্নের সংশ্লিষ্ট অংশ বুঝানো হয়েছে।

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ বদ নজরের গোসলের পদ্ধতি।

বদ নজরের গোসলের পদ্ধতি


ইবনে শিহাব যুহরী বলেন, গোসলের পদ্ধতি যা আমরা আমাদের উলামাদের নিকট থেকে শিখেছি তা হলঃ যে ব্যক্তির পক্ষ হতে নজর লেগেছে তার সামনে এক পাত্র পানি দেয়া হবে। এরপর সেই ব্যক্তি পানি নিয়ে পাত্রে কুলি করবে। এরপর পাত্রে নিজের মুখ ধুবে। বাম হাতে ঢেলে ডান হাতের কজি ও ডান হাতে ঢেলে বাম হাতের কজি পর্যন্ত একবার করে ধৌত করবে, তারপর

বদ নজর লাগা বদনজরের কুপ্রভাবঃ এই গোসলের বিধিবদ্ধতার প্রমাণ

এই গোসলের বিধিবদ্ধতার প্রমাণ


১। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ নজর লাগা সত্য, আর কোন কিছু যদি তাকদীরকে অতিক্রম করত তবে তা বদ নজর হত। আর তোমাদের মধ্যে কাউকে যখন (এর জন্য) গোসল করতে বলা হয় তখন সে যেন গোসল করে। (ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেনঃ ৫/৩২)
২। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন যে,  [নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর যুগে] নজর যে ব্যক্তি লাগিয়েছে তাকে ওযু করতে বলা হত। আর সেই ওযু করা পানি দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হত।" (আবু দাউদঃ ৩৮৮০ সহীহ সূত্র)
উল্লেখিত হাদীসদ্বয় দ্বারা নজরকৃত ব্যক্তির জন্য বদ নজরকারীর ওযু ও গোসল সাব্যস্ত হয়।
চিকিৎসার দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
রোগীর মাথায় হাত রেখে নিম্নের দু'আ পড়ুনঃ

বদ নজরের চিকিৎসার কতিপয় বাস্তব উদাহরণ- প্রথম উদাহরণঃ বাচ্চা মায়ের স্তন মুখে দেয় না

প্রথম উদাহরণঃ বাচ্চা মায়ের স্তন মুখে দেয় না


আমি এক স্থানে আমার আত্মীয়ের সাথে সাক্ষাতে গেলাম। তারা আমাকে এক শিশুর বিষয়ে জানাল যে, কয়েক দিন হল সে মার দুধ পান করা ছেড়ে দিয়েছে, অথচ কিছুদিন পূর্বেই সে তার মার দুধ স্বাভাবিকভাবে পান করত । আমি তাদেরকে বললাম শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আস। তারা শিশুটিকে আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি কিছু মাসনুন দু'আ এবং

বদ নজরের চিকিৎসার কতিপয় বাস্তব উদাহরণ- দ্বিতীয় ঘটনাঃ বালকের বাক শক্তি রুদ্ধ

দ্বিতীয় ঘটনাঃ বালকের বাক শক্তি রুদ্ধ


একটি বালক কথা বলা বন্ধ করে দেয়ঃ সে মাধ্যমিক মডেল স্কুলের অত্যান্ত মেধাবী ও মিষ্টভাষী শিশু যার খ্যাতি ছড়িয়ে গিয়েছিল। সে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখত। একদিন তার গ্রামে কারো মৃত্যুতে শোকাহত ব্যক্তিদের সান্তনার জন্যে গেল। সেখানে হামদ ও সানার পর সে অতি প্রাঞ্জল ভাষায় বক্তব্য দেয়। এরপর যখন সে বাড়ি ফিরে সে রাতেই বোবা হয়ে গেল। তার বাবা তাকে হাসপাতাল নিয়ে গেল। ডাক্তারগণ চেকআপ করে কিছুই পেল না। এরপর তার বাবা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসল আমি

বদ নজরের চিকিৎসার কতিপয় বাস্তব উদাহরণঃ তৃতীয় উদাহরণঃ এই ঘটনাটি আমার নিজের বাড়ির

তৃতীয় উদাহরণঃ এই ঘটনাটি আমার নিজের বাড়ির


সংক্ষেপে ঘটনাটি হল, এক ব্যক্তি এবং এক বৃদ্ধ মহিলা আমাদের কাছে আগমন করলেন। মহিলা আমার স্ত্রীর কাছে গিয়ে বসলেন আর পুরুষটি আমার কাছে এসে বসল এবং তার মার ঘটনা বলতে লাগল। এরপর আমি তার মাকে আমার কাছে ডাকলাম এবং কিছু দু'আ পড়ে তাকে ঝাড়লাম। এরপর তারা চলে গেল।
হঠাৎ কিছুক্ষণ পর দেখি যে, ছোট ছোট সাদা সাদা পোকা ঘরের সব স্থানে ছেয়ে গেছে। আমি ভাবলাম এসব পোকা কোথা হতে আসল। আমি হতাশায় পড়ে গেলাম। আমার স্ত্রী অনেকবার ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করতে থাকল কিন্তু মুহুর্তেই আবার ঘর ভরে যায়। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম ভেবে দেখ

কিয়ামত সম্পর্কিত বিষয়াবলীঃ ভূমিকা

ভূমিকা


সমস্ত প্রশংসা আকাশ-যমীনের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর জন্য। যিনি জীবন-মরণের একমাত্র মালিক। তিনি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করার জন্য এবং সীমা লংঘণকারীদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্যে সমস্ত মাখলুকের মৃত্যু ও পুনরুত্থান  অবধারিত করেছেন। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর বংশধর ও সৎকর্মশীল সাথীদের উপর।
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এ পৃথিবীতে আগমণ করেছি। তাঁর ইচ্ছাতেই আমরা আবার এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো। একদল আসছে, অন্য দল বিদায় নিচ্ছে। মানব জাতির এ আগমণ-প্রস্থানকে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তুলনা করা চলে। এক ঝাঁক ঢেউ সমুদ্র সৈকতে এসে শেষ হয়। তার পিছ ধরেই আরেকঝাঁক ঢেউ আগমণ করে এবং তীরে এসে শেষ হয়।
এমনি চলমান নদীর সাথে মানুষের চলার গতির যথেষ্ট মিল রয়েছে। নদীর তীরে

কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জানার উপকারিতাঃ

কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে জানার উপকারিতাঃ


একজন মুসলিমের উপর যে সমস্ত বিষয়ের প্রতি ঈমান আনয়ন করা ওয়াজিব, তার মধ্যে আখেরাত তথা শেষ দিবসের প্রতি এবং সেখানকার নেয়ামত ও আযাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ঈমানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। মানুষ পার্থিব জগত এবং তার ভোগ-বিলাসের মাঝে ডুবে থেকে কিয়ামত, পরকাল এবং তথাকার শাস্তি ও নেয়ামতের কথা ভুলে যেতে পারে। ফলে আখেরাতের মঙ্গলের জন্য আমল করাও ছেড়ে দিতে পারে। এ জন্য মহান আল্লাহ কিয়ামতের পূর্বে এমন কতগুলো আলামত নির্ধারণ করেছেন,

কিয়ামতের নির্দিষ্ট সময় গোপন রাখার রহস্যঃ

কিয়ামতের নির্দিষ্ট সময় গোপন রাখার রহস্যঃ


আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের সঠিক সময় কাউকে অবগত করেন নি। উদ্দেশ্য হলো মানুষ যাতে সবসময় সতর্ক থাকে , পরকালের  জন্য পূর্ণ প্রস্ত্ততি গ্রহণ করে এবং সর্বদা সৎকাজে লিপ্ত থাকে।
জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলোঃ কিয়ামত কখন হবে? উত্তরে তিনি বললেনঃ কিয়ামতের জন্য তুমি কী প্রস্ত্তত করেছো? সে বললোঃ কোন কিছুই প্রস্ত্তত করিনি। তবে আমি আল্লাহকে ভালবাসি এবং

কিয়ামতের সকল আলামতই কি অকল্যাণকর?

কিয়ামতের সকল আলামতই কি অকল্যাণকর?


কোন বিষয় কিয়ামতের আলামত হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তা উম্মাতের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে; বরং কিয়ামতের আলামত বিভিন্ন ধরণের হবে। কোনটি হবে নিষিদ্ধ ও অপছন্দনীয়। শুধু তাই নয়; কিছু কিছু আলামত উম্মাতে মুহাম্মাদীর জন্য ব্যাপক অকল্যাণ নিয়ে আসবে। যেমন ভন্ড নবীদের আত্মপ্রকাশ, দাজ্জালের আগমণ, ইয়াজুয-মাজুযের বহিঃপ্রকাশ ইত্যাদি আরো অনেক এমন আলামত রয়েছে যা কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার প্রমাণ বহন করার সাথে সাথে মুসলিম জাতির জন্যে খুবই ক্ষতিকর হবে।
অপর পক্ষে

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর আগমণ ও মৃত্যু বরণ

১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর আগমণ ও মৃত্যু বরণ


কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আগমণ। কেননা তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবীর আগমণ হবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর দুনিয়াতে আগমণের অর্থ হলো, দুনিয়ার বয়স শেষ হয়ে আসছে, কিয়ামত অতি নিকটবর্তী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২) চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া

২) চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া


আল্লাহ তাআলা বলেনঃ  اقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে’’। (সূরা কামারঃ ১)
হাফেয ইবনে রজব বলেনঃ ‘‘আল্লাহ তাআলা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়াকে কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আলামত হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।[1]
আলেমদের সর্বসম্মত অভিমত হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যামানায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে একাধিক  সহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৩) বায়তুল মাকদিস (ফিলিস্তীন) বিজয়

৩) বায়তুল মাকদিস (ফিলিস্তীন) বিজয়


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের পূর্বে ছয়টি বস্ত্ত গণনা করো। তার মধ্যে বায়তুল মাকদিস বিজয় অন্যতম।[1]
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)এর শাসনামলে হিজরী ১৬ সালে বায়তুল মাকদিছ বিজয়ের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়িত হয়েছে।

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৪) ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে

৪) ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে


কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। ফকীর-মিসকীন খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সাদকা ও যাকাতের টাকা নিয়ে খুঁজা-খুঁজি করেও নেয়ার মত কোন লোক পাওয়া যাবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَكْثُرَ فِيكُمُ الْمَالُ فَيَفِيضَ حَتَّى يُهِمَّ رَبَّ الْمَالِ مَنْ يَقْبَلُ صَدَقَتَهُ وَحَتَّى يَعْرِضَهُ فَيَقُولَ الَّذِي يَعْرِضُهُ عَلَيْهِ لَا أَرَبَ لِي
‘‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা যতক্ষণ না মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। মানুষ যাকাতের মাল নিয়ে সংকটে পড়বে। যাকাতের মাল মানুষের কাছে পেশ করা হলে সে বলবেঃ এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’।[1]
কিয়ামতের এই আলামতটি একাধিক সময়ে প্রকাশিত হবে। উমার ইবনে আব্দুল আযীযের শাসন আমলে তা প্রকাশিত হয়েছিল।
ইয়াকূব ইবনে সুফিয়ান বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৫) কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে

৫) কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে


ফিতনা শব্দটি বিপদাপদ, বিশৃংখলা, পরীক্ষা করা ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। অতঃপর শব্দটি প্রত্যেক অপছন্দনীয় বস্ত্ত ও বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘এই উম্মতের প্রথম যুগের মুমিনদেরকে ফিতনা থেকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। আখেরী যামানায় এই উম্মতকে বিভিন্ন ধরণের ফিতনায় ও বিপদে ফেলে পরীক্ষা করা হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ফির্কাবন্দী এবং দলাদলির কারণে ফিতনার সূচনা হবে। এতে সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যাবে এবং ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হবে। একে অপরের উপর তলোয়ার উঠাবে। ব্যাপক রক্তপাত ও প্রাণহানি ঘটবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকল ফিতনা সম্পর্কে উম্মতকে সাবধান করেছেন এবং তা থেকে বাঁচার উপায়ও বলে দিয়েছেন।
আমর বিন আখতাব (রাঃ) বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৬) ভন্ড ও মিথ্যুক নবীদের আগমণ হবে

৬) ভন্ড ও মিথ্যুক নবীদের আগমণ হবে


আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ নবী ও রাসূল। কিয়ামতের পূর্বে আর কোন নবীর আগমণ ঘটবেনা। এটি ইসলামী আকীদার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে অনেক মিথ্যুক মিথ্যা নবুওয়াতের দাবী করে মুসলমানদের ঈমান নষ্ট করার চেষ্টা করবে। তাই এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মাতকে যথাসময়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُبْعَثَ دَجَّالُونَ كَذَّابُونَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثِينَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ
‘‘ত্রিশজন মিথ্যুক আগমণের পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। তারা সকলেই দাবী করবে যে, সে আল্লাহর রাসূল’’।[1] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৭) হেজায অঞ্চল থেকে বিরাট একটি আগুন বের হবে

৭) হেজায অঞ্চল থেকে বিরাট একটি আগুন বের হবে


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে হেজাযের (আরব উপদ্বীপের) যমিন থেকে বড় একটি আগুন বের হবে। এই আগুনের আলোতে সিরিয়ার বুসরা নামক স্থানের উটের গলা পর্যন্ত আলোকিত হয়ে যাবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৮) আমানতের খেয়ানত হবে

৮) আমানতের খেয়ানত হবে


আমানত শব্দটি খেয়ানত শব্দের বিপরীত। আমানতের হেফাযত করা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমানতের খেয়ানত করা মুনাফেকের লক্ষণ। আখেরী যামানায় আমানতের খেয়ানত ব্যাপাকভাবে দেখা দিবে। অযোগ্য লোককে কোন কাজের দায়িত্ব দেয়াও আমানতের খেয়ানতের অন্তর্ভূক্ত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন এক মজলিসে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় একজন গ্রাম্য লোক এসে নবীজীকে এই বলে প্রশ্ন করলো যে, কিয়ামত কখন হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কথা চালিয়ে যেতে থাকলেন। কিছু লোক মন্তব্য করলোঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকটির এই প্রশ্নকে অপছন্দ করেছেন। আবার কিছু লোক বললোঃ তিনি তাঁর কথা শুনতেই পান নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলোচনা শেষে বললেনঃ প্রশ্নকারী লোকটি কোথায়? সে বললোঃ এই তো আমি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৯) দ্বীনী ইল্ম উঠে যাবে এবং মূর্খতা বিস্তার লাভ করবে

৯) দ্বীনী ইল্ম উঠে যাবে এবং মূর্খতা বিস্তার লাভ করবে


কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে দ্বীনী ইলমের শিক্ষা ও চর্চা কমে যাবে এবং মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে দ্বীনী বিষয়ে মূর্খতা বিরাজ করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ وَيَثْبُتَ الْجَهْلُ
‘‘কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে’’।[1] এখানে ইল্ম বলতে ইলমে দ্বীন তথা কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান উদ্দেশ্য। তিনি আরো বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১০) অন্যায়ভাবে যুলুম-নির্যাতনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

১০) অন্যায়ভাবে যুলুম-নির্যাতনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আখেরী যামানায় এই উম্মতের মধ্যে একদল লোক আসবে, যাদের হাতে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে। তারা আল্লাহর অসন্তুষ্টি নিয়ে সকাল বেলা ঘর থেকে বের হবে এবং আল্লাহর ক্রোধ নিয়েই বিকাল বেলা ঘরে ফিরবে’’।[1]
বর্তমানে আমরা যদি ইসলামী অঞ্চলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেই তবে দেখতে পাবো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণীটি বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যায় যে,

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১১) যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে

১১) যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে


আল্লাহ তাআলা এবং তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যভিচার হারাম করেছেন। ইহা হারাম হওয়া অতি সুস্পষ্ট বিষয়। এমন কোন মুসলিম নারী-পুরুষ পাওয়া যাবেনা, যে ব্যভিচার হারাম হওয়া সম্পর্কে অবগত নয়। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
)وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا(
‘‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং খুবই মন্দ পথ’’। (সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৩২)
ব্যভিচারের ইহকালীন শাস্তি হলো বিবাহিত হলে রজম করা তথা পাথর মেরে হত্যা করা। আর অবিবাহিত হলে একশত বেত্রাঘাত করা।
সহীহ বুখারীতে সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর স্বপ্নের দীর্ঘ হাদীছে কবরে ব্যভিচারীর ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১২) সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

১২) সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে


মুসলমানদের উপর সুদ আদান-প্রদান করা এবং সুদের ব্যবসা হারাম করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
)يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً(
‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ গ্রহণ করোনা। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩০) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদখোরকে অভিশাপ করেছেন’’।[1]
কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের মাঝে সুদ গ্রহণ করা এবং সুদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন সম্পদ কামাই করার ব্যাপারে হালাল-হারামের বিবেচনা করা হবেনা’’।[2] তিনি আরো বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৩) গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে

১৩) গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে


আখেরী যামানার লোকেরা গান-বাজনা হালাল মনে করে ব্যাপকভাবে তাতে আসক্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে এই আলামতটি দেখা দিয়েছে। মুসলমানদের ঘরে ঘরে টিভি, ডিস এন্টিনা, ইন্টারনেটসহ নানা ধরণের প্রযুক্তি ঢুকে পড়েছে। ২৪ঘন্টা এগুলোতে গান-বাজনা, উলঙ্গ, অর্ধালঙ্গ নারী পুরুষের ফাহেশা ছবি এবং ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলো মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকীদা ও চরিত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। যারা একাজে মত্ত হবে

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৪) মদ্যপান হালাল মনে করবে

১৪) মদ্যপান হালাল মনে করবে


إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يُشْرَبَ الخَمْرُ
‘‘নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের মধ্য থেকে একটি আলামত হচ্ছে মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে’’।[1]
মুসলমানদের মাঝে মদ্যপান ও মদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। কেউ বা অন্য নাম দিয়ে কেউ বা হালাল মনে করে এতে লিপ্ত হচেছ। মুসলিম দেশগুলোতে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে। মুসলমানদের চরিত্র ও আদর্শ ধ্বংস কারার জন্যে

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৫) মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে

১৫) মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَبَاهَى النَّاسُ فِي الْمَسَاجِدِ
‘‘যত দিন লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব না করবে ততদিন কিয়ামত হবেনা’’।[1]
ইমাম বুখারী (রঃ) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করে বলেনঃ ‘‘লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে, কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ করবেনা’’।[2] উমার (রাঃ) মসজিদকে জাঁকজমক করতে নিষেধ করেছেন।[3]
মোটকথা

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৬) দালান-কোঠা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে

১৬) দালান-কোঠা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে


সহীহ মুসলিম শরীফে উমার (রাঃ) বর্ণিত হয়েছে, একবার জিবরীল ফেরেশতা মানুষের আকৃতি ধরে ধবধবে সাদা পোষাক পরিধান করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে এসে ইসলাম, ঈমান এবং ইহসান সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। তিনি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেন। তারপর জিবরীল (আঃ) কিয়ামতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে তিনি বললেনঃ প্রশ্নকৃত ব্যক্তি প্রশ্নকারী অপেক্ষা এ বিষয়ে অধিক জ্ঞাত নন। অর্থাৎ এ ব্যাপারে আমি তোমার চেয়ে বেশী জানিনা। অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা বললেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৭) দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে

১৭) দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে


উপরের হাদীছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিবরীল ফেরেশতার প্রশ্নের উত্তরে বলেছেনঃ ‘‘যখন তুমি দেখবে দাসী তার মনিবকে জন্ম দিচ্ছে তখন কিয়ামত নিকটবর্তী বলে মনে করবে’’।
‘‘দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে’’ এ কথাটির ব্যাখ্যায় আলেমগণ কয়েকটি উক্তি করেছেনঃ
(১) ইসলাম অচিরেই বিস্তার লাভ করবে। মুসলমানদের হাতে কাফের-মুশরেকদের স্ত্রী-সন্তান বন্দী হয়ে দাস-দাসীতে পরিণত হবে। কোন ব্যক্তি তার ভাগে প্রাপ্ত দাসীর সাথে সহবাস করার কারণে

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ১৯) সময় দ্রুত চলে যাবে

১৯) সময় দ্রুত চলে যাবে


কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে বলে মনে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ فَتَكُونَ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ وَيَكُونَ الشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ وَتَكُونَ الْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ وَيَكُونَ الْيَوْمُ كَالسَّاعَةِ
‘‘সময় ছোট হয়ে যাওয়ার পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। এক বছরকে একমাসের সমান মনে হবে। এক মাসকে এক সপ্তাহের সমান মনে হবে। এক সপ্তাহকে একদিনের মত মনে হবে এবং এক দিনকে এক ঘন্টার সমান মনে হবে’’।[1]
   আলেমগণ সময় খাটো হয়ে যাওয়ার কয়েকটি অর্থ করেছেন।
(১) সময় ছোট হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো সময়ের বরকত কমে যাওয়া। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২০) মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে

২০) মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে


অধিকাংশ মুসলিম দেশের মাজারগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিলে সহজেই অনুধাবন করা যাবে যে, কিয়ামতের এই আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। উম্মতে মুহাম্মাদীর বিরাট একটি অংশ আইয়্যামে জাহেলীয়াতের ন্যায় শির্কে লিপ্ত হয়েছে। কবর পাকা  করে, বাঁধাই করে, কবরের উপর গম্বুজ ও মসজিদ নির্মাণ করে তাতে বিভিন্ন প্রকার শির্কের চর্চা হচ্ছে। কা’বা ঘরের তাওয়াফের ন্যায় কবরের চারপার্শ্বে তাওয়াফ হচ্ছে, বরকতের আশায় কবরের দেয়াল চুম্বন করা হচ্ছে, তাতে নযর-মানত পেশ করা হচ্ছে অলী-আওলীয়ার নামে পশু যবেহ করা হচ্ছে এবং কবরের পাশে ওরছ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২১) ঘন ঘন বাজার হবে

২১) ঘন ঘন বাজার হবে


আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى َيَتَقَارَبَ الْأَسْوَاقُ ‘‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না ঘন ঘন বাজার হবে’’।[1] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর এই বাণী সত্যে পরিণত হয়েছে’’। পৃথিবীর সকল স্থানে একই সময়ে ঘন ঘন বাজার হবে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর বাণী তা প্রমাণ করেনা; বরং

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে

২৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে


আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভাল ব্যবহার করার উপর ইসলাম ধর্ম বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যারা এ সম্পর্ক নষ্ট করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ থেকে বঞ্চিত হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
)فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ أُوْلَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمْ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ(
‘‘ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আতমীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। আল্লাহ এদেরকেই করেন অভিশপ্ত আর করেন বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন’’। (সূরা মুহাম্মাদঃ ২২-২৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখতে উৎসাহ দিয়েছেন এবং তা ছিন্ন করা থেকে সাবধান করেছেন। তিনি বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৪) লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে

২৪) লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে


সাদা চুল-দাড়ি মেহদী বা অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাত। তিনি সাদা চুলকে কালো রং বাদ দিয়ে অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ)

‘‘ইয়াহুদী ও নাসারারা চুল ও দাড়িতে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা খেযাব লাগিয়ে তাদের বিপরীত কর’’।[1] 
কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে লোকেরা এ আদেশ অমান্য করে কালো রং দিয়ে খেজাব (কলপ) লাগাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৫) কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে

২৫) কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে


কৃপণতা একটি নিকৃষ্ট অভ্যাস। আল্লাহ যাকে এই বদ অভ্যাস থেকে হেফাযত করবেন সে অবশ্যই সফলকাম হবে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ
‘‘যারা কার্পণ্য হতে নিজেদেরকে মুক্ত করেছে তারাই সফলকাম’’। (সূরা হাশরঃ ৯) ইসলাম সম্পদশীল লোকদেরকে আল্লাহর পথে ও ভাল কাজে সম্পদ খরচ করতে আদেশ করেছে এবং কৃপণতা করতে নিষেধ করেছে। কিন্তু কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে এই উম্মাতের ধনী লোকেরা দরিদ্র, অভাবী এবং ইয়াতীমদের জন্য খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৬) ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে

২৬) ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে


কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মানুষের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ 
بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ تَسْلِيمُ الْخَاصَّةِ وَتَفْشُو التِّجَارَةُ حَتَّى تُعِينَ الْمَرْأَةُ زَوْجَهَا عَلَى التِّجَارَةِ
‘‘কিয়ামতের পূর্বে কেবল পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে। এমনকি স্ত্রীলোকেরা তাদের স্বামীদেরকে ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করবে’’।[1]
বর্তমানকালে এই আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। শহরে,

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৭) ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে

২৭) ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
لَا تَقُوْم السَّاعَةُ حَتَّى َتَكْثُرَ الزَّلَازِلُ
‘‘বেশী বেশী ভূমিকম্প না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা’’।[1] ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের অনেক দেশেই বহু ভূমিকম্পের আবির্ভাব হয়েছে। বর্তমানে আমরা প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের খবর শুনতে পাই। হতে পারে এগুলোই কিয়ামতের আলামত হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে আমরা বলবোঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৮) ভূমিধস ও চেহারা বিকৃতির শাস্তি দেখা দিবে

২৮) ভূমিধস ও চেহারা বিকৃতির শাস্তি দেখা দিবে


আখেরী যামানায় যখন অশ্লীলতা ও পাপাচার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে তখন এই উম্মাতের কিছু লোককে বিভিন্ন প্রকার শাস্তিতে পাকড়াও করা হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
يَكُوْنُ فِىْ آخِرِ هذِهِ الأُمَّةِ خَسْفٌ و مَسْخٌ وَقَذْفٌ  قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللَّه! أَ نُهْلَكُ وَ فِيْنَا الصَّالِحُوْنَ؟ قَالَ: نَعْمُ, إِذا ظَهَرَ الْخَبَثُ
‘‘আখেরী যামানায় এই উম্মাতের কিছু লোককে ভূমিধস, চেহারা পরিবর্তন এবং উপরে উঠিয়ে নিক্ষেপ করে শাস্তি দেয়া হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে সৎ লোক থাকতেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো? উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, যখন অশ্লীলতা বৃদ্ধি পাবে’’।[1] তিনি আরো বলেনঃ 

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ২৯) পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে

২৯) পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে


কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আলামত হচ্ছে মুসলমানেরা কেবল পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দিবে।[1] এ বিষয়টি বর্তমান যামানায় সুস্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেক লোকই পরিচিত ব্যতীত অন্য কাউকে সালাম দেয়না। এটি সুন্নাত বিরোধী কাজ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিচিত-অপরিচিত সকল মুসলিমকেই সালাম দিতে বলেছেন। কেননা সালাম বিনিময় করা মুসলমানদের ভিতরে ভালবাসা সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম। তিনি বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৩০) বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

৩০) বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে


কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মহিলারা ইসলামী পোষাক পরিত্যাগ করে এমন পোষাক পরিধান করবে যাতে তাদের সতর ঢাকবেনা। তারা মাথার চুল ও সৌন্দর্য্যের স্থানগুলো প্রকাশ করে ঘর থেকে বের হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৩১) মুমিনের স্বপ্ন সত্য হবে

৩১) মুমিনের স্বপ্ন সত্য হবে


কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে আখেরী যামানায় মুমিন ব্যক্তির স্বপ্ন মিথ্যা হবেনা; বরং ঘুমন্ত অবস্থায় সে যা স্বপ্নে দেখবে তা সত্যে পরিণত হবে। যার ঈমান যত মজবুত হবে তার স্বপণও তত বেশী সত্য হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৩২) সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে

৩২) সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন বসার পূর্বে দুই রাকাত নামায পড়ে নেয়’’।[1] কিছু সংখ্যক লোক ব্যতীত কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানেরা এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতটির উপর আমল ছেড়ে দিবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

কিয়ামতের ছোট আলামতঃ ৩৩) নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে

৩৩) নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে


মাসের প্রথম দিন আমরা চাঁদকে একেবারে চিকন ও সরু অবস্থায় উঠতে দেখি। কিন্তু কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে চাঁদ প্রথম দিনেই অনেক বড় হয়ে উদিত হবে। দেখে মনে হবে এটি দুই দিন বা তিন দিনের চাঁদ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ