Thursday, October 19, 2017

যেসব পোষাকে মানুষের কোন অঙ্গের যেমন কেবল হাতের ছবি থাকে সেসব পোষাক পরিধান করায় কোন বাধা আছে কি?

 যেসব পোষাকে মানুষের কোন অঙ্গের যেমন কেবল হাতের ছবি থাকে সেসব পোষাক পরিধান করায় কোন বাধা আছে কি?
~~

উত্তর : যা দেখলে বুঝা যায় যে এটি প্রাণীর অঙ্গ, এরূপ ছবিযুক্ত পোশাক ব্যবহার করা যাবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রাণীর ছবিযুক্ত কোন কিছু বাড়ীতে দেখলে তা বিনষ্ট করে দিতেন (বুখারী, মিশকাত হা/৪৪৯১ ‘ছবিসমূহ’ অনুচ্ছেদ)।
 
at-tahreek-nov’15 

প্রশ্ন:নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া কি জায়েজ ?

প্রশ্ন:নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া কি জায়েজ ?
=============================== 
উত্তর : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া জায়েজ হবে কিনা তা নির্ভর করছে এগুলোর বিষয় বস্তুর উপর ।
এগুলোতে যদি এমন কিছু থাকে যা বাস্তব ও ইসলামের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক তবে তা দেখা বা পড়া হারাম ।
প্রথম আসবে পর্দা বা হিজাবের নীতিমালা । যদি তা ভঙ্গ হয় তবে দেখা হারাম ।
তারপর, যদি গান- বাজনা বা music থাকে তবে তা হারাম ।
যদি এমন কিছু থাকে যেমন নারী-পুরুষের বিবাহ বহির্ভূত কর্মকাণ্ড , বউ- শাশুড়ি-ননদের পারিবারিক ঝামেলা যেখানে একে অন্যের পিছে কুমন্ত্রণা লাগাচ্ছে, পরকিয়া দেখাচ্ছে ( হিন্দি সিরিয়াল গুলো ) তবে তা দেখা যাবে না ।

কবিরা গুনাহঃ ৩. অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা

৩. অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা


কাউকে অবৈধভাবে হত্যা করাও কবীরা গুনাহ্। তবে উক্ত হত্যা আরো ভয়ঙ্কর বলে বিবেচিত হয় যখন তা এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে হয় যাকে বাঁচানো সবার নৈতিক দায়িত্ব এবং যাকে হত্যা করা একেবারেই অমানবিক। যেমন: নিষ্পাপ শিশু, নিজ মাতা-পিতা, নবী-রাসূল, ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী রাষ্ট্রপতি অথবা উপদেশদাতা আলিমকে হত্যা করা।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

কবিরা গুনাহ-২ঃ যাদু

২. যাদু


যাদু শিক্ষা দেয়া বা শিক্ষা নেয়া শুধু কবীরা গুনাহ্ই নয়। বরং তা শির্ক এবং কুফ্র ও বটে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَاْنُ وَلَكِنَّ الشَّيَاْطِيْنَ كَفَرُوْا يُعَلِّمُوْنَ النَّاْسَ السِّحْرَ وَمَا أُنْزَلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَاْبِلَ هَاْرُوْتَ وَمَاْرُوْتَ وَمَا يُعَلِّمَاْنِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُوْلَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ»
‘‘সুলাইমান (আঃ) কুফরি করেননি, তবে শয়তানরাই কুফরি করেছে, তারা লোকদেরকে যাদু শেখাতো বাবেল শহরে বিশেষ করে হারূত-মারূত ব্যক্তিদ্বয়কে। (জিব্রীল ও মীকাঈল) ফিরিশ্তাদ্বয়ের উপর কোন যাদু অবতীর্ণ করা হয়নি (যা ইহুদিরা ধারণা করতো)। তবে উক্ত ব্যক্তিদ্বয় কাউকে যাদু শিক্ষা দিতো না যতক্ষণ না তারা বলতো, আমরা পরীক্ষাস্বরূপ মাত্র, অতএব তোমরা (যাদু শিখে) কুফরী করো না।
 (সূরাহ বাকারাহ : ১০২)
যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে,

হারাম ও কবিরা গুনাহঃ ছোট শির্ক ও বড় শির্কের মধ্যে পার্থক্য

ছোট শির্ক ও বড় শির্কের মধ্যে পার্থক্য


ছোট শির্ক ও বড় শিরকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পার্থক্য রয়েছে যা নিম্নরূপ:
১. বড় শির্ক তাতে লিপ্ত ব্যক্তিকে ইসলামের গন্ডী থেকেই সম্পূর্ণরূপে বের করে দেয়। ঠিক এরই বিপরীতে ছোট শির্ক এমন নয় বটে। তবে তা কবীরা গুনাহ্ তথা মহা পাপ অপেক্ষা আরো জঘন্যতম।
২. বড় শির্ক তাতে লিপ্ত ব্যক্তির সকল নেক আমলকে বিনষ্ট করে দেয়। ঠিক এরই বিপরীতে ছোট শির্ক শুধু সে আমলকেই বিনষ্ট করে যে আমলে এ জাতীয় শির্কের সংমিশ্রণ রয়েছে। অন্য আমলকে নয়।
৩. বড় শির্ক তাতে লিপ্ত ব্যক্তির জান ও মাল তথা সার্বিক নিরাপত্তা বিনষ্ট করে দেয়। ঠিক

হারাম ও কবিরা গুনাহঃ ৩৬ টি বড় শির্ক এবং ১৯ টি ছোট শির্ক !!


বড় শির্ক


শির্ক এ লিপ্ত যে কোন ব্যক্তিকে ইসলামের গন্ডী থেকেই বের করে দেয়। আল্লাহ্ তা‘আলা তাওবা ছাড়া এ ধরনের শির্ক কখনো ক্ষমা করবেন না। তিনি বলেন:
«إِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُّشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذَلِكَ لِمَنْ يَّشَآءُ»
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সাথে কাউকে শরীক করা কখনো ক্ষমা করবেন না। তবে তিনি এ ছাড়া অন্যান্য সকল গুনাহ্ যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করে দিবেন’’। (নিসা: ৪৮)
এ ধরনের শির্কে লিপ্ত ব্যক্তির জন্য জান্নাত হারাম। জাহান্নামই হবে তার চিরস্থায়ী ঠিকানা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

কবিরা গুনাহ-১ঃ আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা

আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা


আল্লাহ তা‘আলার সাথে কাউকে শরীক করা। তা প্রতিপালন, উপাসনা, আল্লাহ’র নাম ও গুণাবলীর যে কোনটিরই ক্ষেত্রে হোক না কেন।
শির্ক নির্দ্বিধায় সকল গুনাহ্’র শীর্ষে অবস্থিত।
আবূ বাক্রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَلَا أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ؟ ثَلَاثًا، قَالُوْابَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِقَالَالإِشْرَاكُ بِاللهِ..
‘‘আমি কি তোমাদেরকে বড় গুনাহ্’র কথা বলবো না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত কথাটি সাহাবাদেরকে তিন বার জিজ্ঞাসা করেন। সাহাবারা বললেন: হ্যাঁ, বলুন হে আল্লাহ্’র রাসূল!

হারাম ও কবিরা গুনাহঃ শির্কের মূল রহস্য কথা!

শির্কের মূল রহস্য কথা


শির্কের মূল রহস্য কথা দু’টি:
১. আল্লাহ্ তা‘আলার কোন সৃষ্টিকে তাঁর সাথে তুলনা করা।
২. কোন বান্দাহ্ নিজকে আল্লাহ্ তা‘আলার ন্যায় মনে করা।
একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই লাভ-ক্ষতির মালিক। একমাত্র তিনিই কাউকে কোন কিছু দেন বা তা থেকে বঞ্চিত করেন। সুতরাং একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার নিকটই কোন কিছু চাইতে হবে। তাঁকেই ভয় করতে হবে এবং তাঁর নিকটই কোন কিছু কামনা করতে হবে। তাঁরই উপর ভরসা করতে হবে। যদি কেউ আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করলো অথবা অন্য কারো উপর ভরসা করলো তাহলে সে অবশ্যই ওব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা‘আলার সাথে তুলনা করেই তা করলো।
আল্লাহ্ তা‘আলাই সকল গুণের একচ্ছত্র মালিক। সুতরাং

হারাম ও কবিরা গুনাহঃ ইবাদাতের শির্ক!!

ইবাদাতের শির্ক


ইবাদাতের শির্ক কিন্তু উপরোক্ত শির্ক অপেক্ষা সামান্যটুকু গৌণ। তম্মধ্যে কিছু রয়েছে ক্ষমার অযোগ্য। আবার কিছু কিছু রয়েছে ক্ষমাযোগ্য। কারণ, তা প্রকাশ পায় এমন ব্যক্তি থেকে যিনি বিশ্বাস করেন, আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া সত্যিকারের কোন মাবূদ নেই। তিনি ছাড়া কেউ কারোর কোন ক্ষতি বা লাভ করতে পারে না। কিছু দিতে বা বঞ্চিত করতে পারে না। তিনিই একমাত্র প্রভু। তিনি ভিন্ন অন্য কোন প্রতিপালক নেই। তবে তার সমস্যা এই যে, সে ব্যক্তি ইবাদাত করতে গেলে একনিষ্ঠার সাথে তা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য করে না। বরং তা কখনো কখনো নিজের সুবিধার জন্যে, আবার কখনো কখনো দুনিয়া কামানোর জন্যে, আবার কখনো কখনো সমাজের নিকট নিজ পজিশন, সম্মান ও প্রতিপত্তি বাড়ানোর জন্য করে থাকে। সুতরাং তার ইবাদাতের কিয়দংশ আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য, আবার কিছু নিজ নফ্স ও প্রবৃত্তির জন্য, আবার কিছু অংশ শয়তানের জন্য, আবার কিছু মানুষের জন্যও হয়ে থাকে।
মুসলিমদের মধ্যকার অধিকাংশ মানুষই উক্ত শির্কে নিমগ্ন এবং এ শির্ক সম্পর্কেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:

হারাম ও কবিরা গুনাহঃ অস্বীকার বা অধিকার খর্বের শির্ক

১. অস্বীকার বা অধিকার খর্বের শির্ক


উক্ত শির্ক অতি মারাত্মক ও অতিশয় ঘৃণ্য। যা ছিলো ফির‘আউনের শির্ক। কারণ, সে বলেছিলো:
«وَمَا رَبُّ الْعَالَمِيْنَ»
‘‘জগতগুলোর প্রভু আবার কে?’’ (শু‘আরা’ : ২৩)
সে আরো বলে:
«يٰهَامَانُ ابْنِ لِيْ صَرْحًا، لَعَلِّيْ أَبْلُغُ الْأَسْبَابَ، أَسْبَابَ السَّمَاوَاتِ فَأَطَّلِعَ إِلٰى إِلٰهِ مُوْسٰى وَإِنِّيْ لَأَظُنُّهُ كَاذِبًا»
‘‘হে হা’মান! তুমি আমার জন্য একটি সুউচ্চ প্রাসাদ তৈরি করো যাতে আমি আকাশের দরোজা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারি এবং আমি স্বচক্ষে দেখতে পাই মূসা (আঃ) এর মা’বূদকে। আমার ধারণা, নিশ্চয়ই সে (মূসা (আঃ)) মিথ্যাবাদী’’। (গা’ফির/মু’মিন : ৩৬-৩৭)
শির্ক বলতেই অস্বীকার অথবা যে কোন ভাবে আল্লাহ্ তা‘আলার অধিকার খর্ব করাকে বুঝায়। চাই তা সামান্যটুকুই হোক না কেন। সুতরাং প্রতিটি মুশ্রিকই অস্বীকারকারী বা আল্লাহ্ তা‘আলার অধিকার খর্বকারী এবং প্রতিটি অস্বীকারকারী বা অধিকার খর্বকারীই মুশ্রিক।
অস্বীকার বা অধিকার খর্ব করণ আবার তিন প্রকার:

গুনাহ্’র তারতম্যের মূল রহস্য !!


গুনাহ্’র তারতম্যের মূল রহস্য



আল্লাহ্ তা‘আলা যুগে যুগে রাসূল পাঠিয়েছেন, কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং ভূমন্ডল ও নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র একটি কারণে। আর তা হচ্ছে সঠিকভাবে তাঁকে চেনা ও এককভাবে তাঁরই ইবাদাত ও আনুগত্য করা। ডাকলে একমাত্র তাঁকেই ডাকা।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
  «وَمَا خَلَقْتُ الْـجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلاَّ لِيَعْبُدُوْنَ»
‘‘আমি জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমারই ইবাদাত করার জন্যে’’। (যারিয়াত : ৫৬)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

হারাম ও কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা !কবীরা গুনাহ্’র ব্যাপক পরিচিতি।



হারাম ও কবীরা গুনাহ্


’’হারাম’’ শব্দের আভিধানিক অর্থ: অবৈধ বা নিষিদ্ধ (বস্ত্ত, কথা, কাজ, বিশ্বাস ও ধারণা)। শরীয়তের পরিভাষায় হারাম বলতে সে সকল গুনাহ্কে বুঝানো হয় যে সকল গুনাহ্গার শরীয়তের দৃষ্টিতে যে কোনভাবে নিন্দিত।
’’কবীরা’’ শব্দের আভিধানিক অর্থ: বড়। শরীয়তের পরিভাষায় কবীরা গুনাহ্ বলতে সে সকল গুনাহ্কে বুঝানো হয় যে সকল গুনাহ্’র ব্যাপারে কুর‘আন বা সহীহ হাদীসে নির্দিষ্ট ঐহিক বা পারলৌকিক শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে অথবা সে সকল গুনাহ্কে কুর‘আন, হাদীস কিংবা সকল আলিমের ঐকমত্যে কবীরা বা মারাত্মক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কারো কারো মতে কবীরা গুনাহ্ বলতে সে সকল গুনাহ্কে বুঝানো হয় যে সকল গুনাহ্’র ব্যাপারে শাস্তি, ক্রোধ, ঈমানশূন্যতা বা অভিশাপের মারাত্মক হুমকি বা জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করা হ

পুরুষের মাঝে কর্মরত নারীর প্রতি আহ্বান ! বোন! তুমি কি পুরুষের সঙ্গে কাজ করছ?


বোন! আমি মর্মাহত, আমি ব্যথিত এবং খুবই দুঃখিত আমি। না, আমার কোন কারণে নয়, শুধু তোমার জন্য এবং শুধু তোমার কল্যাণের কথা চিন্তা করেই। তুমি কাজ করছ! তাও আবার পুরুষের সঙ্গে এবং তাদের মাঝে থেকেই। কারণ, এটা তোমার দীনদারি খতম করে দিবে, তোমার চরিত্রের ওপর কলঙ্কের ছাপ এঁটে দিবে। এটা আমার মায়াকান্না নয়, আমার কথাগুলো তুমি নাক ছিট্কে ফেল দিও না এবং মনে কর না আমি খুব বাড়াবাড়ি করছি, বরং আমার কাছে এর প্রমাণ রয়েছে। আছে এর যুক্তি সংগত কারণ। মনে রেখো, ইসলামের সম্পর্ক ছাড়া তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্কই নেই। এবং এর সঙ্গে আমার কোন ইহজাগতিক স্বার্থও সংশ্লিষ্ট নয়। বরং

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১৫, গুনাহ্গার নিজেই নিজের ধ্বংসের জন্য সমূহ পথ খুলে দেয়


গুনাহ্গার নিজেই নিজের ধ্বংসের জন্য সমূহ পথ খুলে দেয়


৫১. গুনাহ্’র মাধ্যমে গুনাহ্গার নিজেই নিজের ধ্বংসের জন্য সমূহ পথ খুলে দেয়। তখন তার ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে। কারণ, শরীর সুস্থ থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন যা তার শক্তি আনয়ন করে, শরীর থেকে ময়লা নিষ্কাশনের প্রয়োজন যা বেড়ে গেলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং সতর্কতা অবলম্বনেরও প্রয়োজন যাতে এমন কিছু শরীর গ্রহণ না করে যাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তেমনিভাবে অন্তরকে সুস্থ ও সজীব রাখার জন্য ঈমান ও নেক আমলের প্রয়োজন যা তার শক্তি বর্ধন করবে, তাওবার মাধ্যমে গুনাহ্’র ময়লাগুলো পরিষ্কার করা প্রয়োজন যাতে অন্তর অসুস্থ হয়ে না পড়ে এবং বিশেষ সতর্কতারও প্রয়োজন যাতে তাকে এমন কিছু আক্রমণ করতে না পারে যা তার ধ্বংসের কারণ হয়। আর গুনাহ্ তো উক্ত বস্ত্তত্রয়ের সম্পূর্ণই বিপরীত। অতএব তার ধ্বংস আসবে না কেন?

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১৪, ফিরিশ্তারা গুনাহ্গার থেকে অনেক দূরে সরে যায় এবং শয়তান তার অতি নিকটে এসে যায়

ফিরিশ্তারা গুনাহ্গার থেকে অনেক দূরে সরে যায় এবং শয়তান তার অতি নিকটে এসে যায়


৫০. গুনাহ্’র কারণে ফিরিশ্তারা গুনাহ্গার থেকে অনেক দূরে সরে যায় এবং শয়তান তার অতি নিকটে এসে যায়।
জনৈক বুযুর্গ বলেন: যখন কেউ ঘুম থেকে উঠে তখন শয়তান ও ফিরিশ্তা তার নিকটবর্তী হয়। যখন সে আল্লাহ্ তা‘আলার যিকির, তাঁর প্রশংসা, বড়ত্ব ও একত্ববাদ উচ্চারণ করে তখন ফিরিশ্তা শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়ে তার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। আর যখন সে এর বিপরীত করে তখন ফিরিশ্তা অনেক দূরে সরে যায় এবং তার দায়িত্ব শয়তানই গ্রহণ করে।
আর ফিরিশ্তা কারোর জীবন সাথী হলে সে তার জীবিতাবস্থায়, মৃত্যুর সময় ও তার পুনরুত্থানের সময় তার সহযোগিতা করে থাকে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১৩, গুনাহ্গার নিজকেই ভুলে যায় যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলাও তাকে ভুলে যান


গুনাহ্গার নিজকেই ভুলে যায় যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলাও তাকে ভুলে যান


৪৮. গুনাহ্’র কারণে গুনাহ্গার নিজকেই ভুলে যায় যেমনিভাবে আল্লাহ্ তা‘আলাও তাকে ভুলে যান। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا تَكُوْنُوْا كَالَّذِيْنَ نَسُوْا اللهَ فَأَنْسَاهُمْ أَنْفُسَهُمْ، أُوْلٰٓئِكَ هُمُ الْفَاسِقُوْنَ»
‘‘তোমরা তাদের মতো হয়ো না যারা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভুলে গিয়েছে। যার ফলে আল্লাহ্ তা‘আলা (শুধু তাদেরকেই ভুলে যান নি) বরং তাদেরকে আত্মবিস্মৃত করে দিয়েছেন। এরাই তো সত্যিকার পাপাচারী’’। (হাশ্র : ১৯)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১২, গুনাহ্’র মাধ্যমে শয়তান ও তার সহযোগীদেরকে তাদের কাজে সহযোগিতা করা হয়

গুনাহ্’র মাধ্যমে শয়তান ও তার সহযোগীদেরকে তাদের কাজে সহযোগিতা করা হয়


৪৭. গুনাহ্’র মাধ্যমে শয়তান ও তার সহযোগীদেরকে তাদের কাজে সহযোগিতা করা হয়। এ কথা সবারই জানা যে, আল্লাহ্ তা‘আলা শয়তানের মাধ্যমে মানব জাতিকে বিশেষ এক পরীক্ষায় ফেলেছেন। শয়তান মানুষের চরম শত্রু। মানুষের শত্রুতা করতে সে কখনো পিছপা হয় না। বরং সে তার সকল শক্তি বিনিয়োগ করছে এই একই পথে। তার সাথে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বিশেষ এক সেনাদল মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে। ঠিক এরই বিপরীতে আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁরই প্রিয় সৃষ্টি মানুষকে শয়তানের সাথে যুদ্ধ করার জন্যে বিশেষ এক সেনাদল দিয়েছেন এবং এ যুদ্ধের পরিণতিতে তাদের জন্য জান্নাত রয়েছে যেমনিভাবে ওদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ্ তা‘আলা স্বেচ্ছায় মু’মিনদের সাথে একটি ব্যবসায়িক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১১, বয়স, রিযিক, জ্ঞান, আমল ও আনুগত্যের বরকত কমিয়ে দেয়

বয়স, রিযিক, জ্ঞান, আমল ও আনুগত্যের বরকত কমিয়ে দেয়


৪২. গুনাহ্ বয়স, রিযিক, জ্ঞান, আমল ও আনুগত্যের বরকত কমিয়ে দেয়। তথা দীন-দুনিয়ার সকল বরকতে ঘাটতি আসে। কারণ, সকল বরকত তো আল্লাহ্ তা‘আলার আনুগত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوْا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَآءِ وَالْأَرْضِ»
‘‘জনপদবাসীরা যদি ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো তা হলে আমি তাদের জন্য আকাশ ও জমিনের বরকতের দ্বার খুলে দিতাম’’। (আ’রাফ : ৯৬)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১০, আল্লাহ্ তা‘আলা ও তাঁর বান্দাহ্’র মধ্যকার দৃঢ় সম্পর্ক একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়


সর্বদা শয়তান ও কুপ্রবৃত্তির বেড়াজালে আবদ্ধ থাকে


৩৭. গুনাহ্গার সর্বদা শয়তান ও কুপ্রবৃত্তির বেড়াজালে আবদ্ধ থাকে। তখন আল্লাহ্ তা‘আলা ও আখিরাত অভিমুখী পদযাত্রা তার জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর আল্লাহ্ভীরুতাই উক্ত কয়েদখানা থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ। মূল কথা হচ্ছে, বান্দাহ্’র অন্তর আল্লাহ্ তা‘আলা থেকে যতই দূরে সরবে ততই নানা বিপদাপদ তার দিকে ঘনিয়ে আসবে। আর যতই নিকটবর্তী হবে ততই বিপদাপদ দূরে সরে যাবে। আল্লাহ্ তা‘আলা থেকে অন্তরের দূরত্ব চার ধরনের। গাফিলতির দূরত্ব, সাধারণ গুনাহ্’র দূরত্ব, বিদ্‘আতের দূরত্ব এবং মুনাফিকি, শির্ক ও কুফরির দূরত্ব।

আল্লাহ্ তা‘আলা ও তাঁর সকল বান্দাহ্’র নিকট লাঞ্ছিত হয়

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৯, আল্লাহ্ তা‘আলা ও আখিরাতমুখী পুণ্যময় পদযাত্রাকে শ্লথ করে দেয় এবং সে পথে বাধা তথা অন্তরায় সৃষ্টি করে !


আল্লাহ্ তা‘আলা ও আখিরাতমুখী পুণ্যময় পদযাত্রাকে শ্লথ করে দেয় এবং সে পথে বাধা তথা অন্তরায় সৃষ্টি করে


৩০. গুনাহ্ বান্দাহ্’র আল্লাহ্ তা‘আলা ও আখিরাতমুখী পুণ্যময় পদযাত্রাকে শ্লথ করে দেয় এবং সে পথে বাধা তথা অন্তরায় সৃষ্টি করে। কারণ, এ পদযাত্রা একান্ত আন্তরিক শক্তির উপরই নির্ভরশীল। আর একমাত্র গুনাহ্’র কারণেই উক্ত আন্তরিক শক্তি ধীরে ধীরে লোপ পায়। এমনকি তা কখনো কখনো সমূলেই বিনষ্ট হয়ে যায়। কারণ, গুনাহ্’র একান্ত বৈশিষ্ট্য এই যে, তা অন্তরকে নির্জীব, রোগাক্রান্ত অথবা দুর্বল করে দেয়। তখন সে ব্যক্তি আটটি সমস্যার সম্মুখীন হয় যেগুলো থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট একান্তভাবে আশ্রয় কামনা করেছিলেন। সেগুলো হচ্ছে চিন্তা, আশঙ্কা, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণের চাপ ও মানুষের অপমান।

নি’য়ামতের পরিবর্তে আযাব নেমে আসে

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৮, গুনাহ্গারের অন্তর থেকে লজ্জাবোধ একেবারেই নি:শেষ হয়ে যায়

গুনাহ্গারের অন্তর থেকে লজ্জাবোধ একেবারেই নি:শেষ হয়ে যায়


২৬. গুনাহ্ করতে করতে গুনাহ্গারের অন্তর থেকে লজ্জাবোধ একেবারেই নি:শেষ হয়ে যায়। আর লজ্জাশীলতা তো কল্যাণই কল্যাণ।
’ইমরান বিন্ ’হুস্বাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
 الْـحَيَاءُ كُلُّهُ خَيْرٌ.
‘‘লজ্জা বলতে সবটাই ভালো’’। (মুসলিম ৩৭)
লজ্জাবোধ চলে গেলে মানুষ যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
আবূ মাস্’ঊদ্ বাদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৭, গুনাহ্গারের অন্তর থেকে ইসলামী চেতনায় লালিত মানব আত্মসম্মানবোধ একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়

গুনাহ্গারের অন্তর থেকে ইসলামী চেতনায় লালিত মানব আত্মসম্মানবোধ একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়


২৫. গুনাহ্ করতে করতে গুনাহ্গারের অন্তর থেকে ইসলামী চেতনায় লালিত মানব আত্মসম্মানবোধ একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়। এ কথা সত্য যে, যার ঈমান যতই দৃঢ় তার এই আত্মমর্যাদাবোধ ততই মজবুত। ঠিক এরই বিপরীতে যার ঈমান যতই দুর্বল তার এই আত্মমর্যাদাবোধও ততই দুর্বল। এ কারণেই তা পূর্ণাঙ্গরূপে পাওয়া যায় রাসূলদের মধ্যে। এরপর ঈমানের তারতম্য অনুযায়ী অন্যদের মধ্যেও।
সা’দ বিন্ ’উবাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:
لَوْ رَأَيْتُ رَجُلًا مَعَ اِمْرَأَتِيْ لَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ غَيْرَ مُصْفَحٍ.
‘‘আমি কাউকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করতে দেখলে তৎক্ষনাৎই তার গর্দান উড়িয়ে দেবো’’।
উল্লিখিত উক্তিটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কানে পৌঁছুতেই তিনি বললেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৬, গুনাহ্’র কারণেই পৃথিবীতে ভূমিধস ও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়

গুনাহ্’র কারণেই পৃথিবীতে ভূমিধস ও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়


২৪. গুনাহ্’র কারণেই পৃথিবীতে ভূমিধস ও ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এমনকি ভূমি থেকে বরকত একেবারেই উঠে যায়।
এ কথা কারোর অজানা নয় যে, ইতিপূর্বে এখনকার চাইতেও ফলমূল আরো বড় ও আরো সুস্বাদু হতো। এমনকি হাজরে আস্ওয়াদ একদা সূর্যের ন্যায় জ্বলজ্বলে এবং সাদা ছিলো। অথচ মানুষের গুনাহ্’র কারণেই তা আজ আস্ওয়াদ বা কালো। সুতরাং বুঝা গেলো, গুনাহ্’র প্রভাব সকল বস্ত্তর উপরই পড়ে। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সামূদ্ সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌঁছুলেন তখন তিনি সাহাবাদেরকে তাদের কুয়া থেকে পানি পান ও তা সংগ্রহ করতে নিষেধ করেছেন। এমনকি গুনাহ্’র প্রভাব মানুষের উপরও পড়ে। যার দরুন কোন কোন আলিমের ধারণা মতে মানুষ দিন দিন খাটো হতে চলছে।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৫ , গুনাহ্’র নির্ধারিত কিছু শাস্তি রয়েছে যা পরকালে গুনাহ্গারকে অবশ্যই ভুগতে হবে



গুনাহ্’র নির্ধারিত কিছু শাস্তি রয়েছে যা পরকালে গুনাহ্গারকে অবশ্যই ভুগতে হবে


২২. এ ছাড়াও কিছু গুনাহ্’র নির্ধারিত কিছু শাস্তি রয়েছে যা পরকালে গুনাহ্গারকে অবশ্যই ভুগতে হবে। তা নিম্নরূপ:
সামুরাহ্ বিন্ জুন্দুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশির ভাগ সময় ভোর বেলায় সাহাবাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেন, তোমরা কি কেউ গত রাত কোন স্বপ্ন দেখেছো? তখন সাহাবাদের যে যাই দেখেছেন তাঁর নিকট তা বলতেন। এক সকালে তিনিই ভোর বেলায় সাহাবাদেরকে বললেন: গত রাত আমার নিকট দু’ জন ব্যক্তি এসেছে। তারা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বললো: চলুন, তখন আমি তাদের সাথেই রওয়ানা করলাম। যেতে যেতে আমরা এমন এক ব্যক্তির নিকট পৌঁছুলাম যে

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৪ গুনাহ্গার ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ফিরিশ্তাদের দো‘আ থেকে বঞ্চিত হয়

গুনাহ্গার ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ফিরিশ্তাদের দো‘আ থেকে বঞ্চিত হয়


২১. গুনাহ্গার ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ফিরিশ্তাদের দো‘আ থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ, তাদের দো‘আ তো ওদেরই জন্যই যারা আল্লাহ্ তা‘আলা কর্তৃক প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে এবং গুনাহ্ করলেও তাওবা করে নেয়।
আল্লাহ্ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আদেশ করে বলেন:
«فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْـمُؤْمِنَاتِ»
‘‘অতএব তুমি জেনে রাখো যে, আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া কোন মা’বূদ নেই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমার ও মু’মিন নর-নারীদের গুনাহ্’র জন্য’’। (মুহাম্মাদ্ : ১৯)
আল্লাহ্ তা‘আলা আর্শ বহনকারী ফিরিশ্তাদের সম্পর্কে বলেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-৩ (গুনাহ্’র উপর আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ফিরিশ্তাদের লা’নত

২০. কিছু কিছু গুনাহ্’র উপর আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ফিরিশ্তাদের লা’নত রয়েছে। সুতরাং এ জাতীয় গুনাহ্গারের উপর উক্ত লা’নত পতিত হবে অবশ্যই। আর যে গুনাহ্গুলো এগুলোর চেয়েও বড় উহার উপর তো তাঁদের লা’নত আছেই।
আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْـمُوْتَشِمَاتِ وَالْـمُتَنَمِّصَاتِ وَالْـمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْـنِ، الْـمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ.
‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা লা’নত করেন সে মহিলাকে যে অপরের চেহারা দাগে এবং যে অপরকে দিয়ে নিজ চেহারা দাগ করায়, যার চেহারার কেশ উঠানো হয় এবং যে মহিলা সৌন্দর্যের জন্য নিজ দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; আল্লাহ্ প্রদত্ত গঠন পরিবর্তন করে’’।
 (বুখারী ৪৮৮৬, ৫৯৩১, ৫৯৪৩, ৫৯৪৮;; মুসলিম ২১২৫)
আবূ হুরাইরাহ্, আয়েশা, আস্মা’ ও ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-২, গুনাহ্গারের অন্তরের উপর ভ্রষ্টাচারের সিল-মোহর পড়ে যায়

বার বার গুনাহ্’র ইচ্ছা পোষণ


১১. গুনাহ্গারের অন্তর বার বার গুনাহ্’র ইচ্ছা পোষণ করতে করতে আর ভালোর ইচ্ছা পোষণ করতে পারে না। এমনকি তখন তার মধ্যে গুনাহ্ থেকে তাওবা করার ইচ্ছাও একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়। বরং ধীরে ধীরে উক্ত ইচ্ছা একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। তখন দেখা যায়, এক জন ব্যক্তি অর্ধাঙ্গ রোগী অথচ সে এখনো আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট তাওবা করছে না। আর কখনো সে মুখে তাওবা ইস্তিগ্ফার করলেও তা মিথ্যুকের তাওবা বলেই বিবেচিত। কারণ, তার অন্তর তখনো গুনাহ্লোভী। সে সুযোগ পেলেই গুনাহ্ করবে বলে আশা পোষণ করে থাকে।

গুনাহ্কে গুনাহ্ মনে না করা


১২. গুনাহ্ করতে করতে গুনাহ্কে গুনাহ্ মনে করার চেতনাটুকুও গুনাহ্গারের অন্তর থেকে সম্পূর্ণরূপে লোপ পায়। তখন গুনাহ্ করাই তার অভ্যাসে পরিণত হয়। তাকে কেউ গুনাহ্ করতে দেখলে অথবা কেউ এ ব্যাপারে তার সম্পর্কে কথা বললে সে এতটুকুও লজ্জা পায় না। বরং

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকারঃ পর্ব-১, বয়স বা উহার বরকত কমিয়ে দেয়া

গুনাহ্’র বিভিন্ন অপকার


মুসলিম বলতেই সবারই এ কথা জানা উচিৎ যে, বিষ যেমন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তেমনিভাবে গুনাহ্ও অন্তরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে তাতে ক্ষতির তারতম্য অবশ্যই রয়েছে। এমনকি দুনিয়া ও আখিরাতে যত অকল্যাণ অথবা ব্যাধি রয়েছে তার মূলে রয়েছে গুনাহ্ ও পাপাচার।
এরই কারণেই আদম ও হাউওয়া’ বা হাওয়া (আলাইহিমাস্ সালাম) একদা জান্নাত থেকে বের হতে বাধ্য হন।
এরই কারণে শয়তান ইব্লীস আল্লাহ্ তা‘আলার রহমত থেকে চিরতরে বঞ্চিত হয়।
এরই কারণে নূহ্ (আঃ) এর যুগে বিশ্বব্যাপী মহা প্লাবন দেখা দেয় এবং কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ও বস্ত্ত ছাড়া সবই ধ্বংস হয়ে যায়।
এরই কারণে ’হূদ্ (আঃ) এর যুগে ধ্বংসাত্মক বায়ু প্রবাহিত হয় এবং সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যায়।
এরই কারণে

প্রশ্ন: ছেলে-মেয়েদের বা অন্য কাউকেই অভিশাপ দেয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে.?

প্রশ্ন: ছেলে-মেয়েদের বা অন্য কাউকেই অভিশাপ দেয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে.?
=======================================
উওর: ছোটো-খাটো কারণে বিরক্ত হয়ে কখনো নিজেকে, ছোটো ছেলে মেয়ে বা কাউকেই অভিশাপ দিবেন না। আপনি জানেন না, আপনার অভিশাপ দেওয়ার শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ অভিশাপ কবুল করে নিলেন আর যাকে অভিশাপ দিলেন সামান্য কারণে হয়তো তার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেললেন।
মানুষতো দূরের কথা, এমনকি প্রাণী বা অন্য কোনোকিছুকেও অভিশাপ দেওয়া ঠিকনা।
একবার রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে সফর সংগীদের মধ্যে একজন আনসার মহিলা সাহাবী উটের পিঠে চড়ে যাচ্ছিলেন। এক সময় আনসারী সাহাবীয়া উটের প্রতি বিরক্ত হয়ে উটটীকে অভিশাপ দিলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শুনতে পেয়ে বললেন,

প্রশ্নঃ যে স্বামী তার স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, স্ত্রীকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে, স্ত্রীকে মারধর ও জুলুম অত্যাচার করে. . .এম জালেম বা অত্যাচারী স্বামীর জন্যে কি শাস্তি রয়েছে?

প্রশ্নঃ যে স্বামী তার স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, স্ত্রীকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে, স্ত্রীকে মারধর ও জুলুম অত্যাচার করে. . .এম জালেম বা অত্যাচারী স্বামীর জন্যে কি শাস্তি রয়েছে?

উত্তরঃ ইসলাম ধর্মে সব ধরণের জুলুম-অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা ‘কবীরাহ গুনাহ’ বা মহাপাপ।
আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা বলেন, “হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্যে জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন আরেকজনের উপর জুলুম করো না।”
সহিহ মুসলিমঃ ২৫৭৭; জামে তিরমিযি।

শুধু জুলুম নয়, জুলুমে সহযোগিতা করা এবং জালিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম। মানুষের ওপর জুলুম এমন এক ভয়াবহ গোনাহ

কেউ জীন, বদ নযর বা যাদু আক্রান্ত হলে করণীয় কি?


**প্রশ্নঃ কেউ জীন, বদ নযর বা যাদু আক্রান্ত হলে কি করনীয়?*
-----------------------⭕⭕
যাদু আক্রান্ত হওয়ার পর করনীয়ঃ
🏕#এক
যাদু আক্রান্ত হওয়ার পর করণীয় বিষয় দু’প্রকার। প্রথমত সম্ভব হলে জায়িজ পদ্ধতিতে ঐ যাদু নষ্ট করে দেওয়া এবং যাদুর তাবিজ, গিঁট ইত্যাদি খুজে বের করে ধ্বংস করা। যাদু আক্রান্ত ব্যক্তির মুক্তির এটাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

🏕#দ্বিতীয়ত শরয়ী ঝাড়ফুঁক।
▪[ক] মহামান্য শায়খ ইবনু বায (র:) বলেন, যাদু থেকে মুক্তির জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়: সাতটি কাঁচা কুল (বরই) পাতা নিয়ে বেটে একটি পাত্রে রাখবে এবং তাতে পানি মিশ্রিত করবে। পানি এমন পরিমাণ হওয়া চাই যা দ্বারা গোসল করা সম্ভব হয়। এরপর উক্ত পানিতে কুরআনের এ আয়াতগুলো পড়ে ফুঁক দিবে: আয়াতাল কুরসী, সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক, সূরা নাস, সূরা আরাফের (১১৭ থেকে ১২২) নং আয়াত, সূরা ইউনুসের (৭৯ থেকে ৮২) নং আয়াত এবং সূরা ত্বায়াহার (৬৫ থেকে ৭০) নং আয়াত। তারপর উক্ত পানি থেকে কিছু পানি রুগীকে পান করাবে এবং অবশিষ্ট দ্বারা তাকে গোসল করাবে। ইনশাআল্লাহ্ এদ্বারা যাদু কেটে যাবে।

যদি প্রয়োজন দেখা দেয় তবে

কুরআন শিক্ষা না করার পরিনতি সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে কি বলা হয়েছে?

কুরআন শিক্ষা না করার পরিনতি সম্পর্কে কুরআন এবং হাদিসে কি বলা হয়েছে?
==================================
১. রাসূলের অভিযোগ পেশ :
কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় আল্লাহ তা‘আলার অনুমতিতে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের জন্য শাফায়াত চাইবেন। কিন্তু যারা কুরআন শিক্ষা করেনি, কুরআনের যেসব হক রয়েছে তা আদায় করেনি, কিয়ামতের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ পেশ করবেন। কুরআনে এসেছে :
﴿ وَقَالَ ٱلرَّسُولُ يَٰرَبِّ إِنَّ قَوۡمِي ٱتَّخَذُواْ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ مَهۡجُورٗا ٣٠ ﴾ [الفرقان: ٣٠]
অর্থ: ‘আর রাসূল বলবেন, হে আমার রব, নিশ্চয় আমার কওম এ কুরআনকে পরিত্যাজ্য গণ্য করেছে’ [সূরা আল-ফুরকান-৩০]
ইবন কাসীর বলেন, কুরআন না পড়া, তা অনুসারে আমল না করা, তা থেকে হেদায়াত গ্রহণ না করা, এ সবই কুরআন পরিত্যাগ করার শামিল।
২. কিয়ামতে অন্ধ হয়ে উঠবে :
যে কুরআন শিখা থেকে থেকে বিমুখ হয়ে থাকল, সে কতইনা দুর্ভাগা! আলকুরআনে এসেছে

প্রশ্ন: প্রথমে কন্যা সন্তান হওয়া বরকতের কারণ' ;কথাটি কি সঠিক??

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ