Monday, November 20, 2017

পোশাকে ব্যবহৃত শরীয়ত বিরোধী শব্দের ব্যবহরের নমুনা

পোশাকে ব্যবহৃত শরীয়ত বিরোধী শব্দের ব্যবহরের নমুনা


Christmas- বড় দিন, খ্রিষ্টের জন্মদিন
Bible - বাইবেল
Vica - খ্রিষ্টান পল্লী-যাজক
Adulterer- ব্যভিচারী, লম্পট
Prustitue- ব্যভিচারী, লম্পট
Bastard- জারজ, জঘন্য
Xaint (ST-শিকার
Athirst- পিপাসিত, উদ্গ্রীব
Clergyman- ধর্মযাজক

৯। পরিহিত লেবাস (পায়জামা, প্যান্ট্, লুঙ্গি, কামীস প্রভৃতি) যেন পায়ের গোড়ালীর নিচে না যায়

৯। পরিহিত লেবাস (পায়জামা, প্যান্ট্, লুঙ্গি, কামীস প্রভৃতি) যেন পায়ের গোড়ালীর নিচে না যায়


মহানবী (সাঃ) বলেন,

مَا أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ مِنْ الْإِزَارِ فَفِي النَّارِ

‘‘গোড়ালীর নিচের অংশ লুঙ্গির (অঙ্গ) জাহান্নামে।’’[1] ‘‘মু’মিনের লুঙ্গি পায়ের অর্ধেকরলা পর্যন্ত। এই (অর্ধেক রলা) থেকে গোড়ালী পর্যন্ত অংশের যে কোনও জায়গায় হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু এর নিচের অংশ দোযখে যাবে।’’ এরূপ ৩ বার বলে তিনি পুনরায় বললেন,

৮। লেবাস যেন রেশমী কাপড়ের না হয়

৮। লেবাস যেন রেশমী কাপড়ের না হয়


মহানবী (সাঃ)  বলেন, ‘‘সোনা ও রেশম আমার উম্মতের মহিলাদের জন্য হালাল এবং পুরুষদের জন্য হারাম করা হয়েছে।’’[1] ‘‘দুনিয়ায় রেশম-বস্ত্ত তারাই পরবে, যাদের পরকালে কোন অংশ নেই।’’[2]
হযরত উমার (রাঃ) বলেন,

৭। গাঢ় হলুদ বা জাফরানী রঙের যেন না হয়

৭। গাঢ় হলুদ বা জাফরানী রঙের যেন না হয়


আম্র বিন আস (সাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাঃ) একদা আমার গায়ে দু’টি জাফরানী রঙের কাপড় দেখে বললেন, ‘‘এগুলো কাফেরদের কাপড়। সুতরাং তুমি তা পরো না।’’[1]

পুরুষদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপ

পুরুষদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপ


১। লেবাস যেন নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ অবশ্যই আবৃত রাখে।     যেহেতু ঐটুকু অঙ্গ পুরুষের লজ্জাস্থান।[1]
২। এমন পাতলা না হয়, যাতে ভিতরের চামড়া নজরে আসে।
৩। এমন আঁট-সাট না হয়, যাতে দেহের উঁচু-নিচু প্রকাশ পায়।
৪। কাফেরদের লেবাসের অনুকরণীয় না হয়।

৮। লেবাস যেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রসিদ্ধিজনক না হয়

৮। লেবাস যেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রসিদ্ধিজনক না হয়


কারণ, বিরল ধরনের (খুব ভালো অথবা খুব খারাপ) লেবাস পরলে সাধারণতঃ পরিধানকারীর মনে গর্ব সৃষ্টি হয় এবং দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাই রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধিজনক লেবাস পরবে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতে লাঞ্ছনার লেবাস পরাবেন।’’[1]
‘‘যে ব্যক্তি জাঁকজমকপূর্ণ লেবাস পরবে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতে অনুরূপ লেবাস পরিয়ে তা অগ্নিদগ্ধ করবেন।’’[2]
প্রকাশ থাকে যে,

৭। নারীদের লেবাস যেন পুরুষদের লেবাসের অনুরূপ না হয়

৭। নারীদের লেবাস যেন পুরুষদের লেবাসের অনুরূপ না হয়


মহানবী (সাঃ) সেই নারীদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন, যারা পুরুষদের বেশ ধারণ করে এবং সেই পুরুষদেরকেও অভিশাপ দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ করে।’’[1] তিনি সেই পুরুষকে অভিশাপ দিয়েছেন, যে মহিলার মত লেবাস পরে এবং

৬। লেবাস যেন কোন কাফের মহিলার অনুকৃত না হয়

৬। লেবাস যেন কোন কাফের মহিলার অনুকৃত না হয়


প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন (লেবাসে-পোশাকে, চাল-চলনে অনুকরণ) করবে সে তাদেরই দলভুক্ত।’’[1]
ফুটনোটঃ[1]. আবূ দাঊদ, মিশকাত হা/ ৪৩৪৭

৫।মহিলাদের পোশাক যেন সুগন্ধিত না হয়

৫। যেন সুগন্ধিত না হয়


মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘সেন্ট্ বিলাবার উদ্দেশ্যে কোন মহিলা যদি তা ব্যবহার করে পুরুষদের সামনে যায়, তবে সে বেশ্যা মেয়ে।’’[1]
সেন্ট্ ব্যবহার করে মহিলা মসজিদেও যেতে পারে না। একদা চাশ্তের সময় আবূ হুরাইরা (রাঃ) মসজিদ থেকে বের হলেন। দেখলেন, একটি মহিলা মসজিদ প্রবেশে উদ্যত। তার দেহ বা লেবাস থেকে উৎকৃষ্ট  সুগন্ধির সুবাস ছড়াচ্ছিল। আবূ হুরাইরা (রাঃ) মহিলাটির উদ্দেশে বললেন,

৪। পোশাক যেন এমন আঁট-সাঁট (টাইট্ফিট) না হয়

৪। পোশাক যেন এমন আঁট-সাঁট (টাইট্ফিট) না হয়


যাতে দেহের উঁচু-নিচু ব্যক্ত হয়। কারণ এমন ঢাকাও খোলার পর্যায়ভুক্ত এবং দৃষ্টি-আকর্ষী।

৩। লেবাস যেন এমন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া নজরে আসে।

৩। লেবাস যেন এমন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া নজরে আসে।


 নচেৎ ঢাকা থাকলেও খোলার পর্যায়ভুক্ত। এ ব্যাপারে এক হাদীসে আল্লাহর রসূল  (সাঃ) হযরত আসমা (রাঃ) কে সতর্ক করেছিলেন।[1]
একদা হাফসা বিন্তে আব্দুর রহমান পাতলা ওড়না পরে হযরত আয়েশা (রাঃ) এর নিকট গেলে তিনি তার ওড়নাকে ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এবং তাকে একটি মোটা ওড়না পরতে দিলেন।[2]
রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘দুই শ্রেণীর মানুষ দোযখবাসী; যাদেরকে আমি (এখনো) দেখিনি। ---(এদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ সেই) মহিলাদল, যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ থাকবে, অপর পুরুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেও তার দিকে আকৃষ্ট হবে, যাদের মাথা (চুলের খোঁপা) হিলে থাকা উটের কুঁজের মত হবে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর তার সুগন্ধও পাবে না; অথচ তার সুগন্ধ এত এত দূরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে।’’[3]
ফুটনোটঃ[1]. আবূ দাঊদ, মিশকাত হা/ ৪৩৭২

[2]. মালেক, মিশকাত হা/ ৪৩৭৫

[3]. আহমাদ, মুসলিম, সহীহুল জা’মে হা/৩৭৯৯

২। যে লেবাস মহিলা পরিধান করবে সেটাই যেন (বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষনীয় না হয়

২। যে লেবাস মহিলা পরিধান করবে সেটাই যেন (বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষনীয় না হয়


যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন, ‘‘সাধারণতঃ যা প্রকাশ হয়ে থাকে তা ছাড়া তারা যেন তাদের অন্যান্য সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।’’[1]
প্রকাশ থাকে যে, যে বোরকা সৌন্দর্যখচিত, সে বোরকাকেও

শরীয়তে মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপঃ[1] - ১। লেবাস যেন দেহের সর্বাঙ্গকে ঢেকে রাখে।

শরীয়তে মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপঃ[1] - ১। লেবাস যেন দেহের সর্বাঙ্গকে ঢেকে রাখে।


দেহের কোন অঙ্গ বা সৌন্দর্য যেন কোন বেগানা (যার সাথে  কোনও সময়ে বিবাহ বৈধ এমন) পুরুষের সামনে প্রকাশ না পায়। কেন না মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়)। আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে তোলে।’’[2] মহান আল্লাহ বলেন,

বেশভূষার আদব বিষয়ে কিছু কথা

বেশভূষার আদব বিষয়ে কিছু কথা


ইসলাম যেমন মুসলিমের আভ্যন্তরিক দিক পবিত্র করার তাকীদ দেয়, ঠিক তেমনিই তাকীদ দেয় তার বাহ্যিক দিকটাও পবিত্র ও সুন্দর করার।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইসলাম মানুষের লজ্জাস্থান  ঢাকাকে ফরয ঘোষণা করেছে। সুতরাং কোন মুসলিম একাকী থাকলেও উলঙ্গ থাকতে পারে না। মহান আল্লাহ বলেন,

    يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنْزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا وَلِبَاسُ التَّقْوَى ذَلِكَ خَيْرٌ ذَلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ

‘‘হে মানব জাতি! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে লেবাস দিয়েছি। পরন্তু ‘তাকওয়া’র লেবাসই সর্বোৎকৃষ্ট।[1] মু’মিন বান্দাগণের গুণ বর্ণনা করে তিনি আরো বলেন,

১৬। পেশাব-পায়খানার স্থান থেকে বের হয়ে নিম্নের দু‘আ পড়তে হয়।

১৬। পেশাব-পায়খানার স্থান থেকে বের হয়ে নিম্নের দু‘আ পড়তে হয়।


غُفْرَانَكَ    (গুফরা-নাক)।

অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি তোমার ক্ষমা চাই।[1] এ বিষয়ে দ্বিতীয় দু‘আ (الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَذْهَبَ عَنِّي الْأَذَى وَعَافَانِي)  হাদীসটি যয়ীফ।[2]

১৫। পেশাব-পায়খানা করা কালে হাঁচি হলে অথবা আযান শুনলে পেশাব-পায়খানা করা কালে হাঁচি হলে অথবা আযান শুনলে মুখে আল্লাহর জিকির করা যাবে না। অবশ্য মনে মনে করতে পারা যায়।

১৫। পেশাব-পায়খানা করা কালে হাঁচি হলে অথবা আযান শুনলে


পেশাব-পায়খানা করা কালে হাঁচি হলে অথবা আযান শুনলে মুখে আল্লাহর জিকির করা যাবে না। অবশ্য মনে মনে করতে পারা যায়।

১৪। জুতা পরে, মাথা ঢেকে পায়খানা ঘরে প্রবেশ

১৪। জুতা পরে, মাথা ঢেকে পায়খানা ঘরে প্রবেশ


জুতা পরে, মাথা ঢেকে পায়খানা ঘরে প্রবেশ করার হাদীস সহীহ নয়।[1] অবশ্য নোংরা জায়গায় জুতা পরে যাওয়া তো প্রকৃতিগত ব্যাপার।
ফুটনোটঃ[1]. সিলসিলাহ যয়ীফাহ হা/৪১৯২

১৩। পেশাব-পায়খানারসময় বাম পায়ের উপর ভর

১৩। পেশাব-পায়খানারসময় বাম পায়ের উপর ভর


তদনুরূপ পেশাব-পায়খানার সময় বাম পায়ের উপর ভর না দিয়ে বসার হাদীস সহীহ নয়।[1]
ফুটনোটঃ[1]. ঐ ১/৮৬
 
 

১২। পেশাব-পায়খানা ঘরে প্রবেশ করার সয়ম বাম পা আগে বাড়ানো এবং সেখান হতে বের হওয়ার সময় ডান পা আগে বের করা বিধেয় হওয়ার কোন দলীল নেই

১২। পেশাব-পায়খানা ঘরে প্রবেশ করার সয়ম বাম পা আগে বাড়ানো এবং সেখান হতে বের হওয়ার সময় ডান পা আগে বের করা বিধেয় হওয়ার কোন দলীল নেই


অবশ্য কিয়াস ব্যবহার করে অনেকে এটিকে বিধেয় মনে করেন। যেহেতু ভালো জায়গা মসজিদে প্রবেশ করার সময় ডান পা আগে বাড়াতে হয় এবং

১১। পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় দুই জনের লজ্জাস্থান খুলে রেখে কথা বলা উচিত নয়

১১। পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় দুই জনের লজ্জাস্থান খুলে রেখে কথা বলা উচিত নয়


যেহেতু তাতে মহান আল্লাহ ক্রোধান্বিত হন।[1]
ফুটনোটঃ[1]. আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ, ত্বাবারানী, সহীহ তারগীব ১৫৫-১৫৬

১০। ঢেলা ব্যবহারকালে (একটি বা দুটিতে পরিষ্কার হয়ে গেলেও) কমসে কম তিনটি ঢেলা ব্যবহার করতে হবে

১০। ঢেলা ব্যবহারকালে (একটি বা দুটিতে পরিষ্কার হয়ে গেলেও) কমসে কম তিনটি ঢেলা ব্যবহার করতে হবে


তিনটির বেশী প্রয়োজন হলে বেজোড় (৫ বা ৭টি) ঢেলা ব্যবহার বিধেয়। রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন তিনটির কম ঢেলা দ্বারা পেশাব-পায়খানা পরিষ্কার না করে।’’[1]
‘‘তোমাদের কেউ যখন (পেশাব-পায়খানার পর) ঢেলা ব্যবহার করে, তখন সে যেন বেজোড় ঢেলা ব্যবহার করে।’’[2]
প্রকাশ থাকে যে,

৯। যেমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়

৯। যেমন পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়


তেমনি প্রয়োজনে মাটির ঢেলা ইত্যাদি দ্বারাও পবিত্রতা অর্জন হয়। রাসুল (সাঃ) পবিত্রতা অর্জনের জন্য মাটির ঢেলা ব্যবহার করেছেন, যেমন তিনি কেবল পানিই ব্যবহার করেছেন। ঢেলার থেকে পানি ব্যবহারে অধিক পবিত্রতা আছে। কুবাবাসীগণ পবিত্রতায় পানি ব্যবহার করতেন বলে মহান আল্লাহ কুরআন অবতীর্ণ করে তাঁদের প্রশংসা করেছেন।[1] পক্ষান্তরে

৮। পেশাব-পায়খানার কাজে বাম হাত ব্যবহার করুন

৮। পেশাব-পায়খানার কাজে বাম হাত ব্যবহার করুন


লেনদেন ও পানাহার করা এবং পবিত্র ও রুচিকর জিনিস ধারণ করার জন্য ডান হাত, আর পবিত্রতা অর্জন করা এবং অপবিত্র ও ঘৃণিত জিনিস ধারণ করার জন্য বাম হাত ব্যবহারই মানুষের প্রকৃতি ও রুচিসম্মত কাজ।
রাসুল (সাঃ) বলেন,

৭। দেহ বা কাপড়ে পেশাবের ছিটা লাগা থেকে সতর্ক হওয়া জরুরী

৭। দেহ বা কাপড়ে পেশাবের ছিটা লাগা থেকে সতর্ক হওয়া জরুরী


যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) একদা দু’টি কবরের পাশ বেয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, ‘‘এই দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। তবে কোন কঠিন কাজের জন্য ওদের আযাব হচ্ছে না। অবশ্য সে কাজ ছিল বড় গোনাহর। ওদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি চুগলখোরী করে বেড়াত, এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি নিজের পেশাব থেকে সতর্ক হত না---।’’[1]
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

৬। পেশাব-পায়খানা করার সময় পর্দা জরুরী

৬। পেশাব-পায়খানা করার সময় পর্দা জরুরী


এ জন্য বাড়ির ভিতরে বাথরুম হওয়া খুবই দরকার। অবশ্য বাইরে পেশাব-পায়খানা করতে হলে এমন জায়গায় বসতে হবে যেখানে কেউ যেন দেখতে না পায়। কোন উঁচু জায়গা, ঝোপের আড়াল বা রাতের অন্ধকার যেন আপনাকে গোপন করে নেয়।
ইসলামী শরীয়তে ইজ্জত ও শরমগাহের যথার্থ হিফাযত করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং

৫। অধিকাংশ খবীস জিনরা নোংরা স্থানে বাস করে বা আসে যায়

৫। অধিকাংশ খবীস জিনরা নোংরা স্থানে বাস করে বা আসে যায়


আর শয়তান হল মানুষের চিরশত্রু। শয়তান মানুষকে বেইজ্জত করতে চায়, বেআবরু দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু প্রস্রাবাগার বা পায়খানা ঘরে বা স্থানে প্রবেশ হওয়ার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়লে আল্লাহর হুকুমে তাদের চোখে পর্দা পড়ে যায়।[1] অতঃপর শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচতে নিম্নের দু‘আ পড়তে হয়।

৪। পেশাব-পায়খানার সময় কিবলার দিকে মুখ বা পশ্চাৎ করে বসবেন না

৪। পেশাব-পায়খানার সময় কিবলার দিকে মুখ বা পশ্চাৎ করে বসবেন না


পেশাব-পায়খানার সময় কিবলার দিকে মুখ বা পশ্চাৎ করে বসবেন না। আল্লাহর রসূল (সাঃ) এ কাজ করতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
আবূ আইয়ুব আনসারী (সাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, ‘‘পায়খানা করার সময়ে তোমরা কিবলাকে সম্মুখ অথবা পশ্চাৎ করে বসো না। বরং পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে মুখ অথবা পিঠ করে বসো।’’[1]
বলাই বাহুল্য যে, আমাদের দেশে কিবলার দিক পশ্চিমে। অতএব

৩। পেশাব-পায়খানার জায়গা বা ঘরে এমন কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করবেন না, যাতে মহান আল্লাহর নাম উল্লেখ আছে

৩। পেশাব-পায়খানার জায়গা বা ঘরে এমন কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করবেন না, যাতে মহান আল্লাহর নাম উল্লেখ আছে


পেশাব-পায়খানার জায়গা বা ঘরে এমন কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করবেন না, যাতে মহান আল্লাহর নাম উল্লেখ আছে। আল্লাহর নামের তা’যীম যথাসাধ্য করা অবশ্যই উচিত। অবশ্য যা না নিয়ে ঢুকলে অন্য কোন উপায় থাকে না, তার কথা ভিন্ন।[1]
ফুটনোটঃ[1]. আল-মুমতে’ ১/৯১

২। বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ।[1] যেমন পুকুর, হাওয, খাল-বিল, প্রভৃতি। পায়খানা তো মোটেই না। সুতরাং বাথরুমের পাইপও এ সবের পানিতে নামানো যাবে না। বিশেষ করে তার ফলে যদি পানির ত্রিগুণ রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে সে পানি নাপাকে পরিণত হয়ে যাবে। ফুটনোটঃ[1]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২৮১ প্রমুখ

২। বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ


বদ্ধ পানিতে পেশাব করা নিষেধ।[1] যেমন পুকুর, হাওয, খাল-বিল,  প্রভৃতি। পায়খানা তো মোটেই না। সুতরাং বাথরুমের পাইপও এ সবের পানিতে নামানো যাবে না। বিশেষ করে তার ফলে যদি পানির ত্রিগুণ রং, গন্ধ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে

১২। খাবার জিনিস গরম থাকলে খেতে শুরু না করে খাবার মত ঠাণ্ডা হলে খেতে শুরু করুন

১২। খাবার জিনিস গরম থাকলে খেতে শুরু না করে খাবার মত ঠাণ্ডা হলে খেতে শুরু করুন


কারণ বেশী গরম খাবার খেলে জিভ বা মুখে কষ্ট পেতে পারেন, খাবারের আসল স্বাদ জিভে অনুভব করতে পারবেন না, বেশী গরম গিলে ফেললে আপনার পেটেরও কোন ক্ষতি হতে পারে। আর তখন আপনি ঐ খাবারের কোন বরকত পাবেন না।
এ জন্যই মহানবী (সাঃ) বলেন,

২। অমুসলিমদের পাত্রে (তাদের দোকান ও হোটেলে) খাওয়া নিষেধ

২। অমুসলিমদের পাত্রে (তাদের দোকান ও হোটেলে) খাওয়া নিষেধ


তবে তাদের পাত্র (দোকান বা হোটেল) ছাড়া যদি মুসলিমদের কোন পাত্র (দোকান বা হোটেল) না পাওয়া যায়, তাহলে নিরুপায় অবস্থায় তাদের সেই পাত্র (ধোয়ার পর তাদের দোকান বা হোটেলে) খাওয়ার অনুমতি রয়েছে।[1]
ফুটনোটঃ[1]. বুখারী, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/১৯৩০

৩। ঠেস বা হেলান দিয়ে খাওয়া অপছন্দনীয় কাজ

৩। ঠেস বা হেলান দিয়ে খাওয়া অপছন্দনীয় কাজ


মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘আমি হেলান দিয়ে খাই না।’’[1] তিনি হেলান দিয়ে খেতে নিষেধও করেছেন। তিনি (সাঃ) বলেন- لَا تَأْكُلْ مُتَّكِئًا ‘‘হেলান দিয়ে খেয়ো না’’।[2] যেভাবে খেলে হেলান দিয়ে খাওয়া হয়, সেইভাবে খাওয়া মকরূহ। দেওয়াল বা চেয়ারের সাথে পিঠের অথবা মাটির সাথে বাম হাতের হেলান দিয়ে খাওয়া অপছন্দনীয়। যেহেতু অনুরূপ বসা বিনয়ীদের লক্ষণ নয় এবং হেলান দিয়ে খেলে বেশী খাওয়া হয়। আর বেশী খাওয়া ইসলামে বাঞ্ছনীয় নয়। উবুড় হয়ে শুয়ে খাওয়া নিষেধ। রসূল (সাঃ) বলেন

৪। খাবার সময় খাবার প্রস্ত্তত হয়ে গেলে এবং সলাতের সময় এসে উপস্থিত হলে আগে খাবার খাবেন, তারপর সলাতে যাবেন। যাতে সলাতের একাগ্রতা নষ্ট না হয়।

৪। খাবার সময় খাবার প্রস্ত্তত হয়ে গেলে এবং সলাতের সময় এসে উপস্থিত হলে আগে খাবার খাবেন, তারপর সলাতে যাবেন। যাতে সলাতের একাগ্রতা নষ্ট না হয়।


মহানবী  (সাঃ)  বলেন, ‘‘নামাযের ইকামত হলে এবং রাতের খানা উপস্থিত হলে, আগে খানা খেয়ে নাও।’’[1]
ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-

৫। খাবার শুরু করার আগে ও পরে উভয় হাতকে ধুয়ে নিন

৫। খাবার শুরু করার আগে ও পরে উভয় হাতকে ধুয়ে নিন


অবশ্য এ কেবল আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য। নচেৎ খাবার আগে হাত ধোয়ার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই।[1]
অবশ্য খাবার পর হাত ধোয়ার ব্যাপারটাও প্রকৃতিগত রুচির ব্যাপার। তবুও ইসলামে এর নির্দেশ এসেছে। খোদ মহানবী (সাঃ) খাবার পরে কুলি করেছেন এবং হাত ধুয়েছেন।[2]
তিনি (সাঃ) বলেছেন,

৬। খাবার শুরু করার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন এবং শেষ করার পর আল্লাহর প্রশংসা করুন

৬। খাবার শুরু করার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন এবং শেষ করার পর আল্লাহর প্রশংসা করুন


এই আদব পালনে খাবার ঠিকমত দেহে কাজ করা এবং তার অপকারিতা দূর করার ব্যাপারে বড় প্রভাব রয়েছে। ইমাম আহমাদ বলেন, খাবারে ৪টি জিনিস জমা হলে সে খাবার পরিপূর্ণ হয়; খাবার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা, শেষে আল্লাহর প্রশংসা করা, (একাধিক লোকের) অনেক হাত পড়া এবং তা হালাল হওয়া।[1]
আল্লাহর নাম নিয়ে খেতে শুরু করলে শয়তানের প্রভাব ও শরীক হওয়া থেকে বাঁচা যায়। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

৭। পানাহার করুন ডান হাতে। দুই হাতে খাবার ধরতে হলেও একটার পর একটা ডান হাতে নিয়েই খান। বাম হাতে খাবেন না

৭। পানাহার করুন ডান হাতে। দুই হাতে খাবার ধরতে হলেও একটার পর একটা ডান হাতে নিয়েই খান। বাম হাতে খাবেন না


কেননা আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যেন তার বাম হাত দ্বারা অবশ্যই না খায় এবং পানও না করে। কারণ, শয়তান তার বাম হাত দিয়ে পানাহার করে থাকে।’’
বর্ণনাকারী বলেন, (ইবনে উমার (রাঃ) এর স্বাধীনকৃত দাস তাবেয়ী) নাফে’  (রাঃ) দুটি কথা আরো বেশী বলতেন, ‘‘কেউ যেন বাম হাত দ্বারা কিছু গ্রহণ না করে এবং অনুরূপ তার দ্বারা কিছু প্রদানও না করে।’’[1]
উমার বিন আবী সালামাহ (রাঃ) বলেন, আমি শিশুবেলায় আল্লাহর রসূল (সাঃ) এর কোলে (বসে খাবার সময়) আমার হাত পাত্রের যেখানে-সেখানে পড়লে তিনি আমাকে বললেন,

৮। খাবার (এক শ্রেণীর হলে) পাত্রের এক ধার থেকে খান, নিজের পার্শ্ব থেকে খান। খাবার পাত্রের মাঝখান হতে খাওয়া উচিত নয়

৮। খাবার (এক শ্রেণীর হলে) পাত্রের এক ধার থেকে খান, নিজের পার্শ্ব থেকে খান। খাবার পাত্রের মাঝখান হতে খাওয়া উচিত নয়


কারণ,   মহানবী (সাঃ) উমার বিন আবী সালামাহ (রাঃ) কে বলেছিলেন, ‘‘ওহে বৎস! আল্লাহর নাম নাও, তোমার ডান হাত দিয়ে খাও এবং নিজের তরফে একধার থেকে খাও।’’[1]
মহানবী (সাঃ) বলেন,

৯। সুন্নাত হল তিনটি আঙ্গুল (বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা) দ্বারা (রুটি, খেজুর প্রভৃতি) খাবার খাওয়া

৯। সুন্নাত হল তিনটি আঙ্গুল (বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা) দ্বারা (রুটি, খেজুর প্রভৃতি) খাবার খাওয়া


আল্লাহর রসূল (সাঃ) তিনটে আঙ্গুল দিয়েই খাবার খেতেন।[1]
ফুটনোটঃ[1]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৬৬২৬, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৩২, আবূ দাঊদ হা/৩৮৪৮,

১০। খাবার শেষে আঙ্গুল ও প্লেট চেঁটে খান। তারপর মুছে অথবা ধুয়ে ফেলেন

১০। খাবার শেষে আঙ্গুল ও প্লেট চেঁটে খান। তারপর মুছে অথবা ধুয়ে ফেলেন


মহানবী (সাঃ) এরূপই করতেন এবং এরূপ করতে অপরকে আদেশ করতেন। তিনি (সাঃ) বলেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ খাবার খায় তখন সে যেন তার আঙ্গুল চেঁটে বা চাঁটিয়ে না নেওয়ার আগে তা না মুছে (বা না ধোয়)।’’[1]
জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ‘‘নবী (সাঃ) আঙ্গুল ও প্লেটকে চেঁটে খেতে আদেশ করেছেন এবং বলেছেন,

১১। খাদ্যাংশ নিচে পড়ে গেলে তা পরিষ্কার করে খেয়ে ফেলা কর্তব্য

১১। খাদ্যাংশ নিচে পড়ে গেলে তা পরিষ্কার করে খেয়ে ফেলা কর্তব্য


কারণ, তাতেই বরকত নিহিত থাকতে পারে। সুতরাং তা কুড়িয়ে না খেলে বরকত চলে যাবে। মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের কারো খাবারের লোকমা হাত হতে (পাত্রের বাইরে) পড়ে গেলে (এবং তাতে ময়লা লেগে গেলে) তার ময়লা দূর করে সে যেন তা খেয়ে ফেলে এবং শয়তানের জন্য ছেড়ে না দেয়। খাবার শেষে সে যেন নিজের আঙ্গুলগুলো চেঁটে খায়। কারণ তোমরা জান না যে, তোমাদের কোন্ খাবারে বরকত নিহিত আছে।’’[1]
তদনুরূপ পানীয়তে (পানি, শরবত, জুস বা চায়ে) যদি মাছি পড়ে যায়, তাহলে সেটিকে সরাসরি না তুলে পূর্ণরূপে তাতে ডুবিয়ে, অতঃপর তা তুলে ফেলে পান করা কর্তব্য। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, 

১৩। খাদ্য ও পানীয়তে ফুঁ দিয়ে খাবেন না

১৩। খাদ্য ও পানীয়তে ফুঁ দিয়ে খাবেন না


গরম খাবার ঠাণ্ডা করার জন্য অথবা পানীয়তে কোন পোকা বা কুটা দূর করার জন্য ফুঁক দিবেন না। আহার্য বা পানপাত্রে নিঃশ্বাস ছাড়বেন না। যেহেতু তাতে খাদ্য ও পানীয়র সাথে আপনার ছাড়া কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস মিলিত হবে। সে দূষিত গ্যাস আপনার শরীর ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন,

১৬। এক নিঃশ্বাসে পানি পান না করে অন্তত তিন নিঃশ্বাসে পান করবেন

১৬। এক নিঃশ্বাসে পানি পান না করে অন্তত তিন নিঃশ্বাসে পান করবেন


আল্লাহর রসূল (সাঃ) তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করতেন এবং বলতেন, ‘‘এতে বেশী তৃপ্তি আসে বা পিপাসা নিবারণ হয়, পিপাসার কষ্ট থেকে অথবা কোন ব্যাধি সৃষ্টির হাত থেকে বেশী পরিমাণে বাঁচা যায় এবং হজম, পরিপাক ও দেহের উপকার বেশী হয়।’’[1]
তবে তার মানে এই নয় যে, এক নিঃশ্বাসে পানি পান করা বৈধ নয়। বরং

১৮। আপনি যদি অপরকে পানাহার করান, তাহলে আদব ও মুস্তাহাব হল যে, আপনি সবার শেষে খাবেন

১৮। আপনি যদি অপরকে পানাহার করান, তাহলে আদব ও মুস্তাহাব হল যে, আপনি সবার শেষে খাবেন


আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরূপ করেছেন এবং বলেছেন, ‘‘যে লোকদেরকে পানি পান করায়, সে যেন সবার শেষে পান করে।’’[1]
ফুটনোটঃ[1]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৬৮১ প্রমুখ
 
 

১৯। খেতে খেতে কথা বলা নিষেধ নয়

১৯। খেতে খেতে কথা বলা নিষেধ নয়


কথা বলতে পারেন, তবে খেয়াল রাখবেন যাতে গল্প বলতে বলতে আপনার ভাগ অন্যে না মেরে দেয়। আসলে ‘খেতে খেতে কথা বলতে নেই’ এ কথা মায়েরা শিশুদেরকে তাড়াতাড়ি খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে বলে থাকেন। এটা কোন শরয়ী নির্দেশ নয়।

২০। জামাআতবদ্ধভাবে এক পাত্রে খাওয়া মুস্তাহাব

২০। জামাআতবদ্ধভাবে এক পাত্রে খাওয়া মুস্তাহাব


খাবার কম থাকলেও তাতে বরকত হবে। মহানবী (সাঃ) বলেন,

   طَعَامُ الْوَاحِدِ يَكْفِى الاِثْنَيْنِ وَطَعَامُ الاِثْنَيْنِ يَكْفِى الأَرْبَعَةَ وَطَعَامُ الأَرْبَعَةِ يَكْفِى الثَّمَانِيَةَ

‘‘একজনের খাবার ২ জনের জন্য, ২ জনের খাবার ৪ জনের জন্য এবং ৪ জনের খাবার  ৮ জনের জন্য যথেষ্ট।’’[1]
তিনি বলেন, ‘‘তোমরা এক সাথে খাও এবং পৃথক পৃথক খেয়ো না। যেহেতু জামাআতের সাথে (খাবারে) বরকত আছে।’’[2]
একদা সাহাবাগণ বললেন,

২১। অপর মুসলিমের সাথে খেতে এঁটো খাওয়া দূষণীয় নয়

২১। অপর মুসলিমের সাথে খেতে এঁটো খাওয়া দূষণীয় নয়


এতে কোন মুসলিমের অকারণে ঘৃণা হওয়াও উচিত নয়। কারণ, রসূল (সাঃ) সহ সাহাবীগণ একপাত্রেই পানাহার করেছেন। বিশেষ করে স্ত্রীর এঁটো খেতে অরুচি হওয়া উচিত নয় কোন স্বামীর। যেহেতু সকল মানুষের জন্য আদর্শ স্বামী রসূল (সাঃ) নিজ স্ত্রীর (মাসিক অবস্থাতেও) এঁটো খেয়েছেন। বরং

২২। এক পাত্রে একাধিক লোক খেলে খাবার সময় মনের ভিতর হিংসা রাখবেন না

২২। এক পাত্রে একাধিক লোক খেলে খাবার সময় মনের ভিতর হিংসা রাখবেন না


সবার চেয়ে আপনি বেশী খাবেন---এ সংকল্প করবেন না। মনে মনে সবার চেয়ে আপনি কম খাবেন এ নিয়ত, ইচ্ছা ও চেষ্টা যদি না-ই রাখতে পারেন, তাহলে সকলের সমান খাবেন---এ নিয়ত যেন অবশ্যই রাখেন। খাবার সময় ভালো জিনিসটি আগে-ভাগে তুলে খাবেন না। বড় বড় লোকমা ধরবেন না। একটির জায়গায় দুটি এক সাথে কিছু তুলে খাবেন না। স্বাভাবিকতার

২৩। যদি আপনাকে কেউ খেতে ডাকে

২৩। যদি আপনাকে কেউ খেতে ডাকে


এবং আপনার পেটে ক্ষুধা ও মনে খাবার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তা গোপন করে মিথ্যা ওযর পেশ করবেন না।[1]
ফুটনোটঃ[1]. আহমাদ, ইবনে মাজাহ, সহীহুল জা’মে হা/৭২৩০

২৪। আপনার খানা যদি খাদেম প্রস্ত্তত করে, তাহলে সেই খাবারে খাদেমকেও শরীক করুন

২৪। আপনার খানা যদি খাদেম প্রস্ত্তত করে, তাহলে সেই খাবারে খাদেমকেও শরীক করুন


যেহেতু সে ঐ খাবারের পিছনে মেহনত করেছে, তার সুগন্ধ তার পেটে গেছে এবং হয়তো বা তার মন ঐ খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এই জন্যই দয়ার রসূল (সাঃ) এর নির্দেশ হল, তাকে বসিয়ে এক সাথে খান। আর তাকে বসানো যদি সম্ভব না হয় বা সে বসতে না চায়, তাহলে

২৫। এমন টেবিল, দস্তরখান বা মজলিসে বসে খাবেন না, যে মজলিসে মদ বা অন্য কোন হারাম জিনিস খাওয়া হয়

২৫। এমন টেবিল, দস্তরখান বা মজলিসে বসে খাবেন না, যে মজলিসে মদ বা অন্য কোন হারাম জিনিস খাওয়া হয়


সে ভোজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না, যে ভোজ অনুষ্ঠানে কোন নোংরা জিনিস করা বা দেখানো হয়।
প্রিয় নবী (সাঃ)বলেন,

২৬। জামাআতে সবারই খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাবার হতে হাত না তোলা

২৬। জামাআতে সবারই খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত খাবার হতে হাত না তোলা


উঠে না যাওয়া এবং বসে থেকে খাওয়ার ভান করার ব্যাপারে (ইবনে মাজাহর) হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল।[1] সুতরাং এ আদবকে সুন্নাত জ্ঞান করা ঠিক নয়।
ফুটনোটঃ[1]. সিলসিলাহ যয়ীফাহ ২৩৮-২৩৯

২৭। জুতো পায়ে রেখে খাওয়া অবৈধ নয়

২৭। জুতো পায়ে রেখে খাওয়া অবৈধ নয়


জুতো খুলে খাওয়ার হাদীস সহীহ নয়।[1]
ফুটনোটঃ[1]. সিলসিলাহ যয়ীফাহ হা/৯৮০

২৮। পেটুকদের মত ভরপেট এত খাওয়া খাবেন না, যাতে নড়তেই না পারেন

২৮। পেটুকদের মত ভরপেট এত খাওয়া খাবেন না, যাতে নড়তেই না পারেন


বেশী খেলে পেটের রোগ হতে পারে, শরীর ভারী হতে পারে এবং তাতে ইবাদতে আলস্য সৃষ্টি হতে পারে। আর বেশী খেলে আপনার হৃদয়ও কঠোর হতে পারে। তাছাড়া বেশী বেশী খাওয়া আসলে কাফেরদের অভ্যাস। সুতরাং রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশমত খান, তাহলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

পেশাব-পায়খানা ও বাতকর্ম থেকে রাজকর্ম পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা রয়েছে ইসলামে

পেশাব-পায়খানা ও বাতকর্ম থেকে রাজকর্ম পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা রয়েছে ইসলামে


ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থার নাম। পেশাব-পায়খানা ও বাতকর্ম থেকে রাজকর্ম পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা রয়েছে তাতে। ইসলামে রয়েছে পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও সুন্দর সামাজিকতার বিধান। রসূল (সাঃ) মুসলিমদেরকে সে সকল বিষয় শিক্ষা দিয়ে গেছেন। একজন মুসলিমকে কিভাবে পবিত্র, পরিচ্ছন্ন, ভদ্র ও আদর্শ মানুষ হতে হবে, তার খুঁটিনাটি বিষয় তিনি বিবৃত করে গেছেন। আসুন

১। যেখানে মানুষে গন্ধ পাবে, যেখানে মানুষের পায়ে লাগবে, যেখানে মানুষ গালি ও অভিশাপ দেবে সেখানে পেশাব-পায়খানা করবেন না

১। যেখানে মানুষে গন্ধ পাবে, যেখানে মানুষের পায়ে লাগবে, যেখানে মানুষ গালি ও অভিশাপ দেবে সেখানে পেশাব-পায়খানা করবেন না


যেমনঃ রাস্তায়, ঘাটে, যে গাছের ছায়ায় লোকেরা বসে সে গাছের ছায়ায়, ফলদার গাছের নিচে, যেখানে লোকেরা জমায়েত হয়ে কেনা-বেচা করে অথবা রোদ পোহায় সেখানে পেশাব-পায়খানা করা চলবে না।
তদনুরূপ সাধারণ পায়খানা ঘরে পেশাব-পায়খানা করে পানি না দিয়ে নোংরা করে রাখাও বৈধ নয়। বৈধ নয় বাড়ির ভিতরকার নোংরা পানি রাস্তায় ছাড়া।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

১৭। সরাসরি মশক বা কলসীর মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করবেন না

১৭। সরাসরি মশক বা কলসীর মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করবেন না


যেহেতু মহানবী (সাঃ) এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন।[1]
বুঝতেই তো পারছেন, এভাবে পানি পান করলে গোটা মশক বা কলসীর পানি নোংরা হয়ে যাবে, মশক বা কলসীর ভিতরে কোন কুটা বা পোকা থাকলে তা আপনার পেটে চলে যেতে পারে এবং

১৫। পানি কখনই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পান করবেন না; বরং বসে বসে পান করবেন

১৫। পানি কখনই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পান করবেন না; বরং বসে বসে পান করবেন


কোন খাবার খাওয়ার সময়ও বসে বসে খাবেন দাঁড়িয়ে খাবেন না।
 আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন,

« لاَ يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا فَمَنْ نَسِىَ فَلْيَسْتَقِئْ »

‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ যেন দাঁড়িয়ে পান না করে। কেউ ভুলে গিয়ে পান করে থাকলে সে যেন তা বমি করে ফেলে।’’[1]
আনাস (রাঃ) বলেন,

১৪। খাবার যেমনই হোক তার কোন দোষ বর্ণনা করতে হয় না

১৪। খাবার যেমনই হোক তার কোন দোষ বর্ণনা করতে হয় না


খাদ্যের কোন প্রকার ত্রুটি বর্ণনা না করে তা ভালো লাগলে খান, না লাগলে ছেড়ে দিন। যেহেতু তাতে রাঁধুনীর মন ছোট হয়।
মহানবী (সাঃ) কখনো খাবারের ত্রুটি বর্ণনা করতেন না। কিছু খেতে ইচ্ছা হলে খেতেন, না হলে তা বর্জন করতেন।[1]

১। সোনা-চাঁদির পাত্রে খাওয়া বৈধ নয়


যেহেতু এ হল অহংকারী কাফেরদের পাত্র। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমরা সোনা-রূপার পাত্রে পানাহার করো না। কারণ, তা দুনিয়াতে কাফেরদের জন্য এবং আখেরাতে তোমাদের জন্য।’’[1]
তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি (সোনা)-চাঁদির পাত্রে পান-(আহার) করে, আসলে সে ব্যক্তি নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন ঢক্ঢক্ করে পান-(আহার) করে।’’[2]
ফুটনোটঃ[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫৬৩৩, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৬৭

[2]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ৫৬৩৪, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২০৬৫

পানাহারের আদব বিষয়ে কিছু কথা

পানাহারের আদব বিষয়ে কিছু কথা


মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অতি প্রয়োজনীয় বস্ত্ত হল খাদ্য ও পানীয়। জীবন ধারণের জন্য এ খাদ্য হালাল হওয়া অতিব জরুরী। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا

‘‘অবশ্যই আল্লাহ পবিত্র এবং তিনি পবিত্র (মালই) কবুল করে থাকেন। আল্লাহ মু’মিনদেরকে সেই আদেশ করেছেন, যে আদেশ করেছিলেন নবী-রসূলগণকে। তাই তো তিনি নবী-রসূলগণরে উদ্দেশ্যে বলেন,

১৩২. বিবিধ কল্যাণ ও সামষ্টিক কিছু আদব

১৩২. বিবিধ কল্যাণ ও সামষ্টিক কিছু আদব


২৬৭- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন রাত্রি অন্ধকার হবে,” অথবা (বলেছেন) “তোমরা সন্ধায় উপনীত হবে, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আগলে রাখবে; কারণ, তখন শয়তানরা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তারপর যখন রাতের একটা সময় অতিবাহিত হবে, তখন তাদের ছেড়ে দিবে। আর তোমরা দরজাগুলো বন্ধ করবে এবং আল্লাহ্‌র নাম নিবে; কেননা

১৩১. কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?

১৩১. কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?


২৬৬- আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি আঙুল ভাঁজ করে তাসবীহ গুনতে”। অপর বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে, “তাঁর ডান হাতে।”[1]

১৩০. তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত

১৩০. তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত


২৫৪-(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
 «سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».
(সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
‘আমি আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি’, তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।”[1]
২৫৫-(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত বাণীটি ১০ বার বলবে,

১২৯. ক্ষমাপ্রার্থনা ও তাওবা করা

১২৯. ক্ষমাপ্রার্থনা ও তাওবা করা


২৪৮-(১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,  “আল্লাহ্‌র শপথ, নিশ্চয় আমি দৈনিক সত্তর -এর অধিকবার আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাই এবং তাওবা করি।”[1]
২৪৯-(২) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “হে মানুষ, তোমরা আল্লাহ্‌র কাছে তাওবা কর, নিশ্চয় আমি আল্লাহ্‌র কাছে দৈনিক একশত বার তাওবা করি।”[2]
২৫০-(৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যে ব্যক্তি বলবে,
«أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ القَيّوُمُ وَأَتُوبُ إِلَيهِ».
(আস্তাগফিরুল্লা-হাল আযীমল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
‘আমি মহামহিম আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি চিরস্থায়ী, সর্বসত্তার ধারক। আর আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।’ আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।”[3]
২৫১-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “রব একজন বান্দার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় রাতের শেষ প্রান্তে, সুতরাং যদি তুমি যদি সে সময়ে আল্লাহ্‌র যিক্‌রকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে সক্ষম হও, তবে তা-ই হও।”[4] 
২৫২-(৫) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “একজন বান্দা তার রবের সবচেয়ে কাছে তখনই থাকে, যখন সে সিজদায় যায়, সুতরাং তোমরা তখন বেশি বেশি করে দো‘আ কর।”[5]
২৫৩-(৬) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “নিশ্চয় আমার অন্তরেও ঢাকনা এসে পড়ে, আর আমি দৈনিক আল্লাহ্‌র কাছে একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা করি।”[6]
 
[1] বুখারী, ফাতহুল বারীসহ, ১১/১০১, নং ৬৩০৭।
[2] মুসলিম, ৪/২০৭৬, নং ২৭০২।
[3] আবূ দাউদ ২/৮৫, নং ১৫১৭; তিরমিযী ৫/৫৬৯, নং ৩৫৭৭; আল-হাকিম এবং সহীহ বলেছেন, তার সাথে ইমাম যাহাবী ঐকমত্য পোষণ করেছেন, ১/৫১১, আর শাইখুল আলবানীও সহীহ বলেছেন। দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮২, জামেউল উসূল লি আহাদীসির রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪/৩৮৯-৩৯০, আরনাঊত এর সম্পাদনাসহ।
[4] তিরমিযী নং ৩৫৭৯, নাসায়ী, ১/২৭৯ নং ৫৭২; হাকেম ১/৩০৯। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৮৩; জামে‘উল উসূল, আরনাউতের তাহকীকসহ ৪/১৪৪।
[5] মুসলিম, ১/৩৫০; নং ৪৮২।
[6] মুসলিম, ৪/২০৭৫, নং ২৭০২। ইবনুল আসীর বলেন, «ليُغان على قلبي» এর অর্থ হচ্ছে, ঢাকা পড়ে যায়, পর্দাবৃত হয়ে যায়। উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়া; কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা যিক্‌র, নৈকট্য ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকতেন। তাই যখন কোনো সময় এ ব্যাপারে সামান্যতম ব্যাঘাত ঘটত অথবা ভুলে যেতেন, তখনি তিনি এটাকে নিজের জন্য গুনাহ মনে করতেন, সাথে সাথে তিনি ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার দিকে দ্রুত ধাবিত হতেন। দেখুন, জামে‘উল উসূল ৪/৩৮৬।

১২৮. দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে

১২৮. দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে


247- «أَعُوذُ بكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ الَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ: مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَبَرَأَ وَذَرَأَ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فيهَا، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَمِنْ شَرِّ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ طَارِقٍ إِلاَّ طَارِقاً يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ».
(আঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্-তা-ম্মা-তিল্লাতী লা ইয়ুজাউইযুহুন্না বাররুন ওয়ালা ফা-জিরুম মিন শাররি মা খালাক্বা, ওয়া বারা’আ, ওয়া যারা’আ, ওয়ামিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস্ সামা-য়ি, ওয়ামিন শাররি মা যারাআ ফিল আরদ্বি, ওয়ামিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়ামিন শাররি ফিতানিল-লাইলি ওয়ান-নাহা-রি, ওয়ামিন শাররি কুল্লি ত্বা-রিকিন ইল্লা ত্বা-রিকান ইয়াত্বরুকু বিখাইরিন, ইয়া রহ্‌মানু)।
২৪৭- “আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা

১২৭. পশু যবেহ বা নাহর করার সময় যা বলবে

১২৭. পশু যবেহ বা নাহর করার সময় যা বলবে


246- «بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ [اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ] اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّي».
(বিসমিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু আকবার, [আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা], আল্লা-হুম্মা তাকাব্বাল মিন্নী)
২৪৬- “আল্লাহ্‌র নামে, আর আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [হে আল্লাহ!

১২৬. ভীত অবস্থায় যা বলবে

১২৬. ভীত অবস্থায় যা বলবে


245- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ!».
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ !)
২৪৫- “আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব উপাস্য নেই!”[1]
 
[1] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৮১, নং ৩৩৪৬; মুসলিম ৪/২২০৮, নং ২৮৮০।

১২৫. কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দো‘আ

১২৫. কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দো‘আ


২৪৪- “যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের, অথবা নিজের কোনো বিষয়ে, অথবা নিজের কোনো সম্পদে এমন কিছু দেখে যা তাকে চমৎকৃত করে, [তখন সে যেন সেটার জন্য বরকতের দো‘আ করে;] কারণ,

১২৪. শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে

১২৪. শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে


২৪৩- “আপনার দেহের যে স্থানে আপনি ব্যথা অনুভব করছেন, সেখানে আপনার হাত রেখে তিনবার বলুন,
«بِسْمِ اللَّهِ»
(বিসমিল্লাহ)
“আল্লাহর নামে।” আর সাতবার বলুন,
 «أَعُوذُ بِاللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ».
(আঊযু বিল্লা-হি ওয়া ক্বুদরাতিহী মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহা-যিরু)।
“এই যে ব্যথা আমি অনুভব করছি এবং যার আমি আশঙ্কা করছি, তা থেকে আমি আল্লাহ্‌র এবং

১২৩. আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবে

১২৩. আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবে


২৪২- “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো আনন্দদায়ক সংবাদ এলে মহান ও বরকতময় আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায়স্বরূপ সিজদায় পড়ে যেতেন।”[1]
ফুটনোটঃ[1] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত অপরাপর সুনান গ্রন্থকারগণ উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ নং ২৭৭৪; তিরমিযী নং ১৫৭৮; ইবন মাজাহ্‌ ১৩৯৪। আরও দেখুন,

১২২. আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দো‘আ

১২২. আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দো‘আ


240-(1) «سُبْحَانَ اللَّهِ!».
(সুবহা-নাল্লা-হ)
২৪০- “আল্লাহ পবিত্র-মহান।”[1]
241-(2) «اللَّهُ أَكْبَرُ!».
(আল্লা-হু আকবার)
২৪১- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়।”[2]

১২১. জামরাসমূহে প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপকালে তাকবীর বলা

১২১. জামরাসমূহে প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপকালে তাকবীর বলা


২৩৯- “[রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তিনটি জামরায় প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন, অতঃপর কিছুটা অগ্রসর হয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং প্রথম জামরা ও দ্বিতীয় জামরায় দুই হাত উঁচু করে দো‘আ করতেন। কিন্তু

১২০. মাশ‘আরুল হারাম তথা মুযদালিফায় যিক্‌র

১২০. মাশ‘আরুল হারাম তথা মুযদালিফায় যিক্‌র


২৩৮- “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ করলেন, অবশেষে তিনি যখন মাশ‘আরুল হারামে (মুযদালিফার একটি স্থানে) আসেন, তখন তিনি কিবলামুখী হয়ে দো‘আ করেন এবং তাকবীর বলেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠ করেন এবং

১১৯. আরাফাতের দিনে দো‘আ

১১৯. আরাফাতের দিনে দো‘আ


২৩৭- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
237- « لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই;

১১৮. সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে যা পড়বে

১১৮. সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে যা পড়বে


২৩৬- যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফা পর্বতের নিকটবর্তী হলেন, তখন এই আয়াত পড়লেনঃ
«﴿إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللَّهِ﴾»
 (ইন্নাস্‌সাফা ওয়াল-মারওয়াতা মিন শাআ-ইরিল্লা-হ)।
“নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্‌র নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।”
আর বলেন, “আল্লাহ্‌ যেখান থেকে শুরু করেছেন আমিও সেখান থেকে শুরু করব।” অতঃপর তিনি সাফা পর্বতে আরোহণ করতে  লাগলেন যতক্ষণ না কা‘বা দেখলেন, অতঃপর কিবলামুখী হলেন, তারপর আল্লাহ্‌র তাওহীদ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ঘোষণা করেন এবং তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলেন, অতঃপর এই দো‘আ পড়েন,

১১৭. রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে দো‘আ

১১৭. রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে দো‘আ


235- «﴿ رَبَّنَآ اٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِي الْاٰخِرَةِ حَسَـنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ  ٢٠١؁ ﴾».
(রব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাওঁ ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়াকিনা ‘আযা-বান্না-র)।
২৩৫- “হে আমাদের রব্ব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন এবং

১১৬. হাজরে আসওয়াদের কাছে আসলে তাকবীর বলা

১১৬. হাজরে আসওয়াদের কাছে আসলে তাকবীর বলা


২৩৪- রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের উপর আরোহণ করে কা‘বা ঘর তাওয়াফ করলেন; যখনই তিনি হাজরে আসওয়াদের কাছে পৌছতেন, তখনই সেদিকে তার নিকটস্থ কিছু দিয়ে ইঙ্গিত করতেন এবং

১১৫. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে

১১৫. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে


233- «لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ، وَالنِّعْمَةَ، لَكَ وَالْمُلْكَ، لاَ شَرِيكَ لَكَ».

 (লাব্বাইকাল্লা-হুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল-হামদা ওয়ান-নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাকা)।
২৩৩- “আমি আপনার দরবারে হাযির, হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে উপস্থিত। আমি আপনার দরবারে হাযির, আপনার কোনো শরীক নেই, আমি আপনার দরবারে উপস্থিত। নিশ্চয়

১১৪. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে

১১৪. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে


232- «اللَّهُمَّ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا يَقُولُونَ، وَاغْفِرْ لِي مَا لاَ يَعْلَمُونَ، [وَاجْعَلْنِي خَيْراً مِمَّا يَظُّنُّونَ]».

 (আল্লা-হুম্মা লা-তুআ-খিযনী বিমা ইয়াক্বূলূনা, ওয়াগফিরলী মা-লা ইয়ালামূনা, [ওয়াজআলনী খাইরাম মিম্মা ইয়াযুন্নূনা])
২৩২- “হে আল্লাহ, তারা যা বলছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, তারা (আমার ব্যাপারে) যা জানে না সে ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন,

১১৩. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে

১১৩. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে


২৩১- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কারো প্রশংসা করতেই হয়, তখন যেন সে বলে,

« أَحْسِبُ فُلاَناً وَاللَّهُ حَسِيبُهُ، وَلاَ أُزَكِّي عَلَى اللَّهِ أَحَداً، أَحْسِبُهُ – إِنْ كَانَ يَعْلَمُ ذَاكَ – كَذَا وَكَذَا».

“অমুক প্রসঙ্গে আমি এ ধারণা রাখি, আর আল্লাহই তার ব্যাপারে সঠিক হিসাবকারী, আল্লাহ্‌র উপর (তাঁর জ্ঞানের উপরে উঠে) কারও প্রশংসা করছি না। আমি মনে করি,

১১২. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ

১১২. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ


২৩০- রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اللَّهُمَّ فَأَيُّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُهُ فَاجْعَلْ ذَلِكَ لَهُ قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ».

 (আল্লা-হুম্মা ফাআইয়্যূমা মুমিনিন্ সাবাবতুহু ফাজ্আল যা-লিকা লাহু কুরবাতান ইলাইকা ইয়াউমাল ক্বিয়া-মাতি)।
“হে আল্লাহ! যে মুমিনকেই আমি গালি দিয়েছি,

১১১. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দো‘আ

১১১. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দো‘আ


২২৯- “যখন তোমরা রাত্রিবেলা কুকুরের ডাক ও গাধার স্বর শুনবে, তখন তোমরা সেগুলো থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও; কেননা সেগুলো তা দেখে তোমরা যা দেখতে পাও না।”[1]

১১০. মোরগের ডাক ও গাধার স্বর শুনলে পড়ার দো‘আ

১১০. মোরগের ডাক ও গাধার স্বর শুনলে পড়ার দো‘আ


২২৮- “যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন তোমরা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ চাইবে, কেননা সে একটি ফেরেশতা দেখেছে। আর যখন তোমরা কোনো গাধার স্বর শুনবে, তখন শয়তান থেকে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইবে; কেননা

১০৯. কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবে

১০৯. কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবে


২২৭- “আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও নাসারারা যখন তোমাদেরকে সালাম দিবে, তখন তোমরা বলবে,
«وَعَلَيْكُمْ»
(ওয়া ‘আলাইকুম।)
“আর তোমাদেরও উপর।”[1]

১০৮. সালামের প্রসার

১০৮. সালামের প্রসার


২২৪-(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তোমরা পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না।  আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দিবো না যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে? (তা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।”[1]
২২৫-(২) “তিনটি জিনিস যে ব্যক্তি একত্রিত করতে পারবে সে ঈমান একত্রিত করল,

১০৭. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের ফযীলত

১০৭. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের ফযীলত


২১৯-(১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, তার বিনিময়ে আল্লাহ্ তার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।”[1]
২২০-(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “তোমরা আমার কবরকে ঈদ তথা সম্মিলনস্থলে পরিণত করবে না, আর তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর; কেননা তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়, তোমরা যেখানেই থাক না কেন।”[2]
২২১-(৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,

১০৬. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে

১০৬. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে


২১৮- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন আনন্দায়ক কোনো বিষয় আসত তখন তিনি বলতেন,

«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ»

(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী বিনিমাতিহী তাতিম্মুস সা-লিহা-ত)।
“আল্লাহ্‌র জন্য সমস্ত প্রশংসা, যাঁর নেয়ামত দ্বারা সকল ভাল কিছু পরিপূর্ণ হয়।”
আর যখন তার কাছে অপছন্দনীয় বিষয় আসত, তখন তিনি বলতেন,

১০৫. সফর থেকে ফেরার যিক্‌র

১০৫. সফর থেকে ফেরার যিক্‌র


২১৭- প্রতিটি উঁচু স্থানে তিন বার তাকবীর দিবে, তারপর বলবে,
« لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، آيِبُونَ، تَائِبُونَ، عَابِدُونَ، لِرَبِّنا حَامِدُونَ، صَدَقَ اللَّهُ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزابَ وَحْدَهُ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর, আ-ইবূনা, তা-ইবূনা, ‘আ-বিদূনা, লি রাব্বিনা হা-মিদূন। সাদাক্বাল্লা-হু ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু)
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর

১০৪. সফরে বা অন্য অবস্থায় কোনো ঘরে নামলে পড়ার দো‘আ

১০৪. সফরে বা অন্য অবস্থায় কোনো ঘরে নামলে পড়ার দো‘আ


216- «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ».
 (আঊযু বি কালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব)
২১৬- “আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।”[1]
 
[1] মুসলিম, ৪/২০৮০, নং ২৭০৯। 

১০৩. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো‘আ

১০৩. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো‘আ


215- «سَمَّعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللَّهِ، وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا، رَبَّنَا صاحِبْنَا، وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا، عَائِذاً بِاللَّهِ مِنَ النَّارِ».
(সাম্মাআ সা-মিউন বিহামদিল্লা-হ, ওয়া হুসনি বালা-ইহী ‘আলাইনা, রাব্বানা সা-হিবনা, ওয়া আফদিল আলাইনা, ‘আ-ইযান বিল্লা-হি মিনান না-রী)  
২১৫- “আমরা যে আল্লাহ্‌র প্রশংসা করলাম, আর আমাদের উপর তাঁর উত্তম নেয়ামতের ঘোষণা দিলাম, তা একজন শ্রোতা আমার এ কথা শুনে অন্যের কাছে পৌঁছে দিক। হে আমাদের রব!

১০২. সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ

১০২. সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ


২১৪- ‘জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “আমরা যখন উঁচুতে আরোহণ করতাম তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলতাম, আর যখন নীচের দিকে নামতাম তখন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলতাম।”[1]

১০১. মুসাফিরের জন্য মুক্বীম বা অবস্থানকারীর দো‘আ

১০১. মুসাফিরের জন্য মুক্বীম বা অবস্থানকারীর দো‘আ


212-(1) أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ، وَأَمَانَتَكَ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ».
(আস্তাউদিউল্লা-হা দ্বীনাকা ওয়া আমা-নাতাকা ওয়া খাওয়া-তীমা আমালিকা)।
২১২-(১) “আমি আপনার দ্বীন, আপনার আমানত (পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদ) এবং আপনার সর্বশেষ আমলকে আল্লাহ্‌র হেফাযতে রাখছি।”[1]

১০০. মুক্বীম বা অবস্থানকারীদের জন্য মুসাফিরের দো‘আ

১০০. মুক্বীম বা অবস্থানকারীদের জন্য মুসাফিরের দো‘আ


211- «أَسْتَوْدِعُكُمُ اللَّهَ الَّذِي لاَ تَضِيعُ وَدَائِعُهُ».
 (আস্তাউদিউ কুমুল্লা-হাল্লাযী লা তাদ্বীউ ওয়াদা-ইউহু)।
২১১- “আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্‌র হেফাযতে রেখে যাচ্ছি, যাঁর কাছে রাখা আমানতসমূহ কখনও বিনষ্ট হয় না।”[1]

৯৯. বাহন হোঁচট খেলে পড়ার দো‘আ

৯৯. বাহন হোঁচট খেলে পড়ার দো‘আ


210- «بِسْمِ اللَّهِ».
 (বিসমিল্লা-হ)
২১০- “আল্লাহ্‌র নামে।”[1]
 
[1] আবূ দাউদ, ৪/২৯৬, নং ৪৯৮২।

৯৮.বাজারে প্রবেশের দো‘আ

৯৮.বাজারে প্রবেশের দো‘আ


209- «لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاِ يَمُوتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ».
 (লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকালাহু লাহুল-মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহঈ ওয়াইয়ুমীতু ওয়াহুয়া হায়্যুন লা ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাইরু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
২০৯- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনিই জীবন দান করেন এবং

৯৭. গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো‘আ

৯৭. গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো‘আ


208- «اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الشَّياطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَخَيْرَ مَا فِيهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ أَهْلِهَا، وَشَرِّ مَا فِيهَا».
 (আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাবঈ ওয়ামা আযলালনা, ওয়ারব্বাল আরাদ্বীনাস সাবঈ ওয়ামা আক্বলালনা, ওয়া রব্বাশ শাইয়া-তী-নি ওয়ামা আদ্বলালনা, ওয়া রব্বাররিয়া-হি ওয়ামা যারাইনা, আস’আলুকা খাইরা হা-যিহিল কারইয়াতি ওয়া খাইরা আহলিহা ওয়া খাইরা মা ফীহা। ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি আহলিহা ওয়া শাররি মা ফীহা)।
২০৮- “হে আল্লাহ! সাত আসমান এবং তা যা কিছু ছায়া দিয়ে রেখেছে তার রব্ব! সাত যমীন এবং

৯৬. সফরের দো‘আ

৯৬. সফরের দো‘আ


207- اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ * وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ﴾ «اللَّهُمَّ إِنّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا البِرَّ وَالتَّقْوَى، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى، اللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ، وَالْخَليفَةُ فِي الْأَهْلِ، اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ، وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ، وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالْأَهْلِ»
 (আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার আল্লা-হু আকবার। সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীনা। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস’আলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল-বিররা ওয়াত্তাকওয়া, ওয়ামিনাল ‘আমালি মা তারদ্বা। আল্লা-হুম্মা হাউইন আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াতউই আন্না বুদাহু। আল্লা-হুম্মা আনতাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল-খালীফাতু ফিল আহ্‌লি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ওয়াআসা-ইস্ সাফারি ওয়া কা’আবাতিল মানযারি ওয়া সূ-ইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহল)।
২০৭- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড়। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি

৯৫. বাহনে আরোহণের দো‘আ

৯৫. বাহনে আরোহণের দো‘আ


«بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ للَّهِ ﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ، وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ﴾، «الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ، سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ  إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي؛ فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ».
(বিস্‌মিল্লা-হি, আলহাম্‌দু লিল্লা-হি, সুব্‌হা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আলহামদুলিল্লা-হ, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফির লী। ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা)।
২০৬- “আল্লাহ্‌র নামে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি একে আমাদের জন্য বশীভূত করে দিয়েছেন, অন্যথায়

৯৪. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ

৯৪. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ


205- «اللَّهُمَّ لاَ طَيْرَ إِلاَّ طَيْرُكَ، وَلاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».

 (আল্লা-হুম্মা লা ত্বাইরা ইল্লা ত্বাইরুকা ওয়ালা খাইরা ইল্লা খাইরুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা)।
২০৫- “হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে অশুভ মঞ্জুর না হলে অশুভ বলে কিছু নেই। আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[1]

৯৩. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন’, তার জন্য দো‘আ

৯৩. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন’, তার জন্য দো‘আ


204- «وَفِيكَ بَارَكَ اللَّهُ».

 (ওয়াফীকা বা-রাকাল্লা-হ)
২০৪- “আর আপনার মধ্যেও আল্লাহ বরকত দিন।”[1]

৯২. শির্কের ভয়ে দো‘আ

৯২. শির্কের ভয়ে দো‘আ


اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আলামু)।
“হে আল্লাহ! আমি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে শির্ক করা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই এবং অজ্ঞতাসারে (শির্ক) হয়ে গেলে তার জন্য ক্ষমা চাই।”[1]

৯১. কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো‘আ

৯১. কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো‘আ


202- «بارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ، إِنَّمَا جَزَاءُ السَّلَفِ الْحَمْدُ وَالأَدَاءُ».

 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা, ইন্নামা জাযা-উস সালাফে আল-হামদু ওয়াল আদা-উ)
২০২- “আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। ঋণের প্রতিদান তো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও (ঠিকভাবে) আদায়।”[1]

৯০. আপনাকে কেউ তার সম্পদ দান করার জন্য পেশ করলে তার জন্য

৯০. আপনাকে কেউ তার সম্পদ দান করার জন্য পেশ করলে তার জন্য দো‘আ


201- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ».

 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা)।
২০১- “আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন।”[1]

৮৯. যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো‘আ

৮৯. যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো‘আ


200- «أَحَبَّكَ الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ».

(আহাব্বাকাল্লাযী আহ্বাবতানী লাহু)।
২০০- “যাঁর জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন।”[1]

৮৮. আল্লাহ যা দ্বারা দাজ্জাল থেকে হেফাযত করবেন

৮৮. আল্লাহ যা দ্বারা দাজ্জাল থেকে হেফাযত করবেন


১৯৯- “যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, তাকে দাজ্জাল থেকে রক্ষা করা হবে।”[1]
অনুরূপভাবে প্রতি নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদের পর তার (দাজ্জালের) বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।”[2]

৮৭. কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আ

৮৭. কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আ


198- «جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً».
 (জাযা-কাল্লা-হু খাইরান)।
১৯৮- “আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।”[1]
 
[1] তিরমিযী, হাদিস নং ২০৩৫। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৬২৪৪; সহীহুত তিরমিযী, ২/২০০।
 
 

৮৬. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’, তার জন্য দো‘আ

৮৬. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’, তার জন্য দো‘আ


197- «وَلَكَ».
 (ওয়া লাকা)
১৯৭- “আর আপনাকেও।”[1]
 
[1] আহমাদ ৫/৮২, নং ২০৭৭৮; আন-নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, পৃ. ২১৮, নং ৪২১। তাহকীক, ড. ফারূক হাম্মাদাহ।

৮৫. বৈঠকের কাফ্‌ফারা (ক্ষতিপূরণ)

৮৫. বৈঠকের কাফ্‌ফারা (ক্ষতিপূরণ)


196- «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ».
 (সুব্‌হা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
১৯৬- “হে আল্লাহ! আমি আপনার প্রশংসা সহকারে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া হক্ব কোনো ইলাহ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং

৮৪. মজলিসে যা বলতে হয়

৮৪. মজলিসে যা বলতে হয়


“ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, গণনা করে দেখা যেত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৈঠক থেকে উঠে যাবার পূর্বে শতবার এই দো‘আ পড়তেনঃ

৮৩. বিপন্ন লোক দেখলে পড়ার দো‘আ

৮৩. বিপন্ন লোক দেখলে পড়ার দো‘আ


194- «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ، وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً».
 (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আ-ফানী মিম্মাবতালা-কা বিহী, ওয়া ফাদ্দালানী আলা কাসীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফদ্বীলা)।
১৯৪- “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আপনাকে যে পরীক্ষায় ফেলেছেন তা থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং

৮২. ক্রোধ দমনের দো‘আ

৮২. ক্রোধ দমনের দো‘আ


193- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ».
(আঊযু বিল্লাহি মিনাশ্-শাইত্বা-নির রাজীম)।
১৯৩- “আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় চাই বিতাড়িত শয়তান থেকে।”[1]
 
[1] বুখারী ৭/৯৯, নং ৩২৮২; মুসলিম ৪/২০১৫, নং ২৬১০।

৮১. স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো‘আ

৮১. স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো‘আ


192- «بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا».
(বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রযাকতানা)।
১৯২- “আল্লাহ্‌র নামে। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং

৮০. বিবাহিত ব্যক্তির দো‘আ এবং বাহন ক্রয়ের পর দো‘আ

৮০. বিবাহিত ব্যক্তির দো‘আ এবং বাহন ক্রয়ের পর দো‘আ


১৯১- “যখন তোমাদের কেউ কোনো মেয়েকে বিয়ে করে, অথবা কোনো খাদেম গ্রহণ করে, তখন যেন সে বলে,
191-«اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَإِذَا اشْتَرَى بَعِيراً فَلْيَأْخُذْ بِذِرْوَةِ سَنَامِهِ وَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ».
 (আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আঊযু বিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি)
“হে আল্লাহ, আমি এর যত কল্যাণ রয়েছে এবং

৭৯. নব বিবাহিতের জন্য দো‘আ

৭৯. নব বিবাহিতের জন্য দো‘আ


«بَارَكَ اللَّهُ لَكَ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ، وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ».
 (বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়াবা-রাকা আলাইকা ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফী খাইরিন্)।
১৯০- “আল্লাহ আপনার জন্য বরকতদান করুন, আপনার উপর বরকত নাযিল করুন এবং

৭৮. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে

৭৮. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে


189-(2) «يَهْدِيكُمُ اللَّهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ».
 (ইয়াহদীকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম)।
১৮৯- “আল্লাহ আপনাদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করুন এবং আপনাদের অবস্থা উন্নত করুন।”[1]
 
[1] তিরমিযী ৫/৮২, নং ২৭৪১; আহমাদ ৪/৪০০, নং ১৯৫৮৬; আবু দাউদ, ৪/৩০৮, নং ৫০৪০। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/৩৫৪।

৭৭. হাঁচির দো‘আ

৭৭. হাঁচির দো‘আ


১৮৮-(১) তোমাদের কেউ হাঁচি দিলে বলবে,
 «الْحَمْدُ لِلَّهِ»
 (আলহামদু লিল্লা-হি)
“সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র” এবং তার মুসলিম ভাই বা সাথী যেন অবশ্যই বলে,
 « يَرْحَمُكَ اللَّهُ »
(ইয়ারহামুকাল্লা-হ)
“আল্লাহ আপনাকে রহমত করুন”। যখন তাকে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা হয়, তখন হাঁচিদাতা যেন তার উত্তরে বলে,

৭৬. ফলের কলি দেখলে পড়ার দো‘আ

৭৬. ফলের কলি দেখলে পড়ার দো‘আ


187- «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا، وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا».
 (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফী সামারিনা, ওয়াবা-রিক লানা ফী মাদ্বীনাতিনা, ওয়াবা-রিক লানা ফী সাইনা, ওয়াবা-রিক লানা ফী মুদ্দিনা)
১৮৭- “হে আল্লাহ, আপনি আমাদের ফল-ফলাদিতে বরকত দিন, আমাদের শহরে বরকত দিন,

৭৫. রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে

৭৫. রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে


186- «إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ».
 (ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন)
১৮৬- “নিশ্চয় আমি রোযাদার, নিশ্চয় আমি রোযাদার।”[1]
 
[1] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং ১১৫১।

৭৪. রোযাদারের নিকট যদি খাবার উপস্থিত হয়, আর সে রোযা না ভাঙ্গে তখন তার দো‘আ করা

৭৪. রোযাদারের নিকট যদি খাবার উপস্থিত হয়, আর সে রোযা না ভাঙ্গে তখন তার দো‘আ করা


১৮৫- “যদি কাউকে খাবারের দাওয়াত দেওয়া হয় সে যেন তাতে সাড়া দেয়; তারপর যদি সে রোযাদার হয়, তবে যেন সে তার (খাবার ওয়ালার) জন্য দো‘আ করে, আর যদি রোযা ভঙ্গকারী হয়, তবে

৭৩. কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ

৭৩. কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ


184- «أَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ، وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ، وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلاَئِكَةُ».
 (আফত্বারা ইন্দাকুমুস সা-ইমূন, ওয়া আকালা ত্বাআ-মাকুমুল আবরা-রু, ওয়াসাল্লাত আলাইকুমুল মালা-ইকাহ)
১৮৪- “আপনাদের কাছে রোযাদাররা ইফতার করুন, আপনাদের খাবার যেন সৎলোকেরা খায়, আর

৭২. দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করা

৭২. দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করা


183- «اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِي».
 (আল্লা-হুম্মা আত্বইম মান আত্বআমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী)।
১৮৩- “হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাদেরকে আহার করান এবং

৭১. আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো‘আ

৭১. আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো‘আ


182- «اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِيمَا رَزَقْتَهُم، وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ».
 (আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্তাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম)।
১৮২- “হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছেন তাতে তাদের জন্য বরকত দিন এবং তাদের গুনাহ মাফ করুন, আর

৭০. আহার শেষ করার পর দো‘আ

৭০. আহার শেষ করার পর দো‘আ


180-(1) «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقَنِيهِ، مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ».
 (আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আতআমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন)।
১৮০-(১) “সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য, যিনি আমাকে এ আহার করালেন এবং এ রিযিক দিলেন যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোনো উপায়, ছিল না কোনো শক্তি-সামর্থ্য।”[1]
181-(2) «الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْداً كَثِيراً طَيِّباً مُبَارَكاً فِيهِ، غَيْرَ [مَكْفِيٍّ وَلاَ ] مُوَدَّعٍ، وَلاَ مُسْتَغْنَىً عَنْهُ رَبَّنَا».
 (আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি, গাইরা মাকফিয়্যিন ওয়ালা মুয়াদ্দাইন, ওয়ালা মুসতাগনান আনহু রব্বানা)।
১৮১-(২) “আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা; এমন প্রশংসা যা অঢেল,

৬৯. খাওয়ার পূর্বে দো‘আ

৬৯. খাওয়ার পূর্বে দো‘আ


১৭৮-(১) “যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেনো বলে,

«بِسْمِ اللَّهِ»

(বিসমিল্লাহ)
“আল্লাহর নামে।” আর শুরুতে বলতে ভুলে গেলে যেন বলে,

«بسمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ»

(বিস্‌মিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী)
“এর শুরু ও শেষ আল্লাহ্‌র নামে।”[1]
১৭৯-(২) “যাকে আল্লাহ কোনো খাবার খাওয়ায় সে যেন বলে,

৬৮. ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ

৬৮. ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ


176-(1) «ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».

 (যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু)।
১৭৬-(১) “পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ্‌ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে।”[1]

177-(2) «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরহ্‌মাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শাই’ইন আন তাগফিরা লী)।
১৭৭-(২) “হে আল্লাহ!

৬৭. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ

৬৭. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ


175- اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ.

 (আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্‌সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ)
১৭৫- “আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ!

৬৬. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো‘আ

৬৬. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো‘আ


174- اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ.

 (আল্লা-হুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লা-হুম্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি)
১৭৪- “হে আল্লাহ!

৬৫. বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর

৬৫. বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর


173- مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللَّهِ وَرَحْمَتِهِ.

(মুতিরনা বিফাদলিল্লা-হি ওয়া রহমাতি-হি)।
১৭৩- “আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।”[1]
ফুটনোটঃ[1] বুখারী ১/২০৫, নং ৮৪৬; মুসলিম ১/৮৩, নং ৭১।

৬৪. বৃষ্টি দেখলে দো‘আ

৬৪. বৃষ্টি দেখলে দো‘আ


172- اللَّهُمَّ صَيِّباً نَافِعاً.

 (আল্লা-হুম্মা সায়্যিবান নাফিআন)।
১৭২- “হে আল্লাহ! মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন।”[1]
ফুটনোটঃ[1] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/৫১৮, নং ১০৩২।
 
 

৬৩. বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ

৬৩. বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ


169-(1) «اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثاً مُغِيثاً مَرِيئاً مَرِيعاً، نَافِعاً غَيْرَ ضَارٍّ، عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ».

 (আল্লা-হুম্মা আসক্বিনা গাইসান মুগীসান মারীয়ান মারীআন না-ফিআন গাইরা দ্বাররিন আ-জিলান গাইরা আ-জিলিন)।
১৬৯-(১) “হে আল্লাহ! আমাদেরকে এমন বৃষ্টির পানি দান করুন যা সাহায্যকারী, সুপেয়, উর্বরকারী; কল্যাণকর, ক্ষতিকর নয়; শীঘ্রই, বিলম্বে নয়।”[1]

170-(2) «اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا».

 (আল্লা-হুম্মা আগিসনা, আল্লা-হুম্মা আগিসনা, আল্লা-হুম্মা আগিসনা)।
১৭০-(২) “হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ!

৬২. মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ

৬২. মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ


168- «سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلاَئِكةُ مِنْ خِيفَتِهِ».

(সুবহা-নাল্লাযী ইউসাব্বিহুর –রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল-মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহি)।
১৬৮- “পবিত্র-মহান সেই সত্তা, রা‘দ ফেরেশ্তা যাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে, আর ফেরেশ্তাগণও তা-ই করে যাঁর ভয়ে।”[1]

৬১. বায়ূ প্রবাহিত হলে পড়ার দো‘আ

৬১. বায়ূ প্রবাহিত হলে পড়ার দো‘আ


166-(1) «اللَّهُمَّ  إِنِّي أَسْــــــأَلُكَ خَيْرَهَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا».

 (আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওা আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহা)।
১৬৬-(১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণ চাই। আর আমি আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।”[1]

৬০. কবর যিয়ারতের দো‘আ

৬০. কবর যিয়ারতের দো‘আ


165- «السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، [وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتأْخِرِينَ] أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ».

 (আস্‌সালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়ারি মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়াইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, ওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুসতাখিরীনা, নাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল আ-ফিয়াহ)।
১৬৫- “হে গৃহসমূহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আর নিশ্চয় আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হবো। [আল্লাহ আমাদের পুর্ববর্তীদের এবং

৫৯. মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ

৫৯. মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ


164- «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ، اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ».

 (আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, আল্লা-হুম্মা সাববিতহু)।
১৬৪- “হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন,

৫৮. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ

৫৮. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ


163- «بِسْمِ اللَّهِ وَعَلَى سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ».

 (বিসমিল্লা-হি ওয়া আলা সুন্নাতি রাসুলিল্লা-হি)।
১৬৩- “আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিয়মে।”[1]
ফুটনোটঃ[1] আবূ দাউদ ৩/৩১৪, নং ৩২১৫ সহীহ সনদে; অনুরূপভাবে আহমাদ, নং ৫২৩৪; আর ৪৮১২ এর শব্দ হচ্ছে, ‘বিসমিল্লাহ ওয়া আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ অর্থাৎ

৫৭. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ

৫৭. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ


162- إِنَّ للَّهِ مَا أَخَذَ، وَلَهُ مَا أَعْطَى، وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمَّى... فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ.

 (ইন্না লিল্লা-হি মা আখাযা, ওয়ালাহু মা আতা, ওয়া কুল্লু শাই’ইন ‘ইনদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব)
১৬২- “নিশ্চয় যা নিয়ে গেছেন আল্লাহ্‌ তা তাঁরই, আর যা কিছু প্রদান করেছেন তাও তাঁর। তাঁর কাছে সব কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই সবর করা এবং সওয়াবের আশা করা উচিৎ।”[1]
আর নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়াও ভালো:

৫৬. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ

৫৬. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ


160-(1) «اللَّهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ».

(আল্লা-হুম্মা আয়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি)
১৬০-(১) “হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।”[1]
আর যদি নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়া হয় তবে তাও উত্তম:

৫৫. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ

৫৫. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ


156-(1) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]».

(আল্লা-হুম্মাগফির লাহু, ওয়ারহামহু, ওয়া আ-ফিহি, ওয়াফু আনহু, ওয়া আকরিম নুযুলাহু, ওয়াওয়াসসিমুদখালাহু, ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াস্‌সালজি ওয়ালবারাদি, ওয়ানাক্বক্বিহি মিনাল খাতা-ইয়া কামা নাক্কাইতাস সাওবাল আবইয়াদা মিনাদদানাসি, ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহি, ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহি, ওয়া যাওজান খাইরাম মিন যাওজিহি, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা, ওয়া আয়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি [ওয়া আযাবিন্না-র])।
১৫৬-(১) “হে আল্লাহ!

৫৪. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ

৫৪. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ


155- «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهِ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ، وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ
يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ، وَافْسَحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ، وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ».

 (আল্লা-হুম্মাগফির লি ফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফাদারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউইর লাহু ফী-হি)।
১৫৫- “হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব!

৫৩. কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো‘আ

৫৩. কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো‘আ


154- «إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرَاً مِنْهَا».

 (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লা-হুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লী খাইরাম মিনহা)।
১৫৪- “আমরা তো আল্লাহ্‌রই। আর নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং

৫২. মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)

৫২. মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)


১৫৩- “যার শেষ কথা হবে-

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ.

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ)
‘আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই’— সে জান্নাতে প্রবেশ

৫১. জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দো‘আ

৫১. জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দো‘আ


150-(1) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ الْأَعْلَى».

(আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়া আলহিক্বনী বির রফীক্বিল আলা)।
১৫০-(১) “হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন এবং আমাকে সর্বোচ্চ বন্ধুর সঙ্গ পাইয়ে দিন।”[1]
১৫১-(২) “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর সময় তাঁর দু’হাত পানিতে প্রবেশ করিয়ে তা দিয়ে তাঁর চেহারা মুছছিলেন এবং বলছিলেন,

৫০. রোগী দেখতে যাওয়ার ফযীলত

৫০. রোগী দেখতে যাওয়ার ফযীলত
১৪৯- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে না বসা পর্যন্ত যেন জান্নাতে ফল আহরণে বিচরণ করতে থাকে। অতঃপর যখন সে (রোগীর পাশে) বসে, (আল্লাহ্‌র) রহমত তাকে ঢেকে ফেলে। সময়টা যদি সকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণের দো‘আ করতে থাকে বিকাল হওয়া পর্যন্ত। আর যতি সময়টা বিকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দো‘আ করতে থাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত।”[1]
[1] তিরমিযী, নং ৯৬৯; ইবন মাজাহ্‌, নং ১৪৪২; আহমাদ, নং ৯৭৫। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/২৪৪; সহীহুত তিরমিযী, ১/২৮৬। তাছাড়া শাইখ আহমাদ শাকেরও হাদীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।

৪৯. রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দো‘আ

৪৯. রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দো‘আ
147-(1) «لاَ بأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ».
 (লা বা’সা তুহুরুন ইন শা-আল্লা-হ)।
১৪৭-(১) “কোনো ক্ষতি নেই, আল্লাহ যদি চান তো (রোগটি গুনাহ থেকে) পবিত্রকারী হবে।”[1]
148-(2) «أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفيَكَ» (সাতবার)
 (আসআলুল্লা-হাল ‘আযীম, রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, আঁই ইয়াশফিয়াকা)। (সাতবার)
১৪৮-(২) “আমি মহান আল্লাহ্‌র কাছে চাচ্ছি, যিনি মহান আরশের রব, তিনি যেন আপনাকে রোগমুক্তি প্রদান করেন।”[2] (সাতবার)
[1] বুখারী (ফাতহুল বারীসহ) ১০/১১৮, নং ৩৬১৬। [2] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

৪৮. যা দ্বারা শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়

৪৮. যা দ্বারা শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়
১৪৬- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা-এর জন্য এই বলে (আল্লাহ্‌র) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন-
146- «أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ».
 (উ‘ইযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁয়া হা-ম্মাহ্‌, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌)।
“আমি তোমাদের দু’জনকে আল্লাহ্‌র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের আশ্রয়ে নিচ্ছি যাবতীয়

৪৭. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব

৪৭. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব
145- «بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ».
(বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফিল মাউহুবি লাক, ওয়া শাকারতাল ওয়া-হিবা, ওয়া বালাগা আশুদ্দাহু, ওয়া রুযিক্তা বিররাহু)।
১৪৫- “আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুন, সন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুন, সন্তানটি পরিপূর্ণ বয়সে পদার্পণ করুক এবং তার সদ্ব্যবহার প্রাপ্ত হোন।”[1]
অভিনন্দনের জবাবে বলবে

৪৬. যখন অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে, বা যা করতে চায় তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন পড়ার দো‘আ

৪৬. যখন অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে, বা যা করতে চায় তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন পড়ার দো‘আ
144- «قَدَرُ اللَّه وَمَا شَاءَ فَعَلَ».
 (কাদারুল্লা-হ, ওয়ামা শা-আ ফা‘আলা)
১৪৪- “এটি আল্লাহ্‌র ফয়সালা, আর তিনি যা ইচ্ছা করেছেন।”[1]
[1] হাদীসে এসেছে, “শক্তিশালী ঈমানদার আল্লাহর নিকট উত্তম ও প্রিয় দুর্বল ঈমানদারের চেয়ে। আর তাদের (ঈমানদারদের) প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তোমার যা কাজে লাগবে সেটা করার ব্যাপারে

৪৫. শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দো‘আ

৪৫. শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দো‘আ
১৪১-(১) ‘তার থেকে আল্লাহ্‌র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে’[1]   (অর্থাৎ ‘আ‘ঊযু বিল্লাহ’ পড়বে)।
১৪২-(২) ‘আযান দিবে।’[2]
১৪৩-(৩) ‘যিক্‌র করবে এবং কুরআন পড়বে।’[3]
[1] আবূ দাউদ ১/২০৩, ইবন মাজাহ্‌ ১/২৬৫, নং ৮০৭। আর পূর্বে ৩১ নং হাদীসে এর তাখরীজ চলে গেছে। আরও দেখুন, সূরা আল-মুমিনূন এর ৯৭-৯৮। [2] মুসলিম ১/২৯১; নং ৩৮৯; বুখারী, ১/১৫১, নং ৬০৮। [3] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

৪৪. পাপ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে

৪৪. পাপ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে
১৪০- “যদি কোনো বান্দা কোনো পাপ কাজ করে ফেলে, অতঃপর সে উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে এবং দাঁড়িয়ে যায় ও দু রাক‘আত সালাত আদায় করে, তারপর আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।”[1]
[1] আবূ দাউদ ২/৮৬, ১৫২১; তিরমিযী ২/২৫৭, নং ৪০৬; আর

৪৩. কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো‘আ

৪৩. কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
139- «اللَّهُمَّ لاَ سَهْلَ إِلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وَأَنْتَ تَجْعَلُ الْحَزْنَ إِذَا شِئْتَ سَهْلاً».
 (আল্লা-হুম্মা লা সাহ্‌লা ইল্লা মা জা‘আলতাহু সাহ্‌লান, ওয়া আনতা তাজ্‘আলুল হাযনা ইযা শি’তা সাহ্‌লান)।
১৩৯- “হে আল্লাহ! আপনি যা সহজ করেছেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। আর যখন আপনি ইচ্ছা করেন তখন কঠিনকেও সহজ করে দেন।”[1]
[1] সহীহ ইবন হিব্বান ২৪২৭, (মাওয়ারিদ); ইবনুস সুন্নী, নং ৩৫১। আর

৪২. সালাতে ও কেরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দো‘আ

৪২. সালাতে ও কেরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দো‘আ
138- «أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيطَانِ الرَّجِيمِ».
১৩৮-(আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম)
“বিতাড়িত শয়তান থেকে আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় নিচ্ছি।”
অতঃপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে[1]।
[1] মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩। সেখানে এসেছে,

৪১. ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ

৪১. ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ
(1) «اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ».
 (আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক)।
১৩৬-(১) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালাল দ্বারা পরিতুষ্ট করে আপনার হারাম থেকে ফিরিয়ে রাখুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্য সকলের থেকে আমাকে

৪০. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ

৪০. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
১৩৩-(১) আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে (‘আঊযু বিল্লা-হ’ বলবে)।[1]
(২) যে সন্দেহে নিপতিত হয়েছে তা দূর করবে।[2]
১৩৪- (৩) বলবে,
 «آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ».
(আ-মানতু বিল্লা-হি ওয়া রুসুলিহি)
“আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান আনলাম।”[3]
১৩৫-(৪) আল্লাহ্‌ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী পড়বে,

৩৯. কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে

৩৯. কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে
132- «اللَّهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ».
 (আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা)।
১৩২- “হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য

৩৮. শত্রুর উপর বদ-দো‘আ

৩৮. শত্রুর উপর বদ-দো‘আ

131- «اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيعَ الْحِسَابِ، اهْزِمِ الأَحْزَابَ، اللَّهُمَّ اهزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ».

 (আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম)।

১৩১- “হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।”[1]

[1] মুসলিম, ৩/১৩৬২, নং ১৭৪২।

৩৭. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ

৩৭. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ

129-(1) «اللَّهُمَّ ربَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، كُنْ لِي جَاراً مِنْ فُلاَنِ بْنِ فُلاَنٍ، وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلاَئِقِكَ، أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ».

 (আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম। কুন লী জারান মিন্ ফুলানিবনি ফুলানিন, ওয়া আহযাবিহী মিন খালায়েক্বিকা, আঁই ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা, আয্যা জা-রুকা, ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লা আনতা)।

১২৯-(১) “হে আল্লাহ, সাত আসমানের রব্ব! মহান আরশের রব্ব! আপনার সৃষ্টিকুলের মধ্য থেকে অমুকের পুত্র অমুকের বিপক্ষে এবং তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আপনি আমার আশ্রয়দানকারী হোন; যাতে তাদের কেউ আমার উপর দ্রুত আক্রমণ বা সীমালঙ্ঘন করতে না পারে। আপনার আশ্রিত তো শক্তিশালী, আপনার প্রশংসা তো অতি মহান। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[1]

130-(2) «اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعاً، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ، مِنْ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَاراً مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ».(৩ বার)

 (আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামী‘আন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লা-হুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা)। (৩ বার)

১৩০-(২) “আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, যিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ত, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান, আপনার আশ্রিত প্রবল শক্তিশালী, আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[2] (৩ বার)

[1] বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ, নং ৭১২। আর শাইখ আলবানী সহীহ আল-আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে, নং ৫৪৫, একে সহীহ বলেছেন। [2] বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ, নং ৭০৮। আর শাইখ আলবানী সহীহ আল-আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে, নং ৫৪৬, একে সহীহ বলেছেন।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ