Tuesday, January 2, 2018

হায়েজ বা ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য যে সকল কাজ করা হারাম!!

হায়েজ বা ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য

যে সকল কাজ করা হারাম
গ্রন্থনায়: আবদুল্লাহ আল কাফী
সম্পাদনয়: আব্দুল্লাহিল হাদী
(ক) ঋতুবতী মহিলার সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া হারাম:
এ কথার দলীল, আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:

সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের প্রতি কতিপয় মূল্যবান উপদেশঃ

সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে মা-বোনদের প্রতি কতিপয় মূল্যবান উপদেশঃ সুখী দাম্পত্য জীবন গঠনে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ভূমিকা থাকে। আর এটা সব সময় এক রকম থাকে না। কখনো কমে কখনো বাড়ে। সেটা আল্লাহর রহমতের পর নির্ভর করে তাদের উভয়ের চেষ্টার উপর। কিন্তু স্ত্রী এ ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আরবী সাহিত্য জগতের সাহিত্য ও বাগ্মিতায় একজন প্রসিদ্ধ নারী উমামা বিনতে হারেস (আউফ ইবনে মুহাল্লাম আশ শায়বানীর স্ত্রী) তার মেয়েকে বিয়ের পর অতি গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় উপদেশ দিয়ে ছিলেন যা আরবদের মাঝে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সে উপদেশগুলোর অনুবাদ তুলে ধরা হল। সেই সাথে আধুনিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ দাঈ এবং আলেম স্বামীর ভালবাসা অর্জনের জন্য স্ত্রীর প্রতি বেশ কিছু মূল্যবান উপদেশ দিয়েছেন সেগুলোও উপস্থাপন করা হল। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে যেন সব সময় কল্যাণের উপর  অটুট  রাখেন। আমীন।
এক আরব মা তার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর  উপদেশ দিচ্ছেন: 

শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?

শরঈ পর্দা বলতে কী বুঝায়?


ইতোপূর্বে আমি বিভিন্ন লেখায় পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি। আলহামদুলিল্লাহ পর্দাকে অত্যাবশ্যক জ্ঞানে আমাদের কন্যা-জায়া-জননীরা পর্দা করেনও বটে। এখন ভাবনার বিষয় হলো, অধিকাংশ মা-বোন যে পর্দা রক্ষা করেন কিংবা যে পোশাকে নিজেকে পর্দাশীল ভাবেন তা কি শরীয়তের কাম্য পদ্ধতিতেই হয়? তারা যে পর্দা করেন তার কতটা শরীয়তের রূপরেখা মেনে করা হয়? বক্ষমাণ নিবন্ধে আমরা সে বিষয়টিই আলোচনার বিনীত প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় মুসলিম বোন,

যে ব্যক্তি কোন গায়রে মোহরেম নারীকে চুম্বন করেছে সে কি ব্যভিচারী হিসেবে গণ্য হবে?

যে ব্যক্তি কোন গায়রে মোহরেম নারীকে চুম্বন করেছে সে কি ব্যভিচারী হিসেবে গণ্য হবে?
প্রশ্ন: এক নারী আমাকে চুম্বন করেছে। তাতে সাড়া দিয়ে আমিও তাকে চুম্বন করেছি এবং আমরা একে অপরকে স্পর্শ ও চুম্বন করতে থাকলাম। অনতিবিলম্বে সে আমাকে চূড়ান্ত যৌন কর্মের আবেদন জানাল। কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে ব্যভিচারের শাস্তির ভয়ে তা হতে বিরত থেকেছি। আমি যা করেছি সে কর্মের কারণে আমি কি যিনাকারী (ব্যভিচারী) গণ্য হব? আমি শুধু আঙ্গুল প্রবেশ করিয়েছিলাম।
উত্তর:

মেয়েদের খাতনা করা কি শরিয়ত সম্মত ?

মেয়েদের খাতনা

আস’সালামু’আলাইকুম, স্ত্রী খাতনা ৫০০০
বছরের পুরানো জঘন্য প্রথা সম্পর্কে
ইসলামের অবস্থান? আশা করি, ভালই আছেন।
আমি একটা বিষয় নিয়ে খুবি বিপদগ্রস্ত
(Female Circumcision) এবং চিন্তিত। আশা
করি, আমাকে কুরআন-হাদীসের আলোকে
এবং বিবেক বুদ্ধির আলোকে সঠিক
জিনিষটা জানাবেন। কোন সুস্থ মানুষ এই
প্রথা মানতে পারেনা। নবীজির

মুসলিম নারীর পর্দা ও চেহারা ঢাকার অপরিহার্যতা-১

মুসলিম নারীর পর্দা ও চেহারা ঢাকার অপরিহার্যতা মূল : মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন অনুবাদ : আব্দুর রহীম বিন আবুল কাশেম* [২য় কিস্তি] হাদীছ থেকে দলীল : প্রথম দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ﺇِﺫَﺍ ﺧَﻄَﺐَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢُ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻓَﻼَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﻥْ ﻳَّﻨْﻈُﺮَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﻨْﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻟِﺨِﻄْﺒَﺘِﻪِ ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ – ‘যখন তোমাদের কেউ কোন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে, তখন তাকে দেখাতে কোন গুনাহ হবে না। তবে কেবল বিয়ে করার উদ্দেশ্যেই দেখতে হবে, যদিও মেয়ে জানতে না পারে’।[1] অত্র হাদীছে দলীল গ্রহণের দিক হ’ল নবী করীম (ছাঃ) বিশেষভাবে বিয়ের প্রস্তাব দানকারীর জন্য প্রস্তাবিত মেয়ের প্রতি তাকানোকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করেননি। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বিয়ের প্রস্তাবকারী ব্যতীত অন্য কেউ কোন অপরিচিতার দিকে তাকালে সর্বাবস্থায় পাপী হবে। অনুরূপভাবে

মুসলিম নারীর পর্দা ও চেহারা ঢাকার অপরিহার্যতা -২

মুসলিম নারীর পর্দা ও চেহারা ঢাকার অপরিহার্যতা মূল : মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছায়মীন অনুবাদ : আব্দুর রহীম বিন আবুল কাসেম* [শেষ কিস্তি] ১১ নং দলীল : বিশুদ্ধ দৃষ্টিকোণ ও প্রচলিত যুক্তি, এই পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত যাকে নিয়ে এসেছে। আর সেটা হ’ল কল্যাণময় কর্মসমূহ ও তার মাধ্যমগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তার প্রতি উৎসাহিত করা। অপরদিকে ফিৎনা-ফাসাদ সৃষ্টি ও তার মাধ্যমগুলোকে অস্বীকার করা এবং পরিহার করা। সুতরাং ফিৎনার বিপরীতে যা কল্যাণকর ও প্রাধান্যপ্রাপ্ত তা প্রতিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তাই ওয়াজিব বা মুস্তাহাব। আর কল্যাণের বিপরীতে যা অধিক অনিষ্টকর তা নিষিদ্ধ ও বাস্তবায়ন করা হারাম। যখন আমরা নারীর পর্দাহীনতা ও পরপুরুষদের সামনে চেহারা খুলে রাখার বিষয়টি চিন্তা করব, তাতে আমরা ব্যাপক বিপর্যয় দেখতে পাবো। যদিও তাতে কিছু কল্যাণ ভাবা হয়, তবে বিপর্যয়ের তুলনায় তা অতি সামান্য। বিপর্যয়গুলো হ’ল :

মুসলিম নারীর অবশ্যই পালনীয় কতিপয় আমল

মুসলিম নারীর অবশ্যই পালনীয় কতিপয় আমল

 হে মুমিনা! উত্তম চরিত্র হলো আপনার জীবনের ভিত্তি স্বরূপ। এর উপরই নির্ভর করছে আপনার সুখ ও সমৃদ্ধি। যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে উত্তম চরিত্রে ভূষিত করেন, তাহলে সমস্ত রকম কল্যাণ পেয়ে যাবেন। আর যদি উহা হতে বঞ্চিতা হোন, তাহলে  যেন সমস্ত  কল্যাণ হতে বঞ্চিত হয়ে গেলেন।  কোন এক সাহাবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলেন উত্তম আমল কি? তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী?

প্রশ্ন ডান হাতের সাহায্য নিয়ে বাম হাতে পান করা কি সুন্নত পরিপন্থী? প্রশ্ন: আমার পরিচিত এক ভাইয়ের বাড়িতে প্রতি শুক্রবার আকিদার দরস হয়,তার দাওয়াতে সেখানে আমি অংশ গ্রহণ করি। খাবারের সময় আমাদের একজন বাম হাতে গ্লাস নিয়ে ডান হাতের তালুর উল্টো পিঠে রেখে পানি পান করছিল,
উপস্থিত একজন তাকে বাঁধা দিয়ে বলল:“না, এভাবে পানি পান করবেন না। ডান হাতেই পানি পান করুন, গ্লাসে খাবার লাগলে লাগুক”। এরকম ঘটনা আমার জীবনে এটাই প্রথম। আমার জিজ্ঞাসা আমরা যে বাম হাতে গ্লাস বা পানির পাত্র তুলে ডান হাতের সাহায্যে পান করি, তা কি সুন্নতের খিলাফ,অথবা বাম হাতে খাওয়া শয়তানী কর্মের অন্তর্ভুক্ত?জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দিন।
উত্তর

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (১ম পর্ব)

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (১ম পর্ব)

(শরী‘আত ও বাস্তবতার নিরীখে একটি সুদৃঢ় পর্যালোচনা)

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করি; তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আল্লাহ যাকে পথ প্রদর্শন করেন, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেউ নেই; আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তাকে পথ প্রদর্শনকারীও কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন হক ইলাহ নেই, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِۦ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٠٢﴾ [ سورة آل عمران: 102 ]
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় কর এবং তোমরা আত্মসমর্পনকারী না হয়ে কোন অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করো না।” – ( সূরা আলে ইমরান: ১০২ );

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (২য় পর্ব)

মুসলিম নারী এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য (২য় পর্ব)

(শরী‘আত ও বাস্তবতার নিরীখে একটি সুদৃঢ় পর্যালোচনা)
তৃতীয় ক্ষেত্র: সমাজ ও জাতি কেন্দ্রিক একজন নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য
নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের পরিধি সমাজ ও পুরো জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর সে কর্তব্য হচ্ছে, তাদের মাঝে আল্লাহর দিকে আহ্বান, সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজে নিষেধ, কল্যাণ কামনা ও সংস্কার করার মত কাজের আঞ্জাম দেয়া।
আর এখানে আমি সাধারণভাবে এই দাওয়াতের গুরুত্ব, তার আবশ্যকতা ও ফলাফল, অতঃপর বিশেষকরে নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট শরী‘আতের কিছু দলীল-প্রমাণাদি উল্লেখ করছি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ