Thursday, November 16, 2017

এক নামায পড়ার পর অপর নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত

এক নামায পড়ার পর অপর নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ফযীলত


আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নামাযের অবস্থাতেই থাকে যতক্ষণ নামায তাকে (অন্যান্য কর্ম হতে) আটকে রাখে। তাকে নামায ব্যতীত অন্য কিছু তার পরিবারের নিকট ফিরে যেতে বাধা দেয় না।” (বুখারী ৬৫৯নং, মুসলিম ৬৪৯নং)
বুখারী শরীফের এক বর্ণনায় এরুপ এসেছে, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি নামাযেই থাকে যতক্ষণ নামায তাকে আটকে রাখে। (আগামী নামায পড়ার জন্য অপেক্ষা করে মসজিদেই বসে থাকে।) আর সেই সময় ফিরিশ্‌তাবর্গ বলতে থাকেন,

ইমামের তকবীর পৌছানো

ইমামের তকবীর পৌছানো


ইমামের আওয়াজ ক্ষীণ হলে অথবা জামাআত বড় হলে ইমামের তকবীর সকল মুসল্লী পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে মুক্তাদীর উচ্চস্বরে তকবীর বলা বৈধ।
একদা মহানবী (সাঃ) অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বসে বসে নামায পড়েন। তাঁর আওয়াজ ছিল ক্ষীণ। হযরত আবূ বাক্‌র (রাঃ) তাঁর তকবীর শুনে তকবীর বলছিলেন এবং লোকেরা আবূ বাকরের তকবীর শুনে তকবীর বলছিল। (বুখারী ৭১২-৭১৩, মুসলিম, সহীহ)
মুক্তাদীদের মধ্যে যে মুবাল্লেগ নির্বাচিত হবে সে ইমামের তকবীর বলার পরই তকবীর বলবে। তাঁর আগে-আগে বা সাথে-সাথে বলবে না। ইমাম ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ বললে মুবাল্লেগ ‘রাব্বানা অলাকালহাম্‌দ’ বলবে।
প্রকাশ থাকে যে,

একই নামায দুইবার পড়া যায় কি?

একই নামায দুইবার পড়া যায় কি?


একই নামায দুইবার পড়া নিষিদ্ধ। মহানবী (সাঃ) বলেন, “একই নামাযকে একই দিনে দুইবার পড়ো না।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৭৯নং)
একদা তিনি এক সাহাবীকে ফজরের পরে নামায পড়তে দেখে বললেন, “এটি আবার কোন্‌ নামায? (ফজরের নামায কি দুইবার?)” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ১২৬৭, তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ১১৫৪, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ)
কিন্তু যদি কেউ কোন অসুবিধার কারণে বাসায় নামায পড়ে নিয়ে মসজিদে এসে দেখে যে, তখনও জামাআত চলছে, তাহলে জামাআতের ফযীলত পাওয়ার আশায়,

ইমাম ভুল করলে মুক্তাদীর কর্তব্য

ইমাম ভুল করলে মুক্তাদীর কর্তব্য


ইমাম কোন ভুল করলে মুক্তাদীর তা ধরিয়ে দেওয়া বা সংশোধন করে দেওয়া কর্তব্য। আর বড় মারাত্মক ভুলে (যেমন নামাযের কোন শর্ত বা রুক্‌ন ছাড়াতে) তাঁর অনুসরণ করা মোটেই উচিৎ নয়।
ইমাম ভুলে বিনা ওযূতে নামায পড়ালে এবং মুক্তাদীরাও তা জানতে না পারলে, অতঃপর নামায শেষ করার পর জানা গেলে মুক্তাদীদের নামায শুদ্ধ। অবশ্য ইমামকে সে নামায পুনরায় পড়তেই হবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/৩৩৯, লিকাউবাবিল মাফতূহ্‌, ইবনে উষাইমীন ৯৯পৃ:)
মহানবী (সাঃ) বলেন,

আয়াতের জবাবে মুক্তাদীর দুআ বলা

আয়াতের জবাবে মুক্তাদীর দুআ বলা


(নিঃশব্দে) কতিপয় আয়াতের জবাব দেওয়া এবং (যে কোনও নামাযে) রহ্‌মতের আয়াত পঠিত হলে সেই সময় আল্লাহর রহ্‌মত ভিক্ষা করা এবং আযাবের আয়াত পঠিত হলে সেই সময়ে আল্লাহর আযাব থেকে পানাহ চাওয়া মুক্তাদীর জন্যও মুস্তাহাব। অবশ্য শর্ত হল, তাতে যেন ইমামের ক্বিরাআত শোনাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়।
অতএব ইমাম দুআ পড়লে মুক্তাদীও পড়বে। নচেৎ ইমাম একটানা ক্বিরাআত করে গেলে আয়াতের জবাবে বা অন্য কোন দুআ পড়া বৈধ হবে না। কারণ

মসবূকের ইক্তিদা

মসবূকের ইক্তিদা


যদি কোন নামাযী মসজিদে এসে দেখে যে জামআত শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু কিছু মসবূক (যাদের কিছু নামায ছুটে গেছে তারা) উঠে একাকী নামায পূর্ণ করছে, তাহলে জামাআতের সওয়াব লাভের আশায় ঐ নামাযীর কোন এক মসবূকের ডাইনে দাঁড়িয়ে তার ইক্তিদা করে নামায পড়া বৈধ। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৬৬)
কিন্তু শায়খ ইবনে উষাইমীন (রহঃ) বলেন,

মুক্তাদীর জামাআতে শামিল হওয়ার বিভিন্ন অবস্থা

মুক্তাদীর জামাআতে শামিল হওয়ার বিভিন্ন অবস্থা


জামাআত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কোন নামাযী নামাযে শামিল হতে চাইলে নিয়মিত দুই হাত তুলে তাকবীরে তাহ্‌রীমা দিয়ে তাকে তাই করতে হবে, যা ইমাম করছেন। তাড়াহুড়ো না করে ইমাম যে অবস্থায় থাকবেন সেই অবস্থায় ধীরে-সুস্থ শামিল হতে হবে।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “নামাযে আসার সময় ধীর-স্থিরতার সাথে এস এবং তাড়াহুড়ো করে এসো না। এরপর যা পাবে, তা পড়ে নাও এবং যা ছুটে যাবে, তা পুরা করে নাও।” (আহমাদ, মুসনাদ, বুখারী, মুসলিম,  জামে ২৭৫নং)
তিনি বলেন, “তোমাদের কেউ নামাযে এলে এবং ইমাম কোন অবস্থায় থাকলে, সে যেন তাই করে, যা

ইমামের পশ্চাতে ক্বিরাআত

ইমামের পশ্চাতে ক্বিরাআত


ইমাম সশব্দে ক্বিরাআত করলে মুক্তাদীকে ক্বিরাআত করতে হয় না। বিশেষ করে সশব্দে কোন সূরা পাঠ করা মুক্তাদীর জন্য বৈধ নয়। বরং ইমামের ক্বিরাআত চুপ করে শুনতে হয়।
মহান আল্লাহ বলেন,
(وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوْا لَهُ وَأَنْصِتُوْا)
অর্থাৎ, যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে শো ন এবং চুপ থাক। (কুরআন মাজীদ ৭/২০৪)
সাহাবাগণ নামাযে সশব্দে ক্বিরাআত পড়তেন। একদা কোন জেহরী নামায থেকে সালাম ফিরে আল্লাহর নবী (সাঃ) বললেন, “তোমাদের মধ্যে কেউ কি আমার সাথে (সশব্দে) কুরআন পড়েছে?” এক ব্যক্তি বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, “তাতেই আমি ভাবছি যে, আমার ক্বিরাআতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হ্‌চ্ছে কেন।” আবূ হুরায়রা বলেন,

মুক্তাদীর কর্তব্য

মুক্তাদীর কর্তব্য


১। ইমামের অপেক্ষা করা :
ইমাম থাকতে তাঁর জায়গায় তাঁর বিনা অনুমতিতে অন্যের ইমামতি করা অবৈধ, আর তা বড় বেপরোয়া লোকের কাজ। এ সব লোকেদের ইমামের একটু দেরী সয় না। সামান্য দেরী হলেই আর তাঁর অপেক্ষা না করে জামাআত খাড়া করে দেয়। এ ধরনের ধৈর্যহারা মানুষরা কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমান।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আমাকে না দেখা পর্যন্ত (নামাযের জন্য উঠে) দাঁড়াও না।” (বুখারী ৬৩৭, মুসলিম, সহীহ ৬০৪নং)
তিনি বলেন, “কোন ব্যক্তি যেন অপর ব্যক্তির জায়গায় তার বিনা অনুমতিতে ইমামতি না করে এবং না কেউ কারো ঘরে তার বসার জায়গায় তার বিনা অনুমতিতে বসে।

ইমামের কর্তব্য

ইমামের কর্তব্য


১। ইমামতির নিয়ত :
সাধারণভাবে ইমামতির নিয়ত (সংকল্প) জরুরী। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১৫/৭০) অবশ্য একাকী নামায পড়া অবস্থায় কেউ জামাআতের নিয়তে তার সাথে শামিল হলে জামাআত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে নামায পড়তে পড়তে ইমামতির সংকল্প করে নেওয়া যথেষ্ট হবে। নামায শুরু করার আগে থেকে ইমামতির নিয়ত জরুরী নয়। (ঐ ১৭/৫৯) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস বলেন, এক রাত্রে আমি আমার খালা মায়মূনার ঘরে শুয়ে ছিলাম। নবী (সাঃ) রাত্রে উঠে যখন নামায পড়তে লাগলেন, তখন আমিও তাঁর সাথে শামিল হয়ে গেলাম। (বুখারী, মুসলিম,  আহমাদ, মুসনাদ)
একদা মহানবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে একাকী নামায পড়া দেখে বললেন,

ইমাম ও মুক্তাদীর দাঁড়াবার স্থান ও নিয়ম

ইমাম ও মুক্তাদীর দাঁড়াবার স্থান ও নিয়ম


মুক্তাদীর সংখ্যা হিসাবে ইমাম ও মুক্তাদীর দাঁড়ানোর নিয়ম-পদ্ধতি বিভিন্ন রকম।
১। ইমামের সাথে মাত্র একজন মুক্তাদী (পুরুষ বা শিশু) হলে উভয়ে একই সাথে সমানভাবে দাঁড়াবে; ইমাম বাঁয়ে এবং মুক্তাদী হবে ডানে। এ ক্ষেত্রে ইমাম একটু আগে এবং মুক্তাদী একটু পিছনে আগাপিছা হয়ে দাঁড়াবে না। ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে মহানবী (সাঃ) নিজের বরাবর দাঁড় করিয়েছিলেন। (বুখারী ৬৯৭নং) মৃত্যুরোগের সময় তিনি আবূ বাক্‌র (রাঃ)-এর বাম পাশে তাঁর বরাবর এসে বসেছিলেন। (ঐ ১৯৮নং)
নাফে’ বলেন, ‘একদা আমি কোন নামাযে আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ)-এর পিছনে দাঁড়ালাম, আর আমি ছাড়া তাঁর সাথে অন্য কেউ ছিল না। তিনি আমাকে তাঁর হাত দ্বারা তাঁর পাশাপাশি বরাবর করে দাঁড় করালেন।’

যাদের ইমামতি শুদ্ধ নয়

যাদের ইমামতি শুদ্ধ নয়


১। পুরুষের জন্য মহিলা :
পুরুষের জন্য মহিলার ইমামতি বৈধ ও শুদ্ধ নয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “সে জাতি কোন দিন সফল হবে না, যে জাতি তাদের কর্মভার একজন মহিলাকে সমর্পণ করবে।” (বুখারী, তিরমিযী, সুনান, বায়হাকী)
বলা বাহুল্য, মহিলা যত বড়ই যোগ্য হোক, মুক্তাদী নিজের ছেলে হোক অথবা অন্য কেউ হোক, স্বামী জাহেল এবং স্ত্রী কুরআনের হাফেয হোক তবুও কোন ক্ষেত্রেই মহিলা পুরুষের ইমামতি করতে পারে না। এটি পুরুষের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ১/৩৮২)
২। মুশরিক ও বিদআতী :
যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন ইবাদতে অন্য কোন সৃষ্টিকে শরীক করে, যেমন

যাদের ইমামতি বৈধ ও শুদ্ধ

যাদের ইমামতি বৈধ ও শুদ্ধ


এমন কতক লোক আছে যাদেরকে আপাত:দৃষ্টিতে ইমামতির অযোগ্য মনে হলেও প্রকৃতদৃষ্টিতে তাদের ইমামতি বৈধ ও শুদ্ধ। অবশ্য শুরুতে একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি মনে রাখলে এ প্রসঙ্গে অনেক ভুল বুঝাবুঝি দূর হয়ে যাবে। যে ব্যক্তির নামায শুদ্ধ, তার ইমামতিও শুদ্ধ এবং তার পিছনে মুক্তাদীর নামাযও শুদ্ধ। আর যার নামায শুদ্ধ নয়, তার ইমামতিও শুদ্ধ নয় এবং তার পিছনে মুক্তাদীর নামাযও শুদ্ধ নয়। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/৩১৬-৩১৭)
যারা ইমাম হওয়ার যোগ্য নয় বলে ধারণা হতে পারে অথচ (ইমামতির গুণাবলী বর্তমান থাকলে) তারা আসলে তার যোগ্য এমন কিছু লোক নিম্নরুপ :-

ইমাম হওয়ার সর্বাধিক বেশী যোগ্য কে?

ইমাম হওয়ার সর্বাধিক বেশী যোগ্য কে?


ইমামতির সবচেয়ে বেশী যোগ্য তিনি, যিনি কুরআনের হাফেয; যিনি (তাজবীদ সহ্‌) ভালো কুরআন পড়তে পারেন। তাজবীদ ছাড়া হাফেয ইমামতির যোগ্য নয়। পূর্ণ হাফেয না হলেও যাঁর পড়া ভালো এবং বেশী কুরআন মুখস্থ আছে তিনিই ইমাম হওয়ার অধিক যোগ্য।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “তিন ব্যক্তি হলে ওদের মধ্যে একজন ইমামতি করবে। আর ইমামতির বেশী হ্‌কদার সেই ব্যক্তি, যে তাদের মধ্যে বেশী ভালো কুরআন পড়তে পারে।” (মুসলিম,  মিশকাত ১১১৮নং)
তিনি আরো বলেন,

ইমামতির বিবরণ

ইমামতির বিবরণ


সর্বাঙ্গ সুন্দর ইসলামের সুষ্ঠ এক বিধান হল জামাআত তথা তার পরিচালক একক ইমাম বা নেতার বিধান। ইমাম হলেন সমাজের নেতা। সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠ জীবন-যাপন করার জন্য নেতার দরকার একান্ত। যিনি হবেন মুসলিমের সমাজ-কেন্দ্র মসজিদের ইমাম এবং তিনিই হবেন ইসলামী-শরীয়ত ব্যাখ্যা দাতা তথা নির্দেশ প্রদানকারী। তিনি হবেন সকলের সকল কাজের আগে। তাঁর মুগ্ধকারী আখলাক-চরিত্র, আচার-ব্যবহার এবং সর্বপ্রকার আচরণে সমাজের জন্য দিক-নির্ণয়ক তারা। তিনি প্রচলিত ‘মোল্লা’ নন, তাঁর দৌড় মসজিদ পর্যন্তই নয়। বরং তাঁর দৌড় গোরের পরেও পরপারের সুখময় জীবন পর্যন্ত।
তিনি সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি মাননীয় ও অনুসরণীয়। তিনি

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ