Wednesday, October 25, 2017

নামাযের গুরুত্ব কতটুকু একজন মুসলিমের জীবনে ? কেউ যদি নামাজ না পড়ে তাহলে কি সে মুসলিম থাকে ?


নামাযের গুরুত্ব


নামায ও তার গুরুত্বের কথা কুরআন মাজীদের বহু জায়গাতেই আলোচিত হয়েছে। কোথাও নামায কায়েম করার আদেশ দিয়ে, কোথাও নামাযীর প্রশংসা ও প্রতিদান এবং বেনামাযীর নিন্দা ও শাস্তি বর্ণনা করে, আল্লাহ তাআলা নামাযের প্রতি বড় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক স্থানে তিনি বলেন,
فإنْ تَابُوْا وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّيْنِ
অর্থাৎ, তারপর তারা যদি তওবা করে নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। (নচেৎ নয়।) (কুরআন মাজীদ /১১)
অন্যত্র বলেন,

নামাযের মাহাত্ম বা ফজিলত গুলো কি কি?

নামাযের মাহাত্ম


মহান আল্লাহ বলেন,
اُتْلُ مَا أُوْحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ، إِنَّ الصَّلاَةَ تَنْهى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ، وَلَذِكْرُ اللهِ أَكْبَر
অর্থাৎ, তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট গ্রন্থ  পাঠ কর এবং যথাযথভাবে নামায পড়। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে। আর অবশ্যই আল্লাহর যিক্‌র (স্মরণই) সর্বশ্রেষ্ঠ। (কুরআন মাজীদ ২৯/৪৫)
নামায মুমিনের চক্ষুকে শীতল করে, তার যাবতীয় ছোট ছোট গুনাহ বা লঘু ও উপপাপকে মোচন করে দেয়। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,

নামায কখন ফরয হয়?

নামায কখন ফরয হয়?


হিজরতের পূর্বে নবুওয়াতের ১২ অথবা ১৩তম বছরে শবে-মি’রাজে সপ্ত আসমানের উপরে সরাসরি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রসূলের সাক্ষাতে (বিনা মাধ্যমে) নামায ফরয হয়। প্রত্যহ্‌ ৫০ ওয়াক্তের নামায ফরয হলে হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত জিবরীল (আঃ) এর পরামর্শমতে মহানবী (সাঃ) আল্লাহ তাআলার নিকট কয়েকবার যাতায়াত করে নামায হাল্কা করার দরখাস্ত পেশ করলে ৫০ থেকে ৫ অক্তে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু আল্লাহর কথা অনড় বলেই ঐ ৫ ওয়াক্তের বিনিময়ে ৫০ ওয়াক্তেরই সওয়াব নামাযীরা লাভ করে থাকেন। (বুখারীমুসলিম মিশকাত ৫৮৬৪নং)
নামায ফরয হওয়ার গোড়াতে (৪ রাকআতবিশিষ্ট নামাযগুলো) দু’ দু’ রাকআত করেই ফরয ছিল। পরে যখন নবী (সাঃ) মদ্বীনায় হিজরত করলেন, তখন (যোহ্‌র, আসর ও এশার নামাযে) ২ রাকআত করে বেড়ে ৪ রাকআত হল। আর সফরের নামায হল ঐ প্রথম ফরমানের মুতাবেক। (বুখারী, মুসলিম,  আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ১৩৪৮ নং)

নামাযের ওয়াজেবসমূহ

নামাযের ওয়াজেবসমূহ


১। তাকবীরে তাহ্‌রীমা ছাড়া সমস্ত তাকবীর
২। রুকুর তাসবীহ্‌
৩। (ইমাম ও একাকী নামাযীর জন্য) ‘সামিআল্লাহু লিমানহামিদাহ্‌’ বলা
৪। (সকলের জন্য) ‘রাব্বানা অলাকালহাম্‌দ’ বলা
৫। সিজদার তাসবীহ্‌
৬। দুই সিজদার মাঝে দুআ
৭। প্রথম তাশাহহুদ
৮। তাশাহহুদের প্রথম বৈঠক।

নামাযের আরকানসমূহ

নামাযের আরকানসমূহ


১। (ফরয নামাযে) সামথ্য হলে কিয়াম (দাঁড়ানোর সময় দাঁড়িয়ে নামায পড়া)
২। তাকবীরে তাহ্‌রীমা
৩। (প্রত্যেক রাকআতে) সূরা ফাতিহা
৪। রুকু
৫। রুকু থেকে উঠে খাড়া হওয়া
৬। (সাষ্টাঙ্গে) সিজদাহ
৭। সিজদাহ থেকে উঠে বসা
৮। দুই সিজদার মাঝে বৈঠক
৯। শেষ তাশাহহুদ
১০। তাশাহহুদের শেষ বৈঠক
১১। উক্ত তাশাহ্‌হুদে নবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ
১২। দুই সালাম
১৩। সমস্ত রুকনে ধীরতা ও স্থিরতা
১৪। আরকানের মাঝে তরতীব ও পর্যায়ক্রম।

নামাযের শর্তাবলী,

নামাযের শর্তাবলী


১। নামাযীকে প্রকৃত মুসলিম হতে হবে
২। জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। (পাগল বা জ্ঞানশূন্য হবে না)
৩। বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। (সাত বছরের নিম্ন বয়সী শিশু হবে না)
৪। (ওযু-গোসল করে) পবিত্র হতে হবে
৫। নামাযের সঠিক সময় হতে হবে
৬। শরীরের লজ্জাস্থান আবৃত হতে হবে
৭। শরীর, পোশাক ও নামাযের স্থান থেকে নাপাকী দূর করতে হবে
৮। কিবলার দিকে মুখ করতে হবে
৯। মনে  মনে নিয়ত করতে হবে

নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত

নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত


আমল ও ইবাদত শুদ্ধ-অশুদ্ধ এবং তাতে সওয়াব পাওয়া-না পাওয়ার কথা নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত শুদ্ধ হলে আমল শুদ্ধ; নচেৎ না। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যাবতীয় আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তির তা-ই প্রাপ্য হয়, যার সে নিয়ত করে থাকে। যে ব্যক্তির হিজরত পার্থিব কোন বিষয় লাভের উদ্দেশ্যে হয়, সে ব্যক্তির তা-ই প্রাপ্য হয়। যার হিজরত কোন মহিলাকে বিবাহ্‌ করার উদ্দেশ্যে হয়, তার প্রাপ্যও তাই। যে যে

শুরুর কথা সমূহঃ মুবাশ্‌শির(সাঃ)-আবদুল হামীদ ফাইযী,

শুরুর কথা সমূহ


মহান আল্লাহর অনুগ্রহে ‘স্বালাতে মুবাশ্‌শির’-এর দ্বিতীয় খন্ড পাঠকের হাতে উপস্থিত হল। তার জন্য তাঁর দরবারে লাখো শুকরিয়া জ্ঞাপন করি।   দ্বীনের অন্যতম খুঁ টির একটি কাঠামো পেশ করতে পেরে আমি নিজেকে যেমন ধন্য মনে করছি, তেমনি আশা করছি দুআ ও সওয়াব লাভের।
কেবল সহীহ হাদীসকে ভিত্তি করেই, অধিক ক্ষেত্রে কে কি বলেছেন

একটি গরুর ভাগে যদি কিছু লোকের নিয়ত কুরবানী না থাকে, তাহলে কি বাকী লোকের কুরবানী সঠিক হয়ে যাবে?

একটি গরুর ভাগে যদি কিছু লোকের নিয়ত কুরবানী না থাকে, তাহলে কি বাকী লোকের কুরবানী সঠিক হয়ে যাবে?


প্রত্যেকের নিজ নিজ নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। যার কুরবানীর নিয়ত আছে, তার কুরবানী সঠিক হয়ে যাবে। ৪৬২ (মাজাল্লাতুল বুহূষিল ইসলামিয়্যাহ ৬২/৩৬৬)

অনেকে বলেন, ‘সাত ভাগে কুরবানী দিতে হলে সাতজন লোকই হতে হবে, নচেৎ গোটা দিতে হবে। তাতে ২, ৩, ৪, ৫ এবং ৬ ভাগে ভাগাভাগি চলবে না।’ এ কথা কি ঠিক?

কুরবানী ঘরে থাকা অবস্থায় দিলেও একটি গরু কুরবানীতে সাত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবে, অনুরূপ সফরে বা হজ্জে থাকলেও ভাগাভাগি করা চলবে। অবশ্য এক সপ্তগোশত ভাগ থেকে কম দেওয়া চলবে না। তবে এক সপ্তগোশত ভাগের বেশি দিতে হবে। যেমন একটি গরুতে দুই, তিন, চার, পাঁচ বা ছয় জনও সমানভাবে অথবা কমবেশি ভাগ নিয়ে অংশ গ্রহণ করতে পারে। তবে কারো ভাগ যেন এক সপ্তগোশত থেকে কম না হয়। সুতরাং

স্বগৃহে অবস্থান করলে কি গরু কুরবানীতে ভাগাভাগি চলবে না?

স্বগৃহে অবস্থান করলে কি গরু কুরবানীতে ভাগাভাগি চলবে না?


মক্কায় যে নিয়মে কুরবানী দেওয়া হয়, একই নিয়মে স্বগৃহে অবস্থান কালেও কুরবানী দেওয়া যাবে। অর্থাৎ, মক্কায় যেমন একটি গরুতে সাতজন শরীক হতে পারে, তেমনি বাড়িতে বসে কুরবানী দিলেও সাত ব্যক্তি বা পরিবার শরীক হতে পারবে। ইবেন আব্বাস বলেন,

রোযা অবস্থায় নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার বৈধ কি?


স্প্রে দুই প্রকার; প্রথম প্রকার হল ক্যাপসুল স্প্রে পাউডার জাতীয়। যা পিস্তলের মত কোন পাত্রে রেখে পুশ করে স্প্রে করা হয় এবং ধুলার মত উড়ে গিয়ে গলার পৌছলে রোগী তা গিলতে থাকে। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রোযাদারকে যদি এমন স্প্রে বছরের সব মাসে এবং দিনেও ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে

রোযা অবস্থায় সুগন্ধির সুঘ্রাণ নেওয়া কি বৈধ?

রোযা অবস্থায় সুগন্ধির সুঘ্রাণ নেওয়া কি বৈধ?


রোযা রাখা অবস্থায় আতর বা অন্য প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং সর্বপ্রকার সুঘ্রাণ নাকে নেওয়া রোযাদারদের জন্য বৈধ। তবে ধুঁয়া জাতীয় সুগন্ধি যেমন (আগরবাতি, ছন্দন-ধুঁয়া প্রভৃতি)ইচ্ছাকৃত নাকে নেওয়া বৈধ নয়। কারণ,

রোযা অবস্থায় মাথার চুল বা নাভির নিচের লোম চাঁছা কি বৈধ?

রোযা অবস্থায় মাথার চুল বা নাভির নিচের লোম চাঁছা কি বৈধ?


রোযাদারদের জন্য নিজ মাথার চুল বা নাভির নিচের লোম ইত্যাদি চাঁছা বৈধ। তাতে যদি কোন স্থানে কেটে রক্ত পড়লেও রোযার কোন ক্ষতি হয়না। পক্ষান্তরে দাড়ি চাঁছা সব সময়কার জন্য হারাম; রোযা অবস্থায় অথবা অন্য কোন অবস্থায়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ১৯/ ১৬৫)

রোযা অবস্থায় ক্ষতস্থানে ঔষধ ব্যবহার কি বৈধ?

রোযা অবস্থায় ক্ষতস্থানে ঔষধ ব্যবহার কি বৈধ?


রোযাদারদের জন্য নিজ দেহের ক্ষতস্থানে ঔষধ দিয়ে ব্যান্ডেজ ইত্যাদি দূষণীয় নয়। তাতে সে ক্ষত গভীর হোক বা অগভীর। কারণ, এ কাজকে না কিছু খাওয়া বলা যাবে, আর না পান করা। তা ছাড়া ক্ষতস্থান স্বাভাবিক পানাহারের পথ নয়।৩০৩ (আহকামুস সাওমি অল-ই’তিকাফ ১৪০ পৃঃ)

রোযা অবস্থায় ইঞ্জেকশন নেওয়া বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় ইঞ্জেকশন নেওয়া বৈধ কি?


রোযাদারদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা বৈধ। যা পানাহারের কাজ করে না। যেমন, পেনিসিলিন বা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন অথবা অ্যান্টিবায়োটিক বা টনিক কিংবা ভিটামিন ইঞ্জেকশন অথবা ভ্যাকসিন ইঞ্জেকশন প্রভৃতি হাতে, কোমরে বা অন্য জায়গায়, দেহের পেশি অথবা শিরায় ব্যবহার করলে রোযার ক্ষতি হয় না। তবুও নিতান্ত জরুরী না হলে তা দিনে ব্যবহার না করে রাত্রে ব্যবহার করাই উত্তম ও পূর্বসাবধানতামূলক কর্ম। যেহেতু মহানবী (সঃ) বলেন,

রোযা অবস্থায় দেহের রক্তশোধন বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় দেহের রক্তশোধন বৈধ কি?


রোযাদারদের কিডনি অচল হলে রোযা অবস্থায় প্রয়োজন দেহের রক্ত পরিষ্কার ও শোধন করা বৈধ। পরিশুদ্ধ করার পর পুনরায় দেহে ফিরিয়ে দিতে যদিও রক্ত দেহ থেকে বের হয়, তবুও তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না। ৩০০ (ইবনে উষাইমইন)

রোযা অবস্থায় দাঁত তোলা কি বৈধ?

রোযা অবস্থায় দাঁত তোলা কি বৈধ?


রোযাদারদের জন্য দাঁত (স্টোন ইত্যাদি থেকে) পরিষ্কার করা, ডাক্তারি ভরণ (ইনলেই)ব্যাবহার করা এবং যন্ত্রণায় দাঁত তুলে ফেলা বৈধ। তবে এ সব ক্ষেত্রে তাকে একান্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ, যাতে কোন প্রকার ঔষধ বা রক্ত গিলা না যায়। ২৯৯ (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিসসিয়াম ২৯ পৃঃ)

স্ত্রীর দেহাঙ্গ নিয়ে কল্পনাবিহারে বীর্যপাত ঘটলে রোযা নষ্ট হবে কি?

স্ত্রীর দেহাঙ্গ নিয়ে কল্পনাবিহারে বীর্যপাত ঘটলে রোযা নষ্ট হবে কি?


স্ত্রীর-দেহ নিয়ে কল্পনা করার ফলে কারো মাযী বা বীর্যপাত হলে রোযা নষ্ট হয় না। যেহেতু মহানবি (সঃ) এর ব্যাপক নির্দেশ এ কথার প্রতি ইঙ্গিত করে। তিনি  বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের মনের কল্পনা উপেক্ষা করেন, যতক্ষণ কেউ তা কাজে পরিণত অথবা কথায় প্রকাশ না করে।” ২৯৮ (বুখারী ২৫২৮, মুসলিম ১২৭, দ্রঃ মুমতে ৬/৩৯০-৩৯১)

স্ত্রীর দেহাঙ্গের যে কোন অংশ দেখা রোযাদার স্বামীর জন্য বৈধ কি?

স্ত্রীর দেহাঙ্গের যে কোন অংশ দেখা রোযাদার স্বামীর জন্য বৈধ কি?


স্ত্রীর দেহাঙ্গের যে কোন অংশ দেখা রোযাদার স্বামীর জন্যও বৈধ। অবশ্য একবার দেখার ফলেই চরম উত্তেজিত হয়ে কারো মাযী বা বীর্যপাত ঘটলে কোন

ক্ষতি হবে না। ২৯৬ (বুখারী ১৯২৭ নং দ্রঃ)কারণ, অবৈধ নজরবাজীর ব্যাপারে মহানবী (সঃ) বলেন,

চুম্বন ছাড়া অন্য শৃঙ্গারাচারের ব্যাপারে বিধান কি? এ সময় মযী বের হয়ে গেলে রোযার ক্ষতি হবে কি?

চুম্বন ছাড়া অন্য শৃঙ্গারাচারের ব্যাপারে বিধান কি? এ সময় মযী বের হয়ে গেলে রোযার ক্ষতি হবে কি?


চুম্বনের ক্ষেত্রে চুম্বন গালে হোক অথবা ঠোঁটে উভয় অবস্থাই সমান। তদনুরূপ সঙ্গমের সকল প্রকার ভূমিকা ও শৃঙ্গারাচার; সকাম স্পর্শ, ঘর্ষণ, দংশন, মর্দন, প্রচাপন, আলিঙ্গন প্রভৃতির মানেও চুম্বনের মতোই। এ সবের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। আর এ সব করতে গিয়ে যদি কারো মাযী (বা উত্তেজনার সময় আঠালো তরল পানি) নিঃসৃত হয়, তাহলে তাতে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। ২৯৫ (মুমতে ৬/৩৯০, ৪৩২-৪৩৩)

স্ত্রীর জিভ চোষণের ফলে রোযার কোন ক্ষতি হবে কি?


জিভ চোষার ফলে একে অন্যের জিহ্বারস গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যেমন স্তনবৃন্ত চোষণের ফলে মুখে দুগ্ধ এসে গলায় নেমে গেলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে।

স্ত্রী-চুম্বনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ও যুবকের মাঝে কোন পার্থক্য আছে কি?

স্ত্রী-চুম্বনের ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ও যুবকের মাঝে কোন পার্থক্য আছে কি?


এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ও যুবকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই; যদি উভয়ের কামশক্তি এক পর্যায়ের হয়। সুতরাং দেখার বিষয় হল, কাম উত্তেজনা সৃষ্টি এবং বীর্যস্খলনের  আশঙ্কা। অতএব সে কাজ যদি যুবক বা কামশক্তিসম্পন্ন বৃদ্ধের উত্তেজনা সৃষ্টি করে, তাহলে তা উভয়ের জন্য মাকরূহ। আর যদি তা না করে তাহলে

স্বামী-স্ত্রীর আপোষের চুম্বন ও প্রেমকেলিতে রোযার ক্ষতি হয় কি না?

স্বামী-স্ত্রীর আপোষের চুম্বন ও প্রেমকেলিতে রোযার ক্ষতি হয় কি না?


যে রোযাদার স্বামী-স্ত্রী মিলনে ধৈর্য রাখতে পারে; অর্থাৎ সঙ্গম বা বীর্যপাত ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা না করে, তাঁদের জন্য আপোসে চুম্বন ও প্রেমকেলি বা কোলাকুলি করা বৈধ এবং তা তাঁদের জন্য মাকরূহ নয়। কারণ, মহানবী (সঃ) রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রী-চুম্বন করতেন এবং

রোযা অবস্থায় বাহ্যিক শরীরে তেল, মলম, পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করা বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় বাহ্যিক শরীরে তেল, মলম, পাউডার বা ক্রিম ব্যবহার করা বৈধ কি?


বাহ্যিক শরীরের চামড়ায় পাউডার বা মলম ব্যবহার করা রোযাদারদের জন্য বৈধ। কারন, তা পেটে পৌছায় না। তদনুরূপ প্রয়োজনে ত্বককে নরম রাখার জন্য কোন তেল, ভ্যাসলিন বা ক্রিম ব্যবহার করাও রোযা অবস্থায় বৈধ। কারণ, ঐ সব কিছু কেবল চামড়ার বাহিরের অংশ নরম করে থাকে এবং

রোযা অবস্থায় পেটে (এন্ডোসকপি মেশিন) নল সঞ্চালন করলে রোযার ক্ষতি হয় কি?

রোযা অবস্থায় পেটে (এন্ডোসকপি মেশিন) নল সঞ্চালন করলে রোযার ক্ষতি হয় কি?


পেটের ভিতরে কোন পরীক্ষার জন্য (এন্ডোসকপি মেশিন) নল বা স্টমাক টিউব সঞ্চালন করার ফলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তবে হ্যাঁ, যদি পাইপের সাথে কোন (তৈলাক্ত) পদার্থ থাকে এবং তা তাঁর সাথে পেটে গিয়ে পৌঁছে, তাহলে তাতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অতএব একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এ কাজ ফরয বা ওয়াজেব রোজায় করা বৈধ নয়।

রোযা অবস্থায় পায়খানা-দ্বারে ঔষধ ব্যবহার করা যায় কি?

রোযা অবস্থায় পায়খানা-দ্বারে ঔষধ ব্যবহার করা যায় কি?


রোযাদারের জ্বর হলে তাঁর জন্য পায়খানা-দ্বারে ঔষধ (সাপোজিটরি) রাখা যায়। তদনুরূপ জ্বর মাপা বা অন্য কোন পরীক্ষার জন্য মল-দ্বারে কোন যন্ত্র ব্যবহার করা দোষাবহ বা রোযার পক্ষে ক্ষতিকর নয়। কারণ, এ কাজকে খাওয়া বা পান করা কিছুই বলা হয় না। (এবং পায়খানা-দ্বার পানাহারের পথও নয়।) ২৮৬ (মুমতে ৬/৩৮১)

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন এবং ক্ষতিকারক দিক গুলো কি কি?

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক দিক গুলো কি কি?

ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুন :

আল্লাহ তা’আলার দেয়া এ সুন্দর যৌবনকালটাকে ক্ষয় করার জন্য যে ব্যক্তি তার স্বীয় লিঙ্গের পিছনে লেগে যায় এবং নিজ হাত দিয়ে এটা চর্চা করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তার এ হাত পরকালে সাক্ষী দেবে যে, সে এ পাপ কোথায় কতবার করেছে- যা পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করা বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার করা বৈধ কি?


রোযা অবস্থায় সুরমা লাগানো এবং চোখে ও কানে ঔষধ ব্যবহার বৈধ। কিন্তু ব্যবহার করার পর যদি গলার সুরমা বা ঔষধের স্বাদ অনুভূত হয়, তাহলে (কিছু উলামার নিকট রোযা ভেঙ্গে যাবে এবনফ সে রোযা) কাযা রেখে নেওয়াই হল পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। ২৮১ (ইবনে বায) কারণ, চোখ ও কান খাদ্য ও পানীয় পেটে যাওয়ার পথ নয় এবং

রাস্তার ধুলো বা আটার গুঁড়ো নাকের ভিতরে গেলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কি?

রাস্তার ধুলো বা আটার গুঁড়ো নাকের ভিতরে গেলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কি?


রাস্তার ধূলা রোযাদারদের নিঃশ্বাসদের সাথে পেটে গেলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তদনুরূপ যে ব্যক্তি আটাচাকিতে কাজ করে অথবা তাঁর কাছে যায় সে ব্যক্তির পেটে আটার গুঁড়ো গেলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। ২৮০ (ইবনে জিবরীন)কারণ, এ সব থেকে বাঁচার উপায় নেই। অবশ্য মুখে মুখোশ ব্যবহার করে বা কাপড় বেঁধে কাজ করাই উত্তম।

থুথু বা গয়ের গিললে কি রোযার ক্ষতি হয়?

থুথু বা গয়ের গিললে কি রোযার ক্ষতি হয়?


থুথু গয়ের থেকে বাঁচা দুঃসাধ্য। কারণ, তা মুখে বা গলার গোঁড়ায় জমা হয়ে নিচে এমনটিতেই চলে যায়। অতএব এতে রোযা নষ্ট হবে না এবং বরাবর থুথু ফেলারও দরকার হবে না।
অবশ্য যে কফ, গয়ের খাঁকার বা শ্লেষ্মা বেশী মোটা এবং যা কখনো মানুষের বুকে (শ্বাসযন্ত্র) থেকে, আবার কখনো মাথা (পৈসজটে)থেকে বের হয়ে আসে, তা গলা ঝেড়ে বের করে বাইরে ফেলা ওয়াজেব এবং

দেহ থেকে রক্ত পড়লে কি রোযার কোন ক্ষতি হয়? রোযাদার ব্যক্তি কি দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটতে পারে?

রোযাদার ব্যক্তি কি দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটতে পারে?


রোযাদারদের জন্য সাঁতার কাটতে কোন বাধা নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পানি পেটে চলে না যায়।২৭৭ (ইবনে উষাইমীন)

দেহ থেকে রক্ত পড়লে কি রোযার কোন ক্ষতি হয়?


কেটে-ফেটে গিয়ে অথবা ঘা টিপতে গিয়ে অথবা দাঁত তুলতে গিয়ে অথবা দাঁতন করতে গিয়ে রক্ত পড়লে অথবা রক্ত পরীক্ষার জন্য দিলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। মুখের রক্ত গেলা যাবে না। ২৭৮ (ইবনে উষাইমীন)

রোযা অবস্থায় তরকারির লবন বা চায়ের মিষ্টি চেক করা বৈধ কি?

রোযা অবস্থায় তরকারির লবন বা চায়ের মিষ্টি চেক করা বৈধ কি?


রান্না করতে করতে প্রয়োজনে খাবারের লবন বা মিষ্টি সঠিক হয়েছে কি না, তা চেখে দেখা রোযাদারের জন্য বৈধ। তদনুরূপ কোন কিছু কেনার সময় চেখে পরীক্ষা করার দরকার হলে তা করতে পারে। ইবনে আব্বাস (রঃ) বলেন,

রোযার দিনে দাঁতের মাজন (টুথ-পেস্ট বা পাউডার) ব্যবহার করলে রোযা শুদ্ধ হবে কি?

রোযার দিনে দাঁতের মাজন (টুথ-পেস্ট বা পাউডার) ব্যবহার করলে রোযা শুদ্ধ হবে কি?


রোযার দিনে দাঁতের মাজন (টুথ-পেস্ট বা পাউডার) ব্যবহার না করাই উত্তম। বরং তা রাত্রে এবং ফজরের আগে ব্যবহার করাই উচিৎ। কারণ, মাজনের এমন প্রতিক্রিয়া ও সঞ্চার ক্ষমতা আছে, যার ফলে তা গলা ও পাকস্থলীতে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনুরূপ আশঙ্কার ফলেই মহানবী (সঃ) লাকিত্ব বিন সাবরাহকে বলেছিলেন,

রোযাদার কি দাঁতন করতে পারে? তাঁর ফলে আল্লাহ্‌র নিকট কস্তরি অপেক্ষা বেশি সুগন্ধময় গন্ধ কি দূর হয়ে যায় না?

রোযাদার কি দাঁতন করতে পারে? তাঁর ফলে আল্লাহ্‌র নিকট কস্তরি অপেক্ষা বেশি সুগন্ধময় গন্ধ কি দূর হয়ে যায় না?


রোযাদার দিনের প্রথম ও শেষভাগে যে কোন সময় দাঁতন করতে পারে। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ্‌র কাছে প্রিয় বলে তা ইচ্ছাকৃত ছেড়ে রাখা বিধেয় নয়। তাছাড়া দাঁতন করলে মুখের গন্ধ যায় না। কারণ তা আসে পেট খাদ্যশূন্য হওয়ার কারণে। ২৭২ (ইবনে জিবরীন)

চোখ বা কানে ঔষধ দিলে কি রোযা ভেঙ্গে যায়? বমি করলে কি রোযা ভেঙ্গে যা

চোখ বা কানে ঔষধ দিলে কি রোযা ভেঙ্গে যায়?


চোখ বা কানে ঔষধ দিলে রোযা ভাঙ্গে না। কারণ চোখ ও কান খাদ্যনালী নয় এবং সে ঔষধও কোন খাবারের কাজ করে না। তবে সন্দেহ হলে তা রাতে ব্যবহার করার পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম। ২৭০ (লাহনাহ দায়েমাহ)

বমি করলে কি রোযা ভেঙ্গে যায়?


ইচ্ছাকৃত বমি করলে রোযা নষ্ট হয়ে যায়। মহানবী (সঃ) বলেন, “রোযা অবস্থায় যে ব্যক্তি বমনকে (বমি) দমন করতে সক্ষম হয় না, তাঁর জন্য কাযা নেই। পক্ষান্তরে যে ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে, সে যেন ঐ রোযা কাযা করে।” ২৭১ (আহমাদ ২/৪৯৮, আবূ দাঊদ ২৩৮০, তিরমিযী ৭১৬, ইবনে মাজাহ ১৬৭৬, সঃ জামে ৬২৪৩ নং)

এক ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে সেহেরী খেল। অতঃপর জানতে পারল যে, তাঁর খাওয়াটা ফজরের আযানের পর হয়েছে। সুতরাং তাঁর রোযা কি শুদ্ধ হবে?

আযান সঠিক সময়ে হয়ে থাকলে এবং সে আযান হয়ে গেছে---এ কথা না জানলে তাঁর রোযা শুদ্ধ। কারণ অজান্তে বা ভুলে অনিচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করে ফেললে রোযার ক্ষতি হয় না। মহানবী (সঃ) বলেছেন,

ফজরের আযান হলেই কি পানাহার বন্ধ করা জরুরী?

ফজরের আযান হলেই কি পানাহার বন্ধ করা জরুরী?


আযান দেখার বিষয় নয়। দেখার বিষয় হল ফজর উদয়ের সময়। যেমন সময়ের ঘড়িও মজবুত হওয়া প্রয়োজন। নচেৎ মুআযযিন আগে আযান দিলে অথবা ঘড়ি মজবুত ফাস্ট থাকলে যেমন খাওয়া বন্ধ করা বিধেয় নয়, তেমনি মুআযযিন দেরি করে আযান দিলে অথবা ঘড়ি স্লো থাকলে খেয়ে যেতেই থাকা বৈধ নয়। বলা বাহুল্য, এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা কর্তব্য। (ইবনে বায)

রোযা না রাখার নিয়ত করলে এবং তাঁর নিয়ত বাতিল করে দিলে রোযা বাতিল হয়ে যাবে কি?

রোযা না রাখার নিয়ত করলে এবং তাঁর নিয়ত বাতিল করে দিলে রোযা বাতিল হয়ে যাবে কি?


নিয়ত প্রত্যেক ইবাদত তথা রোযার অন্যতম রুকন। আর সারা দিন সে নিয়ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনে জাগ্রত রাখতে হবে; যাতে রোযাদার রোযা না রাখার বা রোযা বাতিল করার কোন প্রকার দৃঢ় সংকল্প না করে বসে। বলা বাহুল্য, রোযা না রাখার নিয়ত করলে এবং

কেউ রোযা রেখে মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে মিসকীন খাওয়াতে হবে, নাকি ওয়ারেসকে রোযা রেখে দিতে হবে?

কেউ রোযা রেখে মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে মিসকীন খাওয়াতে হবে, নাকি ওয়ারেসকে রোযা রেখে দিতে হবে?


রমযানের রোযা কাযা রেখে মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে মিসকীন খাওয়াতে হবে। আর নযরের রোযা না রেখে মারা গেলে তাঁর তরফ থেকে ওয়ারেসকে রোযাই রাখতে হবে।

আমার মা রমযানের রোযা বাকি রেখে ইন্তিকাল করলে তিনি মা আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন,

রমযানের একাধিক রোযা কাযা করতে হলে কি একটানা করা জরুরী?

রমযানের একাধিক রোযা কাযা করতে হলে কি একটানা করা জরুরী?


একটানা হওয়া জরুরী নয়। কেটে কেটেও রাখা যায়। তবে উত্তম হল একটানা রাখা। ২৬২ (ইবনে জিবরীন)


পরিজনের সাথে এক সঙ্গে রোযা রাখার উদেশ্যে মহিলারা ট্যাবলেট খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখতে পারে কি?

পরিজনের সাথে এক সঙ্গে রোযা রাখার উদেশ্যে মহিলারা ট্যাবলেট খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখতে পারে কি?


মহান আল্লাহ্‌র দেওয়া এ প্রাকৃতিকে রোধ করলে তাঁর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মাসিক নিবারক ট্যাবলেট ব্যবহারে মহিলার গর্ভাশয়েরও নানান ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে; যেমন সে কথা ডাক্তারগণ উল্লেখ করে থাকেন। সুতরাং ঔষধ ঐভাবে মাসিক বন্ধ রেখে এবং পবিত্রতা থেকে রোযা রাখে, তাহলে সে রোযা শুদ্ধ ও যথেষ্ট হয়ে যাবে। ২৬১ (ইবনে উষাইমীন)

শোনা যায়, ফিতরা না দিলে রোযা কবুল হয় না।--- এ কথা কি সত্যি?


এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণিত আছে, যা সহীহ নয়। ২৬০ (সিঃ যয়ীফাহ ৪৩ নং)

আমার কিডনীর সমস্যা আছে। রোযা রাখলেই সমস্যা বাড়ে। ডাক্তার রোযা রাখতে নিষেধও করেছে। আমার এখন কী করা উচিত?

আমার কিডনীর সমস্যা আছে। রোযা রাখলেই সমস্যা বাড়ে। ডাক্তার রোযা রাখতে নিষেধও করেছে। আমার এখন কী করা উচিত?


এ সমস্যা যদি চির সমস্যা হয়, অর্থাৎ পড়ে কাযাও করতে না পারা যায়, তাহলে প্রত্যেক রোযার বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাওয়াতে হবে। মহান আল্লাহ, “(রোযা) নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফর অবস্থায় থাকলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করে নেব। আর

এগারো মাসে নামায পড়ে না। রমযান এলে রোযা রাখে ও নামায পড়ে। এমন লোকের রোযা কবুল হবে কি? রোযার উপর নামাযের প্রভাব আছে কি? তাঁরা রোযা রেখে (জান্নাতের) ‘রাইয়ান’ গেটে প্রবেশকারীদের সঙ্গে প্রবেশ করবে না কি? ‘এক রমযান থেকে ওপর রমযান মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়।’---এ কথা ঠিক নয় কি?

বেনামাযীর রোযা কবুল হবে না। যেহেতু নামায ইসলামের খুঁটি, যা ব্যতিরেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরন্ত বেনামাযী কাফের ও ইসলামের মিল্লাত থেকে বহির্ভূত।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফুরীর মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” (মুসলিম)
তিনি আরো বলেছেন,

রমযান মাসে আগামী কাল সকালে সফরের নিয়ত থাকলেও কি ফজরের পূর্বে রোযার নিয়ত করতে হবে?

রমযান মাসে আগামী কাল সকালে সফরের নিয়ত থাকলেও কি ফজরের পূর্বে রোযার নিয়ত করতে হবে?


অবশ্যই। রোযার নিয়তে রোযা রেখে গ্রাম বা শহর ছেড়ে বের হয়ে গিয়ে তারপর রোযা ভাঙ্গা চলবে। দুপুরে সফর করবে বলে সকাল থেকে বাড়িতে বসে রোযা বন্ধ করা বৈধ নয়।

এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে কি পৃথিবীর সকল দেশে রোযা বা ঈদ করা জরুরী নয়?

এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে কি পৃথিবীর সকল দেশে রোযা বা ঈদ করা জরুরী নয়?


মহান আল্লাহ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসে উপনীত হবে, সে যেন রোযা রাখে।” (বাক্বারাহঃ ১৮৫) আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, “তোমরা চাঁদ দেখলে রোযা রাখো।” ২৫০ (বুখারী ১৯০০, মুসলিম ১০৮০ নং)
এই নির্দেশ থেকে অনেকে বুঝেছেন যে,

যে দেশের রোযা ২/১ দিন পিছনে, শেষ রমযানে সে দেশে সফর করলে অথবা সে দেশ থেকে ফিরে এলে করণীয় কি?

যে দেশের রোযা ২/১ দিন পিছনে, শেষ রমযানে সে দেশে সফর করলে অথবা সে দেশ থেকে ফিরে এলে করণীয় কি?


পূর্ব দিককার (প্র্যাচের) দেশগুলিতে চাঁদ এক অথবা দুই দিন পর দেখা যায়। এখন ২৯শে রমযান চাঁদ দেখার অথবা ৩০শে রমযান ঐ দিককার কোন দেশে সফর করলে সেখানে গিয়ে দেখবে তাঁর পরের দিনও রোযা। শে ক্ষেত্রে তাকে ঐ দেশের মুসলিমদের সাথে রোযা রাখতে হবে। অতঃপর তাঁরা ঈদ করলে তাঁদের সাথে সেও ঈদ করবে; যদিও তাঁর রোযা ৩১টি হয়ে যায়। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, “অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে শে যেন এ মাসে রোযা রাখে।” (সূরাহ বাক্বারাহ ২/১৮৫)
আর মহানবী (সঃ) বলেন,

যিনা, ব্যভিচার বিস্তার লাভ করার কিছু কারণ >>>>


যিনা, ব্যভিচার বিস্তার লাভ করার কিছু কারণ >>>>
১- যুবক-যুবতীর নির্জনতা অবলম্বন, একান্তে গমন-ভ্রমণ, কোনো বাড়ি বা রুমে একাকী উভয়ের বসবাস, রিক্সা বা গাড়িতে চালকের সাথে একাকিনী যাতায়াত, দোকানে দোকানদারের কাছে একাকিনী মার্কেট করা, দর্জির কাছে একান্তে পোশাকের মাপ দেওয়া, ডাক্তারের সহিত নার্সের অথবা রোগিণীর একান্তে চিকিৎসা কাজ, প্রাইভেট টিউটরের কাছে একাকিনী পড়াশোনা করা ইত্যাদি। এগুলি ব্যভিচারের এক একটি সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ। মহানবী (ﷺ) বলেন,

ইহুদী, খ্রীষ্টান ও কাফেররা মুমিনদের বন্ধু হতে পারে না >>>>


ইহুদী, খ্রীষ্টান ও কাফেররা মুমিনদের বন্ধু হতে পারে না >>>>
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ 

হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু, আর তোমাদের মধ্যে যে তাদেরকে বন্ধু বানাবে, তবে নিশ্চয় সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত, নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে পথ দেখান না। আল-মায়িদাহ, ৫/৫১
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّخِذُوا الَّذِينَ اتَّخَذُوا دِينَكُمْ هُزُوًا وَلَعِبًا مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَالْكُفَّارَ أَوْلِيَاءَ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ 

হে মুমিনগণ, তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দীনকে বিদ্রূপ ও খেলার বস্তুরূপে গ্রহণ করেছে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না আর

ফরজ ওয়াজিব এবং সুন্নত কাকে বলে ?এসবেরহুকুম কি?

ফরজ ওয়াজিব এবং সুন্নত কাকে বলে ?এসবের
হুকুম কি?

ফরজ কাকে বলে?
যে বিধানটি ক্বতয়ী তথা অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
তাকে ফরজ বলা হয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর নির্দেশিত
পালনীয় আমল হবার বিষয়ে বিন্দু পরিমাণ কোন সন্দেহ না
থাকে। সেটি ফরজ।
যেমন নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি।
ফরজ অস্বিকারকারী কাফের।

শরীয়ত, কুফুরী, মুশরেকী, মুনাফেকী, ফাসেকী, ইহসান কাকে বলে?

প্রশ্নঃ শরীয়ত কাকে বলে?
উত্তরঃ পবিত্র কোরআন এবং হাদীস শরীফ দ্বারা ইসলামের
যে বিধান আমাদের উপর বিধিবদ্ধ হয়েছে তাই এক কথায়
শরীয়ত নামে অভিহিত।
প্রশ্নঃ কুফুরী কাকে বলে?
উত্তরঃ পবিত্র কোরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ
বিশ্বাসগত এবং আমলগত যে সব বিষয় অত্যাবশ্যকীয় রূপে
চিহ্নিত করেছে, সে গুলির মধ্যে হতে কোন একটির
অস্বীকৃতির নামই হলো কুফরী।
প্রশ্নঃ মুশরেকী কাকে বলে?

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ