Wednesday, April 4, 2018

বিবাহের সময় দু’রাকাআত নামায পড়ার বিধান কি? বিশেষ করে বাসর রাতে এ দু’রাকাআতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়?

(২৯৪) বিবাহের সময় দু’রাকাআত নামায পড়ার বিধান কি? বিশেষ করে বাসর রাতে এ দু’রাকাআতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়?


বিবাহের সময় দু’রাকাআত নামায পড়া সম্পর্কে কোন হাদীছ নেই। তবে কোন কোন ছাহাবী বাসর রাতে দু’রাকাআত নামায আদায় করেছেন, এরকম বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন ছহীহ্‌ হাদীছ জানা যায় না। অবশ্য বাসর রাতে শরীয়ত সম্মত কাজ হচ্ছে, নববধুর কপাল ধরে এই দু’আ পাঠ করবেঃ

নামাযের নিষিদ্ধ সময় সমূহ কি কি? মাগরিবের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আযানের পূর্বে না আযানের পর আদায় করবে?

(২৯৫) নামাযের নিষিদ্ধ সময় সমূহ কি কি? মাগরিবের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আযানের পূর্বে না আযানের পর আদায় করবে?


নিষিদ্ধ সময় সমূহ হচ্ছেঃ
১) ফজর ছালাতের পর থেকে তীর বরাবর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত। অর্থাৎ সূর্য উদিত হওয়ার পর ১৫/২০ মিনিটি পর্যন্ত।
২) ঠিক দুপুরের সময়। অর্থাৎ যোহরের সময় হওয়ার ১০ মিঃ আগে থেকে যোহরের সময় হওয়া পর্যন্ত।
৩) আছর ছালাতের পর থেকে পরিপূর্ণরূপে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।

জামাআতে নামায আদায় করার বিধান কি?

(২৯৬) জামাআতে নামায আদায় করার বিধান কি?


উলামাগণ একথার উপর একমত হয়েছেন যে, জামাআতে নামায আদায় করা শ্রেষ্ঠতম, গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। বিষয়টি আল্লাহ্‌ তা‘আলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন এবং এমনকি ভীতির সময় জামাআতবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ বলেনঃ

একদল লোক কোন স্থানে বসবাস করে। ঐ বাসস্থানে জামাআতের সাথে নামায আদায় করা কি তাদের জন্য জায়েয হবে? নাকি মসজিদে গমণ করা আবশ্যক?

(২৯৭) একদল লোক কোন স্থানে বসবাস করে। ঐ বাসস্থানে জামাআতের সাথে নামায আদায় করা কি তাদের জন্য জায়েয হবে? নাকি মসজিদে গমণ করা আবশ্যক?


বাসস্থানে বসবাসকারী লোকদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, মসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে ছালাত আদায় করা। যাদের আশে পাশেই মসজিদ পাওয়া যায়। মসজিদ নিকটে থাকা সত্বেও কোন ব্যক্তি বা দলের জন্য গৃহে নামায আদায় করা জায়েয নেই। তবে মসজিদ যদি দূরে হয়, ফলে আযান শুনতে না পায়, তবে বাড়িতে জামাআত করে নামায পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
কিছু আলেমের কথার উপর ভিত্তি করে অনেক লোক এই মাসআলাটিতে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা বলে থাকেঃ জামাআতে নামায পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, নামাযের জন্য একদল লোকের একস্থানে সমবেত হওয়া। চাই তা মসজিদে হোক বা অন্য কোথাও। অতএব একদল লোক যদি নিজ বাড়িতেও জামাআতের সাথে নামায আদায় করে, তবে তো উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে গেল- ওয়াজিব আদায় হয়ে গেল। কিন্তু এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। কেননা মসজিদে জামাআত প্রতিষ্ঠিত করা আবশ্যক। দলীলঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীর জন্য কোনটি উত্তম- আযান শোনার সাথে সাথে নামাযে যাওয়া? নাকি কিছুটা অপেক্ষা করে কিছু কাজ সম্পাদন করে নামায আদায় করা। আর সুন্নাতে মুআক্কাদা ছাড়া অন্যান্য নফল নামায পড়ার ক্ষেত্রে তার বিধান কি?

(২৯৮) কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীর জন্য কোনটি উত্তম- আযান শোনার সাথে সাথে নামাযে যাওয়া? নাকি কিছুটা অপেক্ষা করে কিছু কাজ সম্পাদন করে নামায আদায় করা। আর সুন্নাতে মুআক্কাদা ছাড়া অন্যান্য নফল নামায পড়ার ক্ষেত্রে তার বিধান কি?


সমস্ত মুসলমানের জন্য উত্তম হচ্ছে, আযান শোনার সাথে সাথে নামাযে যাওয়া। কেননা মুআয্‌যিন আহবান করেন, ‘হাইয়্যা আলাছ্‌ছালাহ’ এসো নামাযের দিকে। কোন ধরণের গড়িমসি বা দেরী করলে হয়েতো নামাযটাই ছুটে যাবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আযান শোনার সাথে সাথে মসজিদের পানে ছুটে যাওয়া।

করো যদি প্রথম এক রাকাআত বা দু’রাকাআত ছুটে যায়, তবে ইমামের সালামের পর সে কি ছুটে যাওয়া রাকাআতের কাযা আদায় করার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাবে? নাকি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করেই ক্ষ্যান্ত হবে?

(২৯৯) করো যদি প্রথম এক রাকাআত বা দু’রাকাআত ছুটে যায়, তবে ইমামের সালামের পর সে কি ছুটে যাওয়া রাকাআতের কাযা আদায় করার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাবে? নাকি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করেই ক্ষ্যান্ত হবে?


বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, ইমামের সালামের পর মুক্তাদী যে ছালাতটুকু পূরা করে থাকে, তা হচ্ছে তার নিজস্ব নামাযের শেষ অংশ। তাই সে শুধু সূরা ফাতিহাই পাঠ করবে। এটা হচ্ছে- যদি চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের ছুটে যাওয়া রাকাআতের সংখ্যা এক বা দুই হয় বা মাগরিবের এক রাকাআত ছুটে থাকে। আর

জনৈক ব্যক্তি দু‘মাস যাবত বেহুশ অবস্থায় ছিল। কোন কিছুই অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে না ছালাত আদায় করেছে না রামাযানের ছিয়াম পালন করেছে। এখন তার করণীয় কি?

(১৯৯) জনৈক ব্যক্তি দু‘মাস যাবত বেহুশ অবস্থায় ছিল। কোন কিছুই অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে না ছালাত আদায় করেছে না রামাযানের ছিয়াম পালন করেছে। এখন তার করণীয় কি?


সংজ্ঞাহীন হওয়ার কারণে তার উপর কোন কিছুই আবশ্যক নয়। আল্লাহ্‌ যদি তার জ্ঞান ফিরিয়ে দেন, তবে সে রামাযানের ছিয়াম ক্বাযা আদায় করবে। কিন্তু আল্লাহ্‌ যদি তার মৃত্যুর ফায়সালা করেন, তবে তার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। তবে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর যদি সার্বক্ষণিক ওযর বিশিষ্ট হয়, যেমন অতি বয়স্ক প্রভৃতি, তবে ফরয হচ্ছেঃ তার অভিভাবক তার পক্ষ থেকে প্রতিদিনের বিনিময়ে একজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করবে।

মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে শেষ তাশাহুদে পেলে কি নামাযে শামিল হবে? নাকি দ্বিতীয় জামাআত কায়েম করার জন্য অপেক্ষা করবে?

(৩০০) মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে শেষ তাশাহুদে পেলে কি নামাযে শামিল হবে? নাকি দ্বিতীয় জামাআত কায়েম করার জন্য অপেক্ষা করবে?


মসজিদে প্রবেশ করে যদি দেখে যে, ইমাম শেষ তাশাহুদে বসে আছেন, তখন যদি দ্বিতীয় জামাআত অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা থাকে, তবে নামাযে শরীক হবে না; বরং অপেক্ষা করবে। কিন্তু দ্বিতীয় জামাআত অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তাশাহুদে বসে পড়বে। কেননা বিশুদ্ধ মত হচ্ছে এক রাকাআত নামায না পেলে জামাআত পাওয়া হল না। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ