Friday, December 22, 2017

প্রশ্ন:- ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দেনমোহরের পরিমাণ কত?

প্রশ্ন:- ইসলামের দৃষ্টিতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দেনমোহরের পরিমাণ কত?
============================ 
উত্তর :- ইসলামের দৃষ্টিতে বর ও কনে উভয় পক্ষের সম্মতি ও আলোচনা সাপেক্ষে দেনমোহর নির্ধারণ করতে হয়। এর সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ কোন পরিমাণ ইসলামে নির্দিষ্ট করা হয় নি। বরং আর্থিক সক্ষমতা ও সামাজিক মর্যাদার দিকে লক্ষ রেখে তারা যত পরিমাণ দেনমোহর নির্ধারণে একমত হবে তাই শরীয়ত সম্মত বলে গণ্য হবে।
তবে যা নির্ধারণ করা হবে তা আদায় করা স্বামীর জন্য ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন:

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের ৩৮ টি বৈশিষ্ট্য (২য় পর্ব)

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য (২য় পর্ব)


চতুর্দশ পরিচ্ছেদ
জান্নাতবাসীদের খাদ্য ও পানীয়
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ وَفَٰكِهَةٖ مِّمَّا يَتَخَيَّرُونَ ٢٠ وَلَحۡمِ طَيۡرٖ مِّمَّا يَشۡتَهُونَ ٢١ ﴾ [الواقعة: ٢٠، ٢١]
“আর তাদের ঈপ্সিত পাখীর গোশ্ত নিয়ে। আর তাদের জন্য থাকবে ডাগর চক্ষুবিশিষ্টা হূর।”[1]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন:

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের ৫৮ টি বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)

সহীহ সুন্নাহ’র আলোকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)


জান্নাতের ঘ্রাণ
১. আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনিল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« من قتل معاهدا , لم يرح رائحة الجنة , وإن ريحها توجد من مسيرة أربعين عاما » . ( رواه البخاري ) .
“যে ব্যক্তি কোন যিম্মিকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না। আর জান্নাতের ঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব থেকে পাওয়া যাবে।”[2]
অর্থসহ হাদিসের বিশেষ শব্দ-তালিকা:

প্রত্যেক মুসলিম কি জান্নাতে প্রবেশ করবে, এমন কি যদি সে মুনাফিক হয় অথবা ছ্বালাত আদায় না করে অথবা শিরক করে?


প্রত্যেক মুসলিম কি জান্নাতে প্রবেশ করবে, এমন কি যদি সে মুনাফিক হয় অথবা
ছ্বালাত আদায় না করে অথবা শিরক করে?

মুনাফিক অথবা ছ্বালাত আদায় করে না অথবা শিরক করে তারা সহ সমস্ত মুসলিম কি কিছু সময় জাহান্নামে
অবস্থানের পর জান্নাতে প্রবেশ করবে? সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ এবং জাহান্নামে অনন্তকাল অবস্থান
করার বিষয়ে সাধারণ নীতি সমন্ধে আমাদের সঠিকভাবে জানা উচিত। ইহা একটি সহজ বিষয় যা একটি
সংক্ষিপ্ত হাদীছে ব্যাখ্যা করা হয়,

জাহান্নামের চিত্র!! জাহান্নাম দেখতে কেমন হবে ?

জাহান্নামের চিত্র!!


জাহান্নাম ধ্বংসের ঘরবান্দার ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন ওকৃতকার্য হওয়ার নিদর্শন হচ্ছে, তার অন্তকরণআখেরাতের স্মরন, পরকালের ভাবনায় সঞ্জীবিতও সিক্ত হয়ে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা তারনৈকট্য-প্রাপ্ত বান্দা তথা অলি-আউলিয়াদের প্রশংসাকরে বলেন : “আমি তাদেরকে এক বিশেষগুন তথাপরকালের স্মরণ দ্বারা স্বাতন্ত্র প্রদান করেছি।”অর্থাৎ পরকালীন জীবনের সুখ-দুঃখের ভাবনা।পক্ষান্তরে

জাহান্নাম থেকে বেচে থাকার ১৫ টি আমল ও পদ্ধতি সমুহ!

জাহান্নাম থেকে বেচে থাকার আমল ও পদ্ধতি সমুহ!


বিসমিল্লাহ-অসসলাতু অসসালামু আ’লা রসুলিল্লাহ —————————————— মৃত্যুর পর মানুষের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম জাহান্নাম আর এই ভয়ানক বিপদ থেকে বাচার জন্য আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল (সাঃ) অনেকগুলো পদ্ধতি আমাদের জানিয়ে গেছেন যাতে করে আমরা সবচেয়ে বড় এই বিপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারি,তার (সাঃ) বর্ণিত অসংখ্য হাদিস থেকে এ বিষয়ক ১৫ টি হাদিস উল্লেখ করা হল, কেউ ১টা হাদিসও যদি অনুসরণ করে, তবেই লেখার উদ্দেশ্য সার্থক হবে। share, tag, copy-paste করে অন্যদেরকে জানিয়ে দিবেন কারণ আপনার থেকে জেনে কেউ এই আমল করলে আপনিও এ সওয়াব পেয়ে যাবেন (মুসলিম) ### ১

জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের বিবরণ

জাহান্নাম ও তার অধিবাসীদের বিবরণ

কাফের ও মুশরিকদের যখন জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে তখন তারা জাহান্নামে বসে তাদের এ দুর্গতির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করবে। একদল তাদের পূর্বসূরীদের দুষবে। আরেক দল তাদের নেতাদের দোষ দেবে। এ প্রসঙ্গে আল কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অনেক কথা বলেছেন তার কিছু এখানে তুলে ধরলাম।

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ!

জান্নাতের প্রতি আগ্রহী ও জাহান্নাম থেকে পলায়নকারীর জন্য বিশেষ উপদেশ
জাহান্নাম ধ্বংসের ঘর
বান্দার ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন ও কৃতকার্য হওয়ার নিদর্শন হচ্ছে, তার অন্তকরণ আখেরাতের স্মরন, পরকালের ভাবনায় সঞ্জীবিত ও সিক্ত হয়ে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা তার নৈকট্য-প্রাপ্ত বান্দা তথা অলি-আউলিয়াদের প্রশংসা করে বলেন :

জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ!

জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করে যে সব কাজ:  ১. ঈমান না আনা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,  ﻻ ﻳَﺪْﺧُﻞُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺇِﻻ ﻣُﺆْﻣِﻦٌ  “ঈমানদার ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)  তিনি আরও বলেন,  ﻻ ﺗَﺪْﺧُﻠُﻮﺍ ﻥَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺣَﺘَّﻰ ﺗُﺆْﻣِﻨُﻮﺍ  “তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না।” (সহীহ্ মুসলিম,  হা/৫৪)  ২. প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

জান্নাতের পথে । ৩৩ টি প্রশ্ন ও উত্তর

জান্নাতের পথে 

undefined
بِسمِ اللَّهِ الرَّحمٰنِ الرَّحيمِ
লাভ-লোকসানের মাঝে একজন মুসলিমের একটি মূল্যবান দিন
প্রিয় ভাই!
· আল্লাহ্ তা‘আলার হক আদায়ে সচেষ্ট হোন। আল্লাহ্ তা‘আলা আপনাকে হেফাযত করবেন।
আপনি কি ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করেছেন? ফজরের সালাতে আল্লাহ্ তা‘আলার যে সকল হক রয়েছে দিবসের শুরুতে তা কি আপনি যথাযথ আদায় করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বলেছেন:

জান্নাত কেমন হবে ? জান্নাতের চিত্র!!

জান্নাতের চিত্র!!


জান্নাত নেককারদের ঘরএরশাদ হচ্ছে :“কেউ জানে না তাদের জন্য কি কি নয়নাভিরামগোপন রাখা হয়েছে। তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানস্বরূপ।” [সূরা সাজদাহ ১৭]হে মুসলমানগণ! এসো শান্তির রাজ্য-জান্নাতেরআলোচনার মাধ্যমে আমাদের অন্তর উর্বর ওআন্দোলিত করি। হতে পারে তার আলোচনা ওস্মৃতিচারণ আমাদের অন্তরে জান্নাতের আগ্রহ সৃষ্টিকরবে। যার ফলে আমরা সে সকল ভাগ্যবানদেরঅন্তর্ভুক্ত হতে পারব, যারা আল্লাহর দরবারেউপস্থিত হলে ঘোষণা আসবে :“এতে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে প্রবেশ কর।” [সূরাহিজর ৪৬]জান্নাত একমাত্র অভিষ্ঠ লক্ষ্য,কাঙ্খিত বস্তু। এরজন্য-ই

জান্নাতে যাওয়ার সহজ ১৩ টি আমল জেনে নিনঃ

জান্নাতে যাওয়ার সহজ ১৩ টি আমল  জেনে নিনঃ
★★★ প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ
করুণ(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-
শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া
রাসূলুহূ) এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন
দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। ☞ (সহিহ
মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪)
★★★ প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল
কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে
যেতে পারবেন। ☞ (সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ,
হাদিস নং- ৯৭২)
★★★ প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার
সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু
আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা
শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা
কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার
অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। ☞ (সহিহ
মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮)
সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে
যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো
পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর
এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। ☞ (সহিহ
মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩)
★★★ প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে
কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। ☞
(সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯,
সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০)
★★★ রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও
সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল
(সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। ☞ (তবরানি, সহিহ তারগিব,
হাদিস নং- ৬৫৬)
★★★ সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার
সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের
সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া
হবে। ☞ (সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১)
★★★ সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন
তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না।
☞ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২)
★★★ সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০
বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০
বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল
মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন
কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। ☞ (নাসাই,
সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১)
★★★ বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল
হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত,
বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ
করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ
মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং
জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে।
☞ (তিরমিজি, হাদিস নং- ৩৪২৮,৩৪২৯)
★★★ বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে
আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে
প্রবেশ করাবেন। ☞ (ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯,
সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬)
★★★ প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা
মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে
দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি
আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। ☞
(সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ৬০০৭)
★★★ মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫ ওয়াক্ত সলাত
২- রমজানের সিয়াম, ৩- লযযাস্থানের হেফাজত,
৪- স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে
কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। ☞
(সহিহ ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪১৬৩ )
★★★ ফজরের সলাত আদায় করে
বসে দোয়া জিকির পাঠ করুণ এবং সূর্য উঠে
গেলে ২ রাকাত ইশরাকের সলাত আদায় করুণ এতে
প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ ও উমরার সওয়াব
পাবেন। ☞ ( তিরমিজি, তারগিব হাদিস নং- ৪৬১)
.
(বি দ্রঃ শির্ক, বিদআত ও হারাম ভক্ষণ থেকে দূরে
না থাকলে কোন দোয়াই কবুল হয় না)

জান্নাতে যাওয়ার জন্য কতটুকু আমাল প্রয়োজন ?

জান্নাতে যাওয়ার জন্য কতটুকু আমাল প্রয়োজন ?

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদাত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন । এবং তিনি তাঁর ইবাদাত
আনুগত্যকে মানুষের দৈনন্দিন মুআমালাত মুআশারাত সমস্ত কিছুর ভিতরেই দিয়ে দিয়েছেন এবং এর সীমারেখাও
দিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বৈরাগ্যবাদের নামে , সুফিবাদের নামে ,
যুহদের নামে , সমাজ-সংসারের দ্বায়িত্ব কর্তব্য ভুলে শুধু ইবাদাত , জিকির-আযকার , খানকা , চিল্লা নিয়ে পড়ে
থাকতে চায় । তাদের এই নীতি ইসলামের সাথে কতটুকু সম্পর্ক রাখে আজকে আমরা তাই যাচাই করে
দেখবো । আরও দেখবো একজন মানুষকে জান্নাতে যাবার জন্য কতটুকু আমাল করতে হবে । আসুন আমরা আজকে এমনই কিছু হাদীস নিয়ে আলোচনা করি ……

কুরআনের আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম

কুরআনের আলোকে জান্নাত ও জাহান্নাম
ক. জান্নাত
جنة এক বচন, বহুবচনে  جنات, অর্থ ঘন সন্নিবেশিত বাগান, বাগ-বাগিচা। আরবীতে বাগানকে روضة (রওদ্বাতুন) এবং حديقة (হাদীকাতুন) ও বলা হয়। কিন্তু جنات (জান্নাত) শব্দটি আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীনের নিজস্ব একটি পরিভাষা। পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা আল্লাহ রব্বুল ‘আলামীন তাঁর অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। যা দিগন্ত বিস্তৃত নানা রকম ফুলে ফুলে সুশোভিত সুরম্য অট্টালিকা সম্বলিত মনোমুগ্ধকর বাগান; যার পাশ দিয়ে প্রবাহমান বিভিন্ন ধরনের নদী-নালা ও ঝর্ণাধারা। যেখানে চির বসন্ত বিরাজমান।
আমরা জান্নাতকে জান্নাতও বলে থাকি। জান্নাত ফার্সী শব্দ। এখানে

জান্নাতে প্রবেশের ২৩ টি চাবী

জান্নাতে প্রবেশের চাবীসমূহ! সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্যে যিনি আমাদেরকে পূর্ণ মুসলমান করে সৃষ্টি করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণের উপর। সম্মানীত পাঠকবৃৃন্দ! +আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ
করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদতের লক্ষ্যে। 

জান্নাতে প্রবেশ করার ২৫ টি সহজ উপায়!

জান্নাতে প্রবেশ করার ২৫ টি সহজ উপায়

undefined
১. শাহাদাত ও শিরক হতে বিরত থাকাঃ জান্নাতে প্রবেশের প্রথম উপায় হলো: শাহাদাত অর্থাৎ একথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর সত্য কোন ইলাহ নেই, যিনি একক, যার কোন শরীক নেই। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সুতরাং যে ব্যক্তি ইসলামের এ সাক্ষ্য প্রদান করবে, এর যাবতীয় আরকান পালন করবে, আর এক অদ্বিতীয় আল্লাহর ইবাদাত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
‘‘যে ব্যক্তি এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে,

কোন ব্যক্তি কি জান্নাত অথবা জাহান্নামে ঢোকার পর আবার বের হয়ে আসবে ? অবিশ্বাসীদের ভাল কাজের পুরস্কার কি হবে ?

6dd3f-merun414314copy_new9

কোন ব্যক্তি কি জান্নাত অথবা জাহান্নামে ঢোকার পর আবার বের হয়ে আসবে ? অবিশ্বাসীদের ভাল কাজের পুরস্কার কি হবে ?

যিনি (২১৩৬৫) নং প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদন করছি । সূরা হুদ এর দু’টি আয়াত
(১০৬ এবং ১০৭) সম্বদ্ধে আপনি বলেছেন যে , জাহান্নামী লোকেরা সেখানে চিরদিন থাকবে এবং
কখনও এর থেকে বাইরে আসতে পারবে না । কিন্তু , আমি স্বাহীহুল বুখারীতে পড়েছি (Book 2, 12, 72)
যে , আল্লাহ তায়ালা কিছু জাহান্নামী লোকের উপর দয়া করবেন এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন
কারণ তাদের অন্তরে তাঁর প্রতি ঈমান ছিল । দুটির মধ্যে মধ্যে কোনটি সঠিক ?

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ