Monday, January 29, 2018

মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান

মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪)
রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং

মহিলাদের মহিলা ইমাম এর পেছনে নামাজপড়ার গুরুত্ব ওতাৎপর্য.

মহিলাদের মহিলা ইমাম এর পেছনে নামাজপড়ার গুরুত্ব ওতাৎপর্য.মহিলাদের জামায়াতে একজন মহিলা ইমামহয়ে নামাজ পড়াবেন । এটাই ইসলামেরবিধান। এই বিষয়ে অনেকেই তেমন কিছুজানেন না । আজ এইপোস্টে এসম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলেধরবো । এই পোস্টে মহিলা বলতে সব বয়সেরমেয়ে বা Female-কে বুঝানো হচ্ছে ।মুক্তাদীবলতে ইমামেরপেছনে নামাজ পড়া লোককে বোঝানোহয়েছে ।মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজপড়ার বিষয়ে #মাযহাবের_ইমামদের_মত :#হানাফি মাযহাবের মত

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত
ভূমিকা
حمدالله وصلاة وسلاماعلى سيدنا محمد بن عبد الله……………..
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্লাহ তা’আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই

মসজিদের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ আদব

মসজিদের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ আদব
MASJID
মুসলিম হিসেবে মসজিদের সাথে আমাদের সম্পর্ক
অত্যন্ত নিবিড়। প্রতিদিন আমাদেরকে ৫বার মসজিদে
নামাযের উদ্দেশ্যে যেতে হয়। তাই মসজিদ
সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমাদের
জানা থাকা দরকার। কিছু বিষয়ে আমাদের সচেতনতা
দরকার। তাই নিম্নে কুরআন ও হাদীসের আলোকে
মসজিদের কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ আদব উল্লেখ করা হল।
আশা করি বিষয়টি আমাদেরকে মসজিদ সম্পর্কে আরও
যত্নশীল ও সচেতন হতে সাহায্য করবে।
১. মসজিদ তৈরি করার মর্যাদা:

মসজিদ সম্পর্কীত মাসআলা, মসজিদে ছালাতের ফযীলত, মসজিদের আদব

মসজিদ সম্পর্কীত মাসআলা, মসজিদে ছালাতের ফযীলত, মসজিদের আদব

মসজিদে ছালাতের ফযীলত :
(১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকটে প্রিয়তর স্থান হ’ল মসজিদ এবং নিকৃষ্টতর স্থান হ’ল বাজার’। [46]
(২) ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় (পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতে) মসজিদে যাতায়াত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারী প্রস্ত্তত রাখেন’। [47]
(৩) তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশী নেকী পান ঐ ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে দূর থেকে মসজিদে আসেন এবং ঐ ব্যক্তি বেশী পুরস্কৃত হন, যিনি আগে এসে অপেক্ষায় থাকেন। অতঃপর

মসজিদ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল

মসজিদ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল


মসজিদের বিধানসমূহ
এক- মসজিদসমূহ পরিষ্কার করা, মসজিদ
সুগন্ধময় রাখা এবং মসজিদ সংরক্ষণ করা।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে হাদিস
বর্ণিত, তিনি বলেন,
‏« ﺃﻣﺮ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﺑﺒﻨﺎﺀ ﺍﻟﻤﺴﺎﺟﺪ
ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻭﺭ ﻭﺃﻥ ﺗﻨﻈﻒ، ﻭﺗﻄﻴﺐ ‏»
“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
আমাদেরকে বিভিন্ন
বাড়ীতে বাড়ীতে (তথা এলাকায়)
মসজিদ বানানো ‏[1‏]
এবং মসজিদকে পরিষ্কার করা ও সুগন্ধময়
করার নির্দেশ দেন”। ‏[2‏]
সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত
তিনি তার ছেলের নিকট এ বলে
চিঠি লেখেন-

বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ

বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ : রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখে। আবু হাযেম বলেন, এটা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হত বলে আমি জানি। (ছহীহ বুখারী হা/৭৪০, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৪, ২য় খণ্ড, পৃঃ ১০২)। মূলতঃ পুরো ডান হাতের উপর বাম হাত রাখলে বুকের উপরই চলে যায়। ‘অনুরূপ ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাত বাম হাতের পাতা, হাত ও বাহুর উপর রাখতেন। যা ছহীহ সনদে আবুদাঊদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। এই পদ্ধতিই আমাদের জন্য অপরিহার্য করে যে হাত রাখতে হবে বুকের উপর। যদি আপনি এটা বুঝেন এবং এর প্রতি আমল করেন। অতএব আপনি চাইলে যাচাই করতে পারেন। আর এ সম্পর্কে যা জানা উচিত তা হল, বুকের উপর ছাড়া অন্যত্র হাত বাঁধার বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ হিসাবে সাব্যস- হয়নি। যেমন

ফরয নামাজে জোরে আমিন বলার হাদিস সমুহ

ফরয নামাজে জোরে আমিন বলার হাদিস সমুহ


রাসুলুল্লাহ(সাঃ) উচ্চস্বরে আমীন বলতেনরাসুলুল্লাহ(সাঃ) উচ্চস্বরে আমীন বলতেন সাথেসাথে পিছনের লোকেরাও উচ্চস্বরে আমীনবলতেন।জেহরী ছালাতে ইমামের সূরায়ে ফাতিহাপাঠ শেষে ইমাম-মুক্তাদী সকলে সরবে‘আমীন’ বলবে। ইমামের আগে নয় বরং ইমামের‘আমীন’ বলার সাথে সাথে মুক্তাদীর ‘আমীন’বলা ভাল। তাতে ইমামের পিছে পিছে মুক্তাদীরসূরায়ে ফাতিহা পাঠ করা সম্ভব হয় এবং ইমাম, মুক্তাদী ওফেরেশতাদের ‘আমীন’ সম্মিলিতভাবে হয়।যেমন এরশাদ হয়েছে

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

ফরয নামাযের সালাম শেষে
প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার,
না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?
লেখক: আব্দুর রাকীব মাদানী
দাঈ, দাওয়া’হ সেন্টার খাফজী,
সউদী আরব।
১-বিষয়টি অবতারণার কারণঃ
আমরা জানি, আমাদের সমাজে নামায
শিক্ষার সময় সাধারণতঃ এই শিক্ষা
নেওয়া হয় বা দেওয়া হয় যে,
ফরয স্বালাতে সালাম ফিরানোর পর
প্রথমে এক বার সশব্দে আল্লাহু
আকবার বলতে হবে অতঃপর
নিরবে তিন বার আস্তাগফিরুল্লাহ এবং
আমাদের আহলুল হাদীস
সমাজের বিভিন্ন মসজিদে

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
প্রশ্নঃ (১৮৪) ইসলামে ছালাতের বিধান কি? কার উপর ছালাত ফরয?
উত্তরঃ ছালাত ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রুকন; বরং এটা কালেমায়ে শাহাদাতের পর দ্বিতীয় রুকন। এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটা ইসলামের মূল খুঁটি। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার কিছু কার্যকরী কৌশল:

ফজরের সালাতের জন্য জেগে উঠার কিছু
কার্যকরী কৌশল:
আমরা যারা নিয়মিত সালাত আদায় করার চেষ্টা
করি, আমাদের সবগুলো সালাত ঠিক থাকলেও
‘ফজরের সালাত’ নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়।
অনেকেই অনেক চেষ্টা করেও পারি না
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে। কীভাবে করা যায় এ
সমস্যার সমাধান? আমি শুধু দু’ একদিনের কথা বলছি
না, বলছি প্রতিদিনকার কথা। আসুন জেনে নেই এ
ব্যাপারে কিছু কার্যকরী কৌশল।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমরা যখন প্রতিদিন সূরা

প্রচলিত নামাজ বনাম রাসুলুল্লাহ সঃ এর নামাজ!!

প্রচলিত নামাজ বনাম রাসুলুল্লাহ সঃ এর নামাজ!!


আল্লাহর হেদায়েতকিভাবে পাবো এবংসহীহ নামাজকিভাবে পড়বো?যাচাই করুন হাদীসদ্বারা !ﻭَﺃَﻧﻔِﻘُﻮﺍ ﻣِﻦ ﻣَّﺎ ﺭَﺯَﻗْﻨَﺎﻛُﻢ ﻣِّﻦ ﻗَﺒْﻞِ ﺃَﻥ ﻳَﺄْﺗِﻲَ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢُ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﺭَﺏِّ ﻟَﻮْﻟَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺗَﻨِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻗَﺮِﻳﺐٍ ﻓَﺄَﺻَّﺪَّﻕَ ﻭَﺃَﻛُﻦﻣِّﻦَ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَআমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকেমৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সেবলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরওকিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলেআমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদেরঅন্তর্ভুক্ত হতাম। (সূরা মুনাফিকুন-১০)ﻛَﻴْﻒَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻗَﻮْﻣًﺎ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﺑَﻌْﺪَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻭَﺷَﻬِﺪُﻭﺍْ ﺃَﻥَّﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﺣَﻖٌّ ﻭَﺟَﺎﺀﻫُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻴِّﻨَﺎﺕُ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻻَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡَﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَকেমন করে আল্লাহ এমন জাতিকে হেদায়েতদান করবেন, যারা ঈমান আনার পর এবংরসূলকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর এবং

পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর

পবিত্রতা সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৬২টি প্রশ্নোত্তর

(ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)
অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী
প্রশ্নঃ (১২১) অপবিত্রতা ও বাহ্যিক নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা অর্জন করার প্রকৃত মাধ্যম কি?
উত্তরঃ যে কোন নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। পানি ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। চাই উক্ত পানি পরিচ্ছন্ন হোক বা পবিত্র কোন বস্তু তাতে পড়ার কারণে তাতে কোন পরিবর্তন দেখা যাক। কেননা বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, পবিত্র কোন বস্তুর কারণে যদি পানির মধ্যে পরিবর্তন দেখা যায়, তবে তাকে পানিই বলা হবে। এর পবিত্র করণের ক্ষমতা বিনষ্ট হবে না। এই পানি নিজে পবিত্র অন্যকেও পবিত্র করতে পারে।
পানি যদি না পাওয়া যায় বা পানি ব্যবহার করলে ক্ষতির আশংকা দেখা যায়, তবে তায়াম্মুমের দিকে অগ্রসর হবে। দু’হাত মাটিতে মেরে তা দ্বারা মুখমন্ডল মাসেহ করবে এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে।
আর বাহ্যিক ও প্রকাশ্য নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা

পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে

পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে


পেশাব করার পর মনে হয় কয়েক ফোটা বের হয়েছে
প্রশ্ন :
জনৈক ব্যক্তি পেশাব শেষ করে পেশাবের স্থান ধৌত করে নেয়। কিন্তু যখনই সে নড়াচড়া করে ও দাঁড়ায়, তখন অনুভব হয় যে, কয়েক ফোটা পেশাব বের হয়েছে। এ জন্য সে দীর্ঘ সময় পেশাবের স্থানে বসে থাকে আর বলে : কি করব ? সে কি তার এ অনুভূতি ও ধারণা ত্যাগ করে অযূ পূর্ণ করে নেবে ? না, পরিপূর্ণ পেশাব বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ? আশা করি উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাদের কল্যাণ করুন।

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী প্রশ্ন: আসরের ওয়াক্ত কখন শেষ হয়? বিশেষ করে ঘড়ির কাঁটার হিসেবে?

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময়সূচী
প্রশ্ন: আসরের ওয়াক্ত কখন শেষ হয়?
বিশেষ করে ঘড়ির কাঁটার হিসেবে?
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর
বান্দাদের উপর দিবানিশি মোট ৫ ওয়াক্ত
সালাত ফরজ করেছেন।
সাথে সাথে এগুলো আদায়ের জন্য তাঁর
সুসামঞ্জস্যপূর্ণ হেকমত
অনুযায়ী পাঁচটি সময়ও নির্ধারণ
করে দিয়েছেন, যাতে করে বান্দাহ্ এ
সময়ানুবর্তিতার মাধ্যমে তার
প্রতিপালকের সাথে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক
বজায় রাখতে পারে। এটা মানব অন্তরের
জন্য অনেকটা বৃক্ষের গোড়ায়
পানি সিঞ্চনের মত বিষয়। বৃক্ষকে যেমন

নামাযে প্রচলিত ভুল-ত্রুটি (ওযুর ভুল-ত্রুটি সহ)

সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত ছালাত আদায় করার ক্ষেত্রে মুমিন সর্বাধিক সতর্ক হবে। যথাসম্ভব নির্ভূলভাবে ছালাত সম্পাদন করতে সচেষ্ট হবে। ছালাতের ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত এবং ছালাতের পূর্বাপর বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিশুদ্ধভাবে পালন করবে। তার ছালাত নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ছালাতের সাথে মিলছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কি? বর্তমানে মুসলমানদের ছালাতের অবস্থা দেখলে মনে হয়না যে তারা ছালাতের মত শ্রেষ্ঠ ইবাদতটি আদায় করছেন না কি করছেন? দেখা যায় অধিকাংশ লোকের ছালাত বিভিন্ন ধরণের ভুলে ভরা।আমরা নিম্নে এমন কিছু ভুল-ত্রুটির উল্লেখ করছি যেগুলো মুছল্লীদের মধ্যে দেখা যায়; অথচ তা থেকে সতর্ক থাকা সকলের জন্য জরুরী
১) তাড়াহুড়া করে ওযু করাঃ নামায ধরার জন্য তাড়াহুড়া করে ওযু করার কারণে অনেক সময় কোন কোন স্থানে পানি পৌঁছে না। শুকনা রয়ে যায় বিভিন্ন অঙ্গের কোন কোন স্থান। অথচ কোন স্থান শুকনা থেকে গেলে সেই ওযু দিয়ে ছালাত বিশুদ্ধ হবে না।
২) পেশাব ও পায়খানার চাপ রেখে ছালাত আদায় করাঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

নামাজের শারীরিক/ স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

নামাজের শারীরিক/ স্বাস্থ্যগত উপকারিতা

আমরা অনেকেই হয়ত জানি সালাত অর্থাৎ নামাজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শারীরিক উপকারিতা। আর মুসলিম হিসেবে আপনি এটাও হয়তো জেনে থাকবেন যে, নামাজের শ্রেষ্ঠতম অংশ হল সিজদা।
তাই এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই যে পবিত্র কোরআনে সিজদা শব্দটি কম করে হলে ও ৯০ বার উল্লেখ করা হয়েছে। একবার ভেবে দেখুন কিভাবে সিজদা করি আমরা। স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যখন দাড়িয়ে থাকি বা বসে থাকি তখন আমাদের ব্রেইনে রক্ত পৌছায় ঠিকই, কিন্তু

নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ


নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুলল্লাহ।
সম্মানিত বন্ধুরা, আজ আমরা জানব কুরআনও সহীহ
হাদীসের আলোকে নামাযের ফযীলত সম্পর্কে ২৫টি সুসংবাদ।
বিষয়টি ইনশাআল্লাহ আমাদেরকে নামাযে আরও যত্নবান হওয়ার ক্ষেত্রে
সাহায্য করবে। তাহলে আসুন আমরা বিষয়টি একটু মনোযোগ সহকারে পড়ি। আল্লাহ
আমাদের সবাইকে নামাযী হিসেবে কবুল করে সৌভাগ্যশালীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমীন।

নামাজ কি শুরু করবেন একটি বিদাতের মাধ্যমে?

নামাজ কি শুরু করবেন একটি বিদাতের মাধ্যমে?

এশার ফরজ নামাজের নিয়ত “আমি ক্বিবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে এশার চার রাকাআত ফরয নামায এই ইমামের পিছনে আদায় করবার জন্য নিয়ত করলাম – আল্লাহু আকবর”। আমাদের সমাজের       প্রচলিত হুজুর সাহেবেরা আমাদেরকে যে আরবী নিয়তটি মুখস্থ করিয়েছেন, তার বাংলা অর্থ হল এইরুপ।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি

নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামায আদায়ের পদ্ধতি

( صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ ) رواه البخاري

অর্থঃ “তোমরা সেভাবে নামায আদায় কর, যে ভাবে আমাকে নামায আদায় করতে দেখ।” বুখারী
 ১. সুন্দর ও পরিপূর্ণভাবে ওযু করবে :
আল্লাহ্‌ পাক কুরআনে যে ভাবে ওযু করার নির্দেশ প্রদান করেছেন সে ভাবে ওযু করাই হলো পরিপূর্ণ ওযু। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা এ সম্পর্কে এরশাদ করেন :
 ” হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাযের উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান হও তখন (নামাযের পূর্বে) তোমাদের মুখমন্ডল ধৌত কর এবং হাতগুলোকে কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও, আর মাথা মসেহ কর এবং পা গুলোকে টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে ফেল।” [সূরা মায়েদাহ – ৬] এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ হলো :

ত্বাহারাত বা পবিত্রতা< ওযূর ফযীলত

ত্বাহারাত বা পবিত্রতা< ওযূর ফযীলত

ছালাতের আবশ্যিক পূর্বশর্ত হ’ল ত্বাহারাত বা পবিত্রতা অর্জন করা। যা দু’প্রকারের : আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক, অর্থাৎ দৈহিক। ‘আভ্যন্তরীণ পবিত্রতা’ বলতে বুঝায় হৃদয়কে যাবতীয় শিরকী আক্বীদা ও ‘রিয়া’ মুক্ত রাখা এবং আল্লাহর ভালবাসার ঊর্ধ্বে অন্যের ভালবাসাকে হৃদয়ে স্থান না দেওয়া। ‘দৈহিক পবিত্রতা’ বলতে বুঝায় শারঈ তরীকায় ওযূ, গোসল বা তায়াম্মুম সম্পন্ন করা। আল্লাহ বলেন, إِنَّ اللهَ يُحِبُّ التَّوَّابِيْنَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِيْنَ (البقرة ২২২)- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ (অন্তর থেকে) তওবাকারী ও (দৈহিকভাবে) পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ 

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ﻭَﻣِﻦَ ﭐﻟَّﻴۡﻞِ ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪۡ ﺑِﻪِۦ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔٗ ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰٰٓ ﺃَﻥ ﻳَﺒۡﻌَﺜَﻚَ
ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣٗﺎ ﻣَّﺤۡﻤُﻮﺩٗﺍ ٧٩ ﴾ ‏( ﺍﻻﺳﺮﺍﺀ : ٧٩ ‏)
অর্থাৎ রাত্রির কিছু
অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর;
এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য।
আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক
তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন
প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল
৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,

তাহাজ্জুদ নামাজ :বান্দাদের প্রতিআল্লাহ পাকের অসাধারণ একটি উপহার

তাহাজ্জুদ নামাজ :বান্দাদের প্রতিআল্লাহ পাকের অসাধারণ একটিউপহার  
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হরহামেশাএ নামাজ নিয়মিতিভাবে পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদনামাজের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে । যেহেতু উম্মতকে নবীর অনুসরণকরার হুকুম করা হয়েছে সে জন্যে তাহাজ্জুদের এ তাকীদ পরোক্ষভাবে গোটাউম্মতের জন্য করা হয়েছে।“এবং রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামায পড়তে থাক। এ তোমার জন্যেআল্লাহর অতিরিক্ত ফযল ও করম। শীঘ্রই আল্লাহ তোমাকে উভয় জগতে বাঞ্ছিতমর্যাদায় ভূষিত করবেন” (বনি ইসরাইল :৭৯)যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদের নামায আদায় করে

জুম’আর হুকুম ও ইতিকথা

জুম’আর হুকুম ও ইতিকথা

জুম’আর সালাত ফরজ; তবে ঐ সব পুরুষদের জন্য, যাদের উপর জামা’আতে সালাত আদায় করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا إِذا نودِىَ لِلصَّلوٰةِ مِن يَومِ الجُمُعَةِ فَاسعَوا إِلىٰ ذِكرِ اللَّهِ وَذَرُوا البَيعَ ۚ ذٰلِكُم خَيرٌ لَكُم إِن كُنتُم تَعلَمونَ
“হে মু’মিনগণ! জুম’আর দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে তখন তোমরা আল্লাহর স্মরনে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় ত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর।” (সূরা জুম’আঃ৯)
উল্লেখ্য যে, فَاسعَوا  ‘ফাস’আউ’ শব্দের অর্থ এখানে দৌড়ানো উদ্দেশ্য নয়। অর্থাৎ আযান হওয়া মাত্র সকল কাজ বাদ দিয়ে সালাত আদায়কে সবকিছুর উপর গুরুত্ব ও প্রাধান্য দিতে হবে। এখানে এই অর্থই বোঝানো হয়েছে। সালাতে দৌড়ে আসতে হবে- এটা বুঝান হয়নি। কারণ দৌড়ে এসে সালাতে শরীক হওয়ার ব্যপারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা আছে। সালাতে আসতে হয় খুশু-খুযু, ভয়-ভীতি ও বিনয়ের সঙ্গে।

জুম’আর নামকরণ

জুম’আর বিবিধ মাসআলা

জুম’আর বিবিধ মাসআলা

প্রশ্নঃ জুম’আর ফরজের আগে ও পরে কত রাকআত সালাত আদায় করব?
উত্তর- আমরা সকলেই জানি যে, জুম’আর ফরজ হল ২ রাকআত। আর সুন্নাত হল- ফরজের আগে দুই রাকআত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) এবং পরে চার রাকআত বা দুই রাকআত। আর বাইরে ফরজের আগে অতিরিক্ত নির্দিষ্ট সংখ্যক কোন সালাত নেই। তএ দুই দুই রাকআত করে যে যত রাকআত ইচ্ছা নফল হিসেবে আদায় করতে পারে। উল্লেখ্য যে, প্রচলিত কাবলাল জুম’আ শিরোনামে চার রাকআত বিশিষ্ট কোন সালাত সহীহ হাদিসে পাওয়া যায় না। খুৎবার আগে এক সালামে চার রাকআত আদায়ের পক্ষে দলীল হিসাবে আনীত হাদিসটির সনদ খুবই দুর্বল যা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কমপক্ষে দুই রাকআত ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ সালাত পড়তেই হবে। এমনকি ইমাম সাহেবের খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলেও। তবে যারা আগে থেকেই দুই রাকআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ সালাত আদায় করে বসে আছেন, তারা খুৎবার সময় কোন নামাজ পড়বে না।
অতঃপর জুম’আর ফরজের পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) চার রাকআত সালাত আদায় করতে বলেছেন (মুসলিমঃ ১৯১৩ ইফা)।
তবে আব্দুল্লাহ(রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে পাওয়া যায় যে,
নবী (সাঃ) জুম’আর নামাজ পড়ে ফিরে এসে নিজ বাড়িতে দুই রাকআত নামাজ পড়তেন (মুসলিমঃ ১৯১৬ ইফা)।
আরেকটি হাদীসে সুহাইল (রাঃ) বলেন,
তোমরা তাড়াহুড়া থাকলে মসজিদে দুই রাকআত এবং (বাড়িতে) ফিরে গিয়ে দুই রাকআত পড়ো (মুসলিমঃ ১৯১৪ ইফা)।
এ থেকে ইজতিহাদ করে ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা (রাঃ) বলেছেন যে, ফরজের পর মসজিদে হলে চার রাকআত আর বাড়িতে হলে দুই রাকআত সুন্নাত নামাজ পড়বে।

প্রশ্নঃ জুম’আর সালাত পড়া অবস্থায় যদি কোন মুক্তাদির ওযু ছুটে যায় তখন কি করবে?
উত্তর- মসজিদ থেকে বের হয়ে যাবে (এমন ভঙ্গীতে যেন নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে)। নতুন ভাবে ওযু করে ফিরে এসে যদি দ্বিতীয় রাকআতের রুকু পাওয়া যায় তাহলে এক রাকআত পাওয়া গেল বলে গন্য হবে। অতঃপর ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে আরেক রাকআত নিজে নিজে পড়ে নেবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাআতের রুকু না পায়, সিজদা বা তাশাহুদের বৈঠকে শরীক হয় তাহলে জুম’আ পেল না। সেক্ষেত্রে সে যোহরের নিয়ত করে (“নিয়ত পড়ে না”) চার রাকআত আদায় করবে।
প্রশ্নঃ নামাজরত অবস্থায় যদি ইমামের ওযু ছুটে যায় তাহলে তিনি কি করবেন?
উত্তর- পেছন থেকে একজনকে টেনে এনে ইমামের জায়গায় দাঁড় করিয়ে ওযু করতে চলে যাবেন। ওযু শেষে পূর্বের নিয়মে বাকি নামাজ আদায় করবেন।
প্রশ্নঃ ইমাম যদি বিনা অযুতে সালাত আদায়ের পর মনে হয় যে, তার ওযু ছিল না া ওজু ছুটে গিয়েছিল তখন কি হবে?
উত্তর- মুক্তাদীদের সালাত আদায় হয়ে যাবে। তবে ইমাম সাহেব যোহরের ফরজের নিয়তে একা চার রাকআত পড়ে নেবেন।
প্রশ্নঃ ঈদ ও জুম’আ একই দিনে হলে জুম’আ পড়ার হুকুম কি?
উত্তর- এমন হলে যার ইচ্ছা সেদিন জুম’আ পড়বে। আর না পড়লে গুনাহ হবে না। তবে জুম’আ না পড়লে যোহরের সালাত আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য যে, জুম’আর দিন ঈদ হলে ইমামের জন্য জুম’আর সালাত আদায় করা বাধ্যতামূলক।
প্রশ্নঃ মহিলাদের জুম’আয় শরীক হওয়া কি যায়েজ আছে?
উত্তর- জুম’আয় অংশ গ্রহন মেয়েদের জন্য ফরজ নয়। তবে কোন নিষেধ ও নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জামানায় মুহাজির মহিলাগণ নবীজি (সাঃ) এর পেছনে জুম’আর সালাত আদায় করতেন।
জুম’আয় শরীক হওয়ার মধ্যে মেয়েদের জন্য কল্যানের ভাগই বেশী। কারণ দ্বীন শিক্ষার সুযোগ সুবিধা মেয়েদের জন্য ততটুকু নেই যতটুকু পুরুষদের আছে। কলেজ ইউনিভার্সিটি শিক্ষায় তারা অগ্রসর হলেও কুরআন ও হাদীসের শিক্ষায় তারা অনেক পেছনে। কমপক্ষে সাপ্তাহিক একটি খুৎবায় তারা ধর্মীও নিরক্ষরতা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারে। দ্বীনী ইলমের আলো তারা পেলে পারিবারিক জীবন আরও সুন্দর এবং ছেলে মেয়েদেরকে দ্বীনী পথে মানুষ করার কাজ সহজ হবে। সে লক্ষ্যে নারীদের মসজিদে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ও মসজিদে তাদের আলাদা জায়গা রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য একটি মহৎ কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এ হিসাবে তারা সওয়াবও পাদেন, ইনশাআল্লাহ। শুধু একটা শর্ত যে, মহিলারা পূর্ণ পর্দার সাথে ও সর্বাঙ্গীণ শালীনতা বজায় রেখে মসজিদে গমনাগমন করবেন।
লেখকঃ অধ্যাপক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম
সূত্রঃ বই-প্রশ্নোত্তরে জুমু’আ ও খুৎবা
পরিমার্জনেঃ ডঃ মোহাম্মদ মনজুরে ইলাহী, ডঃ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, ডঃ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ

উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য জুম’আর দিনের ফযীলত সমূহ

 ১) সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা হলঃ
(ক) এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল,
(খ) এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল,
(গ) একই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল [মুসলিমঃ৮৫৪],
(ঘ) একই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল,
(ঙ) এই দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছিল,
(চ) এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল [আবু দাউদঃ১০৪৬],
(ছ) এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে,
(জ) এই দিনেই কিয়ামত হবে,

জুম’আর নামাজের ৩৮ টি আদব


১) জুম’আর দিন গোসল করা। যাদের উপর জুম’আ ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল (সাঃ) ওয়াজিব করেছেন(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।
২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)
৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)
৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)
৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)
৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)
৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)
৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)

জুমুআর নামাজ, খুতবা, আদব ও বিদআত সমুহের বিস্তারিত মাসআলা মাসায়েল

জুমুআর নামাজ, খুতবা, আদব ও বিদআত সমুহের বিস্তারিত মাসআলা মাসায়েল


জুমু‘আর দিনের বিধান ভূমিকা জুমু‘আর দিন একটি বরকত পূর্ণ দিন। আল্লাহ তা‘আলা এ দিনটিকে সমস্ত দিনের উপর ফযিলত দিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে নেয়ামত স্বরূপ নির্বাচন করেছেন। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের এ দিবসটি থেকে আল্লাহ তা‘আলা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ফলে তারা এ দিবসটি সম্পর্কে ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। শনিবার ও রবিবারের তুলনায় জুমু’আর দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য ঘটনা রাজির জন্ম দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে অনেক কিছুই এ দিবসটিতে সংঘটিত হয়েছে। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের- উম্মতে মুহাম্মদী-কে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু’আর দিনের প্রতি পথ দেখান। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় সাহাবী হতে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

জামাআতের গুরুত্ব, পরিপ্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ

জামাআতের গুরুত্ব, পরিপ্রেক্ষিত বর্তমান সমাজ
আল্লাহ তাআলা সালাতের মর্যাদা সমুন্নত করেছেন। পবিত্র কুরআনের বহু জয়গায় সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন । সালাতের প্রতি যত্নবান ও জামাআতভুক্ত হয়ে সালাত আদায়ের আদেশ করেছেন। সালাতকে গুরুত্বপূর্ন ইবাদত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ও আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:—
 وأقيموا الصلاة وآتوا الزكاة واركعوا مع الراكعين – سورة البقرة :43
আর সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং সালাতে রুকুকারীদের সাথে রুকু কর। (বাকারা-৪৩)
আর এর প্রতি অবমাননা এবং তা আদায়ে অলসতা মুনাফিকের আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে :—
إن المنافقين يخادعون الله وهو خادعهم وإذا قاموا إلى الصلاة قاموا كسالى – سورة النساء :142
মুনাফিকরা অবশ্যই প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে অথচ তারা প্রকারান্তরে নিজেদেরই প্রতারিত করছে । বস্তুতঃ তারা যখন সালাতে দাড়ায় তারা দাড়ায় একান্ত শিথিলভাবে। (সূরা নিসা-১৪২)
অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে :—

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি- বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল।

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি- বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহূ বসে সালাত করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকে। কারণ অনেকেই এর বিবিধ অবস্থা ও চেয়ারে বসে সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। তাই নিম্নে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আল্লাহর নামে, আর যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, অতঃপর এটি একটি বুকলেট যাতে এমন এক মাসআলার অবতারণা করা হয়েছে যা সাধারনত খুব কম আলেমই আলোচনা করেছেন। চেয়ারে বসে সালাত আদায়কারীদের বিবিধ বিধান এখানে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে তারা কিভাবে জামাতের সাথে সালাত আদায় করবে তার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসল্লিগণ যাতে বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে তাদের সালাত আদায় করতে পারে এবং ভুল- ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে পারে। কেননা আমরা জানি যে,

কোন ব্যক্তি কখন নামায বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে এবং নামায বর্জন করার হুকুম কি?

কোন ব্যক্তি কখন নামায বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে এবং নামায বর্জন করার হুকুম কি?


কোন ব্যক্তি কখন নামায বর্জনকারী হিসেবে গণ্য হবে এবং নামায বর্জন করার হুকুম কি?
প্রশ্ন: নামায বর্জনকারী কি সম্পূর্ণভাবে অমুসলিম হিসেবে গণ্য হবে? যে ব্যক্তি দুই ঈদের নামায পড়ে, কখনও কখনও জুমার নামায পড়ে, কখনও কখনও পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের কোন ওয়াক্ত পড়ে সে ব্যক্তি কি “যে মোটেই নামায পড়ে না” তার হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অমুসলিম হিসেবে গণ্য হবে? “মোটেই নামায পড়ে না” এ কথাটির ব্যাখ্যা কি?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।
এক:

কুরআন সুন্নাহর আলোকে নামাযের কাতারে দাড়ানো / জামায়াতে সালাত পড়তে দাড়ানো:

কুরআন সুন্নাহর আলোকে নামাযের
কাতারে দাড়ানো / জামায়াতে সালাত পড়তে
দাড়ানো:
সহীহ বুখারী শরীফে আনাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি রাসূল (সঃ)
থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূল (সঃ)
বলেছেন, “তোমরা তোমাদের কাতার
সোজা করো, কেননা, আমি
তোমাদিগকে আমার পিঠের পিছন থেকে
(বাঁকা অবস্থায়) দেখতে পাই। আনাস (রাঃ)
বলেন: (রাসূল (সঃ) এর নির্দেশের
পরিপ্রেক্ষিতে) আমাদের একজন তাঁর কাঁধ

কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে রাতের সালাত বা তাহাজ্জুদ সালাত

কুরআন ও সুন্নাহ্‌র আলোকে রাতের সালাত

প্রথম অধ্যায়: তাহাজ্জুদ ও কিয়ামুল লাইল
 প্রথম: তাহাজ্জুদের আভিধানিক অর্থ:
আরবিতে বলা হয়: “هجد الرجل” লোকটি রাতে ঘুমিয়েছে। “هجد” রাতে সালাত আদায় করেছে। আর “المتهجِّد” হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে সালাতে দণ্ডায়মান ব্যক্তি।[1]
 দ্বিতীয়: তাহাজ্জুদের হুকুম:
তাহাজ্জুদের সালাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ।[2] কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা দ্বারা তা প্রমাণিত। আল্লাহ তা‘আলা রহমানের বান্দাদের গুণাগুণ সম্পর্কে বলেন:
﴿ وَٱلَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدٗا وَقِيَٰمٗا ٦٤ ﴾ [الفرقان: ٦٤]
“আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও ‎‎দণ্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে”। [সূরা ফুরকান: (৬৪)]‎ অন্যত্র তিনি মুত্তাকীদের গুণাগুণ আলোচনায় বলেন:

কিয়ামুল লাইলের সমপরিমাণ সওয়াব কোন কোন কাজে

কিয়ামুল লাইলের সমপরিমাণ সওয়াব কোন কোন কাজে


 ভূমিকা:
সকল প্রশংসা দু’জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ তা’আলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম নাযিল হোক সর্বশেষ নবী ও রাসূল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার পরিবার ও সাথী এবং সকলের ওপর ।
অতঃপর,
কিয়ামুল লাইল বা রাতের সালাতের ফযিলত আল্লাহর নিকট বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ কোন সন্দেহ নেই। ফরয সালাতের পর এ সালাতের স্থান। এ সালাতের বৈশিষ্ট্য শুধু ব্যক্তির পাপ মোচন করা নয়, বরং পাপে লিপ্ত হওয়া থেকে হিফাযত করা। যেমন আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন:

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কেকিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কেকিছু বিধান  আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা ও নবীসাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরদুরূদ পাঠের পর আজকের আলোচনা শুরু করছি।ইবাদতের ব্যাপারে একটি মৌলিক নীতিহচ্ছে, প্রতিটি ইবাদতের জন্যশরী‘আতপ্রবর্তক আল্লাহ তা‘আলা একটিনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যাসে সময়েই আদায় করতে হয়, যদি না সেটাকেতার সময় থেকে বিশেষ আবশ্যকতা বাপ্রয়োজনের কারণে বের করে অন্য সময়েকরার ব্যাপারে দলীল-প্রমাণাদি পাওয়াযায়।আল্লাহ তা‘আলা বলেন

কিয়ামতের প্রথম প্রশ্ন সালাত: আপনি কি প্রস্তুত?

কিয়ামতের প্রথম প্রশ্ন সালাত: আপনি কি প্রস্তুত?


আজকের পোস্টে ছয়টি বিষয় আলোচিত হয়েছে:
১) ছলাতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ।
২) ফযীলত বা মর্যাদা।
৩) ইসলামে নামাযের গুরুত্ব।
৪) নামাযের বিধান।
৫) অসময়ে নামায আদায়ের ভয়াবহতা।
৬) নামাযের কয়েকটি উপকারিতা।
১) ছলাতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:
ছলাত (الصلاة) শব্দের আভিধানিক অর্থ দুআ। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় ছালাত হল, নির্দিষ্ট কিছু কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা, যা তাকবীর তথাআল্লাহু আকবা বলে শুরু করতে হয় এবং তাসলীম তথা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্বলে শেষ করতে হয়।

২) নামাযের ফযীলতঃ

ওযু, ওযুর ফজিলত, পদ্ধতি ও ভূল ত্রুটি!

ওযু, ওযুর ফজিলত, পদ্ধতি ও ভূল ত্রুটি!


বিশ্বপ্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীন
সৃষ্টিলোককে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন
কেবল একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, আর
তা হচ্ছে তাঁর দাসত্ব ও গোলামী করা। এ দাসত্ব
অনেক ভাবেই হয়ে থাকে। যেমনঃ নামায, রোযা,
হজ্জ, যাকাত, দান-সাদকাহ, কুরবানী আশা-ভরসা,
প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি। এ গুলোর মধ্যে সর্বত্তোম
ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা
অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায
গৃহীহ হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ

কবর ওয়ালা মসজিদে সালাত/নামাজ পরার হুকুম কি?


কবর ওয়ালা মসজিদে সালাত/নামাজ পরার হুকুম কি?
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু    আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রাহ.) প্রশ্নঃ কোন মসজিদে কবর থাকলে সেখানে নামায আদায় করার হুকুম কি? উত্তরঃ কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদে নামায আদায় করা দু’ভাগে বিভক্তঃ প্রথম প্রকারঃ প্রথমে কবর ছিল। পরবর্তীতে তাকে কেন্দ্র করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়াজিব হচ্ছে এই মসজিদ পরিত্যাগ করা; বরং মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা। যদি না করা হয় তবে মুসলিম শাসকের উপর আবশ্যক হচ্ছে উক্ত মসজিদ ধ্বংস করে ফেলা। দ্বিতীয় প্রকারঃ প্রথমে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। পরে সেখানে কোন মৃতকে দাফন করা হয়েছে। তখন ওয়াজিব হচ্ছে, কবর খনন করে মৃত ব্যক্তি বা তার হাড়-হাড্ডি সেখান থেকে উত্তোলন করে, মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা। এই মসজিদে শর্ত সাপেক্ষে ছালাত আদায় করা জায়েয। আর তা হচ্ছে,

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান কি ?

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার
বিধান
অধিকাংশ আলেমের মতে অযু ব্যতীত
মুসহাফ/ কুরআনুল কারিম স্পর্শ করা বৈধ নয়।
ইমাম আবু হানিফা [1] , মালিক [2] , শাফেয়ী
[3] , আহমদ ইবনে হাম্বল[4] ও শায়খুল ইসলাম
ইবনে তাইমিয়াহ [5] প্রমুখগণ এ মত পোষণ
করেছেন। সাহাবিদের ফতোয়াও তাই
ছিল। দলিল হিসেবে তারা পেশ বলেন:
১. ইয়ামানের গভর্নর আমর ইবনে হাযম
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখে পাঠান:

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ