নামাজ কি শুরু করবেন একটি বিদাতের মাধ্যমে?
এশার ফরজ নামাজের নিয়ত “আমি ক্বিবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে এশার চার রাকাআত ফরয নামায এই ইমামের পিছনে আদায় করবার জন্য নিয়ত করলাম – আল্লাহু আকবর”। আমাদের সমাজের প্রচলিত হুজুর সাহেবেরা আমাদেরকে যে আরবী নিয়তটি মুখস্থ করিয়েছেন, তার বাংলা অর্থ হল এইরুপ।
মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে মো: আব্দুল্লাহ বিন নুরউদ্দিন তাদের এলাকার একটি বড় মসজিদে এশার নামাজ পড়তে গেলেন এবং নামাযের শুরু হবার ঠিক আগে উচ্চস্বরে বলতে লাগলেন: “আমি মো: আবদুল্লাহ বিন নুরউদ্দিন আজ ০৩/০৫/২০১২ ইং তারিখে রোজ বৃহস্পপতিবার বরগুলা জেলার পাথরঘাটা থানার কা্কচিড়া ইউনিয়নের অতিব সুন্দর ও ঝকঝকে এই বাইতুস সালাম মসজিদের ইমাম মাওলানা আখতারুল আলম এর ঠিক পিছনে প্রথম কাতারে দাড়ানো অবস্থা কিবলামুখি হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে এশার চার রাকআত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম” – আল্লাহু আকবর”।
মাদানী সাহেব প্রচলিত নিয়তের সঙ্গে কিছু শব্দ বাড়িয়ে নিয়ত পড়েছিলেন। তার এইভাবে উচ্চস্বরে নিয়ত পড়া দেখে আশে পাশের লোকজন অত্যন্ত কৌতুহল দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালেন, কিন্তু ঐ মুহুর্তে কেউ কিছু বলেনি কারন নামাজ তখন শুরু শুরু অবস্থায়। ইমাম সাহেবও একবার পিছনে ফিরে তাকিয়ে নামাজ শুরু করলেন। নামাজ শেষে মাদানী সাহেবের পাশে নামাজ আদায়কৃত তার এক দূর সম্পর্কের এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চাচার কথোপকতন:
চাচা : এইটা তুমি কি নিয়ত করলা বাবা!
মাদানী : কেন চাচা?
চাচা : এই রকম নিয়ততো আমি আর শুনিনি।
মাদানী : কেন চাচা?
চাচা : এই রকম নিয়ততো আমি আর শুনিনি।
মাদানী : একটু বিস্তারিতভাবে সুন্দর করে বললাম।
চাচা : কিন্তু কোরআন-হাদিসের নিয়মমত হয় না্ইতো, মনে হইল।
মাদানী : আপনী কি বলতে চাচ্ছেন আমি কোরআন-হাদিস মত নিয়ত বলিনি..(কিছুটা মোটা স্বরে)!!!?
চাচা : না ! বাবা ! আমিতো কোরআন-হাদিছ জানি না। তোমরা আলেম মানুষ। কোরআন হাদিষ অনেক শিখেছ। এ্ই রকমভাবে নিয়ত কি কোরআন-হাদিসে আছে ! (চাচা জানতে চাইলেন )
মাদানী : হুম… আপনী কিভাবে নিয়ত করলেন্ চাচা ?
চাচা : নাওয়াইতু আন ………..বলে – প্রচলিত নিয়তটির কথা বললেন।
মাদানী : এইটা কি চাচা কোরআন হাদিসে আছে – আপনী জানেন ?
চাচা : কও কি তুমি বাবা ? কোরআন হাদিসে না থাকলে আমরা শিখলাম কিভাবে (আমরা সাধারন মানুষেরা যেভাবে সব কিছুই কোরআন-হাদিছ মনে করি, চাচাও সমজ
সরলভাবেই উত্তর দিলেন)
মাদানী : আমি মদীনায় ৪/৫ বছর লেখাপড়া করলাম – এই নিয়ততো পাইনি!?
চাচা : (এইবার ইমাম সাহেবের দিকে মুখ করে) ইমাম সাহেব, ভাতিজা আমার কি কয়? নাওয়াইতু আন …. বলে কোরআন- হাদিসে নাই।
ইমাম সাহেব : (একটি বড় কওমী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করা মানুষ) – একটু চুপ করে বললেন, কোরআন হাদিস কিভাবে নিয়ত পড়তে হবে তা নাই, কিন্তু নিয়ত করার কথা বলা আছে বিধায়
আলেমে-দ্বীনগন এইভাবে নিয়তের কিছু নিয়ম সাধারন মানুষের জন্য নির্ধারন করেছেন।
চাচা : না ! বাবা ! আমিতো কোরআন-হাদিছ জানি না। তোমরা আলেম মানুষ। কোরআন হাদিষ অনেক শিখেছ। এ্ই রকমভাবে নিয়ত কি কোরআন-হাদিসে আছে ! (চাচা জানতে চাইলেন )
মাদানী : হুম… আপনী কিভাবে নিয়ত করলেন্ চাচা ?
চাচা : নাওয়াইতু আন ………..বলে – প্রচলিত নিয়তটির কথা বললেন।
মাদানী : এইটা কি চাচা কোরআন হাদিসে আছে – আপনী জানেন ?
চাচা : কও কি তুমি বাবা ? কোরআন হাদিসে না থাকলে আমরা শিখলাম কিভাবে (আমরা সাধারন মানুষেরা যেভাবে সব কিছুই কোরআন-হাদিছ মনে করি, চাচাও সমজ
সরলভাবেই উত্তর দিলেন)
মাদানী : আমি মদীনায় ৪/৫ বছর লেখাপড়া করলাম – এই নিয়ততো পাইনি!?
চাচা : (এইবার ইমাম সাহেবের দিকে মুখ করে) ইমাম সাহেব, ভাতিজা আমার কি কয়? নাওয়াইতু আন …. বলে কোরআন- হাদিসে নাই।
ইমাম সাহেব : (একটি বড় কওমী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করা মানুষ) – একটু চুপ করে বললেন, কোরআন হাদিস কিভাবে নিয়ত পড়তে হবে তা নাই, কিন্তু নিয়ত করার কথা বলা আছে বিধায়
আলেমে-দ্বীনগন এইভাবে নিয়তের কিছু নিয়ম সাধারন মানুষের জন্য নির্ধারন করেছেন।
চাচা : কিছুটা থমকে গেলেন!!! আশ্চর্য হয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, কি বলেন, যে আরবী নিয়ত আমরা পড়ি সেটি কি কোরআন হাদিসে নাই ? (ইমাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে।)
ইমাম সাহেব – একটু ঘুরিয়ে আবারও বললেন – সরাসরি এইভাবে নেই। কিন্তু বড় বড় আলেমরা বলেছে এটা।
মাদানী: কোরআন-হাদিসে এই ধরনের নিয়ত নাই, ইমাম সাহেব ঠিক বলেছেন চাচা – বুঝতে পেরেছেন ?
চাচা : বুজতে তো পারলাম, কিন্তু বড় বড় আলেমরা বলেছে, এটা কি হবে না ? মাদানীর দিকে তাকিয়ে।
মাদানী : না চাচা – কারন আল্লাহ এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা আমাদের জন্য নির্ধারন করে দিয়েছেন, পৃথিবীতে কোন মানুষের সেই ক্ষমতা নেই তা থেকে বাড়াবার বা কমাবার। যারা এগুলো করবে তারা বিদাত করবে। ইহুদী-নাসারারা তাদের নবী মারা যাবার পর তাদের ধর্মের মধ্যে সংযোজন -বিয়োজন কারে পথভ্রষ্ট হয়েছে। এইজন্যই মুসলিমদের দ্বীনের মধ্যে কোন কিছু বাড়ানো বা কমানো নিষিদ্ধ।
চাচা : কি বল ভাতিজা – তাহলে কি সারা জীবন নামাজ ভুল পড়ে আসলাম? এই ইমামেরা তো এই ব্যাপারে কিছুই বলেনি। নামাজ তাহলে কিভাবে শুরু করতে হয়?
মাদানী – সংক্ষেপে বললেন – নামাজ নিয়ত হলে মনের সংকল্প। নিয়ত করতে হয় পড়তে হয় না। পড়া হল বিদাত। বিদাত করা বড় গুনাহের কাজ। মনের সংকল্পের পর নামাজ শুরু করতে হয় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে।
এইভাবে আরো কিছু কথোপকোথনের পর চাচা বুঝতে পারলেন নামাজে আমরা প্রচলিত যে নিয়ত পড়ি তা বিদাত। মূলত: মাদানী সাহেব আমাদের দেশের প্রচলিত অসংখ বিদাত সম্পর্কে একটু ব্যতিক্রমভাবে মানুষকে জানাবেন – এ্ই ধরনের চিন্তা থেকেই সে এই রকম আচরণ করেছিলেন।
উপরোক্ত ঘটনাটি গল্প আকারে সাজানো হয়েছে নামাজের একটি বিদাত সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য। বাস্তব ঘটনার সাথে যার কোন মিল নেই। আমি আমার নিজের এলাকাকে প্রতিকি হিসেবে নিয়েছি। নামাজের মত সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ ইবাদতটি আমরা শুরু করি বিদাত করার মাধ্যমে – সেটি মানুষের সঠিক উপলব্দির নিমিত্তে এই লেখাটি। আসুন, সমাজ থেকে নামাজের মধ্যেই জায়গা করে নেওয়া এই বিদাতটিকে দূর করতে সচেষ্ট হই। (সংগৃহীত)
ইমাম সাহেব – একটু ঘুরিয়ে আবারও বললেন – সরাসরি এইভাবে নেই। কিন্তু বড় বড় আলেমরা বলেছে এটা।
মাদানী: কোরআন-হাদিসে এই ধরনের নিয়ত নাই, ইমাম সাহেব ঠিক বলেছেন চাচা – বুঝতে পেরেছেন ?
চাচা : বুজতে তো পারলাম, কিন্তু বড় বড় আলেমরা বলেছে, এটা কি হবে না ? মাদানীর দিকে তাকিয়ে।
মাদানী : না চাচা – কারন আল্লাহ এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা আমাদের জন্য নির্ধারন করে দিয়েছেন, পৃথিবীতে কোন মানুষের সেই ক্ষমতা নেই তা থেকে বাড়াবার বা কমাবার। যারা এগুলো করবে তারা বিদাত করবে। ইহুদী-নাসারারা তাদের নবী মারা যাবার পর তাদের ধর্মের মধ্যে সংযোজন -বিয়োজন কারে পথভ্রষ্ট হয়েছে। এইজন্যই মুসলিমদের দ্বীনের মধ্যে কোন কিছু বাড়ানো বা কমানো নিষিদ্ধ।
চাচা : কি বল ভাতিজা – তাহলে কি সারা জীবন নামাজ ভুল পড়ে আসলাম? এই ইমামেরা তো এই ব্যাপারে কিছুই বলেনি। নামাজ তাহলে কিভাবে শুরু করতে হয়?
মাদানী – সংক্ষেপে বললেন – নামাজ নিয়ত হলে মনের সংকল্প। নিয়ত করতে হয় পড়তে হয় না। পড়া হল বিদাত। বিদাত করা বড় গুনাহের কাজ। মনের সংকল্পের পর নামাজ শুরু করতে হয় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে।
এইভাবে আরো কিছু কথোপকোথনের পর চাচা বুঝতে পারলেন নামাজে আমরা প্রচলিত যে নিয়ত পড়ি তা বিদাত। মূলত: মাদানী সাহেব আমাদের দেশের প্রচলিত অসংখ বিদাত সম্পর্কে একটু ব্যতিক্রমভাবে মানুষকে জানাবেন – এ্ই ধরনের চিন্তা থেকেই সে এই রকম আচরণ করেছিলেন।
উপরোক্ত ঘটনাটি গল্প আকারে সাজানো হয়েছে নামাজের একটি বিদাত সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য। বাস্তব ঘটনার সাথে যার কোন মিল নেই। আমি আমার নিজের এলাকাকে প্রতিকি হিসেবে নিয়েছি। নামাজের মত সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ ইবাদতটি আমরা শুরু করি বিদাত করার মাধ্যমে – সেটি মানুষের সঠিক উপলব্দির নিমিত্তে এই লেখাটি। আসুন, সমাজ থেকে নামাজের মধ্যেই জায়গা করে নেওয়া এই বিদাতটিকে দূর করতে সচেষ্ট হই। (সংগৃহীত)
No comments:
Post a Comment