Thursday, November 23, 2017

সালাম দেওয়ার সময় কোন প্রকার ঝুঁকা বৈধ নয়

সালাম দেওয়ার সময় কোন প্রকার ঝুঁকা বৈধ নয়


সালামের পরিবর্তে ‘হেলো’, ‘আহলান’, ‘গুডমর্নিং’ ইত্যাদি বলাও বিজাতীয় প্রথা। সালামের সময় জুতা খুলে,  প্রণত হয়ে, ঝুঁকে পা স্পর্শ করে সালাম (প্রণাম) করা, কদমবুসী করা এবং সিজদা করা শির্কের পর্যায়ভুক্ত।

সাক্ষাৎ ও বিদায়ের সময় সালাম

সাক্ষাৎ ও বিদায়ের সময় সালাম


আসার ও সাক্ষাতের সময় যেমন সালাম সুন্নাত, তেমনি যাওয়ার সময় (প্রস্থান ও বিদায়ের সময়)ও সালাম দেওয়া সুন্নাত। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

মুসলিম ভাইয়ের সাথে ৩ দিনের বেশী সালাম বন্ধ রাখা বৈধ নয়

মুসলিম ভাইয়ের সাথে ৩ দিনের বেশী সালাম বন্ধ রাখা বৈধ নয়


কারণবশতঃ যদি কোন মুসলিম ভায়ের সাথে আপনার সালাম-কালাম বন্ধ থাকে, তাহলে তা ৩ দিনের বেশী বৈধ নয়। যেহেতু রাসুল (সাঃ) বলেন,

পাপীদের সালাম দেয়া

পাপীদের সালাম দেয়া


যদি কোন লোক হারাম কাজ করছে (যেমনঃ বিড়ি-সিগারেট খাচ্ছে অথবা দাড়ি চাঁচছে) তাহলে সেই পাপে রত থাকা অবস্থায় তাকে সালাম দেবেন না। সালাম দেবেন না কোন বেনামাযী অথবা এমন বিদআতীকে যে বিদআতী কাফেরকারী বিদআত করে থাকে। এমন লোকদের সালামের উত্তরও দেবেন না। পক্ষান্তরে সাধারণ পাপী-তাপী মানুষকে সালাম না দিলে যদি

কোন প্রকার কথা বলার পূর্বে সালাম দেওয়া বিধেয়

কোন প্রকার কথা বলার পূর্বে সালাম দেওয়া বিধেয়


যেহেতু রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘যে প্রথমে সালাম না দেবে, তাকে (প্রবেশে) অনুমতি দিও না।’’[1] তিনি (সাঃ) বলেন-

السلام قبل السؤال ، فمن بدأكم بالسؤال قبل السلام فلا تجيبوه

তিনি আরো বলেন,

জুমআর খুতবা চলাকালে সালাম ও তার উত্তর দেওয়া

জুমআর খুতবা চলাকালে সালাম ও তার উত্তর দেওয়া


জুমআর খুতবা চলাকালে সালাম ও তার উত্তর দেওয়া বৈধ নয়। যেহেতু রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘জুমআর দিন ইমামের খুতবা দানকালে কথা বললে, তুমি অনর্থ কর্ম করলে এবং (জুমআহ) বাতিল করলে।’’[1]
কিন্তু যদি কেউ সালাম দেয়, তাহলে ইশারায় উত্তর দেওয়া চলে।[2]

মসজিদে সালাম

মসজিদে সালাম


মসজিদে কেউ থাকলে, কোন হালকাহ বা দর্সের জামাআত থাকলে, আগে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায পড়ে তারপর তাদেরকে সালাম দেওয়া বিধেয়। অবশ্য সামনে কেউ পড়ে গেলে তাকে সালাম দেওয়ার পর

কেউ পরোক্ষভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পাঠালে

কেউ পরোক্ষভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পাঠালে


কেউ পরোক্ষভাবে অন্যের মাধ্যমে সালাম পাঠালে যে সালাম পৌঁছাবে তাকে সহ সালামদাতাকে এই উত্তর দেওয়া বিধেয়,

وَعَلَيْكَ وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ

(অ আলাইকা অ আলাইহিস সালা-ম)। অর্থাৎ, আর আপনার ও তাঁর উপরেও শান্তি বর্ষণ হোক।[1]
প্রকাশ থাকে যে, উত্তরে সালাম বাহককে সালাম দেওয়া ওয়াজেব নয়, মুস্তাহাব। যেহেতু আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আয়েশাকে জিবরীলের সালাম পৌঁছালে তিনি উত্তরে কেবল

স্বগৃহে প্রবেশকালেও সালাম দেওয়া

স্বগৃহে প্রবেশকালেও সালাম দেওয়া


স্বগৃহে প্রবেশকালেও সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন,

فَإِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً

অর্থাৎ, সুতরাং তোমরা যখন গৃহে প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের (নিজেদের) স্বজনদের প্রতি সালাম করবে অভিবাদন স্বরূপ যা আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র। (সূরা নূর-২৪:৬১)
ঘরে কেউ থাকলে তো বটেই, কেউ না থাকলেও সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। আর সেই সময় বলতে হবে, ‘আস্-সালামু আলাইনা অআলা ইবাদিল্লাহিস স্বালিহীন।’[1]
বাড়িতে স্ত্রী-পরিজনকে সালাম দিয়ে প্রবেশ করায় আপোসে প্রেম-প্রীতি-স্নেহ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর ফলে আল্লাহর যামানত লাভ হয়। মহানবী (সাঃ) বলেন,

পেশাব-পায়খানা করছে এমন লোককে সালাম দেওয়া

পেশাব-পায়খানা করছে এমন লোককে সালাম দেওয়া


পেশাব-পায়খানা করছে এমন লোককে সালাম দেওয়া মাকরূহ। কেননা সে অবস্থায় আল্লাহর জিকির তথা সালামের উত্তর বৈধ নয়।[1] অবশ্য কেউ (অজান্তে) সালাম দিয়ে ফেললে ওযূ করার পর তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব।[2]

কুরআন পাঠরত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া

কুরআন পাঠরত ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া


কুরআন পাঠরত ব্যক্তিকেও সালাম দেওয়া বৈধ এবং পাঠকারীর জন্য পাঠ বন্ধ করে সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজেব।[1]
প্রকাশ থাকে যে, পানাহাররত কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া অবিধেয় বা নিষিদ্ধ অথবা মাকরূহ নয়। যেমন পানাহার করা

নামাযরত মুসল্লীকেও সালাম দেওয়া

নামাযরত মুসল্লীকেও সালাম দেওয়া


নামাযরত মুসল্লীকেও সালাম দেওয়া বৈধ। অবশ্য মুসল্লী মুখে কিছু না বলে কেবল হাত অথবা আঙ্গুলের ইশারায় সালামের উত্তর দেবে।[1]

কেবলমাত্র ইশারা ও ইঙ্গিতে সালাম বা তার উত্তর

কেবলমাত্র ইশারা ও ইঙ্গিতে সালাম বা তার উত্তর


কেবলমাত্র (হাত বা মাথার) ইশারা ও ইঙ্গিতে সালাম বা তার উত্তর দেওয়া বৈধ নয়। যেহেতু তা আহলে কিতাব (ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদের) সালাম।[1] কিন্তু দূরের বা কাঁচের ভিতরের কাউকে, অথবা কোন কালা লোককে, সালাম দিতে হলে হাতের ইশারার সাথে মুখে সালাম উচ্চারণ করতে হবে। অবশ্য

কোন মজলিসে মুসলিম-অমুসলিম এক সাথে বসে থাকলে

কোন মজলিসে মুসলিম-অমুসলিম এক সাথে বসে থাকলে


কোন মজলিসে মুসলিম-অমুসলিম এক সাথে বসে থাকলে সেখানেও সালাম দেওয়া সুন্নাত।[1] অবশ্য এখানে নিয়ত রাখতে হবে মুসলিমদের জন্য।[2]
প্রকাশ থাকে যে, মুসলিম-অমুসলিম মিশ্র মজলিসকে লক্ষ্য করে ‘আস্-সালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলে সালাম দেওয়া বিধেয় নয়।[3] পক্ষান্তরে অমুসলিমকে চিঠি লিখার সময় ঐ সালাম লিখা চলে।
কেউ কেউ বলেছেন,

অমুসলিমদের সালামের জবাব

অমুসলিমদের সালামের জবাব


অমুসলিমরা যদি আমাদেরকে প্রথমে সালাম দেয়, তাহলে তার উত্তর দেওয়া আমাদের জন্য ওয়াজেব হবে। যেহেতু সাধারণভাবেই আল্লাহ বলেন, ‘‘যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা ওরই অনুরূপ উত্তর দেবে। (সূরা নিসা-৪:৮৬)
ইয়াহুদীরা রাসুল (সাঃ) কে সালাম দিত; বলত, ‘আস্সা-মু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষণ হোক, হে মুহাম্মাদ!)’  ‘আসসা-ম’ এর অর্থ মৃত্যু। তারা রাসুল (সাঃ) কে মৃত্যুর বদ্দুআ দিত। তাই রাসুল (সাঃ) বললেন,

সালাম হল একটি ইসলামী প্রতীক

সালাম হল একটি ইসলামী প্রতীক


সালাম হল এক প্রকার দু‘আ। আর এই দু‘আ করা হয় আল্লাহর কাছে। সুতরাং যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলে বিশ্বাস রাখে না তারা এ দু‘আর হকদার নয়। তাই অমুসলিমদেরকে সালাম দেওয়া হারাম, বৈধ নয়। যেহেতু রসূল (সাঃ) বলেন,

যেখানে কিছু লোক ঘুমিয়ে এবং কিছু লোক জেগে আছে

যেখানে কিছু লোক ঘুমিয়ে এবং কিছু লোক জেগে আছে


যেখানে কিছু লোক ঘুমিয়ে এবং কিছু লোক জেগে আছে, সেখানে এমন শব্দে সালাম দিতে হবে, যাতে জাগ্রত ব্যক্তি সালাম শুনতে পায় এবং ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না যায়। ইসলামী শরীয়তে এটি অন্যতম আদব। যাতে কারো কোন ক্ষতি ও ডিষ্টার্ব না হয়। এই আদব শিক্ষা দিয়েছেন

শিশুদের সালাম দেয়া

শিশুদের সালাম দেয়া


শিশু হলেও তাকে সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং তা বিনয়ীর একটি নিদর্শন। আমাদের মহানবী (সাঃ) পথে চলাকালে ছোট শিশুদেরকে সালাম দিতেন।[1]
প্রকাশ থাকে যে, শিশু যদি সালামের উত্তর না দেয়, তাহলে সে গোনাহগার হবে না। কারণ, সে শরীয়তের ভারপ্রাপ্ত নয়। অবশ্

মহিলাদের সালাম দেয়া

মহিলাদের সালাম দেয়া


মহিলা কোন মাহরাম হলে অথবা গায়র মাহরাম বৃদ্ধা হলে তাকে সালাম দেওয়া বৈধ। নচেৎ গায়র মাহরাম কোন যুবতী মহিলাকে - বিশেষ করে ফিতনার ভয় থাকলে - তাকে সালাম দেওয়া এবং তার মুখ খোলানো বৈধ নয়।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) ও

একজনকে সালাম দেওয়ার পর গাছ বা দেওয়ালের আড়াল হলে

একজনকে সালাম দেওয়ার পর গাছ বা দেওয়ালের আড়াল হলে


একজনকে সালাম দেওয়ার পর গাছ বা দেওয়ালের আড়াল হয়ে পুনরায় দেখা হলে আবার সালাম দেওয়া সুন্নাত। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

বিভিন্ন অবস্থার সালাম

বিভিন্ন অবস্থার সালাম


সুন্নাত হল উট, ঘোড়া, সাইকেল বা গাড়ির উপর সওয়ার লোক পায়ে হেঁটে যাওয়া লোককে, পায়ে হেঁটে যাওয়া লোক বসে থাকা লোককে, অল্প সংখ্যক লোক বেশী সংখ্যক লোককে, বয়সে ছোট মানুষ অপেক্ষাকৃত বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে সালাম দেবে।[1]
কিন্তু যদি এর বিপরীতভাবে কেউ সালাম দেয়,

অতিথি ও আগন্তুক ব্যক্তিরই সালাম দেওয়া সুন্নাত

অতিথি ও আগন্তুক ব্যক্তিরই সালাম দেওয়া সুন্নাত


অর্থাৎ, যে বাইরে থেকে আসবে, সে ঘরে, মজলিসে বা মসজিদে এসে সালাম দেবে। যে ব্যক্তি ঘরে, মজলিসে বা মসজিদে থাকবে তার জন্য আগে বেড়ে আগন্তুককে সালাম দেওয়া সুন্নাত নয়।

পরিচিত হোক অথবা না হোক প্রত্যেক মুসলিমকে সালাম দেওয়া সুন্নাত

পরিচিত হোক অথবা না হোক প্রত্যেক মুসলিমকে সালাম দেওয়া সুন্নাত


এক ব্যক্তি আল্লাহর রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করল যে,

أَيُّ الْإِسْلَامِ خَيْرٌ قَالَ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلَامَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَعَلَى مَنْ لَمْ تَعْرِفْ

‘কোন্ ইসলাম উত্তম? (ইসলামের কোন্ কোন্ কাজ উত্তম কাজ?) উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘(অভাবীকে) খাদ্যদান করা এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’’[1]
মহানবী (সাঃ) বলেন,

সালাম দেওয়ার পর সন্দেহ হলে

সালাম দেওয়ার পর সন্দেহ হলে


সালাম দেওয়ার পর যদি সন্দেহ হয় যে, যাকে সালাম দেওয়া হল সে শুনতে পায়নি, তাহলে ৩ বার সালাম বলা মুস্তাহাব। আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরূপই করতেন।[1]

সালাম ও তার উত্তর উচ্চস্বরে বলা

সালাম ও তার উত্তর উচ্চস্বরে বলা


সালাম ও তার উত্তর এমন উচ্চস্বরে বলতে হবে, যাতে শোনা যায়। বিশেষ করে সালামের উত্তর যদি এমন শব্দে দেওয়া হয়, যাতে সালামদাতা শুনতে না পায়,

সালাম ও তার জবাবের বাক্যাবলী

সালাম ও তার জবাবের বাক্যাবলী


সালামের সবচেয়ে উত্তম বাক্য হলঃ
   আস্-সালামু আলাইকুম অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
   অতঃপরঃ আস্-সালামু আলাইকুম অরাহমাতুল্লাহ।
   অতঃপরঃ আস্-সালামু আলাইকুম।
এক ব্যক্তি রাসুল (সাঃ)-এর নিকট এসে বলল, ‘আসসালা-মু আলাইকুম।’ তিনি তার জওয়াব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসলে রসূল (সাঃ) বললেন,

সালাম দেওয়া সুন্নাত; কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজেব

সালাম দেওয়া সুন্নাত; কিন্তু সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজেব


সালাম দেওয়া সুন্নাত এ কথা পূর্বোক্ত হাদীসসমূহে বর্ণিত হয়েছে। আর তার উত্তর দেওয়া ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহর নির্দেশ উপরে বর্ণিত হয়েছে। বলা বাহুল্য সালাম না দিলে সুন্নাত তরক হবে। কিন্তু

সালাম বিষয়ক কিছু কথা

সালাম বিষয়ক কিছু কথা


পরস্পর সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ ও সতেজ রাখার জন্য ইসলামের বিধানে সালাম একটি সুন্দর ব্যবস্থা। সাক্ষাতের সময় একে অন্যের চেহারার দিকে না তাকালে, একটু মুচকি না হাসলে, কথা না বললে স্বাভাবিকভাবে উভয়ের মনে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। কিন্তু হাসিমুখে সালাম দিয়ে কথা বললে মহববত ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। আর সেটাই হল ইসলামের কাম্য।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন,

অপরের গৃহ প্রবেশে অনুমতির আদব

অপরের গৃহ প্রবেশে অনুমতির আদব


কোন মুসলিমের জন্য অপরের গৃহে বিনা অনুমতিতে সরাসরি প্রবেশ করা বৈধ নয়। যেহেতু আপনি জানেন না যে, বাড়ির ভিতরের লোক কোন্ অবস্থায় আছে। গৃহের ভিতর হয়তো আগোছাল ও অপরিচ্ছন্ন আছে। যা দেখে হয়তো আপনার মনে সেই গৃহ ও গৃহবাসীদের প্রতি ঘৃণার দানা বাঁধবে। হয়তো বা আপনার দৃষ্টি এমন জায়গায় পড়বে, যা আপনার জন্য দেখা বৈধ নয় অথবা গৃহবাসী আপনাকে দেখাতে রাযী নয়। আর তার ফলে তাদের মনেও আপনার প্রতি ঘৃণার অঙ্কুর উদ্গত হবে। এই জন্যই মহান আল্লাহর বিধান হল, পরগৃহে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি গ্রহণ ফরয এবং বিনা অনুমতিতে পরকীয় গৃহে প্রবেশ নিষেধ। মহান আল্লাহ বলেন,

নারীদের রাস্তায় চলাচলের আদব।

নারীদের রাস্তায় চলা


সাধারণতঃ নারী হল লজ্জাশীলা। আর লজ্জার দাবী হল এই যে, পথ চলতে পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা করবে না, পুরুষের দলে একাকার হয়ে মাঝপথে চলবে না। বরং রাস্তার এক সাইড ধরে পথ চলবে।
একদা মহিলারা নামায পড়ে বাড়ি ফিরছিল। রাস্তার মধ্যে

পথে পেশাব-পায়খানা করবেন না

পথে পেশাব-পায়খানা করবেন না


কারণ, এ কাজে সাধারণ পথিক কষ্ট পায় এবং তাতে প্রকাশ্যে বা মনে মনে গালি দিয়ে থাকে। আর তাই এ কাজ হল অভিশাপ আনয়নকারী।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমরা তিনটি অভিশাপ আনয়নকারী কর্ম থেকে বাঁচ; আর তা হল, ঘাটে, মাঝ-রাস্তায় এবং ছায়ায় পায়খানা করা।’’[1]
রাসুল (সাঃ) বলেন,

পথের মধ্যে অপর পথিকের সহযোগিতা করুন

পথের মধ্যে অপর পথিকের সহযোগিতা করুন


পথের মধ্যে অপর পথিকের সহযোগিতা করুন। তার বোঝা বহনে সাহায্য করুন। আপনার গাড়িতে তাকে তুলে নিয়ে তার হাঁটার কষ্ট লাঘব করুন। এতেও আপনার সদকাহ তুল্য নেকী রয়েছে।
রাসুল (সাঃ) বলেন,

পথিকের পথ চলতে বাধাসৃষ্টিকারী অথবা কষ্টদানকারী কোন জিনিস পথে ফেলবেন না

পথিকের পথ চলতে বাধাসৃষ্টিকারী অথবা কষ্টদানকারী কোন জিনিস পথে ফেলবেন না


পথিকের পথ চলতে বাধাসৃষ্টিকারী অথবা কষ্টদানকারী কোন জিনিস (ভাঙ্গা ডাল, মোটা পাথর, কাঁটা, কাঁচ, কোন নোংরা জিনিস, কলার ছাল ইত্যাদি) পথে ফেলবেন না। পড়ে থাকলে তা দূর করে দিন। এ কাজে আপনার ঈমানের পরিচয় পাওয়া যাবে এবং তাতে সদকাহ পরিমাণ সওয়াবও পাবেন।
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

রাস্তার হক - পথিককে পথ বলে দেওয়া

রাস্তার হক - পথিককে পথ বলে দেওয়া


পথের ধারে বসলে অথবা পথ চললে পথভ্রান্ত পথিককে পথ চিনিয়ে দেওয়া কর্তব্য। এ কাজেও সদকাহ সমান নেকী রয়েছে।[1]
অবশ্য মন্দ কাজ ও খারাপ জায়গার পথ বলে দিবেন না। এতে আপনার গোনাহ হবে। যেমন কেউ মাজার, সিনেমা হল,

রাস্তার হক - সৎকাজের আদেশ এবং মন্দ কাজে বাধা দান করা

রাস্তার হক - সৎকাজের আদেশ এবং মন্দ কাজে বাধা দান করা


রাস্তার মাঝে কত রকম অন্যায় ও পাপ ঘটতে দেখা যায় সচরাচর। অতএব অন্যায় দেখে অকারণে চুপ থাকা কোন মুসলিমের জন্য বৈধ নয়। তদনুরূপ যথাসাধ্য সৎকাজের আদেশ দিতেও মুসলিম আদিষ্ট। এ ব্যাপারে শরীয়তে যথেষ্ট গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছেঃ মহান আল্লাহ বলেন,

রাস্তার হক - সালামের জওয়াব দেওয়া

রাস্তার হক - সালামের জওয়াব দেওয়া


যেহেতু রাস্তার ধারে বসলে অথবা রাস্তায় চললে অনেকের সাথে দেখা হবে এবং অনেকে সালামও দেবে, সেহেতু সালামের সঠিকভাবে জওয়াব দেওয়া ওয়াজেব।[1]

রাস্তার হক- কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা

রাস্তার হক- কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা


পথের ধারে বসলে অথবা পথে চলাকালে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। যদিও অপরকে কষ্ট দেওয়া যে কোন সময়ে হারাম, তবুও যেহেতু ঘরে থাকার চাইতে বাইরে রাস্তায় অপরকে কষ্ট দেওয়ার আশঙ্কা বেশী তাই রাস্তায় কাউকে কষ্ট না দেওয়া রাস্তার একটি হক গণ্য করা হয়েছে।
 الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ আসল‘‘মুসলিম হল সেই ব্যক্তি, যার জিভ ও হাত থেকে অপর মুসলিম নিরাপদে থাকে।’’[1]
আবূ যার্র (রাঃ) বলেন,

রাস্তার হক - দৃষ্টি সংযত রাখা

রাস্তার হক - দৃষ্টি সংযত রাখা


বহুজন যায় যেই দিকে,
পথ তারে কয় সর্বলোকে।
যেখানেই মানুষ ও সমাজ আছে, সেখানেই রাস্তা আছে। রাস্তা কিন্তু কারো একা চলার জন্য নয়। তাছাড়া রাস্তার ধারে-পাশে থাকে ঘর-বাড়ি, দোকান-পসার। রাস্তায় চলে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব শ্রেণীর মানুষ। আর এই জন্যই রাস্তা সম্পর্কীয় বিভিন্ন আদব রয়েছে ইসলামে।
রসূল (সাঃ) বলেন,

ঘরে প্রবেশ করতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন

ঘরে প্রবেশ করতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন


ঘরে প্রবেশ করার সময় আল্লাহর জিকির করা উত্তম। এতে শয়তান ঘরে স্থান পায় না।[1] এ বিষয়ে নির্দিষ্ট দু‘আ (খাইরাল মাওলাজ) এর হাদীসটি যয়ীফ।[2]

জিহাদ বা হজ্জ থেকে ফিরে এলে দু'আ

জিহাদ বা হজ্জ থেকে ফিরে এলে দু'আ


জিহাদ বা হজ্জ থেকে ফিরে এলে নিম্নের দু‘আ পড়বেন,

لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

   অতঃপর সফর থেকে ফিরে আসার উপরোক্ত (আ-ইবূনা---) দু‘আটি পড়বেন। তারপর এই দু‘আটি যুক্ত করবেন, 

সফর থেকে বাড়ি ফিরে এলে দু'আ

সফর থেকে বাড়ি ফিরে এলে দু'আ


সফর থেকে বাড়ি ফিরে এলে সফরে বের হওয়ার সময় দু‘আটির সাথে নিম্নের দু‘আটিও যোগ করবেন,

آئِبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ

   উচ্চারণঃ  -------আ-ইবূনা তা-ইবূনা আ-বিদূনা লিরাব্বিনা হা-মিদূন।
অর্থঃ -----(আমরা সফর থেকে) প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতকারী, আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী।[1]

বাড়ি ফিরার আগে পরিবারে খবর জানানো

বাড়ি ফিরার আগে পরিবারে খবর জানানো


লম্বা সফর থেকে বাড়ি ফিরার আগে পরিবারের লোক যদি আপনার আসার খবর না জানে, তাহলে রাত্রে হঠাৎ করে বাড়ি প্রবেশ করবেন না। কারণ, এতে হয়তো আপনি আপনার পরিবারে এমন কিছু লক্ষ্য করবেন, যা আপনি পছন্দ করেন না। আর তাতে আপনার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং বাড়ির কাছাকাছি কোন জায়গায় রাত কাটিয়ে দিনের বেলায় বাড়ি প্রবেশ করা উচিত। বরং সম্ভব হলে আগে খবর পাঠানো দরকার।
মহানবী (সাঃ) বলেন,

সফরের কাজ শেষ হলে অতি সত্বর বাড়ি ফিরে আসুন

সফরের কাজ শেষ হলে অতি সত্বর বাড়ি ফিরে আসুন


যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘সফর হল আযাবের একটি টুকরা। সফর তোমাদেরকে (নিয়মিত) পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত রাখে। সুতরাং নিজ প্রয়োজন শেষ হলেই পরিবারের প্রতি সত্বর প্রত্যাবর্তন কর।’’[1]
ফুটনোটঃ[1]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ১৮০৪, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/১৯২৭ প্রমুখ

সফরকারীর ভোরের জিকির পাঠ করুন

সফরকারীর ভোরের জিকির পাঠ করুন


سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلاَئِهِ عَلَيْنَا، رَبَّنَا صَاحِبْنَا وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذاً بِاللهِ مِنَ النَّارِ

   উচ্চারণঃ সামিআ সা-মিউন বিহামদিল্লা-হি অহুসনি বালা-ইহী আলাইনা, রাব্বানা স্বা-হিবনা অ আফয্বিল আলাইনা, আ-ইযাম বিল্লা-হি মিনান্না-র।
অর্থঃ শ্রবণকারী (আমাদের) আল্লাহর প্রশংসা ও আমাদের উপর উত্তম পরীক্ষার (শুক্র) শ্রবণ করেছে। হে আমাদের প্রভু!

বাজারে প্রবেশের দু'আ

বাজারে প্রবেশের দু'আ


কোন বাজার প্রবেশ করলে প্রচুর সওয়াবের আশায় নিম্নের দু‘আ পাঠ করুনঃ

لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ، وَهُوَ حَيٌّ لاَّ يَمُوْتُ، بِيَدِهِ الْخَيْرُ، وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

   উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু য়্যুহয়ী অ য়্যুমীতু অহুয়া হাইয়্যুল লা য়্যামূত, বিয়্যাদিহিল খাইরু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক,

কোন গ্রাম বা শহর প্রবেশকালে সেখানকার লোকদের অনিষ্টকারিতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা

কোন গ্রাম বা শহর প্রবেশকালে সেখানকার লোকদের অনিষ্টকারিতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা


কোন গ্রাম বা শহর প্রবেশকালে সেখানকার লোকদের অনিষ্টকারিতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে নিম্নের দু‘আ পড়ুনঃ

اَللّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ وَرَبَّ الأَرَضِيْنَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ وَرَبَّ الشَّيَاطِيْنِ وَمَا أَضْلَلْنَ وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রাববাস সামা-ওয়া-তিস সাব্ই অমা আযলালনা, অরাব্বাল আরায্বীনাস সাব্ই অমা আক্বলালনা, অরাববাশ্ শায়া-ত্বীনি অমা আয্বলালনা, অরাব্বর রিয়া-হি অমা যারাইনা, আসআলুকা খাইরা হা-যিহিল ক্বারয়্যাতি অখাইরা আহলিহা অখাইরা মা ফীহা। অ আঊযু বিকা মিন শাররিহা অশাররি আহলিহা অশাররি মা ফীহা।
অর্থঃ হে আল্লাহ!

সফরে কোন অচেনা স্থানে বিশ্রামের সময় নিম্নের দু‘আ পড়ুন

সফরে কোন অচেনা স্থানে বিশ্রামের সময় নিম্নের দু‘আ পড়ুন


 أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

   উচ্চারণঃ আউযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্ব।
অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর অসীলায় তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার মন্দ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এই দু‘আটি পড়লে

সফরে রাত্রিকালে কোন ফাঁকা জায়গায় ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিতে হলে রাস্তার উপর শোবেন না

সফরে রাত্রিকালে কোন ফাঁকা জায়গায় ঘুমিয়ে বিশ্রাম নিতে হলে রাস্তার উপর শোবেন না


কারণ রাত্রের অন্ধকারে হিংস্র প্রাণীরা মানুষের চলা-পথে অবতরণ করে। এ ব্যাপারে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।[1]

সফরে যানবাহনের উপরেও নফল নামায পড়তে পারেন

সফরে যানবাহনের উপরেও নফল নামায পড়তে পারেন


ফরয নামাযের সময় হলে এবং যানবাহন থামা সম্ভব না হলে যদি গন্তব্যস্থল আসার আগেই নামাযের সময় অতিবাহিত হওয়ার আশঙ্কা হয়, তাহলে

পথ চলতে চলতে আল্লাহর জিকির করুন

পথ চলতে চলতে আল্লাহর জিকির করুন


পথ চলাকালে উঁচু জায়গায় উঠতে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং নিচু জায়গায় নামতে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা কর্তব্য।[1]

পথিমধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে শয়তানকে গালি দেবেন না

পথিমধ্যে যানবাহন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে শয়তানকে গালি দেবেন না


ঘোড়া, উট বা গাড়ি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে শয়তানকে গালিমন্দ করতে নেই। কারণ এতে সে তৃপ্তি পায়। তাই এই সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে হয়। তাতে শয়তান ছোট হয়ে যায়।[1]

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পূর্বে ২ রাকআত নামায পড়া মুস্তাহাব

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পূর্বে ২ রাকআত নামায পড়া মুস্তাহাব


মহানবী (সাঃ) বলেন, ‘‘যখন তুমি তোমার বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার ইচ্ছা কর, তখন দুই রাকআত নামায পড়ে নাও। এই নামায তোমাকে (বাড়ির) বাইরের অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবে। আর যখন তুমি

সফরে বের হওয়ার দু‘আ বলুন

সফরে বের হওয়ার দু‘আ বলুন


সফরে বের হওয়ার সময় যানবাহনে চড়ে নিম্নের দু‘আদি পঠনীয়;
আল্লাহু আকবার ৩বার। অতঃপর পূর্বোক্ত ‘সুবহানাল্লাযী----’ পাঠ করে এই দু‘আ পড়তে হয়,

اَللّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِيْ سَفَرِنَا هذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى اَللّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ، اَللّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِيْ السَّفَرِ وَالْخَلِيْفَةُ فِي الأَهْلِ، اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالأَهْلِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা অত্তাক্বওয়া অমিনাল আমালি মা তারয্বা। আল্লা-হুম্মা হাউবিন আলাইনা সাফারানা হা-যা অত্ববি আন্না বু’দাহ। আল্লা-হুম্মা আন্‌তাস্ স্বা-হিবু ফিস-সাফারি অলখালীফাতু ফিল আহল্। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন অ’সা-ইস্ সাফারি অকাআ-বাতিল মানযারি অসূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি অলআহল্।
অর্থঃ হে আল্লাহ!

যানবাহনে চড়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন

চড়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন


যানবাহনে চড়লে চড়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলুন। চড়ে বসে বলুন, ‘আলহামদু লিল্লাহ’। অতঃপর নিম্নের আয়াত পাঠ করুন,

سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِيْنَ، وَإِنَّا إِلى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ

অর্থঃ পবিত্র ও মহান তিনি যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, অথচ আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। আমরা আমাদের প্রতিপালকের দিকে অবশ্যই প্রত্যাবর্তন করব।[1]
অতঃপর ‘আলহামদু লিল্লা-হ’ ৩বার, ‘আল্লাহু আকবার’ ৩বার পড়ে নিম্নের দু‘আ পড়ুন,

মুসাফির সফরে বের হলে তাকে বিদায় দিন

মুসাফির সফরে বের হলে তাকে বিদায় দিন


মুসাফির সফরে বের হলে তাকে বিদায় দিন এবং তার জন্য দু‘আ করুন। তার বিদায়কালে নিম্নের দু‘আ বলুন। (ক)                    

أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكَ

   উচ্চারণঃ আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা আমালিক।
  অর্থঃ আমি তোমার দ্বীন, আমানত এবং আমলের শেষ পরিণতিকে আল্লাহর নিকট গচ্ছিত রাখছি।[1]

বাড়িতে পরিজনের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করুন

বাড়িতে পরিজনের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করুন


বাড়িতে পরিজনের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করুন। কারো আমানত বা ঋণ থাকলে প্রত্যর্পণ ও পরিশোধ করুন। কারণ, আপনি জানেন না যে, সফর শেষে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না? অতএব পরিজনকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে আপনি তাঁরই উপর ভরসা করে ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ পড়ুনঃ (ক)

নিরুপায় না হলে জুমআর দিন জুমআর আযান হওয়ার পর সফর করা উচিত নয়

নিরুপায় না হলে জুমআর দিন জুমআর আযান হওয়ার পর সফর করা উচিত নয়


নিরুপায় না হলে জুমআর দিন জুমআর আযান হওয়ার পর সফর করা উচিত নয়। যেহেতু তাতে ইচ্ছাকৃত জুমআহ নষ্ট হবে। আর মহান আল্লাহ বলেন,

পারলে বৃহস্পতিবার এবং সকাল সকাল সফরে বের হন

পারলে বৃহস্পতিবার এবং সকাল সকাল সফরে বের হন


যেহেতু  আল্লাহর নবী (সাঃ) বৃহস্পতিবার সফরে বের হতে পছন্দ করতেন।[1]
সখর গামেদী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমার উম্মতের প্রত্যূষে বরকত দাও।’’ আর তিনি কোন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করলে সকাল-সকাল প্রেরণ করতেন। সখ্র (রাঃ) একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনিও

মহিলা একাকিনী হলে। অবিবাহিতার সফর । পর্দার সাথে বের হবে

মহিলা একাকিনী হলে


মহিলা একাকিনী নিজের বাড়ির অথবা ভাড়া গাড়ির ড্রাইভারের সাথে, একাকিনী রিক্সায় রিক্সা-ওয়ালার সাথে অথবা একাকিনী অন্য কোন বেগানা পুরুষের সাথে হাঁটা পথে সফর করবে না।

অবিবাহিতার সফর


অবিবাহিতার সফরে পিতার এবং বিবাহিতার সফরে স্বামীর অনুমতি জরুরী।


পর্দার সাথে বের হবে

মহিলা হলে দূর সফরে একাকিনী যেতে পারে না

মহিলা হলে দূর সফরে একাকিনী যেতে পারে না


যেহেতু নারীর দুশমন সে নিজেই। তার যৌবন তার শত্রু ডেকে আনে। তাই একা সফরে তার বিপদের আশঙ্কা খুব বেশী। আর সে জন্যই সঙ্গে স্বামী অথবা কোন এগানা আত্মীয় ছাড়া সফরে বের হওয়া নিষিদ্ধ।
রাসুল (সাঃ)  বলেন, ‘‘মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা যেন একাকিনী সফর না করে।’’[1]
তিনি আরো বলেন,

সফরে হলেও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে মুসলিমকে

সফরে হলেও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে মুসলিমকে


জামাআত ও একতাবদ্ধ হয়ে সফর করতে হবে। আর এ জন্য একজনকে আমীর বানিয়ে নিতে হবে। রাসুল (সাঃ)  বলেন,

দূরের সফরে একা যাওয়া উচিত নয়

দূরের সফরে একা যাওয়া উচিত নয়


নিজ ঘর-বাড়ি ছেড়ে লেখাপড়া, ব্যবসা, জিহাদ, হজ্জ-উমরাহ অথবা দাওয়াতের উদ্দেশ্যে বিদেশে সফর করা সহজ জিনিস নয়। সফর বড় কষ্টের, বড় ধৈর্যের। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘‘সফর হল আযাবের একটি টুকরা। সফর তোমাদেরকে (নিয়মিত) পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত রাখে। সুতরাং নিজ প্রয়োজন শেষ হলেই পরিবারের প্রতি সত্বর প্রত্যাবর্তন কর।’’[1]
মহানবী (সাঃ) নিজ জীবনে বহু সফর করেছেন। সুতরাং সফরের আদবেও তিনিই আমাদের আদর্শ। আসুন আমরা সেই আদব জেনে আমল করি।
দূরের সফরে একা যাওয়া উচিত নয়। কথায় বলে ‘একা না বোকা।’ বিপদে-আপদে একজন সহযোগী সঙ্গী হলে সফর অনেক সহজ হয়।
এক ব্যক্তি সফর থেকে ফিরে এলে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘তোমার সঙ্গে কে ছিল?’’ লোকটি বলল, ‘কেউ ছিল না।’ এ শুনে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন,

গাড়ি চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় গাড়ি চড়ার দু‘আ পড়ুন

গাড়ি চড়ে কোথাও যাওয়ার সময় গাড়ি চড়ার দু‘আ পড়ুন


পথের মধ্যে অপর গাড়ির সুবিধার কথা খেয়াল রাখুন। আপনার গাড়ি দ্বারা যেন অন্য কোন মুসলিম কষ্ট না পায়। পথের মধ্যে কোন লোককে যদি আপনি তুলে নিয়ে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেন,

কখনো কখনো খালি পায়ে চলা উত্তম

কখনো কখনো খালি পায়ে চলা উত্তম


ফুযালা বিন উবাইদ বলেন, রসূল (সাঃ) আমাদেরকে মাঝে মাঝে খালি পায়ে চলতে আদেশ করতেন।[1]
মাঝে-মধ্যে বিশেষ করে সবুজ ঘাসের উপর খালি পায়ে চলার উপকারিতার কথা আজ বিজ্ঞানও শিকার করে। তাছাড়া

এমনভাবে পথ চলুন, যাতে শীঘ্রতা থাকবে; কিন্তু আপনার গাম্ভির্যও নষ্ট হবে না

এমনভাবে পথ চলুন, যাতে শীঘ্রতা থাকবে; কিন্তু আপনার গাম্ভির্যও নষ্ট হবে না


আমাদের প্রিয়তম রসূল (সাঃ) যখন পথ চলতেন, তখন শীঘ্র পদক্ষেপে চলতেন এবং তাঁর দেহের উপরিভাগ সামনের দিকে ঝুঁকে যেত। দেখে মনে হত, তিনি যেন কোন উঁচু জায়গা থেকে ঢালু পথে নামছেন।[1]
উল্লেখ্য যে,

যমীনে চলাফেরা করার সময় অহংকার প্রদর্শন না করা

যমীনে চলাফেরা করার সময় অহংকার প্রদর্শন না করা


যমীনে চলাফেরা করার সময় অহংকার প্রদর্শন করা, নিজেকে হিরো ও অপরকে জিরো এবং গুরুকে গরু মনে করে অবজ্ঞার সাথে বিচরণ করা অভদ্র, অসভ্য ও গোঁয়ার লোকের নিদর্শন। আসলে একজন মুসলিম হয় ভদ্র ও বিনয়ী। মহান আল্লাহ তার চলার গুণ বর্ণনা করে বলেন,

কতিপয় ক্বিরাআতের বিদআত

কতিপয় ক্বিরাআতের বিদআত


অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য নিম্নে কতিপয় ক্বিরাআতের বিদআত উল্লেখ করা গেলঃ
   (১) কানে আঙ্গুল দিয়ে উচ্চশব্দে গলার রগ ফুলিয়ে ক্বিরাআত করা। অবশ্য কানে আঙ্গুল দিয়ে মিষ্টি সুরে ক্বিরাআত পড়াও বিদআত।
   (২) খুব তাড়াতাড়ি হরফ ও হরকত চুরি করে ক্বিরাআত করা। এ ধরনের ক্বিরাআত সাধারণতঃ খতম বা শবীনা পাঠে হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির নামে কুরআন খতম এবং

কুরআন বা তার অর্থ নিয়ে কারো সাথে মতভেদ দেখা দিলে খবরদার তার সাথে তর্ক বা ঝগড়া করবেন না

কুরআন বা তার অর্থ নিয়ে কারো সাথে মতভেদ দেখা দিলে খবরদার তার সাথে তর্ক বা ঝগড়া করবেন না


কারণ, ‘‘কুরআন নিয়ে ঝগড়া করা এক প্রকার কুফরী।’’[1]

কুরআন তিলাওয়াত শোনার সময় অন্য কাজ বা কথায় ব্যস্ত না থেকে চুপ থেকে মনোযোগ সহকারে শুনুন

কুরআন তিলাওয়াত শোনার সময় অন্য কাজ বা কথায় ব্যস্ত না থেকে চুপ থেকে মনোযোগ সহকারে শুনুন


কেননা, মহান আল্লাহ বলেন,

কুরআন জীর্ণ-শীর্ণ বা নষ্ট হয়ে গেলে, কুরআন থেকে পাতা বিচ্ছিন্ন হলে তা পানিতে ফেলবেন না

কুরআন জীর্ণ-শীর্ণ বা নষ্ট হয়ে গেলে, কুরআন থেকে পাতা বিচ্ছিন্ন হলে তা পানিতে ফেলবেন না


কারণ, পানির সাথে ময়লাও ভাসে অথবা ভাসিয়ে নিয়ে নোংরা জায়গায় ফেলতে পারে। সুতরাং তা পবিত্র মাটির নিচে দাফন করে ফেলুন, নতুবা ভালো করে পুড়িয়ে তার ছাই মাটিতে পুঁতে ফেলুন। কুরআনের পাতা বা তার টুকরো কোন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখলে তা তুলে নিয়ে ঐ

কুরআনের আয়াত দ্বারা তাবীয লিখা বৈধ নয়। বৈধ নয় কুরআনের আয়াতকে কোন প্রকার অসম্মান ও অপবিত্রতার স্থানে পতিত করা

কুরআনের আয়াত দ্বারা তাবীয লিখা বৈধ নয়। বৈধ নয় কুরআনের আয়াতকে কোন প্রকার অসম্মান ও অপবিত্রতার স্থানে পতিত করা


আল্লাহর বান্দা! কুরআন শিক্ষা করুন। কুরআন বুঝে কুরআন তিলাওয়াত করুন। তার উপর আমল করুন। কুরআনের তা’যীম ও সম্মান করুন এবং কুরআনকে সর্বপ্রকার অসম্মান ও অপবিত্রতার হাত হতে রক্ষা করুন। আল্লাহ আপনাকে তওফীক দিন। আমীন।
বলাই বাহুল্য যে, কুরআনকে কেবল সুন্দর বাক্স বা জুজদানে ভরে তাকে তুলে রেখে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন যথেষ্ট নয়। আসলে

কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে জীবিত ব্যক্তির জন্য, মৃতব্যক্তি কুরআন দ্বারা কোন প্রকার উপকৃত হতে পারে না

কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে জীবিত ব্যক্তির জন্য, মৃতব্যক্তি কুরআন দ্বারা কোন প্রকার উপকৃত হতে পারে না


অতএব মৃতব্যক্তির পাশে কুরআন পড়ে, তার নামে কুরআনখানী, ফাতেহাখানী, কুলখানী বা শবীনা পাঠ করে কোন লাভ নেই। লাভ নেই কবরের পাশে কুরআনখানী করে; বরং তা

কুরআন মাজীদের আয়াতকে নকশা বানিয়ে দেওয়ালে টাঙ্গানো বিধেয় নয়

কুরআন মাজীদের আয়াতকে নকশা বানিয়ে দেওয়ালে টাঙ্গানো বিধেয় নয়


অনেকে তা তাবাররুক গ্রহণের উদ্দেশ্যে অথবা সৌন্দর্য আনয়নের উদ্দেশ্যে ঘরের দেওয়ালে লটকিয়ে থাকে। কেউ বা নিজের দোকানে খদ্দের বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে বাঁধিয়ে রাখে, কেউ বাড়ির সদর দরজায় অথবা বিল্ডিং-এর সম্মুখভাগে আয়াত খোদাই করে রাখে। কেউ বা নিজ গাড়িতে

কুরআন তিলাওয়াতের আগে অথবা পরে কুরআন তুলে চুম্বন করা, চোখে বুলানো অথবা কপালে লাগিয়ে সিজদা করা বৈধ নয়

কুরআন তিলাওয়াতের আগে অথবা পরে কুরআন তুলে চুম্বন করা, চোখে বুলানো অথবা কপালে লাগিয়ে সিজদা করা বৈধ নয়


যেহেতু আল্লাহর কালামের প্রতি ভক্তি ও তা’যীম প্রদর্শন এক প্রকার ইবাদত। আর ইবাদতের ঐ পদ্ধতি কুরআন-হাদীসে বর্ণিত হয়নি। অতএব তা বিদআত হতে পারে।
সঊদী আরবের উলামা কমিটি এক বাক্যে বলেন,

(নামাযের বাইরে সাধারণ সময়ে) কুরআন খতমের পর দু‘আ করতে পারেন

(নামাযের বাইরে সাধারণ সময়ে) কুরআন খতমের পর দু‘আ করতে পারেন


সাহাবী আনাস (রাঃ) কুরআন খতম করার পর নিজ পরিবারের সকলকে ডেকে দু‘আ করতেন।[1]
তবে খতমের পর নির্দিষ্ট কোন দু‘আ নেই। অনেক কুরআনের শেষে ‘দু‘আয়ে খতমুল কুরআন’ শিরোনামে যে লম্বা দু‘আ লিখা থাকে,

মাঝে মাঝে কুরআন খতম করার চেষ্টা করুন

মাঝে মাঝে কুরআন খতম করার চেষ্টা করুন


আপনার সময় ও সামর্থ্য অনুযায়ী মাসে এক থেকে দশবার কুরআন খতম করুন। তিন দিনের কম সময়ে খতম করার চেষ্টা করবেন না। কারণ মহানবী (সাঃ) বলেন,

সিজদার আয়াত পাঠ করলে সিজদা করা সুন্নাত

সিজদার আয়াত পাঠ করলে সিজদা করা সুন্নাত


ভক্তির এই সিজদায় সুন্নাতী দু‘আ পড়ুনঃ (ক)

سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِيْ خَلَقَهُ وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ

উচ্চারণ- সাজাদা অজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু অশাক্ব্ক্বা সামআহু  অবাস্বারাহু বিহাউলিহী অক্বুউওয়াতিহ।
অর্থঃ আমার মুখম-ল তাঁর জন্য সিজদাবনত হল যিনি ওকে সৃষ্টি করেছেন এবং স্বীয় শক্তি ও ক্ষমতায় ওর চক্ষু ও কর্ণকে উদ্গত করেছেন।[1]

কুরআন পড়তে পড়তে তসবীহর কথা এলে তসবীহ পড়া এবং আযাবের কথা এলে আযাব থেকে পানাহ ও রহমতের কথা এলে রহমত চেয়ে প্রার্থনা করা সুন্নাত

কুরআন পড়তে পড়তে তসবীহর কথা এলে তসবীহ পড়া এবং আযাবের কথা এলে আযাব থেকে পানাহ ও রহমতের কথা এলে রহমত চেয়ে প্রার্থনা করা সুন্নাত


আল্লাহর রসূল (সাঃ) এরূপই করতেন।[1]
ফুটনোটঃ[1]. মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/৭২৭

কুরআন পড়তে পড়তে তন্দ্রা বা ঢুল এলে পড়া বন্ধ করুন

কুরআন পড়তে পড়তে তন্দ্রা বা ঢুল এলে পড়া বন্ধ করুন


যেহেতু সাধারণতঃ সে সময় আপনি কি পড়তে কি পড়ে বসে থাকবেন, তা হয়তো নিজেই বুঝতে পারবেন না।
রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন নামায পড়তে পড়তে ঢুলতে শুরু করে, তখন সে যেন শুয়ে পড়ে; যাতে তার ঘুম দূর হয়ে যায়। নচেৎ, কেউ ঢুলতে ঢুলতে নামায পড়লে সে হয়তো বুঝতে পারবে না, সম্ভবতঃ সে ক্ষমা চাইতে গিয়ে নিজেকে গালি দিয়ে বসবে।[1]
তিনি বলেন,

একাকী থাকলে বা লোক দেখানির ভয় না থাকলে কুরআন সশব্দে পড়ুন

একাকী থাকলে বা লোক দেখানির ভয় না থাকলে কুরআন সশব্দে পড়ুন


কুরআনের সাথে আপনার কণ্ঠের সুন্দর আওয়াজ লাগিয়ে নিজের মনকে মোহিত করুন। আর মুগ্ধ হন তার অর্থ জেনে। আবেগ এসে এসে আপ্লুত করুক আপনার হৃদয়-মনকে।
অবশ্য পাশে কোন ঘুমন্ত ব্যক্তি থাকলে অথবা লোক প্রদর্শনের আশঙ্কা হলে অথবা আপনার শব্দ-মাধুর্যে কারো ফিতনায় পড়ার ভয় থাকলে কুরআন আস্তে পড়ুন। রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘সশব্দে কুরআন তিলাওয়াতকারী প্রকাশ্যে দানকারীর মত এবং নিঃশব্দে তিলাওয়াতকারী গোপনে দানকারীর মত।’’
যেমন

যে খুব সুন্দর কুরআন পড়তে পারে, তার নিকট থেকে কুরআন শুনতে চাওয়া মুস্তাহাব

যে খুব সুন্দর কুরআন পড়তে পারে, তার নিকট থেকে কুরআন শুনতে চাওয়া মুস্তাহাব


একদা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদের নিকট থেকে কুরআন শুনতে চাইলেন। ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বললেন, ‘আমি আপনার নিকট কুরআন পড়ব, অথচ কুরআন আপনার উপর নাযিল হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘‘আমি তা অপরের নিকট থেকে শুনতে ভালোবাসি।’’[1]
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কুরআন পড়া ভাল, নাকি শোনা ভাল?

কুরআন তিলাওয়াতের সময় কান্না

কুরআন তিলাওয়াতের সময় কান্না


   ইমাম নওবী বলেন, কুরআন তিলাওয়াতের সময় কান্না করা ‘আরেফীন’ (আল্লাহ সম্বন্ধে সম্যক্ জ্ঞানের অধিকারী) মানুষদের গুণ এবং নেক লোকদের প্রতীক। মহান আল্লাহ বলেন,

   قُلْ آمِنُوا بِهِ أَوْ لَا تُؤْمِنُوا إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ مِنْ قَبْلِهِ إِذَا يُتْلَى عَلَيْهِمْ يَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ سُجَّدًا - وَيَقُولُونَ سُبْحَانَ رَبِّنَا إِنْ كَانَ وَعْدُ رَبِّنَا لَمَفْعُولًا - وَيَخِرُّونَ لِلْأَذْقَانِ يَبْكُونَ وَيَزِيدُهُمْ خُشُوعًا 

অর্থাৎ, এর পূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের নিকট যখন তা পাঠ করা হয়, তখনই তারা সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। তারা বলে, আমাদের প্রতিপালকই পবিত্রতম, আমাদের প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই কার্যকরী হবে। তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে (সিজদায়) পড়ে এবং তাদের তা তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে।[1]
তিনি আরো বলেন,

খুব মিষ্টি ও মধুর সুরে বিনয়-নম্রতার সাথে কুরআন পাঠ করুন

খুব মিষ্টি ও মধুর সুরে বিনয়-নম্রতার সাথে কুরআন পাঠ করুন


আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কুরআন মধুর সুরে পাঠ করতে আদেশ করতেন; বলতেনঃ زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ ‘‘তোমাদের (সুমিষ্ট) শব্দ দ্বারা কুরআনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। কারণ, মধুর শব্দ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।’’[1]
‘‘কুরআন পাঠে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আওয়াজ তার, যার কুরআন পাঠ করা শুনে মনে হয়, সে আল্লাহর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত।’’[2]
তিনি আরো বলেন,

কুরআনে যেখানে যেমন টান আছে, ঠিক তেমন টান দিয়ে পড়ুন

কুরআনে যেখানে যেমন টান আছে, ঠিক তেমন টান দিয়ে পড়ুন


রসূলুল্লাহ (সাঃ) ‘হরফে-মাদ্দ্ ’ (আলিফ, ওয়াউ ও ইয়া)কে টেনে পড়তেন।[1] কখনো কখনো বিনম্র সুরে ‘আ-আ-আ’ শব্দে অনুরণিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করতেন।[2]
বলাই বাহুল্য যে, বাংলা অক্ষরে লিখিত কুরআন পাঠ করতে গিয়ে উচ্চারণ সঠিক হয় না। যথাস্থানে টান দেওয়া ও না দেওয়ার ব্যাপারও কঠিন। অতএব

কুরআন পড়ুন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে

কুরআন পড়ুন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে


কুরআন তিলাওয়াতে তাড়াহুড়া ঠিক নয়। বরং মহান আল্লাহর বাণী বড় আদবের সাথে একটা একটা গোটা গোটা স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে, প্রত্যেক অক্ষরকে সঠিকভাবে উচ্চারণ করে, যেখানে টানতে হয় সেখানে টেনে এবং যেখানে টানতে হয় না সেখানে না টেনে পাঠ করুন।
মহান আল্লাহ অনুরূপভাবে কুরআন পড়তে আদেশ দিয়ে বলেন,

সূরার প্রথম অংশ থেকে তিলাওয়াত শুরু করুন

সূরার প্রথম অংশ থেকে তিলাওয়াত শুরু করুন


সূরার মাঝখান থেকে শুরু করলে এমন আয়াত থেকে শুরু করুন, যে আয়াতের সাথে পূর্বের আয়াতের অর্থের কোন সম্পর্ক নেই এবং এমন আয়াতে আপনার ক্বিরাআত শেষ করুন, যে আয়াতের সাথে পরবর্তী আয়াতের অর্থের কোন সম্পর্ক নেই। আর এ জন্যই যারা কুরআনের অর্থ বুঝেন না, তাঁদের জন্য আধা সূরা অপেক্ষা পূর্ণ সূরা পড়াই উত্তম।[1]
বলাই বাহুল্য যে, বাক্যে যেখানে থামা চলে না,

কুরআন তিলাওয়াত শুরু করার পূর্বে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করুন এবং আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করুন

কুরআন তিলাওয়াত শুরু করার পূর্বে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করুন এবং আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করুন


কেননা শয়তান চায় না যে, আপনি আল্লাহর বাণী পাঠ করুন। পাঠ করলেও সে আপনার মনকে অন্য স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। ফলে কুরআনে মনোযোগ থাকে না, অর্থ বুঝে পড়তে মন বসে না অথবা পড়তে ভুল হয়ে যায়। সেই জন্যই মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়ে বলেন,

আল্লাহর বাণী তিলাওয়াতের পূর্বে দাঁত মেজে মুখ ধুয়ে নেওয়া উত্তম

আল্লাহর বাণী তিলাওয়াতের পূর্বে দাঁত মেজে মুখ ধুয়ে নেওয়া উত্তম


আল্লাহর কালাম পাঠের জন্য এটি একটি আদব। যাতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বাণীর সাথে আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ নির্গত না হয়। রাসুল (সাঃ)

ঋতুমতী মহিলা মাসিক ও প্রসবোত্তর খুন জারি থাকাকালে (প্রয়োজনে) কুরআন মুখস্থ পড়তে পারে

ঋতুমতী মহিলা মাসিক ও প্রসবোত্তর খুন জারি থাকাকালে (প্রয়োজনে) কুরআন মুখস্থ পড়তে পারে


যেহেতু তা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোন হাদীস প্রমাণিত নেই।[1]
 
ফুটনোটঃ[1]. ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দায়েমাহ ৪/৭৪

পবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করুন

পবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করুন


যে নাপাকীতে গোসলের প্রয়োজন সে নাপাকী অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত (মুখস্থ পড়া অথবা কুরআন স্পর্শ না করে দূরে রেখে দেখে পড়া) বৈধ নয়। আলী (রাঃ) বলেন, ‘বড় নাপাকীর অবস্থা ছাড়া অন্যান্য অবস্থায় আল্লাহর রসূল (সাঃ) আমাদেরকে কুরআন পড়াতেন।’[1]
অবশ্য যে নাপাকীতে গোসলের দরকার হয় না বরং কেবল ওযূর দরকার হয়, সে নাপাকী অবস্থায় কুরআন মুখস্থ পড়া যায়। যেহেতু রাসুল (সাঃ)

পবিত্র ও ওযূ অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করুন

পবিত্র ও ওযূ অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করুন


যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন,  لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ
অর্থাৎ, যারা পূত-পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না। (অথবা যেন না করে।)[1]
রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘আর পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ যেন কুরআন স্পর্শ না করে।’’[2]
মুসআব বিন সা’দ বিন আবী অক্কাস বলেন, আমি সা’দ বিন আবী অক্কাসের জন্য মুসহাফ ধারণ করতাম। একদা আমি চুলকালাম। তা দেখে সা’দ বললেন, সম্ভবতঃ তুমি তোমার পেশাব-দ্বার স্পর্শ করলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন,

দাঁড়িয়ে থাকা ও চলা অবস্থায়, শুয়ে থাকা বা সওয়ারীতে সওয়ার অবস্থায় কুরআন পাঠ বৈধ কি ?

দাঁড়িয়ে থাকা ও চলা অবস্থায়, শুয়ে থাকা বা সওয়ারীতে সওয়ার অবস্থায় কুরআন পাঠ বৈধ


যেহেতু মহান আল্লাহ চিন্তাশীল বান্দাদের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘তারা দাঁড়িয়ে থাকা, বসে থাকা এবং শুয়ে থাকা অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে।’’[1] সওয়ারীর পিঠে চড়ে আয়াত পড়ার নির্দেশ রয়েছে কুরআনে। (সূরা যুখরুফ ১৩ আয়াত) মক্কা বিজয়ের দিন তিনি সওয়ারী উটের পিঠে চড়ে সূরা ফাত্হ পাঠ করেছেন।[2]
যেমন কোন অপবিত্র ব্যক্তির পাশে বসে,

আল্লাহর কালাম বুঝে পড়ুন

আল্লাহর কালাম বুঝে পড়ুন


টিয়া পাখীর মত কুরআন মুখস্থ বা দেখে পড়লে সওয়াব হতে পারে, তবে বিশেষ লাভ নেই। কারণ কুরআন বুঝা ও তা নিয়ে জ্ঞান-গবেষণা করা তথা তার উপর আমল করা ওয়াজেব। মহান আল্লাহ বলেন,

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا

 অর্থাৎ, তারা কুরআনের প্রতি মনঃসংযোগ করে না কেন? যদি ওটা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে হতো, তাহলে তারা ওতে বহু মতানৈক্য প্রাপ্ত হতো।[1]
আসলে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তা বুঝে তার দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করার জন্যই। মহান আল্লাহ বলেন,

হৃদয় ব্যস্ত না থাকলে কুরআন তিলাওয়াত করুন

হৃদয় ব্যস্ত না থাকলে কুরআন তিলাওয়াত করুন


অবসর সময়ে কুরআনে মন বসবে ভালো। অতএব রাতের তিলাওয়াত সবচেয়ে উত্তম। মহান আল্লাহ বলেন,

إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا - إِنَّ لَكَ فِي النَّهَارِ سَبْحًا طَوِيلًا

অর্থাৎ, নিশ্চয়ই রাত্রির জাগরণ (কুরআন) হৃদয়ঙ্গমের জন্য অধিক সহায়ক এবং সঠিক তিলাওয়াতের পক্ষে অধিক অনুকূল। অবশ্যই দিবাভাগে রয়েছে তোমার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।[1]
বিশেষ করে ফজরের সময় কুরআন তিলাওয়াত বড় ফযীলতপূর্ণ। মহান আল্লাহ বলেন,

কুরআন ভুলে গেলে ‘ভুলে গেছি’ বলবেন না

কুরআন ভুলে গেলে ‘ভুলে গেছি’ বলবেন না


মুখস্থ কুরআন ভুলে গেলে ‘ভুলে গেছি’ বলা মকরূহ। কারণ তাতে গাফলতি ও অবজ্ঞা প্রকাশ পায়। বরং সেই সময় বলতে হয়, ‘আমাকে কুরআন ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ রাসুল (সাঃ) বলেন,

কুরআন হিফয করুন এবং হিফয করার পর তা যেন ভুলে না যান

কুরআন হিফয করুন এবং হিফয করার পর তা যেন ভুলে না যান


কুরআন শিখার পর তা ভুলে যাবেন না। যে সূরা মুখস্থ আছে, তা যেন মুখস্থ থাকে সেই চেষ্টাই করবেন। মুখস্থ সূরা নামাযে পড়ুন, তাহলে অনুশীলনের ফলে তা মনে থাকবে। প্রত্যহ কিছু কিছু করে তিলাওয়াত করুন। নামাযের আযান হওয়া মাত্র মসজিদে এসে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ পড়ে বসে না থেকে নিয়মিত কুরআন পাঠ করুন। প্রতীক্ষার দীর্ঘ সময়কে কুরআন পাঠ করে কাজে লাগান। গাড়িতে ও বাড়িতে কুরআনের ক্যাসেট শুনুন।
তা না করতে পারলে কুরআন মুখস্থ থাকবে না। রাসুল (সাঃ) বলেন,

কুরআন শিক্ষা করে তার উপর আমল করুন

কুরআন শিক্ষা করে তার উপর আমল করুন


যেহেতু কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং আমাদেরকে তা তিলাওয়াত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে তার উপর আমল করার জন্যই। সুতরাং কুরআন যাকে হালাল বলে তা হালাল, যাকে হারাম বলে তা হারাম বলে মেনে নিন। কুরআন যা করতে নিষেধ করে তা খবরদার করবেন না। যা করতে আদেশ করে তা অবশ্যই পালন করুন। কুরআনের স্পষ্ট-অস্পষ্ট সকল আয়াতের উপর যথার্থ ঈমান রাখুন। এই গ্রন্থে দেওয়া সমস্ত খবরকে সন্দেহহীন মনে বিশ্বাস করুন। দ্বিধাহীন চিত্তে এর ফায়সালা ঘাড় পেতে

কুরআন শিখা ও পড়ার সময় নিয়্যাত বিশুদ্ধ করুন

 

কুরআন শিখা ও পড়ার সময় নিয়্যাত বিশুদ্ধ করুন


যেহেতু কুরআন তিলাওয়াত একটি ইবাদত। আর প্রত্যেক ইবাদত কবুল হয় দুটি শর্তে; ইখলাস ও তরীকায়ে মুহাম্মাদীর পথ অনুসরণ করে।
সুতরাং কুরআন শিক্ষা ও পাঠের সময় আপনার মনে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য না থাকে। নচেৎ তা শির্কে পরিণত হতে পারে, আর তার পরিণতি অবশ্যই ভালো নয়।
কিয়ামতের দিন অন্যান্য লোকেদের পূর্বে যে তিন ব্যক্তির প্রথম বিচার হবে, তাদের মধ্যে দ্বিতীয় হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যে ইল্ম শিক্ষা করেছে, অপরকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন পাঠ করেছে। তাকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে। আল্লাহ তাকে

কুরআন কতিপয় বৈশিষ্ট্য


কুরআন


কুরআন মাজীদ মুসলিম জীবনের জীবন-সংবিধান। এতে রয়েছে পথহারা মানুষের জন্য পথের দিশা, ইহ-পরকালে সুখ ও সমৃদ্ধির পথের সন্ধান।
এই কুরআনের যে সকল বৈশিষ্ট্য আছে তার মধ্যে কতিপয় এই যে-
এই কুরআন হল, মহান আল্লাহর মজবুত রশি।
এই কুরআন হল, সকল কিছুর বিবরণী-গ্রন্থ।
এই কুরআন হল, যুগান্তকারী আলোড়ন সৃষ্টিকারী।
এই কুরআন হল, তার অনুসারীর গৌরববৃদ্ধিকারী এবং তার বিরোধীর গৌরব ক্ষুণ্ণকারী।
এই কুরআন হল, সর্ব যুগের চ্যালেঞ্জ স্বরূপ।
এই কুরআন হল,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ