Wednesday, November 15, 2017

জামাআতের নামায দেরীতে হলে

জামাআতের নামায দেরীতে হলে


আওয়াল-অক্তে একাকী নামায পড়ার চাইতে একটু দেরীতে জামাআত সহ্‌ নামায পড়া উত্তম। বিশেষ করে রাতের এশার নামায দেরীতে হলে একাকী আওয়াল অক্তে নামায পড়ে শুয়ে পড়া উত্তম নয়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “নামাযে সবচেয়ে সওয়াব বেশী তার, যাকে (মসজিদের পথে) হাঁটতে হয় বেশী। আর যে ব্যক্তি অপেক্ষা করে ইমাম ও জামাআতের সাথে পড়ে সে ব্যক্তির সওয়াব তার থেকে বেশী, যে (একাকী) নামায পড়ে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।” (বুখারী ৬৫১নং)
অবশ্য ইমাম যদি খুব ঢিলে হন এবং খুব দেরী করে নামায পড়েন, তাহলে

মসজিদে দ্বিতীয় জামাআত

মসজিদে দ্বিতীয় জামাআত


একই মসজিদে একই সময়ে দুটি জামাআত করা বৈধ নয়। কেননা তাতে জামাআত না হয়ে বিচ্ছিন্নতাই প্রকাশ পায়।
অবশ্য কোন মসজিদে নির্দিষ্ট ইমাম না থাকলে সেখানে প্রথম জামাআতের পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাআত দূষণীয় নয়।
যেমন পথের ধারে বা বাজারের মসজিদে বারবার জামাআত হওয়াও দোষাবহ্‌ নয়। বরং যারা যখন আসবে তারা তখনই জামাআত সহকারে নামায আদায় করে নিজ নিজ কাজে বের হয়ে যাবে।
যেমন মসজিদ ছোট হওয়ার কারণে প্রথম জামাআতে বিরাট সংখ্যক মানুষের এক সাথে নামায পড়া সম্ভব না হলে, জামাআত শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় বা তৃতীয় জামাআত করাও বৈধ।
মসজিদের নির্ধারিত ইমামের ইমামতিতে জামাআত শেষ হয়ে যাওয়ার পর

মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে

মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে


মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে বা জামাআত শেষ হওয়ার পর মসজিদে এলে যদি অন্য লোক থাকে তাহলে তাদের সাথে মিলে একজন ইমাম হয়ে জামাআত করে নামায পড়বে।
যদি আর কোন লোকের উপস্থিতির আশা না থাকে, তাহলে অন্য মসজিদে জামাআত না হওয়ার ধারণা পাকা হলে সেখানে গিয়ে জামাআতে নামায পড়বে।
তা না হলে মসজিদে একাকী নামায পড়ার চাইতে বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে জামাআত করে নামায পড়া উত্তম। মহানবী (সাঃ)

নামাযের কতটুকু অংশ পেলে জামাআতের ফযীলত পাওয়া যায়?

নামাযের কতটুকু অংশ পেলে জামাআতের ফযীলত পাওয়া যায়?


নামাযের এক রাকআত ইমামের সাথে পেলে জামাআতের পূর্ণ ফযীলত পাওয়া যায়। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইমামের সাথে এক রাকআত নামায পেয়ে গেল, সে নামায পেয়ে গেল।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১৪১২নং)
তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি জুমুআহ অথবা অন্য নামাযের এক রাকআত পেয়ে গেল, সে নামায পেয়ে গেল।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ১১২৩নং)
অবশ্য ইমামের সালাম ফিরার আগে তাকবীরে তাহ্‌রীমা দিয়ে নামাযের যেটুকু অংশ পাওয়া যায় সেটুকুকে ভিত্তি করে জামাআতে শামিল হওয়া যায়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, “নামাযের ইকামত হয়ে গেলে তোমরা দৌড়ে এস না। বরং তোমরা স্বাভাবিকভাবে চলে এস। আর তোমাদের মাঝে যেন স্থিরতা থাকে। অতঃপর যেটুকু নামায পাও তা পড়ে নাও এবং যা ছুটে যায় তা পুরা করে নাও।” (মুসলিম, সহীহ ৬০২)
উল্লেখ্য যে,

কতগুলো নামাযী হলে জামাআত হবে?

কতগুলো নামাযী হলে জামাআত হবে?


ইমাম ছাড়া কম পক্ষে একটি নামাযী হলে জামাআত গঠিত হবে; চাহে সে নামাযী জ্ঞানসম্পন্ন শিশু হোক অথবা মহিলা।
মহানবী (সাঃ) ইবনে আব্বাসকে নিয়ে জামাআত করে (তাহাজ্জুদ) নামায পড়েছেন। (বুখারী, মুসলিম,  আহমাদ, মুসনাদ, আসু:) তিনি সফরে উদ্যত দুইজন লোককে বলেছিলেন, “নামাযের সময় উপস্থিত হলে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং

জামাআত তথা মসজিদে যাওয়ার কিছু আদব

জামাআত তথা মসজিদে যাওয়ার কিছু আদব


মসজিদের বর্ণনায় মসজিদে যাওয়ার কিছু আদব আলোচিত হয়েছে। জামাআতের প্রাসঙ্গিকতায় এখানে আরো কিছু কথা উল্লেখ করতে বাধ্য হচ্ছি।
জামাআতে হাযির হওয়ার জন্য বাসা থেকে ওযূ করে বিনয়ের সাথে বের হওয়া বাঞ্ছনীয়। কারণ, বাসা থেকে ওযূ করে নামাযে যাওয়ার কথা একাধিক হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে।
এ সময়ে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেবাস পরিধান করা কর্তব্য। এ বিষয়ে মহান আল্লাহর আদেশ রয়েছে। (কুরআন মাজীদ ৭/৩১)
সর্বশরীর থেকে সর্বপ্রকার দুর্গন্ধ দূর করে নেওয়া জরুরী। লেবাসের,

জামাআতে মহিলাদের অংশ গ্রহণ

জামাআতে মহিলাদের অংশ গ্রহণ


(ঈদের নামায ছাড়া অন্য নামাযের জন্য) মহিলাদের মসজিদের জামাআতে শামিল হওয়ার চাইতে স্বগৃহে; বরং গৃহের মধ্যে সবচেয়ে বেশী অন্দর মহলে নামায পড়াই হল উত্তম। মহানবী (সাঃ) বলেন, “মহিলাদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মসজিদ তার গৃহের ভিতরের কক্ষ।” (আহমাদ, মুসনাদ,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/২০৯, বায়হাকী, জামে ৩৩২৭নং)
তিনি বলেন, “মহিলা স্বগৃহে থেকে তার রবের অধিক নিকটবর্তী থাকে।” (ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, সহিহ তারগিব ৩৩৯, ৩৪১নং)
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, “মহিলা তার ঘরে থেকে রবের ইবাদত করার মত ইবাদত আর অন্য কোথাও করতে পারে না।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, সহিহ তারগিব ৩৪২নং)
তিনি মহিলাদেরকে সম্বোধন করে বলেন,

কার উপর এবং কোন্‌ নামাযের জামাআত ওয়াজেব?

কার উপর এবং কোন্‌ নামাযের জামাআত ওয়াজেব?


স্বাধীন জ্ঞানসম্পন্ন মুসলিম পুরুষের জন্য সুস্থতা-অসুস্থতা, ঘরে-সফরে, বিপদে-নিরাপদে সর্বাবস্থায় যথাসাধ্য জামাআতে শামিল হয়ে নামায আদায় করা ওয়াজেব।
অবশ্য জামাআত কেবল ফরয নামাযের জন্য ওয়াজেব। এ ছাড়া (মুআক্কাদাহ ও গায়র মুআক্কাদাহ) সুন্নত এবং নফল নামাযের জন্য; যেমন সুনানে রাওয়াতেব, বিত্‌র, তাহিয়্যাতুল মাসজিদ, তাহিয়্যাতুল উযূ, তাহিয়্যাতুত ত্বাওয়াফ, স্বালাতুত তাসবীহ্‌ (?) স্বালাতুত তাওবাহ্‌, ইশরাক, চাশত, আওয়াবীন প্রভৃতি নামাযের জন্য জামাআত বিধিবদ্ধ নয়।
পক্ষান্তরে

কোন্‌ জামাআতে সওয়াব বেশী?

কোন্‌ জামাআতে সওয়াব বেশী?


  1. জায়গার গুরুত্ব হিসাবে জামাআতের সওয়াব কম-বেশী হয়ে থাকে; যেমন মাসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মাকদেস, মসজিদে কুবা প্রভৃতি।
     
  2. অমসজিদের তুলনায় মসজিদের জামাআতে সওয়াব বেশী। অবশ্য জনহীন মরুভূমীতে রুকূ-সিজদাহ ইত্যাদি পরিপূর্ণরুপে করলে তার সওয়াব ৫০ গুণ বেশী। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

জামাআতে নামাযের ফযীলত ও মাহাত্ম

জামাআতের ফযীলত ও মাহাত্ম


ওয়াজেব হওয়ার সাথে সাথে জামাআতের বিভিন্নমুখী কল্যাণ ও মাহাত্ম রয়েছে; যা জেনে জ্ঞানী নামাযীকে জামাআতে উপস্থিত হয়ে নামায আদায় করতে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হওয়া উচিৎ।
জামাআতে হাজির হয়ে যারা আল্লাহর ঘর মসজিদ আবাদ রাখে, তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত; মহান আল্লাহ তাদের প্রশংসা করে বলেন,
(إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللهَ، فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ)
অর্থাৎ, আসলে তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। আর আশা করা যায়, তারাই হল হেদায়াত-প্রাপ্ত। (কুরআন মাজীদ ৯/১৮)
জামাআতে উপস্থিতি দোযখ ও মুনাফেকী থেকে মুক্তি দেয়; মহানবী (সাঃ) বলেন,

জামাআতের মান ও গুরুত্ব

জামাআতের মান ও গুরুত্ব


নামাজ জামাআত সহকারে আদায় করা ওয়াজেব। বিধায় বিনা ওজরে জামাআত ত্যাগ করা কাবীরাহ্‌ গুনাহ। মহান আল্লাহ বলেন,
(وَأَقِيْمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْنَ)
অর্থাৎ, তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত আদায় কর এবং রুকূকারিগণের সাথে রুকূ কর। (কুরআন মাজীদ ২/৪৩)
বরং জামাআতে নামায না পড়লে নামায কবুল নাও হতে পারে। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আযান শোনে অথচ (মসজিদে জামাআতে) উপস্থিত হয় না, সে ব্যক্তির কোন ওজর ছাড়া (ঘরে নামায পড়লেও তার) নামাযই হয় না।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/২৪৫, সহিহ তারগিব ৪২২নং)
“যে ব্যক্তি মুআযযিনের (আযান) শোনে এবং

জামাআত সম্পর্কীয় মাসায়েল

জামাআত সম্পর্কীয় মাসায়েল


ইসলাম জামাআতবদ্ধ জীবন পছন্দ করে; অপছন্দ করে বিচ্ছিন্নতাকে। কারণ, শান্তি ও শ£খলা রয়েছে জামাআতে। আর নামায একটি বিশাল ইবাদত। (শিশু, ঋতুমতী মহিলা ও পাগল ছাড়া) নামায পড়তেও হয় সমাজের সকল শ্রেণীর সভ্যকে। তাই সমষ্টিগতভাবে এই ইবাদতের জন্যও একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-নীতির প্রয়োজন ছিল। বিধিবদ্ধ হল জামাআত।
পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হয় ইসরা’ ও মি’রাজের রাত্রে। ঠিক তার পরের দিন যোহরের সময় জিবরীল (আঃ) প্রিয় নবী (সাঃ)-কে নিয়ে জামাআত সহকারে প্রথম নামায পড়েন। অনুরুপভাবে

উমরী কাযা ও নামাযের কাফফারা্র বিধিবিধান

কাযা উমরী ও নামাযের কাফফারা


পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করলে সে নামাযের কাযা নেই। অতএব তওবার পর কাযা উমরী বলে শরীয়তে কোন নামায নেই। বিধায় তা বিদআত।
অবশ্য এই তওবাকারী ব্যক্তির উচিৎ, বেশী বেশী করে নফল নামায পড়া এবং অন্যান্য নফল ইবাদতও বেশী বেশী করে করা। (দারেমী, সুনান ২/৪২) তার জন্য ওয়াজেব এই যে, সে সর্বদা নামায ত্যাগ করার ঐ অবহেলাপূর্ণ পাপ ও ক্ষতির কথা মনে রেখে তার প্রতিকারের উদ্দেশ্যে (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) সদা সচেতন থাকবে। সম্ভবত: তার ঐ হারিয়ে দেওয়া দিনের কিছু ক্ষতিপূরণ অর্জন হয়ে যাবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১৩৫)
রসূল (সাঃ) বলেন,

কাযা নামাযের তরতীব কখন বিবেচ্য নয়?

তরতীব কখন বিবেচ্য নয়?


জামাআতে শামিল হয়ে কাযা নামায পড়ার পর সময় অভাবে যে নামায একাকী বা দ্বিতীয় জামাআতে আদায় করা সম্ভব নয়, সে নামায জামাআতেই আদায় করা জরুরী। আর এ ক্ষেত্রে তরতীব বিবেচ্য নয়। যেমন, কেউ জুমআর নামায পড়তে এসে জামাআত খাড়া দেখে তার ফজরের নামায কাযা আছে তা মনে পড়ল। এখন তরতীব বজায় রেখে জামাআতে ফজরের কাযা আদায় করার নিয়তে শামিল হলে পরে একাকী বা দ্বিতীয় জামাআতে জুমআর নামায পড়া সম্ভব নয়। অতএব তখন সে জুমুআহ পড়ার নিয়তেই জামাআতে শামিল হবে এবং তার পরই ফজরের নামায কাযা পড়তে পারবে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১৪১)
তদনুরুপ বর্তমান নামাযের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও

এশার জামাআতে মাগরেবের নামায

এশার জামাআতে মাগরেবের নামায


মাগরেব কাযা রেখে কেউ মসজিদে এলে এবং এশার জামাআত শুরু দেখলে সে মাগরেবের কাযা আদায় করার নিয়তে শামিল হবে। অতঃপর তার তিন রাকআত পড়া হলে বসে যাবে। ইমাম তাশাহ্‌হুদে বসলে তার সঙ্গে তাশাহহুদ আদি পড়ে ইমামের সাথে সালাম ফিরবে। (ইবনে বায, কিদারেমী, সুনান ৯৬পৃ:)
পক্ষান্তরে ইমামের এক রাকআত হয়ে যাওয়ার পর জামাআতে শামিল হলে ইমামের সাথেই সালাম ফিরলে ৩ রাকআত মাগরেবের কাযা আদায় হয়ে যাবে। অতঃপর

কাযা নামাযে তরতীব জরুরী

কাযা নামাযে তরতীব জরুরী


কোন নামায ছুটে গেলে সে নামায কাযা পড়ার পরই বর্তমান নামায পড়া যাবে। অনুরুপ কয়েক ওয়াক্তের নামায এক সঙ্গে কাযা পড়তে হলে অনুক্রম ও তরতীব অনুযায়ী প্রথমে ফজর, অতঃপর যোহ্‌র, অতঃপর আসর, মাগরেব, এশা -এই নিয়মে আদায় করতে হবে। আগা-পিছু করে পড়া বৈধ নয়। খন্দকের যুদ্ধে মহানবী (সাঃ) ও সাহাবাগণের কয়েক ওয়াক্তের নামায ছুটলে ঐ তরতীব খেয়াল রেখেই পরপর আদায় করেছিলেন। (বুখারী, মুসলিম,  প্রমুখ, নাইলুল আউতার, শাওকানী ২/২৯)
এখন যদি কেউ যোহরের নামায কাযা রেখে আসরের অক্তে মসজিদে আসে, তাহলে সে প্রথমে যোহরের নামায পড়ে নেবে। তারপর পড়বে

কাযা নামাযের বিধিবিধান

কাযা নামাযের বিধিবিধান


কেউ যথাসময়ে নামায পড়তে ঘুমিয়ে অথবা ভুলে গেলে এবং তার নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে, পরে যখনই তার চেতন হবে অথবা মনে পড়বে তখনই ঐ (ফরয) নামায কাযা পড়া জরুরী।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তাহলে তার কাফফারা হল স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া।” অন্য এক বর্ণনায় বলেন, “এ ছাড়া তার আর কোন কাফফারা (প্রায়শ্চিত্ত) নেই।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬০৩ নং)
তিন আরো বলেন, “নিদ্রা অবস্থায় কোন শৈথিল্য নেই। শৈথিল্য তো জাগ্রত অবস্থায় হয়। সুতরাং যখন তোমাদের মধ্যে কেউ কোন নামায পড়তে ভুলে যায় অথবা ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তার উচিৎ, স্মরণ হওয়া মাত্র তা পড়ে নেওয়া। কেন না, আল্লাহ তাআলা বলেন,

যে সকল ব্যক্তিত নামায কবুল হয় না ।

কার নামায কবুল নয়?


কিছু নামাযী আছে, যারা নামায তো পড়ে; কিন্তু তাদের নামায আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দরবারে কবুল ও গৃহীত হয় না। নামাযী অথবা নামাযের অবস্থা দেখে মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট হন না। এমন কতকগুলি নামাযী নিম্নরুপ:-
১। পলাতক ক্রীতদাস-
২। এমন স্ত্রী, যার স্বামী তার উপর রাগ করে আছে। স্ত্রী স্বামীকে সর্বদা খোশ রাখবে, তার (ভালো কথা ও কাজে) আনুগত্য করবে, তার সব কথা মেনে চলবে, যৌনসুখ দিয়ে তাকে সর্বদা তৃপ্ত রাখবে, কোন বিষয়ে রাগ হলে তা সত্বর মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সব কিছুতে তাকে সন্তুষ্ট রাখবে -এটাই হল স্ত্রীর ধর্ম। মহানবী (সাঃ) বলেন,

যে সকল কাজ করলে নামায বাতিল হয়

নামায যাতে বাতিল হয়


এমন বহু কর্ম আছে, যা নামাযের ভিতরে করলে নামায বাতিল হয়ে যায়। সে সব কর্মের কিছু নিম্নরুপ:-
১। অপ্রয়োজনে নামাযের ভিতর এত বেশী নড়া-সরা বা চলা-ফেরা করা যাতে অন্য কেউ দেখলে এই মনে করে যে, সে নামায পড়ে নি। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩৫২-৩৫৩) কারণ, কথা বলার মত নামাযের বহির্ভূত অন্যান্য কর্ম করলে নামায বাতিল হয়ে যায়। মহান আল্লাহ বলেন, “--- আর তোমরা আল্লাহর সামনে বিনীত ভাবে দাঁড়াও।” (কুরআন মাজীদ ২/২৩৮)
২। নামাযের কোন রুক্‌ন বা শর্ত ত্যাগ করা:-
ধীর-স্থিরভাবে নামায না পড়ার কারণে মহানবী (সাঃ) নামায ভুলকারী সাহাবাকে তিন-তিনবার ফিরিয়ে নামায পড়তে আদেশ করেছিলেন। (বুখারী, মুসলিম,  প্রমুখ, মিশকাত ৭৯০ নং) কারণ,

নামাযের মধ্যে যা করা বৈধ

নামাযের মধ্যে যা করা বৈধ


নামায পড়তে পড়তে এমন কিছু কাজ আছে যা করা বৈধ, অথচ সাধারণত: তা অবৈধ মনে হয় বা বড় ভুল ভাবা হয়। এ রকম কিছু কাজ নিম্নরুপ :-
১। কাঁদা;
নামায পড়তে পড়তে চোখ দিয়ে অশ্র ঝরা অথবা ডুকরে বা গুমরে কেঁদে ওঠা দূষণীয় নয়। আল্লাহর ভয়ে এমন কান্না কাঁদা তাঁর নেক ও বিনম্র বান্দার বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, “--- তাদের নিকট করুণাময় (আল্লাহর) আয়াত পাঠ করা হলে তারা লুটিয়ে পড়ে সিজদা ও ক্রন্দন করত।” (কুরআন মাজীদ ১৯/৫৮)
আব্দুল্লাহ বিন শিখখীর বলেন, ‘একদা আমি নবী (সাঃ) এর নিকটে এলাম। তখন তিনি

নামাযে যা করা মাকরুহ অথবা নিষিদ্ধ

নামাযে যা করা মাকরুহ অথবা নিষিদ্ধ


১। নামাযে যে সমস্ত কার্যাবলী করা সুন্নত (যেমন রফ্‌য়ে ইয়াদাইন,  ইস্তিরাহার বৈঠক, বুকেহাত বাঁধা ইত্যাদি) তার কোন একটিও ত্যাগ করা মাকরুহ। (ফিকহুস সুন্নাহ্‌ উর্দু ১২৫পৃ:)
২। মুখ ঘুরিয়ে বা আড় চোখে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখা, ঘড়ি বা অন্য কিছু দেখা বৈধ নয়।
পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, চোরা দৃষ্টিতে বা ঘাড় ঘুরিয়ে এদিক-ওদিক দৃষ্টিপাত করার মাধ্যমে শয়তান নামাযীর নামায চুরি করে থাকে। (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৯৮২নং) যেমন অন্য দিকে দৃষ্টিপাত করে মুখ ফিরিয়ে নিলে আল্লাহও মুখ ফিরিয়ে নেন। (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাত ৯৯৫ নং)
নফল নামাযেও এদিক-ওদিক দেখা বৈধ নয়। বৈধ হওয়ার ব্যাপারে হাদীসগুলি সহীহ নয়। (তামামুল মিন্নাহ্‌, আলবানী ৩০৮-৩০৯পৃ:)
অবশ্য চোখের কোণে ডাইনে-বামের জিনিস দেখা বা নজরে পড়া নামাযের জন্য ক্ষতিকর নয়। কারণ, ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,

নামাযে সলফদের একাগ্রতার কিছু নমুনা

নামাযে সলফদের একাগ্রতার কিছু নমুনা


‘যাতুর রিকা’ অভিযানে মুসলিমদের এক ব্যক্তি এক মুশরিক মহিলাকে হ্‌ত্যা করে ফেললে তার স্বামী প্রতিজ্ঞা করল যে, মুহাম্মাদের সঙ্গীদের মধ্যে কারো রক্ত না বহানো পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হবে না। এই সংকল্প নিয়ে সে মহানবী (সাঃ) ও তাঁর সাহাবাদের খোঁজে বের হয়ে পড়ল। এদিকে মহানবী (সাঃ) এক মঞ্জিলে বিশ্রাম নিতে অবতরণ করলে সাহাবাগণের উদ্দেশ্যে বললেন, “কে আমাদের (নিরাপত্তার) জন্য পাহারা দেবে?” এই আহ্‌বানে সাড়া দিয়ে মুহাজিরদের মধ্যে এক ব্যক্তি এবং আনসারদের মধ্য হতে আর এক ব্যক্তি পাহারা দিতে প্রস্তুত হলেন। তাঁদেরকে মহানবী (সাঃ) বললেন, “তোমরা এই উপত্যকার মুখে অবস্থান কর।”
অতঃপর তাঁরা দু’জন যখন উপত্যকার মুখে পৌঁছলেন, তখন

সালাত বা নামায কায়েম হবে কিভাবে?

সালাত বা নামায কায়েম হবে কিভাবে?


মহান আল্লাহ কুরআন মাজীদে ও তাঁর রসূলের মুখে আমাদেরকে নামায পড়তে ও কায়েম করতে বলেছেন। সুতরাং নামায পড়াই যথেষ্ট নয়; নামায কায়েম করা জরুরী। আর নামায কায়েম হবে তখনই, যখন নামাযী নামাযের শর্তাবলী, রুক্‌ন, ফরয বা ওয়াজেব প্রভৃতি পালন করে বাহ্যিকভাবে এবং তার আধ্যাত্মিক বিষয়াবলী প্রতিষ্ঠা করে আন্তরিকভাবে নামায আদায় করবে। আর তখনই নামায সেই নামায হবে, যে নামায পাপ ও নোংরা কাজ হতে নামাযীকে বিরত রাখে।
নামাযের বাহ্যিক দিকটা কিভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে তা আমরা পূর্বেই জেনেছি। এবারে তার আধ্যাত্মিক দিকটা কিভাবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে তাই আলোচিতব্য।
আন্তরিক বিষয়াবলীর মধ্যে হৃদয় উপস্থিত রেখে একাগ্রতা ও মনোনিবেশের সাথে নামায পড়াই প্রধান। এর সঙ্গে থাকবে মনের কাকুতি-মিনতি, অনুনয়-বিনয়, সর্বমহান বিশ্বাধিপতি এবং একমাত্র প্রভু ও উপাস্যের সম্মুখে দন্ডায়মান হয়ে অন্তরে থাকবে নিরতিশয় আদব, ভক্তি ও বিনতি। আল্লাহ তাআলা বলেন, “মু’মিনগণ অবশ্যই সফলকাম হয়েছে; যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র---।” (কুরআন মাজীদ ২৩/১)
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

কুরআন মুখস্থ না হলে করণীয় কি ?

কুরআন মুখস্থ না হলে


কারো পক্ষে কুরআন মুখস্থ কোন প্রকারে সম্ভব না হলে, অথবা ফরয হওয়ার পর তৎপর মুখস্থ করার সুযোগ না হলে সে মুখস্থ করার পূর্বের নামাযগুলোতে ক্বিরাআতের স্থানে ‘সুবহা-নাল্লাহ্‌, অলহামদু লিল্লা-হ্‌, অলা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌, অল্লা-হু আকবার, অলাহাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌’ বলবে। (আবূদাঊদ, সুনান ৮৩২ নং, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ,হাকেম, মুস্তাদরাক, ত্বাবারানীরানী, মু’জাম, ইবনে হিব্বান, সহীহ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩০৩নং)
আল্লাহর রসূল (সাঃ) নামায ভুলকারী সাহাবীকে বলেছিলেন,

নারী-পুরুষের নামাযের পদ্ধতি কি একই ?

নারী-পুরুষের নামাযের পদ্ধতি একই


পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতি একই প্রকার। সুতরাং মহিলাও ঐরুপ একই তরীকায় নামায পড়বে, যেরুপ ও যে তরীকায় পুরুষ পড়ে থাকে। কারণ, (নারী-পুরুষ উভয় জাতির) উম্মতকে সম্বোধন করে রসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা সেইরুপ নামায পড়, যেরুপ আমাকে পড়তে দেখেছ।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬৮৩নং) আর উভয়ের নামায পৃথক হওয়ার ব্যাপারে কোন দলীলও নেই।
সুতরাং যে আদেশ শরীয়ত পুরুষদেরকে করেছে, সে আদেশ মহিলাদের জন্যও এবং যে সাধারণ আদেশ মহিলাদেরকে করেছে তাও পুরুষদের ক্ষেত্রে পালনীয় -যদি বিশেষ হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার দলীল না থাকে। যেমন, “যারা সতী মহিলাদের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদের জন্য শাস্তি হল ৮০ কোড়া---।” (কুরআন মাজীদ ২৪/৪) পরন্তু যদি কেউ কোন সৎ পুরুষকে অনুরুপ অপবাদ দেয়, তবে তার জন্যও ঐ একই শাস্তি প্রযোজ্য।
সুতরাং

ফরয নামাযের পর সম্মিলিতভাবে হাত তুলে মুনাজাত করা বৈধ কি ?

ফরয নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত প্রসঙ্গে


নামাযী যখন নামায পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মুনাজাত করে। আল্লাহর সাথে নিরালায় যেন কানে কানে কথা বলে। (মুঅত্তা, মুসনাদে আহ্‌মদ ২/৩৬, ৪/ ৩৪৪)
নামাযের মাঝেই আব্দ (দাস) মাবুদের (প্রভুর) ধ্যনে ধ্যানমগ্ন থাকে। যেন সে তাকে দেখতে পায়। যতক্ষণ সে নামাযে থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি তার প্রতি মুখ ফিরান এবং সালাম না ফিরা পর্যন্ত তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন না। (বাইহাকী, সহীহুল জামে’১৬১৪ নং)
পরক্ষণে যখনই সে সালাম ফিরে দেয়  তখনই সে মুনাজাতের অবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, দূর হয়ে যায় নৈকট্যের বিশেষ যোগসূত্র। বান্দা সরে আসে  সেই মহান বিশ্বাধিপতির খাস দরবার থেকে। সুতরাং তার নিকট কিছু চাওয়া তো সেই সময়ে অধিক শোভনীয় যে সময়ে ভিখারী বান্দা তাঁর ধ্যনে তার নিকটে ও তাঁর খাস দরবারে থাকে। অতএব সেই নৈকট্যের ধ্যান ভঙ্গ করে এবং মহানবী (সাঃ) এর নির্দেশিত মুনাজাত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় মুনাজাত সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত নয়।
অবশ্য সহীহ হাদীসে বর্ণিত যে, একদা সাহাবাগণ আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে কোন্‌ সময় দুআ অধিকরুপে কবুল হয় - সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, “গভীর রাতের শেষাংশে এবং সকল ফরয নামাযের পশ্চাতে।” (তিরমিযী, সুনান ৩৪৯৯, নাসাঈ, সুনান আমালুল ইয়াউমি অল্লাইলাহ্‌ ১০৮নং, মিশকাত ৯৬৮ নং) হাদীসটি অনেকের নিকট দুর্বল হলেও আসলে তা হাসান। (তিরমিযী, সুনান২৭৮২নং)
সুতরাং এটাই হ্‌চ্ছে ফরয নামাযের পর মুনাজাত করার প্রায় সহীহ ও সব চেয়ে বড় দলীল, যদিও এতে হাত তুলে দুআর কথা নেই। এইখান হতেই ধোকা খেয়ে মুনাজাত-প্রেমীরা উদ্ভাবন করেছেন যে,

কতিপয় জয়ীফ বা অশুদ্ধ যিক্‌র ! তাসবীহ মালা ব্যবহার করা বৈধ কি ?


কতিপয় জয়ীফ বা অশুদ্ধ যিক্‌র !  তাসবীহ মালা ব্যবহার করা বৈধ কি ?


কিছু যিক্‌র আছে, যা লোক মাঝে প্রচলিত অথচ তা সহীহ সুন্নাহর অনুকূল নয়, অথবা তা মনগড়া; যা ত্যাগ করে সহীহ সুন্নাহ্‌ ভিত্তিক যিক্‌র ও দু'আ পড়া কর্তব্য।
  1. ‘আল্লা-হুম্মা আজিরনী মিনান্না-র।’ ফজর ও মাগরেব পর ৭ বার করে পাঠ করে ঐ দিনে বা রাতে মারা গেলে দোযখ থেকে নিস্ক্রিতি পাওয়া যায়। এ হাদীসটি সহীহ নয়, বরং যয়ীফ। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ১৬২৪ নং)
  2. মাথায় হাত রেখে ‘ইয়া ক্বাবিয়্যু’ বা ‘ইয়া নূরু’ বলা। এটি মনগড়া।
  3. মাথায় হাত রেখে ‘বিসমিল্লাহিল্লাযী ---- আল্লাহুম্মা আযহিব আন্নলহাম্মা অলহুযন।’ এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি খুব দুর্বল অথবা জাল। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৬৬০, ১০৫৯ নং)
  4. এত এত বার দরুদ পড়া। দরুদ সালামের পূর্বে বা অন্যান্য অনির্দিষ্ট সময়ে পড়াই বিধেয়।

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ

ফরয নামাযের পর পঠনীয় যিকর ও দুআ


أَسْتَغْفِرُ الله আস্তাগফিরুল্লাহ্‌, (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি) ৩ বার ।

اَللّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্‌কাস সালা-মু তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।
অর্থ- হে আল্লাহ! তুমি শান্তি (সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র) এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব! (মুসলিম ১/৪১৪)

لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

  উচ্চারণ:- “ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহ্‌দাহু লা শারীকা লাহ্‌, লাহুল মুলকু অলাহুলহামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
  অর্থ:- আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশী নেই, তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

নামাযে সিজদায় গিয়ে বাংলা ভাষায় দু'আ করতে পারবো?

নামাযে সিজদায় গিয়ে বাংলা ভাষায় দু'আ করতে পারবো?
.
প্রশ্নঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সিজদাতে বেশি বেশি দুয়া করতে বলেছেন। আমি আরবী জানিনা, আমি কি নামাযের মধ্যে সিজদায় নিজের মাতৃভাষায় (বাংলা/ইংরেজী) দুয়া করতে পারবো?
.
উত্তরঃ বিষয়টি নিয়ে আলেমদের মধ্যে মত পার্থক্য হয়েছে, তবে যেটা বেশি সঠিক তা হলোঃ হ্যা, কেউ যদি আরবী না জানে তাহলে সে দুনিয়া বা আখেরাতের যেকোনো কল্যানের জন্য সিজদাতে নিজের ভাষায় দুয়া করতে পারবে।
এই ক্ষেত্রে দুটি শর্ত রয়েছে –
.
১. যে যিকির ও দুয়াগুলো করা ফরয সেগুলো আরবীতেই করতে হবে যেমন “সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’লা” –এই যিকির আরবীতেই করতে হবে।
২. যেই দুয়া করবেন সেটা আপনি আরবীতে জানেন না। যেমন

১০৫ সূরা আসর

(১) সূরা আসর


وَالْعَصْرِ () إِنَّ الإِنْسَانَ لَفِيْ خُسْرٍ () إِلاَّ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ ()

উচ্চারণ:- অল আসর। ইন্নাল ইনসা-না লাফী খু সর। ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূ অআ’মিলুস স্বা-লিহা-তি অতাওয়াস্বাউবিলহাক্বি অতাওয়াস্বাউবিসস্বাবর।
অর্থ:- মহাকালের শপথ! মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনে সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।

১০৬ সূরা ফীল

(২) সূরা ফীল


أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيْلِ () أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ () وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْراً أَبَابِيْلَ () تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ () فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ ()

উচ্চারণ:- আলাম তারা কাইফা ফাআলা রব্বুকা বিআস্বহা-বিল ফীল। আলাম য়্যাজ্‌আল কাইদাহুম ফী তায্বলীল। অআরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবা-বিল। তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীল। ফাজাআলাহুম কাআস্বফিম মা’কূল।
অর্থ:- তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক হ্‌স্তীবাহিনীর সঙ্গে কি করেছিলেন? তিনি কি ওদের কৌশলকে ব্যর্থ করে দেন নি? তিনি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন। যারা ওদের উপর নিক্ষেপ করে কঙ্কর। অতঃপর তিনি ওদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।

১০৭ সূরা ক্বুরাইশ

(৩) সূরা ক্বুরাইশ


لإِيْلاَفِ قُرَيْشٍ () إِيْلاَفِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ () فَلْيَعْبُدُوْا رَبَّ هذَا الْبَيْتِ () اَلَّذِيْ أَطْعَمَهُمْ مِنْ جُوْعٍ وَّآمَنَهُمْ مِّنْ خَوْفٍ ()

উচ্চারণ:- লিঈলা-ফি ক্বুরাইশ্‌ ঈলা-ফিহিম রিহ্‌লাতাশ শিতা-ই অস্‌স্বাইফ্‌ ফাল য়্যা’বুদু রব্বাহা-যাল বাইত্ আল্লাযী আত্বআমাহুম মিন জু’ । অআ-মানাহুম মিন খাঊফ।
অর্থ:- যেহেতু কুরাইশের জন্য শীত ও গ্রীষ্মের সফরকে তাদের স্বভাব সুলভ করা হয়েছে, সেহেতু ওরা উপাসনা করুক এই গৃহের রক্ষকের। যিনি ক্ষুধায় ওদেরকে আহার দিয়েছেন এবং ভীতি হতে নিরাপদ করেছেন।

১০৮ সূরা কাউষার

(৪) সূরা কাউষার


إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ () فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ () إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الأَبْتَرُ ()

উচ্চারণ:- ইন্না- আ’ত্বাইনা-কাল কাউষার। ফাস্বাল্লি লিরব্বিকা অন্‌হার। ইন্না- শা-নিআকা হুওয়াল আবতার।
অর্থ:- নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে কাউসার (হাওয) দান করেছি। সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার শত্রুই হল নির্বংশ।

১০৯ সূরা কা-ফিরুন

(৫) সূরা কা-ফিরুন


قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ () لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () وَلاَ أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدْتُّمْ () وَلاَ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَا أَعْبُدُ () لَكُمْ دِيْنُكُمْ وَلِيَ دِيْنِ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল ইয়া আই য়ুহাল কা-ফিরুন। লা- আ’বুদু মা- তা’বুদূন। অলা- আন্তুম আ’-বিদূনা মা- আ’বুদ। অলা- আনা আ’-বিদুম মা আ’বাত্তুম। অলা- আন্তুম আ’-বিদূনা মা- আ’বুদ। লাকুম দ্বীনুকুম অলিয়া দ্বীন।
অর্থ:- বল, হে কাফের দল! আমি তার উপাসনা করি না, যার উপাসনা তোমরা কর। তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। আমি তার উপাসক হ্‌ব না, যার উপাসনা তোমরা কর। আর তোমরাও তাঁর উপাসক নও, যাঁর উপাসনা আমি করি। তোমাদের ধর্ম তোমাদের এবং আমার ধর্ম আমার (কাছে প্রিয়)।

১১০ সূরা নাস্বর

(৬) সূরা নাস্বর


إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ () وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجاً () فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّاباً ()

উচ্চারণ:- ইযা জা-আ নাস্বরুল্লা-হি অল ফাতহ। অরাআইতান্‌ না-সা ইয়্যাদখুলুনা ফী দ্বীনিল্লা-হি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ্‌ বিহামদি রাব্বিকা অস্তাগফিরহু; ইন্নাহু কা-না তাউওয়া-বা।
অর্থ:- যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে। তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।

১১১ সূরা লাহাব

(৭) সূরা লাহাব


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَّتَبَّ () مَا أَغْنى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ () سَيَصْلى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ () وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ () فِيْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ ()

উচ্চারণ:- তাব্বাৎ য়্যাদা আবী লাহাবিঁউঅতাব্ব মা আগনা আনহু মা-লুহু অমা কাসাব। সায়্যাস্বলা না-রান যা-তা লাহাব। অমরাআতুহুহাম্মা-লাতালহাত্বাব। ফী জীদিহাহাবলুম মিম মাসাদ।
অর্থ:- ধ্বংস হোক আবূ লাহাবের দুইহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ ও উপর্জিত বস্তু তার কোন উপকারে আসবে না। সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাবিশিষ্ট অগ্নিকুন্ডে। আর তার স্ত্রীও -যে কাঠের বোঝা বহনকারিণী। ওর গলদেশে খেজুর চোকার রশি হবে।

১১২ সূরা ইখলাস

(৮) সূরা ইখলাস


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ () اَللهُ الصَّمَدُ () لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ () وَلَمْ يَكُنْ لَّهُ كُفُواً أَحَدٌ ()

উচ্চারণ:- ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম য়্যালিদ, অলাম ইউলাদ। অলাম য়্যাকুল্‌ লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ:- বল, তিনি আল্লাহ একক। আল্লাহ ভরসাস্থল। তিনি জনক নন এবং জাতকও নন। আর তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।

১১৩ সূরা ফালাক্ব

(৯) সূরা ফালাক্ব


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ () مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ () وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ () وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ () وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ ()
উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। অমিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা অক্বাব। অমিন শার্রিন্‌ নাফ্‌ফা-ষা-তি ফিল উক্বাদ। অমিন শার্রিহা-সিদিন ইযাহাসাদ।
অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার প্রভুর নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। এবং রাতের অনিষ্ট হতে যখন তা গভীর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়। এবং গ্রন্থিতে ফুত্কারিণী (যাদুকরী)দের অনিষ্ট হতে। এবং হিংসুকের অনিষ্ট হতে যখন সে হিংসা করে।

১১৪ সূরা নাস

(১০) সূরা নাস


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ () مَلِكِ النَّاسِ () إِلهِ النَّاسِ () مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ () اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِي صُدُوْرِ النَّاسِ () مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ()
উচ্চারণ:- ক্বুল আঊযু বিরব্বিন্‌ না-স। মালিকিন্‌ না-স। ইলা-হিন্‌ না-স। মিন্‌ শার্রিল অসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্‌ না-স। মিনাল জিন্নাতি অন্‌ না-স।
অর্থ:- তুমি বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধীশ্বর, মানুষের উপাস্যের কাছে- তার কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে সুযোগমত আসে ও (কুমন্ত্রণা দিয়ে) সরে পড়ে। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের হৃদয়ে, জিন ও মানুষের মধ্য হতে।

১০টি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ,

দশটি সূরা এবং তার উচ্চারণ ও অনুবাদ


নিম্নে কয়েকটি ছোট ছোট সূরা উচ্চারণ ও অর্থসহ্‌ লেখা হল। এগুলি এবং অন্যান্য আরো বড় সূরা কুরআন মাজীদ থেকে অথবা কোন ক্বারীর মুখ থেকে শুনে মুখস্থ করা নেওয়া নামাযীর কর্তব্য। প্রকাশ থাকে যে, কুরআনী আয়াতের উচ্চারণ অন্য ভাষায় করা সম্ভব নয় এবং অনেক উলামার মতে তা বৈধও নয়।

১. সুরাতুল ফাতিহা (01-07)

1.সুরাতুল ফাতিহা(01-07)


 ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ


[1] শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
[1] In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful.
[2] ﺍﻟﺤَﻤﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟﻌٰﻠَﻤﻴﻦَ
[2] যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
[2] All the praises and thanks be to Allah, the Lord of the ‘Âlamîn (mankind, jinn
and all that exists).
[3] ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ
[3] যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
[3] The Most Gracious, the Most Merciful
[4] ﻣٰﻠِﻚِ ﻳَﻮﻡِ ﺍﻟﺪّﻳﻦِ
[4] যিনি বিচার দিনের মালিক।
[4] The Only Owner (and the Only Ruling
Judge) of the Day of Recompense (i.e. the
Day of Resurrection)
[5] ﺇِﻳّﺎﻙَ ﻧَﻌﺒُﺪُ ﻭَﺇِﻳّﺎﻙَ ﻧَﺴﺘَﻌﻴﻦُ
[5] আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।

২. সুরাতুল বাকারাহ(01-286)

2.সুরাতুল বাকারাহ(01-286)



ﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻢ
[1] আলিফ লাম মীম।
[1] Alif-Lâm-Mîm. [These letters are one
of the miracles of the Qur’ân and none
but Allâh (Alone) knows their meanings]
[2] ﺫٰﻟِﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐُ ﻻ ﺭَﻳﺐَ ۛ ﻓﻴﻪِ ۛ
ﻫُﺪًﻯ ﻟِﻠﻤُﺘَّﻘﻴﻦَ
[2] এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ
নেই। পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের
জন্য,

৩. সুরা আল – ইমরান(01-200)

3.সুরা আল – ইমরান(01-200)


আলিফﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻢ
[1] আলিফ লাম মীম।
[1] Alif-Lâm-Mîm. [These letters are one
of the miracles of the Qur’ân, and none
but Allâh (Alone) knows their meanings].
[2] ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺤَﻰُّ
ﺍﻟﻘَﻴّﻮﻡُ
[2] আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই,
তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
[2] Allâh! Lâ ilahâ illa Huwa (none has
the right to be worshipped but He), the
Ever Living, the One Who sustains and
protects all that exists.
[3] ﻧَﺰَّﻝَ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﺑِﺎﻟﺤَﻖِّ
ﻣُﺼَﺪِّﻗًﺎ ﻟِﻤﺎ ﺑَﻴﻦَ ﻳَﺪَﻳﻪِ ﻭَﺃَﻧﺰَﻝَ
ﺍﻟﺘَّﻮﺭﻯٰﺔَ ﻭَﺍﻹِﻧﺠﻴﻞَ
[3] তিনি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল
করেছেন সত্যতার সাথে; যা সত্যায়ন
করে পূর্ববর্তী কিতাবসমুহের।

৪. সুরা আন- নিসা (01-176)

4. সুরা আন- নিসা (01-176)


হেِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ
ﺍﻟَّﺬﻯ ﺧَﻠَﻘَﻜُﻢ ﻣِﻦ ﻧَﻔﺲٍ
ﻭٰﺣِﺪَﺓٍ ﻭَﺧَﻠَﻖَ ﻣِﻨﻬﺎ ﺯَﻭﺟَﻬﺎ
ﻭَﺑَﺚَّ ﻣِﻨﻬُﻤﺎ ﺭِﺟﺎﻟًﺎ ﻛَﺜﻴﺮًﺍ
ﻭَﻧِﺴﺎﺀً ۚ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺍﻟَّﺬﻯ
ﺗَﺴﺎﺀَﻟﻮﻥَ ﺑِﻪِ ﻭَﺍﻷَﺭﺣﺎﻡَ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛﺎﻥَ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ ﺭَﻗﻴﺒًﺎ
[1] হে মানব সমাজ! তোমরা
তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর,
যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে
সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে
তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর
বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে
অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয়
কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের
নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয়
জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা
অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ
তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।

৫. সুরা আল – মায়িদা( 01-120)

5. সুরা আল – মায়িদা( 01-120)


মুমিনগণﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺃَﻭﻓﻮﺍ
ﺑِﺎﻟﻌُﻘﻮﺩِ ۚ ﺃُﺣِﻠَّﺖ ﻟَﻜُﻢ ﺑَﻬﻴﻤَﺔُ
ﺍﻷَﻧﻌٰﻢِ ﺇِﻟّﺎ ﻣﺎ ﻳُﺘﻠﻰٰ ﻋَﻠَﻴﻜُﻢ
ﻏَﻴﺮَ ﻣُﺤِﻠِّﻰ ﺍﻟﺼَّﻴﺪِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢ
ﺣُﺮُﻡٌ ۗ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳَﺤﻜُﻢُ ﻣﺎ ﻳُﺮﻳﺪُ
[1] মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ
পূর্ন কর। তোমাদের জন্য চতুষ্পদ জন্তু
হালাল করা হয়েছে, যা তোমাদের
কাছে বিবৃত হবে তা ব্যতীত। কিন্তু
এহরাম বাধাঁ অবস্থায় শিকারকে
হালাল মনে করো না! নিশ্চয় আল্লাহ
তা’আলা যা ইচ্ছা করেন, নির্দেশ দেন।
[1] O you who believe! Fulfill (your)
obligations. Lawful to you (for food) are
all the beasts of cattle except that which
will be announced to you (herein), game
(also) being unlawful when you assume
Ihrâm for Hajj or ‘Umrah (pilgrimage).
Verily, Allâh commands that which He
wills.

৬. সুরা আল আনআম(01-165)

6.সুরা আল আনআম(01-165)



ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে

৭.সুরা আল – আরাফ(01-206)

7.সুরা আল – আরাফ(01-206)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻤﺺ
[1] আলিফ, লাম, মীম, ছোয়াদ।
[1] Alif-Lâm-Mîm-Sâd. [These letters are
one of the miracles of the Qur’ân and
none but Allâh (Alone) knows their
meanings].
[2] ﻛِﺘٰﺐٌ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻓَﻼ ﻳَﻜُﻦ
ﻓﻰ ﺻَﺪﺭِﻙَ ﺣَﺮَﺝٌ ﻣِﻨﻪُ ﻟِﺘُﻨﺬِﺭَ
ﺑِﻪِ ﻭَﺫِﻛﺮﻯٰ ﻟِﻠﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[2] এটি একটি গ্রন্থ, যা আপনার প্রতি
অবতীর্ণ হয়েছে, যাতে করে আপনি এর
মাধ্যমে ভীতি-প্রদর্শন করেন। অতএব,
এটি পৌছে দিতে আপনার মনে
কোনরূপ সংকীর্ণতা থাকা উচিত নয়।
আর এটিই বিশ্বাসীদের জন্যে উপদেশ।
[2] (This is the) Book (the Qur’ân) sent
down unto you (O Muhammad SAW), so
let not your breast be narrow therefrom,
that you warn thereby, and a reminder
unto the believers.

৮. সুরা আল- আনফাল(01-75)

8. সুরা আল- আনফাল(01-75)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻳَﺴـَٔﻠﻮﻧَﻚَ ﻋَﻦِ ﺍﻷَﻧﻔﺎﻝِ ۖ ﻗُﻞِ
ﺍﻷَﻧﻔﺎﻝُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺮَّﺳﻮﻝِ ۖ ﻓَﺎﺗَّﻘُﻮﺍ
ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﺻﻠِﺤﻮﺍ ﺫﺍﺕَ ﺑَﻴﻨِﻜُﻢ ۖ
ﻭَﺃَﻃﻴﻌُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳﻮﻟَﻪُ ﺇِﻥ
ﻛُﻨﺘُﻢ ﻣُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
[1] আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে,
গনীমতের হুকুম। বলে দিন, গণীমতের
মাল হল আল্লাহর এবং রসূলের। অতএব,
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের
অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং
তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হয়ে
থাক।
[1] They ask you (O Muhammad SAW)
about the spoils of war. Say: “The spoils
are for Allâh and the Messenger.” So fear
Allâh and adjust all matters of difference
among you, and obey Allâh and His
Messenger (Muhammad SAW), if you are
believers.

৯. সুরা আত – তাওবাহ(01-129)

9. সুরা আত – তাওবাহ(01-129)


ﺑَﺮﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭَﺳﻮﻟِﻪِ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻋٰﻬَﺪﺗُﻢ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﻤُﺸﺮِﻛﻴﻦَ
[1] সম্পর্কচ্ছেদ করা হল আল্লাহ ও তাঁর
রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরিকদের
সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ
হয়েছিলে।
[1] Freedom from (all) obligations (is
declared) from Allâh and His Messenger
(SAW) to those of the Mushrikûn
(polytheists, pagans, idolaters,
disbelievers in the Oneness of Allâh),
with whom you made a treaty.
[2] ﻓَﺴﻴﺤﻮﺍ ﻓِﻰ ﺍﻷَﺭﺽِ
ﺃَﺭﺑَﻌَﺔَ ﺃَﺷﻬُﺮٍ ﻭَﺍﻋﻠَﻤﻮﺍ ﺃَﻧَّﻜُﻢ
ﻏَﻴﺮُ ﻣُﻌﺠِﺰِﻯ ﺍﻟﻠَّﻪِ ۙ ﻭَﺃَﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ
ﻣُﺨﺰِﻯ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻳﻦَ
[2] অতঃপর তোমরা পরিভ্রমণ কর এ দেশে
চার মাসকাল। আর জেনে রেখো, তোমরা
আল্লাহকে পরাভূত করতে পারবে না, আর
নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদিগকে লাঞ্ছিত করে
থাকেন।

১০. সুরা ইউনূস (01- 109)

10. সুরা ইউনূস (01- 109)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﺍﻟﺤَﻜﻴﻢِ
[1] আলিফ-লাম-র, এগুলো হেকমতপূর্ণ
কিতাবের আয়াত।
[1] Alif-Lâm-Râ. [These letters are one of
the miracles of the Qur’ân, and none but
Allâh (Alone) knows their meanings].
These are the Verses of the Book (the
Qur’ân) Al-Hakîm.
[2] ﺃَﻛﺎﻥَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﻋَﺠَﺒًﺎ ﺃَﻥ
ﺃَﻭﺣَﻴﻨﺎ ﺇِﻟﻰٰ ﺭَﺟُﻞٍ ﻣِﻨﻬُﻢ ﺃَﻥ
ﺃَﻧﺬِﺭِ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻭَﺑَﺸِّﺮِ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ
ﺀﺍﻣَﻨﻮﺍ ﺃَﻥَّ ﻟَﻬُﻢ ﻗَﺪَﻡَ ﺻِﺪﻕٍ
ﻋِﻨﺪَ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ۗ ﻗﺎﻝَ ﺍﻟﻜٰﻔِﺮﻭﻥَ ﺇِﻥَّ
ﻫٰﺬﺍ ﻟَﺴٰﺤِﺮٌ ﻣُﺒﻴﻦٌ
[2] মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে,
আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে
একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক
করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন
ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা
রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে।
কাফেররা বলতে লাগল, নিঃসন্দেহে এ
লোক প্রকাশ্য যাদুকর।

১১. সুরা আল হুদ (01-123)

11. সুরা আল হুদ (01-123)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﻛِﺘٰﺐٌ ﺃُﺣﻜِﻤَﺖ ﺀﺍﻳٰﺘُﻪُ
ﺛُﻢَّ ﻓُﺼِّﻠَﺖ ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻥ ﺣَﻜﻴﻢٍ
ﺧَﺒﻴﺮٍ
[1] আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক
কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত
অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক
মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে।
[1] Alif-Lâm-Râ. [These letters are one of
the miracles of the Qur’ân and none but
Allâh (Alone) knows their meanings].
(This is) a Book, the Verses whereof are
perfected (in every sphere of
knowledge), and then explained in detail
from One (Allâh), Who is All-Wise Well-
Acquainted (with all things).

১২. আল ইউসুফ (01-111)

12. আল ইউসুফ (01-111)



ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﺍﻟﻤُﺒﻴﻦِ
[1] আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো সুস্পষ্ট
গ্রন্থের আয়াত।
[1] Alif-Lâm-Râ. [These letters are one of
the miracles of the Qur’an, and none but
Allâh (Alone) knows their meanings].
These are the Verses of the Clear Book
(the Qur’ân that makes clear the legal
and illegal things, laws, a guidance and a
blessing).
[2] ﺇِﻧّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﻨٰﻪُ ﻗُﺮﺀٰﻧًﺎ ﻋَﺮَﺑِﻴًّﺎ
ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢ ﺗَﻌﻘِﻠﻮﻥَ
[2] আমি একে আরবী ভাষায় কোরআন
রূপে অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা
বুঝতে পার।
[2] Verily, We have sent it down as an
Arabic Qur’ân in order that you may
understand.

১৩. সুরা আল – রাদ (01-43)

13. সুরা আল – রাদ (01-43)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﻤﺮ ۚ ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ ۗ
ﻭَﺍﻟَّﺬﻯ ﺃُﻧﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴﻚَ ﻣِﻦ ﺭَﺑِّﻚَ
ﺍﻟﺤَﻖُّ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺃَﻛﺜَﺮَ ﺍﻟﻨّﺎﺱِ ﻻ
ﻳُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[1] আলিফ-লাম-মীম-রা; এগুলো
কিতাবের আয়াত। যা কিছু আপনার
পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ
হয়েছে, তা সত্য। কিন্তু অধিকাংশ
মানুষ এতে বিশ্বাস করে না।
[1] Alif-Lâm-Mîm-Râ. [These letters are
one of the miracles of the Qur’ân and
none but Allâh (Alone) knows their
meanings]. These are the Verses of the
Book (the Qur’ân), and that which has
been revealed unto you (Muhammad
SAW) from your Lord is the truth, but
most men believe not

১৪. সুরা আল ইবরাহীম (01-52)

14. সুরা আল ইবরাহীম (01-52)



ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﻛِﺘٰﺐٌ ﺃَﻧﺰَﻟﻨٰﻪُ ﺇِﻟَﻴﻚَ
ﻟِﺘُﺨﺮِﺝَ ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈُّﻠُﻤٰﺖِ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻨّﻮﺭِ ﺑِﺈِﺫﻥِ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﺇِﻟﻰٰ
ﺻِﺮٰﻁِ ﺍﻟﻌَﺰﻳﺰِ ﺍﻟﺤَﻤﻴﺪِ
[1] আলিফ-লাম-রা; এটি একটি গ্রন্থ,
যা আমি আপনার প্রতি নাযিল করেছি-
যাতে আপনি মানুষকে অন্ধকার থেকে
আলোর দিকে বের করে আনেন-
পরাক্রান্ত, প্রশংসার যোগ্য
পালনকর্তার নির্দেশে তাঁরই পথের
দিকে।

১৫. সুরা আল হিজর (01-99)

15. সুরা আল হিজর (01-99)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺍﻟﺮ ۚ ﺗِﻠﻚَ ﺀﺍﻳٰﺖُ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐِ
ﻭَﻗُﺮﺀﺍﻥٍ ﻣُﺒﻴﻦٍ
[1] আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো পরিপূর্ণ
গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কোরআনের আয়াত।
[1] Alif-Lâm-Râ. [These letters are one of
the miracles of the Qur’ân, and none but
Allâh (Alone) knows their meanings].
These are the Verses of the Book, and a
plain Qur’ân.
[2] ﺭُﺑَﻤﺎ ﻳَﻮَﺩُّ ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮﻭﺍ ﻟَﻮ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻣُﺴﻠِﻤﻴﻦَ
[2] কোন সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা
করবে যে, কি চমৎকার হত, যদি তারা
মুসলমান হত।

১৬. সুরা আল নাহল (01-128)

16. সুরা আল নাহল (01-128)



ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম
করুণাময়, অতি দয়ালু
[1] ﺃَﺗﻰٰ ﺃَﻣﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻼ
ﺗَﺴﺘَﻌﺠِﻠﻮﻩُ ۚ ﺳُﺒﺤٰﻨَﻪُ ﻭَﺗَﻌٰﻠﻰٰ
ﻋَﻤّﺎ ﻳُﺸﺮِﻛﻮﻥَ
[1] আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে।
অতএব এর জন্যে তাড়াহুড়া করো না।
ওরা যেসব শরীক সাব্যস্ত করছে সেসব
থেকে তিনি পবিত্র ও বহু উর্ধ্বে।
[1] The Event (the Hour or the
punishment of disbelievers and
polytheists or the Islâmic laws or
commandments), ordained by Allâh will
come to pass, so seek not to hasten it.
Glorified and Exalted be He above all
that they associate as partners with Him.
[2] ﻳُﻨَﺰِّﻝُ ﺍﻟﻤَﻠٰﺌِﻜَﺔَ ﺑِﺎﻟﺮّﻭﺡِ ﻣِﻦ
ﺃَﻣﺮِﻩِ ﻋَﻠﻰٰ ﻣَﻦ ﻳَﺸﺎﺀُ ﻣِﻦ
ﻋِﺒﺎﺩِﻩِ ﺃَﻥ ﺃَﻧﺬِﺭﻭﺍ ﺃَﻧَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟٰﻪَ
ﺇِﻟّﺎ ﺃَﻧﺎ۠ ﻓَﺎﺗَّﻘﻮﻥِ
[2] তিনি স্বীয় নির্দেশে বান্দাদের
মধ্যে যার কাছে ইচ্ছা, নির্দেশসহ
ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল
করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি
ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব
আমাকে ভয় কর।

১৭. সুরা বনী ইসরাইল(ইসরা)-(01-111)

17. সুরা বনী ইসরাইল(ইসরা)-(01-111)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﺳُﺒﺤٰﻦَ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﺳﺮﻯٰ ﺑِﻌَﺒﺪِﻩِ
ﻟَﻴﻠًﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻟﺤَﺮﺍﻡِ ﺇِﻟَﻰ
ﺍﻟﻤَﺴﺠِﺪِ ﺍﻷَﻗﺼَﺎ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺑٰﺮَﻛﻨﺎ
ﺣَﻮﻟَﻪُ ﻟِﻨُﺮِﻳَﻪُ ﻣِﻦ ﺀﺍﻳٰﺘِﻨﺎ ۚ ﺇِﻧَّﻪُ
ﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤﻴﻊُ ﺍﻟﺒَﺼﻴﺮُ
[1] পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি
স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ
করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে
মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি
পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে
কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই।
নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।

১৮. সুরাহ আল কাহাফ(01-110)

18. সুরাহ আল কাহাফ(01-110)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﺍﻟﺤَﻤﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬﻯ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﻋَﻠﻰٰ
ﻋَﺒﺪِﻩِ ﺍﻟﻜِﺘٰﺐَ ﻭَﻟَﻢ ﻳَﺠﻌَﻞ ﻟَﻪُ
ﻋِﻮَﺟﺎ ۜ
[1] সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার
প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে
কোন বক্রতা রাখেননি।
[1] All the praises and thanks are to
Allâh, Who has sent down to His slave
(Muhammad SAW) the Book (the
Qur’ân), and has not placed therein any
crookedness.
[2] ﻗَﻴِّﻤًﺎ ﻟِﻴُﻨﺬِﺭَ ﺑَﺄﺳًﺎ ﺷَﺪﻳﺪًﺍ
ﻣِﻦ ﻟَﺪُﻧﻪُ ﻭَﻳُﺒَﺸِّﺮَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻴﻦَ
ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻳَﻌﻤَﻠﻮﻥَ ﺍﻟﺼّٰﻠِﺤٰﺖِ ﺃَﻥَّ
ﻟَﻬُﻢ ﺃَﺟﺮًﺍ ﺣَﺴَﻨًﺎ
[2] একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর
পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয়
প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা
সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান
করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান
রয়েছে।

১৯. সুরাহ মরিয়ম (01-98)

19. সুরাহ মরিয়ম (01-98)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻛﻬﻴﻌﺺ
[1] কাফ-হা-ইয়া-আইন-সাদ
[1] Kâf¬ Hâ¬Y⬒Aîn¬Sâd. [These letters
are one of the miracles of the Qur’ân,
and none but Allâh (Alone) knows their
meanings].
[2] ﺫِﻛﺮُ ﺭَﺣﻤَﺖِ ﺭَﺑِّﻚَ ﻋَﺒﺪَﻩُ
ﺯَﻛَﺮِﻳّﺎ
[2] এটা আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহের বিবরণ
তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি।

২০. সুরাহ ত্বহা (01-135)

20. সুরাহ তহা (01-135)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻃﻪ
[1] তোয়া-হা
[1] Ta – Ha [These letters are one of the
miracles of the Qur’ân, and none but
Allâh (Alone) knows their meanings.]
[2] ﻣﺎ ﺃَﻧﺰَﻟﻨﺎ ﻋَﻠَﻴﻚَ ﺍﻟﻘُﺮﺀﺍﻥَ
ﻟِﺘَﺸﻘﻰٰ
[2] আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি
আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি।
[2] We have not sent down the Qur’ân
unto you (O Muhammad SAW) to cause
you distress,
[3] ﺇِﻟّﺎ ﺗَﺬﻛِﺮَﺓً ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺨﺸﻰٰ
[3] কিন্তু তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয়
করে।

২১. সুরাহ আল আম্বিয়া(01-112)

21. সুরাহ আল আম্বিয়া(01-112)

 
 
 
 
 
 
Rate This

ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﺍﻗﺘَﺮَﺏَ ﻟِﻠﻨّﺎﺱِ ﺣِﺴﺎﺑُﻬُﻢ
ﻭَﻫُﻢ ﻓﻰ ﻏَﻔﻠَﺔٍ ﻣُﻌﺮِﺿﻮﻥَ
[1] মানুষের হিসাব-কিতাবের সময় নিকটবর্তী;
অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
[1] Draws near for mankind their
reckoning, while they turn away in
heedlessness.
[2] ﻣﺎ ﻳَﺄﺗﻴﻬِﻢ ﻣِﻦ ﺫِﻛﺮٍ ﻣِﻦ
ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻣُﺤﺪَﺙٍ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﺳﺘَﻤَﻌﻮﻩُ
ﻭَﻫُﻢ ﻳَﻠﻌَﺒﻮﻥَ
[2] তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ
থেকে যখনই কোন নতুন উপদেশ আসে,
তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে।

২২. সুরাহ আল হজ্ব(01-78)

22. সুরাহ আল হজ্ব(01-78)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻳٰﺄَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨّﺎﺱُ ﺍﺗَّﻘﻮﺍ ﺭَﺑَّﻜُﻢ ۚ
ﺇِﻥَّ ﺯَﻟﺰَﻟَﺔَ ﺍﻟﺴّﺎﻋَﺔِ ﺷَﻲﺀٌ
ﻋَﻈﻴﻢٌ
[1] হে লোক সকল! তোমাদের
পালনকর্তাকে ভয় কর। নিশ্চয় কেয়ামতের
প্রকম্পন একটি ভয়ংকর ব্যাপার।
[1] O mankind! Fear your Lord and be
dutiful to Him! Verily, the earthquake of
the Hour (of Judgement) is a terrible
thing.
[2] ﻳَﻮﻡَ ﺗَﺮَﻭﻧَﻬﺎ ﺗَﺬﻫَﻞُ ﻛُﻞُّ
ﻣُﺮﺿِﻌَﺔٍ ﻋَﻤّﺎ ﺃَﺭﺿَﻌَﺖ ﻭَﺗَﻀَﻊُ
ﻛُﻞُّ ﺫﺍﺕِ ﺣَﻤﻞٍ ﺣَﻤﻠَﻬﺎ ﻭَﺗَﺮَﻯ
ﺍﻟﻨّﺎﺱَ ﺳُﻜٰﺮﻯٰ ﻭَﻣﺎ ﻫُﻢ
ﺑِﺴُﻜٰﺮﻯٰ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﻋَﺬﺍﺏَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺷَﺪﻳﺪٌ
[2] যেদিন তোমরা তা প্রত্যক্ষ করবে,
সেদিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার দুধের
শিশুকে বিস্মৃত হবে এবং প্রত্যেক
গর্ভবতী তার গর্ভপাত করবে এবং মানুষকে
তুমি দেখবে মাতাল; অথচ তারা মাতাল নয় বস্তুতঃ
আল্লাহর আযাব সুকঠিন।

২৩. সুরাহ মু ‘মিনুন(01-118)

23. সুরাহ মু ‘মিনুন(01-118)


ﺑِﺴﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢِ – শুরু
করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি
দয়ালু
[1] ﻗَﺪ ﺃَﻓﻠَﺢَ ﺍﻟﻤُﺆﻣِﻨﻮﻥَ
[1] মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে,
[1] Successful indeed are the believers.
[2] ﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫُﻢ ﻓﻰ ﺻَﻼﺗِﻬِﻢ
ﺧٰﺸِﻌﻮﻥَ
[2] যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র;
[2] Those who offer their Salât (prayers)
with all solemnity and full
submissiveness.
[3] ﻭَﺍﻟَّﺬﻳﻦَ ﻫُﻢ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐﻮِ
ﻣُﻌﺮِﺿﻮﻥَ
[3] যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ