Wednesday, April 11, 2018

সুতরার বিধান কি? এবং এর সীমা কতটুকু?

(২৬৭) সুতরার বিধান কি? এবং এর সীমা কতটুকু?


সুতরা গ্রহণ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। তবে জামাতের সাথে নামায পড়লে মুক্তাদীর জন্য সুতরার দরকার নেই। ইমামের সুতরা মুক্তাদীর জন্য যথেষ্ট। এর সীমা সম্পর্কে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ
 مِثْلَ مُؤْخِرَةِ الرَّحْلِ 
“উটের উপর হেলান দিয়ে বসার জন্য তার পিঠে যে কাঠ রাখা হয় তার উচ্চতার বরাবর।”

মসজিদে হারামে মুছল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার বিধান কি? নামায ফরয হোক বা নফল। মুছল্লী মুক্তাদী হোক বা একাকী হোক।

(২৬৮) মসজিদে হারামে মুছল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার বিধান কি? নামায ফরয হোক বা নফল। মুছল্লী মুক্তাদী হোক বা একাকী হোক।


মসজিদুল হারাম বা অন্য কোন স্থানে মুক্তাদী মুছল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা ইবনু আব্বাস (রাঃ) মিনায় আগমণ করলেন। তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লোকদের নিয়ে একটি দেয়াল সামনে রেখে নামায আদায় করছিলেন। ইবনু আব্বাস কাতারের সম্মুখ দিয়ে একটি গাধার পিঠে চড়ে অতিক্রম করলেন। কেউ তার প্রতিবাদ করেনি।
মুছল্লী যদি ইমাম বা একক হয়, তবে তার সম্মুখ দিয়ে যাওয়া জয়েয নেই। চাই তা

নামাযের সময় মুছল্লীদের সম্মুখে বৈদ্যুতিক হিটার (শীতকালে ঠান্ডা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হিটার) রাখার বিধান কি? এক্ষেত্রে কি কোন শরঈ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে?

(২৬৯) নামাযের সময় মুছল্লীদের সম্মুখে বৈদ্যুতিক হিটার (শীতকালে ঠান্ডা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হিটার) রাখার বিধান কি? এক্ষেত্রে কি কোন শরঈ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে?


মুছল্লীদের সম্মুখভাগে ক্বিবলার দিকে হিটার রাখতে কোন অসুবিধা নেই। শরীয়তে এর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা

নামাযের ক্বিরাতে জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা আসলে জান্নাতের প্রার্থনা এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় কামনা করা জায়েয কি?

(২৭০) নামাযের ক্বিরাতে জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা আসলে জান্নাতের প্রার্থনা এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় কামনা করা জায়েয কি?


হ্যাঁ, এটা জায়েয। এক্ষেত্রে ইমাম, মুক্তাদী বা একক ব্যক্তির মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তবে মুক্তাদীর যেন ইমামের ক্বিরআত নীরব থেকে শোনার ব্যাপারে কোন ব্যাঘাত না

সাহু সিজদা করার কারণ সমূহ কি কি?

(২৭১) সাহু সিজদা করার কারণ সমূহ কি কি?


সাহু সিজদা সংবিধিবদ্ধ করার পিছনে রহস্য হল এই যে, এটা নামাযের মধ্যে যে ত্রুটি হয় তার পূর্ণতা দান করে।
তিনটি কারণে নামাযে সাহু সিজদা দিতে হয়ঃ
১) নামায বৃদ্ধি হওয়া। যেমন, কোন রুকূ বা সিজদা বা বসা ইত্যাদি বৃদ্ধি হওয়া।
২) হরাস হওয়া। কোন রুকন বা ওয়াজিব কম হওয়া।
৩) সন্দেহ হওয়া। কত রাকাত পড়েছে তিন না চার এব্যাপারে সংশয় হওয়া।
প্রথমতঃ ছালাতে বৃদ্ধি হওয়া:

ইমাম ভুলক্রমে এক রাকাআত নামায বৃদ্ধি করেছেন। আমি মাসবূক হিসেবে ইমামের অতিরিক্ত নামায আমার নামাযের সাথে মিলিয়ে নিয়েছি। আমার নামায কি বিশুদ্ধ হয়েছে? আর যদি ঐ রাকাতের হিসাব না ধরি তবে তার বিধান কি?

(২৭২) ইমাম ভুলক্রমে এক রাকাআত নামায বৃদ্ধি করেছেন। আমি মাসবূক হিসেবে ইমামের অতিরিক্ত নামায আমার নামাযের সাথে মিলিয়ে নিয়েছি। আমার নামায কি বিশুদ্ধ হয়েছে? আর যদি ঐ রাকাতের হিসাব না ধরি তবে তার বিধান কি?


সঠিক মত হচ্ছে আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে। কেননা আপনি নামায পূর্ণভাবে আদায় করেছেন। ইমাম যে ভুল করেছেন সে তার উপর বর্তাবে। ভুল হওয়ার কারণে তিনি মা‘যুর (অপারগ ও অক্ষম)। কিন্তু আপনি যদি ঐ রাকাআতের হিসাব না ধরেন এবং অতিরিক্ত রাকাআত আদায় করেন,

তাহাজ্জুদ নামাযে ভুলক্রমে তৃতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি?

(২৭৩) তাহাজ্জুদ নামাযে ভুলক্রমে তৃতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি?


স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে বসে পড়বে। অন্যথায় তার নামায বাতিল হয়ে যাবে। কেননা ইচ্ছাকৃতভাবে তার নামায বৃদ্ধি হয়ে গেল। ইমাম আহমাদ বলেছেন, কোন লোক যদি রাতের নফল নামাযে তৃতীয় রাকাআতের জন্য দন্ডায়মান হয়, তবে সে যেন ফজর নামাযে তৃতীয় রাকাতের জন্য দন্ডায়মান হওয়া বৈধ করে নিল। এ অবস্থায় সে যদি না বসে যায় তবে তার ছালাত বাতিল হয়ে যাবে। তবে বিতর নামায এর বিপরীত। যদি নিয়ত করে (দু’সালামে) তিন রাকাত বিতর পড়বে। (অর্থাৎ- দু’রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে এক রাকাআত পড়বে) কিন্তু দু’রাকাত পড়ে না বসে ভুলক্রমে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে পড়েছে।

প্রথম তাশাহুদ না পড়ে দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি? এক্ষেত্রে কখন সাহু সিজদা করতে হবে?

(২৭৪) প্রথম তাশাহুদ না পড়ে দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি? এক্ষেত্রে কখন সাহু সিজদা করতে হবে?


এ অবস্থায় ফিরে আসবেন না তথা বসে পড়বেন না; বরং নামায চালিয়েই যাবেন। কেননা আপনি তাশাহুদ থেকে পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন এবং পরবর্তী রুকনে চলে গিয়েছেন। এ অবস্থায় ফিরে আসা মাকরূহ, তবে যদি ফিরে এসে বসে পড়েন, তবে নামায বাতিল হবে না। কেননা আপনি হারাম কিছু করেননি। তবে এ অবস্থায় সাহু সিজদা করতে হবে। আর তা সালামের পূর্বে।

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ