Friday, January 26, 2018

দীন প্রচারে ইন্টারনেট : সময়ের দাবি

দীন প্রচারে ইন্টারনেট : সময়ের দাবি
(ক)
গত বছর ঢাকার মালিবাগ জামিয়ার ৩০ সালা সমাবর্তন
অনুষ্ঠানে এক মার্কিন বাঙালী মুসলিমের সঙ্গে
আমার সাক্ষাৎ হয়। সাইদ নামের এই সৌম্য-ভদ্র মিষ্টি
চেহারার তরুণটি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বাবা-মা’র জন্ম
বাংলাদেশে হলেও একজন আমেরিকান হিসেবেই
তার জন্ম। অন্য দশজন মার্কিন শিশুর মতই তিনি বড় হন
ইসলামের নাম-নিশানাহীন সেক্যুলার পরিবেশে।
নিজের বাবা-মাকেও দেখেন তিনি অন্য শিশুদের
বাবা-মা’র অনুরূপ। ফলে ইসলাম কী বা মুসলিম আর
অমুসলিমের মধ্যে তফাৎ কোথায়- সে ব্যাপারে
তিনি কোনো ধারণাই পান নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে

দুশ্চিন্তা-মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়

দুশ্চিন্তা-মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়

পার্থিব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্বাভাবিক ব্যাপার হচ্ছে দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানী। কারণ, দুনিয়া কষ্ট, মুসিবত ও সঙ্কটপূর্ণ স্থান। দুনিয়া এবং জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। জান্নাতে নেই কোন দুঃখ, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা। আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَا يَمَسُّهُمْ فِيهَا نَصَبٌ وَمَا هُمْ مِنْهَا بِمُخْرَجِينَ
‘সেখানে তাদেরকক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।’ (  সূরা হিজর : ৪৮)
জান্নাতবাসীদের অন্তর কখনো কলুষিত হবে না এবং কষ্টদায়ক কোন শব্দ তাদের কানে পৌঁছবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,

দুর্বল, গরীব ও খ্যাতিহীন মুসলিমদের মাহাত্ম্য

 দুর্বল, গরীব ও খ্যাতিহীন মুসলিমদের মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱصۡبِرۡ نَفۡسَكَ مَعَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ وَلَا تَعۡدُ عَيۡنَاكَ عَنۡهُمۡ تُرِيدُ زِينَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ﴾ [الكهف: ٢٨]
অর্থাৎ “তুমি নিজেকে তাদেরই সংসর্গে রাখ যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আহ্বান করে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (সূরা কাহফ ২৮ আয়াত)
১/২৫৭। হারেসাহ ইবনে অহাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘আমি তোমাদেরকে জান্নাতীদের সম্পর্কে অবহিত করব না কি? (তারা হল) প্রত্যেক দুর্বল ব্যক্তি এবং এমন ব্যক্তি যাকে দুর্বল মনে করা হয়। সে যদি আল্লাহর নামে কসম খায়, তাহলে তা তিনি নিশ্চয়ই পুরা করে দেন। আমি তোমাদেরকে জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত করব না কি? (তারা হল) প্রত্যেক রূঢ় সবভাব, কঠিন হৃদয় দাম্ভিক ব্যক্তি।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]
২/২৫৮। আবু আব্বাস সাহ্‌ল ইবনে সা‘দ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

দুর্বল ঈমানের লক্ষণ গুলো কি কি?

দুর্বল ঈমানের লক্ষণ সমূহআপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন, আমাদের ঈমান কখন বাড়ে আবার কখন কমে। এ সম্পর্কে রাসূল (সা) বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ঈমান ক্রমশ জীর্ণ হতে থাকে যেভাবে সাউব (এক ধরনের পোশাক) জীর্ণ হয়ে যায় (পোশাক ক্রমশ পরিধান করতে থাকলে যেমন একটা সময় জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যায়, আমাদের ঈমানও ঠিক তেমনি করে জীর্ণ হয়ে যায়)। আর তাই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম এর উপদেশ হল, (যেহেতু আমাদের ঈমান জীর্ণ হয়ে যায়) অতএব, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত হৃদয়ে ঈমানের নবায়নের জন্য আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করা
x




[হাদীসটি আল-হাকিম তার আল-মুসতাদ্‌রাক গ্রন্থে, আল-হায়সামি তার মাজমা আল-যাঈদ গ্রন্থে, আল-তাবারানি তার আল-কাবীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।]
আত্ম-সচেতনতার জন্য দুর্বল ঈমানের লক্ষণগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা আবশ্যক; দুর্বল ঈমানের কিছু লক্ষণ হল:

তাকওয়ার উপকারিতা

তাকওয়ার উপকারিতা

‎তাকওয়া এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আল্লাহ তা‘আলা যার অসিয়ত তার পূর্বাপর সকল বান্দাকে করেছেন ও তা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
﴿وَلَقَدۡ وَصَّيۡنَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَإِيَّاكُمۡ أَنِ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ وَإِن تَكۡفُرُواْ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدٗا ١٣١ ﴾ [النساء: ١٣١]
“আর তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, তোমরা ‎আল্লাহকে ভয় কর। আর যদি কুফরী কর তাহলে আসমানসমূহে যা আছে এবং যা আছে জমিনে সব আল্লাহরই। আর ‎আল্লাহ অভাবহীন, প্রশংসিত।” [সূরা নিসা: (১৩১)]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তার উম্মতকে তাকওয়া গ্রহণ করার ‎নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন হাদীসে এসেছে:‎

তাওবা করার ফজিলত

 তাওবা করার ফজিলতআল্লাহ যে কাজে সন্তুষ্ট এমন সব কাজ কর্ম করুন। কেননা কোন মানুষই অপরাধ ও ত্রুটি মুক্ত নয়। আর সমস্ত আদম সন্তানই ভুলের মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে। আর উত্তম ভুলকারী হল আল্লাহর কাছে তওবাকারী আর মহান আল্লাহ তাআলা কুরআনের মাধ্যমে এবং মহানবী ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ হাদীসের মাধ্যমে গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন যে,
অর্থাৎ, হে রাসূল আপনি বলুন নিশ্চয় আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ আমার নিকট প্রত্যাদেশ পাঠানো হয়। আর নিশ্চয়ই তোমাদের ইলাহ এমন মাত্র। তোমরা তার পথেই স্থির ও সুদৃঢ় থাক এবং তারই কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর।
আল্লাহ আরো বলেন,

তওবা : কেন ও কিভাবে

undefined
আলেমগণ বলেনসকল প্রকার পাপ,অপরাধ থেকে তাওবা করা ওয়াজিব তথা অবশ্য করণীয়
তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ – ফিরে আসা
পরিভাষায় তওবা হল : যে সকল কথা ও কাজ মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তা থেকে ফিরে এসে ঐ সকল কথা ও কাজে লেগে যাওয়া,যা দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় ও তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকা যায়
এক কথায় পাপ-কর্ম থেকে ফিরে এসে সৎকাজে প্রবৃত্ত হওয়া
পাপ বা অপরাধ দু ধরনের হয়ে থাকে :

জিনের জগৎ

জিনের জগৎ


ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রহঃ) অনুবাদঃ ইউসুফইয়াসীন Printজিনের জগৎকিছু লোক জিন এর বাস্তবতা অস্বীকার করারচেষ্টা করেছে। জিনের সম্বন্ধে কোরআনেএকটি সম্পুর্ণ সূরা,সূরা আল্-জিন (৭২নং সূরা)অবর্তীর্ণহয়েছে।ক্রিয়াপদ জান্না,ইয়াজুন্নুঃ – যে গুলির অর্থ অন্তরালেরাখা,আত্মগোপন করা অথবা ছদ্মবেশে পরানোইত্যাদি হতে প্রাপ্ত জিন শব্দের আক্ষরিক অর্থেরউপর নির্ভর করে তারা দাবি করে যে জিন হচ্ছেআসলে “চতুর বিদেশী”। অন্যেরা এমনও দাবীকরে যে,যাদের মগজে কোন মন নেই এবংস্বভাবে অগ্নি প্রকৃতির তারাই জিন। প্রকৃতপক্ষে জিনআল্লাহর অপর একটি সৃষ্টি যারা এই পৃথিবীতেমানুষের সঙ্গে সহ-অবস্থান করে। আল্লাহ মানবজাতিসৃষ্টির পূর্বে জিন সৃষ্টি করেন এবং তিনি মানুষ সৃষ্টিরউপাদান হতে ভিন্নতর উপদানের সমষ্টি দিয়ে জিনসৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ বলেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ