Wednesday, January 24, 2018

(৪১২) রোযা অবস্থায় মেসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহার করার বিধান কি?

(৪১২) রোযা অবস্থায় মেসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহার করার বিধান কি?


বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে দিনের প্রথম ভাগে যেমন শেষ ভাগেও তেমন মেসওয়াক করা সুন্নাত। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ ومَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ
“মেসওয়াক হচ্ছে মুখের পবিত্রতা ও প্রভুর সন'ষ্টি অর্জনের মাধ্যম।” তিনি আরো বলেন,

(৪১৩) ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয় কি কি?

(৪১৩) ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয় কি কি?


ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয়গুলো হচ্ছে নিম্নরূপঃ
ক) স্ত্রী সহবাস।
খ) খাদ্য গ্রহণ।
গ) পানীয় গ্রহণ।
ঘ) উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত করা।
ঙ) খানা-পিনার অন্তর্ভুক্ত এমন কিছু গ্রহণ করা। যেমন সেলাইন ইত্যাদি।
চ) ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা।
ছ) শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করা।
জ) হায়েয বা নেফাসের রক্ত প্রবাহিত হওয়া।
উল্লেখিত বিষয়গুলোর দলীল নিম্নরূপঃ
সহবাস ও খানাপিনা সম্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেন,

(৪১৪) রোযা অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে স্প্রে (spray) ব্যবহার করার বিধান কি? এ দ্বারা কি ছিয়াম ভঙ্গ হবে?

(৪১৪) রোযা অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে স্প্রে (spray) ব্যবহার করার বিধান কি? এ দ্বারা কি ছিয়াম ভঙ্গ হবে?


এই স্প্রে নাকে প্রবেশ করে কিন্তু পেট পর্যন্ত পৌঁছে না। তাই রোযা রেখে ইহা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই। এতে রোযা ভঙ্গও হবে না। কেননা এটা এমন বস্ত যা উড়ে বেড়ায় নাকে প্রবেশ করে এবং বিলীন হয়ে যায়, এর অংশ বিশেষ পেটের মধ্যে প্রবেশ করে না। তাই

(৪১৫) বমি করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে

(৪১৫) বমি করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে?


কোন লোক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে রোযা ভঙ্গ হবেনা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

(৪১৬) রোযাদারের দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে কি রোযা নষ্ট হবে?

(৪১৬) রোযাদারের দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে কি রোযা নষ্ট হবে?


দাঁত থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে রোযার উপর কোন প্রভাব পড়বে না। কিন্তু সাধ্যানুযায়ী রক্ত গিলে নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। অনুরূপভাবে নাক থেকে রক্ত বের হলেও রোযা নষ্ট হবে না। কিন্তু রক্ত ভিতরে যাওয়া থেকে সতর্ক থাকবে। নাক বা দাঁত থেকে রক্ত বের হওয়া রোযা ভঙ্গের কারণ নয়। অতএব

(৪১৭) ঋতুবতী যদি ফজরের পূর্বে পবিত্র হয় এবং ফজর হওয়ার পর গোসল করে, তবে তার রোযার বিধান কি?

(৪১৭) ঋতুবতী যদি ফজরের পূর্বে পবিত্র হয় এবং ফজর হওয়ার পর গোসল করে, তবে তার রোযার বিধান কি?


ফজরের পূর্বে পবিত্র হয়েছে এব্যাপারে নিশ্চিত হলে, তার ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে। কেননা নারীদের মধ্যে অনেকে এমন আছে, ধারণা করে যে পবিত্র হয়ে গেছে অথচ সে আসলে পবিত্র হয়নি। এই কারণে নারীরা আয়েশা (রাঃ) এর কাছে আসতেন তাদের লজ্জাস্থানে তুলা লাগিয়ে উক্ত তুলার চিহ্ন দেখানোর জন্য যে, তারা কি পবিত্র হয়েছেন? তখন তিনি বলতেন, لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ  ‘তোমরা তাড়াহুড়া করবে না যতক্ষণ না তোমরা কাছ্‌ছা বাইযা (বা সাদা পানি) না দেখ।’ অতএব নারী অবশ্যই ধীরস্থিরতার সাথে লক্ষ্য করবে এবং নিশ্চিত হবে পূর্ণরূপে পবিত্র হয়েছে কিনা। যদি পবিত্র হয়ে যায় তবে ছিয়ামের নিয়ত করে নিবে। ফজর হওয়ার পর গোসল করবে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু নামাযের দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত গোসল সেরে নেয়ার চেষ্টা করবে, যাতে

(৪১৮) রোযা অবস্থায় দাঁত উঠানোর বিধান কি?

(৪১৮) রোযা অবস্থায় দাঁত উঠানোর বিধান কি?


সাধারণ দাঁত বা মাড়ির দাঁত উঠানোতে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তাতে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা এতে শিঙ্গা লাগানোর মত প্রভাব পড়ে না। তাই রোযাও ভঙ্গ হবে না।

(৪১৯) রোযা রেখে রক্ত পরীক্ষা (Blood Test) করার জন্য রক্ত প্রদান করার বিধান কি? এতে কি রোযা নষ্ট হবে।

(৪১৯) রোযা রেখে রক্ত পরীক্ষা (Blood Test) করার জন্য রক্ত প্রদান করার বিধান কি? এতে কি রোযা নষ্ট হবে।


ব্লাড টেষ্ট করার জন্য রক্ত বের করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা ডাক্তার অসুস্থ ব্যক্তির চেক আপ করার জন্য রক্ত নেয়ার নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু এই রক্ত নেয়া অল্প হওয়ার কারণে শিঙ্গা লাগানোর মত এর কোন প্রভাব শরীরে দেখা যায় না, তাই এতে রোযা ভঙ্গ হবেনা। আসল হচ্ছে ছিয়াম ভঙ্গ না হওয়া- যতক্ষণ পর্যন্ত রোযা ভঙ্গের জন্য শরীয়ত সম্মত দলীল না পাওয়া যাবে। আর সামান্য রক্ত বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে এখানে এমন কোন দলীল পাওয়া যায় না।
কিন্তু

(৪২০) রোযাদার হস্ত মৈথুন করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে? তাকে কি কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে?

(৪২০) রোযাদার হস্ত মৈথুন করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে? তাকে কি কোন কাফ্‌ফারা দিতে হবে?


রোযাদার হস্ত মৈথুন করে যদি বীর্যপাত করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। দিনের বাকী অংশ তাকে ছিয়াম অবস্থায় কাটাতে হবে। এ অপরাধের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে তওবা করতে হবে এবং উক্ত দিনের রোযা কাযা আদায় করতে হবে। কিন্তু কাফ্‌ফারা আবশ্যক হবে না। কেননা

(৪২১) রোযাদারের জন্য আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়ার বিধান কি?

(৪২১) রোযাদারের জন্য আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়ার বিধান কি?


রোযাদারের আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়াতে কোন অসুবিধা নেই। চাই তৈল জাতীয় হোক বা ধোঁয়া জাতীয়। তবে ধোঁয়ার সুঘ্রাণ নাকের কাছে নিয়ে শুঁকবে না। কেননা এতে একজাতীয় পদার্থ আছে যা পেট পর্যন্ত পৌঁছায়, তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন পানি বা তদানুরূপ বস্ত। কিন্তু

(৪২২) নাকে ধোঁয়া টানা এবং চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?

(৪২২) নাকে ধোঁয়া টানা এবং চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?


উভয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, নাকে ভাপের ধোঁয়া টানা নিজ ইচ্ছায় হয়ে থাকে। যাতে করে ধোঁয়ার কিছু অংশ পেটে প্রবেশ করে, তাই এতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু

(৪২৩) রোযাদারের নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করার বিধান কি?

(৪২৩) রোযাদারের নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করার বিধান কি?


নাকের ড্রপ যদি নাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা লাক্বীত বিন সাবুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বলেন, وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا “ছিয়াম অবস্থায় না থাকলে ওযুর ক্ষেত্রে নাকে অতিরিক্ত পানি নিবে।” অতএব পেটে পৌঁছে এরকম করে রোযাদারের নাকে ড্রপ ব্যবহার করা জায়েয নয়। কিন্তু পেটে না পৌঁছলে কোন অসুবিধা নেই।
চোখে ড্রপ ব্যবহার করা সুরমা ব্যবহার করার ন্যায়। এতে রোযা নষ্ট হবে না। অনুরূপভাবে কানে ড্রপ ব্যবহারেও রোযা বিনষ্ট হবে না। কেননা এসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কোন দলীল নেই। এবং

(৪২৪) রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে?

(৪২৪) রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে?


হ্যাঁ, তার ছিয়াম বিশুদ্ধ হবে। কেননা স্বপ্নদোষ রোযা বিনষ্ট করে না। স্বপ্নদোষ তো মানুষের অনিচ্ছায় হয়ে থাকে। আর নিদ্রা অবস্থায় সংঘটিত বিষয় থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে একটি সতর্কতাঃ বর্তমান যুগে অনেক মানুষ রামাযানের রাতে জেগে থাকে। কখনো আজেবাজে কর্ম এবং কথায় রাত কাটিয়ে দেয়। তারপর গভীর নিদ্রায় সমস্ত দিন অতিবাহিত করে। বরং

(৪২৫) রোযাদারের ঠান্ডা ব্যবহার করার বিধান কি? ঠান্ডা-শীতল বস্ত অনুসন্ধান করা রোযাদার ব্যক্তির জন্য জায়েয, কোন অসুবিধা নেই। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযা রেখে গরমের কারণে বা তৃষ্ণার কারণে মাথায় পানি ঢালতেন। ইবনু ওমর (রাঃ) রোযা রেখে গরমের প্রচন্ডতা অথবা পিপাসা হরাস করার জন্য শরীরে কাপড় ভিজিয়ে রাখতেন। কাপড়ের এই সিক্ততার কোন প্রভাব নেই। কেননা উহা এমন পানি নয়, যা নাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

(৪২৫) রোযাদারের ঠান্ডা ব্যবহার করার বিধান কি?


ঠান্ডা-শীতল বস্ত অনুসন্ধান করা রোযাদার ব্যক্তির জন্য জায়েয, কোন অসুবিধা নেই। রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযা রেখে গরমের কারণে বা তৃষ্ণার কারণে মাথায় পানি ঢালতেন। ইবনু ওমর (রাঃ) রোযা রেখে গরমের প্রচন্ডতা অথবা পিপাসা হরাস করার জন্য শরীরে কাপড় ভিজিয়ে রাখতেন। কাপড়ের এই

(৪২৬) রোযাদার কুলি করা বা নাকে পানি নেয়ার কারণে যদি পেটে পৌঁছে যায়, তবে কি তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে?

(৪২৬) রোযাদার কুলি করা বা নাকে পানি নেয়ার কারণে যদি পেটে পৌঁছে যায়, তবে কি তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে?


রোযাদার কুলি করা বা নাকে পানি নেয়ার কারণে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি পেটে পৌঁছে যায়, তবে তার রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা এতে তার কোন ইচ্ছা ছিল না। আল্লাহ্‌ বলেনঃ

(৪২৭) রোযাদারের আতরের সুঘ্রাণ ব্যবহার করার বিধান কি?

(৪২৭) রোযাদারের আতরের সুঘ্রাণ ব্যবহার করার বিধান কি?


রোযাদারের আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়াতে কোন অসুবিধা নেই। চাই তৈল জাতীয় হোক বা ধোঁয়া জাতীয়। তবে ধোঁয়ার সুঘ্রাণ নাকের কাছে নিয়ে শুঁকবে না। কেননা এতে একজাতীয় পদার্থ আছে যা পেট পর্যন্ত পৌঁছায়, তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন পানি বা তদানুরূপ বস্ত। কিন্তু

(৪২৮) নাক থেকে রক্ত বের হলে কি রোযা নষ্ট হবে?

(৪২৮) নাক থেকে রক্ত বের হলে কি রোযা নষ্ট হবে?


নাক থেকে রক্ত বের হলে রোযা নষ্ট হবে না- যদিও বেশী পরিমাণে বের হয়। কেননা এখানে ব্যক্তির কোন ইচ্ছা থাকেনা।

(৪২৯) রামাযানের কোন কোন ক্যালেন্ডারে দেখা যায় সাহুরের জন্য শেষ টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তার প্রায় দশ/পনর মিনিট পর ফজরের টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্নাতে কি এর পক্ষে কোন দলীল আছে নাকি এটা বিদআত?

(৪২৯) রামাযানের কোন কোন ক্যালেন্ডারে দেখা যায় সাহুরের জন্য শেষ টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তার প্রায় দশ/পনর মিনিট পর ফজরের টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্নাতে কি এর পক্ষে কোন দলীল আছে নাকি এটা বিদআত?


নিঃসন্দেহে ইহা বিদআত। সুন্নাতে নববীতে এর কোন প্রমাণ নেই। কেননা আল্লাহ্‌ তা’আলা সম্মানিত কিতাবে বলেন,
]وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ[
“এবং প্রত্যুষে (রাতের) কাল রেখা হতে (ফজরের) সাদা রেখা প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর; অতঃপর রাত্রি সমাগম পর্যন্ত তোমরা রোযা পূর্ণ কর।” (সূরা বাক্বারাঃ ১৮৭) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

(৪৩০) এয়ারপোর্টে থাকাবস্থায় সূর্য অস্ত গেছে মুআয্‌যিন আযান দিয়েছে, ইফতারও করে নিয়েছে। কিন্তু বিমানে চড়ে উপরে গিয়ে সূর্য দেখতে পেল। এখন কি পানাহার বন্ধ করতে হবে?

(৪৩০) এয়ারপোর্টে থাকাবস্থায় সূর্য অস্ত গেছে মুআয্‌যিন আযান দিয়েছে, ইফতারও করে নিয়েছে। কিন্তু বিমানে চড়ে উপরে গিয়ে সূর্য দেখতে পেল। এখন কি পানাহার বন্ধ করতে হবে?


খানা-পিনা বন্ধ করা অবশ্যক নয়। কেননা যমীনে থাকাবস্থায় ইফতারের সময় হয়ে গেছে সূর্যও ডুবে গেছে। সুতরাং ইফতার করতে বাধা কোথায়? রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

(৪৩১) রোযাদারের কফ অথবা থুথু গিলে ফেলার বিধান কি?

(৪৩১) রোযাদারের কফ অথবা থুথু গিলে ফেলার বিধান কি?


কফ বা শ্লেষা যদি মুখে এসে একত্রিত না হয় গলা থেকেই ভিতরে চলে যায় তবে তার রোযা নষ্ট হবে না। কিন্তু যদি গিলে ফেলে তবে সে ক্ষেত্রে বিদ্বানদের দু’টি মত রয়েছেঃ
১ম মতঃ তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা উহা পানাহারের স্তলাভিষিক্ত।
২য় মতঃ রোযা নষ্ট হবে না। কেননা উহা মুখের সাধারণ থুথুর অন্তর্গত। মুখের মধ্যে সাধারণ পানি যাকে থুথু বলা হয় তা দ্বারা রোযা নষ্ট হয় না। এমনকি যদি থুথু মুখের মধ্যে একত্রিত করে গিলে ফেলে তাতেও ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে না।

(৪৩২) খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করলে কি ছিয়াম নষ্ট হবে?

(৪৩২) খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করলে কি ছিয়াম নষ্ট হবে?


খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করে যদি তা গিলে না ফেলে, তবে ছিয়াম নষ্ট হবে না। কিন্তু একান্ত দরকার না পড়লে এরূপ করা উচিৎ নয়। এ অবস্থায় অনিচ্ছাকৃত যদি পেটে কিছু ঢুকে পড়ে তবে

প্রশ্ন: মহিলার জন্য নিজ বাড়িতে মাথায় কাপড় দিয়ে রাখা কি জরুরি? ★খ. অনেকে বলে যে, মাথায় কাপড় না দিলে সংসারে বরকত হয়না, এটা কি ঠিক? ★গ. আমরা মুসলিম মহিলাদের সামনে শরীরের কতটুকু খোলা রাখতে পারবো?

প্রশ্ন: মহিলার জন্য নিজ বাড়িতে মাথায় কাপড় দিয়ে রাখা কি জরুরি?
★খ. অনেকে বলে যে, মাথায় কাপড় না দিলে সংসারে বরকত হয়না, এটা কি ঠিক?
★গ. আমরা মুসলিম মহিলাদের সামনে শরীরের কতটুকু খোলা রাখতে পারবো?
★ঘ. আর অমুসলিম মহিলাদের সামনে কি পর্দা করা জরুরি? দয়া করে জানালে উপকৃত হবো।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
উত্তর: 

কাউকে বন্ধু বা শত্রু হিসাবে গ্রহণ করার মূলনীতি কী?

কাউকে বন্ধু বা শত্রু হিসাবে গ্রহণ করার মূলনীতি কী?

বন্ধুত্ব তৈরী মানুষের স্বভাবজাত প্রবণতা। তাই বন্ধুত্বের ব্যাপারে ইসলামে যথেষ্ট গুরুত্ব এসেছে। বন্ধু তো বানাতে হবে তাই বলে তো যাকে তাকে  বন্ধু বানানো যায় না। কারণ, জীবনে বন্ধুর প্রভাব পড়ে। একজন ভাল বন্ধু একজন খারাপ মানুষকে ভাল বানাতে সাহায্য করতে পারে পক্ষান্তরে খারাপ বন্ধু একজন ভাল মানুষকে নিয়ে যেতে পারে অধ:পতনের অতল তলে। তাহলে বন্ধুত তৈরীর আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করা আবশ্যক।
সুপ্রিয় সাথী, আমাদের এমন লোককেই বন্ধু বানানো উটিত যিনি আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালবাসেন। যিতি সততা ও নীতির প্রশ্নে অটুট। যিনি আপনাকে ভাল কাজে সাহায্য করতে পারবেন। পক্ষান্তরে এমন মানুষকে মনে প্রাণে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা উটিত নয়, যে আল্লাহ ও তার রাসূলের সাথে দুশমনী মনোভাব পোষণ করে এবং সততা ও চরিত্রের প্রশ্নে উত্তীর্ণ নয়।

কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস

কল্যাণকর কাজে উদ্বুদ্ধকারী কতিপয় হাদীস

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক। সওয়াব অর্জনের ক্ষেত্র অনেক এবং ভাল ও উত্তম কাজের প্রতিদান বিরাট।
قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى الله ُعَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِيْمَا يَرْوِىْ عَن رَّبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ: إِنَّ اللهَ كَتَبَ الحَْسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ ثُّمَّ بَيَّنَ ذَلِكَ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا الله ُلَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً. رواه البخاري -৬০১০ ، ومسلم- ১৮৭
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন: তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা ভাল ও মন্দ উভয়টিকে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন : ‘যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করার ইচ্ছা করে অথচ তা এখনও বাস্তবে পরিণত করেনি, তার জন্য আল্লাহ নিজের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন।” [বুখারী ৬০১০, মুসলিম ১৮৭ (২৪৬)]
যে ব্যক্তি নেকির কাজে নির্দেশ প্রদান করবে এবং এ কাজের জন্য উপদেশ ও পথ-প্রদর্শন করবে তার জন্য বিরাট সওয়াব রয়েছে। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :

একজন মুসলিমের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া উচিত?

একজন মুসলিমের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া উচিত?
প্রিয় বন্ধু, মুসলিম হওয়া নি:সন্দেহে বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। ইসলাম আমাদের গর্ব। ইসলাম আমাদের মর্যাদার প্রতীক। এর মাধ্যমেই  এ পার্থিব জগতে যেমন শান্তি ও সাফল্য পাওয়া যাবে ঠিক তদ্রূপপরকালিন জীবনে পাওয়া যাবে জাহান্নাম থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা। কিন্তু আজ অনেক মুসলিম পরিচয় দিতে হীনমন্যতায় ভোগে। এর কারণ, ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকা। ইসলামের সৌন্দর্য মণ্ডিত দিকগুলোর ব্যাপার ওয়াকিবহাল না থাকা। যার কারণে তার মাঝে ইসলামি ব্যক্তিত্বের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয় না। অত:এব আসুন, আমরা ইসলামী জীবন আদর্শকে বুকে ধারণ করি এবং সেই আলোকে গড়ে তুলি আমাদের লাইফ স্টাইল এবং ব্যক্তিত্বকে।
এখানে একজন মুসলিমের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া উচিত সে ব্যাপার কয়েকটি পয়েন্টে তুলে ধরা হল:
মুসলিম ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বলবে। মিথ্যা কখনই বলবে না।
সে কখনো প্রতারণার আশ্রয় নিবে না। সে হবে বিশ্বস্ত এবং  আস্থা ভাজন।
সে অগোচরে কারো সমালোচনা করবে না বা কারো সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করবে না।
সে হবে সাহসী। কাপুরুষতাকে সে ঘৃণা করবে।
ন্যায়ের পক্ষে সে অত্যন্ত দৃঢ়তার পরিচয় দিবে। সত্য এবং বাস্তব ব্যাপারে দ্বিধা হীনভাবে  নিঃসংকোচে কথা বলবে।
সে হবে ন্যায়-নিষ্ঠাবান যদিও এতে তার ক্ষতি হয় বা তার বিপক্ষে যায়।
সে অন্যের অধিকারে কখনো হস্তক্ষেপ করবে না।
কেউ তার প্রতি অন্যায় করুক বা জুলুম করুক তা ও সে কখনই বরদাস্ত করবে না।
সে হবে শক্তিশালী। অন্যের পক্ষ থেকে সে লাঞ্ছনার শিকার হতে আদৌ রাজি নয়।
মুসলিম ব্যক্তি সব কাজে বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিবে। আর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে মহান আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে সিদ্ধান্তে অবিচল থাকবে।
সে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসাধ্য পূর্ণাঙ্গ রূপে পালন করবে।
সে হবে বিনয়ী এবং দয়ালু। ভালো এবং জনকল্যাণ মূলক কাজ নিজে করবে এবং অন্যকে তা করার প্রতি উৎসাহিত করবে এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকবে এবং অন্যকে তা থেকে নিষেধ করবে।
সে আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
একজন মুসলিম নারী হিজাব পরিধান করবে এবং পরপুরুষের সামনে নিজেকে পূর্ণাঙ্গরূপে ঢেকে রাখবে।
Posted by আব্দুল্লাহিল হাদী

একজন মুসলিমের প্রাত্যহিক জীবন যেমন হওয়া উচিত

একজন মুসলিমের প্রাত্যহিক জীবন যেমন হওয়া উচিত

بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলার আদেশ মেনে চলা ও তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বেঁচে থাকতে চাইলে একজন মুসলিমকে যে বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া উচিৎ, তা হল তার প্রাত্যহিক রুটিন৷ একজন মুসলিম কখন ঘুম থেকে উঠবে, রাতে কখন বিছানায় যাবে – এ সকল বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে৷

একজন মুসলিমের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত?

একজন মুসলিমের চরিত্র কেমন হওয়া উচিত?

ইসলামী শরীয়ত হচ্ছে একটি পরিপূর্ণ জীবন পদ্ধতি যা সকল দিক থেকে সার্বিকভাবে মুসলমানের ব্যক্তিগত জীবনকে গঠন করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে এসব দিকের মধ্যে গুনাবলি শিষ্টাচার ও চরিত্রের দিকটি অন্যতম। ইসলাম এদিকে অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছে। তাইতো আকীদা ও আখলাকের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করে দিয়েছে, যেমন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ লেন-দেন

ইসলামের দৃষ্টিতে ঋণ লেন-দেন

আলহামদু লিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদ,
সুপ্রিয় পাঠক!  ঋণ-কর্জ মানুষের তথা সমাজের একটি প্রয়োজনীয় লেনদেন। সমাজে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তি জিবন-যাপন করার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো সময় ঋণ নেওয়ার কিংবা অন্যকে দেওয়ার সম্মুখীন  হতে হয়। তবে এই মানবীয় সুন্দর নিয়ম এবং অপরকে সহযোগিতা করার এই ইসলামী সুপ্রথাও অনেক সময় কুমতলবীর চক্রান্তে ও মায়াজালে ফেঁসে বিদ্বেষ, ঝগড়া-ঝাঁটি এমনকি বড় রকমের শত্রুতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর অনেকে তো এই ঋণ প্রথাকেই পুঁজি জমা করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বে পুঁজিপতি হয়েছে ও হচ্ছে। আর দরিদ্র সম্প্রদায় তাদের মুখাপেক্ষী হওয়ার কারণে ঋণের জাঁতায় পিষ্ট হচ্ছে। আমরা এই প্রবন্ধে ইসলামে ঋণের বিধি

ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ইসলাম পরিপূর্ণ এক জীবন ব্যবস্থার নাম। এতে মানবজীবনের ব্যক্তিগত পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের যাবতীয় বিষয়ের সমাধানে হিকমতপূর্ণ বিধানের বর্ণনা রয়েছে। এটি মানুষের জন্য যা কল্যাণকর ও হিতকর সে বিষয় বৈধ করত: সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে এবং যাবতীয় অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বিষয় হতে মানবজাতিকে সর্তক করেছে। অতএব, ইসলাম মানবজাতির জন্য কল্যাণের আঁধার হিসেবে শান্তির বার্তা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। মানবদেহের জীবনীশক্তি হিসেবে রক্তের যে গুরুত্ব রয়েছে, মানবজীবনে অর্থের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও তেমনি তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে অর্থ মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এর জন্য প্রয়োজন মেধা, শ্রম ও সময়ের যথোপযুক্ত ব্যবহার। জীবন নির্বাহের এ মাধ্যমটিই পেশা হিসেবে পরিগণিত। মহান আল্লাহ তা‘আলা

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ