Saturday, April 7, 2018

প্রশ্ন (১/২৪১) : রিজাল শাস্ত্র কি? প্রত্যেক আলেমের জন্য রিজাল শাস্ত্র সম্পর্কে জানা আবশ্যক কি?

প্রশ্ন (১/২৪১) : রিজাল শাস্ত্র কি? প্রত্যেক আলেমের জন্য রিজাল শাস্ত্র সম্পর্কে জানা আবশ্যক কি?

-মামূন, বাগমারা, রাজশাহী।
উত্তর : রিজাল শাস্ত্র হ’ল হাদীছের সনদ সম্পর্কে জ্ঞান। অর্থাৎ সনদে যে সকল বর্ণনাকারী রয়েছেন তারা নির্ভরযোগ্য কি-না, সে সম্পর্কিত বিশেষায়িত জ্ঞান। ইসলামী শরী‘আতের বিধি-বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ আলেমদের জন্য রিজালশাস্ত্র জানা আবশ্যক। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার তারতম্য থাকতে পারে, তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান অবশ্যই থাকতে হবে। ওলামায়ে সালাফ কেবল হাদীছের জ্ঞান থাকলেই তাকে আলেম হিসাবে গণ্য করতেন না,

প্রশ্ন (২/২৪২) : দুই তলাবিশিষ্ট মসজিদের ২য় তলায় ছালাতের স্থান এবং নীচতলা ছাত্রাবাসে পরিণত করা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২/২৪২) : দুই তলাবিশিষ্ট মসজিদের ২য় তলায় ছালাতের স্থান এবং নীচতলা ছাত্রাবাসে পরিণত করা জায়েয হবে কি?

-মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ
রাজারবাগান, সাতক্ষীরা।
উত্তর : মসজিদের নীচতলায় ছাত্রাবাস করায় কোন বাধা নেই। ইমাম ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘মসজিদের নীচে দোকান-পাট ও পানির হাউয তৈরী করা যায়। তাতে কোন বাধা নেই’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩১/২১৮-২১৯)। যেখানে দোকানপাট করা যাবে সেখানে ছাত্রাবাসও করা যাবে। তবে

প্রশ্ন (৩/২৪৩) : আমার মায়ের সব সম্পদ পিতার নিয়ন্ত্রণে। তিনি এর যাকাত দেন না আবার সম্পদও দেন না। এক্ষণে এজন্য আমার মা গোনাহগার হবেন কি?

প্রশ্ন (৩/২৪৩) : আমার মায়ের সব সম্পদ পিতার নিয়ন্ত্রণে। তিনি এর যাকাত দেন না আবার সম্পদও দেন না। এক্ষণে এজন্য আমার মা গোনাহগার হবেন কি?

-আলতাফ হোসেন, গুরুদাসপুর, নাটোর।
উত্তর : মা সম্পদের মালিকানা গ্রহণে নিরুপায় হ’লে তিনি গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ। কারণ যাকাত দেওয়ার জন্য শর্ত হ’ল সম্পদ ব্যক্তির মালিকানায় থাকা। অতএব যেদিন তিনি পূর্ণ মালিকানা লাভ করবেন, সেদিন থেকে নিয়ম অনুযায়ী যাকাত আদায় করবেন

প্রশ্ন (৪/২৪৪) : পোষাকে বমি লেগে গেলে উক্ত পোষাকে ছালাত হবে কি?

প্রশ্ন (৪/২৪৪) : পোষাকে বমি লেগে গেলে উক্ত পোষাকে ছালাত হবে কি?

-মাহবূবুল আলম, গাযীপুর।
উত্তর : উক্ত পোষাকে ছালাত হবে। অতএব মুছাল্লীর রুচি হ’লে তাতে ছালাত আদায় করবে নতুবা তা পরিবর্তন করবে। কারণ বমি নাপাক হওয়ার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ, আলবানী, শাওকানী, শায়খ বিন বায, উছায়মীন প্রমুখ বিদ্বান বমিকে ওযূ ভঙ্গের কারণ হিসাবে গণ্য না করে একে সাধারণভাবে পবিত্র বলেছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/২২২ ; ইরওয়া ১/১৪৮; তামামুল মিন্নাহ ১/৫৪; আস-সায়লুল জার্রার ১/৩০; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/৩৫২)। অধিক পরিমাণে বমি হ’লে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং

প্রশ্ন (৫/২৪৫) : বিতর ছালাত নিয়মিতভাবে এক রাক‘আত পড়া যাবে কি? এক রাক‘আত উত্তম হলে রামাযানে নিয়মিত ৩ রাক‘আত পড়ার কারণ কি?

প্রশ্ন (৫/২৪৫) : বিতর ছালাত নিয়মিতভাবে এক রাক‘আত পড়া যাবে কি? এক রাক‘আত উত্তম হলে রামাযানে নিয়মিত ৩ রাক‘আত পড়ার কারণ কি?

-মামূন, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : নিয়মিত এক ও তিন রাক‘আত বিতর পড়া যাবে। আর রামাযানে তিন রাক‘আত বিতর পড়ার কারণ হ’ল হাদীছে বর্ণিত এগার রাক‘আত পূর্ণ করা। কারণ তারাবীহ ও তাহাজ্জুদের ব্যাপারে হাদীছে ১১ রাক‘আতের কথাই বলা হয়েছে। তন্মধ্যে চার চার আট রাক‘আত তারাবীহ ও তিন রাক‘আত বিতর (বুখারী হা/১১৪৭; মুসলিম হা/৭৩৮)। রাসূল (ছাঃ) রাতের ছালাত দু’দু’রাক‘আত পড়তেন। অতঃপর এক রাক‘আত বিতর পড়তেন’ (বুখারী হা/৯৯৫; মুসলিম হা/৭৫২; মিশকাত হা/১২৫৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে পাঁচ রাক‘আত বিতর পড়তে পসন্দ করে সে তা করতে পারে। আর যে তিন রাক‘আত বিতর পড়তে পসন্দ করে সে তা করতে পারে। যে

প্রশ্ন (৬/২৪৬) : জনৈক আলেম বলেন, পানি থাকা অবস্থায় ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা যাবে না। এটা সঠিক কি? আর পানি থাকা অবস্থায় টিস্যু ব্যবহার করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৬/২৪৬) : জনৈক আলেম বলেন, পানি থাকা অবস্থায় ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা যাবে না। এটা সঠিক কি? আর পানি থাকা অবস্থায় টিস্যু ব্যবহার করা যাবে কি?

-নাহিদ হাসান, বগুড়া।
উত্তর : পানি থাকলে পানি ব্যবহার করবে। কারণ আল্লাহ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন (আবুদাউদ হা/৪৪; মিশকাত হা/৩৬৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৬০)। ইমাম তিরিমিযী বলেন, বিদ্বানগণ (পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে) পানিকেই যথেষ্ট মনে করেন। পানি না পেলে কুলুখ নিবে (তিরমিযী হা/১৯ আলোচনা দ্রঃ)। তবে কেউ যদি পানি থাকা সত্ত্বেও মাটি বা অনুরূপ কিছু দ্বারা ইস্তিঞ্জা করে তাহ’লে পবিত্রতা অর্জন হয়ে যাবে 

প্রশ্ন (৭/২৪৭) : ছোট শিশুদের বাঁশিযুক্ত জুতা পরানো যাবে কি?

প্রশ্ন (৭/২৪৭) : ছোট শিশুদের বাঁশিযুক্ত জুতা পরানো যাবে কি?

-আতীকুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রাম।


উত্তর : বাদ্য-বাজনা ইসলামে হারাম। তাই বাঁশি ও বাজনাযুক্ত জুতা পরানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি বস্ত্ত দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত। আনন্দের সময় বাঁশি বাজানো এবং মুছীবতের সময় বিলাপ করা (বাযযার, ছহীহুত তারগীব হা/৩৫২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৪০১৭)। তিনি আরো বলেন, আমি দু’টি নির্বোধসূলভ ও পাপাচারমূলক চিৎকার নিষেধ করেছি। আনন্দের সময় খেল-তামাশা, শয়তানের বাঁশি বাজানো ও বিপদের সময় চিৎকার করা, মুখমন্ডলে আঘাত করা এবং জামার সম্মুখভাগ ছিঁড়ে ফেলা আর শয়তানের মত (চিৎকার করে) কান্নাকাটি করা (হাকেম হা/৬৮২৫; তিরমিযী হা/১০০৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৫১৯৪)। অতএব কোমলমতি শিশুদের এসব শব্দ শুনানো থেকে বিরত রাখতে হবে।

প্রশ্ন (৮/২৪৮) : আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের এখানে যোহরের ছালাত ১২.৫০ মিনিটে আদায় করা হয়। এক্ষণে আউয়াল ওয়াক্তের মধ্যে জুম‘আর খুৎবা ও ছালাত কখন শুরু বা শেষ করা সমীচীন হবে?

প্রশ্ন (৮/২৪৮) : আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের এখানে যোহরের ছালাত ১২.৫০ মিনিটে আদায় করা হয়। এক্ষণে আউয়াল ওয়াক্তের মধ্যে জুম‘আর খুৎবা ও ছালাত কখন শুরু বা শেষ করা সমীচীন হবে?

-হাফেয আব্দুর রব, রসূলপুর, সাতক্ষীরা।
উত্তর : যোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর খুৎবা শুরু করে শীত-গ্রীষ্মকালভেদে ১-টা থেকে ১.৩০ মিনিটের মধ্যে জুম‘আর ছালাত সমাপ্ত করা সমীচীন হবে। কারণ এরপরে আদায় করলে আউয়াল ওয়াক্ত থাকে না। আউয়াল ওয়াক্ত বলতে ওয়াক্তের প্রথমভাগকে বুঝানো হয়, ওয়াক্তের শুরুকে নয়। জিবরীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে আউয়াল ও আখের ওয়াক্তে দু’দিন ছালাত আদায় করিয়ে বলেন,

প্রশ্ন (৯/২৪৯) : মসজিদের বারান্দার নীচে টয়লেটের হাউজ থাকলে উক্ত বারান্দায় ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (৯/২৪৯) : মসজিদের বারান্দার নীচে টয়লেটের হাউজ থাকলে উক্ত বারান্দায় ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?

-মুহাম্মাদ মুহসিন, সাতক্ষীরা।
উত্তর : উপরিভাগ পবিত্র থাকলে তার উপর ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিন্ত এবং তা ছালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কোন ব্যক্তি ওয়াক্ত হ’লেই ছালাত আদায় করতে পারবে’ 

প্রশ্ন (১০/২৫০) : কাউকে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে কামনা করে আল্লাহর নিকটে দো‘আ করা যাবে কি?

প্রশ্ন (১০/২৫০) : কাউকে স্বামী বা স্ত্রী হিসাবে কামনা করে আল্লাহর নিকটে দো‘আ করা যাবে কি?

-রায়হান, যশোর।
উত্তর : যেকোন কল্যাণকর কাজে দো‘আ করা যাবে। কারো দ্বীনদারী ও উত্তম আচরণ দেখে তার সাথে বিবাহের জন্যও দো‘আ করা যেতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৭১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৩/২০৫-৬)। তবে এক্ষেত্রে হাদীছে বর্ণিত সারগর্ভ দো‘আ করাই উত্তম। যেমন রাববানা আ-তিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাওঁ ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাওঁ ওয়া ক্বিনা ‘আযা-বান্না-র। অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দাও ও আখেরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও’ (বাক্বারাহ ২/২০১)
আর দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কে কল্যাণকর হবে,

প্রশ্ন (১১/২৫১) : রাসূল (ছাঃ) নিজে কখনো দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করেছেন কি?

প্রশ্ন (১১/২৫১) : রাসূল (ছাঃ) নিজে কখনো দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করেছেন কি?

-আব্দুল আলীম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) প্রতি ছালাতে দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করতেন। কারণ শরী‘আতের বিধান রাসূল (ছাঃ) নিজে আগে পালন করতেন। তারপর ছাহাবীগণকে শিক্ষা দিতেন (মিরক্বাত ২/৭৩৩-৭৩৪)। আলবানী বলেন, রাসূল (ছাঃ) তাশাহহুদে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজের প্রতি নিজে দরূদ পাঠ করতেন। আর তা উম্মতের জন্য সুন্নাত সাব্যস্ত করেছেন

প্রশ্ন (১২/২৫২) : ক্বিয়ামতের দিন আলেম-ওলামা ও হাফেযদের বিচার কুরআনের সম্মানে পৃথকভাবে করা হবে কি? এছাড়া তাদের ছোট-খাট ভুল ক্ষমা করে দেওয়া হবে কি?

প্রশ্ন (১২/২৫২) : ক্বিয়ামতের দিন আলেম-ওলামা ও হাফেযদের বিচার কুরআনের সম্মানে পৃথকভাবে করা হবে কি? এছাড়া তাদের ছোট-খাট ভুল ক্ষমা করে দেওয়া হবে কি?

-যহূরুল ইসলাম, বিরামপুর, দিনাজপুর।
উত্তর : কুরআনের সম্মানে তাদের পৃথক বিচার করা হবে না। তবে শহীদ, আলেম ও ক্বারী এবং দাতাদের প্রথমে বিচার করা হবে মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেখানে লোক দেখানো আমলকারীরা পাকড়াও হবে (মুসলিম হা/১৯০৫; মিশকাত হা/২০৫)। আর ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হবে। ১. আরশের ডানে অবস্থানকারী। এরা সকলে জান্নাতবাসী। ২. আরশের বামে অবস্থানকারী যারা সকলে জাহান্নামী। ৩. অগ্রগামী দল যারা আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভকারী। যাদের মধ্যে রয়েছে

প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : তোমরা ঠান্ডা পানি দ্বারা ইস্তিনজা কর, কারণ এটা হারিশ রোগ আরোগ্যকারী- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি?

প্রশ্ন (১৩/২৫৩) : তোমরা ঠান্ডা পানি দ্বারা ইস্তিনজা কর, কারণ এটা হারিশ রোগ আরোগ্যকারী- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি?

-মাযহারুল ইসলাম, শিবগঞ্জ, বগুড়া।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৪৮৫৮; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৮৩৮২;

প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : ছালাতের মধ্যে তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে ভুল করে ফেললে বা এক সূরার আয়াতের মাঝে অন্য সূরার আয়াত পাঠ করে ফেললে উক্ত ছালাত কবুলযোগ্য হবে কি? এজন্য সহো সিজদা দিতে হবে কি?

প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : ছালাতের মধ্যে তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে ভুল করে ফেললে বা এক সূরার আয়াতের মাঝে অন্য সূরার আয়াত পাঠ করে ফেললে উক্ত ছালাত কবুলযোগ্য হবে কি? এজন্য সহো সিজদা দিতে হবে কি?

-আবু ইসহাক, তানোর, রাজশাহী।
উত্তর : এতে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না এবং এজন্য সহো সিজদাও দিতে হবে না। উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে ছিলাম। তিনি একটি আয়াত ছেড়ে চলে গেলেন। ছালাত শেষে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আয়াতটি মানসূখ হয়ে গেছে না পড়তে ভুলে গিয়েছিলেন? তিনি বললেন, না বরং ভুলে গিয়েছিলাম (ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১৬৪৭; আহমাদ হা/১৫৪০২, সনদ ছহীহ; বুখারী, জুযউল ক্বিরাআত খালফাল ইমাম হা/১২৩)

প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : আমি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি না। এক্ষণে অনুবাদ পাঠ করলে তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : আমি কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি না। এক্ষণে অনুবাদ পাঠ করলে তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যাবে কি?

-ইকবাল বারী, আড়ানী, রাজশাহী।
উত্তর : অনুবাদ পড়ে তেলাওয়াতের নেকী পাওয়ার পক্ষে কোন দলীল নেই। কুরআন আরবীতেই পড়তে হবে, যাতে প্রতি হরফের বিনিময়ে ১০টি নেকী পাওয়া যাবে (হাকেম হা/২০৮০; ছহীহাহ হা/৬৬০)। তবে কেউ কুরআন বুঝার জন্য অনুবাদ পাঠ করলে ছওয়াব পাবে (নিসা ৪/৮২; মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)। কারণ

প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : মাঝে মাঝে ছালাত আদায়কারী কসাইয়ের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে কি?

প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : মাঝে মাঝে ছালাত আদায়কারী কসাইয়ের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে কি?

-লতীফুর রহমান, মতিঝিল, ঢাকা।
উত্তর : কোন মুসলিম কর্তৃক বিসমিল্লাহ বলে যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া জায়েয। কারণ সে ছালাতকে অস্বীকার করে না। বরং অলসতাবশত মাঝে-মধ্যে ছেড়ে দেয় (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২৭৫)। তবে তাকে ছালাত আদায়ের উপদেশ দিতে হবে। কারণ

প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আমি আমার স্ত্রীকে তিন মাসে তিন তালাক দেই। পরে গ্রাম্য সালিসে আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এক্ষণে উক্ত স্ত্রীর সাথে আমার সংসার করা জায়েয হচ্ছে কি?

প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : আমি আমার স্ত্রীকে তিন মাসে তিন তালাক দেই। পরে গ্রাম্য সালিসে আমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এক্ষণে উক্ত স্ত্রীর সাথে আমার সংসার করা জায়েয হচ্ছে কি?

-আব্দুল্লাহ, ইসলামপুর, জামালপুর।


উত্তর : উক্ত স্ত্রীর সাথে সংসার করা হারাম। কেননা তিন মাসে তিন তালাক প্রদানের মাধ্যমে তালাকটি ‘বায়েন’ তথা বিচ্ছিন্নকারী তালাকে পরিণত হয়েছে। এরপর তার পক্ষে আর পূর্ব স্বামীর কাছে ফিরে আসার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না সে অন্যত্র স্বেচ্ছায় বিবাহ করে ও স্বেচ্ছায় তালাকপ্রাপ্তা হয় (বাক্বারাহ ২/২২৯-৩০)। এক্ষণে

প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : ছালাত ব্যতীত জীবনের কোন মূল্য নেই, যেমন মস্তিষ্ক ব্যতীত দেহের কোন মূল্য নেই। কথাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি?

প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : ছালাত ব্যতীত জীবনের কোন মূল্য নেই, যেমন মস্তিষ্ক ব্যতীত দেহের কোন মূল্য নেই। কথাটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি?

-নাহীদ, বগুড়া।
উত্তর : এটা প্রচলিত একটি কথা মাত্র। উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। এর দ্বারা মূলত ছালাতের গুরুত্ব বুঝানো

প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : বিবাহের পর স্বামী কর্মহীন থাকায় পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে স্ত্রী ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর করে। তবে স্বামী তা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে স্ত্রী স্বামী থেকে আলাদা বসাবস করলেও তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। এক্ষণে স্বামীর নিকটে ফিরে যেতে বিবাহের প্রয়োজন হবে কি?

প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : বিবাহের পর স্বামী কর্মহীন থাকায় পরিবারের চাপে বাধ্য হয়ে স্ত্রী ডিভোর্স লেটারে স্বাক্ষর করে। তবে স্বামী তা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে স্ত্রী স্বামী থেকে আলাদা বসাবস করলেও তাদের মাঝে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। এক্ষণে স্বামীর নিকটে ফিরে যেতে বিবাহের প্রয়োজন হবে কি?

-মুহাম্মাদ লিটন, পাবনা।


উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ‘খোলা’ হয়েছে। এক্ষণে উক্ত নারীর সাথে সংসার করতে চাইলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে সংসার করবে (বাক্বারাহ ২/২৩২; তালাক ৬৫/১; 

প্রশ্ন (২০/২৬০) : দোকান থেকে খাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদে এক মূল্যে এবং বাকীতে তথা কিস্তিতে অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হয়। এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২০/২৬০) : দোকান থেকে খাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদে এক মূল্যে এবং বাকীতে তথা কিস্তিতে অধিক মূল্যে ক্রয় করতে হয়। এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয হবে কি?

-আনীসুর রহমান, নওগাঁ।
উত্তর : এরূপ ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়। কারণ বেশী নেওয়াটা সূদ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একটি ব্যবসায়ে দু’টি বিক্রয় করে সে কম মূল্যেরটা নিবে অথবা সূদ নিবে’ (আবুদাঊদ হা/৩৪৬১; ছহীহাহ হা/২৩২৬)। এখানে ক্রেতাকে এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে দু’টির যেকোন একটি গ্রহণ করার। হয় সে নগদে কম মূল্যে খরীদ করবে, যা সিদ্ধ। নয় বাকীতে বেশী মূল্যে খরীদ করবে, যা সূদ এবং যা নিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষেধ করেছেন। এর মধ্যে

প্রশ্ন (২১/২৬১) : ওয়াক্ত শুরুর পূর্বে আযান দেওয়া বৈধ হবে কি?

প্রশ্ন (২১/২৬১) : ওয়াক্ত শুরুর পূর্বে আযান দেওয়া বৈধ হবে কি?

-আবুবকর, বাগমারা, রাজশাহী।


উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কেউ এরূপ করে ছালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় আযান দিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে (আবুদাউদ হা/৫৩২-৫৩৩; ইবনু কুদামা, মুগনী ১/২৯৭)। তবে ফজরের পূর্বে সাহারী বা তাহাজ্জুদের জন্য আযান দেওয়া যাবে (বুখারী হা/৬১৭; মুসলিম হা/১০৯২; মিশকাত হা/৬৮০)। অতঃপর

*প্রশ্ন: একই সময় হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। মালাকুল মউত কি একাই সকলের রূহ কবজ করেন না কি তার সহকারী ফেরেশতা আছে?*_

*প্রশ্ন: একই সময় হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। মালাকুল মউত কি একাই সকলের রূহ কবজ করেন না কি তার সহকারী ফেরেশতা আছে?*_
*উত্তর:*
রূহ কবজ করার প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা হলেন, মালাকুল মাউত। কিন্তু তার সহযোগী ফেরেশতা রয়েছেে অনেক। তারা মালাকুল মাউতের নির্দেশে এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। নিম্নে এ প্রসঙ্গে কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং মুফাসরিরদের বক্তব্য তুলে ধরা হল:
❖ আল্লাহ তালা বলেন:
قُلْ يَتَوَفَّاكُم مَّلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ
“বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।” (সূরা সাজদাহ: ৩২)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মাত্র একজন ফেরেশতার কথা বলেছেন।
❖ তিনি অন্য আয়াতে বলেন:

প্রশ্ন (২২/২৬২) : জনৈক ব্যক্তি যৌতুকের অর্থ দিয়ে বৌভাতের আয়োজন করে দাওয়াত দিয়েছে। সেখানে যাওয়া জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২২/২৬২) : জনৈক ব্যক্তি যৌতুকের অর্থ দিয়ে বৌভাতের আয়োজন করে দাওয়াত দিয়েছে। সেখানে যাওয়া জায়েয হবে কি?

-আবুল হাশেম
পাকেরহাট, দিনাজপুর।
উত্তর : যৌতুক লেনদেন ইসলামে হারাম। তাই যৌতুক গ্রহণকারী পাপী হবে। কিন্তু এজন্য তার দাওয়াত গ্রহণে কোন বাধা নেই। কারণ একজনের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ১৬৪)। বরং স্পষ্ট পাপাচারী না হ’লে ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৫১৭৭; মুসলিম হা/১৪৩২; মিশকাত হা/৩২১৮)। তাছাড়া ওয়ালীমার আয়োজনে মেয়ে পক্ষ ছেলেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারে

প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : তাহাজ্জুদের ছালাত অনিয়মিতভাবে আদায় করা যাবে কি?

প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : তাহাজ্জুদের ছালাত অনিয়মিতভাবে আদায় করা যাবে কি?

-তাসনীমুল হক প্রধান, বগুড়া।
উত্তর : যাবে। তবে নিয়মিত পড়াই উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা রাতের ছালাত ছেড়ে দিয়ো না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ ছালাত ছাড়তেন না। যখন তিনি অসুস্থ বা দুর্বল বোধ করতেন তখন তা বসে আদায় করতেন (আহমাদ হা/২৬১৫৭; আবুদাঊদ হা/১৩০৭, সনদ ছহীহ)।  এছাড়া

প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : স্বর্ণকার হিসাবে আমাকে মাঝে মাঝে হিন্দুদের দেব- দেবী, ময়ূর ইত্যাদির ডিজাইন করতে হয়। হিন্দু দেশ হিসাবে এটা না করলে আমার ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে এটা জায়েয হবে কি?

প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : স্বর্ণকার হিসাবে আমাকে মাঝে মাঝে হিন্দুদের দেব- দেবী, ময়ূর ইত্যাদির ডিজাইন করতে হয়। হিন্দু দেশ হিসাবে এটা না করলে আমার ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে এটা জায়েয হবে কি?

-হাসীবুর রহমান, পালি, রাজস্থান, ভারত।
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ এর মাধ্যমে একদিকে মূর্তি নির্মাণের গোনাহ অন্যদিকে অমুসলিম ধর্মীয় উৎসবে সহযোগিতা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদা ৫/২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিনকে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করবে তার কথায় জ্ঞানের ধারা প্রবাহিত হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?

প্রশ্ন (২৫/২৬৫) : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিনকে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করবে তার কথায় জ্ঞানের ধারা প্রবাহিত হবে’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?

-যহীরুল ইসলাম, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।


উত্তর : বর্ণনাটি জাল ও মুনকার। এই বর্ণনা থেকেই তাবলীগ জামা‘আত চল্লিশ দিনের চিল্লার প্রবর্তন করেছে, যা ভিত্তিহীন ও বাতিল। আবু নু‘আইম তার হিলইয়াহ গ্রন্থে (৫/১৮৯), কাযাঈ মুসনাদে শিহাবে (হা/৪৬৬), ইহইয়াউ ঊলূমিদ্দীনসহ কিছু কিতাবে এটি বর্ণিত হয়েছে

প্রশ্ন (২৬/২৬৬) : সমাজে প্রচলিত আছে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান। একথা কি সত্য?

প্রশ্ন (২৬/২৬৬) : সমাজে প্রচলিত আছে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান। একথা কি সত্য?

-মতীউর রহমান, লালবাগ, ঢাকা।
উত্তর : একথা সত্য। যে ব্যক্তি অন্যায় করে ও যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও উক্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, পাপের দিক দিয়ে উভয়ে সমান। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেন। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর নির্ধারিত বিধানে অবহেলাকারী এবং অন্যায়ে পতিত ব্যক্তির দৃষ্টান্ত এমন সম্প্রদায়ের ন্যায়, যারা একটি জাহাযে লটারীর মাধ্যমে নিজেদের স্থান নির্ধারণ করল। তদনুযায়ী কারো স্থান নীচের  তলায় এবং

প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : নামের শেষে অনেকে জিহাদী, ইউসুফী, ফারুকী, ছিদ্দীক্বী, আনছারী, কুরায়শী যুক্ত করেন, যা তার মূল নামের অংশ নয়। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত?

প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : নামের শেষে অনেকে জিহাদী, ইউসুফী, ফারুকী, ছিদ্দীক্বী, আনছারী, কুরায়শী যুক্ত করেন, যা তার মূল নামের অংশ নয়। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত?

-আমজাদ হোসাইন, কাটাখালী, পাবনা।


উত্তর : পরবর্তীতে এরূপ পদবী না রাখা উচিৎ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে সর্বাধিক নেক আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত হা/৪৭৫৬)। তবে জন্মের পর পিতা-মাতা যদি এরূপ নাম রাখেন, তাহ’লে তাতে কোন দোষ নেই। আক্বীক্বার সময় শিশু সন্তানের নাম ঐরূপ রাখা তার জন্য আত্মপ্রশংসা নয়। বরং পিতা ও অভিভাবকদের পক্ষ হ’তে তার জন্য শুভ কামনা বা দো‘আ স্বরূপ। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নাম তাঁর দাদা রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ ও মা রেখেছিলেন ‘আহমাদ’ (প্রশংসিত)। অনুরূপ

প্রশ্ন (২৮/২৬৮) : জন্মের ১ দিন পর সন্তান মারা গেলে সপ্তম দিনে তার আক্বীক্বা দিতে হবে কি?

প্রশ্ন (২৮/২৬৮) : জন্মের ১ দিন পর সন্তান মারা গেলে সপ্তম দিনে তার আক্বীক্বা দিতে হবে কি?

-হিযবুল্লাহ, বালিয়াপুকুর, রাজশাহী।


উত্তর : সপ্তম দিনের পূর্বে সন্তান মারা গেলেও তার আক্বীক্বা দিবে। কারণ আক্বীক্বা দেওয়ার জন্য বাচ্চা সপ্তম দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা শর্ত নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১১/৪৪৫)। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : একটি দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আর কখনো বিবাহ করব না। এরূপ সিদ্ধান্ত শরী‘আতসম্মত হয়েছে কি?

প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : একটি দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আর কখনো বিবাহ করব না। এরূপ সিদ্ধান্ত শরী‘আতসম্মত হয়েছে কি?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
উত্তর : দৈহিকভাবে সক্ষম ব্যক্তির এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যার বিয়ে করার সামর্থ্য আছে, সে যেন অবশ্যই বিয়ে করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)। তিনি বলেন, বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতের উপর আমল করে না, সে আমার দলভুক্ত নয় (ইবনু মাজাহ হা/১৮৪৬, ছহীহাহ হা/২৩৮৩)। রাসূল (ছাঃ) বৈরাগ্য জীবন যাপন করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮১)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিবাহ করল সে যেন দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল, বাকী অর্ধেকের বিষয়ে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে’ (হাকেম হা/২৬৮১; ছহীহাহ হা/৬২৫; মিশকাত হা/৩০৯৬)। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর ইবনু ওমর (রাঃ) বিবাহ না করার সিদ্ধান্ত নেন। অতঃপর হাফছা (রাঃ) তাকে ডেকে বলেন, তুমি বিয়ে কর। কারণ তোমার সন্তান হয়ে মারা গেলে সে তোমার জন্য অগ্রগামী হবে। আর বেঁচে থাকলে তোমার জন্য দো‘আ করবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/১০৩৮৮, সনদ ছহীহ)

প্রশ্ন (৩০/২৭০) : জনৈক বিধবা মহিলা সন্তানদের মত না থাকায় গোপনে একজনকে অলী বানিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। যার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বর্তমান স্বামীর সাথে তার সাক্ষাৎ ও মোবাইলে কথা হয়, তবে দৈহিক সম্পর্ক হয়নি। সন্তানদের অমতে এরূপ বিবাহ সঠিক হয়েছে কি?

প্রশ্ন (৩০/২৭০) : জনৈক বিধবা মহিলা সন্তানদের মত না থাকায় গোপনে একজনকে অলী বানিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে একজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। যার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বর্তমান স্বামীর সাথে তার সাক্ষাৎ ও মোবাইলে কথা হয়, তবে দৈহিক সম্পর্ক হয়নি। সন্তানদের অমতে এরূপ বিবাহ সঠিক হয়েছে কি?

-খাদীজা, বগুড়া।


উত্তর : বর্ণনা অনুযায়ী উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ নারী নিজের বিবাহ নিজে বা অন্য নারীকে বিবাহ দিতে পারে না (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮২; ইবনু মাজাহ হা/৩১৩৭; ইরওয়া হা/১৮৪১)। নারীর বিবাহের জন্য নিকটতম অভিভাবকের অনুমতি আবশ্যক। এমনকি পিতা, দাদা, ভাই প্রমুখদের অবর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানও মায়ের অলী হ’তে পারে

প্রশ্ন (৩১/২৭১) : কবর যিয়ারতের সুন্নাতী পদ্ধতি কি? কবর যিয়ারতের সময় কি কি দো‘আ পড়তে হয়? কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য করে কোথাও যাওয়া যাবে কি? কবর যিয়ারত করলে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় কি?

প্রশ্ন (৩১/২৭১) : কবর যিয়ারতের সুন্নাতী পদ্ধতি কি? কবর যিয়ারতের সময় কি কি দো‘আ পড়তে হয়? কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য করে কোথাও যাওয়া যাবে কি? কবর যিয়ারত করলে মৃত ব্যক্তির কোন উপকার হয় কি?

-ইসমাঈল হোসাইন, বাগহাটা, নরসিংদী।
উত্তর : কবরস্থানে গিয়ে প্রথমে দো‘আ পাঠ করবে। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কবর যিয়ারতের সময় আমি কী বলব? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি বল, ‘আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুস্তা’খিরীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা’। অর্থ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আমাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি’ (মুসলিম হা/২২৫৬;মিশকাত হা/১৭৬৭ ‘কবর যিয়ারত’ অনুচ্ছেদ)। আর কেবল কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না (বুখারী হা/১১৮৯; মুসলিম হা/১৩৯৭; মিশকাত হা/৬৯৩)। তবে

প্রশ্ন (৩২/২৭২) : মুসলমানদের যাকাত বা ওশর থেকে কিছু অংশ অমুসলিম ফকীর-মিসকীনদের মাঝে বণ্টন করা যাবে কি?

প্রশ্ন (৩২/২৭২) : মুসলমানদের যাকাত বা ওশর থেকে কিছু অংশ অমুসলিম ফকীর-মিসকীনদের মাঝে বণ্টন করা যাবে কি?

-মেরিনা খাতূন, বিরামপুর, দিনাজপুর।
উত্তর : কোন অমুসলিমকে যাকাতের মাল থেকে দেওয়া যাবে না। রাসূল (ছাঃ) মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনে প্রেরণের সময় বলেছিলেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে এই মর্মে যে, আল্লাহ তাদের উপরে ছাদাক্বা ফরয করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে নেওয়া হবে ও তাদের গরীবদের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হবে (মুসলিম হা/১৯; মিশকাত হা/১৭৭২)। এর ব্যাখ্যায়

প্রশ্ন (৩৩/২৭৩) : হাউযে কাওছার কেবল কি আমাদের নবী (ছাঃ) প্রাপ্ত হবেন। না প্রত্যেক নবী-রাসূলই প্রাপ্ত হবেন এবং তা থেকে নিজ উম্মতদের পানি পান করাবেন?

প্রশ্ন (৩৩/২৭৩) : হাউযে কাওছার কেবল কি আমাদের নবী (ছাঃ) প্রাপ্ত হবেন। না প্রত্যেক নবী-রাসূলই প্রাপ্ত হবেন এবং তা থেকে নিজ উম্মতদের পানি পান করাবেন?

-আবুল কালাম
মাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।


উত্তর : হাউয সকল নবী ও রাসূলকে প্রদান করা হবে। যাতে তারা হাশরের ময়দানে নিজ নিজ উম্মতকে পানি পান করাতে পারেন। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর হাউয সবচেয়ে বড় হবে এবং তার নাম হবে হাউযে কাওছার। আল্লাহ বলেন, আমরা তোমাকে হাউযে কাওছার দান করেছি (কাওছার ১)। সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,

প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : মুসলিম হা/২৬০৪ থেকে বুঝা যায়, রাসূল (ছাঃ) মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর প্রতি বিরক্ত হয়ে বদদো‘আ করেছেন। এছাড়া ত্বাবারী সংকলিত ইবনু ওমর থেকে আরেকটি হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, মু‘আবিয়ার মৃত্যু ইসলামের উপর হবে না। উপরোক্ত হাদীছদ্বয়ের সত্যতা ও সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।

প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : মুসলিম হা/২৬০৪ থেকে বুঝা যায়, রাসূল (ছাঃ) মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর প্রতি বিরক্ত হয়ে বদদো‘আ করেছেন। এছাড়া ত্বাবারী সংকলিত ইবনু ওমর থেকে আরেকটি হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, মু‘আবিয়ার মৃত্যু ইসলামের উপর হবে না। উপরোক্ত হাদীছদ্বয়ের সত্যতা ও সঠিক ব্যাখ্যা জানতে চাই।

-শেখ সাদী, চট্টগ্রাম।
উত্তর : হাদীছটিতে বলা হয়েছে যে, একদা রাসূল (ছাঃ)  ইবনু আববাসকে বললেন, যাও, মু‘আবিয়াকে আমার কাছে ডেকে আনো। তিনি ডাকতে গেলেন এবং ঘুরে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল তিনি খাচ্ছেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) তাকে পুনরায় পাঠালে তিনি এসে একই কথা বললেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ যেন তার পেট ভর্তি না করেন (মুসলিম হা/২৬০৪)। হাদীছটি ছহীহ। তবে উক্ত বাক্যটি মু‘আবিয়ার বিরুদ্ধে বদদো‘আ ছিল না, বরং দো‘আ ছিল। আলবানী বলেন, এটি  সংকল্পহীন দো‘আ। যা আরবরা তাদের বাকরীতি অনুযায়ী উদ্দেশ্য ছাড়াই বাক্যের সাথে ব্যবহার করে থাকে’ (ছহীহাহ হা/৮২-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : একটি জাতীয় দৈনিকের ইসলামী প্রবন্ধে লেখা হয়েছে যে, শারঈ বিধান অনুযায়ী স্বামী তার স্ত্রীকে খাদ্য প্রস্ত্তত করতে বাধ্য করতে পারবে না। বক্তব্যটির শারঈ ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : একটি জাতীয় দৈনিকের ইসলামী প্রবন্ধে লেখা হয়েছে যে, শারঈ বিধান অনুযায়ী স্বামী তার স্ত্রীকে খাদ্য প্রস্ত্তত করতে বাধ্য করতে পারবে না। বক্তব্যটির শারঈ ভিত্তি আছে কি?
-মোবারক হোসাইন
রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, রাজশাহী।
 
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেবল খাদ্য প্রস্ত্তত নয়, বরং স্ত্রীর উপর কর্তব্য হ’ল স্বামীর শরী‘আতসম্মত যেকোন নির্দেশ নির্দ্বিধায় পালন করা। আল্লাহ বলেন, পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৫/৩৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নারী তার স্বামীগৃহের কর্ত্রী, তাকে তাঁর অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে (বুখারী হা/৮৯৩; মুসলিম হা/১৮২৯)। তিনি বলেন,

প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম সূরা কাহফের ২৮ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, সম্মিলিত মুনাজাত বর্জনকারীরা আল্লাহর নাফরমান। বক্তব্যটি কতটুকু সত্য?

প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম সূরা কাহফের ২৮ আয়াতের ভিত্তিতে বলেন, সম্মিলিত মুনাজাত বর্জনকারীরা আল্লাহর নাফরমান। বক্তব্যটি কতটুকু সত্য?

-মামূনুর রশীদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
উত্তর : বক্তব্য ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। পৃথিবীর কোন মুফাসসির উক্ত আয়াতের তাফসীরে এরূপ কথা বলেননি। আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘আর তুমি নিজেকে ধরে রাখো তাদের সাথে যারা সকালে ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি কামনায় এবং তুমি তাদের থেকে তোমার দু’চোখ ফিরিয়ে নিয়ো না পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনায়। আর তুমি ঐ ব্যক্তির আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমরা আমাদের স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি এবং

প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : অসুস্থ ব্যক্তির দো‘আ ফেরেশতাদের দো‘আর ন্যায়- কথাটির কোন সত্যতা আছে কি?

প্রশ্ন (৩৭/২৭৭) : অসুস্থ ব্যক্তির দো‘আ ফেরেশতাদের দো‘আর ন্যায়- কথাটির কোন সত্যতা আছে কি?

-আবু তালেব, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
উত্তর : না। কেননা এ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১০০৪; ইবনু মাজাহ,

প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : মানুষ মারা গেলে তার রূহকে ইল্লীন অথবা সিজ্জীনে রাখা হয়। আবার শুনেছি মৃত মানুষ তার আত্মীয়-স্বজনের কান্না, কথাবার্তা, তাকে গোসল করানো, জানাযা পড়ানো ইত্যাদি সব শুনতে পায়। সে সব বুঝতে পারে শুধু কথা বলতে পারে না। আত্মা যদি ইল্লীন অথবা সিজ্জীনে থাকে তাহ’লে এসব শুনতে পায় কিভাবে?

প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : মানুষ মারা গেলে তার রূহকে ইল্লীন অথবা সিজ্জীনে রাখা হয়। আবার শুনেছি মৃত মানুষ তার আত্মীয়-স্বজনের কান্না, কথাবার্তা, তাকে গোসল করানো, জানাযা পড়ানো ইত্যাদি সব শুনতে পায়। সে সব বুঝতে পারে শুধু কথা বলতে পারে না। আত্মা যদি ইল্লীন অথবা সিজ্জীনে থাকে তাহ’লে এসব শুনতে পায় কিভাবে?

-শরী‘আতুল্লাহ, শেখহাটি, নড়াইল।
উত্তর : মৃত্যুর পর সৎ বান্দাদের রূহ ইল্লিয়ীনে এবং পাপীদের রূহ সিজ্জীনে অবস্থান করে। অতঃপর তাদের আমল অনুযায়ী তাদের রূহের উপর শান্তি অথবা শাস্তি প্রদান করা হয় (গাফের ৪০/৪৫-৪৬; আবুদাঊদ হা/৪৭৫৫; মিশকাত হা/১৩১)। এছাড়া কবরে ব্যক্তির দেহে পুনরায় রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হয় মর্মে ছহীহ হাদীছ এসেছে (আহমাদ হা/১৮৫৫৭; ইবনু মাজাহ হা/৪২৬২; মিশকাত হা/১৬৩০)। আর জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের ফিরে যাওয়ার সময় তাদের জুতার আওয়াজ তিনি শুনতে পান মর্মে হাদীছ এসেছে (বুখারী হা/১৩৩৮; মুসলিম হা/২৮৭০; মিশকাত হা/১২৬)
উক্ত

প্রশ্ন (৪০/২৮০) : পায়ুপথ দিয়ে কৃমি বের হলে ওযূ ভঙ্গ হবে কি?

প্রশ্ন (৪০/২৮০) : পায়ুপথ দিয়ে কৃমি বের হলে ওযূ ভঙ্গ হবে কি?

-ডা. মাহবূব, ঢাকা।
উত্তর : উক্ত কারণ ওযূ ভেঙ্গে যাবে মর্মে স্পষ্ট কোন দলীল পাওয়া যায় না। সেকারণ ইমাম মালেক (রহঃ) এর দ্বারা ওযূ ভঙ্গ হবে না বলেছেন। আর ‘দুই রাস্তা দিয়ে কিছু বের হ’লে ওযূ নষ্ট হবে’ মর্মে বর্ণিত মূলনীতি দ্বারা কেবল পায়খানা ও পেশাবকে বুঝানো হয়েছে। বায়ু নিঃসরণ এবং

সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াত

সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত অধিক ফজিলতপূর্ণ কিছু সুরা ও আয়াত
===========================
১- সুরা ইখলাসের ফজিলতঃ
#রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেনঃ
“নিঃসন্দেহে এটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান”।
মুসলিম ৮১২, তিরমিযী ২৮৯৯, ইবনু মাজাহ ৩৭৮৭, আহমাদ ৯২৫১।
#রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীগণকে বললেন, “তোমরা কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারনা”? প্রস্তাবটি সাহাবাদের জন্য কঠিন মনে হল। তাই তাঁরা বলে উঠলেন, “হে আল্লাহর রসুল! এই কাজ আমাদের মধ্যে কে করতে পারবে”? (অর্থাৎ কেউ পারবে না।)
তিনি বললেন, “ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ, আল্লাহুস স্বামাদ” (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান”। (অর্থাৎ এই সুরা পড়লে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়ার সমান নেকী পাওয়া যাবে)।
সহীহুল বুখারী ৫০১৫, নাসায়ী ৯৯৫, আবু দাউদ ১৪৬১, আহমাদ ১০৬৬৯।
#এক সাহাবী এসে বলল,

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ