Tuesday, October 31, 2017

তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট গুল,মদ খাওয়া কি?

 তামাক,বিড়ি,জর্দা,সিগারেট গুল,মদ খাওয়া কি?♨♨♨♨
উত্তরইনশাআল্লাহ আপনি ছাড়তে পারবেন ।
হারাম, মাকরু নয়, কুরআন ও হাদিসের আলোকে হারামহারাম 
ব্যাখ্যাঃ
(১)
তামাক, জর্দা, বিড়ি খাওয়া হারাম।
তামাক, জর্দা শরীরের জন্য কত টুকু উপকারী?
নিশ্চয়ই বলবেন যে, ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার
নেই!
তাহলে দেখুন আল্লাহ পাক কী বলছেন!

Monday, October 30, 2017

মসজিদ হবে পবিত্র ও সুগন্ধময়

মসজিদ হবে পবিত্র ও সুগন্ধময়


মসজিদ আল্লাহর ঘর। ইবাদতের জায়গা। তা হবে পবিত্র ও সুগন্ধময়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ) মহ্‌ল্লায় মসজিদ বানাতে এবং তা পরিষ্কার ও সুগন্ধময় করে রাখতে আদেশ করেছেন।’ (আবূদাঊদ, সুনান ৪৫৫ নং,  তিরমিযী, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ আহমাদ, মুসনাদ)
সামুরাহ্‌ (রাঃ) নিজের ছেলেকে পত্রে লিখেছিলেন, ‘অতঃপর বলি যে,

তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায

তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায


তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা মসজিদ সেলামীর নামায (২ রাক্‌আত) মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়। এর জন্য কোন সময়-অসময় নেই। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন বসার পূর্বে ২ রাক্‌আত নামায পড়ে নেয়।” অন্য এক বর্ণনায় আছে,

মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দুআ

মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দুআ


মহানবী (সাঃ) যখন মসজিদ প্রবেশ করতেন, তখন ‘বিসমিল্লাহ্‌’ বলতেন এবং নিজের উপর দরুদ ও সালাম পড়তেন। অনুরুপ বের হওয়ার সময়ও পড়তেন। (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ৭৭১নং)
তিনি এই সময় নিম্নের দুআও পড়তেন,

মসজিদ যাওয়ার আদব

মসজিদ যাওয়ার আদব


পূর্বে উল্লেখিত একহাদীসে এসেছে যে, ওযু করে মসজিদ যাওয়ার সময়ও আঙ্গুলসমূহের মাঝে খাঁজাখাঁজি করা নিষিদ্ধ। অনুরুপ এই সময় পথে ইকামত শুনলেও তাড়াহুড়ো করে বা ছুটাছুটি করে দৌড়ে যাওয়া বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা ধীর ও শান্তভাবে (মসজিদে বা জামাআতে) যাও। ইমামের সঙ্গে নামাযের যতটুকু অংশ পাও ততটুকু পড়ে নাও এবং যেটুকু অংশ ছুটে যায় তা একাকী পূর্ণ করে নাও।” (বুখারীমুসলিম মিশকাত৬৮৬ নং)
মসজিদ যাওয়ার সময় পথে নিম্নের দুআ পড়তে হয়:-

Sunday, October 29, 2017

মসজিদের প্রতি আসক্তি ও তথায় অবস্থানের ফযীলত

মসজিদের প্রতি আসক্তি ও তথায় অবস্থানের ফযীলত


মহান আল্লাহ বলেন,
إِنّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللهَ، فَعَسَى أُولئِكَ أَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَالْمُهْتَدِيْنَ
অর্থাৎ, নি:সন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে, যারা আল্লাহতে ও পরকালে ঈমান রাখে, নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে, আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা সৎপথপ্রাপ্তদের দলভুক্ত হবে। (কুরআন মাজীদ ৯/১৮)
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,

মসজিদে যাওয়ার মাহাত্ম বা ফজিলত

মসজিদে যাওয়ার মাহাত্ম


প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে যায়, তার জন্য আল্লাহ মেহ্‌মানীর উপকরণ প্রস্তুত করেন। যখনই সে সেখানে যায়, তখনই তার জন্য ঐ মেহ্‌মানীর উপকরণ প্রস্তুত করা হয়।” (বুখারী ৬৬২, মুসলিম, সহীহ ৬৬৯নং)
আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “পুরুষের স্বগৃহে বা তার ব্যবসাক্ষেত্রে নামায পড়ার চেয়ে (মসজিদে) জামাআতে শামিল হয়ে  নামায পড়ার সওয়াব পঁচিশ গুণ বেশি। কেননা, সে যখন সুন্দরভাবে ওযু করে কেবল মাত্র নামায পড়ার উদ্দেশ্যেই মসজিদের পথে বের হয় তখন চলামাত্র প্রত্যেক পদক্ষেপের বিনিময়ে

মসজিদ নির্মাণের ফযীলত

মসজিদ নির্মাণের ফযীলত


আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর (সন্তুষ্টি লাভের) উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে দেয়, আল্লাহ তার জন্য বেহেশ্তে একটি ঘর বানিয়ে দেন।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬৯৭নং)
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পাখির বাসার মত অথবা তার চেয়েও ছোট আকারের একটি

মাহাত্মপূর্ণ চারটি মসজিদ

মাহাত্মপূর্ণ চারটি মসজিদ


মহানবী (সাঃ) বলেন, “তিনটি মসজিদ ছাড়া আর কোন স্থান যিয়ারতের জন্য সফর করা যাবে না; মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা ও আমার এই মসজিদ (নববী)।” (বুখারী,মুসলিম, সহীহ মিশকাত ৬৯৩)
তিনি বলেন, “মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদের তুলনায় আমার এই মসজিদে (নববীতে) একটি নামায হাজার নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬৯২নং)
“আর অন্যান্য মসজিদের তুলনায় মসজিদুল হারামের একটি নামায এক লক্ষ নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী, জামে ৩৮৩৮, ৩৮৪১ নং)
প্রকাশ যে, এই ফযীলত মহিলাদের জন্য নয়। কারণ,

মসজিদ ও নামায পড়ার জায়গা সম্পর্কিত

মসজিদ ও নামায পড়ার জায়গা সম্পর্কিত


মহানবী (সাঃ) বলেন, “---আর সারা পৃথিবীকে আমার জন্য মসজিদ (নামাযের জায়গা) এবং পবিত্রতার উপকরণ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তির নিকট যে কোন স্থানে নামাযের সময় এসে উপস্থিত হবে , সে যেন সেখানেই নামায পড়ে নেয়।” (বুখারী ৪৩৮নং, মুসলিম প্রমুখ)
কবরস্থান ও গোসলখানা ছাড়া সারা পৃথিবীর (সমস্ত জায়গাই) মসজিদ (নামায ও সিজদার স্থান)। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাত ৭৩৭নং)
একদা আবূ যার (রাঃ) মহানবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন,

ইকামত ও নামায শুরু করার মাঝে ব্যবধান

ইকামত ও নামায শুরু করার মাঝে ব্যবধান


আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “নামাযের ইকামত হয়ে গেলে তোমরা আমাকে না দেখা পর্যন্ত (নামাযের জন্য) দাঁড়াও না।” (বুখারী ৬৩৭নং)
যেমন ইকামত হয়ে গেলে তাড়াহুড়ো করে দাঁড়ানোও উচিৎ নয়। কারণ উক্তহাদীসের এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “তোমাদের মাঝে যেন ধীরতা ও শান্তভাব থাকে।” ( ৬৩৮নং) যেহেতু রাজাধিরাজের দরবারে কোন প্রকারের হৈ-হুল্লোড় ও তাড়াহুড়ো চলে না। বলা বাহুল্য এই দরবারে থাকবে শত আদব, শত বিনয়, ধীরতা ও স্থিরতা।
হুমাইদ বলেন,

ইকামত কে দেবে?

ইকামত কে দেবে?


ইমাম ও মুক্তাদীগণের মধ্যে যে কেউ ইকামত দিতে পারে। যে আযান দিয়েছে তারই ইকামত দেওয়া জরুরী নয়। আর এ ব্যাপারে যে হাদীস এসেছে তা শুদ্ধ নয়। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৩৫নং)
যয়ীফ হাদীসকে ভিত্তি করেই বহু স্থানে মুআযযিন ছাড়া অন্য কেউ ইকামত দিলে তার প্রতি চোখ তোলা হয়! আবার এর চেয়ে আরো বিস্ময়ের কথা এই যে, খালি মাথায় ইকামত দিলে অনেক জায়গায় ইকামত পুনরায় ফিরিয়ে বলা হয়! কারণ,

ইকামতের জওয়াব কিভাবে দিতে হয় ?

ইকামতের জওয়াব


ইকামতকে দ্বিতীয় আযান বলা হয়, তাই ইকামতও এক প্রকার আযান। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/২৪৯) সুতরাং এর জওয়াবও আযানের মতই। অবশ্য ‘হাইয়্যা আলাস সলা-হ্‌’ ও ‘--ফালাহ্‌’ এর জওয়াবে ‘লাহাউলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্‌’ এবং শেষে (সময় পেলে) দরুদ ও অসীলার দুআ পাঠ করা বিধেয়। যেহেতু হাদীস শরীফে মুআযযিনের জওয়াব (তার মতই) বলতে এবং

ইকামতের বাক্য গুলো কি রকম ?

ইকামত


যেমন দুই মুআযযিনের আযান দুই রকম ছিল, তেমনি উভয়ের ইকামতও ছিল দুই রকম; জোড় এবং বিজোড়। বিলাল (রাঃ) কে আযান ডবল ডবল শব্দে এবং ইকামত ‘ক্বাদ ক্বা-মাতিস সলা-হ্‌’ ছাড়া (অন্যান্য) বাক্যাবলীকে একক একক শব্দে বলতে আদেশ করা হয়েছিল। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ প্রমুখ, মিশকাত ৬৪১ নং)
সুতরাং বিলালের উক্ত হাদীসের ভিত্তিতে ইকামত হবে ৯টি বাক্যে; ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ্‌ ২বার এবং বাকী হবে ১ বার করে। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/৫৯)
কিন্তু

আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ কবুল হয় কি ?

আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ


আযান হওয়ার পর এবং ইকামত হওয়ার পূর্বের সময়ে দুআ কবুল হয়ে থাকে। তাই এই সময় দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা উচিৎ। মহানবী (সাঃ)  বলেন, “আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ রদ্দ্‌ করা হয় না।” (অর্থাৎ মঞ্জুর করা হয়।) (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৫২১নং, তিরমিযী, সুনান)
এক বর্ণনায় আছে, “সুতরাং তোমরা এ সময়ে দুআ কর।” (জামে ৩৪০৫ নং)
তিনি আরো বলেন,

আযান ও ইকামতের মাঝে ব্যবধান বা বিরতি কতটুকু দিতে হবে ?

আযান ও ইকামতের মাঝে ব্যবধান


আযান ও ইকামতের মাঝে কতটা বিরতি থাকবে সে ব্যাপারে হা বাদীস শরীফে কোন স্পষ্ট ইঙ্গিত ও উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে আযান হয় জামাআত ডাকার জন্য। আর এটাই স্বাভাবিক যে, আযানের পর অনেকে ওযু করবে। সুতরাং ওযু করার মত সময় দিতে হবে। তাছাড়া

আযানের পর মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ কি ?

আযানের পর মসজিদ থেকে বের হওয়া


আযান হয়ে গেলে বিনা ওজরে নামায না পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া বৈধ নয়।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “মসজিদে অবস্থানকালে আযান হলেই তোমাদের কেউ যেন নামায না পড়া পর্যন্ত মসজিদ থেকে বের না হয়।” (আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ১০৭৪ নং)
এক ব্যক্তি আযানের পর মসজিদ হতে বের হয়ে গেলে আবূ হুরাইরা তার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন,

জিন-ভূতের ভয়ে আযান

জিন-ভূতের ভয়ে আযান


শয়তান জিন মানুষকে ভয় দেখায়। ভয় পেয়ে আযান দিলে জিন বা শয়তান বা ভূত সব পালিয়ে যায়।
সুহাইল বলেন, একদা আমার আব্বা আমাকে বনী হারেসায় পাঠান। আমার সঙ্গে ছিল এক সঙ্গী। এক বাগান হতে কে যেন নাম ধরে আমার সঙ্গীকে ডাক দিল। আমার সঙ্গী বাগানে খুঁজে দেখল; কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। ফিরে এলে আব্বার নিকট সে কথা উল্লেখ করলাম। আব্বা বললেন,

সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আযান

সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আযান


আবূ রাফে’ (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে দেখেছি, ফাতেমা (রাঃ) হাসান বিন আলীকে প্রসব করলে তিনি তাঁর (হাসানের) কানে নামাযের আযান দিলেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৫১০৫, তিরমিযী, সুনান ১৫৬৬, মিশকাত ৪১৫৭ নং)
সুতরাং ছেলে-মেয়ে সকলের কানে ঐ সময় নামাযের জন্য আযান দেওয়ার মতই আযান দেওয়া সুন্নত। (মতান্তরে হাদীসটি যয়ীফ, অতএব  এ সময় আযান সুন্নত নয়।) পক্ষান্তরে

তাহাজ্জুদ ও সেহ্‌রী বা সাহারীর আযান

তাহাজ্জুদ ও সেহ্‌রী বা সাহারীর আযান


মহানবী (সাঃ) বলেন, বিলাল রাতে (ফজরের পূর্বে) আযান দেয়। সুতরাং ইবনে উম্মে মাকতূম (ফজরের) আযান না দেওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬৮০নং)
উক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ফজরের পূর্বে তাহাজ্জুদ ও সেহ্‌রীর আযান মহানবী (সাঃ) এর যুগে প্রচলিত ছিল এবং আজও পর্যন্ত সে সুন্নত মক্কা-মদ্বীনা সহ্‌ সঊদী আরবের প্রায় সকল স্থানে সেহ্‌রীর ঐ আযান (বিশেষ করে রমযানে) শুনতে পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে

ঝড়-বৃষ্টির সময় আযানের বিশেষ শব্দ

ঝড়-বৃষ্টির সময় আযানের বিশেষ শব্দ


ঝড়-বৃষ্টি বা অতিরিক্ত ঠান্ডার সময় মসজিদ আসতে কষ্ট হলে মুআযযিন আযানে নিম্নলিখিত শব্দ অতিরিক্ত বলব
‘হাইয়্যা আলাস স্বলাহ্‌’ ও ‘---ফালাহ্‌’র পআরিবর্তে:-
صَلُّوْا فِيْ بُيُوْتِكُمْ  (স্বল্লূ ফী বুয়ূতিকুম)। (বুখারী ৯০১, মুসলিম, সহীহ ৬৯৯নং)
অথবাالصَّلاَةُ فِي الرِّحَال(আসস্বলা-তু ফির্রিহাল)। (বুখারী ৬১৬নং)
অথবা যথানিয়মে আযান দেওয়ার শেষে:-

খাস মহিলা মহলে মহিলাদের আযান ও ইকামত দেওয়ার বিধান আছে কি ?

খাস মহিলা মহলে মহিলাদের আযান ও ইকামত


হযরত আয়েশা (রাঃ) এর আযান ও ইকামত দেওয়ার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীস সহীহ নয়। অবশ্য বাইহাকীতে আছে, আম্‌র বিন আবী সালামাহ্‌ বলেন, আমি সওবানকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ‘মেয়েরা কি ইকামত দিতে পারে?’ উত্তরে তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনার কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘মকহুল বলেছেন, যদি মহিলারা আযান-ইকামত দেয় তবে তা আফযল। আর যদি শুধু ইকামত দেয়, তবে তাও যথেষ্ট।’ সওবান বলেন,

সময় পার হলে আযান

সময় পার হলে আযান


নামাযের সময় বাকী থাকলে এবং আযানের যথা সময় পার হয়ে গেলে খুব দেরীতে হলেও আযান দিয়েই নামায পড়তে হবে। অবশ্য গ্রামে বা শহরে অন্যান্য মসজিদে আযান হয়ে থাকলে যে মসজিদে আযান দিতে খুব দেরী হয়ে গেছে সে মসজিদে আযান না দিলেও চলবে। তবে দেরী সামান্য হলে আযান দেওয়াই উত্তম। কিন্তু গ্রামে এ ছাড়া অন্য মসজিদ না থাকলে খুব দেরী হয়ে গেলেও আযান দেওয়া জরুরী। (ফ: ইবনে বায, রিসালাতুন ইলা মুআযযিন ৬৭পৃ:, তুহ্‌ফাতুল ইখওয়ান, ইবনে বায ৭৭পৃ:)

কাযা নামাযের জন্য আযান

কাযা নামাযের জন্য আযান


মসজিদে কেউ আযান না দিলে এবং শহরে বা গ্রামে থাকতে সকলের নামায কাযা হলে অথবা সফরে পুরো জামাআতের বা একাকীর নামায কাযা হলে অসময়েও আযান-ইকামত দিয়ে নামায পড়া কর্তব্য।
একদা মহানবী (সাঃ) সাহাবাসহ্‌ সফরে থাকাকালীন তাঁদের ফজরের নামায কাযা হয়ে যায়। সূর্য ওঠার পর তেজ হয়ে এলে ঐ স্থান ত্যাগ করে অন্য স্থানে গিয়ে বিলাল (রাঃ) আযান দেন। অতঃপর

মসজিদ ছাড়া অন্য স্থানে আযান দেয়া যাবে কি?

মসজিদ ছাড়া অন্য স্থানে আযান


ভয়, শত্রুতা প্রভৃতির কারণে মসজিদে যেতে বাধা থাকলে, মসজিদ বহু দূরে হলে (এবং আযান শুনতে না পেলে), সফরে কোন নির্জন প্রান্তরে থাকলে, যে জায়গায় থাকবে সেই জায়গাতেই নামাযের সময় হলে আযান-ইকামত দিয়ে নামায আদায় করতে হবে। একা হলে আযান ওয়াজেব না হলেও সুন্নত অবশ্যই বটে।
মহানবী (সাঃ) বলেন,

আযানের জওয়াব বা জবাব কিভাবে দিতে হয় ?

আযানের জওয়াব


আযান শুরু হলে চুপ থেকে শুনে তার জওয়াব দেওয়া বিধেয় (সুন্নত)। মুআযযিন ‘আল্লাহু আকবার’ বললে, শ্রোতাও তার জবাবে ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে। মুআযযিন ‘আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্‌’ বললে শ্রোতা বলবে, ‘অআনা, অআনা।’ অর্থাৎ আমিও সাক্ষি দিচ্ছি, আমিও। (আবূদাঊদ, সুনান ৫২৬নং)
এই সময় নিম্নের দুআও বলতে হয়:-

মুআযযিনের কি হওয়া ও কি করা উচিত ?

মুআযযিনের কি হওয়া ও কি করা উচিত


১। মুআযযিন যেন ‘মুসলিম’ ও জ্ঞানসম্পন্ন (সাবালক বা নাবালক) পুরুষ হয়। কোন মহিলার জন্য (পুরুষ-মহলে) আযান দেওয়া বৈধ নয়; দিলে সে আযান শুদ্ধ নয়। (মুগনী ১/৪৫৯)
২। মুআযযিন হবে সুন্দর চরিত্রের অধিকারী। যাতে তার আযান শুনে কারো মনে (আযানের প্রতি) বিতৃষ্ণা ও ঘৃণার উদ্রেক না হয়। (কাবীরা গুনাহ করে এমন) ফাসেকের আযান যদিও শুদ্ধ, তবুও কোন ফাসেককে মসজিদের মুআযযিন নিয়োগ করা ঠিক নয়। (মুগনী ১/৪৪৯)
৩। সেই ব্যক্তিই হবে যোগ্য মুআযযিন, যে

আযানের বিশেষ নিয়মাবলী

আযানের বিশেষ নিয়মাবলী


১। আযান যেন তার শব্দবিন্যাসের বিপরীত না হয়। যার পর যে বাক্য পরস্পর সজ্জিত আছে ঠিক সেই পর্যায়ক্রমে তাই বলা জরুরী। সুতরাং -উদাহ্‌রণস্বরুপ- যদি কেউحيَّ عَلَى الصَّلاَة  বলার আগে حيَّ عَلَى الْفَلاَح বলে ফেলে, তাহলে পুনরায় حيَّ عَلَى الصَّلاَة বলে যথা অনুক্রমে আযান শেষ করবে। (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ১/৩৪৮)
২। একটা বাক্য বলার পর অন্য বাক্য বলতে যেন বেশী দেরী না হয়। মাইক ইত্যাদি ঠিক করতে গিয়ে বা অন্য কোন কারণে বিরতি অধিক হলে পুনরায় শুরু থেকে আযান দিতে হবে।
৩। আযান যেন নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে না হয়। যেহেতু

আযানের শব্দাবলী বা বাক্যগুলো

আযানের শব্দাবলী


মহানবী (সাঃ) এর মুআযযিন ছিল মোট ৪ জন। মদ্বীনায় ২ জন; বিলাল বিন রাবাহ্‌ ও আম্‌র বিন উম্মে মাকতূম কুরাশী। আম্‌র ছিলেন অন্ধ।আর কুবায় ছিলেন সা’দ আল-কুর্য। মক্কায় আবূ মাহ্‌যূরাহ্‌ আওস বিন মুগীরাহ্‌ জুমাহী। (যাদুল মাআদ, ইবনুল কাইয়েম ১/১২৪)
আব্দুল্লাহ বিন যায়দ (রাঃ) এর বর্ণিত বিলাল (রাঃ) এর আযান ছিল নিম্নরুপ:-

আযানের প্রারম্ভিক ইতিহাস বা আজান কিভাবে শুরু হল ?

আযানের প্রারম্ভিক ইতিহাস


মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (সাঃ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী ১ম (মতান্তরে ২য়) সনে আযান ফরয হয়। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৭৮)
সকল মুসলমানকে একত্রে সমবেত করে জামাআতবদ্ধভাবে নামায পড়ার জন্য এমন এক জিনিসের প্রয়োজন ছিল, যা শুনে বা দেখে তাঁরা জমা হতে পারতেন। এ জন্যে তাঁরা পূর্ব থেকেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাযের অপেক্ষা করতেন। এ মর্মে তাঁরা একদিন পরামর্শ করলেন; কেউ বললেন, ‘নাসারাদের ঘন্টার মত আমরাও ঘন্টা ব্যবহার করব।’ কেউ কেউ বললেন, ‘বরং ইয়াহুদীদের শৃঙ্গের মত শৃঙ্গ ব্যবহার করব।’ হযরত উমার (রাঃ) বললেন,

আযান ও তার মাহাত্ম বা ফজিলত

আযান ও তার মাহাত্ম


আযান ফরয এবং তা দেওয়া হল ফ র্যে কিফায়াহ্‌। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, “নামাযের সময় উপস্থিত হলে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।” (বুখারী ৬২৮নং, মুসলিম,  নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান)
আযান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন ও প্রতীক। কোন গ্রাম বা শহরবাসী তা ত্যাগ করলে ইমাম (রাষ্ট্রপ্রধান) তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন। যেমন মহানবী (সাঃ) অভিযানে গেলে কোন জনপদ থেকে আযানের ধ্বনি শুনলে তাদের উপর আক্রমণ করতেন না। (বুখারী ৬১০ নং, মুসলিম, সহীহ)
সফরে একা থাকলে অথবা

Saturday, October 28, 2017

ওয়াক্ত-বিষয়ক আরো কিছু মাসায়েল। পৃথিবীর যে স্থানে দিন বা রাত্রি অস্বাভাবিক লম্বা (যেমন ৬ মাস রাত, ৬ মাস দিন) হয়, সে স্থানে কিভাবে নামাজ পড়বে?

ওয়াক্ত-বিষয়ক আরো কিছু মাসায়েল
১। যে ব্যক্তি ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে এক রাকআত নামায পেয়ে নেবে সে ওয়াক্ত পেয়ে যাবে। অর্থাৎ, তার নামায যথা সময়ে আদায় হয়েছে এবং কাযা হয়নি বলে গণ্য হবে। (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৬০১নং) বিধায় যে ব্যক্তি এক রাকআতের চেয়ে কম নামায পাবে, সে সময় পাবে না; অর্থাৎ তার নামায যথাসময়ে আদায় হবে না এবং তা কাযা বলে গণ্য হবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বিনা ওজরে শেষ

দিবারাত্রে কোন কোন সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ?

যে যে সময়ে নামায নিষিদ্ধ
দিবারাত্রে পাঁচটি সময়ে নামায পড়া নিষিদ্ধ; মহানবী (সাঃ) বলেন,
(১) “আসরের নামাযের পর সূর্য না ডোবা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই এবং
(২) ফজরের নামাযের পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামায নেই।” (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ১০৪১ নং)
উক্ববা বিন আমের (রাঃ) বলেন,

নামাযের সময় নির্দিষ্টী করণের পশ্চাতে হিকমত কি?

নামাযের সময় নির্দিষ্টী করণের পশ্চাতে হিকমত
মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে এমন প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি দান করেছেন, যাতে রুযী অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাকে জীবনধারণ করতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন পরিশ্রমের। পরিশ্রম দেহ্‌-মনে ক্লান্তি, ব্যস্ততা ও শৈথিল্য আনে। ফলে পরিশ্রমে ছিন্ন হয় আল্লাহ ও বান্দার মাঝে বিশেষ যোগসূত্র। তাই

এশার নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

এশার সময়
সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশ হতে লাল আভা কেটে গেলে এশার সময় উপস্থিত হয়। নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) এর বর্ণনা অনুযায়ী (চাঁদের মাসের) তৃতীয় রাতে চাঁদ ডুবে গেলে এশার সময় হয়। (আবূদাঊদ, সুনান, দারেমী, সুনান, মিশকাত ৬১৩নং) সূর্য ডোবার পর থেকে ঘড়ি ধরে দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হলে এই ওয়াক্ত আসে।
আর এর শেষ সময় অর্ধেক রাত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে। অবশ্য কোন ওযর ও বাধার ফলে ফজরের আগে পর্যন্ত এশার নামায পড়ে নিলে আদায় হয়ে যায়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন,

মাগরীবের নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

মাগরেবের সময়
সূর্য অস্ত গেলেই মাগরেবের সময় হয় এবং পশ্চিমাকাশে লাল আভা (অস্তরাগ) কেটে গেলেই এর সময় শেষ হয়ে যায়। (মুসলিম, সহীহ)
মাগরেবের নামাযও আওয়াল অক্তে পড়া আফযল এবং বিনা ওজরে দেরী করে পড়া মাকরুহ। কেননা,

আসর নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

আসরের সময়
যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হয়ে যায়, তখন আসরের সময় শুরু হয়। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৫৮৩নং)  শেষ হয় ঠিক সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্তে।
মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার পূর্বে আসরের এক রাকআত পেয়ে নেয়, সে আসর পেয়ে নেয়।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ)
আসরের আওয়াল অক্তেই নামায পড়া মহানবী (সাঃ) এর আমল ছিল। আনাস (রাঃ) বলেন,

যোহর নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

যোহরের সময়
সূর্য পশ্চি  আকাশের দিকে ঢলে গেলেই যোহরের আওয়াল ওয়াক্ত শুরু হয়। আর প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হলে তার সময় শেষ হয়ে যায়।
সূর্য মধ্য রেখায় থাকলে কোন খোলা জায়গায় একটি সরল কাঠি বা শলাকা সোজাভাবে গাড়লে যখন তার ছায়া তার দেহে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর পূর্ব দিকে পড়ে লম্বা হতে লাগবে, তখনই

যোহর নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

যোহরের সময়

সূর্য পশ্চি  আকাশের দিকে ঢলে গেলেই যোহরের আওয়াল ওয়াক্ত শুরু হয়। আর প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হলে তার সময় শেষ হয়ে যায়।

সূর্য মধ্য রেখায় থাকলে কোন খোলা জায়গায় একটি সরল কাঠি বা শলাকা সোজাভাবে গাড়লে যখন তার ছায়া তার দেহে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর পূর্ব দিকে পড়ে লম্বা হতে লাগবে, তখনই হবে যোহরের সময়। এইভাবে তার ছায়া তার সমপরিমাণ হলে যোহরের সময় শেষ হয়ে যাবে।

অন্যথা সূর্য মধ্যরেখায় না থাকলে, কোন গোলার্ধে থাকার ফলে যে অতিরিক্ত ছায়া পড়ে, তা বাদ দিয়ে মাপতে হবে। কাঠির ছায়া কমতে কমতে ঠিক মধ্যাহ্নকালে আবার বাড়তে শুরু হবে। ঐ বাড়া অংশটি মাপলে যোহ্‌র-আসরের সময় নির্ণয় করা যাবে।

প্রত্যেক নামায তার প্রথম অক্তে পড়াই হল উত্তম। কিন্তু গ্রীষ্মকালে কঠিন গরমের দিনে যোহরের নামায একটু ঠান্ডা বা দেরী করে পড়া আফযল।

আবূ যার (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী (সাঃ) এর সাথে এক সফরে ছিলাম। যোহরের সময় হলে মুআযযিন আযান দিতে চাইল। নবী (সাঃ) বললেন, “ঠান্ডা কর।” এইরুপ তিনি দুই অথবা তিন বার বললেন। তখন আমরা দেখলাম যে, ছোট ছোট পাহাড়গুলোর ছায়া নেমে এসেছে। পুনরায় নবী (সাঃ) বললেন, “গ্রীষ্মের এই প্রখর উত্তাপ দোযখের অংশ। অতএব গরম কঠিন হলে নামায ঠান্ডা (দেরী) করে পড়।” (বুখারী ৫৩৯নং, মুসলিম,  আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান) গ্রীষ্মকালে নিজের ছায়া ৩ থেকে ৫ কদম হলে এবং শীতকালে ৫ থেকে ৭ কদম হলে যোহরের সময় নির্ণয় করা যায়। (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, মিশকাত ৫৮৬নং) অবশ্য সকল দেশেই এ মাপ সঠিক হবে না।

ফজর নামাজের ওয়াক্ত বা সময়

ফজরের সময়
সুবহে সাদেক উদিত হলে ফজরের নামাযের সময় শুরু হয় এবং রোযাদারের জন্য পানাহার হারাম হয়ে যায়। (সুবহে সাদেক বলা হয় সেই সময়কে, যে সময়ে ভোরের আভা পূর্ব আকাশে উত্তর-দক্ষিণে বিস্থির্ণ অবস্থায় দেখা যায়।) আর এর শেষ সময় হল সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত।
তবে এই নামায প্রথম অক্তে ‘গালাসে’ (একটু অন্ধকারে কাক ভোরে) পড়া উত্তম।
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন

সালাত বা নামাযের ওয়াক্ত সমূহ

নামাযের ওয়াক্তসমূহ

ফরয নামায শুদ্ধ হওয়ার জন্য এক শর্ত হল, তা যথা সময়ে আদায় করা। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ভিন্ন সময়ে নামায হয় না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন,

إنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتَاباً مَّوْقُوْتاً

অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে নামায পড়া মু’মিনদের কর্তব্য। (কুরআন মাজীদ ৪/১০৩)

কুরআন মাজীদে কতিপয় আয়াতে নামাযের ৫টি ওয়াক্তের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে; যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর নামায কায়েম কর দিনের দু’ প্রান্তভাগে (অর্থাৎ ফজর ও মাগরেবের সময়) ও রাতের প্রথগোশতে (অর্থাৎ এশার সময়)। (কুরআন মাজীদ ১১/১১৪)

“সূর্য ঢলে যাওয়ার পর হতে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত (অর্থাৎ যোহ্‌র, আসর, মাগরেব ও এশার) নামায কায়েম কর, আর কায়েম কর ফজরের নামায।” (কুরআন মাজীদ ১৭/৭৮)

“আর সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজরে) ও সূর্যাস্তের পূর্বে (আসরে) তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির কিছু সময়ে (এশায়) এবং দিনের প্রান্তভাগগুলিতে (ফজর, যোহ্‌র ও মাগরেবে), যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার।” (কুরআন মাজীদ ২০/১৩০)

পাঁচ ওয়াক্তকে নির্দিষ্ট করতে আল্লাহর তরফ হতে স্বয়ং জিবরীল (আহমাদ, মুসনাদ) এসে ইমাম হয়ে রসূল (সাঃ)কে সঙ্গে নিয়ে নামায পড়েন। নবী (সাঃ) বলেন, “কা’বাগৃহের নিকট জিবরীল (আহমাদ, মুসনাদ) আমার দু’বার ইমামতি করেন; প্রথমবারে তিনি আমাকে নিয়ে যোহরের নামায তখন পড়লেন, যখন সূর্যঢলে গিয়ে তার ছায়া জুতোর ফিতের মত (সামান্য) হয়েছিল। অতঃপর তিনি আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়লেন যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হয়েছিল। অতঃপর আমাকে নিয়ে মাগরেবের নামায পড়লেন তখন, যখন রোযাদার ইফতার করে ফেলেছিল। (অর্থাৎ সূর্যাস্তের সাথে সাথে।) অতঃপর এশার নামায তখন পড়লেন, যখন (সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশের অস্তরাগ) লাল আভা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। আর আমাকে নিয়ে ফজরের নামায তখন পড়লেন, যখন রোযাদারের জন্য পানাহার হারাম হয়ে গিয়েছিল।

দ্বিতীয় দিনে তিনি আমাকে নিয়ে যোহরের নামায তখন পড়লেন যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হয়েছিল। আসরের নামাযে আমার ইমামতি তখন করলেন, যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হয়েছিল। অতঃপর আমাকে নিয়ে মাগরেবের নামায তখন পড়লেন, যখন রোযাদার ইফতার করে ফেলেছিল। অতঃপর রাতের এক তৃতীয়াংশ গত হলে তিনি এশার নামায পড়লেন। আর আমাকে নিয়ে ফজরের নামায তখন পড়লেন, যখন (ভোর) ফর্সা হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর তিনি আমার প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! এ হল আপনার পূর্বে সকল নবীগণের ওয়াক্ত। আর এই দুই ওয়াক্তের মধ্যবর্তী ওয়াক্তই হল নামাযের ওয়াক্ত।’ (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৫৮৩নং)

শেষ অক্তে নামায যদিও শুদ্ধ, তবুও প্রথম (আওয়াল) অক্তে নামায পড়া হল শ্রেষ্ঠ আমল। আল্লাহর রসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল,  ‘কোন আমল সর্বশ্রেষ্ঠ?’ উত্তরে তিনি বললেন, “আওয়াল অক্তে নামায পড়া।” (সহীহ আবূদাঊদ, সুনান ৪৫২, সহীহ তিরমিযী, সুনান ১৪৪, মিশকাত ৬০৭নং)

হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ) শেষ জীবন পর্যন্ত দ্বিতীয় বার কখনো শেষ অক্তে নামায পড়েন নি।’ (সহীহ তিরমিযী, সুনান ১৪৬, মিশকাত ৬০৮নং)

নারী ও পুরুষের নামাযের ভিতরে বিশেষ লেবাস বা পোশাক কেমন হওয়া উচিত?

নামাযের ভিতরে বিশেষ লেবাস
একটাই কাপড়ে পুরুষের নামায শুদ্ধ, তবে তাতে কাঁধ ঢাকতে হবে। (বুখারী, মুসলিম,  মিশকাত ৭৫৪-৭৫৬ নং) আর খেয়াল রাখতে হবে, যেন শরমগাহ্‌ প্রকাশ না পেয়ে যায়। (ঐ মিশকাত ৪৩১৫ নং) তওয়াফে কুদূম (হজ্জ ও উমরায় সর্বপ্রথম তওয়াফ) ছাড়া অন্য সময় ইহ্‌রাম অবস্থায় ডান কাঁধ বের করে রাখা বিধেয় নয়। বলা বাহুল্য নামাযের সময় উভয় কাঁধ ঢাকা জরুরী।
এক ব্যক্তি হযরত উমার (রাঃ) কে এক কাপড়ে নামায পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন,

নামাযে নারী ও পুরুষের লেবাস বা পোশাক কেমন হবে?

নামাযীর লেবাস
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“হে মানব জাতি! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে লেবাস দিয়েছি। পরন্তু ‘তাকওয়া’র লেবাসই সর্বোৎকৃষ্ট  (কুরআন মাজীদ ৭/২৬)
“হে আদম সন্তানগণ! প্রত্যেক নামাযের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান কর। পানাহার কর, কিন্তু অপচয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।” (কুরআন মাজীদ ৭/৩১)
শরীয়তের সভ্য-দৃষ্টিতে সাধারণভাবে লেবাসের কতকগুলি শর্ত ও আদব রয়েছে; যা পালন করতে মুসলিম বাধ্য।
মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরুপ:-

ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ- ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)

ব্যাংকের সুদ কি হালাল- শাইখ মুশ্তাক আহমাদ কারীমী

 সূচি ও বিবরন
  সূচীপত্র

যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি- ওয়াহীদ বিন আব্দুস সালাম বালী

 যাদুর প্রকারভেদ
  সূচীপত্র

কিয়ামতের আলামত- আব্দুল্লাহ্ শাহেদ আল-মাদানী


সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ