Thursday, December 14, 2017

(৪৬০) হজ্জের মাস কি কি?

(৪৬০) হজ্জের মাস কি কি?


হজ্জের সময় শুরু হয় শাওয়াল মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথে  এবং শেষ হয় যিলহজ্জের দশ তারিখে তথা ঈদের দিনে বা জিলহজ্জের শেষ তারিখে। এটাই বিশুদ্ধ মত। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন, الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ “হজ্জের মাস সমূহ সুনির্দিষ্ট জানা।” এখানে বহুবচন أشهر  শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তা হাকীকী অর্থে ব্যবহার হবে। অর্থাৎ এই তিনটি মাসে হজ্জের কাজ চলবে। এ কথার অর্থ এটা নয় যে, এ তিন মাসের যে কোন দিনে হজ্জের কাজ করতে হবে। [অর্থাৎ-

(৪৬১) হজ্জের মাস সমূহ আসার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাঁধার বিধান কি?

(৪৬১) হজ্জের মাস সমূহ আসার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাঁধার বিধান কি?


হজ্জের মাস সমূহ আসার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাঁধার ব্যাপারে বিদ্বানগণ মতভেদ করেছেন।
কেউ বলেন, এটা বিশুদ্ধ হবে এবং হজ্জের ইহরাম হিসেবে গণ্য হবে। তবে হজ্জের মাস আগমণ করার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বাঁধা মাকরূহ।
দ্বিতীয় মতঃ তার এই ইহরাম হজ্জের ইহরাম হিসেবে গণ্য হবে না। তবে তা ওমরা হয়ে যাবে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

(৫৬২) হজ্জের জন্য মীক্বাতের স্থান সমূহ কি কি?

(৫৬২) হজ্জের জন্য মীক্বাতের স্থান সমূহ কি কি?


হজ্জের জন্য মীক্বাতের স্থান সমূহ হচ্ছে পাঁচটিঃ ১) যুল হুলায়ফা ২) জুহ্‌ফা ৩) ইয়ালামলাম ৪) কারণে মানাযেল ৫) যাতু ঈরক্ব।
১) যুল হুলায়ফাঃ যাকে বর্তমানে আবা’রে আলী বলা হয়। ইহা মদ্বীনার নিকটবর্তী। মক্কা থেকে এর অবস্থান ১০ মারহালা দূরে (বর্তমান হিসেবে প্রায় ৪০০ কিঃ মিঃ)। মক্কা থেকে এটি সবচেয়ে দূরে অবসি'ত। এটি মদ্বীনাবাসী এবং সেপথ দিয়ে গমণকারী অন্যান্যদের মীক্বাত।
২) জুহ্‌ফাঃ

(৪৬৩) বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কি?

(৪৬৩) বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কি?


বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রমকারী দু’প্রকারের লোক হতে পারেঃ
১)      হজ্জ বা ওমরা আদায় করার ইচ্ছা করেছে। তাহলে তার উপর আবশ্যক হচ্ছে মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে হজ্জ বা উমরার নিয়তে ইহরাম বেঁধে আসা। যদি এরূপ না করে তাহলে একটি ওয়াজিব পরিত্যাগ করার কারণে বিদ্বানদের মতে ফিদ্‌ইয়া বা জরিমানা দিতে হবে। আর তা হচ্ছে

(৪৬৪) ‘লাব্বাইক্‌’ বলাটাই কি ইহরামে প্রবেশ করার নিয়ত?

(৪৬৪) ‘লাব্বাইক্‌’ বলাটাই কি ইহরামে প্রবেশ করার নিয়ত?


হজ্জ বা ওমরার কাজে প্রবেশ করার জন্য অন্তরে নিয়ত (ইচ্ছা বা সংকল্প) করে পাঠ করবেঃ ‘লাব্বাইকা ওমরাতান’ আর হজ্জের জন্য বলবে, ‘লাব্বাইকা হজ্জান্‌’। কিন্তু এরূপ বলা জায়েয নয়ঃ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল উমরাতা’ অথবা ‘উরীদুল হাজ্জা’। বা নাওয়াইতু আন আ‘তামিরা উমরাতান্‌। বা

(৪৬৫) আকাশপথে আগমণকারী কিভাবে ইহরাম বাঁধবে?

(৪৬৫) আকাশপথে আগমণকারী কিভাবে ইহরাম বাঁধবে?


হজ্জ বা ওমরার উদ্দেশ্যে আকাশ পথে আগমণকারী যে স্থানের উপর দিয়ে যাবে সে এলাকার মীকাতের বরাবর হলে ইহরাম বাঁধবে। তাই গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে প্রথমে বাড়িতেই প্রস্ততি নিবে। তারপর মীক্বাত পৌঁছার পূর্বে ইহরামের কাপড় পরিধান করবে। মীকাতের বরাবর পৌঁছলেই অন্তরে নিয়ত করে ইহরাম বেঁধে ফেলবে। দেরী করবে না। কেননা এরোপ্লেন দ্রুত চলে। মিনিটেই অনেক পথ এগিয়ে যায়। অনেক মানুষ এক্ষেত্রে ভুল করে। পূর্ব প্রস্ততি থাকে না। “আমরা মীকাতের বরাবর পৌঁছেছি” প্লেনের ক্রুর এ ঘোষণা শোনার পর তাড়াহুড়া শুরু করে। পরনের

(৪৬৬) ওমরার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কি?

(৪৬৬) ওমরার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কি?


যে ব্যক্তি হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে মীকাত অতিক্রম করতে চায় সে যেন ইহরাম ছাড়া অতিক্রম না করে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “মদ্বীনাবসীগণ ইহরাম বাঁধবে যুল হুলায়ফা থেকে..।” অর্থাৎ তাদের জন্য ওয়াজিব হচ্ছে মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা। বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম না করা। যদি করেই ফেলে তবে ওয়াজিব হচ্ছে মীকাতে ফিরে গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা গমণ করা। এতে তাকে কোন জরিমানা দিতে হবে না। কিন্তু যদি ফিরে না আসে এবং মীকাত অতিক্রম করার পর ইহরাম বাঁধে তবে বিদ্বানদের মতে তাকে ফিদ্‌ইয়া দিতে হবে। আর তা হচ্ছে

(৪৬৭) কোন ব্যক্তি যদি নিজ দেশ থেকে জেদ্দা সফর করে অতঃপর ওমরা আদায় করার ইচ্ছা করে। সে কি জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে?

(৪৬৭) কোন ব্যক্তি যদি নিজ দেশ থেকে জেদ্দা সফর করে অতঃপর ওমরা আদায় করার ইচ্ছা করে। সে কি জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে?


এ মাসআলাটির দু’টি অবস্থাঃ
প্রথমঃ লোকটি ওমরার নিয়ত না করে অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা কাজে জেদ্দা সফর করেছে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর ওমরা করার ইচ্ছা হয়েছে, তবে সে জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে। এতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা আবদুল্লাহ্‌ বিন আব্বাস (রাঃ)এর হাদীছে মীক্বাতের আলোচনায় বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তি এই মীক্বাত সমূহের মধ্যে অবস্থান করে,

(৪৬৮) ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর গোসল করার বিধান কি?

(৪৬৮) ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর গোসল করার বিধান কি?


ইহরামে প্রবেশ করার পর গোসল করতে কোন বাধা নেই। কেননা ইহা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত রয়েছে। চাই একবার গোসল করুক বা দু’বার। কিন্তু

(৪৬৯) মৃত দাদার পক্ষ থেকে হজ্জ করার বিধান কি? অবশ্য তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায়কারী নিজের হজ্জ সম্পাদন করেছে।

(৪৬৯) মৃত দাদার পক্ষ থেকে হজ্জ করার বিধান কি? অবশ্য তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায়কারী নিজের হজ্জ সম্পাদন করেছে।


যে মৃত দাদা নিজের হজ্জ করেনি তার পক্ষ থেকে হজ্জ সম্পাদন করা জায়েয। কেননা

(৪৭০) ইহরামের জন্য বিশেষ কোন নামায আছে কি?

(৪৭০) ইহরামের জন্য বিশেষ কোন নামায আছে কি?


ইহরামের জন্য নির্দিষ্ট কোন নামায নেই। কিন্তু কোন লোক যদি এমন সময় মীক্বাতে পৌঁছে যখন ফরয নামাযের সময় উপস্থিত হয়েছে, তখন তার জন্য উত্তম হচ্ছে ফরয নামায সম্পাদন করার পর ইহরাম বাঁধা।
ফরয নামাযের সময় নয় কিন্তু চাশতের নামাযের (ছালাতে যুহা) সময়ে মিক্বাতে পৌঁছলো, তাহলে প্রথমে পরিপূর্ণরূপে গোসল করবে,

(৪৭১) কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের মাসে ওমরা আদায় করে মদীনা সফর করে, অতঃপর যুলহুলায়ফা থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধে, তবে সে কি তামাত্তুকারীরূপে গণ্য হবে?

(৪৭১) কোন ব্যক্তি যদি হজ্জের মাসে ওমরা আদায় করে মদীনা সফর করে, অতঃপর যুলহুলায়ফা থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধে, তবে সে কি তামাত্তুকারীরূপে গণ্য হবে?


যখন কিনা এ ব্যক্তি হজ্জের মাসে ওমরা সম্পাদন করে এবছরেই হজ্জ আদায় করার দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করেছে, তখন সে তামাত্তুকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা ওমরা ও হজ্জের মধ্যবর্তী কোন সফর তামাত্তুকে বাতিল করবে না। তবে যদি ওমরা আদায় করার পর নিজ দেশে ফেরত যায় এবং সেখান থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে সফর করে, তবে তার তামাত্তু বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কেননা

(৪৭২) কোন ব্যক্তি যদি শাওয়াল মাসে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা পূর্ণ করে। কিন্তু সে সময় সে হজ্জের নিয়ত করেনি। কিন্তু হজ্জের সময় তার হজ্জ করার সুযোগ হল। সে কি তামাত্তুকারী গণ্য হবে?

(৪৭২) কোন ব্যক্তি যদি শাওয়াল মাসে ওমরার ইহরাম বেঁধে ওমরা পূর্ণ করে। কিন্তু সে সময় সে হজ্জের নিয়ত করেনি। কিন্তু হজ্জের সময় তার হজ্জ করার সুযোগ হল। সে কি তামাত্তুকারী গণ্য হবে?


না, সে তামাত্তুকারী গণ্য হবে না। অতএব তাকে কুরবানীও দিতে হবে না

(৪৭৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি কি? ওমরা এবং হজ্জের ক্ষেত্রে কখন তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করতে হবে?

(৪৭৩) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি কি? ওমরা এবং হজ্জের ক্ষেত্রে কখন তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করতে হবে?


নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি হচ্ছে নিম্নরূপঃ
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ
“লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক্‌, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক্‌, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক্‌, লা শারীকা লাক।” ইমাম আহমাদ একটু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করেন, “লাব্বাইকা ইলাহাল হক্ব।” এর সনদ হাসান।
ওমরার ক্ষেত্রে তওয়াফ শুরুর পূর্বে তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করবে। আর হজ্জের ক্ষেত্রে দশ তারিখে ঈদের দিন জামরা আকাবায় পাথর মারার পূর্বে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। তিরমিযীতে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন,

(৪৭৪) ইহরাম বেঁধে কি মাথা আঁচড়ানো জায়েয আছে?


(৪৭৪) ইহরাম বেঁধে কি মাথা আঁচড়ানো জায়েয আছে?


ইহরাম অবস্থায় মাথা আঁচড়ানো উচিৎ নয়। কেননা ইহরামকারীর উচিৎ হচ্ছে এলোকেশ ও ধুলোমলিন থাকা। তবে গোসল করতে কোন অসুবিধা নেই। তাছাড়া মাথা আঁচড়ালে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ইহরামকারী মাথা বা শরীর প্রভৃতি চুলকালে যদি কোন চুল পড়ে যায়, তাতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা সে ইচ্ছাকৃত চুল উঠায়নি। জেনে রাখা উচিৎ যে, ইহরাম অবস্থায় যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ যদি কেউ ভুলক্রমে করে ফেলে, তবে কোন অসুবিধা নেই। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,

(৪৭৫) অজ্ঞতা বশতঃ মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেলে তার উপর আবশ্যক কি?

(৪৭৫) অজ্ঞতা বশতঃ মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেলে তার উপর আবশ্যক কি?


অজ্ঞতা বশতঃ যে হাজী সাহেব মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেছে, তার উপর কোন কিছু আবশ্যক নয়। কেননা সে অজ্ঞ। তবে জানার পর তাকে পূর্ণ মাথা থেকে চুল কাটতে হবে।
এ উপলক্ষে আমি মুসলিম ভাইদেরকে নসীহত করতে চাই, কোন ইবাদত করতে চাইলে, তার সীমারেখা ও নিয়ম-নীতি না জেনে তাতে লিপ্ত হওয়া উচিৎ নয়। যাতে করে অজ্ঞতা বশতঃ এমন কিছু না করে ফেলে যাতে ইবাদতটিই নষ্ট হয়ে যায়। কেননা আল্লাহ তা’আলা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে লক্ষ্য করে বলেন,

(৪৭৬) প্রশাসনকে ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীক্বাত অতিক্রম করে মক্কায় পৌঁছে ইহরাম বাঁধলে হজ্জ বিশুদ্ধ হবে কি?

(৪৭৬) প্রশাসনকে ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীক্বাত অতিক্রম করে মক্কায় পৌঁছে ইহরাম বাঁধলে হজ্জ বিশুদ্ধ হবে কি?


তার হজ্জ তো বিশুদ্ধ হয়ে যাবে কিন্তু মুসলিম শাসককে ফাঁকি দেয়ার জন্য সে হারাম কাজ করেছে। এটা হারাম হয়েছে দু’কারণেঃ
প্রথমতঃ আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিনা ইহরামে মীক্বাত অতিক্রম করেছে।
দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ্‌ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুসলিম শাসকের আনুগত্য করার। অবশ্য আল্লাহ্‌র নাফরমানীর কাজে তাদের আনুগত্য করা যাবে না। অতএব

(৪৭৭) তামাত্তুকারী যদি নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার হজ্জের জন্য সফর করে, তবে কি ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে?

(৪৭৭) তামাত্তুকারী যদি নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার হজ্জের জন্য সফর করে, তবে কি ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে?


হ্যাঁ, তামাত্তুকারী ওমরা আদায় করার পর নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার সেই বছর হজ্জের জন্য মক্কা সফর করলে সে ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা নিজ পরিবারের কাছে প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে হজ্জ ও ওমরার মাঝে বিচ্ছিন্নতা করেছে। আবার সফর শুরু করার

(৪৭৮) ইহরাম অবস্থায় ছাতা ব্যবহার করার বিধান কি? অনুরূপভাবে সিলাইকৃত বেল্ট ব্যবহার করা যাবে কি?

(৪৭৮) ইহরাম অবস্থায় ছাতা ব্যবহার করার বিধান কি? অনুরূপভাবে সিলাইকৃত বেল্ট ব্যবহার করা যাবে কি?


সূর্যের তাপ বা বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ব্যবহার করাতে কোন অসুবিধা নেই। কোন ক্ষতি নেই। একাজ হাদীছে পুরুষের মাথা ঢাকার নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এটা মাথা ঢাকা নয়; বরং তা রৌদ্র প্রভৃতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছায়া গ্রহণ করা। ছহীহ্‌ মুসলিমে প্রমাণিত হয়েছে, বিদায় হজ্জে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে উসামা বিন যায়েদ ও বেলাল (রাঃ) ছিলেন। তাদের একজন

(৪৭৯) শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কিভাবে ইহরাম করবে?

(৪৭৯) শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কিভাবে ইহরাম করবে?


কোন মানুষ যদি ইহরামের কাপড় পরিধান করতে সক্ষম না হয়, তবে যে ধরণের কাপড় পরতে সক্ষম হবে তাই পরিধান করবে। তখন বিদ্বানদের মতেঃ
ক)  তাকে ফিদ্‌ইয়া হিসেবে একটি কুরবানী করে মক্কার ফকীরদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।
খ)  অথবা ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করতে হবে। প্রত্যেককে অর্ধ ছা’ তথা সোয়া কেজি পরিমাণ খাদ্য দিবে।
গ)   অথবা তিনদিন রোযা পালন করবে।
রোগের কারণে মাথা মুন্ডন করতে বাধ্য হলে যে বিধান প্রজোয্য হয়, তার উপর কিয়াস করে বিদ্বানগণ উক্ত সমাধান দিয়েছেন। আল্লাহ্‌ বলেন,

(৪৮০) ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম এ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে কেউ যদি স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তবে তার হজ্জের বিধান কি?

(৪৮০) ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম এ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে কেউ যদি স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তবে তার হজ্জের বিধান কি?


একথা সুবিদিত যে, স্ত্রী সহবাস ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয় সমূহের মধ্যে অন্যতম; বরং তা ইহরামের সর্বাধিক কঠিন ও বড় নিষেধাজ্ঞা। আল্লাহ্‌ বলেন,
]الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلا رَفَثَ وَلا فُسُوقَ وَلا جِدَالَ فِي الْحَجِّ[
“হজ্জের মাস সমূহ নির্দিষ্ট সুবিদিত। এসব মাসে যে ব্যক্তি হজ্জ করার ইচ্ছা করবে, তার পক্ষে স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হওয়া জায়েয নয়। জায়েয নয় কোন অশোভন কাজ করা, না কোন ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হওয়া।” (সূরা বাকারাঃ ১৯৭)
الرفث এর অর্থ হচ্ছে, সহবাস ও তার পূর্বের কাজ সমূহ। অতএব

(৪৮১) ইহরাম অবস্থায় নারী কিভাবে পর্দা করবে? পর্দা মুখ স্পর্শ করতে পারবে না এরকম কোন শর্ত আছে কি?

(৪৮১) ইহরাম অবস্থায় নারী কিভাবে পর্দা করবে? পর্দা মুখ স্পর্শ করতে পারবে না এরকম কোন শর্ত আছে কি?


ইহরাম অবস্থায় নারী যদি মাহরাম নয় এমন কোন পুরুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে বা তার নিকট কোন পুরুষ অতিক্রম করে, তবে অবশ্যই স্বীয় মুখমন্ডল ঢেকে নিবে। যেমনটি মহিলা ছাহাবীগণ (রাঃ) করতেন। একারণে তাকে কোন ফিদ্‌ইয়া দিতে হবে না। কেননা পরপুরুষের সামনে মুখমন্ডল ঢাকা আল্লাহর নির্দেশ। আর নির্দেশ কখনো নিষেধ হতে পারে না।
পর্দা মুখমন্ডল স্পর্শ করতে পারবে না এরকম কোন শর্ত নেই। এতে

(৪৮২) নারী বিদায়ী তওয়াফ করার পূর্বে ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কি?

(৪৮২) নারী বিদায়ী তওয়াফ করার পূর্বে ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কি?


যদি সে তওয়াফে এফাযাসহ হজ্জের যাবতীয় কাজ পূর্ণ করে থাকে এবং শুধুমাত্র বিদায়ী তওয়াফ বাকী থাকে, তারপর ঋতুবতী হয় তবে বিদায়ী তওয়াফ রহিত হয়ে যাবে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
]أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْحَائِضِ[
 ‘লোকদের আদেশ দেয়া হয়েছে, কাবা ঘরের তওয়াফ যেন তাদের সর্বশেষ কাজ হয়। তবে বিষয়টি ঋতুবতীদের জন্য হালকা করে দেয়া হয়েছে।’ যখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে বলা হল যে, উম্মুল মু‘মেনীন ছাফিয়া বিনতে হুওয়াই (রাঃ) ঋতুবতী হয়ে গেছেন। অবশ্য

(৪৮৩) জনৈক নারী স্বামীর সাথে ঋতু অবস্থাতেই ইহরাম বাঁধে। কিন্তু পবিত্র হওয়ার পর কোন মাহরাম ছাড়াই সে ওমরার কাজ সমাধা করে। কাজ শেষ হলে আবার রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর বিধান কি?

(৪৮৩) জনৈক নারী স্বামীর সাথে ঋতু অবস্থাতেই ইহরাম বাঁধে। কিন্তু পবিত্র হওয়ার পর কোন মাহরাম ছাড়াই সে ওমরার কাজ সমাধা করে। কাজ শেষ হলে আবার রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর বিধান কি?


প্রশ্নের ধরণে বুঝা যায় এ নারী মাহরামের সাথে মক্কায় আগমণ করেছে। কিন্তু ঋতু অবস্থাতেই সে মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধে। ঋতু অবস্থায় তার এই ইহরাম বিশুদ্ধ। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিদায় হজ্জে যুলহুলায়ফার মীকাতে আগমণ করলে আসমা বিনতে ঊমাইস (রাঃ) প্রশ্ন করেন যে, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি ঋতুবতী হয়ে গেছি। তিনি বললেন,

(৪৮৪) জনৈক নারী তওয়াফে এফাযা করেনি। ইতোমধ্যে সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। তার ঠিকানা সঊদী আরবের বাইরে। হজ্জ কাফেলাও চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই দেরী করা সম্ভব হবে না। এবং পরবর্তীতে মক্কা ফিরে আসাটাও তার জন্য দুরহ ব্যাপার। এখন সে কি করবে?


জনৈক নারী তওয়াফে এফাযা করেনি। ইতোমধ্যে সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। তার ঠিকানা সঊদী আরবের বাইরে। হজ্জ কাফেলাও চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই দেরী করা সম্ভব হবে না। এবং পরবর্তীতে মক্কা ফিরে আসাটাও তার জন্য দুরহ ব্যাপার। এখন সে কি করবে?


বিষয়টি যদি এরূপই হয় যেমন প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হজ্জের তওয়াফ না করেই নারী ঋতুবতী হয়ে গেছে। পবিত্র হয়ে তওয়াফ করার জন্য মক্কায় থেকে যাওয়াটাও তার জন্য দুঃসাধ্য অথবা চলে গেলে আবার মক্কা ফেরত আসাটাও অসম্ভব, তবে এ অবস্থায় নিম্ন লিখিত দু’টি সমাধানের যে কোন একটি সে গ্রহণ করতে পারেঃ

(৪৮৫) ঋতু এসে যাওয়ার কারণে জনৈক নারী ওমরা না করেই মক্কা থেকে ফেরত চলে গেছে। তার বিধান কি?

(৪৮৫) ঋতু এসে যাওয়ার কারণে জনৈক নারী ওমরা না করেই মক্কা থেকে ফেরত চলে গেছে। তার বিধান কি?


ওমরার ইহরাম বাঁধার পর যদি নারীর ঋতু এসে যায়, তবে ইহরাম বাতিল হবে না। ওমরার ইহরাম বাঁধার পর ঋতুর কারণে তওয়াফ-সাঈ না করেই মক্কা থেকে বের হয়ে গেলে, সে ইহরাম অবস্থাতেই রয়েছে। তার উপর আবশ্যক হচ্ছে মক্কা প্রত্যাবর্তন করে তওয়াফ, সাঈ ও চুল ছোট করে হালাল হওয়া। তার উপর আবশ্যক হচ্ছে ইহরাম অবস্থায় যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা। চুল বা নখ কাটবে না,

(৪৮৬) ইহরাম অবস্থায় নারী কি স্বীয় কাপড় বদল করতে পারবে? নারীর জন্য কি ইহরামের বিশেষ কোন পোষাক আছে?

(৪৮৬) ইহরাম অবস্থায় নারী কি স্বীয় কাপড় বদল করতে পারবে? নারীর জন্য কি ইহরামের বিশেষ কোন পোষাক আছে?


নারী যে কাপড়ে ইহরাম করেছে তা পরিবর্তন করে অন্য কাপড় পরিধান করতে পারে। পরিবর্তন করার দরকার থাক বা না থাক কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু যে কাপড় পরবে তাতে যেন বেপর্দা হওয়ার আশংকা না থাকে বা পরপুরুষের সামনে নিজের সৌন্দর্যের প্রকাশ না ঘটে।
নারীর জন্য ইহরামের বিশেষ কোন পোষাক নেই। তার ইচ্ছামত যে কোন পোষাক পরিধান করতে পারে। তবে

(৪৮৭) ইহরামকারী নারীর হাত মোজা এবং পা মোজা পরার বিধান কি?

(৪৮৭) ইহরামকারী নারীর হাত মোজা এবং পা মোজা পরার বিধান কি?


হাতমোজা ব্যবহার করা জায়েয নেই। পায়ের মোজা ব্যবহার করতে কোন অসুবিধা নেই।
হাত মোজার ব্যাপারে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেন, 

কখন কি বলা সুন্নাত ? ( খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়া শেষে হলে শেয়ার করুন) ।

কখন কি বলা সুন্নাত ? ( খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পড়া শেষে হলে শেয়ার করুন) । 
=====================================
১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে । 
-(বুখারীঃ ৫৩৭৬)
২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা । 
-(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)
৩. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা । 
-(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)

(৪৮৮) জনৈক নারী ঋতু অবস্থায় মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধেছে। মক্কায় আগমণ করে বিলম্ব করে পবিত্র হওয়ার পর ওমরা আদায় করেছে। তার এই ওমরার বিধান কি?


(৪৮৮) জনৈক নারী ঋতু অবস্থায় মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধেছে। মক্কায় আগমণ করে বিলম্ব করে পবিত্র হওয়ার পর ওমরা আদায় করেছে। তার এই ওমরার বিধান কি?


তার ওমরা বিশুদ্ধ। যদিও একদিন বা দু’দিন বা ততোধিক দিন বিলম্ব করে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু শর্ত হচ্ছে ঋতু থেকে পূর্ণ পবিত্র হওয়ার পরই ওমরা আদায় করবে। কেননা ঋতুবতী নারীর জন্য আল্লাহর ঘর তওয়াফ করা জায়েয নয়। এজন্য আয়েশা (রাঃ) ওমরার ইহরাম বেঁধে মক্কায় আগমণ করলে ঋতুবতী হয়ে পড়েন, তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেনঃ

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ