আপনার জন্য ওয়াজেব এই যে, আপনি উত্তম কথা ও ভঙ্গিমার মাধ্যমে নম্রতা ও ভদ্রতার সাথে গোনাহর কাজে আপত্তি জানাবেন। পারলে দলীল উল্লেখ করে উপদেশ দেবেন। তাঁরা গ্রহণ করুক চাই না করুক, আপনি তাঁদের গোনাহে শরিক হবেন না। তাঁদের গীবত ও গান বাজনার মজলিসে বসবেন না। মহান আল্লাহ বলেছেন,
“তুমি যখন দেখ, তাঁরা আমার নিদর্শন সম্বন্ধে ব্যঙ্গ আলোচনায় মগ্ন হয়, তখন তুমি
দুরে সরে পর, যে পর্যন্ত না তাঁরা অন্য প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয় এবং শয়তান যদি তোমাকে ভ্রমে ফেলে, তাহলে স্মরণ হওয়ার পরে তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায়ের সাথে বসবে না। (আনআমঃ ৬৮)
দুরে সরে পর, যে পর্যন্ত না তাঁরা অন্য প্রসঙ্গে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয় এবং শয়তান যদি তোমাকে ভ্রমে ফেলে, তাহলে স্মরণ হওয়ার পরে তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায়ের সাথে বসবে না। (আনআমঃ ৬৮)
যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো পাপ কাজে মুখ দ্বারা আপত্তি জানাবেন এবং তাঁদের ঐ কাজ থেকে দুরে থাকবেন , তখন আপনি ক্ষতির হাত থেকে বেচে যাবেন। আপনার দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
“হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের আত্মরক্ষা করাই কর্তব্য। তোমরা যদি সৎপথে পরিচালিত হও, তবে যে পথ ভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহরই দিকেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমরা যা করতে, তিনি তোমাদের সে সম্পর্কে অবহিত করবেন। (মাহিদাহঃ ১০৫)
আপনি হক পথে অবিচল থাকুন, আল্লাহর পথে মানুষকে আহবান করতে থাকুন, ইন শা আল্লাহ আপনার জন্য পথ সহজ হয়ে যাবে। ধৈর্যের সাথে সওয়াবের আশা রাখলে আপনি মহা কল্যাণের আশা করতে পারেন। যেহেতু শুভ পরিণাম মুত্তাকিনদের জন্য। মহান আল্লাহ বলেন,
“সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর। নিশ্চয় শুভ পরিণাম সংযম শীলদের জন্যই।” (হুদঃ ৪৯)
“যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথ সমূহে পরিচালিত করব। আর আল্লাহ অবশ্যই সৎ কর্ম পরায়ণদের সঙ্গেই থাকেন। (আনকাবুতঃ ৬৯)
No comments:
Post a Comment