ভুল সংশোধনে ইখলাস থাকা উচিৎ। উচিৎ গঠনমূলক সমালোচনা করা। সমালোচনায় কোন ব্যক্তি বা জামায়াতের নাম না নেওয়া। এর ফলে শয়তান মুসলিমদের মাঝে বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করার সুযোগ পাবে না এবং সমালোচিত ব্যক্তি ভুল শুধরে নেওয়ার প্রয়াস পাবে।
ভ্রম সংশোধনে মহানবী (সঃ) এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন,
নবী (সঃ) এর নিকট কোন ব্যক্তির ব্যাপারে কোন অভিযোগ এলে তিনি (নাম নিয়ে) বলতেন না যে, “অমুকের কি হয়েছে?” বরং তিনি বলতেন, “লোকেদের কি হয়েছে যে, তারা এই এই বলে।” (আবু দাউদ)
নবী (সঃ) এর নিকট কোন ব্যক্তির ব্যাপারে কোন অভিযোগ এলে তিনি (নাম নিয়ে) বলতেন না যে, “অমুকের কি হয়েছে?” বরং তিনি বলতেন, “লোকেদের কি হয়েছে যে, তারা এই এই বলে।” (আবু দাউদ)
আনাস (রঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “লোকেদের কি হয়েছে যে, তারা নামাজের মধ্যে আকাশের দিকে দৃষ্টি তুলছে? এ ব্যাপারে তিনি কঠোর বক্তব্য রাখলেন, এমনকি তিনি বললেন, তারা যেন অবশ্যই এ কাজ থেকে বিরত থাকে, নচেৎ অবশ্যই তাদের দৃষ্টি শক্তি ছিনিয়ে নেওয়া হবে। (বুখারি)
“লোকেদের কি হয়েছে যে, তারা এই এই বলে। শোন! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি। কিন্তু আমি (নফল) রোযা রাখি এবং রোযা ছেড়েও দিই, নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যায়। আর নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়। (বুখারি- মুসলিম প্রমুখ)
No comments:
Post a Comment