কারো যদি বৃষ্টি প্রার্থনার নামায অথবা ঈদের নামাযের কিছু অংশ ছুটে যায় যেমন -কেউ ২য় রাকাতে এসে শামিল হলো অথবা কারো রুকু-সেজদা ছুটে গেল সেক্ষেত্রে তার জন্য কী করা ওয়াজিব?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
আলেমদের বহু মতামতের মধ্যে সবচেয়ে সঠিক
হল, ইমাম কিছু নামায পড়ে ফেলার পর যে ব্যক্তি বিলম্বে জামাতে যোগ দিয়েছেন
তিনি ইমামের সাথে যে কয় রাকাত নামায পড়বেন সেটা তার নামাযের প্রথম অংশ; আর
যা তিনি একাকী আদায় করবেন সেটা তার সালাতের শেষ অংশ। এটি ইমাম শাফেয়ি
রাহিমাহুল্লাহ এর অভিমত। এবং ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ হতেও এমন একটি উক্তি
বর্ণিত রয়েছে। দেখুন নববী এর “আল-মাজমূ‘”(৪/৪২০)
এই মতের পক্ষে দলীল হল নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী:
“আপনারা ইক্বামত শুনলে সালাত আদায়ের জন্য
রওয়ানা দিন এবং তাড়াহুড়ো না করে ধীর-স্থিরতা অবলম্বন করুন। আপনি গিয়ে
সালাতের যতটুকু পান তা আদায় করুন এবং যা ছুটে গেছে তা সম্পূর্ণ করুন।”[সহীহ
বুখারী (৬৩৬) ও সহীহ মুসলিম (৬০২)]
“সম্পূর্ণ করুন” কথাটির অর্থ
হল-পূর্ণ করুন যেমনটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে ‘ফাতহুল বারী’ নামক গ্রন্থে
(২/১১৮)। এর অর্থ দাঁড়ায় যে ব্যক্তি ইমামের সাথে দেরীতে যোগ দিয়েছে তিনি
ইমামের সাথে যতটুকু নামায পেলেন সেটা তার সালাতের ১ম অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
আরও দেখুন (49037) নং প্রশ্নের উত্তর।
এক্ষেত্রে ফরজ সালাত অথবা ঈদের সালাত অথবা
বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত অথবা অন্য কোন সালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
তাই মুক্তাদি যদি ইমামের সাথে ঈদের সালাতের শেষ এক রাকাত পেয়ে থাকে, তবে তা
হবে তার জন্য ১ম রাকাত। ইমাম সালাম ফিরানোর পর সে ২য় রাকাত আদায় করবে এবং
দ্বিতীয় রাকাতের শুরুতে পাঁচবার তাকবীর দিবে। কারণ এটি তার জন্য ২য় রাকাত।
আর যদি বৃষ্টি প্রার্থনার সালাতের শেষ এক
রাকাত পেয়ে থাকে, তবে একইভাবে আরেক রাকাত আদায় করে নিবে এবং সে রাকাতের
প্রথমে পাঁচবার তাকবীর উচ্চারণ করবে। কারণ এটি তার ক্ষেত্রে ২য় রাকাত।
আর যদি সে ২য় রাকাতের সেজদা অথবা শেষ
তাশাহহুদে এসে যোগ দেয় তবে ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে গিয়ে দুই রাকাত
আদায় করবে। প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সাত অথবা ছয়বার তাকবীর
উচ্চারণ করবে এবং ২য় রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর তাকবীর ছাড়া আরো পাঁচবার তাকবীর
উচ্চারণ করবে।
আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
No comments:
Post a Comment