Thursday, January 25, 2018

(৪০৩) সফর অবস্থায় কষ্ট হলে রোযা রাখার বিধান কি?

(৪০৩) সফর অবস্থায় কষ্ট হলে রোযা রাখার বিধান কি?


সফর অবস্থায় যদি এমন কষ্ট হয় যা সহ্য করা সম্ভব, তবে সে সময় রোযা রাখা মাকরূহ। কেননা একদা সফরে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন জনৈক ব্যক্তির পাশে লোকজন ভীড় করছে এবং তাকে ছাঁয়া করছে। তিনি বললেন, এর কি হয়েছে? তারা বলল, লোকটি রোযাদার। তখন তিনি বললেন, لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصَّوْمُ فِي السَّفَرِ “সফর অবস্থায় ছিয়াম পালন করা কোন পূণ্যের কাজ নয়।”
কিন্তু
সফরে রোযা রাখা যদি অধিক কষ্টদায়ক হয় তবে ওয়াজিব হচ্ছে রোযা ভঙ্গ করা। কেননা সফর অবস্থায় লোকেরা যখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট অভিযোগ করল যে তাদের কষ্ট হচ্ছে তখন তিনি রোযা ভঙ্গ করলেন। অতঃপর বলা হল, কিছু লোক এখনও রোযা রেখেছে। তিনি বললেন, أُولَئِكَ الْعُصَاةُ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ  “ওরা নাফরমান, ওরা নাফরমান।”
কিন্তু রোযা রাখতে যার কোন কষ্ট হবে না, তার জন্য উত্তম হচ্ছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসরণ করে রোযা পালন করা। কেননা সফর অবস্থায় তিনি রোযা রাখতেন। আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ وَمَا فِينَا صَائِمٌ إِلَّا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ اللَّهِ ابْنُ رَوَاحَةَ
“একদা রামাযান মাসে কঠিন গরমের সময় আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে ছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবদুল্লাহ্‌ বিন রাওয়াহা ছাড়া আর কেউ রোযা রাখেন নি।”

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ