কুরআন ও হাদিসের আলোকে গুনাহ মাফ এর আমল, পর্ব -৫.: ৫. জিহাদের অধ্যায় আল্লাহর পথে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরযে আইন, হয় অন্তর দিয়ে নতুবা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে, অথবা সম্পদ দিয়ে অথবা শক্তি প্রয়োগ করে; সুতরাং প্রত্যেক মুসলিমের উপর তার শক্তি, ক্ষমতা ও অবস্থান অনুযায়ী উল্লেখিত যে কোনো প্রকার পদ্ধতি অবলম্বনে জিহাদ করা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ﴿ ﺑَﻞِ ﭐﻟۡﺈِﻧﺴَٰﻦُ ﻋَﻠَﻰٰ ﻧَﻔۡﺴِﻪِۦ ﺑَﺼِﻴﺮَﺓٞ ١٤ ﻭَﻟَﻮۡ ﺃَﻟۡﻘَﻰٰ ﻣَﻌَﺎﺫِﻳﺮَﻩُۥ ١٥ ﴾ [ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ : ١٤، ١٥ ] “বরং মানুষ নিজের সম্পর্কে সম্যক অবগত, যদিও সে নানা অজুহাতের অবতারণা করে।”[60] আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা জানিয়ে দিয়েছেন যে,
তিনি: ﴿ ﭐﺷۡﺘَﺮَﻯٰ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﺃَﻧﻔُﺴَﻬُﻢۡ ﻭَﺃَﻣۡﻮَٰﻟَﻬُﻢ ﴾ [ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١١١] “নিশ্চয় তিনি মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদ কিনে নিয়েছেন।” [61] আর তাদেরকে তার বিনিময় দিয়েছেন এই বলে: ﴿ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻬُﻢُ ﭐﻟۡﺠَﻨَّﺔَۚ ﴾ [ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١١١ ] “(এর বিনিময়ে) তাদের জন্য আছে জান্নাত।”[62] আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এই চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি গচ্ছিত রেখেছেন তাঁর নাযিলকৃত শ্রেষ্ঠ কিতাবসমূহে; আল-কুআনের ভাষায়: ﴿ ﻭَﻋۡﺪًﺍ ﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﺣَﻘّٗﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺘَّﻮۡﺭَﻯٰﺔِ ﻭَﭐﻟۡﺈِﻧﺠِﻴﻞِ ﻭَﭐﻟۡﻘُﺮۡﺀَﺍﻥِۚ ﴾ [ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١١١] “তাওরাত, ইঞ্জীল ও কুরআনে এ সম্পর্কে তাদের হক ওয়াদা রয়েছে।” [63] আর তিনি সেই প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং তাদেরকে সুসংবাদ দিয়েছেন এই বলে: ﴿ ﻭَﻣَﻦۡ ﺃَﻭۡﻓَﻰٰ ﺑِﻌَﻬۡﺪِﻩِۦ ﻣِﻦَ ﭐﻟﻠَّﻪِۚ ﻓَﭑﺳۡﺘَﺒۡﺸِﺮُﻭﺍْ ﺑِﺒَﻴۡﻌِﻜُﻢُ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﺑَﺎﻳَﻌۡﺘُﻢ ﺑِﻪِۦۚ ﻭَﺫَٰﻟِﻚَ ﻫُﻮَ ﭐﻟۡﻔَﻮۡﺯُ ﭐﻟۡﻌَﻈِﻴﻢُ ١١١ ﴾ [ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١١١ ] “আর নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ্র চেয়ে শ্রেষ্ঠতর কে আছে? সুতরাং তোমরা যে সওদা করেছ, সে সওদার জন্য আনন্দিত হও। আর সেটাই তো মহাসাফল্য।” [64] সুতরাং যে চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি তার রবের সাথে এ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি সম্পাদন করেছে, সে যেন চিন্তাভাবনা করে— তার ঝুঁকি কত বড় এবং তার প্রতিদান কত মহান! কারণ, আল্লাহ তা‘আলা হলেন স্বয়ং ক্রেতা এবং মূল্য হচ্ছে নি‘য়ামতপূর্ণ জান্নাত ও স্থায়ী সাফল্য; আর যাঁর হাত দিয়ে এই চুক্তির প্রচলন তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং ফিরিশতা ও মানবগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি; আর এই পণ্য, যার মূল্য এত বেশি, তা অবশ্যই কোনো মহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর জন্যই নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যখন দাবিদারের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলো, তখন তাদেরকে তাদের দাবির স্বপক্ষে দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আহ্বান করা হলো; কারণ, মানুষকে যদি তাদের দাবি অনুযায়ীই (বিশুদ্ধতা যাচাই না করে) দেওয়া হত, তাহলে আকাশ, যমীন ও তার মধ্যবর্তী স্থানে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হত। আর যখন সাক্ষী-প্রমাণসহ বিভিন্ন রকম দাবিদারের আত্মপ্রকাশ ঘটলো, তখন তাদেরকে বলা হলো একটি মাত্র প্রমাণ ছাড়া কোনো দলীল-প্রমাণ ও দাবি-দাওয়া প্রতিষ্ঠিত ও সাব্যস্ত হবে না; আর সেই প্রমাণটি হলো আল- কুরআনের ভাষায়: ﴿ ﻗُﻞۡ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢۡ ﺗُﺤِﺒُّﻮﻥَ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻓَﭑﺗَّﺒِﻌُﻮﻧِﻲ ﻳُﺤۡﺒِﺒۡﻜُﻢُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻳَﻐۡﻔِﺮۡ ﻟَﻜُﻢۡ ﺫُﻧُﻮﺑَﻜُﻢۡۚ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭٞ ﺭَّﺣِﻴﻢٞ ٣١ ﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٣١] “বলুন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তবে আমাকে অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [65] ফলে সৃষ্টির অনেকেই পিছনে পড়ে গেলো, কেবল যারা কথায়, কাজে, দিক নির্দেশনায় ও নৈতিক চরিত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করেছে তারাই অবশিষ্ট থেকে গেলো; আল-কুরআনের ভাষায়: ﴿ ﻓَﺴَﻮۡﻑَ ﻳَﺄۡﺗِﻲ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻘَﻮۡﻡٖ ﻳُﺤِﺒُّﻬُﻢۡ ﻭَﻳُﺤِﺒُّﻮﻧَﻪُۥٓ ﺃَﺫِﻟَّﺔٍ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﺃَﻋِﺰَّﺓٍ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ﴾ [ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ : ٥٤] “অতঃপর নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালবাসবে; তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে।” [66] আর তখনই তাদের কাছে (সে আনুগত্য ও অনুসরণের) দীলল-প্রমাণসমূহের যথার্থতা তলব করা হলো, এবং বলা হলো: পরিশুদ্ধিতা ব্যতীত সাক্ষ্য প্রমাণের যথার্থতা সাব্যস্ত হবে না— আল-কুরআনের ভাষায়: ﴿ ﻳُﺠَٰﻬِﺪُﻭﻥَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺨَﺎﻓُﻮﻥَ ﻟَﻮۡﻣَﺔَ ﻟَﺎٓﺋِﻢٖۚ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ : ٥٤] “তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না।” [67] আর তখনই মুজাহিদগণ দাঁড়িয়ে গেলো (জিহাদের মাধ্যমে নিজেদের দ্বারা রাসূলের আনুগত্যের দাবীর যথার্থতা প্রমাণের জন্য), অতঃপর তাদেরকে বলা হলো: নিশ্চয় মুমিনগণের জীবন ও সম্পদের মালিকানা তাদের নয়, সুতরাং তোমরা চুক্তির দাবি অনুযায়ী তা হস্তান্তর কর; কারণ পারস্পরিক ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি মোতাবেক উভয় পক্ষ থেকে বিনিময় হস্তান্তর করা আবশ্যক। অতঃপর ব্যবসায়ীগণ যখন ক্রেতার মহত্ব এবং বিনিময় মূল্যের কদর (মর্যাদা) উপলব্ধি করলো, তখন তারা বুঝতে পারলো যে, এ পণ্যের এমন কদর ও মর্যাদা রয়েছে, যা অন্য কোনো পণ্যের নেই; ফলে তারা তাকে স্বল্প মূল্যে, মাত্র কয়েক দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করাটাকে স্পষ্ট ক্ষতি ও নিকৃষ্ট মানের প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করলো; কারণ যে এ ধরণের (স্পল্প মূল্যে বিক্রির) কাজ করবে, সে এমন এক মানুষ, যে নিজেকে বোকা বানিয়েছে এবং তার রবের মর্যাদাকে হালকা মনে করেছে। তাই তারা যার (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলার) সাথে বিনিময় চুক্তি করেছে, (যেখানে ক্রেতা হলেন স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা) তার সাথে সন্তোষ ও স্বেচ্ছায় এমন সন্তুষ্টির চুক্তি সম্পাদন করেছে যাতে কোনো খেয়ার (চুক্তি বহাল রাখা বা না রাখার স্বাধীনতা) রাখেনি; আর তারা বলে: আমরা আপনার সাথে কৃত চুক্তি ভঙ্গ করব না এবং আপনার নিকট চুক্তি ভঙ্গ করার আবেদনও করব না; অতঃপর যখন চুক্তি পরিপূর্ণ হয়ে গেলো এবং তারা বিক্রিত মাল হস্তান্তর করে দিল (জান ও মাল), তখনই তাদেরকে বলা হলো: তোমরা ওঠো! তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। আল-কুরআনের ভাষায়: ﴿ ﻓَﭑﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫَﺎﺟَﺮُﻭﺍْ ﻭَﺃُﺧۡﺮِﺟُﻮﺍْ ﻣِﻦ ﺩِﻳَٰﺮِﻫِﻢۡ ﻭَﺃُﻭﺫُﻭﺍْ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻠِﻲ ﻭَﻗَٰﺘَﻠُﻮﺍْ ﻭَﻗُﺘِﻠُﻮﺍْ ﻟَﺄُﻛَﻔِّﺮَﻥَّ ﻋَﻨۡﻬُﻢۡ ﺳَﻴَِّٔﺎﺗِﻬِﻢۡ ﻭَﻟَﺄُﺩۡﺧِﻠَﻨَّﻬُﻢۡ ﺟَﻨَّٰﺖٖ ﺗَﺠۡﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤۡﺘِﻬَﺎ ﭐﻟۡﺄَﻧۡﻬَٰﺮُ ﺛَﻮَﺍﺑٗﺎ ﻣِّﻦۡ ﻋِﻨﺪِ ﭐﻟﻠَّﻪِۚ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ ﻋِﻨﺪَﻩُۥ ﺣُﺴۡﻦُ ﭐﻟﺜَّﻮَﺍﺏِ ١٩٥ ﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٩٥] “কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে, আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহরই কাছে রয়েছে। ”[68] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﺍﻟْﻘَﺘْﻞُ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻳُﻜَﻔِّﺮُ ﻛُﻞَّ ﺷَﻰْﺀٍ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ) . “আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হওয়া ঋণ ছাড়া সব কিছু মাফ করিয়ে দেয়।”[69] আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: « ﺃﻥَّ ﺭَﺟُﻼً ﻗَﺎﻡَ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ: ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺃَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺇِﻥْ ﻗُﺘِﻠْﺖُ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗُﻜَﻔَّﺮُ ﻋَﻨِّﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : « ﻧَﻌَﻢْ ، ﺇِﻥْ ﻗُﺘِﻠْﺖَ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺻَﺎﺑِﺮٌ ﻣُﺤْﺘَﺴِﺐٌ ﻣُﻘْﺒِﻞٌ ﻏَﻴْﺮُ ﻣُﺪْﺑِﺮٍ » . ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : « ﻛَﻴْﻒَ ﻗُﻠْﺖَ » . ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺭَﺃَﻳْﺖَ ﺇِﻥْ ﻗُﺘِﻠْﺖُ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺃﺗُﻜَﻔَّﺮُ ﻋَﻨِّﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : « ﻧَﻌَﻢْ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺻَﺎﺑِﺮٌ ﻣُﺤْﺘَﺴِﺐٌ ﻣُﻘْﺒِﻞٌ ﻏَﻴْﺮُ ﻣُﺪْﺑِﺮٍ ، ﺇِﻻ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ , ﻓَﺈِﻥَّ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞَ ﻗَﺎﻝَ ﻟِﻲ ﺫَﻟِﻚَ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ) . “এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল: হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপিন কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত (শহীদ) হই, তাহলে আমার সকল পাপ মোচন হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন: হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সাওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় নিহত হও। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কি বললে? তখন সে ব্যক্তি (আবার) বলল: আপিন কি মনে করেন যে, আমি যদি আল্লাহর পথে নিহত হই, তাহলে আমার সকল পাপের কাফ্ফারা হয়ে যাবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: হ্যাঁ, যদি তুমি ধৈর্যশীল, সাওয়াবের আশায় আশান্বিত হয়ে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে শত্রুর মুখোমুখি অবস্থায় নিহত হও; তবে ঋণের বিষয়টি আলাদা। কেননা, জিবরাঈল আ. আমাকে একথা বলেছেন।”[70] আল্লাহর পথের আহ্বানকারী, আল্লাহর সম্মানিত ঘর জান্নাতের দিকে আহ্বানকারী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন আত্মা এবং সুউচ্চ সাহসী মনগুলোকে নাড়িয়ে দিয়েছে , ﻓﺤﻴﻬﻼً ﺇﻥ ﻛﻨﺖ ﺫﺍ ﻫﻤﺔ ﻓﻘﺪ ﺣﺪﺍ ﺑﻚ ﺣﺎﺩﻱ ﺍﻟﺸﻮﻕ ﻓﺎﻃﻮ ﺍﻟﻤﺮﺍﺣﻼ সুতরাং এগিয়ে এস যদি তুমি সত্যিকার সাহসী দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হয়ে থাক, কারণ আবেগ মিশ্রিত গানে তোমাকে গায়ক গান গেয়ে ডাক দিয়ে যাচ্ছে সুতরাং তুমি দ্রুত পর্যায়গুলো অতিক্রম করে আস হে ঈমানদার ভাই তোমার আত্মাকে সে জন্য তৈরী কর: ﻗﺪ ﻫﻴﺆﻭﻙ ﻷﻣﺮ ﻟﻮ ﻓﻄﻨﺖ ﻟﻪ ﻓﺄﺭﺑﺄ ﺑﻨﻔﺴﻚ ﺃﻥ ﺗﺮﻋﻰ ﻣﻊ ﺍﻟﻬﻤﻞ তোমাকে এমন এক মহৎ কাজের জন্য তৈরী করা হয়েছে যদি তুমি তার জন্য সাবধান হতে.. সুতরাং তুমি তোমার আত্মাকে অধো- বুদ্ধিহীনদের কাতারে চারণ করতে দেওয়া থেকে উপরে উঠিয়ে রাখ। আর জেনে রাখবেন যে, আল্লাহ তা‘আলার পণ্য খুব দামী এবং তার মূল্য হলো জীবন ও সম্পদ তার মালিকের জন্য ব্যয় করা, যা তিনি মুমিনগণের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়েছেন। আর আল্লাহর কসম! এটা এমন দুর্বল বা কম দামী পণ্য নয় যে, নিঃস্ব কাপুরুষ ব্যক্তিগণ তার দাম করতে পারে এবং তা বিক্রয়ের অযোগ্য পণ্যও নয় যে, কোনো তুচ্ছ হতদরিদ্র ব্যক্তি তা ক্রয় করে ফেলবে। ইচ্ছুক ক্রেতাদের জন্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এই পণ্য বাজারে উঠানো হয়েছে, আর (ক্রেতাসকলের পক্ষ থেকে) বলা হয়েছে: আরো বেশি আছে কি? আর তার প্রতিপালক গ্রীবাস্থিত ধমনীর বিনিময় ছাড়া আর অন্য কোনো দামে তা বিক্রি করতে রাজি নন। * * * ৬. সাওমের অধ্যায় ৬. ১. রমযান মাসে সাওম পালন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: « ﻣَﻦْ ﺻَﺎﻡَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺇِﻳﻤَﺎﻧًﺎ ﻭَﺍﺣْﺘِﺴَﺎﺑًﺎ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺗَﻘَﺪَّﻡَ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺒِﻪِ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭ ﻣﺴﻠﻢ ﻭ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﻭ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻭ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ) . “যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় সাওম পালন করবে, তার অতীতের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ।”[71] ৬. ২. ‘আরাফা ও আশুরার দিনে সাওম পালন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﺛَﻼَﺙٌ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻬْﺮٍ ﻭَﺭَﻣَﻀَﺎﻥُ ﺇِﻟَﻰ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻓَﻬَﺬَﺍ ﺻِﻴَﺎﻡُ ﺍﻟﺪَّﻫْﺮِ ﻛُﻠِّﻪِ ، ﺻِﻴَﺎﻡُ ﻳَﻮْﻡِ ﻋَﺮَﻓَﺔَ ﺃَﺣْﺘَﺴِﺐُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥْ ﻳُﻜَﻔِّﺮَ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔَ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻗَﺒْﻠَﻪُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻨَﺔَ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﺑَﻌْﺪَﻩُ ، ﻭَﺻِﻴَﺎﻡُ ﻳَﻮْﻡِ ﻋَﺎﺷُﻮﺭَﺍﺀَ ﺃَﺣْﺘَﺴِﺐُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻥْ ﻳُﻜَﻔِّﺮَ ﺍﻟﺴَّﻨَﺔَ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻗَﺒْﻠَﻪُ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﻣﺴﻠﻢ ) . “প্রত্যেক মাসে তিনদিন সাওম পালন করা এবং এক রমযানের সাওম পরের রমযান পর্যন্ত— এটাই হলো সারা বছরের সাওম পালন। আরাফার দিনের সাওমের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশি করি যে, তা পূর্বের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ মুছে দেবে। আর ‘আশুরার দিনের সাওমের ব্যাপারে আমি আল্লাহ তা‘আলার কাছে আশি করি যে, তা পূর্বের এক বছরের গুনাহ মুছে দেবে ।”[72] * * * ৭. হাজ্জের অধ্যায় ৭. ১. হাজ্জ ও ওমরা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﺗَﺎﺑِﻌُﻮﺍ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﺤَﺞِّ ﻭَﺍﻟْﻌُﻤْﺮَﺓِ ، ﻓَﺈِﻧَّﻬُﻤَﺎ ﻳَﻨْﻔِﻴَﺎﻥِ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮَ ﻭَﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ، ﻛَﻤَﺎ ﻳَﻨْﻔِﻲ ﺍﻟْﻜِﻴﺮُ ﺧَﺒَﺚَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳﺪِ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻭ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ) . “তোমরা হাজ্জ ও ওমরা উভয়টি বিলম্ব না করে পরপর সম্পাদন কর; কারণ, এই দু’টি দারিদ্র ও পাপরাশিকে এমনভাবে দূর করে, যেভাবে হাপর লোহা’র ময়লা দূর করে।”[73] আর এই মহান ফযীলতের বিষয়টি অপর এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় আরও বিস্তারিতভাবে এসেছে, তিনি বলেছেন: « ﺃﻣﺎ ﺧﺮﻭﺟﻚ ﻣﻦ ﺑﻴﺘﻚ ﺗﺆﻡ ﺍﻟﺒﻴﺖ ﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ، ﻓﺈﻥ ﻟﻚ ﺑﻜﻞ ﻭﻃﺄﺓ ﺗﻄﺆﻫﺎ ﺭﺍﺣﻠﺘﻚ ﻳﻜﺘﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻚ ﺑﻬﺎ ﺣﺴﻨﺔ ، ﻭﻳﻤﺤﻮ ﻋﻨﻚ ﺑﻬﺎ ﺳﻴﺌﺔ . ﻭﺃﻣﺎ ﻭﻗﻮﻓﻚ ﺑﻌﺮﻓﺔ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻳﻨﺰﻝ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ، ﻓﻴﺒﺎﻫﻰ ﺑﻬﻢ ﺍﻟﻤﻼﺋﻜﺔ، ﻓﻴﻘﻮﻝ : ﻫﺆﻻﺀ ﻋﺒﺎﺩﻯ ﺟﺎﺀﻭﻧﻰ ﺷُﻌْﺜًﺎ ﻏُﺒْﺮًﺍ ﻣﻦ ﻛﻞ ﻓﺞ ﻋﻤﻴﻖ ، ﻳﺮﺟﻮﻥ ﺭﺣﻤﺘﻰ ﻭﻳﺨﺎﻓﻮﻥ ﻋﺬﺍﺑﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﺮﻭﻧﻰ ، ﻓﻜﻴﻒ ﻟﻮ ﺭﺃﻭﻧﻰ ؟ ﻓﻠﻮ ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻴﻚ ﻣﺜﻞ ﺭﻣﻞ ﻋﺎﻟﺞ ﺃﻭ ﻣﺜﻞ ﺃﻳﺎﻡ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﺃﻭ ﻣﺜﻞ ﻗﻄﺮ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺫﻧﻮﺑﺎ ، ﻏﺴﻠﻬﺎ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻚ . ﻭﺃﻣﺎ ﺭﻣﻴﻚ ﺍﻟﺠﻤﺎﺭ ﻓﺈﻧﻪ ﻣﺬﺧﻮﺭ ﻟﻚ . ﻭﺃﻣﺎ ﺣﻠﻘﻚ ﺭﺃﺳﻚ ﻓﺈﻥ ﻟﻚ ﺑﻜﻞ ﺷﻌﺮﺓ ﺗﺴﻘﻂ ﺣﺴﻨﺔ ، ﻓﺈﺫﺍ ﻃﻔﺖ ﺑﺎﻟﺒﻴﺖ ﺧﺮﺟﺖ ﻣﻦ ﺫﻧﻮﺑﻚ ﻛﻴﻮﻡ ﻭﻟﺪﺗﻚ ﺃﻣﻚ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ) . “আর তোমার ঘর থেকে সম্মানিত ঘর কা‘বা’র উদ্দেশ্যে তোমার বের হওয়া মানেই তোমার জন্য তোমার বাহনের প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি করে সাওয়াব লেখা হয় এবং তোমার একটি করে পাপ মোচন হয়। আর তুমি যখন ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থান কর, তখন আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন, তারপর তিনি তাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন এবং বলেন: আমার বান্দাগণ আমার কাছে আউলা কেশে ধূলিমলিন অবস্থায় দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে এসেছে আমার রহমতের আশায় এবং আমার শাস্তির ভয়ে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি; সুতরাং তারা যদি আমাকে দেখত, তাহলে কেমন জানি হত? অতএব, যদি তোমার অপরাধ বালির স্তুপের মত হয় অথবা দুনিয়ার দিনসমূহের সমান হয় অথবা বৃষ্টির ফোটা পরিমাণ হয়, তবে তিনি তোমার সেই অপরাধ ধুয়ে- মুছে পরিষ্কার করে দিবেন। আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপ তোমার জন্য (সাওয়াব হিসেবে) সঞ্চিত থাকবে। আর তোমার মাথা মুণ্ডনের ফলে তোমার জন্য (মাটিতে) পতিত প্রতিটি চুলের বিনিময়ে একটি করে সাওয়াবের ব্যবস্থা থাকবে। অতঃপর তুমি যখন বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করবে, তখন তুমি তোমার গুনাহসমূহ থেকে ঐ দিনের মত পবিত্র হয়ে বেরিয়ে আসবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে (নিষ্পাপ অবস্থায়) প্রসব করেছে।”[74] * * * ৮. যাকাতের অধ্যায় ৮. ১. সাদকা করা: আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: ﴿ﺇِﻥ ﺗُﺒۡﺪُﻭﺍْ ﭐﻟﺼَّﺪَﻗَٰﺖِ ﻓَﻨِﻌِﻤَّﺎ ﻫِﻲَۖ ﻭَﺇِﻥ ﺗُﺨۡﻔُﻮﻫَﺎ ﻭَﺗُﺆۡﺗُﻮﻫَﺎ ﭐﻟۡﻔُﻘَﺮَﺍٓﺀَ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴۡﺮٞ ﻟَّﻜُﻢۡۚ ﻭَﻳُﻜَﻔِّﺮُ ﻋَﻨﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﻴَِّٔﺎﺗِﻜُﻢۡۗ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌۡﻤَﻠُﻮﻥَ ﺧَﺒِﻴﺮٞ ٢٧١ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٧١] “তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা ভাল; আর যদি গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তকে দাও, তা তোমাদের জন্য আরো ভাল; এবং এতে তিনি তোমাদের জন্য কিছু পাপ মোচন করবেন। আর তোমরা যে আমল কর আল্লাহ্ সে সম্পর্কে সম্মক অবহিত।” [75] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: ﴿ ﺇِﻥ ﺗُﻘۡﺮِﺿُﻮﺍْ ﭐﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺮۡﺿًﺎ ﺣَﺴَﻨٗﺎ ﻳُﻀَٰﻌِﻔۡﻪُ ﻟَﻜُﻢۡ ﻭَﻳَﻐۡﻔِﺮۡ ﻟَﻜُﻢۡۚ ﻭَﭐﻟﻠَّﻪُ ﺷَﻜُﻮﺭٌ ﺣَﻠِﻴﻢٌ ١٧ ﴾ [ ﺍﻟﺘﻐﺎﺑﻦ : ١٧] “যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর, তাহলে তিনি তোমাদের জন্য তা বহু গুণ বৃদ্ধি করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ্ গুণগ্রাহী, পরম সহিষ্ণু।”[76] * * * ৯. ইসলাম নির্ধারিত শাস্তির অধ্যায় ৯. ১. শরী‘য়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﺃﻳﻤﺎ ﻋﺒﺪ ﺃﺻﺎﺏ ﺷﻴﺌﺎ ﻣﻤﺎ ﻧﻬﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ , ﺛﻢ ﺃﻗﻴﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﺣﺪﻩ , ﻛُﻔِّﺮ ﻋﻨﻪ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﺬﻧﺐُ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻭ ﺍﻟﺪﺍﺭﻣﻲ ﻭ ﺃﺣﻤﺪ ) . “যে কোনো বান্দা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে এমন কোনো অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে যায়, অতঃপর তার উপর শরী‘য়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ করা হয়, এর ফলে তার অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।” [77] * * * ১০. যিকিরের অধ্যায় ১০. ১. আল্লাহর যিকির করা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻡٍ ﺍﺟْﺘَﻤَﻌُﻮﺍ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُﻭﻥَ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﺟْﻬَﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﻧَﺎﺩَﺍﻫُﻢْ ﻣُﻨَﺎﺩٍ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ : ﺃَﻥْ ﻗُﻮﻣُﻮﺍ ﻣَﻐْﻔُﻮﺭًﺍ ﻟَﻜُﻢْ ﻗَﺪْ ﺑُﺪِّﻟَﺖْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺗُﻜُﻢْ ﺣَﺴَﻨَﺎﺕٍ » . (ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ) . “যে কোনো সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে আল্লাহর যিকির করবে এবং এর দ্বারা তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয় তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন, সেই সম্প্রদায়কে আসামানের কোনো এক ঘোষণাকারী ডেকে বলবে: তোমরা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে যাও যে, তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে এবং তোমাদের গুনাহসমূহকে পরিবর্তন করে সাওয়াবে পরিণত করা হয়েছে।”[78] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: « ﺇِﻥَّ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﺗَﻨْﻔُﺾُ ﺍﻟْﺨَﻄَﺎﻳَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﻨْﻔُﺾُ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَﺓُ ﻭَﺭَﻗَﻬَﺎ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ﻓﻰ ﺍﻷﺩﺏ ﺍﻟﻤﻔﺮﺩ ) . “নিশ্চয় « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ » (আল্লাহরই পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আর আল্লাহ ছাড়া উপাসনার যোগ্য কোনো সত্য মা‘বুদ নেই; আর আল্লাহ মহান) — এর যিকির গুনাহসমূহকে এমনভাবে ঝেড়ে ফেলে দেয়, যেমনিভাবে গাছ তার পাতাসমূহকে ঝেড়ে ফেলে।” [79] ১০. ২. মাজলিসের কাফ্ফারা: যখন মুসলিমগণের মধ্য থেকে কোনো একটি দল বা গোষ্ঠী একত্রিত হবে, তখন তাদের উপর আবশ্যকীয় কর্তব্য হল— তারা আল্লাহ তা‘আলার বেঁধে দেওয়া সীমারেখার মধ্যে থেকে তাদের মাজলিস পরিচালনা করবে এবং কোনো রকম সীমালংঘন করবে না, যেমন: খেল- তামাসা, গীবত তথা তাদের ভাইয়ের গোশ্ত দংশন, তাদের গোপনীয় বিষয় প্রকাশ এবং তাদের ভুল-ত্রুটি ও অপরাধের সমালোচনা ইত্যাদি তাদের আলোচনার বিষয় না হওয়া। বরং তাদের জন্য ওয়াজিব হল— সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করার ব্যাপারে পরস্পরকে সহযোগিতা করা, মানুষের মাঝে সংশোধন ও সংস্কারমূলক কাজ করা এবং আল্লাহ তা‘আলার কিতাব ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ নিয়ে শিক্ষামূলক আলোচনা করা। সুতরাং যে মুসলিমের লক্ষ্য হবে আল্লাহ ও পরকাল, এমন প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য হল— তার দ্বারা অনুষ্ঠিত প্রত্যেক মাজলিসে এই বিষয়ে সতর্ক করা এবং আল্লাহর যিকির ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাত ও সালাম পেশ করার ব্যাপারে কোনো রকম অমনোযোগী না হওয়া; নতুবা কিয়ামতের দিনে তার উপর নিঃসঙ্গতা, দুঃখ-কষ্ট ও অপমানজনক অবস্থা চেপে বসবে, যদিও সে জান্নাতে প্রবেশ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻡٍ ﺟَﻠَﺴُﻮﺍ ﻣَﺠْﻠِﺴًﺎ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻓِﻴﻪِ ﺇِﻟَّﺎ ﺭَﺃَﻭْﻩُ ﺣَﺴْﺮَﺓً ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ) . “যে কোনো সম্প্রদায় কোনো মাজলিসে বসল, অথচ তারা সেখানে আল্লাহর যিকির করল না, কিয়ামতের দিন তারা তাকে দুঃখ-কষ্ট হিসেবে দেখবে।” [80] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন: « ﻣَﺎ ﻗَﻌَﺪَ ﻗَﻮْﻡٌ ﻣَﻘْﻌَﺪًﺍ ﻟَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍَﻟﻠَّﻪَ ﻓﻴﻪِ , ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺼَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺍَﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇِﻟَّﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺣَﺴْﺮَﺓً ﻳَﻮْﻡَ ﺍَﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ , ﻭَﺇِﻥْ ﺩَﺧَﻠُﻮﺍ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺃﺣﻤﺪ ﻭ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ) . “কোন সম্প্রদায় কোনো আসর বা মাজলিসে বসল, অথচ তারা সেখানে আল্লাহর যিকির করল না এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠ করল না, কিয়ামতের দিনে তাদের উপর দুঃখ-কষ্ট চেপে বসবে, যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করে।”[81] কিন্তু ভুলে যাওয়াটাই মানবজাতির জন্য বিপদজনক এবং তাদের প্রয়োজনীয় বস্তুর ঘাটতির কারণ। সুতরাং যখন মুসলিম ব্যক্তি মাজলিসে তার আবশ্যকীয় কর্তব্য পালনে ব্যর্থ বা অক্ষম হবে, তখন সেখান থেকে উঠে আসার পূর্বে সে যেন মাজলিসের কাফ্ফারা আদায় করতে ভুলে না যায়, যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি বলেন: « ﻣﻦ ﻗﺎﻝ: ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺤﻤﺪﻩ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﺃﺷﻬﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ ﺃﺳﺘﻐﻔﺮﻙ ﻭﺃﺗﻮﺏ ﺇﻟﻴﻚ ، ﻓﻘﺎﻟﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺠﻠﺲ ﺫﻛﺮ ﻛﺎﻧﺖ ﻛﺎﻟﻄﺎﺑﻊ ﻳﻄﺒﻊ ﻋﻠﻴﻪ ، ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻟﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺠﻠﺲ ﻟﻐﻮ ﻛﺎﻧﺖ ﻛﻔﺎﺭﺓ ﻟﻪ » . ( ﺃﺧﺮﺟﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻭ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ) . “যে ব্যক্তি যিকিরের মাজলিসে বলে: « ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺤﻤﺪﻩ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﺃﺷﻬﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ ﺃﺳﺘﻐﻔﺮﻙ ﻭﺃﺗﻮﺏ ﺇﻟﻴﻚ » (আল্লাহরই পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং তাঁর প্রশংসা করছি; হে আল্লাহ! আপনারই পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার প্রশংসা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ (মা‘বুদ) নেই, আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাওবা করছি), তখন তা হবে মোহরাঙ্কিত বস্তুর মত (টিকসই); আর যে ব্যক্তি তা অর্থহীন মাজলিসে বলবে, তখন তা তার জন্য কাফ্ফারা হয়ে যাবে।”[82] * * * উপসংহার “আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে উত্তম পুরষ্কার (জান্নাত) ও বাড়তি (আল্লাহর দীদার) প্রদান করুন” হে আল্লাহর বান্দা, হে মুসলিম ভাই! জেনে রাখুন যে, আল-কুরআনের এসব আয়াত ও নবীর হাদীসে পাপরাশি ক্ষমার সাথে সংশ্লিষ্ট আমলের ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছে, কিন্তু বান্দার জন্য উচিৎ হলো তার উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে না থাকা। এমন যেন না হয় যে গুনাহ ও মন্দ কাজে জড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিজের নফসের লাগামকে ছেড়ে দেবে এবং এই বাজে ধারণা করবে যে, সে গুনাহ করলেও যখনই এ জাতীয় আমল করবে তখনই তা তার সকল গুনাহ মাফের নিশ্চয়তা বিধান করবে। নিশ্চয়ই এ ধরনের কল্পনা চরম মূর্খতা ও বোকামির বহিঃপ্রকাশ; কারণ, হে প্রতারিত ব্যক্তি! তুমি কিভাবে জানতে পারবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমার আমল কবুল করেছেন এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা‘আলা বলেন: ﴿ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳَﺘَﻘَﺒَّﻞُ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ٢٧ ﴾ [ﺍﻟﻤﺎﺋﺪﺓ : ٢٧] “আল্লাহ তো কেবল মুত্তাকীদের পক্ষ হতে কবুল করেন।” [83] ঐসব মুত্তাকী বান্দগণ সৎকাজ করে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করার ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করে এবং পাপকাজ থেকে বিরত থাকে, আর সাথে সাথে এই আশঙ্কাও করে যে, তাদের আমলসমূহ বাতিল করে দিয়ে তাদের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় কিনা এবং তাদের মুখের উপর ছুড়ে মারা হয় কিনা: ﴿ ﺇِﻥَّ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢ ﻣِّﻦۡ ﺧَﺸۡﻴَﺔِ ﺭَﺑِّﻬِﻢ ﻣُّﺸۡﻔِﻘُﻮﻥَ ٥٧ ﻭَﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢ ﺑَِٔﺎﻳَٰﺖِ ﺭَﺑِّﻬِﻢۡ ﻳُﺆۡﻣِﻨُﻮﻥَ ٥٨ ﻭَﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢ ﺑِﺮَﺑِّﻬِﻢۡ ﻟَﺎ ﻳُﺸۡﺮِﻛُﻮﻥَ ٥٩ ﻭَﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﺆۡﺗُﻮﻥَ ﻣَﺎٓ ﺀَﺍﺗَﻮﺍْ ﻭَّﻗُﻠُﻮﺑُﻬُﻢۡ ﻭَﺟِﻠَﺔٌ ﺃَﻧَّﻬُﻢۡ ﺇِﻟَﻰٰ ﺭَﺑِّﻬِﻢۡ ﺭَٰﺟِﻌُﻮﻥَ ٦٠ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ٥٧، ٦٠ ] “নিশ্চয় যারা তাদের রব-এর ভয়ে সন্ত্রস্ত, আর যারা তাদের রব-এর নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে, আর যারা তাদের রব-এর সাথে শির্ক করে না, আর যারা যা দেওয়ার তা দেয় ভীত-কম্পিত হৃদয়ে, এজন্য যে তারা তাদের রব-এর কাছে প্রত্যাবর্তনকারী।” [84] হ্যাঁ, এরাই হলেন সত্যিকার মুমিন। [85] আর এই মহান অর্থের দিকেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উসমান ইবন ‘আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে ইঙ্গিত করেছেন, যাতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অযুর পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন; অতঃপর তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: « ﻣَﻦْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻣِﺜْﻞَ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮﺀِ , ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ , ﻓَﺮَﻛَﻊَ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ , ﺛﻢ ﺟﻠﺲ , ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻣَﺎ ﺗَﻘَﺪَّﻡَ ﻣِﻦْ ﺫَﻧْﺒِﻪِ , ﻗَﺎﻝَ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : « ﻟَﺎ ﺗَﻐْﺘَﺮُّﻭﺍ » . ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ) . “যে ব্যক্তি এই অযূর ন্যায় অযূ করবে, অতঃপর মাসজিদে এসে দুই রাকা‘য়াত সালাত করবে, তার অতীতের সব গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। তিনি বললেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন যে, তোমরা ধোঁকায় পড়ো না।” [86] হে আমার ভাই! আপনি আরও জেনে রাখবেন যে, যেসব অপরাধ জনগণের হক বা অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট, এসব আয়াত ও হাদিস তা অন্তর্ভুক্ত করে না; বরং ওয়াজিব হলো ঐ হক বা অধিকার তার মালিকের নিকট ফিরেয়ে দেওয়া; তার দলীল হলো ঐ হাদিস, যা শহীদের ঋণ ব্যতীত সকল গুনাহ্ মাফের কথা বর্ণনা করে।[87] সুতরাং হে আমার ভাই! সতর্ক ও সাবধান হও— আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে প্রাণশক্তির মাধ্যমে সাহায্য করবেন। আর জেনে রাখবে যে, শয়তানের পথ অনেকগুলো এবং তার পাতানো ফাঁদগুলো অনেক বড়; সুতরাং এই দরজা দিয়ে সে তোমার কাছে অনুপ্রবেশ করবে— সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে। « ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺤﻤﺪﻩ ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﺃﺷﻬﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺃﻧﺖ ﺃﺳﺘﻐﻔﺮﻙ ﻭﺃﺗﻮﺏ ﺇﻟﻴﻚ » . (আল্লাহরই পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং তাঁর প্রশংসা করছি; হে আল্লাহ! আপনারই পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার প্রশংসা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ (মা‘বুদ) নেই, আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাওবা করছি)। * * * [60] সূরা আল-কিয়ামাহ, আয়াত: ১৪ – ১৫ [61] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১ [62] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১ [63] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১ [64] সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১১১ [65] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১ [66] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫৪ [67] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫৪ [68] সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯৫ [69] ইমাম মুসলিম রহ. হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবনিল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ৪৯৯২ [70] মুসলিম, হাদিস নং- ৪৯৮৮ [71] বুখারী, হাদিস নং- ৩৮; মুসলিম, হাদিস নং- ১৮১৭; আবূ দাউদ, হাদিস নং- ১৩৭২; তিরমিযী, হাদিস নং- ৬৮৩; নাসায়ী, হাদিস নং- ২২০৩; ইবনু মাজাহ, হাদিস নং- ১৩২৬; তাঁরা হাদিসটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। [72] ইমাম মুসলিম রহ. হাদিসটি আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ২৮০৩ [73] নাসায়ী, হাদিস নং- ২৬৩০; ত্ববারানী, আল-কাবীর, হাদিস নং- ১১১৯৬ এবং অন্যান্য মুহাদ্দিস প্রমুখ হাদিসটি সাহল ইবন হাম্মাদ আবূ ‘উত্তাব আদ-দাল্লালের সনদে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমাদের কাছে ‘আযরা ইবন সাবিত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন, তিনি ‘আমর ইবন দিনার রহ. থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তারপর হাদিসের বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। আমি বলি: এই সনদটি সহীহ এবং তার বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য। আর এই হাদিসের সমর্থনে আবদুল্লাহ ইবন ওমর, আবদুল্লাহ ইবন মাস‘উদ ও জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম প্রমুখ হাদিস বর্ণনা করেছেন। [74] ত্ববারানী, আল-কাবীর ( ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ), হাদিস নং- ১৩৫৬৬; আল-বায্যার, ‘কাশফুল আসতার’ ( ﻛﺸﻒ ﺍﻷﺳﺘﺎﺭ ), হাদিস নং- ১০৮২; আবদুর রাযযাক, আল-মুসান্নাফ ( ﺍﻟﻤﺼﻨﻒ ), হাদিস নং- ৮৮৩০; তাঁরা সকলেই মুজাহিদ রহ. এর সনদে আদুল্লাহ ইবন ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন আমি বলি: হাদিসটি সহীহ। আর এই হাদিসের সমর্থনে বায্যার রহ. আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ১০৮৩; তবে তার মধ্যে দুর্বলতা রয়েছে। [75] সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭১ [76] সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৭ [77] হাকেম: (৪/৩৮৮); দারেমী: (২/১৮২); আহমাদ: (৫/২১৪ ও ২১৫); আমি বলি: হাদিসের সনদটি হাসান; কেননা, বর্ণনাকারী উসামা ইবন যায়েদ আল- লাইসী’র ব্যাপারে সামান্য কথা থাকলেও তাতে ক্ষতি নেই; তাছাড়া এই হাদিসটির সমর্থনে ‘সহীহাইন’ ও অন্যান্য গ্রন্থের মধ্য বহু হাদিস বর্ণিত আছে। [78] আহমাদ: (৩/১৪২); তিনি বলেন: আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ ইবন বকর, তিনি বলেন: আমাদেরকে সংবাদ দিয়েছেন মাইমুন আল-মারায়ী, তিনি বলেন: আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন মাইমুন ইবন সিয়াহ, তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। আমি বলি: এই সনদটি ‘হাসান’ পর্যায়ের ইনশাআল্লাহ; আর মাইমুন ইবন মূসা আল-মারায়ী ‘মুদাল্লিস’ পর্যায়ের বর্ণনাকারী, তবে তিনি বর্ণনার মাধ্যমে তা স্পষ্ট করে দিতেন। [79] আহমাদ: (৩/১৫২); বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ: (৬৩৪); তাঁরা হাদিসটি ত্বরিক আবদুল ওয়ারিসের সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন সিনান, তিনি বলেন: আমাদের কাছে হাদিস বর্ণনা করেছেন আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু। আমি বলি: এই সনদটি ‘হাসান’ পর্যায়ের; কারণ, সিনান ইবন রবী‘য়া সত্যবাদী, নম্র। [80] আহমাদ রহ. হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন: (২/১২৪) । আমি বলি: হাদিসের সনদটি সহীহ। আর তার সমর্থনে জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদিস বর্ণিত আছে, যা আত-তায়ালসী রহ. বর্ণনা করেছেন: (১৫৭৬) এবং তার সনদটিও সহীহ। [81] আহমাদ: (২/৪৬৩); ইবনু হিব্বান: (২৩২২— মাওয়ারিদ); হাকেম: (১/৪৯২) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস প্রমুখ হাদিসটি আ‘মাশের সনদে বর্ণনা করেছেন, তিনি বর্ণনা করেন আবূ সালেহ থেকে, তিনি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে ‘মারফু‘’ হিসেবে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। আমি বলি: হাদিসের সনদটি সহীহ। [82] হাকেম: (১/৫৩৭); ত্ববারানী, আল- কাবীর ( ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ), হাদিস নং- ১৫৮৬ ও ১৫৮৭; তাঁরা হাদিসটি নাফে‘ ইবন জুবায়ের ইবন মুত‘য়েমের সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি তাঁর পিতা জুবায়ের ইবন মুত‘য়েম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে ‘মারফু‘’ হিসেবে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। হাকেম রহ. বলেন: হাদিসটি ইমাম মুসলিম রহ. এর শর্তে সহীহ। আর একই মত ব্যক্ত করেছেন ইমাম যাহাবী রহ. এবং আমাদের শাইখ আলবানী রহ. তাঁর ‘সিলসিলাতুল আহাদিসিস্ সাহীহা’ ( ﺳﻠﺴﻠﺔ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﺔ ) নামক গ্রন্থের মধ্যে, হাদিস নং- ৮১; আর তাঁরা যা বলেছেন, বিষয়টি তাই। আর ত্ববারানী’র দ্বিতীয় জায়গার বর্ণনায় অতিরিক্ত কথা আছে: « ﻳﻘﻮﻟﻬﺎ ﺛﻼﺙ ﻣﺮﺍﺕ » (তিনি তা তিনবার বলেন)। আমাদের শাইখ বলেন: হাইছামী রহ. তার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি এবং তা (সনদটি) উৎকৃষ্ট নয়; কারণ, তার সনদের মধ্যে খালিদ ইবন ইয়াযিদ আল-‘আমরী নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে, যাকে আবূ হাতিম ও ইয়াহইয়া মিথ্যাবাদী বলেছেন; আর ইবনু হিব্বান বলেন: সে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের থেকে ‘মাউযু’ হাদিস বর্ণনা করত। সুতরাং এটা অতিরিক্ত, এর দিকে দৃষ্টি দেয়ার দরকার নেই। আমি বলি: এটা শাইখের পক্ষ থেকে অনিচ্ছাকৃত ভুল (আল্লাহ তাকে হিফাজত করুন); কেননা, হাইছামী রহ. দুই জায়গায় ঐ বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন, যে বিষয়ে শাইখ অত্যন্ত কঠিন কথা বলেছেন (আল্লাহ তাকে হিফাজত করুন); তিনি ‘আল- মাজমা‘ ( ﺍﻟﻤﺠﻤﻊ ) এর মধ্যে বলেছেন (১০/১৪২): “ত্ববারনী রহ. তা বর্ণনা করেছেন এবং তার সনদে খালিদ ইবন ইয়াযিদ আল-‘আমরী নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, যিনি দুর্বল।” আর তিনি ‘আল-মাজমা‘ ( ﺍﻟﻤﺠﻤﻊ ) এর (১০/৪২৩) মধ্যে সহীহ ও দুর্বল— দু’টি বর্ণনা উল্লেখ করার পর বলেছেন: “ত্ববারানী রহ. সবগুলো বর্ণনাই বর্ণনা করেছেন এবং প্রথম বর্ণনার বর্ণনাকারীগণ হলেন সহীহ হাদিসের বর্ণনাকারী।” অতঃপর তিনি যিকির সংক্রান্ত হাদিসের সনদগুলো অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। আর এর দ্বারা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, হাইছামী রহ. এই বর্ণার ব্যাপারে নিরব থাকেননি, বরং আমাদের শাইখ কর্তৃক উক্ত বর্ণনাকে দুর্বল বলার পূর্বেই তিনি তাকে দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন— সুন্নাতে নববী’র খেদমতের কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে সাহায্য করুন। [83] সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ২৭ [84] সূরা আল-মু’মিনুন, আয়াত: ৫৭ – ৬০ [85] এই বিষয়টি আমি আমার ‘মুবতিলাতুল আ‘মাল’ ( ﻣﺒﻄﻼﺕ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ ) নামক পুস্তিকার মধ্যে ‘খাওফুস সালফিস সালিহ রহ. মিন আন তাহবাতা আ‘মালুহুম ওয়াহুম লা ইয়াশ‘উরুন’ ( ﺧﻮﻑ ﺍﻟﺴَّﻠﻒ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ـ ﺭﺣﻤﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﻣﻦ ﺃﻥ ﺗﺤﺒﻂ ﺃﻋﻤﺎﻟﻬﻢ ﻭ ﻫﻢ ﻻ ﻳﺸﻌﺮﻭﻥ ) [পূর্ববর্তী সৎ বান্দগণের আশংকা যে, তাদের অজান্তেই তাদের আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যাবে] নামক শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত করেছি; প্রকাশক: দারু ইবনিল কায়্যিম, দাম্মাম। [86] বুখারী, হাদিস নং- ৬০৬৯ [87] মুসলিম, হাদিস নং- ৪৯৮৮ ও ৪৯৯২ _________________________________________________ ________________________________ শাইখ সালীম ইবন ‘ঈদ আল-হিলালী অনুবাদক: মোঃ আমিনুল ইসলাম সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
সাম্প্রতিক পোষ্ট
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?
"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...
জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ
-
যৌন উত্তেজনার সময় পানির মতো আঠালো যে তরল পদার্থ বের হয়, তা কি নাপাক? একে “মাযী” বলে। আর তা নাপাক। তা বের হলে উযূ নষ্ট হয়ে যায়। শরমগাহ...
-
গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি? গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন...
-
মনোমালিন্য ‘‘সংসার সাগরে দুঃখ-তরঙ্গের খেলা, আশা তার একমাত্র ভেলা।’’ কিন্তু সেই ভেলা ডুবে গেলে আর কার কি সাধ্য? স্বামী যদি স্...
-
*সূরা বাকারা ও সূরা আলে-ইমরানের ফজিলত গুলি কি কি? এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের অর্থঃ ✔1-রাতে ঘুমানোর আগে সুরা বাক্বারার শেষ ...
-
আপন মামাত, খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোন, চাচী, মামি, স্ত্রীর বোন বা ভাবীর সাথে মুসাফাহাহ বৈধ কি? যার সাথে পু...
-
কেউ কেউ মনে করেন, আমার মন খুবই পরিস্কার। তাকে আমি মা, খালা, অথবা বোনের মতোই মনে করি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে তাঁর সাথে মেলা-মেশা করতে অসুবিধা ...
-
কথা বলার ব্যপারে "ইসলামে"র শিক্ষা কি? ====== ১। কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া। সূরা নূরঃ ৬১ ২। সতর্কতার সাথে কথা বলা। (কে...
-
জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১৫টি অসাধারন হাদিস- *১-গীবত থেকে দূরে থাকা- আসমা বিনতে ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যাক্তি তার (মুসলি...
-
# দোয়া_কবুল_না_হওয়ার_কারণগুলো_কি_কি ? ---------------------------------------------------------------------- কিছু পাপ আছে যা বান্দার মা...
-
প্রশ্ন:নাটক, সিনেমা দেখা , গল্পের বই পড়া কি জায়েজ ? =============================== উত্তর : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালা...
No comments:
Post a Comment