সাধ্যের বাইরে কাজ না দেওয়া
আপনার গোলাম বা বাঁদীকে এমন
কাজের ভার দিবেন না, যা তাদের সাধ্যের বাইরে। যদি দিতেই হয়, তাহলে আপনি
গোলামের সহযোগিতা করুন এবং আপনার বাড়ির কোন মহিলা বাঁদীর সহযোগিতা করুক।
মা’রূর বিন সুয়াইদ বলেন, একদা আবূ যার্র
(রাঃ) কে (মদীনার নিকটবর্তী একটি জায়গা) রাবাযায় দেখলাম, তাঁর গায়ে ছিল
মোটা চাদর। আর তাঁর গোলামের গায়েও ছিল অনুরূপ চাদর। তা দেখে সকলে বলল,
‘হে
আবূ যার্র! আপনি যদি গোলামের গায়ের ঐ চাদরটাও নিতেন এবং দু’টিকে একত্রে
করতেন তাহলে একটি জোড়া হয়ে যেত। আর গোলামকে অন্য একটি কাপড় দিয়ে দিতেন।’
আবূ যার্র (রাঃ) বললেন, ‘আমি একজন (গোলাম)
কে গালি দিয়েছিলাম। তার মা ছিল অনারবীয়। ঐ মা ধরে তাকে বিদ্রুপ করেছিলাম।
সে আল্লাহর রসূল (সাঃ) এর নিকট আমার বিরুদ্ধে নালিশ করল। এর ফলে তিনি আমাকে
বললেন, ‘‘হে আবূ যার্র! নিশ্চয় তুমি এমন লোক; যার মধ্যে জাহেলিয়াত আছে!’’
অতঃপর তিনি বললেন, ‘‘ওরা (দাসগণ) তো তোমাদের ভাই। (তোমাদের মতই মানুষ।)
আল্লাহ ওদের উপর তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। অতএব যে দাস তোমাদের
মনমত হবে না তাকে বিক্রয় করে দাও। আর আল্লাহর সৃষ্টিকে কষ্ট দিও না।’’[1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রাসুল (সাঃ)
ঐ সময় আবূ যার্র (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘‘নিশ্চয় তুমি এমন লোক; যার মধ্যে
জাহেলিয়াত আছে।’’ আবূ যার্র বললেন, ‘আমার বৃদ্ধ বয়সের এই সময়েও?’ তিনি
বললেন, ‘‘হ্যাঁ। ওরা তোমাদের ভাই স্বরূপ। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের
মালিকানাধীন করে দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তির ভাইকে আল্লাহ তার মালিকানাধীন
করেছেন, সে ব্যক্তি যেন তাকে (দাসকে) তাই খাওয়ায়; যা সে নিজে খায়, তাই
পরায় যা সে নিজে পরে এবং এমন কাজের যেন ভার না দেয়, যা করতে সে সক্ষম নয়।
পরন্তু যদি সে এমন দুঃসাধ্য কাজের ভার দিয়েই ফেলে, তবে তাতে যেন তাকে
সহযোগিতা করে।’’[2]
No comments:
Post a Comment