Tuesday, May 1, 2018

দ্বীনদার ছেলেকে কেন বিবাহ করবেন?

দ্বীনদার ছেলেকে কেন বিবাহ করবেন?

.
•• সে তার দৃষ্টি নত রাখবে। রাস্তাঘাটে বা এখানে সেখানে মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে না।
.
•• অফিসে বা বাহিরে থাকা অবস্থায় কি করছে তা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় থাকবে হবে না। অফিসের কলিগ বা অন্য মেয়েদের সাথে ফ্ল্যার্ট করছে কিনা সেই ভয়ে থাকতে হবে না আপনাকে।
.
•• আপনার সাথে অশালীন আচরণ করবে না। কখনো অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করবে না। আজেবাজে ভাষার ব্যবহার বা গালাগালি করবে না।
.
•• কখনো আপনার বা সন্তানের গায়ে হাত তুলবে না।
.
•• বিয়েতে মোটা অংকের যৌতুক বা উপহার দাবি করবে না। ইন্ডিরেক্টলি সেটার জন্যে ফোর্স করবে না।
.
•• ড্রাগস বা খারাপ সঙ্গের ভয় থাকবে না আপনার। নেশাজাতীয় কোন কিছুর সাথে সম্পৃক্ততা থাকবে না। যাদের সাথে মিশতেছে ওরা কেমন। কবে না ঘরে মাতাল হয়ে ফিরে এই ভয় থাকবে না আপনার।
.
•• আপনাকে এবং আপনার পরিবারের লোকজনকে সে সম্মান করবে। ভালো ব্যবহার করবে।
.
•• দ্বীন ও দুনিয়ার কাজে সহযোগী হবে। আশা করা যায় ঘরের কাজে সহযোগীতা পাবেন। চাকরাণী নয় রাণীর মতো ট্রিট করবে আপনাকে।
.
•• দ্বীন পালনের জন্যে পরিপূর্ণ পর্দা করার জন্যে আপনি একটি সুন্দর পরিবেশ পাবেন। দ্বীন পালনে বা পর্দা করতে কোন বাধার মুখোমুখী হতে হবে না।
.
•• একসাথে দ্বীন পালনের মাধ্যমে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে সহজ হবে। আপনি একজন মাধ্যম পাবেন যার সহযোগিতায় আলেমদের কাছ থেকে বিভিন্ন মাসয়ালা মাসায়েল জানতে পারবেন। ভালো একজন গাইড পাবেন যে দ্বীন পালনে আপনাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারবে। নিজে না পারলেও আলেমদের কাছ থেকে জেনে জানাতে পারবে।
____
____
কেন আপনি দ্বীনদার কোন মেয়েকে বিয়ে করবেন ??
.
•• যেহেতু সে পরিপূর্ণ পর্দানশিন হবে তাই দাইয়্যুস হওয়ার মতো বড় একটি আজাব থেকে বেঁচে যাবেন আপনি। হাশরের ময়দানে অনেক জবাবদিহিতার হাত থেকে আপনি বেঁচে যাবেন।
.
•• সে উত্তম চরিত্রের পবিত্র মানুষ হবে। দুনিয়ার সামান্য কিছুর বিনিময়ে সে তার স্বকীয়তা হারাবে না। মৃত্যুর ভয়েও সে তার সম্মান ও সম্ভ্রমকে হারাবে না।
.
•• অফিসে বসে দুশ্চিন্তা করতে হবে না; সে অনৈতিক কোন কার্যকলাপে জাড়াচ্ছে কি না। আপনার সাথে প্রতারণা করছে কি না। আল্লাহর ভয়েই সে নিজের চরিত্রের হেফাজত করবে।
.
•• আপনার সন্তান ভালো একজন শিক্ষিক পাবে। দক্ষ হাতে মানুষ হবে। অবহেলায় অনাদরে বড় হবে না। মানুষের মতো মানুষ হবে ইনশাআল্লাহ্।
.
•• মোটা অংকের দেনমোহর দিতে হবে না। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, বিশাল রিসেপশান ও কয়েক লাখ টাকার শপিংয়ের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবেন।
.
•• এই বার্ষিকী, সেই বার্ষিকী, অমুক দিবস, তমুকের বার্থডে পার্টির গিফটের ঝামেলা থেকে মুক্ত আপনি। এই দিবস সেই দিবসের ডেট মনে রাখতে হবে না কষ্ট করে। অমুক মাসের অমুক তারিখে গিফট কিনে দেননি কেন তা নিয়ে ঝগড়া করবে না সপ্তাহ জুড়ে।
.
•• আপনার হালাল ইনকাম অল্প হলে তাতেই তুষ্ট থাকবে। হারাম থেকে বেঁচে থাকতে সহজ হবে আপনার জন্যে। কুমিরের মতো আচরণ করবে না। এটা চাই ওটা চাই বলে আপনাকে ফোর্স করবে না। হারামের দিকে ঠেলে দিবে না।
.
•• আনুগত্য করবে আপনার। কথায় কথায় তর্ক করবে না। বেয়াদবি করবে না।
.
•• হিন্দি সিরিয়াল বা ভারতীয় বাংলা সিরিয়ালের আজাব থেকে মুক্ত থাকবেন ইনশাআল্লাহ্। অমুক ভাবী এই করেছে তমুক ভাবী সেই করেছে এই ধরনের ক্যাচাল থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।
.
•• দ্বীনের পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে আপনাকে। ঈমান ও আমল বুষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহর রাস্তায় বের হতে সাহায্য করবে আপনাকে। বের হওয়ার সময় হলে ব্যাগ গুছিয়ে দিবে আপনার। আচল দিয়ে বেঁধে রাখবে না ইনশাআল্লাহ্।
______
______
লেখাটা পড়ার পর অনেকেরই মনে হবে ইশশশ আমার স্বামী (ছেলেদের বেলায় স্ত্রী) যদি এমন হতো। অথচ আমাদের চিন্তা করা উচিৎ ছিল আমি যদি এমন স্বামী/স্ত্রী হতে পারতাম। নিজের দায়িত্বটা আগে ঠিক মতো পালন করি তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করি এবং তেমন কারো জন্যে দোয়া করতে থাকি। আল্লাহর কাছে নিজের পছন্দ মতো চাওয়ার পাশাপাশি যেন এটাও চাই, আমি যেন তার যোগ্য হতে পারি।
রাসূল(সা:) বলেছেন;
“যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদেরকে মুগ্ধ করে, তার সাথে (তোমাদের ছেলে কিংবা মেয়ের) বিবাহ দাও। যদি তা না কর (শুধুমাত্র দ্বীন ও চরিত্র দেখে তাদের বিবাহ না দাও বরং দ্বীন বা চরিত্র থাকলেও কেবলমাত্র বংশ, রূপ বা ধন সম্পত্তির লোভে বিবাহ দাও), তবে পৃথিবীতে বড় ফিতনা ও মস্ত ফাসাদ, বিঘ্ন ও অশান্তি সৃষ্টি হবে।”
(তিরমিযী ১০৮৫ নং,
ইবনে মাজাহ ১৯৬৭ নং)।
"যদি এমন কেউ (ছেলে) তোমাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয় যার ধার্মিকতা ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট তবে তোমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে। যদি তা না করো তবে, পৃথিবীতে ব্যাপক অরাজতা সৃষ্টি হবে।’
[তিরমিযী: ১০৮৪]

♥রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, সাধারণতঃ মেয়েদের চারটি গুণ দেখে বিবাহ করা হয়- তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। তোমরা ধার্মিক মেয়েকে অগ্রাধিকার দাও। অন্যথায় তোমাদের উভয় হস্ত অবশ্যই ধূলায় ধূসরিত হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮২, ৩০৯০, ‘বিবাহ’ অধ্যায়)।
♥"তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং সমতা দেখে বিবাহ কর"।
(ইবনু মাজাহ হা/১৯৬৮;
সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৬৭)।
♥রাসূল (ছাঃ) বলেন,
‘যার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণে তোমরা সন্তুষ্ট,তার সাথে বিবাহ দাও’।
(তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)।
‘আমি নারীকে বিবাহ করি(এটি আমার সুন্নত)অতএব যে আমার সুন্নত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’
(বুখারী : ৫০৫৬;মুসলিম : ৩৪৬৯)
♥"তোমরা কুমারীদের বিবাহ কর।কেননা,
তাদের মুখ বেশি মিষ্টি,তারা অধিক গর্ভধারিণী এবং অল্পে তুষ্ট'।
(সিলসিলা হা/৬২৩,১৯৫৭)
♥রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন;
"যে বিয়ে করল সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করল"।
(মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩০৯৬)।
♥ধর্মপরায়ন স্ত্রী লাভে বিজয়ী হও,
তোমার হাত কল্যাণে ভরে যাবে।”
[রিয়াদুস সালেহীন – ৩৬৫]...
তবে বিয়ে করতে সাবধান
♥মহান আল্লাহ বলেন,
"তোমরা মুশরিক মেয়েদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার মেয়ে মুশরিক মেয়ের চেয়ে উত্তম। যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে। তোমরা মুশরিক পুরুষদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। নিশ্চয়ই একজন ঈমানদার পুরুষ মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম। তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করে। আর আল্লাহ জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন"।
(সূরা : বাক্বারাহ : ২২১)।

♥নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “হে যুবকগণ! তোমাদের মধ্য থেকে যে বিয়ে করতে পারে তার বিয়ে করে নেয়া উচিত। কারণ এটি হচ্ছে চোখকে কুদৃষ্টি থেকে বাঁচাবার এবং মানুষের সততা ও চারিত্রিক পবিত্ৰতা রক্ষার উৎকৃষ্ট উপায়। আর যার বিয়ে করার ক্ষমতা নেই তার সাওম পালন করা উচিত। কারণ সাওম মানুষের দেহের উত্তাপ ঠাণ্ডা করে দেয়।”
[বুখারীঃ ১৯০৫, মুসলিমঃ ১০১৮]।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ