লাইক দিয়ে কি করবেন? প্রত্যেকটি মেয়েই জন্মগত সৌন্দর্যের অধিকারি। তাহলে কেনো ছবি এডিট করে নিজের সৌন্দর্য বাড়িয়ে গুগলে দিতে হবে। কিছু মানুষের লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য?????? দেখানোর জন্য??

লাইক দিয়ে কি করবেন? প্রত্যেকটি মেয়েই জন্মগত সৌন্দর্যের অধিকারি। তাহলে কেনো ছবি এডিট করে নিজের সৌন্দর্য বাড়িয়ে গুগলে দিতে হবে। কিছু মানুষের লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্য?????? দেখানোর জন্য?? যেসব আপুরা গুগলে ছবি দাও ( হউক রিয়েল অথবা, রঙ লাগানো) তাদের কে বলছি আপু প্লিজ একবার কোরানের সূরা আল- আহযাবের ৩৩ নাম্বার। আয়াত টা দেখে নাও। " তোমরা জাহেলিয়াতের নারীদের ন্যায় নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না।...(সুরা আল আহযাবঃ৩৩) আর যারা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করবে তাদের জন্য বলা হয়েছে, "এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারাই আমার আয়াত সমুহকে অবজ্ঞা করবে, আমি তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি সেখানে নতুন চামড়া দিব, যাতে তারা আযাব পূর্ণভাবে আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী। (সুরা আন নিসাঃ ৫৬) অথচ আমাদের অবস্থা এখন ঠিক তার উলটো। এখন সৌন্দর‍্য শুধু ঘরের বাইরেই নয়, বরং ঘরে বসে বসেই আমরা সোশাল মিডিয়া তে প্রদর্শন করি। আর আপুদের সেই ছবি গুলা দেখে, ভাইয়ারা কমেন্ট করেন, wow, nice, beautiful... crush khaichi............. এটাইকি তাহলে আপু আপনার ছবি দেওয়ার উদ্দেশ্য... কিছু লোকের লাইক কমেন্ট পাওয়ার জন্যই কি....... আর আপনি রিপ্লাই দিচ্ছেন " থ্যাংকস ভাইয়া" অথচ আল্লাহ ছেলেদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন " "মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। (সূরা নূর - ৩০) এখন আপনার ছবি দেখে কেউ যদি attracted হয় এবং তার মনে আপনাকে নিয়ে খারাপ চিন্তা আসে, তাহলে হাশরের মাঠে তার গুনাহের ভার কি আপনি নিবেন? এতে সে যেমন গুনাহগার হচ্ছে তেমনি আপনিও হচ্ছেন। অথচ এই আপনাকেই যখন রাস্তায় একটা ছেলে এই কথা গুলো বলবে তখন নিশ্চয় ঠাস্ করে একটা থাপ্পড় দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দেখাবেন, তাহলে গুগলে কেন এমন? আপু কোনো মহা পুরুষ আপনার সৌন্দর্য দেখে আপনাকে বিচার করবে না।একটি সুন্দর মনের ছেলে কখনই বেগানা নারীর সৌন্দর্যএর দিকে তাকিয়ে থাকবে না। অন্তত আমার বিশ্বাস। তাহলে কারা আপনাকে সুন্দর বলছে। আমরা অনকেই ফ্যামিলি পিকচার দেই.... তাহলে বলছি আপনি বাবা, আপনি ভাই.... রাত ৩ টার সময় যদি দরজায় কেঊ এসে বলে আজ সারা রাত আমি আপনার মেয়েকে দেখবো, শুধু তাকিয়ে থাকবো। বাবা হিসেবে আপনি তখন আপনি কি করবেন??? সেটা আমি না বললেও নিশ্চয় বোঝা সম্ভব। তাহলে যখন আপনার মেয়ের ছবি হাজার ছেলে চোখ দিয়ে গিলে খাবে তখন কি আপনি শুধু নির্বাক দ্রষ্টা হয়ে বসে থাকবেন???? তাহলে কেনো তাকে মানা করার পরিবর্তে নিজের সাথে নিজের মেয়ের ছবি দিচ্ছেন, আল্লাহ বলেন " যেদিন তার মুখমন্ডল আগুনে ওলট পালট করা হবে, সেদিন তারা বলবে হায় আমরা যদি আল্লাহ ও রাসূল কে মানতাম!! তারা আরো বলবে হে আমার রব আমারা আমাদের নেতা ও আমাদের বড় লোকদের অনুসরণ করেছিলাম, তারা আমাদের পথ ভ্রষ্ট করেছে। হে আমার রব তাদেরকে দ্বিগুন শাস্তি প্রদান করুন ও তাদেরকে দিন মহা অভিসম্পাত। "( আল-আহযাবঃ৬৬-৬৮) এর থেকে পরিতাপের আর কি হতে পারে যে আদরের ছোটরা সেদিন বড়দের জন্য শাস্তি প্রার্থনা করবে। এখন যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করি " শুকুরের মাংস খান?? কেনো খান না?? আপনি নিশ্চয় উত্তরে বলবেন "ছিঃ এটা আমার ধর্মে হারাম কেনো খাবো???? তাইলে আমিও আপনাকে বলবো, যে ধর্ম আপনার জন্য শুকরের মাংস হারাম করেছে, সেই ধর্মই আপনার সৌন্দুর্য প্রকাশ করাকে হারাম ঘোষনা করেছে। তাহলে একটা মানেন আরেকটা মানেন না কেনো?? তাহলে কি আপনি আল্লাহর আজাব কে অস্বীকার করছেন???? কিন্তু আল্লাহ বলেন আর যারা অবিশ্বাস করবে, আমার নিদর্শন সমূহ কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারাই জাহান্নামী, সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। ( সূরা বাক্বারাঃ৩৯) আপনি তো আজ মরেও যেতে পারে। কিন্তু এই ছবি?? এগুলোর ডিলিট করার দায়িত্ব কে নেবে??? আজ যারা সুন্দর সুন্দর বলে চেঁচাচ্ছে কাল তারাই আপনার লাশের পচা গন্ধে নাক ছিটকে পাশ দিয়ে যাবে।কিন্তু সোশাল মিডিয়াতে পড়ে থাকা ছবিগুলো দেখবে। আর তার জন্য কবরে আপনার শাস্তি হতে থাকবে। কিন্তু আফসোস যে আপনি চাইলেও তখন আর নতুন কোনো আমল করতে পারবেন না। আপু যে নিজের সাচ্ছন্দের জন্য দুনিয়ায় জন্য দুনিয়ায় এতো ত্যাগ করছি সেই নিজের জন্য আমরা কি একটু পর্দা করতে পারি না? এটাও আমি অইটাও আমি তাহলে পার্থক্যটা কোথায় বোন? তাহলে আমরা কাকে ধোকা দিচ্ছি, আল্লাহ কে, নিজেকে, নাকি পুরু মুসলিম উম্মাহকে??? প্রশ্নটা সবার কাছেই থেকে গেলো ।