Tuesday, May 1, 2018

গালি দেওয়া কতই না নিকৃষ্টতা

গালি দেওয়া কতই না নিকৃষ্টতা আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাদি) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন মুসলিমদের কে গালি-গালাজ করা ফাসেকি এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কুফুরি। (বুখারি-৪৮, মুসলিম-৬৪) অশ্লীল ভাষা ব্যবহার মুনাফিকীর লক্ষণ:- বিশর ইবনে খালিদ (র)…আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে এ চারটি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। (১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে (২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে (৩) যখন চুক্তি করে তা লঙ্ঘন করে (৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। [সহীহ বুখারী, চতুর্থ খণ্ড, হাদিস নং ২২৯৭ – ইফা] নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি যে নিজের বাবা-মা কে গালি দেয়। সাহাবী (রা) গণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল, নিজের বাবা-মা কে কেউ কখনও গালি দেয় ? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে তার অপর ভাইয়ের বাবা মা কে গালি দেয় এর বদলে সেও তার বাবা-মা কে গালি দেয়। [বুখারী ও মুসলিম]
ইবনে উ’মর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলে তা তাদের উভয়ের একজনের ওপর অবশ্যই বর্তাবে। [সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১২৩] “নীচু লোকের হাতিয়ার গালি যদি কোন লোক তোমাকে খারাপ কথা বলে, তবে তার কথার জবাব দিও না। কেননা, হতে পারে এর চেয়েও খারাপ কোন বাক্য তার ঠোঁটের কাছেই রয়েছে। তুমি ওর কথার জবাব দেয়ার সাথে সাথেই সে তা বলতে শুরু করবে। -হযরত আলী (রাঃ)” আমাদের কেউ গালি দিলেও আমরা আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সা) এর দেখানো পথ অনুসরন করবো ইন শা আল্লাহ্ ………………… রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে ইমান রাখে তার উচিত হয় উত্তম কথা বলা নয়তো চুপ থাকা । (বুখারিঃ৬০১৮) রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ মুমিন খোটাদানকারী,আভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না । (তিরমিযি ১৯৭৭, আহমাদ ৩৮২৯,৩৯৩৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের প্রশ্ন করলেন, তোমরা কি জান, দেউলিয়া কে? তারা বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের মধ্যে দেউলিয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার দিরহামও (নগদ অর্থ) নেই, কোন সম্পদও নেই। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমার উম্মাতের মধ্যে সেই ব্যক্তি হচ্ছে দেউলিয়া যে কিয়ামাত দিবসে নামায, রোযা, যাকাতসহ বহু আমল নিয়ে উপস্থিত হবে এবং এর সাথে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত (হত্যা) করেছে, কাউকে মারধর করেছে, ইত্যাদি অপরাধও নিয়ে আসবে। সে তখন বসবে এবং তার নেক আমল হতে এ ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে, ও ব্যক্তি কিছু নিয়ে যাবে। এভাবে সম্পূর্ণ বদলা (বিনিময়) নেয়ার আগেই তার সৎ আমল নিঃশেষ হয়ে গেলে তাদের গুনাহসমূহ তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে, তারপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সহীহ, সহীহাহ্‌ (৮৪৫), আহকামুল জানাইয (৪), মুসলিম। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪১৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস “যে ঈমানদার ব্যক্তি মানুষের সাথে মিলামিশা করে এবং কেউ কষ্ট দিলে তাতে ধৈর্যের পরিচয় দেয় সে ঐ ব্যক্তি থেকে উত্তম যে কারো সাথে উঠাবসা করে না আর কেউ কষ্ট দিলে তাতে ধৈর্য ধারণ করে না।” (মুসনাদ আহমাদ। ইব্নুল হাজার রাহ. ফাতহুল বারী কিতাবে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,যে ব্যক্তি উভয় চোয়ালের মধ্যভাগ (জিহ্বা) এবং দুই রানের মধ্যভাগ(লজ্জাস্থান) হেফাজতের দায়িত্ব গ্রহন করে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহন করি।[বুখারী, ৬৪৭৪] আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)থেকে বর্নিত; রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিনপথ অবলম্বন করনা এবং মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দাও, মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িও না।”[বুখারি] “ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে থাক”। (সুরা আল আরাফঃ ১৯৯) তোমরাই সর্ব শ্রেষ্ট জাতি । মানব কল্যাণে তোমাদের বানানো হইয়াছে । তোমরা এই কারনে শ্রেষ্ট যে, মানুষ কে ভালো কাজের আহবান করবা, এবং মন্দ কাজ হইতে বিরত থাকিতে বলবা, এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখিবা ।-(আলে ইমরান: ১২) আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বোঝার ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন আমিন

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ